যদি প্রার্থিত পদের আপনি যোগ্য হোন, এবং এমন হয় যে সেই চাকুরীটি পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে তাতে আপনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন (যখন মাত্র একজন চাকুরীতে নিবে) অথবা যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন (যখন একাধিক ব্যক্তিকে নিবে) কিন্তু এমতাবস্থায়ও ঘুষ না দিলে আপনাকে চাকুরীটি দেওয়া হবে না এবং ঘুষ দেওয়াা ছাড়া উক্ত পদ পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে ঘুষদাতা গোনাহগার হবে না, ঘুষগ্রহিতা গোনাহগার হবে।
আর যদি আপনি পদটির অযোগ্য হন, তবে আপনি ঘুষদাতা হিসেবে দুইটি গোনাহের ভাগিদার হবেন। যথা-
১- ঘুষ দেয়ার গোনাহ।
২- অযোগ্য হয়ে পদ দখল করার গোনাহ।
বিপরীতে ঘুষ নেয়া কোন অবস্থাতেই জায়েজ নয়। সর্ববস্থায় ঘুষ নেয়া হারাম।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: ” لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ (مسند احمد، رقم الحديث- 6830، سنن ابن ماجه، رقم الحديث- 2313 ، سنن ابى داود، رقم الحديث- 3580، سنن ترمذى، رقم الديث- 1336
دفع المال للسلطان الجائر لدفع الظلم عننفسه وماله ولاستخراج حق له ليس برشوة يعني في حق الدافع (رد المحتار، كتاب الحظر ولاباحة-9/607، فتح القدير، كتاب ادب القاضى-7/255، البحر الرائق، كتاب القضاء-6/262
ঘুষ দিয়ে চাকুরী নেওয়ার বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা সাপেক্ষ।
১)
ধরেন, আপনি ইন্টারভিউতে ঐ চাকুরীর জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, এরপরেও ঘুষ না দিলে চাকুরী দিবেনা, সে ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়া জায়েজ।
২)
আপনি ইন্টারভিউতে যোগ্য হননি, কিন্তু ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিয়েছেন, এবং তার কাজ আপনি যোগ্যতার সাথে করছেন, এ ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়া হারাম, এবং আপনার বেতনের টাকা হালাল হবে। তবে, আপনি ঘুষ না দিলে যে ব্যাক্তির চাকুরী হতো, সেই ব্যাক্তির কষ্টের জন্য এবং যতদিন যে কষ্ট করেছে, সেটার জন্য আপনার জুলুমের গুণাহ হতে থাকবে। এক্ষেত্রে আপনি এবং ঘুষগ্রহীতা কর্তৃপক্ষ উভয়েই জালিম।
৩)
তৃতীয়ত: আপনি ইন্টারভিউতেও যোগ্য বিবেচিত হন নাই, আবার আসলে ঐ চাকুরীর রিকোয়ারমেন্ট যোগ্যতাও আপনার ছিলনা, এক্ষেত্রে ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিলে ঘুষের গুণাহ হবে, প্রতারণার গুনাহ হবে, জুলুমের গুনাহ হবে এবং আপনার চাকুরীর বেতনও হারাম হবে।
No comments:
Post a Comment