প্রশ্ন ১৪ঃ নামায এর বিস্তারিত ।

নামায

মুসলিমদের প্রধান ইবাদাত









নামাযনামাজ (ফার্সিنَماز‎‎) বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাাদত । প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্‌ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
নামায শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত (ফার্সিنماز‎‎) এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা আরবি ভাষার সালাত শব্দের (আরবিصلاة‎‎, কুরআনিক আরবি: صلوة,) প্রতিশব্দ। বাংলা ভাষায় 'সালাত'-এর পরিবর্তে সচরাচর 'নামাজ' শব্দটিই ব্যবহৃত হয়। ফার্সিউর্দুহিন্দিতুর্কী এবং বাংলা ভাষায় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত) বলা হয়। কিন্তু এর মূল আরবি নাম সালাত (একবচন) বা সালাহ্‌(বহুবচন)।
"সালাত" -এর আভিধানিক অর্থ দোয়া, রহমত, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ: ‘শরী‘আত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে ‘সালাত’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমা দ্বারা শুরু হয় ও সালাম দ্বারা শেষ হয়’।[১]

ইতিহাসসম্পাদনা

ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মাদ (সা.) ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং অব্যবহিত পরে সূরা মু’মিন-এর ৫৫ নম্বর আয়াত স্রষ্টার পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ মুসলিমদের জন্য ফরজ (আবশ্যিক) হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন। তিনি ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে দৈনিক তিন ওয়াক্ত নামাজের আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় যুহর, আসর ও ইশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট যুহর, আসর ও ইশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়।[২]

শর্তসম্পাদনা

কারো ওপর নামাজ ফর‌য হওয়ার জন্য শর্তগুলো হলোঃ-
  • মুসলিম হওয়া
  • সাবালক হওয়া এবং
  • সুস্থ মস্তিস্কের হওয়া।

নামাযের শর্তাবলীসম্পাদনা

নিম্নের পাঁচটি কারণ সংঘটিত হলে নামাজ বৈধ হয়।
  • নামাজের ওয়াক্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হলে। অনিশ্চিত হলে নামাজ হবে না, যদি তা ঠিক ওয়াক্তেও হয়।
  • কাবামুখী হয়ে দাঁড়ানো। তবে অসুস্থ এবং অপারগ ব্যাক্তির জন্য এই শর্ত শিথিলযোগ্য।
  • সতর ঢাকা থাকতে হবে। পুরুষের সতর হল নাভির উপর থেকে হাঁটুর নিচ (টাখনুর উপরে) পর্যন্ত, আর নারীর সতর হল মুখমণ্ডল, দুই হাতের কব্জি ও দুই পায়ের পাতা ব্যতীত সারা শরীর।
  • পরিধেয় কাপড়, শরীর ও নামাজের স্থান পরিষ্কার বা পাক-পবিত্র হতে হবে।
  • অযুগোসল বা তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা আর্জন করতে হবে।

নামাযের ফরজসম্পাদনা

নামাযের ফরজ মোট ১৩ টি। আহকাম ৭ টি। আরকান ৬ টি। নামাযের বাহিরের কাজগুলিকে আহকাম বলে। আর নামাযের ভিতরের কাজগুলোকে আরকান বলে।

আহকামসম্পাদনা

  • শরীর পবিত্র হওয়া।
  • কাপড় বা বস্ত্র পবিত্র হওয়া।
  • নামাযের জায়গা পবিত্র হওয়া।
  • সতর ঢেকে রাখা।
  • কিবলামুখী হওয়া।
  • ওয়াক্তমত নামায আদায় করা
  • নামাযের নিয়্যত করা।

আরকানসম্পাদনা

  • তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামায শুরু করা।
  • দাঁড়িয়ে নামায পড়া।
  • সুরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া।
  • রুকু করা।
  • দু্ই সিজদা করা।
  • শেষ বৈঠক করা।

নামাজের ওয়াজিব ১৪টি

১. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারি ১/১০৪, হাদিস : ৭৫৬)
২.  প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মেলানো। (বুখারি ১/১০৫, হাদিস : ৭৭৬, মুসলিম ১/১৮৫,   হাদিস : ৪৫১)
৩. ফরজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (বুখারি ১/১০৫, হাদিস : ৭৭৬, মুসলিম ১/১৮৫,  হাদিস : ৪৫১)
৪. সুরা ফাতিহা অন্য সুরার আগে পড়া। (বুখারি ১/১০২, ১০৩, হাদিস : ৭৪৩, মুসলিম ১/১৯৪, হাদিস : ৪৯৮, তিরমিজি, হাদিস : ১/৫৭, হাদিস : ২৪৬ সহিহ)
৫. নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা (অর্থাৎ রুকু, সিজদা ও রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবিহ পরিমাণ দেরি করা)। (বুখারি ১/১০৯, হাদিস : ৭৯৩, মুসলিম ১/১৭০, হাদিস : ৩৯৭, আবু দাউদ ১/১২৪, ১২৪, হাদিস : ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮)
৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাতের পর বসা)। (বুখারি ১/১১৪, হাদিস : ৮২৮)
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া। (বুখারি ১/১১৫, হাদিস : ৮৩০, ৮৩১, মুসলিম ১/১৯৪, ১৭৩, হাদিস : ৪৯৮, ৪০২, ৪০৩, তিরমিজি ১/৮৯, হাদিস : ৩৯১)
৮. প্রতি রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর তারতিব বা ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা। (বুখারি ২/৯২৪, হাদিস : ৬২৫১, তিরমিজি ১/৬৬, ৬৭, হাদিস : ৩০২, ৩০৩)
৯. ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। (যেমন—দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সঙ্গে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু শেষ করে তত্ক্ষণাৎ তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি। (বুখারি ২/৯২৪, হাদিস : ৬২৫১, তিরমিজি ১/৬৬, ৬৭, হাদিস : ৩০২, ৩০৩)
১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর কোনো দোয়া পড়া। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে। (বুখারি ১/১৩৬, হাদিস : ১০০২, তিরমিজি ১/১০৬, হাদিস : ৪৬৪১ হাসান, ইবনে মাজাহ ১/৮৩, হাদিস : ১১৮২)
১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা। (আবু দাউদ ১/১৬৩, হাদিস : ১১৫৩ হাসান, মুসনাদে আহমাদ ৪/৪১৬, হাদিস : ১৯৭৩৪ হাসান, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ ২/১৭২, হাদিস : ৫৬৯৪ হাসান, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ৩/২৯৩, হাদিস : ৫৬৮৬)
১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় ভিন্নভাবে তাকবির বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ ১/৪৯৫, হাদিস : ৫৭০৭ সহিহ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ৩/২৯৩ হাদিস : ৫৬৮৬ সহিহ, তাহাবি ৪/৩৪৮, হাদিস : ১৬৭৪)
(এই তাকবিরটি অন্যান্য নামাজে সুন্নত)
১৩. ইমামের জন্য জোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, দুই ঈদ, তারাবি ও রমজান মাসের বিতর নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া। (মুসলিম ১/২৯১, হাদিস : ২৫৯, নাসায়ি ১/১১২, হাদিস : ৯৭০ সহিহ, তিরমিজি ১/১০৬)
মনে রাখতে হবে, আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে পড়া নয়। কেননা এতে নামাজ শুদ্ধ হয় না; বরং আওয়াজ না করে মুখে উচ্চারণ করে পড়া জরুরি)।
১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (বুখারি ১/১১৫, হাদিস : ৮৩৭)

বি. দ্র.: উল্লিখিত ওয়াজিবগুলো থেকে কোনো একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
(ফাতাওয়া শামি, ১৪:৪৫৬, আলমগিরি, ১:৭১, আল বাহরুর রায়িক, ১:৫১০)


নামাজের নিয়মসম্পাদনা


বাংলাদেশের একটি মসজিদে মুসলমান পুরুষদের নামাযের দৃশ্য।
নামাজ দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। নামাজের ধাপ বা অংশকে রাকাত বলা হয়। প্রতি রাকাতের শুরুতে সুরা ফাতিহাও অপর একটি সুরা পাঠের পর রুকু করতে হয় অর্থাৎ হাঁটুতে হাত রেখে ভর দিয়ে পিঠ আনুভূমিক করে অবনত হতে হয়। রুকু থেকে দাঁড়িয়ে তার পর সিজদা দিতে হয়। তিন বা চার রাকাতের নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে সিজদার পর বসে "আত্তাহিয়াতু" দোয়া পড়তে হয়। নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর বসে "আত্তাহিয়াতু" দোয়ার সাথে "দরূদ শরীফ" পড়তে হয়। নামাজের শেষভাগে দুই দিকে সালাম ফেরাতে হয়। এর পর দলবদ্ধভাবে মুনাজাত বা প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। নামাজের কিছু নিয়ম পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মাযহাবের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

নামাযের ওয়াক্ত ও রাকাতসম্পাদনা


১ ফযর, ২ যোহর, ৩ আসর, ৪ মাগরিব, ৫ ইশা
প্রতিদিন একজন মুসলিমকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। প্রথম ওয়াক্ত হল "ফজর নামাজ" সুবহে সাদিক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত এর ব্যপ্তিকাল। এরপর "যুহর ওয়াক্ত" বেলা দ্বিপ্রহর হতে "আসর ওয়াক্ত"-এর আগ পর্যন্ত যার ব্যপ্তি। তৃতীয় ওয়াক্ত "আসর ওয়াক্ত" যা সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পড়া যায়। চতুর্থ ওয়াক্ত হচ্ছে "মাগরিব ওয়াক্ত" যা সূর্যাস্তের ঠিক পর পরই আরম্ভ হয় এবং এর ব্যপ্তিকাল প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট। "মাগরিব ওয়াক্ত" এর প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর আরম্ভ হয় "ইশা ওয়াক্ত" এবং এর ব্যপ্তি প্রায় "ফজর ওয়াক্ত"-এর আগ পর্যন্ত।
উপরোক্ত ৫ টি ফরজ নামায ছাড়াও ইশা'র নামাজের পরে বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি সুন্নত নামাজ ও মুসলিমরা আদায় করে থাকে।
কোন ওয়াক্ত-এর নামাজ কয় রাকাত তা দেয়া হল :
নামসময়ফরযের পূর্বেফরযফরযের পর
ফযর(فجر)ঊষা থেকে সূর্যোদয়২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা২ রাকাত-
যুহর(ظهر)ঠিক দুপুর থেকে আসরের পূর্ব পর্যন্ত২/৪ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা৪ রাকাত২/৪ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা
আসর(عصر)যোহরের শেষ ওয়াক্ত থেকে সূর্য হলুদ বর্ণ পূর্ব পর্যন্ত অন্য মতে সূর্যস্তের পূর্ব পর্যন্ত২/৪ রাকাত সুন্নাতে গায়ের মুয়াক্কাদা৪ রাকাত-
মাগরিব(مغرب)সূর্যাস্তের পর থেকে গোধূলিপর্যন্ত-৩ রাকাত২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা
ইশা(عشاء)গোধূলি থেকে অর্ধ রাত পর্যন্ত৪ রাকাত সুন্নতে গায়ের মুয়াক্কাদা৪ রাকাত২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা
বিতর(وتر)ইশার পর থেকে ফজরের পূর্র পর্যন্ত১ বা ৩ বা ৫ বা ৭ বা ৯ বা ১১ বা ১৩
 সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রতিদিন এ নামাজগুলো পড়তেন।
শুক্রবারে জুমা যুহর নামাজের পরিবর্তে পড়তে হয়
এশা নামাজ আদায় করার পর বেজোড় সংখ্যক রাকাত বিতর এর ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হয়।

অন্যান্য নামাযসম্পাদনা

ফরয নামায ছাড়াও মুসলমানগণ আরো কিছু নামায আদায় করে থাকেন। সেগুলোকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়ে থাকে। তবে শ্রেণিবিভাগ অনুসারে ফরয ছাড়া বাকি নামাযগুলোকে ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল এই তিনভাগে ভাগ করা যায়।

ওয়াজিব নামাযসম্পাদনা

নিয়মিত ওয়াজিব নামায হচ্ছে বিতিরের নামায। প্রত্যেকদিন এশার নামাযের পর হতে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এই ওয়াজিব নামাযের সময় থাকে। এছাড়া কোন নফল নামাযের নিয়ত করলে তা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

সুন্নাত নামাযসম্পাদনা

মুসলমানদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) যেই নামাযগুলো আদায় করতেন, তাকে সুন্নাত নামায বলে। সুন্নাত নামায দুই প্রকার। ১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ২. সুন্নাতে যায়েদাহ
  • সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বলতে ঐসব নামাযকে বুঝায়, যেগুলো নবী (সা.) নিয়মিত আদায় করতেন।
  • সুন্নাতে যায়েদাহ বলতে বুঝায়, মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) যেসব সুন্নাত নিত্য আদায় করতেন না।

নফল নামাযসম্পাদনা

জানাযার নামাযসম্পাদনা

সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের নামাযসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1.  ছালাতুর রাসূল (ছা:)- মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
  2.  রাসূলুল্লাহ সা:-এর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি


------------------------------------

নামাজ ভঙ্গের কারণগুলো তুলে ধরা হলো-

১. নামাজে কথা বলা যাবে না। কথা অল্প-বেশি যাই হোক। যেমন- সালাম আদান-প্রদান, হাঁচির উত্তর দেয়াসহ যে কোনো কথা।
২. ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নামাজের কোনো একটি ফরজ ছুটে গেলে।
৩. বিনা প্রয়োজনে গলা খাকড়ানো  বা পরিষ্কার করা।
৪. দুঃখ-কষ্ট বা বেদনারকারণে নামাজের মধ্যে উহ্ বা আহ্ ইত্যাদি আওয়াজ করা। এমনকি আল্লাহর ভয়ে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করলেও।
৫. ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বা ভুলবশত নামাজে পানাহার করলে। অবশ্য দাঁতের ফাঁকে আটকানো ছোলা থেকে কম বেরুলে তা খেলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।
৬. নামাজ পড়াকালীন এমন কাজ করা যা বাইরে থেকে দেখে এমন মনে করা যে, লোকটি নামাজ পড়ছে কিনা। যেমন দু`হাত দিয়ে কাপড় ঠিক করা, মহিলারা চুলে ঝুটি বাঁধা বা নামাজ অবস্থায় বাচ্চাকে দুধ পান করানো বা নামাজে হাটা-চলা করা।
৭. নামাজে কুরআন তিলাওয়াতে এমন ভুল পড়া যাতে অর্থ পাল্টে যায়।
৮. বয়স্ক ব্যক্তির নামাজে অট্টহাসি হাসা।
৯. নামাজের মধ্যে কুরআন মাজিদ দেখে দেখে পড়া বা অন্য কোনো লেখা পড়লেও নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
১০. মুক্তাদি ব্যতিত অপর ব্যক্তির ইমামের লোকমা দেয়া।
১১. অপবিত্র জায়গায় সেজদা দেয়া।
১২. ক্বিবলামুখী না হয়ে নামাজ পড়া।
১৩. নামাজে এমন কিছু প্রার্থনা করা, যা মানুষের কাছে চাওয়া যায়।
১৪. ইমামের আগে আগে মুক্তাদির নামাজের কার্যক্রম সম্পন্ন করা।


Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...