প্রশ্ন ২৩ : সাহু সিজদা দেওয়ার সঠিক নিয়ম

উত্তর :

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

সিজদায়ে সাহু দেয়ার পদ্ধতি হল, সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা দিবে। আর সালাম যেহেতু একদিকে ফিরানোর মাঝেও সালাম ফিরানোর অর্থ থাকে, তাই একদিকে সালাম ফিরানোর কথা হানাফি ফিকহ বলে থাকে। সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করবে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। যেমন-

# হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ভুল হল এই যে, নামাযী ব্যক্তি বসার বদলে দাঁড়িয়ে যাওয়া। অথবা দাঁড়ানোর বদলে বসে যাওয়া, বা [তিন বার চার রাকাতওয়ালা নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। তাহলে এমন ব্যক্তি সালাম ফিরানোর পর দুই সেজদা করবে, তারপর তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরাবে। (তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২৫৬৫)

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা) ছাড়াও হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের (রা), হযরত আনাস বিন মালিক (রা), হযরত সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা) প্রমূখ সাহাবাগণ থেকে সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করা প্রমানিত। (শরহু মাআনিল আসার, হাদীস নং-২৫৬৪)

# হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের মাঝে যখন কারো নামাযের ব্যাপারে সন্দেহ হয়ে যাবে, তখন তার জন্য উচিত এ ব্যাপারে চিন্তা ফিকির করা, তারপর নামায পূর্ণ করে সালাম ফিরাবে তারপর দুই সিজদা করবে। (সহীহ বুখারী-১/৫৮, হাদীস নং-৪০১, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭২)

# হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনঃ প্রত্যেক ভুলের কারণে দুই সিজদা দিতে হবে সালাম ফিরানোর পর। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১০৩৮, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১২১৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৪১৭)

# হযরত আব্দুল্লাহ বিন যাফর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনঃ যার নামাযে সমস্যা হয়ে যায়, সে যেন দু’টি সেজদা করে সালাম ফিরানোর পর। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৫৫০)

সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করার এরকম অসংখ্য সহীহ বর্ণনা হাদীসের কিতাবসমূহে বর্ণিত।


আবার সালাম ফিরানোর পূর্বেও সাহ সেজদা করা যায় ।

# আব্দুল্লাহ ইবনু বুহায়না আল আসাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যুহরের সালাতে (দ্বিতীয় রাকাআতে) বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে গেলেন । সালাত শেষ করার পর সালাম ফিরানোর আগে তিনি বসা অবস্থায় তাকবীর সহকারে দুটি সিজদা করলেন । তাঁর সাথের লোকেরাও সিজদা করলো । ভুলে বর্জিত বসার পরিবর্তে এ সিজদা । (সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২০৬ , ১২০৭ । বুখারী । মুসলিম ।)

এই অনুচ্ছেদে আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রা) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনু সায়িব (রা) হতে বর্ণিত আছে , তারা উভয়েই সালামের পূর্বে সাহু সিজদা করতেন । সনদ সহীহ । সায়িব তিনি ইবনু উমাইর । আবু ঈসা (রহ) বলেন : বুহায়নার হাদীসটি হাসান সহীহ ।

কিছু বিদ্বান এই হাদীসের উপর আমল করেন । ইমাম শাফেঈ এই মত পোষণ করেন । তার মতে সকল সাহু সিজদাই সালামের পূর্বে । তিনি আরও বলেন , এই হাদীস অন্যান্য হাদীসের নাসিখ । কেননা এটাই রাসূলুল্লাহ (সা) এর সর্বশেষ আমল । ইমাম আহমাদ ও ইসহাক্ব বলেন , কোন ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় রাকাআতের পর দাড়িয়ে যায় তাহলে ইবনু বুহায়নার হাদীস অনুযায়ী সালামের পূর্বেই সাহু সিজদা করবে ।

হানাফি ফিকহের মতে সাহু সিজদা দেয়ার নিয়ম হল শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে ২ টি সিজদা দিতে হবে। ২ সিজদার মাঝখানে অবশ্যই ১ তাসবীহ পরিমান সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর যথারীতি আবার আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে নামায শেষ করতে হবে।

তবে আলেমদের মতে তাশাহুদ , দরূদ , দুআ পড়ার পর সালাম ফিরানোর আগে বা পরে দুইটি সিজদা সাহু দেওয়াই অধিক সঠিক হবে ।

আপনি ইমামের পেছনে নামায পড়া অবস্থায় ইমাম যেভাবে সাহু সিজদাহ দিবে আপনাকেও সেভাবেই সাহু দিতে হবে। এতে আপনার নামাযে কোন ত্রুটি হবে না। কারণ, ইমামের অনুসরণ করা, মুক্তাদির জন্য আবশ্যক।

লিংক 


==============================

সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়মঃ ভুল দিয়ে কি ভুল সংশোধন করা যায়?

আমাদের দেশে প্রচলিত অনেক কিছুই যেমন ইমান-আকীদা, নামায, রোযা, হজ্জ যাকাত ইত্যাদি অনেক কিছুর সাথে কুরান ও সুন্নাহর বিপরীত কাজ দেখতে পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “প্রচার করো, একটি মাত্র আয়াত হলেও”।
যেখানে একটি মাত্র আয়াত জানলেও তা প্রচার করতে বলা হয়েছে, আর সেখানে এতো ভুল আর বেদাত দেখে চুপ করে থাকা সমীচিন বলে মনে করছিনা।
তাই, যারা সঠিক ইসলাম জানতে আগ্রহী তাদেরকে বলছি, আপনারা আমাদের পোস্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আর কুরআন, সহীহ হাদীস ও সত্যিকারের আলেমদের সাথে যাচাই করে দেখুন, সত্যি-মিথ্যা যাচাই বাছাই করে – যেটা হক্ক সেটা মেনে নিন।
আজকে সাজদা সাহুর সঠিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো।
_______________________________________
সিজদা সাহু সালাম ফেরানোর আগে ও পরে দুইভাবেই করা যায়। তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত মকসুদুল মুমিনীণ নামক বেদাতী বইয়ের সাজদা সাহুর নিয়ম ঠিক নয়।
আমাদের দেশে প্রচলিত ভুল নিয়মঃ
শেষ বৈঠকে শুধু আত্তাহিয়্যাতু পড়ে, শুধু ডান দিকে একবার সালাম ফিরিয়ে দুইটা সিজদা দিয়ে আবার আত্তাহিয়্যাতু দুরুদ পড়ে সালাম ফিরানোর নিয়ম - এটা ঠিকনা, কোন সহীহ হাদীসে সেজাদা সাহু এমন আসেনাই। কারো ক্ষমতা থাকলে এইরকমঃ “আত্তাহিয়্যাতু পড়ে শুধুমাত্র ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে সিজদা সাহু দেওয়ার” পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল পেশ করুন।
সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে - “সালাতে কম বেশি যাই হোক, আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে তাকবীর দিয়ে পর পর দুটি সিজদাহ দিয়ে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করতে হবে, অথবা সালাম ফিরানোর পরে দুটি সিজদা দিতে হবে। ”
বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত সালাত অধ্যায় সাহো অনুচ্ছেদ, ১১৮ নাম্বার হাদীস।
অথবা, “সালাতে কম বেশি যাই হোক, সালামের ফেরানোর আগে বা পরে দুইটি (অতিরিক্ত) সাহু সিজদা দিতে হবে।”
সহীহ মুসলিম, নাওয়াতুল আওতার ৩/৪১১।
অর্থাৎ দুইটাই জায়েজ, সালামের আগে বা পরে দুইটা অতিরিক্ত সিজদা দেওয়া।
সালাম ফেরানোর আগে সিজদা সাহু যেভাবে করবেনঃ
সিজদা সাহু দেওয়া ওয়াজিব হয় এমন কোন ভুল করলে, শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ, দুয়া মাসুরা পরে আল্লাহু আকবার বলে দুইটি সিজদা সাহু দেবেন। দুই সিজদার মাঝখানে বা সিজদাতে তাসসবীহর পরে দুয়া করতে পারবেন। ২টা অতিরিক্ত সিজদা দিয়ে আর কিছু পড়তে হবেনা, ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
সালাম ফেরানোর আগে সিজদা সাহু যেভাবে করবেনঃ
সিজদা সাহু দেওয়া ওয়াজিব হয় এমন কোন ভুল করলে, শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ, দুয়া মাসুরা পরে ডানে ও বামে দুইদিকে সালাম ফেরাবেন। এরপরে আল্লাহু আকবার বলে দুইটি সিজদা সাহু দেবেন। দুই সিজদার মাঝখানে বা সিজদাতে তাসসবীহর পরে দুয়া করতে পারবেন। ২টা অতিরিক্ত সিজদা দিয়ে আর কিছু পড়তে হবেনা, আবার ডানে ও বামে দুইদিকেই সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
তবে আমার কাছে আত্তাহিয়্যাতু ও দরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে দুইটা সিজদাহ সাহু দিয়ে সবার শেষে একবারে সালাম ফিরানোকেই সহজ মনে হয়, কারো ইচ্ছা হলে এমন বা অন্য নিয়মেও করতে পারেন। কিন্তু আত্তাহিয়্যাতু পড়ে একপাশে সালাম ফিরিয়ে আবার তাশাহুদ পড়ার কোনো সহীহ হাদীস নেই।
“এক পাশে সালাম ফিরানো বেদাত” – বলেছেন হানাফী বড় আলেম ইবনুল হুমাম আল-হানাফী (ফতহুল কাদীর ১/২২২ পৃষ্ঠা)।
সিজদা সাহু যে কারণে দিতে হয়ঃ
খুব কমন যে ভুলগুলো আমরা নামাযের মধ্যে করি সেগুলো ও সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো –
সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়মঃ আপনি ২ রাকাত বা ৪ রাকাতের শেষ বৈঠকে বসবেন। আত্তাহিয়্যাতু পড়ে দুরুদ শরীফ, দুয়া মাসুরা পড়বেন। এর পর কোনো সালাম না ফিরিয়ে আপনি অতিরিক্ত দুইটা সিজদা দিবেন, প্রত্যেকবার তাকবীর দিবেন সিজদার সময়ে আর, সিজদার তাসবীহ সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’লা পড়বেন। পরে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
১. ৪ রাকাত নামাযের ১ম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু না পড়েই দাঁড়িয়ে গেলে কি করবেন?
উত্তরঃ দাড়াতে যাচ্ছেন কিন্তু দাড়ান নি, তাহলে আর দাড়াবেন না, বসেই যাবেন। আত্তাহিয়্যতু পড়ে বাকি নামায পুরা করবেন, কোন সিজদা সাহু দেওয়া লাগবেনা। কিন্তু, দাঁড়িয়ে গেলে আর বসবেন না, বাকি নামায শেষ করে উপরে যেই নিয়মে সিজদা সাহু দিতে বলা হয়েছে সেইভাবে সিজদা সাহু দিয়ে নামায শেষ করবেন।
২. ৪ রাকাত নামাযে ২ রাকাত শেষে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। এমন অবস্থায় আবার দাঁড়িয়ে যাবেন, বাকি দুই রাকাত পূর্ণ করে শেষে সিজদা সাহু দিবেন। এমনকি কেউ যদি উঠে অন্য কোথাও চলে যায় মাঝখানে কথাও বলে তবুও সে ২ রাকাত পড়ে শেষে ২টি সিজদা সাহু দিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন, নতুন করে ৪ রাকাত আবার পড়তে হবেনা। অনুরূপ ১ রাকাত বা ৩ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেও বাকি ১ রাকাত পড়ে শেষ সেজদা সাহু দিবেন।
৩. ২ বা ৪ রাকাত নামাযে কেউ যদি ভুলে অতিরিক্ত ৩য় বা ৫ম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ অতিরিক্ত রাকাত পড়ার আগেই বুঝতে পারে বা রাকাত চলা অবস্থায় মনে পড়ে তাহলে রাকাত পূরণ না করেই বসে যেতে হবে, ইচ্ছা করে অতিরিক্ত ১ রাকাত পড়লে নামায ভেঙ্গে যাবে। বসে তাশাহুদ, দুরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে ২টা অতিরিক্ত সিজদা সাহু দিবেন, প্রত্যেক সিজদায় যাওয়ার আগে ও পরে স্বভাবিক নিয়মে "আল্লাহু আকবার" বলে তাকবীর দিবে। ২টা সিজদা সাহু দিয়ে আবার আত্তাহিয়্যাতু বা অন্য কিছু পড়তে হবেনা। কোনো দুয়া না পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
আর অতিরিক্ত রাকাত পড়ার পরে কিন্তু সালাম ফেরানোর আগে মনে হলে একই নিয়মে ২টা সিজদা সাহু দেবেন। আর যদি সালাম ফেরানোর পরে, এমনকি মাঝখানে অন্য কাজ বা কথা বলার পরে মনে পড়ে তাহলে যখনই মনে হবে তখন ওযু অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে সরাসরি আল্লাহু আকবার বলে ২টা সিজদা দিবেন, ২টা সিজদা সাহু দিয়ে ডানে বামে সালাম ফেরাবেন, আগে বা পরে কোনো কিছু পড়তে হবেনা।
৪. রুকু দুইবার বা সিজদা তিনবার করে ফেললেন। বাকি নামায পূর্ণ করে শেষে সিজদা সাহু দিবেন।
৫. কোনো এক রাকাতে রুকু, সিজদায় উলটা পাল্টা করলেন অর্থাত দিলেন না, বা সুরা ফাতেহা পড়েন নাই। এইগুলো নামাযের রুকন, এইগুলো ছাড়া এক রাকাত হয় না। এইরকম কোনো রুকন ছুটে গেলে ঐ রাকাত নামাযের মধ্যে গণ্য হয়না। এইজন্য আপনি পুরো নামায বাদ দিবেন না। ধরুন ৪ রাকাত পড়ছেন, তাহলে বাকিগুলো ঠিক থাকবে, আপনি চতুর্থ রাকাতের বৈঠকের পর সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন, এক রাকাত অতিরিক্ত পড়ে শেষ বৈঠক করে সিজদা সাহু দিবেন।
৬. নামায ২ রাকাত না ৩ রাকাত পড়া হলো সেটা নিয়ে বা কোনো কিছু একটা করেছেন কিনা সন্দেহ দেখ দিলে প্রথম দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন কোনটা আপনার কাছে বেশি মনে হচ্ছে, ২ রাকাত না ৩ রাকাত। যেটা মনে বেশি জোরালো হবে সেটাকেই ধরবেন আর অন্যটার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিবেন। আপনি এইভাবে নামায পূর্ণ করবেন আর শেষে সিজদা সাহু দিবেন। আর যদি ২ রাকাত না ৩ রাকাত কোনোটার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারেন, তাহলে কম রাকাত অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ২ রাকাত ধরে নামায পূর্ণ করবেন আর শেষে সিজদা সাহু দিবেন।
৭. ১ম/৩য় রাকাতে যদি না দাঁড়িয়ে বসে যান তাহলে কি করবেন?
উত্তরঃ কিছুইনা - মনে হলে দাড়িয়ে যাবেন, বাকি নামায শেষ করবেন কোন সাহু সিজদা লাগবেনা। আর যদি বৈঠক করে ফেলেন অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পড়া শেষ তাহলে শেষ বৈঠকে সিজদা সাহু দেবেন। উল্লেখ্য, ১ম ও ৩ইয় রাকাতের ২ সিজদার পরে উঠার আগে সরাসরি না উঠে একটু বসে পরে উঠা সুন্নত - একে প্রশান্তির বৈঠক বলা হয়।


লিংক 

প্রশ্ন ২২ : আমি আগে কুরআন পড়তে পারতাম।এখন কিছু কিছু লাইন, আয়াত, ও হরফ ভুঝতে পারিনা আটকে যায়।

উত্তর :

এখান থেকে এ্যাপটি ডাউনলোড / আপডেট করে নিন। এই এ্যাপের কুরআন অধ্যয়ন বিভাগে প্রতিটি আয়াতের সাথে একটি করে প্লে বাটন আছে, উক্ত বাটনে ক্লিক করলে আয়াতটি বার বার তিলাওয়াত হতে থাকবে। এভাবে শুনে ও পড়ে আপনার পড়া সঠিক করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। (নেট ও ডাটা কানেকশন চালু রাখতে হবে।)

ডাউনলোড লিংক : ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২১ : নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়া ।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কী পরিমাণ পাপ রয়েছে, তবে তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে ৪০ বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম হতো। হাদিসের বর্ণনাকারী আবু নসর বলেন, আমার মনে পড়ে না ৪০ দিন না ৪০ মাস, না ৪০ বছর বলেছেন।’ -সহিহ বোখারি।

তবে কেউ যদি নামাজীর বরাবর সামনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ আছে। এটা নামাজের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে বিনা প্রয়োজনে এমন করা ঠিক নয়।
বিনা সুতরায় নামাজ পড়লে কেউ সামনে দিয়ে গেলে নামাজ নষ্ট হয় না। কিন্তু নামাজের ক্ষতি হয়। মানুষ চলাফেরা করতে পারে, এমন স্থানে সুতরা না রেখে নামাজ পড়া গুনাহের কাজ।

যে মসজিদের প্রশস্ততা ৪০ হাতের বেশি, এমন মসজিদে নামাজরত ব্যক্তির দুই কাতার সামনে দিয়ে অতিক্রম করা জায়েয। অর্থাৎ নামাজীর কাতারসহ মোট তিন কাতার দূরত্ব দিয়ে যাওয়া যাবে। এর চেয়ে ছোট মসজিদে মুসল্লির সামনে দিয়ে সুতরা ছাড়া অতিক্রম করা যাবে না।


তবে কারো কারো মতে  নামাজীর সিজদা দেওয়ার স্থান পর্যন্ত নামাযের স্থান। সে হিসেবে  নামাজীর কাতার সহ মোট  দুই কাতার দূরত্ব দিয়ে  যাওয়া যাবে।

প্রশ্ন ২০ : বে নামাজীর পশু জবেহ করা যাবে কি?


অধিকাংশ আলেমের মতে বেনামাজীর জবেহ করা পশুর গোসত খাওয়া সঠিক নয়।

তবে কোন কোন আলেম তা খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।   তবে বেনামাজীকে শিক্ষা দিতে হবে যে তুমি নামায পড়না অতএব, তোমার জবেহ করা প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না।

এছাড়া আহলে কিতাবদের জবেহ কৃত পশুর গোশত খাওয়া যাবে।

শুধুমাত্র মুশরিকদের জবেহকৃত পশু এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারে নামে উৎসর্গীকৃত বা কোন দেব দেবীর নামে জবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম।


প্রশ্ন ১৯ : ব্যবহার কৃত স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে কিনা?

যাকাত সম্পর্কিত বিবিধ মাসায়েল

মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব।
 (৪র্থ কিস্তি) 

স্বর্ণ ও রৌপ্যের যাকাত
 
স্বর্ণ ও রৌপ্য খনিজ সম্পদের অন্যতম। এ সম্পদের অপ্রতুলতা ও শ্রেষ্ঠত্বের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই বহু জাতি এ দু’টি ধাতু দ্বারা মুদ্রা তৈরী করেছে ও দ্রব্যমূল্যের মান হিসাবে গ্রহণ করেছে। এ কারণে ইসলামী শরী‘আত স্বর্ণ ও রৌপ্যের উপর বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তার উপর যাকাত ফরয করেছে। আর যাকাত অনাদায়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيْمٍ- يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِيْ نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوْبُهُمْ وَظُهُوْرُهُمْ هَذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ فَذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُوْنَ-
‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহ্র পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও। সেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে আর বলা হবে, এটাই তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জীভূত করতে। সুতরাং তোমরা যা পুঞ্জীভূত করেছিলে তা আস্বাদন কর’ (তওবা ৯/৩৪-৩৫)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلاَ فِضَّةٍ لاَ يُؤَدِّى مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحَ مِنْ نَارٍ فَأُحْمِىَ عَلَيْهَا فِىْ نَارِ جَهَنَّمَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَجَبِيْنُهُ وَظَهْرُهُ كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيْدَتْ لَهُ فِىْ يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِيْنَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيْلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ-
‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যে তার হক (যাকাত) আদায় করে না, ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের বহু পাত তৈরী করা হবে এবং সে সমুদয়কে জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে। অতঃপর তার পাঁজর, কপাল ও পিঠে দাগ দেওয়া হবে। যখনই তা ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন পুনরায় তাকে গরম করা হবে। (তার সাথে এরূপ করা হবে) সেদিন, যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান। (তার এ শাস্তি চলতে থাকবে) যতদিন না বান্দাদের বিচার নিষ্পত্তি হয়। অতঃপর সে তার পথ ধরবে, হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে’।[1]
 
স্বর্ণ ও রৌপ্যের নিছাব
 
কারো নিকটে ইসলামী শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য থাকলেই কেবল তার উপর যাকাত ফরয। এ দু’টি ধাতুর নিছাব নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল, 

স্বর্ণের নিছাব : 

এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَلَيْسَ عَلَيْكَ شَىْءٌ يَعْنِيْ فِيْ الذَّهَبِ حَتَّى يَكُوْنَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا فَإِذَا كَانَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا وَحَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ فَفِيْهَا نِصْفُ دِيْنَارٍ فَمَا زَادَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ- ‘বিশ দীনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরয নয়। যদি কোন ব্যক্তির নিকট ২০ দীনার পরিমাণ স্বর্ণ এক বছর যাবৎ থাকে তবে এর জন্য অর্ধ দীনার যাকাত দিতে হবে। এরপরে যা বৃদ্ধি পাবে তার হিসাব ঐভাবেই হবে’।[2]
উল্লেখ্য যে, হাদীছে বর্ণিত ১ দীনার সমান ৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণ। অতএব ২০ দীনার সমান ২০×৪.২৫=৮৫ গ্রাম স্বর্ণ। ১ ভরি সমান ১১.৬৬ গ্রাম হ’লে, ৮৫÷১১.৬৬=৭.২৯ ভরি স্বর্ণ। অর্থাৎ কারো নিকটে উল্লিখিত পরিমাণ স্বর্ণ এক বছর যাবৎ থাকলে তার উপর বর্তমান বাজার মূল্যের হিসাবে মোট সম্পদের ২.৫০% যাকাত দেওয়া ফরয। 

রৌপ্যের নিছাব : 

 রৌপ্যের নিছাব উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَلاَ فِيْ أَقَلَّ مِنْ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنَ الْوَرِقِ صَدَقَةٌ ‘পাঁচ উকিয়ার কম পরিমাণ রৌপ্যে যাকাত নেই’।[3]
উল্লেখ্য, ১ উকিয়া সমান ৪০ দিরহাম। অতএব ৫ উকিয়া সমান ৪০×৫=২০০ দিরহাম।
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, هَاتُوْا رُبْعَ الْعُشُوْرِ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِيْنَ دِرْهَمًا دِرْهَمٌ وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ شَىْءٌ حَتَّى تَتِمَّ مِائَتَىْ دِرْهَمٍ فَإِذَا كَانَتْ مِائَتَىْ دِرْهَمٍ فَفِيْهَا خَمْسَةُ دَرَاهِمَ فَمَا زَادَ فَعَلَى حِسَابِ ذَلِكَ- ‘তোমরা প্রতি ৪০ দিরহামে ১ দিরহাম যাকাত আদায় করবে। ২০০ দিরহাম পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের প্রতি কিছুই ফরয নয়। ২০০ দিরহাম পূর্ণ হ’লে এর যাকাত হবে পাঁচ দিরহাম এবং এর অতিরিক্ত হ’লে তার যাকাত উপরোক্ত হিসাব অনুযায়ী প্রদান করতে হবে’।[4]
অত্র হাদীছে বর্ণিত ২০০ দিরহাম সমান ৫৯৫ গ্রাম রৌপ্য। ১ ভরি সমান ১১.৬৬ গ্রাম হ’লে ৫৯৫ গ্রাম সমান ৫৯৫÷১১.৬৬=৫১.০২ ভরি রৌপ্য হয়। উক্ত পরিমাণ রৌপ্য কারো নিকটে এক বছর যাবৎ থাকলে তার উপর বর্তমান বাজার মূল্যের হিসাবে মোট সম্পদের ২.৫০% যাকাত আদায় করা ফরয।

স্বর্ণ ও রৌপ্য উভয়টি মিলে নিছাব পরিমাণ হ’লে যাকাত ফরয হবে কি? : 

 কারো নিকটে স্বর্ণ ও রৌপ্য পৃথকভাবে কোনটিই নিছাব পরিমাণ নেই। কিন্তু উভয়টি মিলে নিছাব পরিমাণ হয়। এক্ষণে তার উপর যাকাত ফরয হবে কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে ছহীহ মত হ’ল, স্বর্ণ ও রৌপ্য দু’টি ভিন্ন বস্ত্ত। একটি অপরটির নিছাব পূর্ণ করতে সক্ষম নয়। সুতরাং এ দু’টি পৃথকভাবে নিছাব পরিমাণ না হ’লে যাকাত ফরয নয়।[5]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘পাঁচ উকিয়ার কম পরিমাণ রৌপ্যে যাকাত নেই’।[6] তিনি অন্যত্র বলেন, ‘বিশ দীনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরয নয়’।[7]
উল্লিখিত হাদীছ দু’টিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বর্ণ ও রৌপ্যের নিছাব আলাদাভাবে বর্ণনা করেছেন। কারণ দু’টি বস্ত্ত অভিন্ন নয় বরং আলাদা। অতএব পৃথকভাবে দু’টির নিছাব পূর্ণ হ’লেই কেবল যাকাত ফরয হবে। অন্যথা ফরয নয়। 

যাকাত ফরয় হওয়ার জন্য একক মালিকানায় নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য থাকা শর্ত কি? : 

কোন পরিবারে একাধিক ব্যক্তির মালিকানায় কিছু স্বর্ণ অথবা রৌপ্য রয়েছে যা পৃথকভাবে কারোরই নিছাব পরিমাণ হয় না। কিন্তু তাদের সকলের স্বর্ণ অথবা রৌপ্য একত্রিত করলে নিছাব পরিমাণ হয়। যেমন মায়ের ৫ ভরি ও মেয়ের ৩ ভরি স্বর্ণ রয়েছে যা আলাদাভাবে কারোরই নিছাব পরিমাণ নয়। কিন্তু মা ও মেয়ের স্বর্ণ একত্রিত করলে নিছাব পরিমাণ হয়। এমতাবস্থায় তাদের উপর যাকাত ফরয হবে না। কেননা যাকাত ফরয হওয়ার অন্যতম শর্ত হ’ল, ব্যক্তিকে নিছাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণ মালিক হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلاَ فِضَّةٍ لاَ يُؤَدِّى مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحَ مِنْ نَارٍ ‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যে তার হক (যাকাত) আদায় করে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের বহু পাত তৈরী করা হবে’।[8]
এখানে মালিক বলতে ব্যক্তি মালিকানাকে বুঝানো হয়েছে। অতএব ব্যক্তি মালিকানায় নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ অথবা রৌপ্য থাকলেই কেবল যাকাত ফরয। অন্যথা ফরয নয়। 

ব্যবহৃত অলংকারের যাকাত
 
ব্যবসায়িক স্বর্ণ অর্থাৎ যে স্বর্ণ ব্যবসার উদ্দেশ্যে গচ্ছিত রাখা হয়েছে সে স্বর্ণের যাকাত ফরয এবং হারাম কাজে ব্যবহৃত স্বর্ণ যেমন পুরুষের ব্যবহৃত স্বর্ণ এবং কোন প্রাণীর আকৃতিতে বানানো নারীর অলংকার যা ব্যবহার করা হারাম, এরূপ ব্যবহৃত স্বর্ণেরও যাকাত ফরয। এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন। কারণ স্বর্ণের এরূপ ব্যবহার অপ্রয়োজনীয়।
পক্ষান্তরে বৈধ পন্থায় নারীর ব্যবহৃত অলংকারের যাকাত ফরয কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে ছহীহ মত হ’ল, নারীর ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয। নারীর ব্যবহারিক অলংকারের যাকাত সম্পর্কে হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهَا ابْنَةٌ لَهَا وَفِيْ يَدِ ابْنَتِهَا مَسَكَتَانِ غَلِيْظَتَانِ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ لَهَا أَتُعْطِيْنَ زَكَاةَ هَذَا قَالَتْ لاَ قَالَ أَيَسُرُّكِ أَنْ يُسَوِّرَكِ اللهُ بِهِمَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ سِوَارَيْنِ مِنْ نَارٍ قَالَ فَخَلَعَتْهُمَا فَأَلْقَتْهُمَا إِلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَتْ هُمَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلِرَسُوْلِهِ-
আমর ইবনু শু‘আইব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, এক মহিলা তার কন্যাসহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আসলেন। তার কন্যার হাতে মোটা দু’টি স্বর্ণের বালা ছিল। তিনি তাকে বললেন, তুমি কি এর যাকাত দাও? মহিলাটি বললেন, না। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তুমি কি পসন্দ কর যে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের বালা পরিধান করান? রাবী বলেন, একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবী (ছাঃ)-এর সামনে রেখে দিয়ে বলল, এ দু’টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য।[9]
অন্য হাদীছে বর্ণিত আছে, মা আয়েশা (রাঃ) বলেন,
دَخَلَ عَلَىَّ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى فِيْ يَدِيْ فَتَخَاتٍ مِنْ وَرِقٍ فَقَالَ مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ فَقُلْتُ صَنَعْتُهُنَّ أَتَزَيَّنُ لَكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ أَتُؤَدِّيْنَ زَكَاتَهُنَّ قُلْتُ لاَ أَوْ مَا شَاءَ اللهُ قَالَ هُوَ حَسْبُكِ مِنَ النَّارِ-
‘একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমার হাতে রূপার বড় বড় আংটি দেখতে পান এবং বলেন, হে আয়েশা! এটা কি? আমি বললাম, হে রাসূল (ছাঃ)! আপনার উদ্দেশ্যে সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য তা তৈরী করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এর যাকাত দাও? আমি বললাম, না অথবা আল্লাহ্র যা ইচ্ছা ছিল। তিনি বললেন, তোমাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট।[10]
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيْدَ قَالَتْ دَخَلْتُ أَنَا وَخَالَتِيْ عَلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهَا أَسْوِرَةٌ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ لَنَا أَتُعْطِيَانِ زَكَاتَهُ قَالَتْ فَقُلْنَا لاَ قَالَ أَمَا تَخَافَانِ أَنْ يُسَوِّرَكُمَا اللهُ أَسْوِرَةً مِنْ نَارٍ أَدِّيَا زَكَاتَهُ-
আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার খালা হাতে স্বর্ণের বালা পরিহিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দরবারে প্রবেশ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা এর যাকাত দাও কি? তিনি বলেন, তখন আমরা বললাম, না। তখন তিনি (ছাঃ) বললেন, ‘তোমরা কি ভয় কর না যে, এর পরিবর্তে আল্লাহ তা‘আলা আগুনের বালা পরিধান করাবেন। সুতরাং তোমরা যাকাত আদায় কর’।[11]
ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন,
سَأَلَتْهُ امْرَأَةٌ عَنْ حُلِيٍّ لَهَا أَفِيْهِ زَكَاةٌ؟ قَالَ إِذَا بَلَغَ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَزَكِّيْهِ، قَالَتْ إِنَّ فِيْ حِجْرِيْ أَيْتَامًا فَأَدْفُعُهُ إِلَيْهِمْ؟ قَالَ نَعَمْ-
‘এক মহিলা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন যে, অলংকারের যাকাত দিতে হবে কি? তিনি বললেন, যদি তা দুইশত দিরহামে পৌঁছে, তাহ’লে তার যাকাত আদায় করবে। মহিলাটি বললেন, আমার ঘরে কতিপয় ইয়াতীম রয়েছে, তাদেরকে কি (যাকাত) প্রদান করতে পারব? তিনি বললেন, হ্যাঁ’।[12]
আয়েশা (রাঃ) বলেন, لاَ بَأْسَ بِلُبْسِ الْحُلِيِّ إِذَا أَعْطَى زَكَاتَهُ ‘অলংকার পরিধানে কোন সমস্যা নেই, যদি তার যাকাত দেওয়া হয়’।[13]
উপরোল্লিখিত হাদীছ ও আছার সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নারীর ব্যবহৃত অলংকার নিছাব পরিমাণ হ’লে যাকাত দিতে হবে। 


নারীর ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয নয় মর্মে পেশকৃত দলীলের জবাব : 

 কিছু সংখ্যক বিদ্বান নারীর ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয নয় বলে মত পোষণ করেছেন এবং তাদের মতের স্বপক্ষে কতিপয় দলীল পেশ করেছেন। নিম্নে সেই দলীলগুলো উল্লেখ করতঃ তার জবাব দেওয়া হ’ল। 

প্রথম দলীল : আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, لَيْسَ فِيْ الْحُلِىِّ زَكَاةٌ ‘অলংকারের যাকাত নেই’।[14]
 
জবাব : প্রথমত হাদীছটি যঈফ। ইমাম দারাকুত্বনী হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন।[15] ইমাম বায়হাক্বী হাদীছটিকে ভিত্তিহীন বলেছেন।[16] নাছিরুদ্দীন আলবানীও হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন।[17] অতএব উক্ত হাদীছটি যঈফ বলে দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। 

দ্বিতীয়তঃ হাদীছটি উপরোল্লিখিত ছহীহ হাদীছ ও আছার সমূহের বিরোধী হওয়ায় তা পরিত্যাজ্য। 

দ্বিতীয় দলীল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ ‘তোমরা তোমাদের অলংকার দ্বারা হ’লেও যাকাত আদায় কর’।[18] অলংকারের যাকাত ফরয হ’লে রাসূল (ছাঃ) ‘তোমাদের অলংকার দ্বারা হ’লেও’ না বলে বলতেন ‘তোমাদের অলংকারের যাকাত আদায় কর’। 

জবাব : অত্র হাদীছ ব্যবহৃত অলংকারের যাকাত ফরয না হওয়া প্রমাণ করে না। কেননা যদি কেউ কারো ব্যয়ভার বহন করার লক্ষ্যে এমন অর্থ প্রদান করে, যা নিছাব পরিমাণ হয়। অতঃপর সে যদি বলে, তুমি যাকাত আদায় করবে যদিও তোমাকে প্রদানকৃত অর্থ থেকে হয়। তার এরূপ কথা যেমন উক্ত অর্থের যাকাত ফরয না হওয়া প্রমাণ করে না, তেমনি উল্লিখিত হাদীছ দ্বারাও ব্যবহৃত অলংকারের যাকাত ফরয না হওয়া প্রমাণ করে না।[19]
 
তৃতীয় দলীল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِ فِيْ عَبْدِهِ وَلاَ فَرَسِهِ صَدَقَةٌ ‘মুসলিমের উপর তার দাস ও ঘোড়ার যাকাত নেই’।[20] দাস এবং ঘোড়া মানুষের প্রয়োজনীয় বস্ত্ত হওয়ায় যাকাত ফরয নয়। তেমনি নারীর ব্যবহৃত অলংকার প্রয়োজনীয় বস্ত্ত হওয়ায় যাকাত ফরয নয়। 

জবাব : নারীর ব্যবহৃত অলংকারকে দাস ও ঘোড়ার উপর ক্বিয়াস করা দু’টি কারণে সঠিক নয়। (ক) উক্ত ক্বিয়াস উপরোল্লিখিত ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী। আর ছহীহ হাদীছ বিরোধী ক্বিয়াস গ্রহণযোগ্য নয়। (খ) উক্ত ক্বিয়াস অসামঞ্জস্যপূর্ণ। কেননা মৌলিক দিক থেকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের যাকাত ফরয। পক্ষান্তরে দাস ও ঘোড়ার যাকাত ফরয নয়। অতএব মৌলিক দিক থেকে যাকাত ফরয নয় এমন বস্ত্তর সাথে যাকাত ফরয হওয়া বস্ত্তর ক্বিয়াস করা সঠিক নয়।[21]
 
চতুর্থ দলীল : নারীর ব্যবহৃত অলংকার বর্ধনশীল নয়। অতএব অবর্ধনশীল বস্ত্তর যাকাত ফরয নয়। 

জবাব : স্বর্ণ ও রৌপ্যের যাকাত ফরয হওয়ার জন্য বর্ধনশীল হওয়া শর্ত নয়। যেমন কেউ যদি তার নিকট নিছাব পরিমাণ টাকা জমা করে রাখে, যা দিয়ে সে কোন ব্যবসা করে না। বরং সেই টাকা থেকে শুধু খায় ও পান করে। তবুও তার উপর যাকাত ফরয। অতএব ব্যবহৃত অলংকার বর্ধনশীল না হ’লেও তার উপর যাকাত ফরয।[22]
 
নগদ অর্থের যাকাত
প্রাথমিক যুগের মানুষ নগদ অর্থ বলতে কিছুই জানত না। তারা পণ্যের বিনিময়ে পণ্য লেনদেন করত। তারপর ধীরে ধীরে নগদ অর্থের ব্যবহার শুরু হয়েছে। সাথে সাথে স্বর্ণ ও রৌপ্য বিশেষ বস্ত্ত হিসাবে গৃহীত হয়েছে। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রেরিত হ’লেন, তৎকালীন আরব সমাজ স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করত। স্বর্ণ দিয়ে তৈরী হ’ত ‘দীনার’, আর রৌপ্য দিয়ে তৈরী হ’ত ‘দিরহাম’। কিন্তু তা ছোট ও বড় হওয়ায় ওযনের তারতম্য হ’ত। এই কারণে জাহেলী যুগে মক্কার লোকেরা তা গণনার ভিত্তিতে ব্যবহার করত না, বরং তারা ওযনের ভিত্তিতে ব্যবহার করত। মূলত এই কারণেই স্বর্ণ ও রৌপ্যের নিছাব যথাক্রমে ২০ দীনার ও ২০০ দিরহামকে ওযনের ভিত্তিতে ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৫৯৫ গ্রাম রৌপ্য ধার্য্য করা হয়েছে।
নগদ অর্থের নিছাব
বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ যে মুদ্রার মাধ্যমে লেন দেন করছে সেটা দিরহাম, দীনার, ডলার, টাকা যাই হোক না কেন, তা যদি স্বর্ণ বা রৌপ্যের নিছাবের মূল্যে পৌঁছে এবং ঐ মুদ্রার উপর এক বৎসর সময়কাল অতিবাহিত হয়, তাহ’লে তার
উপর যাকাত ফরয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় এক দীনার সমান দশ দিরহাম হ’ত। সুতরাং বিশ দীনার স্বর্ণ ও দুইশত দিরহাম রৌপ্যের মান সমান ছিল। যার কারণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বর্ণ ও রৌপ্যের নিছাব যথাক্রমে বিশ দীনার ও দুইশত দিরহাম বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে উল্লিখিত পরিমাণ স্বর্ণ রৌপ্যের মানে বড় পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এক্ষণে আমরা কি নগদ অর্থের নিছাব স্বর্ণের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করব, না রৌপ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করব? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। স্বর্ণের মূল্যমান রূপা অপেক্ষা স্থিতিশীল এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য বিধায় অধিকাংশ বিদ্বান স্বর্ণের হিসাব অনুযায়ী যাকাত দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। তবে যেহেতু যাকাত সম্পদ পবিত্র ও পরিশুদ্ধ হওয়ার মাধ্যম তাই রৌপ্যের হিসাবেও অর্থের যাকাত প্রদান করা যেতে পারে।
মুদ্রাসমূহের যাকাত বের করার পদ্ধতি
মুদ্রার যাকাত বের করার জন্য সমস্ত সম্পদকে ৪০ দ্বারা ভাগ করে এক ভাগ বা ২.৫০% যাকাত দিতে হবে। আর এটাই স্বর্ণ-রৌপ্য ও এর হুকুমে যা আসে তার যাকাত। যেমন কারো নিকট ৪,০০,০০০/= টাকা রয়েছে। উক্ত টাকার যাকাত বের করার নিয়ম হ’ল, ৪,০০,০০০÷৪০ =১০,০০০/= টাকা। উল্লিখিত পদ্ধতিতে ৪,০০,০০০/= টাকা থেকে যাকাত হিসাবে ১০,০০০/= টাকা দান করতে হবে।


[1]. মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়; ঐ, বঙ্গানুবাদ (এমদাদিয়া) ৪/১২৩ পৃঃ।
[2]. আবূদাউদ হা/১৫৭৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়, আলবানী, সনদ ছহীহ।
[3]. বুখারী হা/১৪৮৪, ‘যাকাত’ অধ্যায়, মুসলিম হা/৯৭৯; মিশকাত হা/১৭৯৪।
[4]. আবূদাউদ হা/১৫৭২, ‘যাকাত’ অধ্যায়, আলবানী, সনদ ছহীহ।
[5]. মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন, শারহুল মুমতে ৬/১০১-১০২ পৃঃ; ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/১৮ পৃঃ; তামামুল মিন্নাহ ৩৬০ পৃঃ।
[6]. বুখারী হা/১৪৮৪, ‘যাকাত’ অধ্যায়, মুসলিম হা/৯৭৯; মিশকাত হা/১৭৯৪।
[7]. আবূদাউদ হা/১৫৭৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়, আলবানী, সনদ ছহীহ।
[8]. মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়।
[9]. আবূদাউদ হা/১৫৬৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়, ‘গচ্ছিত সম্পদ ও অলংকারের যাকাত’ অনুচ্ছেদ, সনদ হাসান।
[10]. আবূদাউদ হা/১৫৬৫, সনদ ছহীহ।
[11]. মুসনাদে আহমাদ হা/২৭৬৫৫; ছহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৭৭০, সনদ ছহীহ লিগায়রিহি (হাসান)।
[12]. মুছান্নাফ আব্দুর রায্যাক ৪/৮৩ পৃঃ; মু‘জামুল কাবীর লিত ত্ববারানী ৯/৩৭১ পৃঃ; সনদ ছহীহ লিগায়রিহি।
[13]. দারাকুত্বনী ২/১০৭ পৃঃ; বায়হাক্বী ৪/১৩৯ পৃঃ; সনদ হাসান।
[14]. তিরমিযী হা/৬৩৬; দারাকুত্বনী ২/১০৭ পৃঃ।
[15]. নাছবুর রিওয়ায়া ২/৩৪৭ পৃঃ।
[16]. মা‘রেফাতুস সুনান ওয়াল আছার ৩/২৯৮ পৃঃ।
[17]. জামেউছ ছাগীর হা/৪৯০৬।
[18]. বুখারী হা/১৪৬৬; মুসলিম হা/১০০০; মিশকাত হা/১৮০৮।
[19]. মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন, শারহুল মুমতে ৬/১৩০ পৃঃ।
[20]. বুখারী হা/১৪৬৪; মুসলিম হা/৯৮২।
[21]. মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন, শারহুল মুমতে ৬/১৩০ পৃঃ।

প্রশ্ন ১৮ : পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত একমাত্র সাহাবীর নাম ।

 সুরা আহযাব : আয়াত নং: ৩৭ :
 
﴿وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَاهُ ۖ فَلَمَّا قَضَىٰ زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ فِي أَزْوَاجِ أَدْعِيَائِهِمْ إِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا ۚ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا﴾
 হে নবী! ৬৭ স্মরণ করো, যখন আল্লাহ এবং তুমি যার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলে ৬৮ তাকে তুমি বলছিলে, তোমার স্ত্রীকে ত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো৷ ৬৯ সে সময় তুমি তোমার মনের মধ্যে যে কথা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলেন, তুমি লোকভয় করছিলে, অথচ আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তুমি তাকে ভয় করবে৷ ৭০ তারপর তখন তার ওপর থেকে যায়েদের সকল প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল ৭১ তখন আমি সেই (তালাকপ্রাপ্তা মহিলার) বিয়ে তোমার সাথে দিয়ে দিলাম,৭২  যাতে মুমিনদের জন্য তাদের পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে কোনো প্রকার সংকীর্ণতা না থাকে যখন তাদের ওপর থেকে তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়৷ ৭৩ আর আল্লাহর হুকুম তো কার্যকর হয়েই থাকে৷



৬৮. এখানে যায়েদের (রা) কথা বলা হয়েছে৷ সামনের দিকে কথাটি সুস্পষ্ট করে প্রকাশ করা হয়েছে৷ তাঁর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ কি ছিল এবং নবী (সাঃ) এর অনুগ্রহ কি ছিল? এ বিষয়টি অনুধাবন কি ছিল এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি কাহিনীটি বর্ননা করে দেয়া জরুরী মনে করছি৷ তিনি ছিলেন আসলে কালব গোত্রের হারেসা ইবনে শারাহীল নামক এক ব্যক্তির পুত্র৷ তাঁর মাতা সু'দা বিনতে সা'লাব ছিলেন তাঈ গোত্রের বনী মা'ন শাখার মেয়ে৷ তাঁর বয়স যখন আট বছর তখন তাঁর মা তার নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান৷ সেখানে নবী কাইন ইবনে জাসকরের লোকেরা তাদের লোকালয় আক্রমণ করে এবং লুটপাট করে যেসব লোককে নিজেদের সাথে পাকড়াও করে নিয়ে যায় তদের মধ্যে হযরত যায়েদও ছিলেন৷ তারা তায়েফের নিকটবর্তী উকাযের মেলায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে বিক্রি করে দেয়৷ হযরত খাদীজার (রা) ভাতিজা হাকিম ইবনে হিযাম তাঁকে কিনে নিয়ে যান৷ তিনি তাঁকে মক্কায় নিয়ে এসে নিজের ফুফুর খেদমতে উপঢৌকন হিসেবে পেশ করেন৷ নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হযরত খাদীজার (রা) যখন বিয়ে হয় তখন নবী করীম (সাঃ) তার কাছে যায়েদকে দেখেন এবং তার চালচলন ও আদব কায়দা তার এত বেশী পছন্দ হয়ে যায় যে, তিনি হযরত খাদীজার (রা) কাছ থেকে তাকে চেয়ে নেন৷ এভাবে এই সৌভাগ্যবান ছেলেটি সৃষ্টির সেরা এমন এক ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে এসে যান যাকে কয়েক বছর পরেই মহান আল্লাহ নবীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে যাচ্ছিলেন৷ তখন হযরত যায়েদের (রা) বয়স ছিল ১৫ বছর৷ কিছুকাল পরে তার বাপ চাচা জানতে পারেন তাদের ছেলে মক্কায় আছে৷ তারা তার খোজ করতে করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছে যার৷ তারা বলেন, আপতি মুক্তিপণ হিসেবে যা নিতে চান বলুন আমরা তা আপনাকে দিতে প্রস্তুত আছি, আপনি আমাদের সন্তান আমাদের হাতে ফিরিয়ে দিন৷ নবী করীম (সা) বলেন, আমি ছেলেকে ডেকে আনছি এবং তার ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দি‌চিছ, সে চাইলে আপনাদের সাথে চলে যেতে পারে এবং চাইলে আমার কাছে থাকতে পারে৷ যদি সে আপনাদের সাথে চলে যেতে চায় তাহলে আমি এর বিনিময়ে মুক্তি পণ হিসেবে কোন অর্থ নেবো না এবং তাকে এমনিই ছেড়ে দেবো৷ আর যদি সে আমার কাছে থাকতে চায় তাহলে আমি এমন লোক নই যে, কেউ আমার কাছে থাকতে চাইলে আমি তাকে খামখা তাড়িয়ে দেবো৷ জাববে তারা বলেন, আপনি যে কথা বলেছেন তাতো ইনসাফেরও অতিরিক্ত৷ আপনি ছেলেকে ডেকে জিজ্ঞেস করে নিন৷ নবী করীম (সা) যায়েদকে ডেকে আনেন এবং তাকে বলেন, এই দু'জন ভদ্রলোককে চেনো? যায়েদ জবাব দেন, জি হ্যাঁ, ইনি আমার পিতা এবং ইনি আমার চাচা৷ তিনি বলেন, আচ্ছা, তুমি এদেরকেও জানো এবং আমাকেও জানো৷ এখন তোমার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, তুমি চাইলে এদের সাথে চলে যেতে পারো এবং চাইলে আমার সাথে থেকে যাও৷ তিনি জবাব দেন, আমি আপনাকে ছেড়ে কারো কাছে যেতে চাই না৷ তার বাপ ও চাচা বলেন, যায়েদ, তুমি কি স্বাধীনতার ওপর দাসত্বকে প্রাধান্য দিচ্ছো এবং নিজের মা-বাপ ও পরিবার পরিজনকে ছেড়ে অন্যদের কাছে থাকতে চাও? তিনি জবাব দেন, আমি এ ব্যক্তির যে গুণাবলী দেখেছি তার অভিজ্ঞতা লাভ করার পর এখন আর দুনিয়ার কাউকেও তার ওপর প্রাধান্য দিতে পারি না৷ যায়েদের এ জবাব শুনে তার বাপ ও চাচা সন্তুষ্ট চিত্তে তাকে রেখে যেতে রাজি হয়ে যান৷ নবী (সাঃ) তখনই যায়েদকে আযাদ করে দেন এবং হারাম শরীফে গিয়ে কুরাইশদের সাধারণ সমাবেশে ঘোষণা করেন, আপনারা সবাই সাক্ষী থাকেন আজ থেকে যায়েদ আমার ছেলে, সে আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং আমি তার উত্তরাধিকারী হবো৷ এ কারণে লোকেরা তাঁকে যায়েদ ইবণে মুহাম্মাদ বলতে থাকে৷ এসব নবুওয়াতের পূর্বের ঘটনা৷ তারপর যখন নবী (সা) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন তখন চারজন এমন ছিলেন যারা এক মুহূর্তের জন্যও কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই তাঁর মুখে নবুওয়াতের দাবী শুনতেই তাকে নবী বলে মেনে নেন৷ তাদের একজন হযরত খাদীজা (রা), দ্বিতীয়জন হযরত যায়েদ (রা), তৃতীয় জন হযরত আলী (রা) এবং চতুর্থজন হযরত আবু বকর (রা)৷ এ সময় হযরত যায়েদের (রা) বয়স ছিল ৩০ বছর এবং নবী করীমের (সা) সাথে তার ১৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল৷ হিজরাতের পরে ৪ হিজরীতে নবী (সা) নিজের ফুফাত বোনের সাথে তার বিয়ে দিয়ে দেন৷ নিজের পক্ষ থেকে তার মোহরানা আদায় করেন এবং ঘর-সংসার গুছিয়ে নেবার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেন৷ এ অবস্থায় প্রতিই মহান আল্লাহ তাঁর "যার প্রতি আল্লাহ ও তুমি অনুগ্রহ করেছিল" বাক্যাংশের মধ্যে ইশারা করেছেন৷

 

প্রশ্ন ১৭ : ইসলামের রুকন কয়টি ? ইসলামের সেই পাঁচটি ভিত্তি কোন আলোকে নির্ণয় করা হয়েছে ?

Principle Tenets of Islam

It is related by Abdullah bin Omar that the Apostle of God said:
“Islam is built upon five things: the testimony that there is no deity but Allah and Muhammad (PBUH) is his bondman and apostle; and the observance of prayer, and the paying of the poor-due, and the pilgrimage to Mecca, and the fast of Ramadhan.” (Bukhari and Muslim)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুল সা: বলেছেন : “ ইসলাম পাচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত , যথা : ১)  আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসুল  - কথারা  সাক্ষ্য দেয়া,  ২) নামায কায়েম করা  ৩) যাকাত প্রদান করা ৪)  হজ্জ করা ৫ ) রমযানের রোযা রাখা। (বুখারী ও মুসলিম)

সুতরাং, ইসলামের পাচটি স্তম্ভ এ কথা হদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে।  (বুখারী ও মুসলিম এর সম্মিলিত হাদীস)

প্রশ্ন ১৬: নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’ বলা হয়?

প্রশ্ন : নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’ বলা হয়?
উত্তর দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ্ নাসের মাকারেম সিরাজী

উত্তর :‘উম্মী’ শব্দের তিনটি সম্ভাব্য অর্থ প্রসিদ্ধ। প্রথম অর্থ যে কারো নিকট পাঠ শিক্ষা করে নি,দ্বিতীয় অর্থ যে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেখান হতে উত্থিত হয়েছে। তৃতীয় অর্থ হলো যে সাধারণ এক জাতির মধ্য হতে কিয়াম করেছে। যদিও ‘উম্মী’ শব্দের উপরোক্ত তিন অর্থই গ্রহণীয় তদুপরি প্রথম অর্থটি অধিকতর মানানসই ও প্রসিদ্ধ। কারণ নবী (সা.) কোন কিছু লিখতেন না বা পড়তেন না যা পবিত্র কোরআনের সূরা আনকাবুতের ৪৮ নং আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে- وَمَا كُنْتَ تَتْلُو مِنْ قَبْلِهِ مِنْ كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ “আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেন নি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেন নি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।”
তৎকালীন আরবে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন লোকের সংখ্যা খুব কমই ছিল। তাই নবী যদি কোন শিক্ষকের কাছে লিখন ও পঠন শিক্ষা লাভ করতেন তাহলে সকলেই তা জানত। এ কারণেই এ বিষয়টি তাঁর ‘উম্মী’ হবার পক্ষে প্রমাণ।
এ আয়াতটি নবুওয়াতের পূর্বের কথা বললেও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে,নবী (সা.) নবুওয়াতের পরও কারো নিকটেই লিখন ও পঠন শিক্ষা লাভ করেন নি।
অনেকে লিখন ও পঠন শিক্ষা লাভ না করার সঙ্গে অশিক্ষিত হবার বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেন ও ‘উম্মী’ শব্দটির অর্থ করে থাকেন ‘অশিক্ষিত’। কিন্তু এ দু’য়ের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
হতে পারে নবী (সা.) ঐশীভাবে লিখতে ও পড়তে জানতেন। কারণ এরূপ জ্ঞান নিঃসন্দেহে তাঁর নবুওয়াতের অন্যতম পূর্ণতা বলে বিবেচিত হবে। আমাদের ইমামদের হতে এ সম্পর্কিত যথেষ্ট হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর নবুওয়াতের বিষয়ে যেন কোন সন্দেহের সৃষ্টি না হয় এজন্য তা করতেন না। ( জ্যোতি ১ম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা)

১। প্রশ্নোত্তর পর্ব - ১



প্রশ্ন-১ : অজুর মধ্যে মাথা মাসেহ করা কি জরুরী ? মাথা মাসেহ করলে বা না করলে সুবিধা অসুবিধা সমূহ কি? কি?  


প্রশ্ন-২-বিস্তারিত: ইসলামী আন্দোলন ফরয হয়ে থাকলে তার দলিল কী? যারা ইসলামী আন্দোলনে যোগ দান করবেনা অথবা এর বিরোধিতা করবে তাদের ব্যপারে শরীয়তের হুকুম কী?



প্রশ্ন-৩: পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আক্বীমুদ্দিন বলতে কি বুঝায়? আক্বীমুদ্দিন এবং বর্তমান ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পর্ক কী? ইনশাআল্লাহ, বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে খুশি হব।

প্রশ্ন-৪: সুরা তওবার শুরুতে বিসমিল্লাহ না থাকার কারণ কি?


প্রশ্ন-৫-বিস্তারিত: বর্তমানে প্রচলিত ইসলামী আন্দোলনের সাথে রাসুল সাঃ এর সময় প্রচলিত জিহাদের সাদৃশ্য আছে কি? যদি সাদৃশ্য থেকে থাকে তাহলে তা কিভাবে?



প্রশ্ন-৬-বিস্তারিত: আমার একজন আত্মীয় আছে, যিনি লাগানো ভাংগানোর কাজ করেন। আমার কথা তার কাছে এবং তার কথা আমার কাছে এভাবে বলে বলে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা বাধিয়ে নিজেই আবার মাসীহা সাজেন। এ পর্যন্ত পরিবারগুলোর মধ্যে বহু ঝামেলা তিনি বাধিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। এটা কতটুকু যুক্তি যুক্তিযুক্ত? তাছাড়া আমি জানি যে বিসৃংখলা হত্যার চেয়েও মারাত্মক এবং বিসৃংখলা সৃস্টি কারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। অতএব সার্বিক দিক থেকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললে কৃতার্থ হবো। 

প্রশ্ন-৭:    গোসলের ফরয কয়টি, ফরয গোসলের নিয়ত করা কি ফরয? 

প্রশ্ন-৮: ইসলামী দলে কোন ব্যক্তির নিজের জন্য নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া কি জায়েজ? তাহলে নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি কি? জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন লাভের জন্য কিভাবে প্রার্থী বাছাই করতে হবে?
  

প্রশ্ন-৯: দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে একাধিক ইসলামী দল গঠন করা যাবে কি? যদি গঠন করা যায় তবে এই দলগুলোর ঐক্য কি জরুরী? যদি জরুরী হয় তবে কেন জরুরী? আর এই দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ভিত্তি কি হবে?



প্রশ্ন-১১: দ্বীন প্রতিষ্ঠার ধারা বলতে কী বুঝায়? মদ হারাম হওয়ার ঘটনার আলোকে পর্যালোচনা করুন।


প্রশ্ন-১২: শাফায়াত সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য কি? শাফায়াত সম্পর্কে কুরআনের ধারণা পেশ করুন। কুফরী কাজকর্মে নিমজ্জিত কোন ব্যক্তির জন্য কি সুপারিশ কবুল করা হবে?


প্রশ্ন ১৩ :  ব্যাভিচারী বিয়ে জায়েজ কি?  

প্রশ্ন ১৪ঃ নামায শব্দের অর্থ কি:? 

প্রশ্ন ১৫ঃ  খোজাকৃত পশু তথা খাসি বলদ ইত্যাদি কুরবানী করা কি জায়েজ?    



প্রশ্ন ১৬: নবী (সা.) কিভাবে উম্মী ছিলেন বা কেন নবীকে ‘উম্মী নবী’ বলা হয়?

প্রশ্ন ১৭ :  ইসলামের রুকন কয়টি ?  ইসলামের সেই পাঁচটি ভিত্তি কোন আলোকে নির্ণয় করা হয়েছে ?  

প্রশ্ন ১৮ : পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত একমাত্র সাহাবীর নাম ।  

প্রশ্ন ১৯ : ব্যবহার কৃত স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে কিনা?

প্রশ্ন ২০ :  বে নামাজীর পশু জবেহ করা যাবে কি? 

প্রশ্ন ২১ : নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়া । 

প্রশ্ন ২২ : আমি আগে কুরআন পড়তে পারতাম।এখন কিছু কিছু লাইন, আয়াত, ও হরফ বুঝতে পারিনা আটকে যায়।

প্রশ্ন ২৩ : সাহু সিজদা দেওয়ার সঠিক নিয়ম  

প্রশ্ন ২৪ : তাওহীদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?

প্রশ্ন ২৫ : তারাবীর নামায কত রাকাত  

প্রশ্ন ২৬ : যাকাত বন্টনের ৮ টি খাত বিস্তারিত জানতে চাই ।  

প্রশ্ন ২৭ : বাংলাদেশের জন্য ফিতরা আদায়ের পদ্ধতি । 

প্রশ্ন ২৮ : ইতিকাফের গুরুত্ব ও তাৎপর্য । 

প্রশ্ন ২৯ : দোয়া  দ্বারা কি ভাগ্যের পরিবর্তন হয় ? 

প্রশ্ন ৩০ : তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত   

প্রশ্ন ৩১: এশার সালাতের আগে সুন্নত কত রাকাত জানতে চাই

প্রশ্ন ৩২ : আমরা ধর্মীয় যে কোন বইতেই শুরুতে লেখক বা সম্পাদক বা প্রকাশক কর্তৃক হামদ সানা দেখতে পাই। অথচ তাফহীমুল কুরআনের কোনো খন্ডেই এটা পাই না।

প্রশ্ন: ৩৩ : কুরআনে কেন আল্লাহ তায়ালা 'আমরা' বাক্যটি ব্যবহার করেছেন, যদিও আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়??

প্রশ্ন  ৩৪ :  কোরআন তো ইতিহাসের কিতাব নয় তাহলে এতো ইতিহাস কেন বর্ননা করা হয়েছে???

প্রশ্ন ৩৫ : বুখারী শরীফ  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই । 


প্রশ্ন ৩৬ : তাফহীমুল কুরআন সার্চ এ্যাপের উইন্ডোজ ভার্সন চাই যাতে আল কুরআন বাংলা ও আরবী শব্দ দিয়ে সার্চ করা যায়।  

প্রশ্ন ৩৭ঃঃ চাউল বা টাকা দিয়ে কি ফিতরা আদায় করা যাবে?  

প্রশ্ন ৩৮: সর্বপ্রথম আল্লাহ কী সৃষ্টি করেছেন ?  

প্রশ্ন ৩৯ : রাসুল সা: কি নূরের তৈরী ?

প্রশ্ন ৪০ : পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের কথা কুরআনের কোথায় আছে ? 

প্রশ্ন: ৪১ : সুদ দাতা, গ্রহীতা, লেখক, ও সাক্ষীদাতা সকলেই কি অপরাধী ?  


  প্রশ্ন: ৪২:বিদআত কি? বিদআতে হাসানা ও বিদআতে সাইয়া সম্পর্কে :

প্রশ্ন: ৪৩: বন্ধক দেয়া-নেয়ার ইসলামী রীতি

প্রশ্ন: ৪৪: কোন আয়াতে বলা হয়েছে আখেরাতে অন্ধ ভাবে উঠানো হবে?

প্রশ্ন: ৪৫: ওযু সংক্রান্ত আয়াত কোন সূরার কত নাম্বার আয়াতে আছে?

প্রশ্ন: ৪৬: রাসূলুল্লাহ (সা:) কি ইলমে গায়েবের অধিকারী ?

প্রশ্ন: ৪৭ : কোরবানির সাথে কি আকিকা দেওয়া যাবে কিনা ?   

প্রশ্ন: ৪৮ : রাসুল সা: এর বক্ষবিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা কতবার সংঘটিত হয়েছিল?

প্রশ্ন : ৪৯ : হজ্জ্ব । 

প্রশ্ন : ৫০ : আলামীন  শব্দের অর্থ কি ?  

প্রশ্ন: ৫২ : কুরআন শব্দের অর্থ কি

প্রশ্ন: ৫৩: কুরআন একত্রে নাযিল করা হলো না কেন ?

প্রশ্ন: ৫৪ : নামাজের ভিতর দুরুদ পরা কি সুন্নাত না ওয়াজিব

প্রশ্ন ৫৫ : অপচয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বাণী কী? অপচয়কারীর শাস্তি কি?

প্রশ্ন : ৫৬ : পবিত্র কুরআনে কতজন নবীর নাম রয়েছে ? 

প্রশ্ন: ৫৭ : মায়ের আপন চাচাতো বোনকে বিয়ে করার অনুমতি কি ইসলাম দেয়?

প্রশ্ন: ৫৮ : নামাজ পড়ার সময় কি মহিলাদের পায়ের উপরের পাতা কি ঢাকতে হবে ?

প্রশ্ন: ৫৯ : এক সাথে দুই তিন ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয়ে গেলে


প্রশ্ন : ৬০ : শুয়ে শুয়ে মোবাইলে কুরআন পড়া যাবে কি

প্রশ্ন: ৬১ : কুরবাণীর নিয়ম কানুন সংক্রান্ত

প্রশ্ন: ৬২: মুহাম্মদ সা: এর বৈবাহিক জীবন

প্রশ্ন : ৬৩ : চোখ বন্ধ করে নামায আদায় করা যাবে কি?

প্রশ্ন : ৬৪ : আদে ইরাম

প্রশ্ন: ৬৫ : হজ্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই ।

প্রশ্ন:৬৬ : জামায়াতে নামাজের আংশিক ছুটে গেলে করণীয় ।


প্রশ্ন : ৬৭ : জুমার নামাযে খুতবার আজান ।

প্রশ্ন: ৬৮ : ঈমান ও ইয়াকীন কি ?

প্রশ্ন: ৬৯ : নামাজ রোজা করা সত্বেও যদি ইসলামী আন্দোলনে যোগদান না করে।

প্রশ্ন: ৭০ : কোম্পানীর মালামাল ক্রয় করা ।

প্রশ্ন: ৭১ : বিনা বিচারে হত্যা ইসলাম সমর্থন করে কি? যদিও সে অপরাধী হয়?


প্রশ্ন : ৭২ : বিতর নামাজের নিয়ম ।


প্রশ্ন: ৭৩ : নারী পুরুষের নামাজের পার্থক্য ।


প্রশ্ন: ৭৪ : স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক উন্নয়ন।


প্রশ্ন: ৭৫ : ফজরের সুন্নাত নামাজ।


প্রশ্ন: ৭৬ : ফসলের যাকাত বা উশর । 


প্রশ্ন: ৭৭ : হজ্বের সময় মাথা মুন্ডন করা। 


প্রশ্ন: ৭৮ : শিরক কি ? বিস্তারিত বলুন। 


প্রশ্ন: ৭৯ : নামাজে  এক সিজদা দিলে এবং দ্বিতীয় সিজদা ভুলে গেলে করনীয়। 



প্রশ্ন: ৮০ : বনু নাযীরের ঘটনা। 


প্রশ্ন: ৮১ : দেন মোহর পরিশোধ না করে সহবাস করা যাবে কি?


প্রশ্ন : ৮২ :  ইসলামী বিধানে দাড়ি রাখার গুরুত্ব কী ?


প্রশ্ন: ৮৩ :  কোন সাহাবীর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল?


প্রশ্ন: ৮৪ : মাযহাব মানা কি ফরজ ? 


প্রশ্ন: ৮৫ : শিয়া সম্পর্কে । 


প্রশ্ন: ৮৬ : আল কুরআন কি ও কেন ? 


প্রশ্ন: ৮৭ : মোহরানা আদায় করা হয়না। 


প্রশ্ন: ৮৮ :  পাত্রী পছন্দ করা । 


প্রশ্ন: ৮৯ : যিহার কি ? 



প্রশ্ন : ৯০ :  ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ জায়েজ আছে কি না?


প্রশ্ন : ৯১ : কোনো সুদি ব্যক্তির বাড়িতে খাওয়া কি জায়েজ?  


প্রশ্ন: ৯২ : ঘুস দিয়ে চাকরি নেওয়া যাবে কি ?



প্রশ্ন: ৯৩ :   পোশাক কাকে বলে?  কি ধরনের পোশাক পরা উচিত


প্রশ্ন: ৯৪ : পুরুষদেরকে মহিলাদের দেখান বিধান কি ? 


প্রশ্ন: ৯৫ : হিন্দুকে সালাম দেয়া যাবে কি?


প্রশ্ন: ৯৬ : ইশরাক ও চাশতের নামায। 


প্রশ্ন: ৯৭ : বসে নামাজ পড়ার মাসয়ালাহ। 


প্রশ্ন : ১০৪ : ঈমান কী ? 


প্রশ্ন: ১০৫ : ইদ্দত পালনকালীন সময়ে অন্যত্র বিবাহ হলে তা শুদ্ধ হবে কি ? 


প্রশ্ন : ১০৬ : হস্তমৈথুনের শাস্তি কি ? 


প্রশ্ন: ১০৭: সুদের বিরুদ্ধে কোরআনের আয়াত ও হাদীস ।



প্রশ্ন : ১০৮ :  নবীগণ মানুষ হওয়ার কারনে তাদের দ্বারা কি কোন ভুলত্রুটি হয়? প্রমাণ সহ একাধিক নবীদের উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলে উপকৃত হই।


প্রশ্ন: ১০৯ : নবী রাসূলগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য । 


প্রশ্ন : ১১০ : কোরআনে কোন জায়গায় প্রমাণ পেশ করার জন্য বলা হয়েছে



প্রশ্ন: ১১১ :  মেয়েরা কি মাথায় খোপা বাধতে পারবে?  ছালাত আদায়কালে মহিলাদের চুল বেঁধে খোপা করে রাখা যাবে, না ছেড়ে দিতে হবে?

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে। 

বিগত দিনের প্রশ্নোত্তর গুলো জানতে ক্লিক করুন :


১। প্রশ্নোত্তর পর্ব - ১


২। প্রশ্নোত্তর পর্ব - ২



৩। প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৩ 



৪। প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৪ 






Lesson For Coding

Lessons List and Links:


1. Lesson 1 : Android Studio Download and Install.  a) Blog Link   b) Video Link 

2. Lesson 2 : Sdk update.   - a) Blog Link  b) Video Link

3. Lesson 3 : Java Environment Variable Setup  -  a) Blog Link   b) Video Link

4. Lesson 4  : Android Studio : Project 1 -  a) Blog Link   b) Video Link

5. Lesson 5 : Create new Activity And Sending some Information  - a) Blog Link   b) Video Link

6. Lesson 6 : Launcher Activity, Show Image ‍and Create Asset - a) Blog Link   b) Video Link

7. Lesson 7 : -Image In ImageView and Image in WebView - a) Blog Link   b) Video Link

8. Lesson 8 :-  How to set integer in a Textview - a) Blog Link ,  b) Video Link  



বি:দ্র:
এই টিউটোরিয়ালগুলো একদম  নতুনদের জন্যই । এগুলো যদিও সবার জন্য উন্মুক্ত কিন্তু টিউটোরিয়ালটি পেইড টিউটোরিয়াল এর অংশ বিশেষ । অর্থাৎ, যারা অনলাইনে ভর্তি হবেন, তাদেরকে এগুলোর সাথে সাথে সাফল্যজনকভাবে এ্যাপ প্রজেক্ট তৈরী এবং প্লেস্টোর সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো অনলাইনে প্রেরণ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
 

কোর্স পরিচিতি :
 -----------------------------------------------
Course A : Beginner:

1. Basic Functions  / widgets.
2. Intents and Creating new Activity.
3. ListView, Adapter Class.
4. SharedPreferences.
5. xml files.
6. Java files.
7. Strings.
8. Color.
9. Styles.
10. Manifest (Luncher Activity And Permissions).
11. Linear Layout (Vertical/Horizontal), Relative Layout.
12. Button, TextView, ImageView, Switch etc.
13. ScrollView, CardView.
14. AlertDialog.
15. Making an app in Release Build And Upload and Live to PlayStore.

Course Fee : 5,000  BDT.
------------------------------------------------

Course B : Intermediate :

1. All of Course A.
2. Custom Adapter Class.
3. Search View with Highlighting Text.
4. Creating sqlite Database.
5. Create Settings Activity with SharedPreferences.
6. Uses of Assets Folder, Drawables, Images etc.
7. Custom Listview Adapter with Sqlite Database.
8. Changing Font with custom Fonts.
9. Send and get Extras with Intents.
10. Custom AlertDialog With Custom Layout.
11. AlertDialog For Settings.  
12. Update Your App in play-store.

Course Fee : 10,000  BDT.

----------------------------------------------------

Course C : Paid Professional.

1. All of Course A and B.
2. Using of Service.
3. About Permissions and Various Permissions in RunTime.
4. Google Api.
5. Programmatically Create and Save file in Google Drive.
6. Google Spreadsheet As Database.
7. Location System And Retrieve Addresses  (Geo-coder).
8. Uses of  Maps and Locations.
9. Uses of Firebase Database.
10.  Messaging Service App, send and receive Messages:  a) one to one  b) one to many.
11. Gradle Dependency and Libraries.
12.  How to import an Existing Project.
13. Uses and Utility of Common Class (Uses static Variables)
14. Uses of  Modal class with setter and getters.
15.  Creating Your own Methods, with or without parameters.
16. About SHA KEY, API KEY.
17. Media Player - ( Load Media from internal resources or External URL's)
18. Facebook Developer Auth (Login System with Phone Number and Gmail).
19. Firebase Auth ( Login System with Phone Number And Gmail).
20. KeyBoard App.
22. Online and Offline (from Service)  Tracking Systems.
23. Activity Recycle.
24. Fragments.
25. Async Task.
26. Save Media file to external storage.
27. Make A website to Android App.
28. Previous Items Autocomplete. ( Make Autocomplete Listview with user inputs).
29. Custom TextView (HTML).
30. Download JSON Data and Uses them.
31. Uses of GSON. 
32. Creating Professional Apps and App SEO Live  in Play-store.

Course Fee : 25,000  BDT.
---------------------------------------------------------

 All Courses Registration Fee only : 1,000  BDT.

অনলাইন প্রশিক্ষণে ভর্তি হওয়ার জন্য ইনবক্সে যোগাযোাগ করুন :  Click Here 

googlef1dcee511e416516

google-site-verification: googlef1dcee511e416516.html

Privacy Policy For তাফহীমুল কুরআন বাংলাআরবী সার্চ, শব্দার্থ, তিলাওয়াত android app Published in Play Store

 

From The App : 

তাফহীমুল কুরআন Al Quran ByWord

App Link : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.alquran.tafhimul_quran&hl=en_ZA


If you Use this app And 

If you Want to delete your Data  Please send a request To Whats App

 to this Phone Number : +8801879115953  

Or Mail to Us : noorhossainappupload@gmail.com 



Privacy Policy

 


Privacy Policy For তাফহীমুল কুরআন বাংলাআরবী সার্চ, শব্দার্থ, তিলাওয়াত android app Published in Play Store
তাফহীমুল কুরআন বাংলাআরবী সার্চ, শব্দার্থ, তিলাওয়াত app
package  com.alquran.tafhimul_quran
  Privacy Policy

This Privacy Policy describes how your personal information is collected, used, and shared when you use this app - package name: com.alquran.tafhimul_quran (the app).

Here we also describe other DISCLOSERS for using this app.

WE DO NOT COLLECT YOUR PERSONAL INFORMATION, UNLESS :
We do not collect any of your PERSONAL Information, unless you fillup a form of Blood  donation Part. If you do not Fillup Blood
donation Subscription form or Do no use ONLINE AYAH SAVING part of this app you do not have to put or use any of your personal  information anywhere in this app.
If you interact with ONLINE AYAH SAVING or Blood Donation Part of this App, we can collect only certain inforamation by following ways : 

- Google Play Console - When you download an app from play store google collect the app behaviour, app's crash report and uninstall report. We get this report by google play console, so that we update our app with the most relevant helpful manner. Unless this, we do not use  your any information for another manner.
    -  Cookies - We do not collect any information about your device or your information by using cookies. For more information about cookies, and how to disable cookies, visit http://www.allaboutcookies.org.
    - Log files  - We only collect by google play console about crashes of the app with log files.
    - Device Service - we  use your device service part, only for the built in  Arabic Keyboard.
    - Device Messaging Service - we do not use your device messaging Service.
    - Additionally when you submit blood donation form, we will collet your inputted name, addresses  and phone number only.  We refer to this information as - request Information by Google SpreadSheet Database. Here you save your Data.
- You Have to use your Google Drive, When you want to Save Ayah Online. This Process Make a spreadsheet in your google Drive, and Save the data in that SpreadSheet. If you will remove the app and install again, you will find your data Again. Inshallah.

Device location and Blood Donor Location:

We do not collect your Device location In any manner unless you use AZAN SETTINGS the app asked from  you for your  loacation permission, if you give permission then the app use your device location for azan and  salat times. Otherwise, we do not collect your device location for any use. We also collect your location if fill up the form of blood donation. Your descrebed location only use for a blood finder from a spreadsheet. Thats it. Other wise we do not use your location except the criteria of these two options descrebed above, and your device location do not leak out in any manner out of this app, insha Allah.

Blood Donor Subscription Discloser :

When you subscribe Blood Donor Registration you oath that you give blood in case of imergency for sake of mankind. Your given information only used in "Bangladesh Blood Donor" app.
If any body ask  you for blood, Check carefully that the asking is  fraudelant or not, This is  up to you whether you give blood or not to this Person.
   

When we talk about - Personal Information- in this Privacy Policy, we are talking both about Device Information and request Informations.

HOW DO WE USE YOUR PERSONAL INFORMATION?

We do not collect your any personal information. If you interact with ONLINE AYAH SAVING or BLOOD DONATION Part of this App
for Saving Quranic Ayah online, You have to login your personal Google Drive  with your Personal gmail id within this app. But, We do not collect your gmail Id and not and never serves this id to any third party. Eventually, If you are confused for your login, so, please do not use online ayah saving part of  this app. Though there is no security reason if you will make a log in, but, We want to ensure your mind satisfaction. We do not use your login Information in any matter. We do not Compromise your Data or personal Information of your gmail Id or Google Drive's materials or documents. These Things are kept safe within this app, Insha Allah. Even, If you Hesitate to login, So Please use this App without Login to online Ayah Saving System and blood donation part of this app. So, You will be fully secured from stealing any information of your own. Thanks for being with Us.

We use the Device Information that we collect by Google play console to help us screen for potential risk and fraud, and more generally to improve and optimize our App (for example, by generating analytics about how our customers request and interact with the App, and to assess the success of our app's update). 


SHARING YOUR PERSONAL INFORMATION

We do not collect any of your PERSONAL Information, unless you fillup a form of Blood  donation Part. And we do not share any information with the third parties, unless a blood finder. you can read more about Personal Information here:  https://www.google.com/intl/en/policies/privacy/.  You can also opt-out of Google Analytics here:  https://tools.google.com/dlpage/gaoptout.

Finally, we may also share your Personal (form Blood Donation App)  Information (but not your device location) to comply with applicable laws and regulations, to respond to a subpoena, search warrant or other lawful request for information we receive, or to otherwise protect our rights.

BEHAVIOURAL ADVERTISING
As described above, we do not use your Personal Information and do not and never provide you with targeted advertisements or marketing communications, although, we believe may be of interest to you.  For more information about how targeted advertising works, you can visit the Network Advertising Initiative’s (-NAI-) educational page at http://www.networkadvertising.org/understanding-online-advertising/how-does-it-work. But, We do not use these things. 

You can opt out of targeted advertising by:
[[
COMMON LINKS INCLUDE:
    FACEBOOK - https://www.facebook.com/settings/?tab=ads
    GOOGLE - https://www.google.com/settings/ads/anonymous
    BING - https://advertise.bingads.microsoft.com/en-us/resources/policies/personalized-ads
]]

Additionally, you can opt out of some of these services by visiting the Digital Advertising Alliances opt-out portal at:  http://optout.aboutads.info/.

DO NOT TRACK
Please note that we do not alter our App data collection and use practices when we see a Do Not Track signal from your browser.

YOUR RIGHTS
If you are a European resident, you have the right to access personal information we hold about you and to ask that your personal information be corrected, updated, or deleted. If you would like to exercise this right, please contact us through the contact information below.

Additionally, if you are a European resident we note that we are processing your information in order to fulfill contracts we might have with you (for example if you make an order through the app), or otherwise to pursue our legitimate business interests listed above.  Additionally, please note that your information will be transferred outside of Europe, including to Canada and the United States.

DATA RETENTION
When you place a request through the app, we will maintain your Order Information for our records unless and until you ask us to delete this information.

APP PERMISSIONS :

As the App provide you the finding blood donor and save data online and listenic Ayah Online we need you to give this app the  following permissions, otherwise the app not working. Besides, It is your wish whether you give the app the following permissions or not :
   
   <uses-permission android:name="android.permission.WRITE_EXTERNAL_STORAGE" />
    <uses-permission android:name="android.permission.READ_EXTERNAL_STORAGE" />
    <uses-permission android:name="android.permission.WRITE_SETTINGS" />
    <uses-permission android:name="android.permission.WAKE_LOCK" />
    <uses-permission android:name="android.permission.GET_ACCOUNTS" />
    <uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_NETWORK_STATE" />
    <uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_WIFI_STATE" />
    <uses-permission android:name="android.permission.INTERNET" />
    <uses-permission android:name="android.permission.DISABLE_KEYGUARD" />
    <uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_FINE_LOCATION" />
    <uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_COARSE_LOCATION" />
    <uses-permission android:name="android.permission.READ_PHONE_STATE" />
    <uses-permission android:name="android.permission.RECEIVE_BOOT_COMPLETED" />


Before you continue, you are asked to give the app those above permissions. IF YOU ARE NOT READY TO GIVE THIS APP THOSE ABOVE PERMISSIONS, WELL, SO, YOU MAY UNINSTALL THE APP FROM YOUR DEVICE. 

Disclosers: 

Disclosers about your submitting post on this app: 

        1. Your Sending Post will be public according to the decision of the Authority of the app, there is no option that a post may as only me. 
        2. Your post will be deleted any time if the post content goes against our Bangladesh Community Standards.\n
        3. Your post will be deleted any time according to the decision of the app creator and provider on the playstore and the Authority of the app. 
        4. Your post will be deleted any time if the post content goes against the Google Play Policies and rules which are time to time updated.
        6. Your  post sending success from  this page is not means that your post  goes to public, But, first we review
        the post if it goes against our Bangladesh Community Standards or not, goes  against the Google Play Policies and rules which are time to time updated,
        then we approved the post and then it  is goes to public. If we approved any post or not approved any post this is our own decision, we do not bound to explain about approval or not approval of a post to anyone.  
        7. Your post goes to public or not, remain in this app or not, deleted or not, Every decision and all rights reserved the Authority panel of this app, creator of this app or up to the developer of this app. 
        8. You do not reserved or deserved any  right to say anything about above points and options.

        9. Thank You for being with us. 

MINORS
The App is not intended for individuals under the age of 10.

CHANGES
We may update this privacy policy from time to time in order to reflect, for example, changes to our practices or for other operational, legal or regulatory reasons.

CONTACT US
For more information about our privacy practices, if you have questions, or if you would like to make a complaint, please contact us by e-mail at noorhossain888@gmail.com or by mail using the details provided below:

Phone: +88-01879115953.
E-mail: noorhossainappupload@gmail.com
E-mail : noorhossain888@gmail.com

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...