Showing posts with label imam. Show all posts
Showing posts with label imam. Show all posts

ইমাম সাহেবের অজু না থাকলে বা অজু ভেঙ্গে গেলে ।

এ ক্ষেত্রে প্রথমত দুটি বিষয়। 

(ক) 

ইমাম সাহেবের অজুই ছিলনা কিন্তু তার মনে নেই। এ ক্ষেত্রে আবার তিনটি বিষয়। (১)   হয়তো দুই রাকাত পড়ার পর তার মনে পড়েছে যে তার অজু ছিলনা। সেক্ষেত্রে নামায ভেঙ্গে দিতে হবে, এবং তিনি অজু করে এসে পুনরায় নামাজ প্রথম থেকে আরম্ভ করবেন।  (২) অথবা, পুরো নামাজ শেষ করার পর ইমাম সাহেবের মনে পড়েছে যে তার অজু ছিলনা। এক্ষেত্রেও কারো নামাজ হয়নি। তাই ইমাম সাহেব অজু করে এসে পুরো নামাজ পুনরায় পড়াবেন।  (৩) অথবা,   ঐ ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর বা দু একদিন পর ইমাম সাহেবের মনে পড়েছে, সেক্ষেত্রে তিনি সাধারণ ঘোষণা দিয়ে দিবেন, অমুক দিনের অমুক ওয়াক্তের নামাজ আপনারা মুসল্লীগণ নিজে নিজে আদায় করে নিবেন। ঘোষণাটি দুই তিনি ওয়াক্ত দেওয়া দরকার যাতে ঐ দিন যত মুসল্লী ছিল সবাই জেনে যেতে পারে। ইমাম সাহেব নিজেও একা একা উক্ত ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় করবেন। 


(খ) ইমাম সাহেবের অজু ছিল কিন্তু নামাজের মধ্যে অজু ভেঙ্গে গেছে, সেক্ষেত্রে নিম্নের জবাবটি প্রযোজ্য হবে।  


ইমামের অযু ভেঙ্গে গেলে করণীয়

জিজ্ঞাসা–৩৩৮: কোনো নামাজে ইমামের যদি অযু ভেঙ্গে যায়, এমন সময় নামাজ ছেড়ে দিলে বা অযু ভাঙ্গার খবর প্রকাশ পেলে যদি ফেৎনার আশঙ্খা থাকে তাহলে কী করণীয়? জানালে ভাল হয়।– আব্দুর রহমান সেরনায়বাত: saraslam077@gmail.com

জবাব: প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, এটা তো জানা কথা যে, অযু ছাড়া নামাজ হয়না। আবু হুরায়রা রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেনরাসূল  বলেছেন,  لا تقبل صلاة أحدكم إذا أحدث حتى يتوضأ তোমাদের যদি অযু ভেঙ্গে যায় তাহলে অযু করা পর্যন্ত তোমাদের নামায কবুল করা হয় না। (মুসলিম: ২২৫)

সুতরাং ফেতনার আশঙ্কায় অযু ছাড়া নামাজের অনুমতি নেই। বরং নামাযে যদি ইমাম সাহেবের অযু ভেঙ্গে যায় তাহলে তিনি কিরাত শুদ্ধ আছে এমন কাউকে তার প্রতিনিধি বানাবেন। প্রতিনিধি বাকি নামাজ মুসল্লীদের নিয়ে আদায় করবে। ইমাম সাহেব অযু করে এসে তার ইকতেদা করবেন।

আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. বলেন, يَنْفَتِلُ فَيَتَوَضَّأُ، ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّي সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০)

ইবরাহিম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ عَلْقَمَةَ رَعَفَ فِي الصَّلاَةِ، فَأَخَذَ بِيَدِ رَجُلٍ فَقَدَّمَهُ، ثُمَّ ذَهَبَ، فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ جَاءَ فَبَنَى عَلَى مَا بَقِيَ مِنْ صَلاَتِهِ

অর্থাৎ, আলকামার নামাজে নাক থেকে রক্ত বের হয়েছে, তখন তিনি এক ব্যক্তির হাত ধরে ইমামতির স্থানে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তিনি বের হয়ে গিয়ে অযু করে আসলেন। তারপর বাকি নামাজে বেনা করছেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫৬)

হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব হেদায়াতে আছে,ومن سبقه الحدث في الصلاة انصرف فإن كان إماما استخلف وتوضأ وبنى অর্থাৎ, যে ব্যক্তির নামাযে হদস হবে অর্থাৎ নামাযে অযু চলে যাবে সে ফিরে আসবে। সে যদি ইমাম হয় তাহলে সে একজন প্রতিনিধি বানাবে এবং অযু করবে এবং তার নামাযে বেনা করবে। (হেদায়া: ১/৫৯)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...