প্রশ্ন ৫৫ : অপচয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বাণী কী? অপচয়কারীর শাস্তি কি?

ইসলামের দৃষ্টিতে অপচয় ও অপব্যয় ও কৃপণতা নিষিদ্ধ
----------------------------------------------
আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু -----------------------------------------------
মানুষের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে আয়-ব্যয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন বলা হয় আয় বুঝে ব্যয় কর। আয়ের ক্ষেত্রে বৈধভাবে আয়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। কিন্তু ব্যয়ের ব্যাপারে একটা সীমারেখা রয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃপণতা যেমন দূষণীয় তেমনি অপব্যয় এবং অপচয় দূষণীয়। ইসলামের দৃষ্টিতে অপচয় ও অপব্যয় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পবিত্র কুরআন স্পষ্ট ভাষায় আল্লাহ তায়ালা অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলে ঘোষণা করেছেন। সুতরাং ইসলামী পরিভাষা মোতাবেক যে কোনো প্রকারের অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হবে।
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُواْ إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا
27
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। ( সূরা বনী ইসরাঈল-২৭)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ ادْخُلُواْ فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
208
হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা আল বাক্বারাহ-২০৮)
অপচয় বা অপব্যয় শুধুই যে আর্থিক ক্ষতিই ডেকে আনে তা কিন্তু নয়; অপচয়ের কারণে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও আরো অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে মানুষের। অপচয় ও অপব্যয় পরিবার এবং সমাজে আর্থিক দৈন্য বাড়ায় এবং মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে। وَلاَ تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ وَلاَ تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَّحْسُورًا
29
তুমি একেবারে ব্যয়-কুষ্ঠ হয়োনা এবং একেবারে মুক্ত হস্তও হয়ো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃতি, নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৯)
অপচয় ও অপব্যয় মানুষের মন্দ স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। সাধারণভাবে শব্দ দু’টো একই অর্থবোধক মনে হলেও আসলে তা নয়। অপচয় হচ্ছে বৈধকাজে প্রয়োজনাতিরিক্ত ব্যয় করা, যাকে আরবীতে ‘ইসরাফ’ বলে, আর ইংরেজিতে বলে Misuse । আর অপব্যয় হচ্ছে অবৈধ কাজে ব্যয় করা যাকে আরবীতে ‘তাবযীর’ বলে আর ইংরেজীতে বলে Wrongfull বা Imprudent-Spending ।
আরবি হাদিসঃ-
وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ الله ﷺ، قَالَ: «اتَّقُوا الظُّلْمَ ؛ فَإنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ القِيَامَةِ . وَاتَّقُوا الشُّحَّ ؛ فَإِنَّ الشُّحَّ أهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ . حَمَلَهُمْ عَلَى أنْ سَفَكُوا دِمَاءهُمْ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ». رواه مسلم
বাংলা অনুবাদঃ-
জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা অত্যাচার করা থেকে বাঁচো, কেননা অত্যাচার কিয়ামতের দিন অন্ধকার স্বরূপ। (অর্থাৎ অত্যাচারী সেদিন আলো পাবে না)। আর তোমরা কৃপণতা থেকে দূরে থাকো। কেননা, কৃপণতা পূর্ববর্তী লোকেদেরকে ধ্বংস করেছে। এ কৃপণতা তাদেরকে নিজেদের রক্তপাত করার এবং হারামকে হালাল জানার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে।’’ [মুসলিম ২৫৭৮, আহমদ ১৪০৫২]
ইসলামে অপচয় ও অপব্যয় উভয়ই নিষিদ্ধ। ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ কল্যাণ ধর্ম । তাই এতে অপচয় ও অপব্যয়ের মতো কৃপণতাও নিষিদ্ধ। কারণ কৃপণতাও মানুষের একটি মন্দ স্বভাব। বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্দয়তার লক্ষণ। কোরআন মজিদ ও হাদীসে ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য দান, অনাথ-ইয়াতীমদেরকে লালন-পালন, নিঃস্ব ব্যক্তির উপার্জনের ব্যবস্থা করা, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করা মুসলিমদের কর্তব্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কৃপণরা তা করে না। কৃপণতা মানুষকে আল্লাহ্‌ তাআলা তথা জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে শয়তান তথা জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
এ প্রসঙ্গে কোরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে-
مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ
42
বলবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত(নিক্ষেপ) করেছে?
قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ
43
তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না,
وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ
44
অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না,
وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ الْخَائِضِينَ
45
আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّين
46
এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
حَتَّى أَتَانَا الْيَقِينُ
47
আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত।
(সূরা আল মুদ্দাসসির - ৪২,৪৩,৪৪,৪৫,৪৬ ও ৪৭)
নবী কারিম সা বলেছেন, কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ্‌ থেকে দূরে জান্নাত থেকে দূরে থাকে । কিন্তু জাহান্নামের নিকট বর্তি থাকবে । তিনি আরও বলেন তোমরা কৃপণতা থেকে বেচে থাকবে । কেন না এই কৃপণতা তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করে দিয়েছে । তাদের উস্কিয়ে দিয়েছে যেন তারা রক্তপাত ঘটায় এবং হারামকে হালাল জানে ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَأَمَّا مَن بَخِلَ وَاسْتَغْنَى
08
আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়
وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى
09
এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে,
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى
10
আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى
11
যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না। (সূরা আল লায়ল-৮,৯,১০ ও ১১)
ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃপণতা যেমন দোষণীয়। সম্পদ কমে যাবে এ চিন্তায় নিঃস্ব ও বিপদ গ্রস্ত মানুষকে সহায়তা না করা জন্য কৃপণতা দোষী । আর অপচয় কারী রা দোষী এই কারনে যে তারা নিজেদের অপ্রয়োজনে ব্যয় করেছে, অথচ নিঃস্ব হয়েও বিপদগ্রস্তদের প্রয়োজন মিটাতে সাহায্য করে নি । অথচ কুরআন মাজিদ ও হাদিসে ক্ষুধার্ত কে খাদ্যদান,বস্ত্রহীনকে বস্র দান, অভাব গ্রস্তকে সাহায্য দান, অনাথ-এতিমদের লালন পালন নিঃস্ব ব্যক্তির উপার্জনের ব্যবস্থা করা, বিপদ-গ্রস্থ মানুষকে সাহায্য সহায়তা করা মুসলিমদের কর্তব্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে । মানুষ তখনই মানুষ হয়, যখন সে অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্টে সহানুভূতি দেখায়, বিপদে-আপদে সহায়তা করে। কিন্তু কৃপণ, অপচয় ও অপব্যয়কারীরা তা করতে পারে না কিংবা করে না। তাদের হৃদয় মানুষের দুঃখে কাদে না, বরং তাদের দ্বারাই মানুষ কষ্ট পায়। আর এই কারণেই ইসলামে তা নিষিদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنفِقُوا خَيْرًا لِّأَنفُسِكُمْ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
16
অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর, শুন, আনুগত্য কর এবং ব্যয় কর। এটা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর। যারা মনের কার্পন্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। (সূরা আত-তাগাবুন-১৬)
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃস্টি আমাদের প্রিয় নবী মহামানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই ‘মানুষের জন্য’। নুবওয়ত প্রাপ্তির পরে তো বটেই, নবুওয়ত প্রাপ্তির পূর্বেও ছিলেন সবধরনের মানবীয় গুণে গুণাম্বিত। আমরা জানি, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেরা গুহায় প্রথম ওহী লাভের পর কিছুটা বিচলিত হয়ে গিয়েছিলেন। ঘরে ফিরে গিয়ে শুয়ে পড়লেন এবং প্রিয় সহধর্মিনী তৎকালীন মক্কার অবিসংবাদিত বিদূষী ও পবিত্র নারী খাদিজাতুল কুবরাকে আহবান জানালেন তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিতে। খাদিজা (রাঃ) তাঁর প্রাণাস্পদের এই বিহবলতা দেখে সান্ত্বনা দেন এই বলে যে, আপনি আত্মীয়ের প্রতি সদাচার করেন, অসহায় ব্যক্তির বোঝা বহন করেন, নিঃস্ব ব্যক্তির জন্য উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহায়তা দান করেন। সুতরাং আপনার বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। অর্থাৎ আপনার জীবন ও কর্ম যেহেতু মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত, সেহেতু আপনার বিচলিত বা অস্থির হওয়ার কিছু নেই।
খাদিজা (রাঃ) ছিলেন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিচক্ষণ নারী, জাহেলিয়্যাতের কোনো কিছুই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। দেখেছেন মানুষের প্রতি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহানুভূতিশীল হৃদয়কে। তাই তিনি তাঁর প্রিয়তম স্বামীর বিহবলতার সময় প্রবোধ দিয়েছেন তাঁর মানবীয় গুণাবলীর কথা বলে। তিনি বিশ্বাস করেছেন, মানুষের জন্য যাঁর হৃদয় এতো কাঁদে তাঁর ভয়ের কিছু নেই, কোনো কিছুতেই তাঁর কোনো ক্ষতি হতে পারে না। সুতরাং অপচয় ও অপব্যয় না করে তা মানব কল্যাণে ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানুষ ও প্রকৃত মু’মিন-মুসলিমের কাজ। কোরআন মজিদে আল্লাহ্‌ তা’আলার খাঁটি বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে-
يَا بَنِي آدَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وكُلُواْ وَاشْرَبُواْ وَلاَ تُسْرِفُواْ إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
31
হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আল আ’রাফ-৩১)
وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلاَ تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا
26
আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৬)
وَالَّذِينَ إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَامًا
67
এবং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী। (সূরা আল-ফুরকান-৬৭)
মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ وَمَا أَنفَقْتُم مِّن شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
39
বলুন, আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিযিক দাতা। (সূরা সাবা-৩৯)
মহান আল্লাহ বলেন,
لَّيْسَ عَلَيْكَ هُدَاهُمْ وَلَـكِنَّ اللّهَ يَهْدِي مَن يَشَاء وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ فَلأنفُسِكُمْ وَمَا تُنفِقُونَ إِلاَّ ابْتِغَاء وَجْهِ اللّهِ وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ
272
তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না । ( সূরা আল বাক্বারাহ - ২৭২)
মহান আল্লাহ বলেন,
لِلْفُقَرَاء الَّذِينَ أُحصِرُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ لاَ يَسْتَطِيعُونَ ضَرْبًا فِي الأَرْضِ يَحْسَبُهُمُ الْجَاهِلُ أَغْنِيَاء مِنَ التَّعَفُّفِ تَعْرِفُهُم بِسِيمَاهُمْ لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللّهَ بِهِ عَلِيمٌ
273
খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে গেছে-জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত। ( সূরা আল বাক্বারাহ - ২৭৩)
ইসলামে অপচয় ও অপব্যয়ের পাশাপাশি কৃপণতাকেও জোরালো ভাবে নিষেধ করা হয়েছে কৃপণতা মানুষকে আল্লাহ্‌ তায়ালা তথা জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে দেয় শয়তান তথা জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয় । অন্য দিকে অপচয় ও অপব্যয় মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাশা পাশি চির অভাব গ্রস্ত করে তোলার সর্ব জ্ঞানী আল্লাহ্‌ তা থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে ।
ইসলামে ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থাকে গ্রহন করেছেন, মহানবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় । চৌদ্দ’শ বছর পূর্বে মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেওয়া এ বাণী দু’টির মর্মার্থ ব্যক্ত করেছেন এ যুগের বাংলাভাষী কবি এই বলে,
“যেজন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি। আশুগৃহে তার জ্বলিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।” আজ যে অপচয়কারী-বিলাসী, কাল সে ভিখারী-পরমুখাপেক্ষী। এটা যেমন ব্যক্তি জীবনে সত্য, রাষ্ট্রীয় জীবনেও সত্য। পিতৃসম্পদে সম্পদশালী ব্যক্তি যেমন বে-হিসেবী জীবনাচারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দরিদ্রতায় পর্যবসিত হয়, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধশালী দেশও অপরিণামদর্শী ভোগ-বিলাসের কারণে দরিদ্রতার দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। এক হাদিসে নবী কারিম সা বলেছেন - যে ব্যক্তি ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে সে কখনো দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত হয় না । অথচ অপচয় শুধু মাত্র আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও কর্মক্ষেত্রেই নয়, ধর্মী ক্ষেত্রেও তা জোরেশোরে চলছে । ইমাম গাজ্জালি রাহ মসজিদে সৌন্দর্য বর্ধনেও অতিরিক্ত ব্যয় অসঙ্গত মনে করতেন । মহানবী সা বলেছেন, তোমরা যুদি মসজিদে চিত্র-বিচিত্র কারুকার্য কর ও কুরআন মাজিদের উপর স্বর্ণ খচিত কর, তা তোমাদের জন্য এটা গভীর পরিতাপের বিষয় । ইসলামে পানি পর্যন্ত অপচয় না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে তা যুদি ওযুর ক্ষেত্র ও হয়ে । এ প্রসঙ্গে সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে একটা হাদিস বর্ণিত, হয়েছে তিনি বলেন, আকদিন নবী কারিম সা সাআদ রাঃ এর পাশ দিয়ে জাচিছলেন তখন তিনি ওজু করচিছলেন । নবী কারিম সা বললেন, হে সাআদ অপচয় করছ কেন !! সাআদ বললেন, ওযুতে কি অপচয় হয় ?? নবী কারিম সা বললেন, হ্যাঁ প্রবাহ মান নদীতে বসেও যদি তুমি অতিরিক্ত পানি ব্যয় কর তা অপচয় । (ইবনে মাজাহ)
অনুরূপভাবে এক সা’ পরিমাণ পানি দিয়ে ফরজ গোসল সমাধা করতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এবং তিনি নিজেও তাই করেছেন। তারপরও অনেক মূর্খ-আবিদকে দেখা যায়, ওযু-গোসলের সময় অধিক পানি ব্যবহার করে, অনর্থক হাত পা ডলে পরহেজগারী প্রদর্শন করে। অথচ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রয়োজনহীন (অসঙ্গত) কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকাই একজন ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য নিহিত” (আবু দাউদ)।
সব ধরনের নেশা ইসলামে নিষিদ্ধ । নেশা মানুষের জীবনধারণের জন্য জরুরি নয়, বরং ক্ষতিকর ও জীবন বিনাশকারী। তাই ধূমপান, মদ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করা হয় তা অপব্যয়। এ ধরনের অপব্যয়ের জন্য দ্বিগুণ পাপ।
এক• অপব্যয়ের জন্য।
দুই• নিষিদ্ধ হারাম কাজ করার জন্য।
কোনো অভাবী কিংবা ক্ষুধার্ত ব্যক্তির অভাব ও ক্ষুধা নিবারণের জন্য অর্থ ব্যয় না করে কেবল নিজের নাম প্রচারের জন্য কোনো মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা ও মাজারের শোভাবর্ধনের জন্য অর্থদান অপব্যয়। অনুরূপভাবে নিজ গৃহদারে অভাবী ও দরিদ্রদের সমবেত করে দাতা হিসেবে পরিচিতি লাভের জন্য দান করা অপব্যয়। কারণ এসব দান রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। নাম ফলানো কিংবা দুনিয়ার অন্য কোনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য দান করা ইসলাম পছন্দ করে না। ইসলামে দান হতে হবে নিঃস্বার্থ জনকল্যাণমূলক এবং আল্লাহ্‌ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্ত।
হাদিসে এসেছে, মানুষের জীবনে কিছু সময় আছে যখন সঞ্চয় করা জরুরি । তখন সঞ্চয় নাকরে ব্যয় করা অপচয় । যেমন বিবাহ করা, স্ত্রীর মোহর দেওয়া, সন্তানের বরণ পোষণ ও লেখা পড়ার খরচ নির্বাহ এবং নিজের বৃদ্ধ বয়সের আর্থিক নিরাপত্তা জন্য সঞ্চয় করা অব্যশক । তাই এই সব জরুরি ব্যয় নির্বাহের জন্য সঞ্চয় না করে ব্যয় করা অপচয় । অনুরূপ ভাবে রোগ, জরা ব্যাধি, দুর্যোগ, দুর্বিপাক, ইত্যাদি ধরনের আকস্মিক বিপদাপদে প্রতি লক্ষ্য রেখে কিছু সঞ্চয় করা রাখা অবশ্যক । এই সব দুর্বিপাকের চিন্তা না করে ব্যয় করা অপচয় । আবার সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ না করে অলস ভাবে রেখে দেওয়াও অপচয় ।
পবিত্র কোরানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آَتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَهُمْ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
(آل عمران:180)
‘আর আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দান করেছেন, তাতে যারা কৃপণতা করে। এই কার্পণ্য তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর হবে। যাতে তারা কার্পণ্য করবে সে সকল ধন সম্পদ কিয়ামতের দিনে তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে।(আল ইমরান:১৮০)
ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ইচ্ছাকৃতভাবে জাকাত না দেওয়াক কবিরা গুনাহ। কারণ জাকাত হচ্ছে গরিবের হক। এই হক আদায় করা যেমন ইসলামি-ইমানি দায়িত্ব তেমনি মানবিক অধিকারও। তাই আমাদের উচিত সামর্থবান প্রত্যেকের জাকাত আদায় করা এবং কবিরা গুনাহ থেকে বেচে থাকা।
এমন কি কোন সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার না করাও অপচয় । যেমন, একটি জমিতে তিনটি ফসল করা গেলেও তা না করে এক বা দু’টি ফসল করা উক্ত জমির অপচয়। যে ব্যক্তি যে কাজে অধিক পারদর্শী তাকে দিয়ে সে কাজে নিয়োগ না করে তুলনামূলক কম জানা ও অধ্যক্ষ লোকদের নিয়োগ করাও ধর্মী দৃষ্টিতে অপচয় বলে হাদিসেরও উল্লেখ করা হয়েছে ।
অপচয় ও অপব্যয়ের সাথে অবৈধ উপার্জনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। হাতে পর্যাপ্ত টাকা-পয়সা থাকলে কিংবা ব্যয়টা নিজের পকেট থেকে না হলেই কেবল অপচয় বা অপব্যয় করা সম্ভব। বৈধ পথে অর্জিত সম্পদ দিয়ে প্রয়োজনের অধিক ব্যয় করা কষ্টকর। অধিক তো দূরের কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যয়ই মেটানো সম্ভব হয়ে উঠে না। অতিরিক্ত ব্যয় কিংবা বিলাসপূর্ণ জীবন তারাই নির্বাহ করতে পারে যাদের অবৈধ আয় থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্যে সব সময়ই প্রবল প্রতিযোগতা বিরাজ করে। তাই সৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে খুব বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া সম্ভব নয়। চাকরিজীবীর বেতন নির্ধারিত হওয়ায় কোনো রকমে বেঁচে থাকার মতো করে জীবনধারন করে, অনেক ক্ষেত্রে তাও হয় না। সুতরাং সৎ চাকরিজীবীর পক্ষে কোনোক্রমেই অপচয় করা সম্ভব নয়। আর কৃষিজীবীদের তো পেটে-ভাতেই হয় না। অপচয় করবে কোথা থেকে। সুতরাং কোনো ব্যবসায়ী কিংবা চাকরিজীবীকে অপচয় করতে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় তার আয় অবৈধ। বাস্তবতার নিরিখে একথা সহজেই বলা যায়, অবৈধ আয় ছাড়া অবৈধ ব্যয় সম্ভব নয়। অপব্যয়ের আরেকটি ক্ষেত্র হচ্ছে, ব্যয়ে খরচকারীর নিজের সম্পদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। সরকারি অফিস-আদালত কিংবা কোম্পানীর কারখানার ব্যয় সরকার কিংবা কোম্পানীর মালিক বহন করে। তাই সরকারি অফিসে লাইট, ফ্যান, কাগজ-কলম, যানবাহন, কাঁচামালের ব্যবহারে অপচয় হয় বেশি। কেননা ব্যবহারকারীকে এসবের ব্যয় বহন করতে হয় না। আর এই একই কারণে গৃহকর্তার চেয়ে গৃহভৃত্যের অপচয়ের পরিমাণ বেশি। শহুরে জীবনে গ্যাস, লাইট, পানি ও অন্যান্য দ্রব্যের অপচয় গৃহভৃত্যদের দ্বারাই বেশি হয়।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না নিজের জন্য যা পছন্দ করো, ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ কর’। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই অক্ষয় বাণীটিকে বে-মালুম ভুলে গিয়ে কিংবা অবজ্ঞা করে আমরা নিজের অর্থ অপচয় না করলেও সরকারি অর্থ অপচয় করে চলেছি। ফলে সরকারি খাতের সবকিছুই লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ মানবিক ধর্ম। মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ বিধান এ ধর্মের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে মানুষ যাতে সহজে পৌঁছতে পারে এই নিমিত্ত মানুষের ইহকালীন আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসলাম। একজনের আয় যাতে আরেকজনের ক্ষতির কারণ না হয় সেজন্য সুদ, ঘুষ, প্রতারণা, ভেজাল, মজুদদারী, ওজনে কম দেয়া, মুনাফাখোরী, শোষণ, নির্যাতন, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি-খুন-খারাবি, স্মাগলিং ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আবার ব্যয়ের ক্ষেত্রে মদ, জুয়া, সব ধরনের নেশা ও অশ্লীলতা, ব্যভিচার, যৌনতা, অপচয়, অপব্যয়, বিলাসিতা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, অন্যায়ভাবে আয় করে অন্যায়ভাবে ব্যয় করার সমস্ত পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে ইসলাম, যাতে মানুষের ইহকালীন কর্মের জীবন ভারসাম্যপূর্ণ ও কল্যাণময় হয় এবং কর্মফল ভোগের পরকালীন চিরস্থায়ী জীবনে জান্নাত লাভ হয়। ইসলাম ধর্ম মানুষকে আল্লাহর নেয়ামত ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও ভারসাম্য রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। যেমন নিজের আনন্দ-ফুর্তি ও স্বার্থের জন্য পরিবেশ-প্রকৃতিকে ধ্বংস করা ইসলাম সম্মত নয়। বর্তমানে বিশ্বের এক শ্রেনীর মানুষ ও দেশের বাড়াবাড়ির কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। মানুষ পরিবেশ-প্রকৃতিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ হলে আজ এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। আল্লাহতায়ালা মানুষকে অফুরন্ত নেয়ামত দিয়েছেন। তিনি মানুষকে সেই নেয়ামত ব্যবহার করতে বলেছেন। কাজেই যারা আল্লাহর নেয়ামতগুলোকে একেবারেই কাজে লাগাচ্ছেনা তারাও কিন্তু সঠিক কাজ করছে না। সূরা আরাফের ৩২ নম্বর আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ قُلْ هِي لِلَّذِينَ آمَنُواْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَذَلِكَ نُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
32
আপনি বলুনঃ আল্লাহর সাজ-সজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? আপনি বলুনঃ এসব নেয়ামত আসলে পার্থিব জীবনে মুমিনদের জন্যে এবং কিয়ামতের দিন খাঁটিভাবে তাদেরই জন্যে। এমনিভাবে আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি তাদের জন্যে যারা বুঝে। (সূরা আল আ’রাফ-৩২) তবে আবার যারা এক্ষেত্রে আগ্রাসী হয়ে উঠছে,তারাও অন্যায় করছে।
আল্লাহ্‌ পাক আমাদের সহি বুজ দান করুন । আল্লাহ আমাদের সবাইকে অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকার ও মিতব্যয়ী হওয়ার নেক তাওফিক দান করুন। আমীন ।

2 comments:

  1. মহিলা সাহাবীদের নামের তালিকা দেখুন। ইসলামের সৌভাগ্যবান ৭৯ জন মহিলা সাহাবীদের নাম
    https://islami-bangla.blogspot.com/2020/02/blog-post_139.html

    ReplyDelete
  2. সুন্দর পোস্ট

    ReplyDelete

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...