পাগড়ি পরিধান ও ব্যবহার বিধি

 মসজিদে নামাজের সময় অনেককেই দেখা যায় যে, শুধু ফরজ নামাজের সময় পাগড়ি পরিধান করেন। এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য হলো, পাগড়ি বেঁধে নামাজ আদায় করলে ১ রাকাতে সত্তর রাকাতের সওয়াব পাওয়া যায়।


আবার অনেককে এটাও বলতে শোনা যায় যে, যদি ইমাম সাহেব পাগড়ি বেঁধে নামাজ পড়ান তাহলে ইমাম ও মুক্তাদিরা নামাজে সত্তর গুণ সওয়াব লাভ করবেন। বিষয়টি কী আসলে কী এটা নিয়ে এক ধরনের দ্বন্দ্ব কাজ করে অনেকের মনে।

বস্তুত পাগড়ি সুন্নত পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাধারণত যে সব পোশাক ব্যবহার করতেন পাগড়িও তার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি বিভিন্ন সময় পাগড়ি ব্যবহার করেছেন। এটা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে। সাহাবা ও তাবেয়িরাও নামাজে এবং নামাজের বাইরে ব্যাপকভাবে পাগড়ি পরতেন বলে বহু হাদিস ও বর্ণনা রয়েছে। তাদের নিকট পাগড়ি একটি অতি পছন্দনীয় পোশাক বিশেষ। তারা অন্যান্য পোশাকের ন্যায় তা ব্যবহার করতেন। খোলাফায়ে রাশেদিন, পরবর্তী খলিফা, ইসলামের ইমাম ও মনীষীরা প্রায় সবাই পাগড়ি পরিধান করতেন।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন সময় পাগড়ি ব্যবহার করেছেন বলে বহু হাদিসে এর বর্ণনা রয়েছে। যেমন হজরত জাবের (রা.) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কায়) প্রবেশ করলেন। তখন তার মাথায় কালো পাগড়ি ছিল। -সহিহ মুসলিম

আরেক হাদিসে অাছে, হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বলেন, একবার হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) অজু করলেন এবং মাথার অগ্রভাগ ও পাগড়ির ওপর মাসেহ করলেন। -সহিহ মুসলিম

তাবেয়ি হজরত সোলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ (রহ.) বলেন, আমি মুহাজির সাহাবিদেরকে কালো, সাদা, হলুদ ও সবুজসহ বিভিন্ন রঙের পাগড়ি পরতে দেখেছি। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও পূর্ববর্তী আলেম-উলামাদের অনুসরণে পাগড়ি ব্যবহার করলে অবশ্যই সওয়াব হবে। এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।


মনে রাখতে হবে, পাগড়ি শুধুমাত্র নামাজের বিশেষ পোশাক নয়; বরং নামাজে এবং নামাজের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই সমভাবে পরিধানযোগ্য একটি পোশাক। সাহাবা, তাবেয়ি ও পূর্ব যুগের আলেমরা পাগড়িকে শুধু নামাজের সঙ্গে সীমাবদ্ধ করতেন না। এই মূলনীতির আলোকে বলা চলে, শুধু নামাজের সময় পাগড়ি ব্যবহার করা, অন্য সময় ব্যবহার না করা পূর্ব আলেমদের রীতি পরিপন্থী কাজ।

পাগড়ি বেঁধে নামাজ আদায় করলে সত্তর রাকাতের সওয়াব পাওয়া যায় বলে যে কথা প্রচলিত আছে, এটা সহিহ নয়। এটি একটি ভিত্তিহীন কথা। অনেকে এটাকে হাদিসও বলে মনে করেন। ইসলামি শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।

অনুরূপভাবে পাগড়ি পরিধান করে দুই রাকাত নামাজ পাগড়িহীন পঁচিশ রাকাতের সমান এবং পাগড়ি পরিধান করে এক জুমা পাগড়িবিহীন সত্তর জুমার সমান- বলে যেসব কথা হাদিসের নামে প্রচলিত আছে; এর কোনোটিই গ্রহণযোগ্য নয়। হাদিস বিশারদ আলেমরা এ সব বর্ণনাকে জাল বলেছেন। -লিসানুল মিজান: ৩/২৪৪

অতএব পাগড়ি পরিধান করে নামাজ আদায় করলে সত্তর গুণ, পঁচিশ গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া সংক্রান্ত যে সব কথা প্রচলিত আছে সেগুলো হাদিসশাস্ত্রজ্ঞ ও বিজ্ঞ আলেমদের সুস্পষ্ট ভাষ্যমতে বাতিল। এ সব বর্ণনাকে ভিত্তি করে অধিক ফজিলত পাওয়ার আশায় পাগড়িকে শুধু নামাজের সময় ব্যবহার করা ঠিক নয়।

আর ইমাম পাগড়ি বেঁধে নামাজ পড়ালে ইমাম ও মুক্তাদি সকলেই সত্তর গুণ সওয়াব লাভ করবে, এ কথার সপক্ষেও কোনো বর্ণনা নেই। তাই ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- নির্ভরযোগ্য প্রমাণাদি ছাড়া এ ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

উল্লেখ থাকে যে, পাগড়িকে নিয়মিত পোশাকের অংশ বানানো যে উত্তম কাজ তা লেখার শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। পাগড়ি মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত পোশাক। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পাগড়ি শুধু নামাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।

পাগড়ি বাঁধার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। সেগুলো হলো-

ক. পূর্ণ পাগড়ি মাথার ওপর বাঁধা এবং এর কোনো লেজ বা ঝুল না রাখা।

খ.  পূর্ণ পাগড়ি মাথার ওপর বাঁধা এবং লেজ বা ঝুল পেছনে ঝুলিয়ে রাখা।

নবী করিম (সা.) থেকে উভয় পন্থার পাগড়ি বাঁধার কথা প্রমাণিত। তবে তিনি সাধারণতঃ দু’কাঁধের মাঝামাঝি স্থানে পেছন দিকে পাগড়ির লেজ ঝুলিয়ে রাখতেন।

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, রাসূলুল্লাহর (সা.) পাগড়ি দুই ধরণের ছিল। ছোট পাগড়ি ছিল আনুমানিক তিন গজ কাপড়ের, আর বড় পাগড়ি ছিল সাত গজ কাপড়ের। -আপকি মাসায়েল আওর উনকা হল

পাগড়ি টুপির ওপর এবং টুপি ছাড়া উভয়ভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের সঙ্গে সাদৃশ্য হতে পারে বিধায় পাগড়ি টুপির ওপর বাঁধা উত্তম।

Tafhimul Quran Apk / Aab Download

(বি:দ্র: ডাউনলোড ও  ইনষ্টল  করার পূর্বে অবশ্যই নিচের লিংক থেকে ভিডিওটি দেখে নেবেন

How To Install Tafhim App From Blogger  ) 

-------------------------------


প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করার কারণে যারা এ্যাপ চালাতে পারছিলেন না, তাদের জন্য অল্টারনেট ডাউনলোড লিংক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আলহামদুলিল্লাহ বাগ ফিক্স হওয়াতে প্লে স্টোর থেকেই সরাসরি ডাউনলোড করে এ্যাপ চালাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। 


তাই অল্টারনেট ডাউনলোড লিংক এর পরিবর্তে সরাসরি প্লে স্টোর ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলো : 


তাফহীমুল কুরআন Al Quran ByWord - Apps on Google Play


ফজর নামাজের আযানের পর দুই রাকাআত সুন্নত ছাড়া অন্য কোন নামাজ পড়া যাবে কি

 সুবহে সাদিক বা ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর থেকে ফজরের নামাজ পড়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কি কোনো নফল নামায পড়া যাবে? 

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- সুবহে সাদিক থেকে ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত ফজরের সুন্নত ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া নিষেধ। এই ব্যাপারে হাদিসে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হাফসা (রা.) বলেন, ‘যখন ফজর উদিত হতো, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সংক্ষেপে (ছোট সূরা দিয়ে) পড়তেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৩)

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সুবহে সাদিক হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া কোনো (নফল) নামাজ পড়া যাবে না।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৪৭৫৭)

ভুলক্রমে হত্যার শাস্তি ।

 প্রশ্ন                                                                                                         

আমার এক বন্ধু শিকার করতে গিয়ে ভুলবশত একজন লোককে হত্যা করে ফেলে। এক্ষেত্রে তার কী করণীয়?

উত্তর                                                                                                       

بسم الله الرحمٰن الرحيمحامدا و مصليا و مسلما

ভুলবশত কেউ যদি কাউকে হত্যা করে ফেলে তাহলে ইসলাম এক্ষেত্রে কাফফারার বিধান রেখেছে। কাফফারার দুটি অংশ রয়েছে। যথা:

প্রথমত, একজন মুসলমান দাস বা দাসী আযাদ করে দেওয়া। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে লাগাতার দুইমাস রোযা রাখা।

দ্বিতীয়ত, দিয়াত তথা আর্থিক ক্ষতিপূরণ। আর তা হল, ১০০ উট বা ২০০ গরু বা ২ হাজার বকরি। আর মূল্যের মাধ্যমে দিলে দশ হাজার দিরহাম বা তার সমপরিমাণ মূল্য(এক দিরহাম=২.৯৭৫ গ্রাম রূপা) বা এক হাজার দিনার বা তার সমপরিমাণ মূল্য (এক দিনার=৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণ) নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারিদের দিতে হবে।

আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَقْتُلَ مُؤْمِنًا إِلَّا خَطَأً وَمَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا خَطَأً فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُؤْمِنَةٍ وَدِيَةٌ مُسَلَّمَةٌ إِلَى أَهْلِهِ إِلَّا أَنْ يَصَّدَّقُوا فَإِنْ كَانَ مِنْ قَوْمٍ عَدُوٍّ لَكُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُؤْمِنَةٍ وَإِنْ كَانَ مِنْ قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ مِيثَاقٌ فَدِيَةٌ مُسَلَّمَةٌ إِلَى أَهْلِهِ وَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُؤْمِنَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ تَوْبَةً مِنَ اللَّهِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

‘আর কোন মুমিনের কাজ নয় অন্য মুমিনকে হত্যা করা, তবে ভুলবশত (হলে ভিন্ন কথা)। যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে দিতে হবে না)। আর সে যদি তোমাদের শত্রু কওমের হয় এবং সে মুমিন, তাহলে একজন মুমিন দাস মুক্ত করবে। আর যদি এমন কওমের হয় যাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সন্ধিচুক্তি রয়েছে তাহলে দিয়াত দিতে হবে, যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিবারের কাছে এবং একজন মুমিন দাস মুক্ত করতে হবে। তবে যদি না পায় তাহলে একাধারে দু’মাস সিয়াম পালন করবে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমাস্বরূপ। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ৯২]

হেদায়া ৪/৪৬০; রাওয়াইয়ুল বয়ান ফি তাফসিরি আয়াতিল আহকাম ১/৩৬০

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم


উত্তর প্রদানে:

ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী

সূত্রhttp://www.drkhalilurrahman.com/4257/article-details.html

===================

( তবে আরেকটি কথা আছে, তা হলো ইসলামে বিচার প্রক্রিয়ায় আরো একটি বিষয় যুক্ত আছে, তা হচ্ছে, তা’যির। যখন, কিসাস বা দিয়াত অথবা ইসলমের অন্য কোনো সুষ্পষ্ট শাস্তির উল্লেখের সাথে অপরাধকারীর অপরাধের পরিপূর্ণ মিল ও শর্ত পাওয়া যায়না, তখন বিচারক অপরাধকারীকে তা’যির বা ভিতিমূলক শাস্তি প্রদান করতে পারেন। আবার বিচারক তার সুষ্পষ্ট যুক্তির ভিত্তিতে বা সাক্ষীদের দ্বারা বা তদন্তকারীদের দ্বারা  আনীত প্রমাণের প্রেক্ষিতে  অপরাধীকে বেকসুর খালাসও দিতে পারেন। )


তাফহীম এ্যাপে টালি খাতা / আয় ব্যয় / কর্জে হাসানা ইত্যাদি বিভাগ যোগ করা প্রসঙ্গে ।



    الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ 

কিন্তু যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ব্যবসা তো সুদেরই মতো।” অথচ আল্লাহ‌ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। (আল-বাক্বারা: ২৭৫)

لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ ۚ 

আর হজ্বের সাথে সাথে তোমরা যদি তোমাদের রবের অনুগ্রহের সন্ধান করতে থাকো তাহলে তাতে কোন দোষ নেই।( আল-বাক্বারা: ১৯৮)\n \nটিকা: 218 : এটিও প্রাচীন আরবের একটি জাহেলী ধারণা ছিল। হজ্জ সফর কালে অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজ করা তারা খারাপ মনে করতো। কারণ তাদের মতে, অর্থ উপার্জন করা একটি দুনিয়াদারীর কাজ। কাজেই হজ্জের মতো একটি ধর্মীয় কাজের মধ্যে এ দুনিয়াদারীর কাজটি করা তাদের চোখে নিন্দনীয়ই ছিল। কুরআন এ ধারণার প্রতিবাদ করছে এবং তাদের জানিয়ে দিচ্ছে, একজন আল্লাহ‌ বিশ্বাসী ব্যক্তি যখন আল্লাহর আইনের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করে নিজেদের অর্থ উপার্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালায় তখন আসলে সে আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করে। কাজেই এক্ষেত্রে সে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সফর করতে গিয়ে তার মাঝখানে তাঁর অনুগ্রহের সন্ধানও করে ফেরে, তাহলে তার কোন গোনাহ হবে না।



প্রশ্ন:   একই এপ্স এর ভিতরে এত কিছু না দিয়ে অন্য এপ্স বানান...


উত্তর: 

ভাই,  এ বিষয়ের  টা ব্যাখ্যা আছে। আলাদা পোস্ট দরকারঃ
১) আরেকটা এ্যাপের জন্য শুধু চুলা আর কড়াইতেই ১০/১২ এমবি সাইজ হয়, মূল এ্যাপ হয়তো ১ এমবির কম। এবারের আপডেট এ প্রায় ১৩ টা সেকশন যোগ করেছি। আকার বেড়েছে এক এমবির কম বেশী। আপনি আলাদা এ্যাপ নিলে ১০০ এমবিতেও হতো না।
২) তাফহীম এ্যাপের পাঠকদের প্রতি এবং সংগঠনের মায়ায় তাফহীম পাঠকদের সুবিধা দেওয়াই আমার মূল লক্ষ। পয়সা কামানো নয়। তারা যেন এক এ্যাপ থেকেই সুবিধা গুলো পায় এই লক্ষ। নইলে এ্যাডসেন্স এর অধীনে তাফহীম এ্যাপ দিয়ে কমপক্ষে ত্রিশটা (আরো বেশী হবে, কম করে বললাম) এ্যাপ বানানো যেতো।
৩) তাফহীমের একটা ব্রান্ড ভ্যালু আছে। যেমন, আজকের পোস্ট এর একই ইনবক্স কারী জানেন না, আমার একটা বাংলা-ইংরেজি-আরবী তিন ভাষায় ডিকশনারি ( সার্চ সিস্টেম সহ) একটা এ্যাপ আছে। তাই, নতুন জিনিস চালু করলে ব্রান্ড এর অধীনেই যেমন তারাতারি চালু হয়, আবার পাঠকও সেটা পায়, নইলে প্লেস্টোর এর এসইও তে (এ্যাফেক্টিভ) ইনক্লুড হতেই কোনো কোনো এ্যাপের দীর্ঘদিন লেগে যায়, আবার কোনোটা হয়তো, সাড়া জীবনেও অন্তর্ভুক্ত হয়না।
৪) যেহেতু পাঠককে সুবিধা দেওয়াই আমার প্রাইম টার্গেট, তাই এই এ্যাপেই থাকুক। আকার বৃদ্ধি মাত্র কয়েক কেবি।
৫) কুরআনে একটি আয়াত আছে, তোমরা হজ্জ্বের উদ্দেশ্যে যখন যাও, তখন, পথে যদি সেই সাথে কিছু ব্যবসা বাণিজ্য করো, তাতে দোষ নাই। " তাফসীরে বলা হয়েছে, অনেকেই দ্বীন আর দুনিয়াকে আলাদা মনে করে, আসলে দ্বীন আর দুনিয়া আলাদা জিনিস নয়।
৬) এক সুবিধার টানে এ্যাপটি মোবাইলে রাখা। যেমন, পাঠককে বিভিন্ন সুবিধা দিতে পারলে, সে যখন তখন এ্যাপ ডিলিট করবেনা। যেমন ধরেন, টালিখাতা আয় ব্যায় সেকশনে যদি কেউ ইনশাআল্লাহ ২/৩ মাস হিসাব রাখে, বা ৬ মাস হিসাব রাখে, সে তখন হুট করে এ্যাপ ডিলিট করবেনা, ইনশাআল্লাহ।
প্লে কনসোল এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আলহামদুলিল্লাহ টালিখাতা / আয় ব্যয় সেকশন এ্যাড করার পর তাফহীম এ্যাপের আনইন্সটল ইনফরমেশন ডাটা লেবেল অনেক অনেক কমে এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
৭) আপনি দাওয়াতী কাজ করতে পারবেনঃ "ভাই এই এ্যাপে আপনার সব বাকী /নগদ লেনদে, সংসারের হিসাব রাখতে পারবেন। পাশাপাশি কুরআনও পড়তে পারবেন। মন চাইলে পড়বেন। কিন্তু হিসাব লেখা ও তারিখ মাস বছর ভিত্তিক হিসাবের সারাংশ ব্যালেন্স ঋণ উদ্দ্রিত্ত বাইর করতে পারবেন মাত্র এক ক্লিকে। " এভাবে, মূলত তাফহীম তাফসীর তার মোবাইলে আপনি দিয়া আসলেন।
শুধু টেবিলের উপর গোপনে বই রেখে আসতো। এভাবেও অনেক মানুষ দ্ব্বীনের পথে এসেছে।
আলহামদুলিল্লাহ, ইনশআল্লাহ তাফহীম এ্যাপেতো অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে।

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...