প্রশ্ন ২৩ : সাহু সিজদা দেওয়ার সঠিক নিয়ম

উত্তর :

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

সিজদায়ে সাহু দেয়ার পদ্ধতি হল, সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা দিবে। আর সালাম যেহেতু একদিকে ফিরানোর মাঝেও সালাম ফিরানোর অর্থ থাকে, তাই একদিকে সালাম ফিরানোর কথা হানাফি ফিকহ বলে থাকে। সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করবে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। যেমন-

# হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ভুল হল এই যে, নামাযী ব্যক্তি বসার বদলে দাঁড়িয়ে যাওয়া। অথবা দাঁড়ানোর বদলে বসে যাওয়া, বা [তিন বার চার রাকাতওয়ালা নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। তাহলে এমন ব্যক্তি সালাম ফিরানোর পর দুই সেজদা করবে, তারপর তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরাবে। (তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২৫৬৫)

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা) ছাড়াও হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের (রা), হযরত আনাস বিন মালিক (রা), হযরত সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা) প্রমূখ সাহাবাগণ থেকে সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করা প্রমানিত। (শরহু মাআনিল আসার, হাদীস নং-২৫৬৪)

# হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের মাঝে যখন কারো নামাযের ব্যাপারে সন্দেহ হয়ে যাবে, তখন তার জন্য উচিত এ ব্যাপারে চিন্তা ফিকির করা, তারপর নামায পূর্ণ করে সালাম ফিরাবে তারপর দুই সিজদা করবে। (সহীহ বুখারী-১/৫৮, হাদীস নং-৪০১, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭২)

# হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনঃ প্রত্যেক ভুলের কারণে দুই সিজদা দিতে হবে সালাম ফিরানোর পর। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১০৩৮, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১২১৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৪১৭)

# হযরত আব্দুল্লাহ বিন যাফর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেনঃ যার নামাযে সমস্যা হয়ে যায়, সে যেন দু’টি সেজদা করে সালাম ফিরানোর পর। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৫৫০)

সালাম ফিরানোর পর সাহু সেজদা করার এরকম অসংখ্য সহীহ বর্ণনা হাদীসের কিতাবসমূহে বর্ণিত।


আবার সালাম ফিরানোর পূর্বেও সাহ সেজদা করা যায় ।

# আব্দুল্লাহ ইবনু বুহায়না আল আসাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যুহরের সালাতে (দ্বিতীয় রাকাআতে) বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে গেলেন । সালাত শেষ করার পর সালাম ফিরানোর আগে তিনি বসা অবস্থায় তাকবীর সহকারে দুটি সিজদা করলেন । তাঁর সাথের লোকেরাও সিজদা করলো । ভুলে বর্জিত বসার পরিবর্তে এ সিজদা । (সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২০৬ , ১২০৭ । বুখারী । মুসলিম ।)

এই অনুচ্ছেদে আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রা) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনু সায়িব (রা) হতে বর্ণিত আছে , তারা উভয়েই সালামের পূর্বে সাহু সিজদা করতেন । সনদ সহীহ । সায়িব তিনি ইবনু উমাইর । আবু ঈসা (রহ) বলেন : বুহায়নার হাদীসটি হাসান সহীহ ।

কিছু বিদ্বান এই হাদীসের উপর আমল করেন । ইমাম শাফেঈ এই মত পোষণ করেন । তার মতে সকল সাহু সিজদাই সালামের পূর্বে । তিনি আরও বলেন , এই হাদীস অন্যান্য হাদীসের নাসিখ । কেননা এটাই রাসূলুল্লাহ (সা) এর সর্বশেষ আমল । ইমাম আহমাদ ও ইসহাক্ব বলেন , কোন ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় রাকাআতের পর দাড়িয়ে যায় তাহলে ইবনু বুহায়নার হাদীস অনুযায়ী সালামের পূর্বেই সাহু সিজদা করবে ।

হানাফি ফিকহের মতে সাহু সিজদা দেয়ার নিয়ম হল শেষ রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়ে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে ২ টি সিজদা দিতে হবে। ২ সিজদার মাঝখানে অবশ্যই ১ তাসবীহ পরিমান সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর যথারীতি আবার আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে নামায শেষ করতে হবে।

তবে আলেমদের মতে তাশাহুদ , দরূদ , দুআ পড়ার পর সালাম ফিরানোর আগে বা পরে দুইটি সিজদা সাহু দেওয়াই অধিক সঠিক হবে ।

আপনি ইমামের পেছনে নামায পড়া অবস্থায় ইমাম যেভাবে সাহু সিজদাহ দিবে আপনাকেও সেভাবেই সাহু দিতে হবে। এতে আপনার নামাযে কোন ত্রুটি হবে না। কারণ, ইমামের অনুসরণ করা, মুক্তাদির জন্য আবশ্যক।

লিংক 


==============================

সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়মঃ ভুল দিয়ে কি ভুল সংশোধন করা যায়?

আমাদের দেশে প্রচলিত অনেক কিছুই যেমন ইমান-আকীদা, নামায, রোযা, হজ্জ যাকাত ইত্যাদি অনেক কিছুর সাথে কুরান ও সুন্নাহর বিপরীত কাজ দেখতে পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “প্রচার করো, একটি মাত্র আয়াত হলেও”।
যেখানে একটি মাত্র আয়াত জানলেও তা প্রচার করতে বলা হয়েছে, আর সেখানে এতো ভুল আর বেদাত দেখে চুপ করে থাকা সমীচিন বলে মনে করছিনা।
তাই, যারা সঠিক ইসলাম জানতে আগ্রহী তাদেরকে বলছি, আপনারা আমাদের পোস্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আর কুরআন, সহীহ হাদীস ও সত্যিকারের আলেমদের সাথে যাচাই করে দেখুন, সত্যি-মিথ্যা যাচাই বাছাই করে – যেটা হক্ক সেটা মেনে নিন।
আজকে সাজদা সাহুর সঠিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো।
_______________________________________
সিজদা সাহু সালাম ফেরানোর আগে ও পরে দুইভাবেই করা যায়। তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত মকসুদুল মুমিনীণ নামক বেদাতী বইয়ের সাজদা সাহুর নিয়ম ঠিক নয়।
আমাদের দেশে প্রচলিত ভুল নিয়মঃ
শেষ বৈঠকে শুধু আত্তাহিয়্যাতু পড়ে, শুধু ডান দিকে একবার সালাম ফিরিয়ে দুইটা সিজদা দিয়ে আবার আত্তাহিয়্যাতু দুরুদ পড়ে সালাম ফিরানোর নিয়ম - এটা ঠিকনা, কোন সহীহ হাদীসে সেজাদা সাহু এমন আসেনাই। কারো ক্ষমতা থাকলে এইরকমঃ “আত্তাহিয়্যাতু পড়ে শুধুমাত্র ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে সিজদা সাহু দেওয়ার” পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল পেশ করুন।
সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে - “সালাতে কম বেশি যাই হোক, আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে তাকবীর দিয়ে পর পর দুটি সিজদাহ দিয়ে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করতে হবে, অথবা সালাম ফিরানোর পরে দুটি সিজদা দিতে হবে। ”
বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত সালাত অধ্যায় সাহো অনুচ্ছেদ, ১১৮ নাম্বার হাদীস।
অথবা, “সালাতে কম বেশি যাই হোক, সালামের ফেরানোর আগে বা পরে দুইটি (অতিরিক্ত) সাহু সিজদা দিতে হবে।”
সহীহ মুসলিম, নাওয়াতুল আওতার ৩/৪১১।
অর্থাৎ দুইটাই জায়েজ, সালামের আগে বা পরে দুইটা অতিরিক্ত সিজদা দেওয়া।
সালাম ফেরানোর আগে সিজদা সাহু যেভাবে করবেনঃ
সিজদা সাহু দেওয়া ওয়াজিব হয় এমন কোন ভুল করলে, শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ, দুয়া মাসুরা পরে আল্লাহু আকবার বলে দুইটি সিজদা সাহু দেবেন। দুই সিজদার মাঝখানে বা সিজদাতে তাসসবীহর পরে দুয়া করতে পারবেন। ২টা অতিরিক্ত সিজদা দিয়ে আর কিছু পড়তে হবেনা, ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
সালাম ফেরানোর আগে সিজদা সাহু যেভাবে করবেনঃ
সিজদা সাহু দেওয়া ওয়াজিব হয় এমন কোন ভুল করলে, শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ, দুয়া মাসুরা পরে ডানে ও বামে দুইদিকে সালাম ফেরাবেন। এরপরে আল্লাহু আকবার বলে দুইটি সিজদা সাহু দেবেন। দুই সিজদার মাঝখানে বা সিজদাতে তাসসবীহর পরে দুয়া করতে পারবেন। ২টা অতিরিক্ত সিজদা দিয়ে আর কিছু পড়তে হবেনা, আবার ডানে ও বামে দুইদিকেই সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
তবে আমার কাছে আত্তাহিয়্যাতু ও দরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে দুইটা সিজদাহ সাহু দিয়ে সবার শেষে একবারে সালাম ফিরানোকেই সহজ মনে হয়, কারো ইচ্ছা হলে এমন বা অন্য নিয়মেও করতে পারেন। কিন্তু আত্তাহিয়্যাতু পড়ে একপাশে সালাম ফিরিয়ে আবার তাশাহুদ পড়ার কোনো সহীহ হাদীস নেই।
“এক পাশে সালাম ফিরানো বেদাত” – বলেছেন হানাফী বড় আলেম ইবনুল হুমাম আল-হানাফী (ফতহুল কাদীর ১/২২২ পৃষ্ঠা)।
সিজদা সাহু যে কারণে দিতে হয়ঃ
খুব কমন যে ভুলগুলো আমরা নামাযের মধ্যে করি সেগুলো ও সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো –
সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়মঃ আপনি ২ রাকাত বা ৪ রাকাতের শেষ বৈঠকে বসবেন। আত্তাহিয়্যাতু পড়ে দুরুদ শরীফ, দুয়া মাসুরা পড়বেন। এর পর কোনো সালাম না ফিরিয়ে আপনি অতিরিক্ত দুইটা সিজদা দিবেন, প্রত্যেকবার তাকবীর দিবেন সিজদার সময়ে আর, সিজদার তাসবীহ সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’লা পড়বেন। পরে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
১. ৪ রাকাত নামাযের ১ম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু না পড়েই দাঁড়িয়ে গেলে কি করবেন?
উত্তরঃ দাড়াতে যাচ্ছেন কিন্তু দাড়ান নি, তাহলে আর দাড়াবেন না, বসেই যাবেন। আত্তাহিয়্যতু পড়ে বাকি নামায পুরা করবেন, কোন সিজদা সাহু দেওয়া লাগবেনা। কিন্তু, দাঁড়িয়ে গেলে আর বসবেন না, বাকি নামায শেষ করে উপরে যেই নিয়মে সিজদা সাহু দিতে বলা হয়েছে সেইভাবে সিজদা সাহু দিয়ে নামায শেষ করবেন।
২. ৪ রাকাত নামাযে ২ রাকাত শেষে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। এমন অবস্থায় আবার দাঁড়িয়ে যাবেন, বাকি দুই রাকাত পূর্ণ করে শেষে সিজদা সাহু দিবেন। এমনকি কেউ যদি উঠে অন্য কোথাও চলে যায় মাঝখানে কথাও বলে তবুও সে ২ রাকাত পড়ে শেষে ২টি সিজদা সাহু দিয়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন, নতুন করে ৪ রাকাত আবার পড়তে হবেনা। অনুরূপ ১ রাকাত বা ৩ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেও বাকি ১ রাকাত পড়ে শেষ সেজদা সাহু দিবেন।
৩. ২ বা ৪ রাকাত নামাযে কেউ যদি ভুলে অতিরিক্ত ৩য় বা ৫ম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ অতিরিক্ত রাকাত পড়ার আগেই বুঝতে পারে বা রাকাত চলা অবস্থায় মনে পড়ে তাহলে রাকাত পূরণ না করেই বসে যেতে হবে, ইচ্ছা করে অতিরিক্ত ১ রাকাত পড়লে নামায ভেঙ্গে যাবে। বসে তাশাহুদ, দুরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে ২টা অতিরিক্ত সিজদা সাহু দিবেন, প্রত্যেক সিজদায় যাওয়ার আগে ও পরে স্বভাবিক নিয়মে "আল্লাহু আকবার" বলে তাকবীর দিবে। ২টা সিজদা সাহু দিয়ে আবার আত্তাহিয়্যাতু বা অন্য কিছু পড়তে হবেনা। কোনো দুয়া না পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবেন।
আর অতিরিক্ত রাকাত পড়ার পরে কিন্তু সালাম ফেরানোর আগে মনে হলে একই নিয়মে ২টা সিজদা সাহু দেবেন। আর যদি সালাম ফেরানোর পরে, এমনকি মাঝখানে অন্য কাজ বা কথা বলার পরে মনে পড়ে তাহলে যখনই মনে হবে তখন ওযু অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে সরাসরি আল্লাহু আকবার বলে ২টা সিজদা দিবেন, ২টা সিজদা সাহু দিয়ে ডানে বামে সালাম ফেরাবেন, আগে বা পরে কোনো কিছু পড়তে হবেনা।
৪. রুকু দুইবার বা সিজদা তিনবার করে ফেললেন। বাকি নামায পূর্ণ করে শেষে সিজদা সাহু দিবেন।
৫. কোনো এক রাকাতে রুকু, সিজদায় উলটা পাল্টা করলেন অর্থাত দিলেন না, বা সুরা ফাতেহা পড়েন নাই। এইগুলো নামাযের রুকন, এইগুলো ছাড়া এক রাকাত হয় না। এইরকম কোনো রুকন ছুটে গেলে ঐ রাকাত নামাযের মধ্যে গণ্য হয়না। এইজন্য আপনি পুরো নামায বাদ দিবেন না। ধরুন ৪ রাকাত পড়ছেন, তাহলে বাকিগুলো ঠিক থাকবে, আপনি চতুর্থ রাকাতের বৈঠকের পর সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন, এক রাকাত অতিরিক্ত পড়ে শেষ বৈঠক করে সিজদা সাহু দিবেন।
৬. নামায ২ রাকাত না ৩ রাকাত পড়া হলো সেটা নিয়ে বা কোনো কিছু একটা করেছেন কিনা সন্দেহ দেখ দিলে প্রথম দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন কোনটা আপনার কাছে বেশি মনে হচ্ছে, ২ রাকাত না ৩ রাকাত। যেটা মনে বেশি জোরালো হবে সেটাকেই ধরবেন আর অন্যটার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিবেন। আপনি এইভাবে নামায পূর্ণ করবেন আর শেষে সিজদা সাহু দিবেন। আর যদি ২ রাকাত না ৩ রাকাত কোনোটার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারেন, তাহলে কম রাকাত অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ২ রাকাত ধরে নামায পূর্ণ করবেন আর শেষে সিজদা সাহু দিবেন।
৭. ১ম/৩য় রাকাতে যদি না দাঁড়িয়ে বসে যান তাহলে কি করবেন?
উত্তরঃ কিছুইনা - মনে হলে দাড়িয়ে যাবেন, বাকি নামায শেষ করবেন কোন সাহু সিজদা লাগবেনা। আর যদি বৈঠক করে ফেলেন অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পড়া শেষ তাহলে শেষ বৈঠকে সিজদা সাহু দেবেন। উল্লেখ্য, ১ম ও ৩ইয় রাকাতের ২ সিজদার পরে উঠার আগে সরাসরি না উঠে একটু বসে পরে উঠা সুন্নত - একে প্রশান্তির বৈঠক বলা হয়।


লিংক 

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...