রাসুল সা: কতটি যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন এবং কতটি যুদ্ধে তিনি স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।

 বুখারী (রঃ)....কিতাবুল মাগাযীতে উল্লেখ করেন যায়দ ইবন আরকাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়টি গাযওয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন ? তিনি বললেন ১৯ টিতে ৷

আর সহীহ্ বুখারীতে বুরায়দা সুত্রে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৬ টি গাযওয়ায় যোগদান করেন ৷ আর মুসলিম শরীফে একই রাবী থেকে বর্ণিত আছে, যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর সঙ্গে ১৬ টা গাযওয়ায় অংশ গ্রহণ করেন ৷ একই রাবী সুত্রে মুসলিমের বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (স) ১৯ টা গাযওয়ায় যোগদান করেন ৷ আর এগুলোর মধ্যে যুদ্ধ করেন ৮ টিতে ৷ হাকিম (রঃ) হিশাম সুত্রে কাতাদার বরাতে বর্ণনা করেন,  রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর গাযওয়া এবং সারিয়ার মোট সংখ্যা ছিল ৪৩ টি ৷  ইমাম আহমদ (রঃ) আযহার ইবন কাসিম রাসিবী সুত্রে কাতাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (স)-এর গাযওয়া ও সারিয়ার মোট সংখ্যা ৪৩টি (১৯টি গাযওয়া আর ২৪টি সারিয়া)

মহানবী (সঃ) এর জীবদ্দশায় 19 টি গাযওয়া + 24 টি সারিয়া = 43 টি যুদ্ধ সংগঠিত হয়।

বিঃ দ্রঃ গাযওয়া হচ্ছে ঐ সব যুদ্ধাভিযান, যেণ্ডলোতে স্বয়ং নাবী কারীম (সাঃ) উপস্থিত ছিলেন ৷ পক্ষান্তরে সারিয়া বলা হয় তাঁর প্রেরিত বাহিনীগুলির অভিযান সমূহকে।

তথ্য সূত্রঃ 
(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, তৃতীয় খন্ডঃ 429 পৃষ্ঠা)

কোন মহিলার স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে কতদিন অপেক্ষার তিনি অন্য জায়গায় বিবাহ বসতে পারবেন?

 উত্তর : কোনো কোনো মত অনুযায়ী ৪ বছর। আবার ৭ বছর এর মতও আছে। সারা জীবন অপেক্ষা করতে হবে - এমন মতও আছে। আসলে এখানে বিষয়টি পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে দেখতে হবে। যেমন: স্বামী যদি দুই বছর খোরপোষ না দেয়, অথবা আরো কম সময় হতে পারে, স্ত্রী তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে পারে। আবার স্বামী যদি পুরুষত্ব হীন হয়, স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা মেটাতে না পারে, তবে স্ত্রী বিচ্ছেদ চাইতে পারে। এখানে সময়ের কোনো বালাই নাই। সুতরাং, স্বামীর নিরুদ্দেশ হওয়ার দ্বারা স্ত্রী কি ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, কোনো পাপে জড়িয়ে পড়ছে কিনা, ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে আদালত বিচ্ছেদের রায় দিতে পারে এবং সময় কম বেশী করতে পারে। এক্ষেত্রে আদালত নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্ত্রীর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সময় কম বেশী করতে পারবে এবং বিচ্ছেদের আদেশ দিতে পারবে।

উক্ত আদেশের পর ইদ্বত পালনের পর ঐ মহিলা অন্যত্র বিবাহ বসতে পারবেন।

দারিদ্রতা, দু:খ কষ্ট, রোগ শোক থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

উত্তর : আল্লাহর পথে চলতে হবে, পরকালের কথা সর্বদা মনে জাগরূক রাখতে হবে, কবর ও জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন আর শাস্তির কথা চিন্তা করবেন, দুনিয়ার কোনো কষ্ট থাকবেনা ইনশাআল্লাহ। সাথে এই দোয়াটি বুঝে পড়তে পারেন:


(বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, যে কোনো দোয়াই অর্থ সহ বুঝে দোয়া করতে হবে, আরবীতে বলার সময় বাংলা অর্থের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, এবং সে অনুযায়ী নিজের কর্মও সাজাতে হবে) ।  

১) 

হজরত আবু হুরাইরা [রা.] বলেন: একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে বের হলাম, আমার হাত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত মুবারক দিয়ে ধরা ছিল। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীর্ণশীর্ণ আকৃতির একজন লোকের কাছে আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? লোকটি বললো, অসুখ-বিসুখ ও দরিদ্রতার কারণে আমার এ দশা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালিমা শিখিয়ে দেব, যেগুলো পড়লে তোমার অসুখ বিসুখ ও দরিদ্রতা দূর হয়ে যাবে? লোকটি বললো: আপনার সঙ্গে বদর ও ওহুদ যুদ্ধে অংশীদার থাকা অপেক্ষা এসব কোনো কিছুই আমার জন্য তেমন আনন্দদায়ক নয়। একথা শুনে রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিয়ে বললেন, আরে একজন অল্পেতুষ্ট দরিদ্র ব্যক্তি যা পাবে বদর ও ওহুদের অংশীদাররা কি সেথায় পৌঁছতে পারবে? হজরত আবু হুরাইরা [রা.] বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাহলে আমাকেই তা শিখিয়ে দিন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন উপরোক্ত দোয়াটি শিখিয়ে দিলেন। হজরত আবু হুরাইরা [রা.] বলেন: কিছুদিন পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে আসলেন, তখন আমার অবস্থা ভাল হয়ে গিয়েছিল। রাসুল আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার! আমি বললাম, আপনি যে কালিমাসমূহ আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন আমি সেগুলো নিয়মিত পড়ছি [ফলে আল্লাহ তায়ালা আমার অবস্থার পরিবর্তন করে দিয়েছেন]। [মুসনাদে আবু ইয়ালা-৬৬৭১, ইবনুস সুন্নি-৫৫১, ইবনে কাসির-৫/১৩৭, রূহুল মাআনি-৮/২৬৬] রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখনই কোনো বিষয়ে আমি চিন্তিত হয়েছি বা বিপদে পড়েছি তখনই হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম কোনো মানুষের আকৃতিতে এসে আমাকে বলতেন: হে মুহাম্মদ! আপনি বলুন... [এই দোয়াটি পড়তে বলতেন] [মুসতাদরাকে হাকেম-১৮৮৬, তারগিবুত তারহিব-২৮১৫ এর বরাতে-রূহুল মাআ’নী-৮/২৬৬] 

আরবি দোআ : 


 تَوَكَّلْتُ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لاَ يَمُوتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ وَلِيٌّ مِنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا. 


বাংলা উচ্চারণ : তাওয়াক্কালতু আলাল হাইইল্লাজি লা ইয়ামুতু। আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি লাম ইয়াত্তাখিজ ওয়ালাদাও ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু শারিকুন ফিল মুলকি। ওয়া লাম ইয়াকুল লাহু ওয়ালিয়্যুম মিনাজ জুল্লি,  ওয়া কাববিরহু তাকবিরা। 


অর্থ : আমি ভরসা করলাম ওই চিরঞ্জীব সত্তার উপর যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না। সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য যিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। তার রাজত্বের মাঝে কোনো অংশীদার নেই এবং তাকে লাঞ্চনা থেকে বাঁচানোর জন্য কোনো সহযোগীর প্রয়োজন নেই। অতএব তুমি উত্তমরূপে তাঁরই বড়ত্ব ও মহিমা বর্ণনা কর। 


==============================================

২) 

ইমাম মালেক রহ. হজরত ইবনে উমর [রা.] থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার এক ব্যক্তি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো: ইয়া রাসুলাল্লাহ! দুনিয়া আমার থেকে বিমুখ হয়েছে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শণ করেছে। রাসুল বললেন, তুমি কি ফেরেশতাদের দোয়া ও আল্লাহর সব সৃষ্টিজীবের তাসবীহ পড় না? যে তাসবীহের কারণে তাদেরকে রিজিক দেয়া হয়? সুবহে সাদেকের সময় তুমি সে তাসবীহ একশবার করে পড়বে, তাহলে দেখবে দুনিয়া তোমার কাছে তুচ্ছ হয়ে আসবে। লোকটি চলে গেল। এবং এ দোয়াটি পড়তে লাগল। কিছুদিন পরে আবার সে ফিরে এসে বললো ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার কাছে এত অধিক সম্পদ জমা হয়েছে যেগুলো হেফাজত করার মত কোনো জায়গা আমার কাছে নেই। [জিয়াউন্নবী-৫/৯০২] 

আরবি দোআ 

سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم أستغفر الله 


বাংলা উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। আসতাগফিরুল্লাহ। 

অর্থ : আল্লাহ তায়ালা সব অসম্পূর্ণতা থেকে পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁরই। মহান আল্লাহ পবিত্র। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করছি। 


==================================================

 মূল- হজরত মাওলানা ইউনুস বিন উমর পালনপূরী 

অনুবাদ- মাওলানা মিরাজ রহমান

হায়েজ নেফাছ অবস্থায় ইবাদত

 হায়েজ যখন নারীদের জন্য নিয়ামত!

আয়েশা আক্তার শ্রাবণী


হায়েজ, মেন্স, পিরিয়ড, মাসিক। একেকজন একেক নামে ডাকলেও জিনিস একই। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট বয়সী মেয়েরা এই প্রাকৃতিক সমস্যাটি সামলে থাকেন। অনেকের বড় কষ্টের কারণ এই হায়েজ। অথচ একটু অন্য ভাবে চিন্তা করলেই দেখতে পাবেন, এটি কিন্তু নারীদের জন্যে একটি দারুণ নিয়ামত। কিভাবে?!

কারণ হায়েজ অবস্থায় :

১) যত খুশি যিকির করা যায়।
২) যত খুশি ইস্তেগফার করা যায়।
৩) জাহান্নামের ভয়াবহতা নিয়ে গভীর চিন্তা করা যায়। [কারণ হায়েজ অবস্থায় সময় বেশি পাওয়া যায়]
৪) জান্নাত নিয়ে গভীর চিন্তার সাগরে ডুবে থাকা যায়।
৫) অতিমাত্রায় দুরুদ পাঠ করা যায়।
৬) দোয়া কবুলের সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া করা যায়।
৭) রাতের শেষাংশে অল্প সময়ের জন্য উঠে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়।
৮) সবথেকে বড় কথা, অতিমাত্রায় দোয়া, দুরুদ- যিকির, ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং নেকির পাল্লা ভারি করা যায় যা নাজাতের পথ।

[ হায়েজ অবস্থায় নারীদের কষ্ট হলেও, মুখে যত বেশি দোয়া, দুরুদ, যিকির ইস্তেগফার পাঠ করা যায়, যা পবিত্র থাকা অবস্থায় কখনোই সম্ভব হয় না]

যুবতীদের হায়েজ সর্বনিম্ন ৩ দিন থাকার কথা। এই ৩ দিন যদি সে শুধুই ইস্তেগফার করে তাহলে একে তো আল্লাহর ভালোবাসা পেলোই, তাছাড়া আল্লাহর ক্ষমার দ্বারা নিজেও পবিত্র হয়ে যেতে পারল। কারণ, আল্লাহ তায়ালা এমন নন যে, তার বান্দা টানা ৩ দিন ইস্তেগফার করবে অথচ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন না।

৩ দিন একটানা দুরুদ পাঠ করলে কতবার রহমত বর্ষণ হবে চিন্তা করতে পারেন?

একবার দুরুদ পাঠ করলে ১০ বার রহমত নাযিল হয়। তাহলে ৩ দিনে ৩০০০ বার দুরুদ পাঠ করলে রহমত বর্ষণ হয়, ৩০০০*১০=৩০,০০০ বার অর্থাৎ ৩০ হাজার বার।
৩০ হাজার বার যদি রহমত বর্ষিত হয় তাহলে আপনার অবস্থান ৩ দিনে কোথায় যাওয়ার কথা? চিন্তা করেছেন?
আপনি তো রহমতের সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকবেন।

আপনি যদি ৩ দিনে ৩০০০ বার তাসবিহ পড়েন। তাহলে কতো নেকি আসে? ৩০০০*১০=৩০,০০০ নেকি।

এটা কি কোন বুদ্ধিমান ত্যাগ করে? হায়েজকেও কাজে লাগাতে হবে বুদ্ধি দিয়ে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মা- বোনদেরকে এভাবে আমল করার তৌফিক দিন, আমিন!


======================


হায়েযের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোনো বস্তু নির্গত ও প্রবাহিত হওয়া।

হায়েয কী?

আর শরীয়তের পরিভাষায় হায়েয বলা হয় ওই প্রাকৃতিক রক্তকে, যা বাহ্যিক কোনো কার্যকারণ ব্যতীতই নির্দিষ্ট সময়ে নারীর যৌনাঙ্গ দিয়ে নির্গত হয়।​

হায়েয প্রাকৃতিক রক্ত। অসুস্থতা, আঘাত পাওয়া, পড়ে যাওয়া এবং প্রসবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এই প্রাকৃতিক রক্ত নারীর অবস্থা ও পরিবেশ-পরিস্থিতির বিভিন্নতার কারণে নানা রকম হয়ে থাকে এবং এ কারণেই ঋতুস্রাবের দিক থেকে নারীদের মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যায়।

সাধারণত ৯ বছরের আগে এই রক্ত দেখা দেয় না। ৯ বছরের আগে এই রক্ত দেখা দিলে তা এস্তেহাজা বা অসুস্থতার রক্ত বলে গণ্য হবে। তেমনি ৫৫ বছরের পর কোনো নারীর হায়েয দেখা দেয় না। তখন রক্ত দেখা দিলে তা যদি লাল বা কালো রঙের হয় তবে তা হায়েয কিন্তু রঙ হলুদ বা ধুসর মাটির মত হলে তা এস্তেহাজা বলে গণ্য হবে।

হায়েযের সময়-সীমা:

হায়েয এর সময়সীমা সর্বনিম্ন ৩দিন ৩ রাত এবং সর্বাধিক ১০দিন ১০ রাত। হায়েয এর সময় রক্ত সবসময় প্রবাহিত না হয়ে কিছু সময় পর পর প্রবাহিত হলেও তা হায়েয বলে গণ্য হবে। ৩ দিন ৩ রাতের কম বা ১০ দিন ১০ রাতের বেশি রক্ত স্রাব হলে তাকে এস্তেহাজা’র রক্ত বলে গণ্য করা হবে। (তুহফায়ে খাওয়াতীন)

হায়েয অবস্থায় নামাজ:

হায়েয এর সময়গুলোতে নামাজ পড়া নিষেধ। নামাজ পুরোপুরি মাফ হয়ে যায় এবং পরে কাজা করতে হয় না কিন্তু রোজা সাময়িকভাবে বাদ হয় এবং পরে রোজার কাজা আদায় করে নিতে হয়। এছাড়া ওয়াক্তের নামাজ এখনো আদায় করেন নি কিন্তু নামাজ পড়ার সময় এখনো আছে এই অবস্থায় হায়েজ শুরু হলে সেই ওয়াক্তের নামাজ মাফ হয়ে যাবে। নামাজের শেষ ওয়াক্তে হায়েজ হয়েছে কিন্তু এখনও যদি নামাজ না পড়ে থাকেন তাহলে সেটারও ক্বাযা পরতে হবে না। 

যদি কারো ১০দিন এর কম স্রাব হয় এবং এমন সময়ে গিয়ে রক্ত বন্ধ হয় যে খুব তাড়াতাড়ি গোসল করে নেয়ার পর একবার আল্লাহু আকবর বলার সময় থাকে, তবে সেই ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে। এমন অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলেও নামাজ শেষ করতে হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত হলে যদি নামাজ শুরু করার পর সূর্য উদিত হয়ে যায় তবে সে নামাজ কাজা করতে হবে। (সূত্র: হেদায়া, হায়েজ অধ্যায়।)

হায়েয অবস্থায় পবিত্র কোরআন পড়া, কোরআন শেখানো:

হায়েজ অবস্থায় যেমনিভাবে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা না জায়েয, তদ্রুপ কাউকে শেখানোর উদ্দেশ্যেও পড়া নাজায়েয। তাই হায়েজ অবস্থায় যাতে মহিলা শিক্ষিকাদের পবিত্র কোরআন পড়াতে না হয় এ ব্যবস্থা রাখা জরুরি। এ ধরণের সুব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত হায়েয অবস্থায় যদি কখনো বাচ্চাদেরকে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ানো জরুরি হয়, তাহলে শব্দে শব্দে থেমে কিংবা বানান করে পড়াবে। এ ছাড়া নিজে মুখে উচ্চারণ না করে বাচ্চাদেরকে দিয়ে পড়িয়ে শুধু ভুল জায়গা ধরিয়ে দিতে পারবে। (তথ্যসূত্র: খুলাসাতুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া, ফাতহুল কাদীর)

হয়েয অবস্থায় পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা:

হয়েয অবস্থায় পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবে একান্ত প্রয়োজন দেখা দিলে আয়াতের লিখিত অংশে হাত না লাগিয়ে লেখা যেতে পারে। (তথ্যসূত্র: ফাতহুল কাদীর, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া)

হায়েয অবস্থায় তাসবীহ-তাহলীল, জিকির-আযকার, দোয়া-দরুদ পড়া:

মাসিক চলাকলীন সময় জিকির-আযকার করা, দরুদ শরীফ পড়া, ওযীফা পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া যায়। এমনকি এসময় পবিত্র কোরআনে কারীমের দোয়ার আয়াতগুলোও দোয়া হিসেবে পড়া যাবে। পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত হিসেবে পড়া যাবে না। এক বর্ণনায় এসেছে, মা‘মার (রাহ.) বলেন, আমি যুহরী (রাহ.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুমতী নারী ও যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে সে আল্লাহর যিকির করতে পারবে? তিনি বললেন, হাঁ, পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোরআন তিলাওয়াত করতে পারবে? তিনি বললেন, না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৩০২) 

ইবরাহীম নাখায়ী (রাহ.) বলেন, ঋতুমতী নারী ও যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে সে আল্লাহর যিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৩০৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৬৫)

হায়েয অবস্থায় সহবাস:

পবিত্র কোরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন, আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দেন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায় ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে না। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন গমন কর তাদের কাছে, যে ভাবে আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং যারা অপবিত্রতা হতে বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। (বাকারা/আয়াত-২২২)

হজরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতীর সঙ্গে মিলিত হয় কিংবা কোনো মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোনো গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। (তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০) 

সুতরাং স্বামীর জন্য জায়েয হবে না স্ত্রী সহবাস করা যতক্ষন না স্ত্রী হায়েয থেকে মুক্ত হয়ে গোসল করে পবিত্র হয়।
এছাড়া ডাক্তারদের মতেও এ সময় স্ত্রী সহবাস করা অনুচিত। কারণ এ সময় নারীরা অসুস্থ্য বোধ করে। স্রাবের রক্তের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের জীবানু বের হয়ে থাকে। যা সহবাসের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই শরীয়তের বিধানের পাশাপাশি ডাক্তারী মতেও এ সময় সহবাস করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।

হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে এক নম্বর ক্ষতি হলো, মহান আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিধানকে লঙ্ঘণ করা হয়। এর চেয়ে বড় ক্ষতি আর কিছুই হতে পারে না। যে কর্মের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামীন অসন্তুষ্ট হোন। তার বিধান লঙ্ঘিত হয়। এর চেয়ে ক্ষতি আর কী হতে পারে?

হায়েয অবস্থায় সহবাসের কাফফারা:

হায়েজ অবস্থায় যদি কেউ যৌনমিলনে লিপ্ত হয় তবে তার ওপর এই পাপের কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। কাফফারার পরিমাণ হলো এক দীনার অথবা অর্ধ দীনার। এ ক্ষেত্রে দলীল হলো, আবু দাউদ বর্ণিত একটি হাদীস। কোনো কোনো আলেম হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। কিন্তু বিশুদ্ধ মত হলো, হাদীসটির বর্ণনা কারীরা সকলেই নির্ভর যোগ্য। সুতরাং দলীল হিসেবে উহা গ্রহণযোগ্য।

এই কাফফারা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত হল: 

(১) ব্যক্তির জ্ঞান থাকা। (যে হায়য অবস্থায় ইহা হারাম) (২) স্মরণ থাকা। (ভুল ক্রমে নয়) এবং (৩) ইচ্ছাকৃতভাবে সে কাজে লিপ্ত হওয়া। (কারো জবরদস্তী করার কারণে নয়।) যদি উক্ত কাজে স্বামীর অনুগত হয় তবে তারও ওপর উক্ত কাফফারা ওয়াজিব হবে।

ওষুধ খেয়ে হায়েয বন্ধ রেখে রোজা রাখা ও সহবাস করা:

ট্যাবলেট খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোজা রাখলে রোজা হয়ে যাবে। ট্যাবলেট দ্বারা হায়েয বন্ধ হলে স্বামীর সঙ্গে মেলামেশাও করতে পারে। তবে মেয়েদের স্বাভাবিক অবস্থায় বিরুদ্ধে এ নিয়মে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ট্যাবলেট না খাওয়াই উত্তম। বরং, স্রাব চালু থাকতে দিবে এবং পরবর্তীতে রোজা কাজা করে নিবে। মনে রাখবেন, এতে রমজানের রোজার সওয়াব কমবে না।

নারীদের হায়েয অবস্থায় রোজা পালন:

হায়েয অবস্থায় মেয়েদের জন্য ওয়াজিব হলো রোজা বর্জন করা। এ অবস্থায় রোজা আদায় করা জায়েয হবে না। সুস্থতার পর তাদের রোজা কাজা আদায় করতে হবে। সালাতের কাজা আদায় করতে হবে না। হাদীসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি নামাজ ও রোজার কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন: ‘এ অবস্থায় আমাদের রোজার কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সালাতের নয়।’ (বুখারী ও মুসলিম) 

হায়েয অবস্থায় তাওয়াফ ও মসজিদে যাওয়া:

হায়েয অবস্থায় তাওয়াফে জিয়ারত জায়েজ নেই। এমনকি তাওয়াফের জন্য মসজিদে হারামের ভিতরে প্রবেশ করাও জায়েজ নেই। যদি তাওয়াফ করাবস্থায় হায়েজ শুরু হয়ে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাওয়াফ বন্ধ করে দেবে এবং পরবর্তীতে পবিত্র হওয়ার পর কাজা করবে। (কিতাবুল মাসায়েল : ৩ : ৪০৩) 

রাসূলুল্লাহ (সা.) মা আয়েশা (রা:)-কে বলেছিলেন, ‘হজ্জ সম্পাদনকারী একজন ব্যক্তি যা করে তুমিও তা করতে থাক। তবে পবিত্রতা অর্জন পর্যন্ত পবিত্র ঘর কাবার তওয়াফ থেকে বিরত থাকবে।’ (বুখারী ও মুসলিম)

হায়েয অবস্থায় মসজিদেও গমন করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ‘কোন ঋতুবতী এবং নাপাক ব্যক্তির জন্য (যার ওপর গোসল ফরজ) মসজিদে অবস্থান করা আমি বৈধ করিনি। (আবু দাউদ)

হায়েয কেন হয়?

অনেকে প্রশ্ন করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা কেন মেয়েদের মাসিকের মতো একটা কষ্ট দিলেন? এত রক্ত নষ্ট হয়ে কী লাভ? প্রত্যেক মাসে স্বামীদের ৭-১০ দিন কষ্ট করতে হবে, কী দরকার ছিল এসবের?

এর উত্তর হচ্ছে, জরায়ুর ভেতরের দেওয়ালে একটি স্তর থাকে যেখানে ভ্রণ গিয়ে সংযুক্ত হয়। যখন এই স্তরটি খসে পড়ে, তখন কিছু রক্তসহ তা বেড়িয়ে যায়, এটাই মাসিক। এই জটিল স্তরটি সুস্থ, সবল ভ্রণকে গ্রহণ করে, এবং বিকৃত ভ্রণকে মাসিকের মাধ্যমে বের করে দিয়ে অসুস্থ, বিকৃত বাচ্চা হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। 

মহান আল্লাহ তায়ালা এই স্তরে যথেষ্ট ব্যবস্থা করে রেখেছেন, যেন এটি ভ্রণের স্বাস্থ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে: সেটাকে রাখবে, না-কি বের করে দেওয়া ভালো হবে। 

ডেইলি বাংলাদেশ/আরএজে


====================


হায়েজ ও নেফাস অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে?

প্রশ্ন

সম্মানিত মুফতী সাহেব।

আমাদের এক ভাই বলছেন যে, হায়েজ ও নেফাস অবস্থায় মহিলাদের জন্য কুরআন ধরা নিষিদ্ধ, কিন্তু পড়তে কোন সমস্যা নেই।

হায়েজ ও নেফাসের অবস্থায় কুরআন পড়া নিষেধ এটা মাযহাবী বক্তব্য। হাদীসের মাঝে এমন কোন বক্তব্য আসেনি

মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, উক্ত ভাইয়ের কথাটির বাস্তবতা কতটুকু?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

উক্ত ভাইটির কথা সঠিক নয়।

আর তিনি যেভাবে মাযহাবী বক্তব্য বলে তাচ্ছিল্য করলেন এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, তিনি মাযহাব বিষয়ে ধারণা রাখেন না। মাযহাবতো কুরআন ও হাদীসের বাহিরের কোন কিছু নয়। বরং কুরআন ও হাদীসের বিধানের একটি বিন্যাস্ত রূপের নাম মাযহাব।

তো এটি মাযহাবী বক্তব্য কুরআন ও হাদীসের নয়, এমনটি বলাই অজ্ঞতা। কুরআন ও হাদীসের বক্তব্যের উল্টো মাযহাবের বক্তব্য হতেই পারে না।

হলে সেটিতে আর গ্রহণযোগ্য মাযহাবই থাকে না।

 

হাদীসকে সামনে রেখেই ফুকাহায়ে কেরাম লিখেছেন, হায়েজ ও নেফাসগ্রস্থ মহিলা কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে না। এটি শুধু মাযহাবী মতামত নয়, হাদীসে বর্ণিত বিধান।

عن إبراهيم قال : الحائض والجنب يذكران الله ويسميان (مصنف عبد الرزاق، كتاب الطهارة، باب الحائض تذكر الله ولا تقرأ القرآن، رقم الحديث-989)

অনুবাদ-হযরত ইবরাহীম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-হায়েজ এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করতে পারবে, এবং তার নাম নিতে পারবে। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৩০৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৮৯}

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131)

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১, মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩}

عن أبي سعيد الخدري أليس إذا حاضت لم تصل ولم تصم (صحيح البخارى، كتاب الحيض، ترك الحائض الصوم، رقم الحديث-298)

অনুবাদ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ বলেছেন-মহিলারা হায়েজা অবস্থায় নামায পড়তে পারে না, এবং রোযাও রাখতে পারে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৯৮}

يستحب للحائض اذا دخل وقت الصلاة ان تتوضأ وتجلس عند مسجد بيتها تسبح وتهلل قدر ما يمكن أداء الصلاة لو كانت طاهرة (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الفصل الرابع فى احكام الحيض والنفاس والإستحاضة- 1/38)

অনুবাদ-হায়েজ নিফাসওয়ালী মহিলার ক্ষেত্রে নামায পড়া নিষিদ্ধ, রোযা রাখা নিষিদ্ধ। কুরআন পড়া নিষিদ্ধ। গিলাফ ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ। {বাদায়েউস সানায়ে’-১/১৬৩}

وأما حكم الحيض والنفاس فمنع جواز الصلاة والصوم وقراءة القرآن ومس المصحف إلا بغلاف ودخول المسجد والطواف بالبيت (بدائع الصنائع، كتاب الطهارة، باب الحيض والنفاس-1/163)

অনুবাদ-হায়েজ নিফাসওয়ালী মহিলার ক্ষেত্রে নামায পড়া নিষিদ্ধ, রোযা রাখা নিষিদ্ধ। কুরআন পড়া নিষিদ্ধ। গিলাফ ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ। {বাদায়েউস সানায়ে’-১/১৬৩}

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...