আসিফ----10.12.2018 তারিখে প্রশ্ন করেছেন
শিরোনাম: ব্যাভিচারী বিয়ে জায়েজ কি?
প্রশ্ন-বিস্তারিত:
তওবা বা হদের পর ব্যাভিচারী বিয়ে করা জায়েজ কি? ব্যভিচার করেছে এমন স্ত্রী রাখা জায়েজ কি? সরাসরি তাদের বিয়ে পবিত্র মুসলিমের সাথে জায়েজ এমন কোন হাদীস বা কুরআনের আয়াত থাকলে বলবেন। কোন মুফতির ফতোয়া বা তওবা করেছে এজন্য এমন কোন যুক্তি দিবেন না। হ্যা তবে, তওবা করেছে এবং বিয়ে করা জায়েজ এমন কোন সরাসরি হাদীস বা আয়াত থাকলে বা কোন হাদীসের ঘটনা এ সম্পর্কে থাকলে বলবেন।
উত্তরঃঃ
তারিখ: 11-12-18 সময়: 02-08
24-নং সুরা-সুরা: আন্-নূর
আয়াত নং :-3
টিকা নং:5,
الزَّانِى لَا يَنكِحُ إِلَّا زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لَا يَنكِحُهَآ إِلَّا زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ ۚ وَحُرِّمَ ذٰلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ
ব্যভিচারী যেন ব্যভিচারিনী বা মুশরিক নারী ছাড়া কাউকে বিয়ে না করে এবং ব্যভিচারিনীকে যেন ব্যভিচারী বা মুশরিক ছাড়া আর কেউ বিয়ে না করে। আর এটা হারাম করে দেয়া হয়েছে মু’মিনদের জন্য।৫
তাফসীর :
টিকা:৫) অর্থাৎ অ-তাওবাকারী ব্যভিচারীর জন্য ব্যভিচারিণীই উপযোগী অথবা মুশরিক নারী। কোন সৎ মু’মিন নারীর জন্য সে মোটেই উপযোগী পুরুষ নয়। আর মু’মিনদের জন্য জেনে বুঝে নিজেদের মেয়েদেরকে এ ধরনের অসচ্চরিত্র লোকদের হাতে সোপর্দ করা হারাম। এভাবে যিনাকারীনী (অ-তাওবাকারী) মেয়েদের জন্য তাদেরই মতো যিনাকারীরা অথবা মুশরিকরাই উপযোগী। সৎ মু’মিনদের জন্য তারা মোটেই উপযোগী নয়। যেসব নারীর চরিত্রহীনতার কথা মু’মিনরা জানে তাদেরকে বিয়ে করা তাদের জন্য হারাম। যে সমস্ত পুরুষ ও নারী তাদের চরিত্রহীনতার পথে গা ভাসিয়ে দিয়েছে একমাত্র তাদের জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য। তবে যারা তাওবা করে নিজেদের সংশোধন করে নিয়েছে তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য নয়। কারণ তাওবা ও সংশোধনের পর “যিনাকারী” হবার দোষ আর তাদের জন্য প্রযুক্ত হয় না। যিনাকারীর সাথে বিয়ে হারাম হবার অর্থ ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল এ নিয়েছেন যে, আদতে তার সাথে বিয়ে অনুষ্ঠিতই হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে সঠিক কথা হচ্ছে, এর অর্থ নিছক নিষেধাজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধাচরণ করে যদি কেউ বিয়ে করে তাহলে আইনগতভাবে তা বিয়েই হবে না এবং এ বিয়ে সত্ত্বেও উভয় পক্ষকে যিনাকারী গণ্য করতে হবে একথা ঠিক নয়। নবী ﷺ একটি সার্বজনীন নিয়ম হিসেবে বলেনঃ الحرام لايحرم الحلال “হারাম হালালকে হারাম করে দেয় না।” (তাবারানী ও দারুকুতনী) অর্থাৎ একটি বেআইনী কাজ অন্য একটি আইনসঙ্গত কাজকে বেআইনী করে দেয় না। কাজেই কোন ব্যক্তির যিনা করার কারণে সে যদি বিয়েও করে তাহলে তা তাকে যিনায় পরিণত করে দিতে পারে না এবং বিবাহ চুক্তির দ্বিতীয় পক্ষ যে ব্যভিচারী নয় সেও ব্যভিচারী গণ্য হবে না। নীতিগতভাবে বিদ্রোহ ছাড়া কোন অপরাধ এমন নেই, যা অপরাধ সম্পাদনকারীকে নিষিদ্ধ ব্যক্তিতে (Outlaw) পরিণত করে। যার পরে তার কোন কাজই আইনসঙ্গত হতে পারে না। এ বিষয়টি সামনে রেখে যদি আয়াত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা যায়, তাহলে আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে এই মনে হয় যে, যাদের ব্যভিচারী চরিত্র জনসমক্ষে পরিচিত তাদেরকে বিয়ে করার জন্য নির্বাচিত করা একটি গোনাহর কাজ। মু’মিনদের এ গোনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এর মাধ্যমে ব্যভিচারীদের হিম্মত বাড়িয়ে দেয়া হয়। অথচ শরীয়াত তাদেরকে সমাজের অবাঞ্ছিত ও ঘৃণ্য জীব গণ্য করতে চায়।
অনুরূপভাবে এ আয়াত থেকে এ সিদ্ধান্তও টানা যায় না যে, যিনাকারী মুসলিম পুরুষের বিয়ে মুশরিক নারীর সাথে এবং যিনাকারীনী মুসলিম নারীর বিয়ে মুশরিক পুরুষের সাথে সঠিক হবে। আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে একথা বলা যে, যিনা একটি চরম নিকৃষ্ট কুকর্ম। যে ব্যক্তি মুসলমান হয়েও এ কাজ করে সে মুসলিম সমাজের সৎ ও পাক-পবিত্র লোকদের সাথে আত্মীয় সম্পর্ক গড়ে তোলার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। তার নিজের মতো যিনাকারীদের সাথেই আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত অথবা মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত, যারা আদৌ আল্লাহর বিধানের প্রতি বিশ্বাসই রাখে না।
এ প্রসঙ্গে নবী ﷺ থেকে যেসব হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে সেগুলোই আসলে আয়াতের সঠিক অর্থ প্রকাশ করে। মুসনাদে আহমাদ ও নাসাঈতে আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আসের (রাঃ) রেওয়ায়াত উদ্ধৃত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, উম্মে মাহ্যাওল নামে একটি মেয়ে পতিতাবৃত্তি অবলম্বন করেছিল। এক মুসলমান তাকে বিয়ে করতে চায় এবং এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অনুমতি চায়। তিনি নিষেধ করে এ আয়াতটি পড়েন। তিরমিযী ও আবু দাউদে বলা হয়েছে, মারসাদ ইবনে আবি মারসাদ একজন সাহাবী ছিলেন। জাহেলী যুগে মক্কার ঈনাক নামক এক ব্যভিচারিণীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি তাকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেন এবং রসূলুল্লাহর ﷺ কাছে অনুমতি চান। দু’বার জিজ্ঞেস করার পরও তিনি নীরব থাকেন। আবার তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করেন, এবার তিনি জবাব দেনঃ يا مرثد الزَّانِى لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً فلاَ يَنْكِحُهَا “হে মারসাদ! ব্যভিচারী এক ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারী ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবে না, কাজেই তাকে বিয়ে করো না।” এছাড়াও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) ও হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকেও বিভিন্ন হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে। সেগুলোতে বলা হয়েছে, নবী ﷺ বলেছেনঃ “কোন দাইয়ুস (অর্থাৎ যে ব্যক্তি জানে তার স্ত্রী ব্যভীচারিনী এবং এরপরও সে তার স্বামী থাকে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না।” (আহমাদ, নাসাঈ, আবু দাউদ) প্রথম দুই খলীফা হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত উমর (রাঃ) উভয়ই এ ব্যাপারে যে পদ্ধতি অবলম্বন করেন তা ছিল এই যে, তাঁদের আমলে যে অবিবাহিত পুরুষ ও নারী যিনার অভিযোগে গ্রেফতার হতো তাদেরকে তাঁরা প্রথমে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিতেন তারপর তাদেরকেই পরস্পরের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতেন। ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদিন এক ব্যক্তি বড়ই পেরেশান অবস্থায় হযরত আবু বকরের (রাঃ) কাছে আসে। সে এমনভাবে কথা বলতে থাকে যেন তার মুখে কথা ভালভাবে ফুটছিল না। হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত উমরকে (রাঃ) বলেন ওকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে একান্তে জিজ্ঞেস করুন ব্যাপারখানা কি? হযরত উমর (রাঃ) জিজ্ঞেস করতে সে বলে, তাদের বাড়িতে মেহমান হিসেবে এক ব্যক্তি এসেছিল। সে তার মেয়ের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে বসেছে। হযরত উমর (রাঃ) বলেনঃ قَبَّحَكِ اللَّهُ الا سترت على ابْنَتَكَ “তোমার মন্দ হোক, তুমি নিজের মেয়ের আবরণ ঢেকে দিলে না? ” শেষ পর্যন্ত পুরুষটি ও মেয়েটির বিরুদ্ধে মামলা চলে। উভয়কে বেত্রাঘাতের শাস্তি দেয়া হয়। তারপর উভয়কে পরস্পরের সাথে বিয়ে দিয়ে হযরত আবু বকর (রাঃ) এক বছরের জন্য তাদেরকে দেশান্তর করেন। এ ধরনেরই আরো কয়েকটি ঘটনা কাযী আবু বকর ইবনুল আরাবী তাঁর আহকামুল কুরআন গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন (পৃষ্ঠা ৮৬, ২য় খণ্ড)।
(তাফহীমুল কুরআন)
This Blog Contains Al Quran Indexing. Al Quran Searching. The Bible Verse which similar to Alquran are also described in this Blog. Tags: Al Quran, Arabic, Tafhimul Quran, Tafheemul Quran, Arabic search, Tafhimul Quran App, Al Quran Search, আল কুরআন, তাফহীমুল কুরআন, তাফহিমুল কুরআন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Featured Post
প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ
আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে। বিগত দিনের ...
-
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ (২-সুরা-বাক্বারা:১২২.)...
-
(Version 1): Zekr Software With Tafhimul Quran : ডাউনলোড করার পর এক্সট্রাক্ট করে নিবেন ইনশাআল্লাহ: 1. Download Zekr Here 2. Instructions...
-
ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ (০২-বাক্বারা-১৯৯.) তারপর যেখান থে...
-
গলায় মাছের কাঁটা আঁতকে যাওয়া যেমন অস্বস্তিকর ঠিক তেমনই কষ্টকর। তবে কিছু উপায় জানা থাকলে আপনি অল্প সময়ে দূর করতে পারবেন এই কাঁটা। জেনে নিন ত...
-
وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ الْمُؤْمِنِينَ مَقَاعِدَ لِلْقِتَالِ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (৩-আলে-ইমরান:১২১.) (হে নবী!৯৪ মুস...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ইসলামী জীবন বিধান, কুরআন, হাদীস, ইতিহাস, ফিকাহ, আধুনিক ইসলামী যুগ জিজ্ঞাসা ইত্যাদি সংক্রান্ত আপনার যে কোন প...
-
ইমামতির নিয়ম কানুন । ইমামতির জন্য আলাদা কোন নিয়ম কানুন আছে কি ? এই ভিডিওটি দেখুন (ক্লিক করুন) : ইমামতির জন্য আলাদা নিয়ম কান...
-
আসসালামু আলাইকুম । এই এ্যাপে প্রায় সাড়ে সাতাত্তর হাজার করে বাংলা, ইংরেজী ও আরবী শব্দ রয়েছে। Next - Go to Dictionary বাটনে প্রেস কর...
-
এ ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারদের আলোচনা থেকে নিন্মোক্ত বিষয়গুলি জানা যায়। এ থেকেই আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, বিবাহে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করবেন ক...
-
ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী: ‘সিনা চাক’ বা বক্ষবিদারণ শব্দটি উচ্চারণের সাথে সাথে আমাদের চিন্তা চলে যায় দেড় হাজার বছর আগে ইতিহাসের একটি বাঁ...
অ তওবাকারী এইটা আল্লাহর কিতাবে আছে? নাকি নিজ থেকে যু্ক্ত করেছেন? আমি আপনাকে একটা হাদীস দেই, শাস্তিভোগ করা যিনাকারী যেন অনুরুপ কাউকেই বিয়ে করে। (আবু দাউদ ২০৫২) আপনারা অনেক যুক্তি দিসেন। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে বলেন নাই কোন হাদীস বা কুরআনের কথা যে তওবা করার পর পবিত্র মানুষের বিয়ে করা জায়েজ। বরং আল্লাহর হারামকৃত জিনিসকে আপনারা ঘুরায়ে পেচায়ে হালাল করার চেষ্টা করতেছেন। আল্লাহ ইমাম হাম্বলকে রহম করুন। তিনি বিষয়টা বুঝতে পারছেন ,তার মতই আমি গ্রহন করবো। আপনারা সরাসরি কোন হাদীস দেখাতে পারেন নি,বরং হাদীসের কথা থেকে এটা প্রকাশ্য যে মুসলিম হবার পর যিনাকারী কখনই কোন পবিত্র মানুষকে বিয়ে করতে পারবে না এবং বিয়েও হবে না। যদি দ্বিতীয়পক্ষকে তার যিনার ব্যাপারটা না জানানো হয় তবে ১ম পক্ষেরই গোনাহ হবে এবং তারাই হারাম কাজে লিপ্ত হবে। কোন সন্দেহ নাই।
ReplyDeleteসাহাবাদের আমল এসব বিষয়ে একটা বড় ফ্যাক্ট। উপরের উত্তরে সে দিকটিতেই জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ, সাহাবাগণ সার্টিফিকেট প্রাপ্ত।
Deleteএকজন ক্বওমী আলেমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, স্ত্রী জেনা করলে তার স্বামীর সাথে বিবাহ বহাল থাকে না ভেংগে যায় ? তিনি বলেছেন, বিবাহ বহাল থাকে। আর আমার মতও এটাই। কারণ, লেয়ান কারী স্ত্রী তো লেয়ান করার পূর্ব পর্যন্ত স্বামীর সাথে থাকে, তাছাড়া সে স্বীকার করার পর তারপর তাদেরকে আদালত তালাক্ব করিয়ে দেয়, আর যদি স্ত্রী অস্বীকার করে তাহলে তাকে স্বামীর কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সুতরাং, জেনা করলে যেহেতু আপনা আপনি তালাক্ব হয়ে যায় না, বিবাহ বহাল থাকে, তাই নিছক জেনা করার কারণেই কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আটকিয়ে থাকবেনা।
সুত, জেনা করার পর কোন ব্যক্তিকে বা মেয়েকে বিবাহ কর যাবে, পবিত্র মুমিন ব্যক্তি বা মহিলা তাদেরকে বিয়ে করতে পারবে এবং এই বিয়ে শুদ্ধ হবে। কিন্তু, সে অন্যান্য কারণে অপরাধী হতে পারে, কিন্তু বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে,বিবাহই যদি শুদ্ধ না হয়, তাহলে তো একজন পবিত্র লোককে তার জেনাকারী স্ত্রীর সাথে সহবাস করার জন্য তাকেও তার স্ত্রীর সাথে রজম করে দেওয়া হতো, এভাবে যে কোন জেনার কাজে রজম করা হতো চার জনকে, নবী সাঃ বা সাহাবাদের কাছ থেকে কি এমন ঘটনা পাওয়া গেছে নাকি?
আরে ভাই, খাইলেই ত খাওয়া হয়ে যায়, তাই বলে কি হারাম খাইলেই ওটা হালাল হবে? কি অযৌক্তিক কথা। আমি মদ খাইলেই কি ওটা জায়েজ? বিয়ে তো করা যায় তবে তা হারাম হবে এটাই কথা। আর কওমী আলেম! চার ইমামের মতভেদ আছে যেখানে সেখানে এইসব আলেম ত বলাই বাহুল্য! অস্বীকার করলে স্বামীর কাছে ফিরায়ে দেয়া হয় কই পাইলেন? লিআনের পর স্হায়ী তালাক। কোন ফিরাফিরি নাই। আমি জানি না আপনি কোন মূর্খ আলেমের কাছে গেছেন! বিয়ে আটকে থাকবে কেন? বিয়ে তো করতে চাইলে হবে। কিন্ত হারাম হবে। আপনারা পরিস্কার আইন নিয়ে ইহুদীদের মত এত পেচান কেন? কথা হলো পরিস্কার, মুসলিম হওয়ার পর যিনাকারী অনুরূপ কাউকে বিয়ে করাই হালাল এবং তার জন্য পবিত্র মুসলিম বিয়ে হালাল নয়। সে যদি বিয়ের পূর্বে না জানায় তবে গুনাহগার হবে এবং জানানোর পর পবিত্র কেউ তাকে বিয়ে করলে যিনাকারীর নিজের দোষমুক্ত এবং পবিত্র ওই ব্যাক্তির নিজের হারাম কাজের দায়ভার তার নিজের ওপরই বর্তাবে। তওবার পর যদি বিয়ে হালাল হয়, তবে তওবার পর সুদের টাকা, খাওয়াও হালাল। আর আপনি কিভাবে ভাবলেন এটা ইনসাফ যে, যিনাকারী এবং পবিত্র মানুষ সমান? তাহলে তো আপনারা ইনডাইরেক্টলি বিয়ের আগে যিনা করা লাভজনকের সূক্ষ্ম একটা ফতোয়া দিয়ে দিলেন? আপনি নিজে বিয়ে করবেন এরকম কাউকে? আপনি সূরা মায়িদাহ দেখেন আয়াত ৫
ReplyDeleteবেইনসাফী করবেন না। আল্লাহর ইনসাফের আয়াতকে নিজেদের বেইনসাফী সুবিধার জন্য ব্যবহার করবেন না। আর আপনি হদের ব্যাপারে নিয়ম জানেন? রাসূল কি বলেছেন?
ReplyDeleteতোমরা আপোষে নিজেদের মধ্যেকার হদ্দ সংশ্লিষ্ট অপরাধ গোপন রাখো। অন্যথায় আমার নিকট পৌছালে তার শাস্তি বাস্তবায়িত হবেই। (আবু দাউদ ৪৩৭৬) বুঝলেন হদ্দের কার্যকরের নিয়ম?
আর যদি অশ্লীলতার ব্যাপারে জানা যায় তবে যদি তালাক না দেয় তারা ত দাইয়ুস আর মোটকথা হলো মুসলিম হওয়ার পর কেউ ব্যাভিচার করলে তাকে বিয়ে করা সর্বাবস্হায় পবিত্র মানুষের জন্য হারাম,হারাম,হারাম।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteআল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে এই মারাত্মক শিরক প্রসঙ্গে বলেন,
ReplyDeleteاِتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَاباً مِّنْ دُوْنِ اللهِ-
‘আল্লাহর পরিবর্তে তারা তাদের আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে’ (তওবা ৩১)।
আদী বিন হাতেম (রাঃ) আল্লাহর নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন, إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ ‘ওরা তো তাদের ইবাদত করে না’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন, وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ ‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল করে দিলে ওরা তা হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম করে দিলে ওরা তা হারামই মনে করে। এটাই তাদের ইবাদত করা’।[1]
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)
আসসালামু আলাইকুম
ReplyDeleteভাই আপনার এই কথাটির(জাহেলী যুগে মক্কার ঈনাক নামক এক ব্যভিচারিণীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।) ভিত্তি জানাবেন কি ?
হাদিসে এসেছে মহিলাটি উনার বান্ধবী ছিলেন আর নাসায়ি তে এসেছে মহিলাটি উনাকে যিনার প্রস্তাব দিলেন । তবে তিনি যিনাতে লিপ্ত হয়েছিলেন তা আমি দেখিনাই ।
যাইহোক ভাই এই বিষয় নিয়ে অনেক বড় বড় আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে । কেউ বলেন বিয়ে করা যাবে কেউ বলেন যাবেনা । এখন যাবেনার পক্ষে বেশ কয়েকটি হাদিস আছে আবার যাবের মক্ষে অকাট্য যুক্তি আছে । তাই ব্যাপারটা বিতর্কিতই থাক ।
কিন্তু ভাই বিয়ে করা যাবে কথাটি দ্বারা ব্যাপকভাবে যিনাকে সমর্থন করা হয়ে যায় । হয়ত আপনার আমার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে মুমিন কিভাবে যিনা করতে পারে । কিন্ত আজ অনেকে আছেন যারা কিছুটা মুসলিম/কমবেশি মুসলিম । তারাও আপনার এই লেখাটি পড়ছে । তারা খুব সহজেই আপনার এই কথাটি দ্বারা যিনার দিকে ধাবিত হতে পারে । আর তার দোষ কিন্তু অনেকটা আপনার উপর পড়বে । আপনার পরিচিত কেউ শুনলে তাকে আপনার মতামত জানান । তবে প্রকাশে এটা কইরেন না যেহেতু দলিল নেই শুধু আলেমদের মতামত আছে । অনেকে যিনাতে উৎসাহিত হতে পারে...
তাই দয়া করে এই পোস্টটি ডিলিট করুন ।
জাজাকাল্লাহু খায়রান