রাসুল সা: বলেন, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

 মহানবী (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর উম্মতের সংখ্যা অতীতের সব নবীর চেয়ে বেশি। কিন্তু বিশেষ কিছু মানুষ এমন রয়েছে, যারা মুসলমান হলেও নবীজি তাদের ব্যাপারে বলেছেন যে এরা আমার উম্মত নয়। নিম্নে এমন কিছু মানুষ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

যে নবীজির সুন্নাহের প্রতি বিমুখ

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহের প্রতি বিমুখ, সে আমার উম্মতভুক্ত নয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৭৭৬)।

এখানে দুটি বিষয়। একটি হলো—যে ব্যক্তি সুন্নতের ওপর আমল করতে পারে না, তবে নিজেকে এ জন্য অপরাধী মনে করে। ফলে সে মনে মনে লজ্জিত থাকে। আলোচ্য হাদিসে এমন ব্যক্তির কথা বলা হয়নি।

বরং যারা নবীজির সুন্নাহ দেখতে পারে না এবং সুন্নাহের নাম শুনলে, সুন্নতি কাজ দেখলে সে খুব বাজেভাবে রিঅ্যাক্ট করে। আলোচ্য হাদিস সেসব মানুষের জন্য প্রযোজ্য।

 

যে বড়দের সম্মান করে না

উবাদা ইবন সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সে আমার উম্মতভুক্ত নয়, যে আমাদের বড়দের সম্মান করে না এবং আমাদের ছোটকে স্নেহ করে না, আর আমাদের আলেমের অধিকার বিষয়ে সচেষ্ট নয়।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ : ৮/১৪)

যে ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করে

 

ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করল, অথবা যার ভাগ্যের ভালো-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি ওড়ানো হলো, অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করল, অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হলো, অথবা যে ব্যক্তি জাদু করল অথবা যার জন্য জাদু করা হলো অথবা যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে এলো, অতঃপর সে (গণক) যা বলল তা বিশ্বাস করল—সে ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর যা নাজিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল। (মাজমাউজ জাওয়াইদ : ৫/১২০)

 

যে ব্যক্তি অমুসলিমদের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অমুসলিমদের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন কোরো না। কেননা ইহুদিদের অভিবাদন হলো আঙুল দ্বারা ইশারা করা আর খ্রিস্টানদের অভিবাদন হলো হাতের তালু দিয়ে ইশারা করা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৩৮)

 

যে নারী পুরুষের সঙ্গে এবং যে পুরুষ নারীর সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব নারী পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যেসব পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৫৮০)

 

যে ব্যক্তি প্রতারণা করে

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘একদিন স্তূপ করে রাখা খাদ্যশস্যের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি স্তূপের ভেতর হাত প্রবেশ করালে আঙুলগুলো ভিজে গেল। স্তূপের মালিককে জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কী? মালিক জবাব দিল, হে আল্লাহর রাসুল! বৃষ্টির পানিতে তা ভিজে গিয়েছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তবে তা ওপরে রাখলে না কেন, যেন মানুষ তা দেখতে পায়? যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১০১)

 

যে ব্যক্তি মুসলমানের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করে

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ওপর (মুসলমানদের বিরুদ্ধে) অস্ত্র তোলে। আর যে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, সে-ও আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১০২)

 

মৃত্যুশোক প্রকাশে যে নারী বিলাপ করে কাঁদে

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, মৃত্যুশোক প্রকাশে যে নারী মাথা মুড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সে আমাদের (মুসলমানদের) দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩১৩০)

অন্য হাদিসে এসেছে, যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গালে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে বা জাহিলি যুগের মতো চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (বুখারি, হাদিস : ১২৯৭)

 

যে ব্যক্তি কারো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কারো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৭৫)

 

যে ব্যক্তি ছিনতাই করে

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের সম্পদ ছিনতাই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩৪০)

 

যে ব্যক্তি সুন্দর স্বরে কোরআন পাঠ করে না

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দর স্বরে কোরআন পাঠ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৭০১৯)

অথচ আমাদের মধ্যে এমন মানুষও আছে, যারা সুন্দর করে তিলাওয়াত করা তো দূরের কথা; বরং তিলাওয়াতই করতে পারে না কিংবা পারলেও বিশুদ্ধভাবে করতে পারে না। আর এভাবেই কবরে চলে যাচ্ছে!

 

যে ব্যক্তি সাম্প্রদায়িকতার প্রতি মানুষকে প্ররোচিত করে

জুবাইর ইবনে মুতইম থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসাবিয়াতের (সাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদ, গোত্রবাদ) দিকে ডাকে বা আসাবিয়াতের কারণে লড়াই-যুদ্ধ করে কিংবা আসাবিয়াতের ওপর মৃত্যুবরণ করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১২১)

হালাল হারাম এর ব্যাপারে “কেন” দ্বারা প্রশ্ন করা ।

 প্রশ্ন-বিস্তারিত: মৃত প্রানী খাওয়া যদি হারাম হয় তাহলে মানুষ মরা মাছ কেন খায়?


উত্তর : কোনো বিষয় হালাল হারাম হওয়ার অর্থ হলো, মহান আল্লাহ এবং তার রাসুল কোনো কিছু খেতে নিষেধ করেছেন, অথবা অনুমতি দিয়েছেন। এই ভিত্তিতে বিভিন্ন বর্ণনা এবং কিয়াস এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শাখা প্রশাখাগত বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শরীয়তের বিষয় হচ্ছে, আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন না যে, গরু কেন হালাল, আর শুকর কেন হারাম। সাধারণ চিনির শরবত হালাল, আর কেন মদ হারাম। আপনি মুমিন হলে কেন দ্বারা প্রশ্ন করার আপনার কোনো অধিকারই থাকবেনা। মুমিন হলো যে, বলবে, ছামি’না ওয়া আত্ব’না, শুনলাম এবং মেনে নিলাম। ব্যস। শরীয়তের কোনো কোনো বিষ”য় বৈজ্ঞানিক ভাবেই কল্যাণকর প্রমাণিত হয়েছে। এর মানে এই না যে, যেহেতু বৈজ্ঞানিক ভাবে কল্যাণকর প্রমানিত হয়েছে, তাই হালাল করা হয়েছে। না এটা নয়। বরং, কোনো কিছু বৈজ্ঞানিক ভাবে ভালো প্রমাণিত হোক চাই না হোক, শরীয়ত এর হালাল হারাম বৈজ্ঞানিক যুক্তি বা প্রমাণের মুখাপেক্ষী নয়। বৈজ্ঞানিক ভাবে ভালো প্রমাণিত হোক বা না হোক তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। শরীয়ত যেটাকে হালাল বলেছে, সেটা হালাল। শরীয়ত যেটাকে হারাম বলেছে, সেটা হারাম। এ ক্ষেত্রে আপনার যে অবকাশটুকু আছে, তা হলো, হালাল হারামের ব্যাপারে শরীয়তের দলিল আদিল্লার মজবুতি বা দুর্বলতা - এ নিয়ে চিন্তা গবেষণা বা পর্যালোচনা করতে পারেন, এর বেশী নয়। 

ইমাম যদি অতিরিক্ত রাকাত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যান, এক রাকাত বেশী পড়েন, তবে মুক্তাদি কী করবে?

 


প্রশ্ন

জামাতের নামাযে ইমাম রাকাত সংখ্যা ভুল করেছেন। তিনি জোহরের নামায পাঁচ রাকাত আদায় করেছেন। মুক্তাদিদের পক্ষ হতে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যা করছিলেন তা চালিয়ে গেলেন। যেহেতু তাঁর ইয়াক্বীন (নিশ্চয়তার) ছিল তিনি সঠিক। এক্ষেত্রে আমরা মুক্তাদি মুসল্লীরা কী করব?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

যদি ইমাম ঠিক করেছেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন এবং মুক্তাদি মুসল্লীদের সতর্ক করার দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সালাত সম্পন্ন করেন এবং পাঁচ রাকাত সালাত আদায় করে থাকেন তবে তাঁর সালাত শুদ্ধ হয়েছে এবং তাঁর উপর কিছু করণীয় নেই। সালাম ফিরানো শেষে যদি তাঁর প্রকৃত অবস্থা (তিনি যে ভুল করে পাঁচ রাকাত পড়েছেন) খেয়াল হয়, তবে তিনি ভুল করার জন্য দুটি সেজদা দিয়ে সালাম ফিরাবেন।

দুই:

যদি মুক্তাদি নিশ্চিতভাবে জেনে থাকেন যে ইমাম অতিরিক্ত এক রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন তবে ইমামকেসতর্ক করা তার উপর ওয়াজিব। যদি ইমাম তা না শুনে তবে ইমামের অনুসরণ করা তার জন্য জায়েয নয়। বরং এক্ষেত্রে তিনিইমাম থেকে আলাদা হয়ে বসে যাবেন এবং শেষ তাশাহ্‌হুদ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে ফেলবেন। যদি মুক্তাদি নিশ্চিতভাবে জানেন যে, এটি পঞ্চম রাকাত;তদুপরি তিনি ইমামকে অনুসরণ করে যান তবে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি অজ্ঞতাবশতঅথবা ভুল করে ইমামকে অনুসরণ করেথাকেন তবে তার সালাত শুদ্ধ হবে।

‘শার্‌হ মুনতাহালইরাদাত (১/২২৩) গ্রন্থে রয়েছে:

“যে ইমাম নামাযে ভুল করেছেন তাঁকে দুইজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি সতর্ক করবে। তখন সে ভুল থেকে ফিরে আসা ইমামের উপর আবশ্যকীয়; যদি না তিনি তাঁর কাজ সঠিক হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন।যদি ইমামনিজের কাজ সঠিক হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন তাহলে (মুসল্লির কথা শুনে)ফিরে আসা জায়েয নয়।”

এরপর বলা হয়েছে-“তিনি যদি পঞ্চম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যান সেক্ষেত্রে মুক্তাদির জন্য তাঁকে অনুসরণ করা জায়েয নয়। কারণ মুক্তাদি সুনিশ্চিত যে, ইমাম ভুল করছেন এবং যে রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গিয়েছেন সেটাতারনামাযের অংশ নয়। এক্ষেত্রে মুক্তাদি যদি অজ্ঞতাবশত অথবা ভুলবশত ইমামেরঅনুসরণ করে যানঅথবা যদি ইমামথেকে আলাদা হয়ে যানতবে তার সালাত শুদ্ধ হবে। যে ব্যক্তি প্রকৃত অবস্থা নিশ্চিতভাবে জানে, ইমামের অনুসরণ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া তার জন্য আবশ্যক। যে ব্যক্তি ইমাম থেকে আলাদা হয়ে গেছেন ইমাম অতিরিক্ত রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরতিনি আলাদাভাবে সালাম ফিরিয়ে নিবেন এবং শেষ তাশাহ্‌হুদ সম্পন্ন করার পর ভুল থেকে ফিরে আসার জন্য ইমামকে সতর্ক করবেন।”উদ্ধৃতি সমাপ্ত

শাইখ ইবনে উছাইমীনরাহিমাহুল্লাহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল: “যদি ইমাম ভুল করে পাঁচ রাকাত সালাত আদায় করে ফেলে, তবে তাঁর সালাতের হুকুম কী এবং তাঁর পেছনে যারা সালাত আদায় করেছে তাদের সালাতের হু্কুম কী? এবং যে ব্যক্তি দেরীতে এসে ইমামের সাথে যোগ দিয়েছে সে কি এই অতিরিক্ত রাকাত গণনা করবে?”

তিনি উত্তরে বলেন :

যদি ইমাম ভুল করে পাঁচ রাকাত সালাত আদায় করে তবে তাঁর সালাত শুদ্ধ এবং যে মুক্তাদিরা ভুলবশতঅথবা অজ্ঞতাবশত তাঁকে অনুসরণ করেছেতাদের সালাতও শুদ্ধ। কিন্তু যে মুক্তাদিনিশ্চিত থাকেন যে, এটি অতিরিক্ত রাকাত, তার জন্য ইমাম পঞ্চম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে বসে পড়া ও সালাম ফিরিয়ে ফেলা ওয়াজিব।কারণ এক্ষেত্রে তিনি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করেনযে, ইমামের সালাত সঠিক নয়। যদি তিনি এ আশংকা করেন যে, ইমাম কোন একরাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ায় গরমিল করেছেন বিধায় অতিরিক্ত পঞ্চম রাকাত পড়ছেন সেক্ষেত্রে তিনি সালাম না ফিরিয়ে ইমামের জন্য অপেক্ষা করবেন। অর্থাৎ ইমামের সাথে সালাম ফিরানোর জন্য অপেক্ষা করবেন।

আর যে ব্যক্তি দেরিতে এসে ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকাতে বা পরবর্তী কোন রাকাতে যোগ দিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সালাত আদায় করেছে, এ অতিরিক্ত রাকাতটি তার ক্ষেত্রে গণনা করা হবে।যদি সে ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকাতে যোগদেয়, তবে সে ইমামের সাথে অতিরিক্ত রাকাতসহ সালাম ফিরাবে।আর যদি সে তৃতীয় রাকাতে এসে যোগ দেয়, তবে ইমামের অতিরিক্ত রাকাতের সালাম ফিরানো শেষে আরেক রাকাত যোগ করবে।কারণ আমরা যদি বলি, যে মুক্তাদি দেরিতে যোগ দিয়েছে তাঁর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাকাতটি গণ্য হবে না, তবে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত এক রাকাত যোগ করতে হবে- যা সালাত বাতিল হওয়ার কারণ।

পক্ষান্তরে এই ইমাম অতিরিক্ত রাকাত আদায় করার ক্ষেত্রে ওজরগ্রস্ত।কারণ তিনি ভুল করেছেন। তাই তাঁর সালাত বাতিল হবে না।” উদ্ধৃতি সমাপ্ত

[মাজমূ‘ ফাতাওয়াশশাইখ ইবনে ‘উছাইমীন(১৪/১৯)]

আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।

খুতবা শুনা ওয়াজিব এবং খুতবা চলাকালীন সময়ে দু রাকাত দুখলুল মসজিদ

 খুতবা শুনা ওয়াজিব সংক্রান্ত অনেক হাদীস আছে, তার মধ্যে নিম্নে দুটি হাদীস উল্লেখ করা হলো : 



أن أبا هريرة أخبره أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال إذا قلت لصاحبك يوم الجمعة أنصت والإمام يخطب فقد لغوت (صحيح البخارى-كتاب الجمعة، باب الإنصات يوم الجمعة والإمام يخطب، رقم الحديث-892

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন তুমি তোমার পাশের জনকে জুমআর দিন বল-চুপ থাক এমতাবস্থায় যে, ইমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছে, তাহলে তুমি অযথা কাজ করলে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০০৫}

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: دَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْمَسْجِدَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ أَوْ كَلَّمَهُ بِشَيْءٍ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ أُبَيٌّ، فَظَنَّ ابْنُ مَسْعُودٍ أَنَّهَا مَوْجِدَةٌ، فَلَمَّا انْفَتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ، قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: يَا أُبَيُّ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تَرُدَّ عَلَيَّ؟ قَالَ: إِنَّكَ لَمْ تَحْضُرْ مَعَنَا الْجُمُعَةَ، قَالَ: لِمَ؟ قَالَ: تَكَلَّمْتَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، فَقَامَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَدَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَدَقَ أُبَيٌّ أَطِعْ أُبَيًّا»

হযরত জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ মসজিদে প্রবেশ করলেন এমতাবস্থায় যে, রাসুল সাঃ খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন তিনি হযরত উবাই বিন কাব রাঃ এর পাশে এসে বসলেন। বসে উবাইকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেন বা কোন বিষয়ে কথা বললেন। কিন্তু উবাই তার কথার কোন প্রতিউত্তর করলেন না। তখন ইবনে মাসঊদ রাঃ মনে করলেন তিনি হয়তো তার উপর রাগাম্বিত। তারপর যখন রাসূল সাঃ নামায শেষ করে চলে গেলেন। তখন ইবনে মাসঊদ বললেন, হে উবাই! আমার কথা জবাব দিতে তোমাকে বাঁধা দিল কে? তিনি বললেন, তুমি আমাদের সাথে জুমআর নামাযে উপস্থিত হওনি। ইবনে মাসঊদ রাঃ বললেন, তো? উবাই রাঃ বললেন, তুমি কথা বলছিলে আর রাসূল সাঃ তো তখন খুতবা দিচ্ছিলেন। [তাই কথার জবাব দেইনি]

একথা শুনে আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ দাড়িয়ে গেলেন। ছুটে গেলেন রাসূল সাঃ এর কাছে। জানালেন পুরো বিষয়টি। তখন রাসূল সাঃ বললেন, উবাই ঠিক কথাই বলেছে। তুমি এ বিষয়ে উবাই এর কথাকে মেনে নাও। [মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-১৭৯৯]

এ হাদীসটি সহীহ।


এখন, প্রশ্ন হচ্ছে, মসজিদে প্রবেশ করলেই দুরাকাত সালাত আদায় করে বসতে হয়। অতএব, এই আমল  এই আমলের জায়গায়, এবং খুতবা চলাকালীন সময়েও এই আমল করার অনুমতি বা তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 

তাই মসজিদে প্রবেশ করেই দুরাকাত সালাত পড়ে বসে যাবেন, এবং চুপচাপ খুতবা শুনতে থাকবেন। 


জুমার খুতবা চলাকালীন সময় দু রাকআত দুখুলুল মসজিদ ছাড়া বাকি খুতবা শুনা ওয়াজিব। খুতবা চলার সময় বেচা-কেনা, দুনিয়াবি কাজে ব্যস্ত থাকা, গল্প-গুজব করা এমনকি কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি নিষেধ। বরং মুসল্লির কর্তব্য হবে, খুব মনোযোগ সহকারে জুমার খুতবা শোনা। তবে এ অবস্থায় দু রাকআত দুখুলুল মসজিদের সালাত আদায় করা এই বিধানের বাইরে।
কেননা, খুতবা চলাকালীন সময় কেউ মসজিদ প্রবেশ করলেও রাসুল সা. হালকা ভাবে দু রাকআত সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি সুলাইক আল গাতাফানী রা. নামক সাহাবীকে খুতবা চলাকালীন সময় বসা থেকে উঠিয়ে তারপর দু রাকআত সালাত পড়ার পর বসতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মর্মে সহীহ মুসলিমের জুআর সালাত অধ্যায়ে ‘ইমামের খুতবা চলাকালীন সময়ে দু রাকাআত তাহিয়াতুল মসজিদ/দুখুলুল মাসজিদের সালাত আদায়’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে একাধিক হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যে ব্যাক্তি আগে থেকেই মসজিদে ছিল, সে খুতবা আরম্ভ হওয়ার পর আর নামাজ পড়বে না, চুপচাপ খুতবা শুনবে,  কিন্তু যে ব্যাক্তি খুতবা চলাকালীন সময়ে   এই মাত্র মসজিদে প্রবেশ করলো, সে হালকা দুরাকাত সালাত আদায় করে বসে পড়বে এবং খুতবা শুনবে।   

তো, এতে আপনাদের সমস্যা কোথায় ? ইসলামের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ঝামেলা সৃষ্টি না করলে কি আপনাদের ভালো লাগেনা ? 



মুসলমান বানানোর উদ্দেশ্যে অন্য ধর্মের মেয়ে বা ছেলের সাথে প্রেম ও বিবাহ বৈধ কিনা ?

 প্রশ্ন-বিস্তারিত:


প্রশ্ন : এই প্রশ্নটি আমার এক মুসলমান বন্ধুর,, সে প্রশ্ন করেছে,,, কোনো মুসলমান ছেলে যদি একটি হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম করে তাকে মুসলমান বানিয়ে তারপর তাকে বিবাহ করে। তাহলে এখানে প্রেম করা এবং বিবাহ করা,, ইসলামের আলোকে সঠিক হবে কিনা???

উত্তর : মোটেও সঠিক হবে না। এসব প্রেম এর অর্থই হলো জিনায় লিপ্ত হওয়া। জিনা শুধু সংগম করাই নয়, বরং, চোখের জিনা, হাতের জিনা, পায়ের জিনা, কন্ঠস্বরের জিনা, সব জিনাই রয়েছে। সুতরাং, প্রেমটাই ছিল জিনা, তা মুসলিম মেয়ের সাথে হোক আর হিন্দু মেয়ের সাথে হোক। শুতরাং, বিবাহের উদ্দেশ্যে জিনা করার অনুমতি কেউ কোনোদিন দেয়নি, ইসলামও দেয়নি। বরং, রাসুল সা: এর যুগে যে কয়টি জিনার শাস্তি দেওয়া হয়েছে, এবং হত্যা করা হয়েছে, কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়নাই, তোমরা বিবাহের উদ্দেশ্যে জিনা করেছিলে কিনা, এবং এই বিষয়টি প্রশ্নাতীত।

দ্বিতীয়ত: বিবাহের উদ্দেশ্যেই এখানে ইসলাম গ্রহণ করা হচ্ছে। অথচ, প্রয়োজন ছিল আল্লাহকে এক জেনে এবং রাসুল সা: কে শেষ নবী জেনে মনের আগ্রহ নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করবে। কিন্তু এখানে সেই স্পিরিট অনুপস্থিত। এখানে নিয়তেই গলদ থেকে যাচ্ছে।

তৃতীয়ত: এ ধরণের ক্ষেত্রে, কাউকে ধর্মান্তরিত করার প্রশ্নে বিবাহের উদ্দেশ্যকে কোনদিনই কোনো আলেম সমর্থন করেন নাই, এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, আপনি তাকে বিবাহ করছেন বা অবৈধ প্রেম করছেন তাকে মুসলমান বানাবেন বলে, কিন্তু দেখা গেল তার প্রেমে এমন ভাবে মজে গেলেন যে, তাকে মুসলমান বানাবেন দুরের কথা সে-ই আপনাকে হিন্দু বানিয়ে ফেলেছে। কারণ, তাকে ছাড়া আপনি থাকতে পারছেন না। অতএব, সব ধর্মের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য এবং এরকম অনেক উদাহারণও আছে।

স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য জায়েজ কিনা ?

 উত্তর : আসলে বিষয়টি হচ্ছে, স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করে - এ কথাটি শুনলেই তা বিবেক ও ইসলামের সার্বজনীন নীতি বিরুদ্ধ বিষয় বলেই প্রতীয়মান হয়। কুরআনে যে কয়স্থানে দুধ পান করার কথা বলা হয়েছে, তা সন্তানের দিকেই নিসবত করা হয়েছে। একজন সাহাবী তার সন্তান মায়ের বুক থেকে দুধ চুষে না খেতে পাওয়ার কারণে, ঐ সাহাবী তার স্ত্রীর স্তন চুষে দুধ বের করে সন্তানকে খাওয়ান। এমতাবস্থায়, কিছু দুধ তার পেটে চলে যায়। তখন তার খটকা লাগে। আবু মুসা রা: কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোমার স্ত্রী হারাম হয়ে গেছে। কিন্তু ইবনে মাসুদ রা: কে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের দুধ পান করানো দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয় না। এখানে উল্লেখ্য যে, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হারাম সাব্যস্ত হয় না, তাই বলে দুধ পান ঢালাও ভাবে বৈধ একথাও প্রমাণিত হয়না। যদি ঢালাও ভাবে বৈধই হতো তাহলে স্ত্রীর দুধ গলায় চলে যাওয়ার কারণে ঐ সাহাবীর মনে এই খটকা আসতো না, এবং তিনি উত্তর পাবার জন্য অন্যান্য সাহাবীর দ্বারস্থ হতেন না। স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য যদি বৈধ ঘোষণাই করা হতো, তাহলে ঐ সাহাবী এ প্রশ্ন উত্থাপন করতেন না। এখানে বলা হয়েছে, স্ত্রী হারাম হবেনা, কিন্তু দুধ পান বৈধ, এটাও বলা হয়নি।

এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্ত্রীর দুধ পান করা নয়, কিন্তু যৌন তৃপ্তির ক্ষেত্রে স্ত্রীর স্তন চোষা স্বামীর জন্য জায়েজ কিনা ?

এটি জায়েজ, এখানে দুধ পান করা উদ্দেশ্য নয়, এবং স্বামী দুধ পান করবেও না, শুধুমাত্র স্বামীর বা উভয়ের পরিতৃপ্তির জন্য স্বামী এমনটি করে থাকে। এটি জায়েজ।

জানাযার নামাজ এর নিষিদ্ধ সময় ।

 প্রশ্ন:  আমাদের এলাকায় একবার আসরের পর এক মাইয়েতের জানাজা উপস্থিত হয়। কিন্তু অভিভাবক ও নিকটাত্মীয়রা আসতে দেরি হয়ে যায়। ফলে মাকরুহ সময় চলে আসে (অর্থাৎ সূর্যের রঙ বিবর্ণ হয়ে যায়)। তখন উপস্থিত লোকদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়, ওই নিষিদ্ধ সময়ে জানাজা পড়া যাবে কিনা।


কেউ বলেন, পড়া যাবে, কেউ বলেন, পড়া যাবে না; বরং মাগরিবের পর পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিক সমাধান জানিয়ে উপকৃত করবেন।


জবাব : সাধারণ অবস্থায় জানাজার ক্ষেত্রে বিলম্ব না করার কথা হাদিসে এসেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা জানাজাকে দ্রুত নিয়ে যাও। কেননা মৃত ব্যক্তি যদি নেক লোক হয়, তা হলে কল্যাণের দিকেই তোমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছ। আর যদি মন্দ হয় তা হলে সে ক্ষেত্রে তোমাদের ঘাড় থেকে আপদ সরিয়ে দিচ্ছ।’ (বুখারি : ১৩১৫; মুসলিম : ৯৪৪)।

অন্যদিকে আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) তিন সময়ে জানাজা ও অন্য সব নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। হযরত উকবা বিন আমের (রা.) বলেন, তিনটি সময় এমন রয়েছে, যাতে রাসুল (সা.) আমাদের নামাজ পড়তে বা আমাদের মৃতদের দাফন করতে (অর্থাৎ তাদের জানাজা পড়তে) নিষেধ করতেন- ১. সূর্য উদিত হওয়ার সময় থেকে (দুই বর্ষা পরিমাণ) ওপরে ওঠা পর্যন্ত। ২. দ্বিপ্রহরে ছায়া যখন স্থির থাকে তখন থেকে সূর্য মধ্যাকাশ থেকে হেলে যাওয়া পর্যন্ত। ৩. সূর্য অস্তমুখী হওয়া থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। (মুসলিম : ৮৩১)।

অতএব স্বাভাবিক অবস্থায় জানাজায় বিলম্ব করবে না। তবে ওই নিষিদ্ধ সময়ের আগে জানাজা হাজির হলে ওই সময় শেষ হওয়ার পর তা আদায় করবে। তবে যদি কোনো ক্ষেত্রে এমন হয়, বিলম্ব করলে লাশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা অভিভাবক ও আত্মীয়দের বেশি সমস্যা হয়, কিংবা জানাজা এমন এলাকায় হয় যেখানে রাতে দাফন করতে অসুবিধা হবে, তা হলে এ ধরনের ওজরের কারণে নিষিদ্ধ সময়ে জানাজা আদায় করে নেওয়ার অবকাশ আছে। (আলমাবসূত, সারাখসি : ২/৬৮; বাদায়েউস সানায়ে : ১/২২৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/৬৭, ২২৩; ফাতহুল কাদির : ১/২০২; তাবয়িনুল হাকায়েক : ১/৩২৯; আলবাহরুর রায়েক : ১/২৪৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৫২; ইলাউস সুনান : ৮/৩৫৮)

আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, জানাজার নামাজকে অনেক ইমাম এবং স্কলারগণ আসলে সাধারণ নামাজের ন্যায় মনে করতেন না। এটি মৃতব্যাক্তির জন্য দোয়া স্বরূপ। তাই বিশেষ পরিস্থিতিতে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে জানাযার নামাজ পড়া যাবে। 

ডাকে বা নিলামে বিক্রি করা ইসলামে জায়েজ ?

 উত্তর : আসলে এমন কোনো ক্ষেত্র যেখানে বিক্রেতা তার ঐ জিনিসের মূল্য নির্ধারণে অপারগ বা সমাজে তার মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছেনা, অথবা কোনো কর্তৃপক্ষ এমন কোনো জিনিস বিক্রয় করছেন, যেখানে সমাজের সমস্ত ক্রেতার অধিকার সমান, কারো কাছে নির্দিষ্ট করে বিক্রি করা সম্ভব নয়, এমন ক্ষেত্রে ডাকে বিক্রি করা জায়েজ । তবে, ডাকে বিক্রিটাকে আমাদের সমাজে অবৈধভাবে অধিক মুনাফার আশায় এমনটি করা হয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও ভুক্তভোগী হয় সাধারণ জনগণ। যেমন: বাজারে জেলেরা যখন মাছ নিয়ে আসে তখন বাজারের মাছ ব্যবসায়িদের সামনে বাজার কমিটি ঐ মাছ নিলামে বা ডাকে উঠায়। দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা রেষারেষি করে তার বাজার মূল্যের চাইতেও দ্বিগুণ মূল দিয়ে ডাকে কিনে নেয়, এরপর এর প্রভাব পড়ে সাধারণ জনগণের উপর, তাদের রেষারেষি বা মুনাফালোভীর কারণে, সাধারণ ক্রেতাদের দ্বিগুণ মূল্যে মাছ ক্রয় করতে হয়। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ না জায়েজ এবং হারাম। এভাবে আরো অনেক বিষয় আছে, যেটাকে ডাকের নামে আসলে সাধারণ ক্রেতাদের উপর জুলুম চাপিয়ে দেওয়া হয়। এই ধরণের হারাম কার্য থেকে রাষ্ট্র ও সমাজের সরে আসা উচিত। বাংলাদেশে হাট কেনা বেচার ডাক সিস্টেমটিও অবৈধ এবং হারামের পর্যায়েই পড়ে। কারণ, এর মাশুল গুণতে হয় মূলত: সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের গভীর ভাবে ভাবা উচিত। কারণ এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত দ্রব্যমূলের উপরেই পড়ে এবং দ্রব্যমূল্য বিনা কারণে উর্ধবগতি হয়।

নারী ও পুরুষের পর্দা / পুরুষ ও মহিলাদের পর্দা

 ১) ইসলামে পুরুষের পর্দা ।  : 

https://alquranindex114.blogspot.com/2020/03/blog-post_88.html


২) ইসলামে নারীর পর্দা :

  https://alquranindex114.blogspot.com/2020/07/blog-post_65.html


৩) হিজাব ও পর্দা : 

 https://alquranindex114.blogspot.com/2020/07/blog-post_16.html


৪) মাহরাম ও গায়রে মাহরামের তালিকা : 

 https://alquranindex114.blogspot.com/2021/08/blog-post_0.html


৫) মাহরাম ও গায়রে মাহরামদের সামনে নারী ও পুরুষের সতর ও পর্দা                  https://alquranindex114.blogspot.com/2021/07/blog-post_20.html


৬) মহিলাদের নামাজের সময়ের পর্দা :

 https://alquranindex114.blogspot.com/2019/08/blog-post_39.html

Tafhimul Quran Desktop App - Tafhimul Quran Windows App - Al quran Search And Browse For Windows - তাফহীমুল কুরআন উইন্ডোজ এ্যাপ

(Version 1):  Zekr Software With Tafhimul Quran : 



ডাউনলোড করার পর এক্সট্রাক্ট করে নিবেন ইনশাআল্লাহ: 

1. Download Zekr  Here

2. Instructions ( required Vrinda Font)  

3. Translation Pack (Tafhimul Quran) 


=====================================================


(Version 2 ) :  Al Quran Search And Browse For Windows / Desktop Computer (For 64 bit PC) : 


আলহামদুলিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

এ্যান্ড্রয়েড তাফহীমুল কুরআন এ্যাপ Al Quran Search And Browse এর ন্যায় উইন্ডোজ এর জন্যও তাফহীমুল কুরআন উইন্ডোজ এ্যাপ তৈরী করা হলো।

এই এ্যাপে যে সুবিধাগুলো থাকছে :

অন্যান্য তাফসীর ও অনুবাদ মিলিয়ে প্রায় ১৫০ টি,
ফী যিলালিল কুরআন,
১৮০ টিরও বেশী ইসলামী সাহিত্য,
১৮ টি হাদীস গ্রন্থ,
আল কুরআন বাংলায় ও আরবীতে সার্চ করার সুবিধা,
আরবী রুট ওয়ার্ড সার্চ,
আল কুরআনের সকল শব্দের শব্দার্থ ও গ্রামার,
২৪ জন ক্বারীর কুরআন তিলাওয়াত - ইত্যাদি আরো সুবিধা সহ এই এ্যাপটিতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

যারা প্রতিদিন এক রুকু করে কুরআন অধ্যয়ন করতে চান, তাদের জন্য সুরা ও রুকু ভিত্তিক সিস্টেম অত্যন্ত উপযোগী হবে।
তাছাড়া, এই এ্যাপে সংযোজিত হাফেজী কুরআন এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো একবার প্লে দিলেই এক পৃষ্ঠা বা এক রুকু তিলাওয়াত হয়ে যাবে। তিলাওয়াত শেষে প্লে দিলে আবার ঐ রুকুটিই পুনরায় প্রথম থেকে তিলাওয়াত হবে।
মহান আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি।



( বি: দ্র:  এই এ্যাপটি শুধুমাত্র ৬৪ বিট কম্পিউটারে চলবে।  আর   গুগল ড্রাইভ সাধারণত ৫০/৬০ এমবির চাইতে বড় ফাইল হলে ভাইরাস স্ক্যান ওয়ার্নিং দেয়।  তাই উপরোক্ত লিংক এ ক্লিক করার পর Download Any Way বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলেই ডাউনলোড শুরু হবে ইনশাআল্লাহ ) 


Tafhimul Quran তাফহীমুল কুরআন




সুদের টাকায় বাড়ি বানানো

 প্রশ্ন-বিস্তারিত: আমি বাড়ী করার জন্য ১টা ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঋন নিয়েছিলাম। ঋনের টাকায় করা ঘরে ইবাদত করলে কবুল হবে কি না??? প্রশ্নের আরেকটা অংশঃক্রেডিটকার্ড দিয়া কেনাকাটা করা, ক্রডিটকার্ড থেকে টাকা নিয়া খরচ করা, ব্যাংকের নিয়ম হলো ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে দিলে সুদ দিতে হয় না। আমি ৪৫ দিনের আগে জমা দিয়ে থাকি। এখন আমার প্রশ্ন হলো - এসব কি জায়েজ হবে??? কোরআন হাদীসের আলোকে উত্তর দিলে উপকৃত হব, জাজাকাল্লাহ।


উত্তর : প্রথম প্রশ্নের ব্যাপারে একটা মূলনীতি আমি আগেও বলেছি, কোন গোনহ করার পর ঐ গোনাহের অধিনে অন্য কোন কাজ জায়েজ বা নাজায়েজ এই প্রশ্নটি আসলে অবান্তর, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধৃষ্টতা। প্রথমে ঐ আসল গোনাহের সমাধান করতে হবে, তাহলে তার অধিনে প্রশ্নগুলোই আর থাকবে না। সুদের টাকা নিয়ে বাড়ি বানানো হারাম। কিন্তু বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন, এখন কি করবেন ? আপনার প্রশ্ন আসলে এইটা। এই সমস্যার সমাধান কল্পে একটা পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। খেয়াল করবেন, আপনার মনে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়েছে কিনা? এই গোনাহ থেকে তওবা করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে কিনা, তাহলে খাটি ভাবে তওবা করবেন, আর যে পরিমাণ টাকা সুদ দিয়েছিলেন, সেই পরিমাণ টাকা গরীব দু:খিদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু অবশ্যই প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো আপনার মনে অনুশোচনা এসেছে কিনা এবং আপনি খাটি তওবা করেছেন কিনা। ঐ ঘরে নামাজ হবে কি হবেনা আসলে এই প্রশ্ন অবান্তর যেহেতু ঘরটিই তৈরী হয়েছে গোনাহ দিয়ে, তাই ঐ ঘরে নামাজ হবে কি হবেনা, এইটা জিজ্ঞেস করাও অন্যায় । আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের আলোকে বলা যায়, যদি ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিলে সুদ না দিতে হয়, তাহলে জায়েজ হবে। তবে, এক্ষেত্রেও একটি সমস্যা আছে। আপনি যে ক্রেডিট খরচ করছেন, বা ব্যাংকের সাথে লেনদেন করছেন, তা মূলত সুদ ভিত্তিক ব্যাংক কিনা। আপনার ঐ ব্যাংকের সাথে লেনদেন, টাকা জমা রাখা, বা টাকা লোন নেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুদ জড়িত কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।

জনসংখ্যার (population)বৃদ্ধি বা অধিক জনসংখ্যা বর্তমানে একটি বড় সমস্যা। এর কোনো ইসলামি সমাধান আছে কি?

উত্তর : বরং, আপনি যেটাকে সমস্যা মনে করছেন, সেইটা আসলে সমস্যাই না বরং, আল্লাহর রহমত। পাশ্চাত্য চিন্তা চেতনার কারণে আমাদের অন্তর পচে গেছে, ফলে আমরা সঠিক জিনিসকেই বেঠিক মনে করি, এবং এর সমাধান খুজতে আবার পাশ্চাত্যের কাছেই যাই। ইসলামে তার সমাধান নাই বলে আফসোস করি। আসলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি মূলত আল্লাহর মেহেরবানী। এখন কেউ যদি মেহেরবানীকেই সমস্যা মনে করে, তাহলে তো তার মতো কপাল পোড়া আর কেউ নাই।

রাসুল সা: বলেছেন, তোমরা অধিক সন্তান নাও, কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের সংখ্যাধিক্যের কারণে, আমি গর্ব করবো।

রাসুল সা: অন্যত্র বলেছেন, তোমরা এমন নারীদের বিয়ে করো যারা অধিক সন্তানবতী।

দেখুন, পৃথিবীতে যখন কম সংখ্যক লোক ছিল, তখনও অভাব ছিল। আর এখন বিশাল জনগোষ্ঠির রিজিকও আল্লাহ দিচ্ছেন। নতুন নতুন পদ্ধতিতে বিপুল পরিমাণ শস্য ও দ্রব্যাদি উৎপাদনের জ্ঞান আল্লাহ মানুষকে দান করে চলেছেন, তারপরেও শুকরিয়া আদায় করবেন না ? তাহলে তো আপনি না শোকরী বান্দার কাতারে চলে যাবেন।

প্রচলিত শিরক গুলো কি কি।

 প্রশ্ন-বিস্তারিত: প্রচলিত শিরক গুলো কি কি।

উত্তর : ভালো প্রশ্ন করেছেন। আসলে এ ব্যাপারে কুরআন মজিদ পড়তে হবে। কুরাানে শিরক এর মূলনীতি গুলো বলে দেওয়া হয়েছে। সমাাজের বিভিন্ন বিষয়গুলেো খুজে খুজে কোনটা শিরক তা বলা কঠিন। কে কোথায় কোন বিষয়ে শিরক করছে, তা খুজে বলা মুশকিল। সেই দীর্ঘ তালিকায় না গিয়ে কুরআন থেকে শিরক এর মূলনীতি গুলো জেনে নেওয়া জরুরী। ধরুন, এখানে দীর্ঘ তালিকা দেওয়া হলো, এটা শিরক, ওটা শিরক ইত্যাদি। যেমনটি অনেকেই করেছেন। এবং সেগুলোর মধ্যে অনেক বৈপরিত্য দেখেছি। সুতরাং, জরুরী হলো, কুরআন থেকে মূলনীতি জেনে নেওয়া। শিরক এর প্রধান মূলনীতি হচ্ছে, আল্লাহর গুণ, ক্ষমতা, কার্যাবলী, এখতিয়ার ও অধিকারে আল্লাহ ব্যতীত অন্য যে কোন সত্ত্বাকে অংশীদার মনে করা । আল্লাহর একত্ববাদের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে শামিল করা, যার ফলে আল্লাহর একত্ববাদ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, এগুলো শিরকের মূলনীতি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত ও গোলামীর ক্ষেত্রে অন্য কাউকে অংশীদার করা । এটিও শিরকের গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি। তাই, কুরআন থেকে শিরকের মূলনীতি গুলো জানার জন্য কুরআন বুঝে পড়তে হবে। ফলে, ইনশাআল্লাহ শিরক সম্বন্ধে আপনার ধারণা পরিস্কার হয়ে যাবে। ফলে যে, বিষয়ই আপনার সামনে আসুক, সেটা শিরক কিনা তা আপনি বলতে পারবেন। কারণ, শিরক বিষয়টি বাহ্যিক কাজ এবং মনের নিয়ত ও ধারণা এ দুটি বিষয়ের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত। তাই এ বিষয়ে কুরআন থেকে মূলনীতি জেনে নিতে হবে। কুরআন বুঝে পড়তে হবে।

ফোন / ভিডিও কলের মাধ্যমে বিবাহ

আস্সালামু আলাইকুম,আমি সৌদি প্রবাসি,আমি মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে বিবাহ করতে চাচ্চি,এ ব্যাপারে ইসলামে বিধি নিষেদ আচে কিনা,বা জায়েয কিনা,জানালে উপকৃত হবো। 


উত্তর : ওয়া আলাইকুম আস সালাম। ১) ঐ মেয়ে আপনার পরিবার কৃর্তক পরিচিত হতে হবে। ২) ঐ মেয়ের পরিবারের সাথে আপনার পরিবারের সাক্ষাত এবং মেয়ের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে। ৩) বিবাহ পড়ানোর সময় উভয় পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে এবং ফোনের লাউড স্পিকারের মাধ্যমে তা উভয় পক্ষকে শুনতে হবে। এ ব্যাপারে ভিডিও কল হতে হবে। যাতে উভয় পক্ষের পরিবার এবং বিবাহের সাক্ষীগণ তা দেখতে পায়।

কুরআনের বহু স্থানে মহান আল্লাহ তার নিজের জন্য আমি শব্দ ব্যবহার না করে আমরা শব্দ ব্যবহার করেছেন।

 প্রশ্ন-বিস্তারিত:

সুরা: আল-বাক্বারাহআয়াত নং :-49টিকা নং:64, 65, 66, وَ اِذْ نَجَّیْنٰكُمْ مِّنْ اٰلِ فِرْعَوْنَ یَسُوْمُوْنَكُمْ سُوْٓءَ الْعَذَابِ یُذَبِّحُوْنَ اَبْنَآءَكُمْ وَ یَسْتَحْیُوْنَ نِسَآءَكُمْؕ وَ فِیْ ذٰلِكُمْ بَلَآءٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ عَظِیْمٌস্মরণ করো সেই সময়ের কথা৬৪যখন আমরা ফেরাউনী দলের৬৫দাসত্ব থেকে তোমাদের মুক্তি দিয়েছিলাম। তারা তোমাদের কঠিন যন্ত্রণায় নিমজ্জিত করে রেখেছিল, তোমাদের পুত্র সন্তানদের যবেহ করতো এবং তোমাদের কন্যা সন্তানদের জীবিত রেখে দিতো। মূলত এ অবস্থায় তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য বড় কঠিন পরীক্ষা ছিল। এখানে আমরা ফেরাউন জাতির দাসত্ব থেকে তোমাদের মুক্তি দিয়েছিলাম!!এখানে "আমরা" কেনো হবে?আল্লাহ মুক্তি দিয়েছেন মানে আল্লাহ যেহেতু মুক্তি দিয়েছেন এখানে "আমি " হবে।।এরকম আরো অনেক যায়গায় রয়েছে আ আল্লাহ বলছেন অথছো আমরা লিখা হয়েছে!!এটা তো মারাত্মক রকমের ভুল মনে হচ্ছে।


উত্তর : আরবী কুরআনের উক্ত আয়াতেই তো আল্লাহর জন্য আমরা শব্দ লেখা হয়েছে, তাহলে কি বলবেন এখন কুরআনেই ভুল রয়েছে ? আগে বিষয়টা ভালো ভাবে বুঝে নিবেন, এরপর ভুল হয়েছে কিনা সে মন্তব্য করবেন। সুতরাং, যেহেতু ভুল বলছেন, আপনার উচিত হবে, কুরআন সংশোধনের জন্য আওয়াজ তোলা।

আসলে আমরা ভুল খুজতে উস্তাদ। এবং কোথাও কোনো কিছু আমাদের দৃষ্টিতে ভুল মনে হলেই, মুখে আর লাগাম থাকেনা। সেটাকে তলিয়ে দেখার আমাদের কোনো ফুরসত আমাদের থাকেনা।

মূলত: কুরআনের বহু স্থানেই আল্লাহ তার নিজের জন্য আমরা শব্দ বলেছেন। আমাদের শব্দ ভান্ডারে আসলে শব্দের ঘাটতি রয়েছে, তাই আমাদেরকে কথার গুরুত্ব বুঝানোর জন্য আল্লাহ তার নিজের জন্য আমি শব্দ ব্যবহার না করে, আমরা শব্দ ব্যবহার করেছেন। বুঝতে হবে, কুরআন হচ্ছে বিশ্বজগতের প্রতিপালক ক্ষমতাধর কর্তৃপক্ষ থেকে নাযিল কৃত একটি রাজকীয় কিতাব। পৃথিবীর সরকার প্রধনেরা যেমন কোনো কিছু বলার সময় আমি করেছি না বলে, বলে, আমরা করেছি, অথবা, আমি শাস্তি দেব, না বলে, বরং, বলে আমরা শাস্তি দেবো, আমরা এর বিহিত করবো, ইত্যাদি। তদ্রুপ কথার গুরত্ব বুঝানোর জন্য মহান আল্লাহ আমি না বলে আমরা বলেছেন, এটি আমাদের জন্যই। আসলে আমাদের শব্দ ভান্ডারে শব্দের ঘাটতি থাকার কারণে বিশ্ব জগতের প্রকৃত স্বরূপ সম্বন্ধে এমন অনেক বিষয়ই কুরআন আমাদের নিজেদের ভাষায় ব্যক্ত করেছে, কথার গুরুত্ব বুঝানোর জন্য, আমাদের মন মস্তিস্ক যেন সেই কথাটির গুরুত্ব বুঝতে পারে।

অসহায় পরিবারের শিশু সন্তান পাল নেওয়া প্রসঙ্গে।

 

প্রশ্ন-বিস্তারিত:
আমি একটা অসহায় পরিবারের একদিন বয়সের একটি মেয়ে শিশু লালন পালন করার জন্য নিলাম। এখন মেয়েটির জন্মনিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্টানে, আইডি কার।কার্ডে এমন কি বিবাহ দেয়ার সময় আক্দ করার সময় আমার নামে আক্দ করা এবং কাবিন নামায় আমার নাম ব্যবহার করা যাবে কিনা?করলে শরিয়তে কোন বিধি লংঘন হচ্ছে কিনা কোরআন হাদিসের রেফারেন্স সহ জানালে উপকৃত হবো। এবং জানতে চাই।

উত্তর : জ্বী, ভাই এ ব্যাপারে নিষেধ আছে। অন্যের সন্তান লালন পালন করার ব্যাপারে বিধি নিষেধ হলো, পিতার নাম কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবেনা। এমন কি কোনো কোনো স্কলার আব্বা ডাকার ব্যাপারেও আপত্তি করেছেন। তবে কেউ কেউ মত দিয়েছেন, সম্মানার্থে বাবা ডাকা যাবে।

আর মেয়ে শিশু পালক নেওয়ার ব্যাপারে আরো একটি বিষয় হলো, এই মেয়ে সাবালক হলে তার সাথে আপনাকে এবং পরিবারের অন্যান্য পুরুষদের সাথে পর্দা করতে হবে। তবে পালক মেয়ে যদি আপনার স্ত্রীর দুধপান করে বড় হয়, তবে তাতে আপনি দুধ বাবা হয়ে যাবেন। তাহলে সে আপনার দুধ মেয়ে হয়ে গেল। ফলে পর্দার ব্যাপারটা শিথিল হয়ে যাবে।

রাসুল সাঃ পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, এই পালক সিস্টেমে পর্দা মানা হতোনা এ ধরণের কিছু বদ রসম ভংগ করার জন্য। মানুষের সমালোচনার মুখে কুরআনের আয়াত নাজিল হলো, 'মা কানা মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম মি 'রিজালিকুম' (৩৩ :৪০), - "মুহাম্মদ কোনো সাবালক লোকের পিতা নয়।'আরেকটি প্রসংগে আয়াত নাজিল হয়েছে" তোমরা কাউকে মা বলে দিলেই সে মা হয়ে যায়না। বরং তোমাদের মা তো সে, যে তোমাকে জন্ম দিয়েছে।"

এখন অসহায় প্রসঙ্গে, আপনি যদি সত্যিই একটি অসহায় পরিবারকে সহায়তা করতে চান, তা হলে, ঐ মেয়ে শিশুকে তাদের পরিবারেই রেখে দিন, পরিবারকে ঐ মেয়ের খরচ বাবদ মাসিক একটা খরচ দিয়ে দিন, তার পড়ালেখা ও বিবাহের সময়ও খরচ দিন। এতে আশা করা যায়, বিপুল সওয়াবের অধিকারী হবেন, ইনশাআল্লাহ”। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ইনশাআল্লাহ।



Al Quran All Root Verbs (Total : 1918)

 Word | Occurrences


آدم 25

آزر 1

ا 524

أبابيل 1

ابب 1

ابد 28

ابراهيم 69

ابريق 1

ابق 1

ابل 2

إبليس 11

ابو 117

ابى 13

اتى 553

اثث 2

اثر 21

اثل 1

اثم 48

اجج 3

اجر 108

اجل 56

احد 85

احزاب 11

احقاف 1

احمد 1

اخذ 273

اخر 250

اخو 96

ادد 1

ادريس 2

ادى 6

اذ 310

اذا 454

اذن 102

اذى 24

ارب 2

ارث 35

ارض 461

ارك 5

ارم 1

ازر 2

ازز 2

ازف 3

اسباط 4

استبرق 4

اسحاق 17

اسر 4

اسرائيل 43

اسس 3

اسف 5

اسلام 8

اسماعيل 12

اسن 1

اسو 7

اسى 7

اشر 2

اصر 3

اصل 10

أعراف 2

افف 3

افق 3

افك 27

افل 4

اقصو 1

اكل 109

الا 703

التى 68

الذان 2

الذى 304

الذين 1080

الف 22

الك 88

اللاتى 10

اللائى 4

الل 2

الله 2816

الم 75

اله 2963

الو 37

الى 776

الياس 2

الياسين 1

اليسع 2

ام 133

اما 29

أما 37

امت 1

امد 4

امر 249

امس 4

امل 2

امم 124

امن 879

امو 2

ان 1569

انا 68

انت 81

انتم 135

انتما 1

انث 30

انجيل 12

انس 338

انف 3

انم 1

انن 1835

اننى 17

انى 8

اهل 153

او 280

اوب 17

اود 1

اولاء 50

اول 368

اولى 9

اون 8

اوه 2

اوى 418

اى 1

اياك 2

اياكم 6

ايان 6

ايانا 2

اياه 8

اياهم 1

اياى 5

ايد 11

ايكه 4

ايم 1

اين 33

ايوب 4

ائى 382

ايى 628

ب 2649

بابل 1

بتر 1

بتك 1

بتل 2

بثث 9

بجس 1

بحث 1

بحر 42

بخس 7

بخع 2

بخل 12

بدء 15

بدر 2

بدع 4

بدل 44

بدن 2

بدو 31

بذر 3

برء 31

برج 7

برح 3

برد 5

برر 32

برز 9

برزخ 3

برص 2

برق 10

برك 32

برم 2

بره 8

برهن 8

بزغ 2

بسر 2

بسس 2

بسط 25

بسق 1

بسل 2

بسم 1

بشر 123

بصر 148

بصل 1

بضع 7

بطء 1

بطر 2

بطش 10

بطل 36

بطن 25

بعث 67

بعثر 2

بعد 235

بعر 2

بعض 158

بعل 7

بغت 13

بغض 5

بغل 1

بغى 96

بقر 9

بقع 1

بقل 1

بقى 21

بكر 12

بكم 6

بكة 1

بكى 7

بل 127

بلد 19

بلس 5

بلع 1

بلغ 77

بلو 38

بلى 22

بنن 2

بنو 164

بنى 20

بهت 8

بهج 3

بهل 1

بهم 3

بوء 17

بوب 27

بور 5

بول 4

بيت 73

بيد 1

بئر 1

بئس 73

بيض 12

بيع 15

بين 523

ت 9

تابوت 2

تبب 4

تبت 2

تبر 6

تبع 174

تجر 9

تحت 51

ترب 22

ترف 8

ترق 1

ترقوه 1

ترك 43

تسع 7

تعس 1

تفث 1

تقن 1

تلك 41

تلكم 1

تلكما 1

تلل 1

تلو 63

تمم 22

تنور 2

توب 87

تور 2

توراة 18

تين 1

تيه 1

ثبت 18

ثبر 5

ثبط 1

ثبى 1

ثجج 1

ثخن 2

ثرب 2

ثرى 1

ثعب 2

ثقب 2

ثقف 6

ثقل 28

ثلث 32

ثلل 3

ثم 338

ثمر 24

ثمم 4

ثمن 19

ثمود 26

ثنى 29

ثوب 28

ثور 5

ثوى 14

ثيب 1

جالوت 3

جبب 2

جبت 1

جبر 10

جبريل 3

جبل 41

جبن 1

جبه 1

جبى 12

جثث 1

جثم 5

جثو 3

جحد 12

جحم 26

جدث 3

جدد 10

جدر 4

جدل 29

جذذ 2

جذع 3

جذو 1

جرح 4

جرد 2

جرر 1

جرز 2

جرع 1

جرف 1

جرم 66

جرى 64

جزء 3

جزع 2

جزى 118

جسد 4

جسس 1

جسم 2

جعل 346

جفء 1

جفن 1

جفو 1

جلب 2

جلد 13

جلس 1

جلل 2

جلو 5

جمح 1

جمد 1

جمع 128

جمعة 1

جمل 11

جمم 1

جناح 25

جنب 33

جنح 34

جند 29

جنف 2

جنن 201

جنى 2

جهد 41

جهر 16

جهز 4

جهل 24

جهنم 77

جوب 43

جود 1

جودى 1

جور 13

جوز 5

جوس 1

جوع 5

جوف 1

جوو 1

جىء 278

جيب 3

جيد 1

جئر 3

ح 7

حبب 95

حبر 6

حبس 2

حبط 16

حبك 1

حبل 7

حتم 1

حتى 142

حثث 1

حجب 8

حجج 33

حجر 21

حجز 2

حدب 1

حدث 36

حدد 25

حدق 3

حذر 21

حرب 11

حرث 14

حرج 15

حرد 1

حرر 12

حرس 1

حرص 5

حرض 3

حرف 6

حرق 9

حرك 1

حرم 83

حرى 1

حرير 3

حزب 9

حزن 42

حسب 109

حسد 5

حسر 12

حسس 6

حسم 1

حسن 194

حشر 43

حصب 5

حصحص 1

حصد 6

حصر 6

حصل 1

حصن 18

حصى 11

حضر 24

حضض 3

حطب 2

حطط 2

حطم 6

حظر 3

حظظ 7

حفد 1

حفر 2

حفظ 44

حفف 2

حفو 3

حقب 2

حقق 287

حكم 210

حلف 13

حلق 3

حلقم 1

حلل 51

حلم 21

حلى 9

حمء 4

حمد 68

حمر 6

حمل 64

حمم 21

حمى 6

حنث 2

حنجر 2

حنذ 1

حنف 12

حنك 1

حنن 1

حنين 1

حواريون 5

حوب 1

حوت 5

حوج 3

حوذ 2

حور 8

حوش 2

حوط 28

حول 25

حوى 2

حيث 31

حيد 1

حير 1

حيز 1

حيص 5

حيض 4

حيف 1

حيق 10

حين 35

حيى 184

خبء 1

خبت 3

خبث 16

خبر 52

خبز 1

خبط 1

خبل 2

خبو 1

ختر 1

ختم 8

خدد 2

خدع 5

خدن 2

خذل 3

خرب 2

خرج 182

خردل 2

خرر 12

خرص 5

خرطم 1

خرق 4

خزن 13

خزى 26

خسء 4

خسر 65

خسف 8

خشب 1

خشع 17

خشى 48

خصص 4

خصف 2

خصم 18

خضد 1

خضر 8

خضع 2

خطء 22

خطب 12

خطط 1

خطف 7

خطو 5

خفت 3

خفض 4

خفف 17

خفى 34

خلد 87

خلص 31

خلط 6

خلع 1

خلف 127

خلق 261

خلل 13

خلو 28

خمد 2

خمر 7

خمس 8

خمص 2

خمط 1

خنزر 5

خنس 2

خنق 1

خور 2

خوض 12

خوف 124

خول 8

خون 16

خوى 5

خيب 5

خير 196

خيط 3

خيل 9

خيم 1

داود 16

دبب 18

دبر 44

دثر 1

دحر 4

دحض 4

دحو 1

دحى 1

دخر 4

دخل 126

دخن 2

درء 5

درج 20

درر 4

درس 6

درك 12

درهم 1

درى 29

دسر 1

دسس 1

دسو 1

دعع 3

دعو 212

دفء 1

دفع 10

دفق 1

دكك 7

دلك 1

دلل 8

دلو 4

دمدم 1

دمر 10

دمع 2

دمغ 1

دمم 10

دمو 10

دمى 10

دنر 1

دنو 133

دهر 2

دهق 1

دهم 1

دهن 5

دهى 1

دور 55

دول 2

دوم 9

دون 144

دئب 6

دين 101

ذا 258

ذات 30

ذانك 1

ذبب 2

ذبح 9

ذبذب 1

ذخر 1

ذرء 6

ذرر 38

ذرع 5

ذرو 2

ذعن 1

ذقن 3

ذكر 292

ذكو 1

ذلك 430

ذلكم 47

ذلكما 1

ذلكن 1

ذلل 24

ذمم 5

ذنب 39

ذهب 56

ذهل 1

ذو 37

ذوا 2

ذود 1

ذوق 63

ذوى 2

ذى 24

ذئب 3

ذيع 1

ذئم 1

ر 6

رب 1

ربب 980

ربح 1

ربص 17

ربط 5

ربع 22

ربو 20

رتع 1

رتق 1

رتل 4

رجج 2

رجز 10

رجس 10

رجع 104

رجف 8

رجل 73

رجم 14

رجو 28

رحب 4

رحق 1

رحل 4

رحم 563

رحمان 2

رخو 1

ردء 1

ردد 59

ردف 3

ردم 1

ردى 6

رذل 4

رزق 123

رس 2

رسخ 2

رسل 513

رسو 14

رشد 19

رصد 6

رصص 1

رضع 11

رضو 73

رطب 2

رعب 5

رعد 2

رعى 10

رغب 8

رغد 3

رغم 1

رفت 2

رفث 2

رفد 2

رفرف 1

رفع 29

رفق 5

رقب 24

رقد 2

رقق 1

رقم 3

رقى 4

ركب 15

ركد 1

ركز 1

ركس 2

ركض 3

ركع 13

ركم 3

ركن 4

رمح 1

رمد 1

رمز 1

رمضان 1

رمم 2

رمن 3

رمى 9

رهب 12

رهط 3

رهق 10

رهن 3

رهو 1

روح 57

رود 148

روض 2

روع 1

روغ 3

روم 1

رويد 1

ريب 36

رئس 18

ريش 1

ريع 1

رئف 13

رين 1

رئى 328

زبد 3

زبر 8

زبن 1

زبور 3

زجج 2

زجر 6

زجو 3

زحزح 2

زحف 1

زخرف 4

زربيه 1

زرع 14

زرق 1

زرى 1

زعم 17

زفر 3

زفف 1

زقم 3

زكريا 7

زكو 59

زلزل 6

زلف 10

زلق 2

زلل 4

زلم 2

زمر 2

زمل 1

زمهر 1

زنجبيل 1

زنم 1

زنى 9

زهد 1

زهر 1

زهق 5

زوج 81

زود 2

زور 6

زول 4

زيت 7

زيتون 4

زيد 62

زيغ 9

زيل 10

زين 46

س 124

سال 5

سامرى 3

سبإ 2

سبب 11

سبت 9

سبح 92

سبط 1

سبع 28

سبغ 2

سبق 37

سبل 181

ستت 8

ستر 3

سجد 92

سجر 3

سجل 1

سجن 12

سجو 1

سجيل 3

سحب 11

سحت 4

سحر 63

سحق 2

سحل 1

سخر 42

سخط 4

سدد 6

سدر 4

سدس 5

سدى 1

سراب 2

سرادق 1

سرب 2

سربال 3

سرج 4

سرح 7

سرد 1

سرر 44

سرع 23

سرف 23

سرق 9

سرمد 2

سرى 10

سطح 1

سطر 17

سطو 1

سعد 2

سعر 19

سعى 30

سغب 1

سفح 4

سفر 12

سفع 1

سفك 2

سفل 10

سفن 4

سفه 11

سقر 4

سقط 8

سقف 4

سقم 2

سقى 25

سكب 1

سكت 1

سكر 7

سكن 69

سلب 1

سلح 4

سلخ 3

سلسبيل 1

سلسل 3

سلط 39

سلف 8

سلق 1

سلك 12

سلل 3

سلم 140

سلو 3

سليمان 17

سمد 1

سمر 1

سمع 185

سمك 1

سمم 4

سمن 4

سمو 493

سنبل 5

سند 1

سندس 3

سنم 1

سنن 21

سنه 1

سنو 20

سهر 1

سهل 1

سهم 1

سهو 2

سواع 1

سوء 167

سوح 1

سود 10

سور 17

سوط 1

سوع 48

سوغ 3

سوف 42

سوق 17

سوم 15

سوى 83

سيب 1

سيح 3

سير 27

سئل 128

سيل 4

سئم 3

سيناء 1

سينين 1

شبه 12

شتت 5

شتو 1

شجر 27

شحح 5

شحم 1

شحن 3

شخص 2

شدد 102

شرب 39

شرح 5

شرد 1

شرذم 1

شرر 31

شرط 1

شرع 5

شرق 17

شرك 168

شرى 25

شطء 2

شطر 5

شطط 3

شطن 88

شعب 13

شعر 38

شعرى 1

شعل 1

شعيب 11

شغف 1

شغل 2

شفع 31

شفق 11

شفه 1

شفو 2

شفى 6

شقق 28

شقو 12

شقى 12

شكر 75

شكس 1

شكك 15

شكل 2

شكو 3

شمت 1

شمخ 1

شمس 33

شمل 12

شمئز 1

شنء 3

شهب 5

شهد 160

شهر 21

شهق 2

شهو 13

شوب 1

شور 4

شوظ 1

شوك 1

شوى 2

شىء 519

شيب 3

شيخ 4

شيد 2

شيع 12

شئم 3

شئن 4

ص 3

صابئون 3

صالح 9

صبب 5

صبح 45

صبر 103

صبع 2

صبغ 3

صبو 3

صحب 97

صحف 9

صخخ 1

صخر 3

صدد 42

صدر 46

صدع 5

صدف 5

صدق 155

صدى 2

صرح 4

صرخ 5

صرر 6

صرصر 3

صرط 45

صرع 1

صرف 30

صرم 3

صعد 9

صعر 1

صعق 11

صغر 13

صغو 2

صفا 1

صفح 8

صفد 2

صفر 5

صفصف 1

صفف 14

صفن 1

صفو 17

صكك 1

صلب 8

صلح 180

صلد 1

صلصل 4

صلو 98

صلى 25

صمت 1

صمد 1

صمع 1

صمم 15

صنع 20

صنم 5

صنو 2

صهر 2

صوب 76

صوت 8

صور 19

صوع 1

صوف 1

صوم 14

صيح 13

صيد 6

صير 29

صيص 1

صيف 1

ضبح 1

ضجع 3

ضحك 10

ضحو 6

ضحى 1

ضدد 1

ضرب 57

ضرر 74

ضرع 8

ضعف 52

ضغث 3

ضغن 2

ضفدع 1

ضلل 189

ضمر 1

ضمم 2

ضنك 1

ضنن 1

ضهء 1

ضوء 6

ضير 1

ضيز 1

ضيع 10

ضيف 6

ضيق 13

ضئن 1

ط 4

طاغوت 1

طالوت 2

طبع 11

طبق 4

طحو 1

طحى 1

طرح 1

طرد 5

طرف 11

طرق 11

طرو 2

طعم 48

طعن 2

طغو 39

طغى 39

طفء 3

طفف 1

طفق 3

طفل 4

طلب 4

طلح 1

طلع 19

طلق 23

طلل 1

طمث 2

طمس 5

طمع 12

طمم 1

طمن 13

طمئن 13

طهر 31

طود 1

طور 11

طوع 129

طوف 41

طوفان 2

طوق 4

طول 10

طوى 5

طيب 50

طير 28

طين 12

ظعن 1

ظفر 2

ظلل 35

ظلم 315

ظما 1

ظمء 2

ظنن 69

ظهر 59

ع 2

عاد 24

عبء 1

عبث 2

عبد 275

عبر 9

عبس 3

عبقر 1

عتب 5

عتد 16

عتق 2

عتل 2

عتو 10

عثر 2

عثو 5

عجب 27

عجز 26

عجف 2

عجل 47

عجم 4

عدد 57

عدس 1

عدل 28

عدن 11

عدو 106

عذب 373

عذر 12

عرب 22

عرج 10

عرجن 1

عرجون 1

عرر 2

عرش 33

عرض 79

عرف 69

عرفات 1

عرم 1

عرو 3

عرى 3

عزب 2

عزر 3

عزز 119

عزل 10

عزم 9

عزو 1

عزى 1

عزير 1

عسر 12

عسعس 1

عسل 1

عسى 30

عشر 27

عشو 14

عصب 5

عصر 5

عصف 7

عصم 13

عصو 44

عصى 44

عضد 2

عضض 2

عضل 2

عضو 1

عطف 1

عطل 2

عطو 14

عظم 128

عفر 1

عفف 4

عفو 35

عقب 80

عقد 7

عقر 8

عقل 49

عقم 4

عكف 9

علق 7

علم 854

علن 12

علو 70

على 1445

عمد 7

عمر 27

عمران 3

عمق 1

عمل 360

عمم 5

عمه 7

عمى 33

عن 465

عنب 11

عنت 5

عند 201

عنق 9

عنكب 2

عنكبوت 2

عنو 1

عنى 1

عهد 46

عهن 2

عوج 9

عود 39

عوذ 17

عور 4

عوق 1

عول 1

عوم 9

عون 11

عيب 1

عير 3

عيسى 25

عيش 8

عيل 2

عين 65

عيى 2

غبر 8

غبن 1

غثو 2

غدر 2

غدق 1

غدو 16

غرب 19

غرر 27

غرف 7

غرق 23

غرم 6

غرو 2

غزل 1

غزو 1

غسق 4

غسل 4

غشو 29

غشى 29

غصب 1

غصص 1

غضب 24

غضض 4

غطش 1

غطو 2

غفر 234

غفل 35

غلب 31

غلظ 13

غلف 2

غلق 1

غلل 16

غلم 13

غلو 2

غلى 2

غمر 4

غمز 1

غمض 1

غمم 11

غنم 9

غنى 73

غوث 9

غور 4

غوص 2

غوط 2

غول 1

غوى 22

غيب 60

غيث 9

غير 154

غيض 2

غيظ 11

ف 2999

فتء 1

فتح 38

فتر 2

فتق 1

فتل 3

فتن 60

فتو 21

فتى 21

فجج 3

فجر 24

فجو 1

فحش 24

فخر 6

فدى 14

فرت 3

فرث 1

فرج 9

فرح 22

فرد 5

فردوس 2

فرر 11

فرش 6

فرض 18

فرط 8

فرع 1

فرعون 74

فرغ 6

فرق 72

فره 1

فرى 61

فزز 3

فزع 6

فسح 3

فسد 50

فسر 1

فسق 54

فشل 4

فصح 1

فصل 43

فصم 1

فضح 1

فضض 9

فضل 104

فضو 1

فطر 20

فظظ 1

فعل 108

فقد 3

فقر 14

فقع 1

فقه 20

فكر 18

فكك 2

فكه 19

فلح 40

فلق 4

فلك 25

فلن 1

فند 1

فنن 1

فنى 1

فهم 1

فوت 5

فوج 5

فور 4

فوز 29

فوض 1

فوق 43

فوم 1

فوه 13

فى 1701

فىء 8

فئد 16

فيض 9

فيل 1

فئى 10

ق 2

قارون 4

قبح 1

قبر 8

قبس 3

قبض 9

قبل 294

قتر 5

قتل 170

قثء 1

قحم 2

قد 406

قدح 1

قدد 5

قدر 132

قدس 10

قدم 48

قدو 2

قذف 9

قرآن 55

قرء 88

قرب 96

قرح 3

قرد 3

قرر 38

قرض 13

قرطس 2

قرع 5

قرف 5

قرن 33

قرنين 3

قرى 57

قريش 1

قسر 1

قسط 27

قسطس 2

قسم 33

قسو 7

قسور 1

قسيسين 1

قشعر 1

قصد 6

قصر 11

قصص 30

قصف 1

قصم 1

قصو 4

قضب 1

قضض 1

قضى 63

قطر 5

قطط 1

قطع 36

قطف 2

قطمر 1

قعد 31

قعر 1

قفل 1

قفو 5

قلب 168

قلد 4

قلع 1

قلل 76

قلم 4

قلى 2

قمح 1

قمر 27

قمص 6

قمطر 1

قمع 1

قمل 1

قنت 13

قنط 6

قنطر 4

قنع 2

قنو 1

قنى 1

قهر 10

قوب 1

قوت 2

قوس 1

قوع 2

قول 1722

قوم 660

قوى 42

قيض 2

قيل 2

ك 1478

كافور 1

كان 40

كاين 7

كبب 2

كبت 3

كبد 1

كبر 161

كبكب 1

كتب 319

كتم 21

كثب 1

كثر 167

كدح 2

كدر 1

كدى 1

كذب 282

كرب 4

كرر 6

كرس 2

كرم 47

كره 41

كسب 67

كسد 1

كسف 5

كسل 2

كسو 5

كشط 1

كشف 20

كظم 6

كعب 2

كعبة 2

كفت 1

كفر 524

كفف 15

كفل 10

كفو 1

كفى 33

كلا 34

كلء 1

كلب 6

كلتا 1

كلح 1

كلف 8

كلل 377

كلم 75

كلو 2

كم 2291

كما 57

كمل 5

كمم 2

كمه 2

كن 12

كند 1

كنز 9

كنس 1

كنن 12

كهف 6

كهل 2

كهن 2

كوب 4

كود 24

كور 3

كوكب 5

كون 1390

كوى 1

كى 10

كيد 35

كئس 6

كيف 83

كيل 16

كين 2

لا 1809

لات 2

ل 3842

لبب 16

لبث 31

لبد 2

لبس 23

لبن 2

لجء 3

لجج 4

لحد 6

لحف 1

لحق 6

لحم 12

لحن 1

لحى 1

لدد 2

لدن 18

لدى 22

لذذ 3

لزب 1

لزم 5

لسن 25

لطف 8

لظى 2

لعب 20

لعل 129

لعن 41

لغب 2

لغو 11

لفت 3

لفح 1

لفظ 1

لفف 3

لفو 3

لقب 1

لقح 1

لقط 2

لقف 3

لقم 1

لقمان 2

لقى 146

لكن 130

لم 348

لما 165

لمح 2

لمز 4

لمس 5

لمم 4

لن 106

لهب 3

لهث 2

لهم 1

لهو 16

لو 276

لوت 1

لوح 6

لوذ 1

لوط 27

لولا 8

لولو 6

لوم 14

لون 9

لوى 5

ليت 17

ليس 89

لئك 88

ليل 92

لين 5

م 17

ما 2622

ماجوج 2

ماروت 1

مالك 1

متع 70

متن 3

متى 9

مثل 169

مجد 4

مجوس 1

محص 2

محق 2

محل 1

محمد 4

محن 2

محو 3

مخر 2

مخض 1

مدد 32

مدن 27

مدين 10

مدينه 4

مرء 38

مرج 6

مرح 3

مرد 5

مرر 34

مرض 24

مروه 1

مرى 20

مريم 34

مزج 3

مزق 4

مزن 1

مسح 4

مسخ 1

مسد 1

مسس 61

مسك 27

مسو 1

مسيح 11

مشج 1

مشعر 1

مشى 23

مصر 5

مضغ 3

مضى 5

مطر 15

مطو 1

مع 164

معز 1

معن 1

معى 1

مقت 6

مكث 7

مكر 43

مكن 18

مكة 1

مكو 1

ملء 40

ملح 2

ملق 2

ملك 206

ملل 19

ملو 9

من 4097

مناة 1

منع 17

منن 27

منى 21

مهد 16

مهل 6

مهما 1

مهن 4

موت 165

مؤتفكة 3

موج 7

مور 3

موسى 136

مول 86

موه 63

ميد 5

مير 1

ميز 4

ميكال 1

ميل 6

مئى 10

ن 235

نا 1182

نبء 80

نبت 26

نبذ 12

نبز 1

نبط 1

نبع 2

نبو 80

نتق 1

نثر 3

نجد 1

نجس 1

نجم 13

نجو 84

نحب 1

نحت 4

نحر 1

نحس 3

نحل 2

نحن 86

نخر 1

نخل 20

ندد 6

ندم 7

ندو 53

ندى 53

نذر 130

نزع 20

نزغ 6

نزف 2

نزل 293

نسء 2

نسب 3

نسخ 4

نسر 1

نسف 5

نسك 7

نسل 4

نسو 59

نسى 45

نشء 28

نشر 21

نشز 5

نشط 2

نصارى 14

نصب 33

نصت 2

نصح 13

نصر 143

نصرانى 1

نصف 7

نصو 4

نصى 4

نضج 1

نضخ 1

نضد 3

نضر 3

نطح 1

نطف 12

نطق 12

نظر 129

نعج 4

نعس 2

نعق 1

نعل 1

نعم 144

نغض 1

نفث 1

نفح 1

نفخ 20

نفد 5

نفذ 3

نفر 18

نفس 298

نفش 2

نفع 50

نفق 111

نفل 4

نفى 1

نقب 3

نقذ 5

نقر 4

نقص 10

نقض 9

نقع 1

نقم 17

نكب 2

نكث 7

نكح 23

نكد 1

نكر 37

نكس 3

نكص 2

نكف 3

نكل 5

نمرق 1

نمل 4

نمم 1

نن 241

نهج 1

نهر 113

نهى 56

نوء 1

نوب 18

نوح 43

نور 194

نوش 1

نوص 1

نوق 7

نوم 9

نون 1

نوى 1

نيل 12

نئى 3

ه 3576

ها 1399

هاء 1

هات 4

هاتوا 4

هاتين 1

هاروت 1

هارون 20

هامان 6

هاؤم 1

هبط 8

هبو 2

هتى 4

هجد 1

هجر 31

هجع 1

هدد 1

هدم 1

هدهد 1

هدى 316

هذا 225

هذان 2

هذه 47

هرب 1

هرع 2

هزء 34

هزز 5

هزل 1

هزم 3

هشش 1

هشم 2

هضم 2

هطع 3

هكذا 1

هل 93

هلع 1

هلك 68

هلل 5

هلم 2

هم 3896

هما 159

همد 1

همر 1

همز 3

همس 1

همم 9

همن 2

هن 207

هنا 13

هنالك 9

هنء 4

هو 481

هود 21

هور 2

هؤلاء 46

هون 26

هوى 38

هى 64

هىء 4

هيت 1

هيج 2

هيل 1

هيم 2

هيهات 2

و 9594

وبر 1

وبق 2

وبل 8

وتد 3

وتر 3

وتن 1

وثق 34

وثن 3

وجب 1

وجد 107

وجس 3

وجف 2

وجل 5

وجه 78

وحد 153

وحش 1

وحى 78

ودد 29

ودع 4

ودق 2

ودى 11

وذر 46

ورث 35

ورد 11

ورق 4

ورى 32

وزر 27

وزع 5

وزن 23

وسط 5

وسع 32

وسق 2

وسل 2

وسم 181

وسن 1

وسوس 5

وشى 1

وصب 2

وصد 3

وصف 14

وصل 13

وصى 32

وضع 26

وضن 1

وطء 6

وطر 2

وطن 1

وعد 151

وعظ 25

وعلن 4

وعى 7

وفد 1

وفر 1

وفض 1

وفق 4

وفى 66

وقب 1

وقت 13

وقد 11

وقذ 1

وقر 9

وقع 24

وقف 4

وقى 258

وكء 11

وكد 1

وكز 1

وكل 70

ولج 14

ولد 102

وله 2816

ولى 231

ونى 1

وهب 25

وهج 1

وهن 9

وهى 1

وى 2

وئد 1

وئل 1

ويل 40

ى 1044

يا 361

ياجوج 2

ياقوت 1

يبس 4

يتم 23

يثرب 1

يحيى 5

يدى 120

يسر 44

يعقوب 16

يعوق 1

يغوث 1

يقطن 1

يقطين 1

يقظ 1

يقن 28

يمم 11

يمن 71

ينع 1

يهود 9

يوسف 27

يوم 475

يونس 4

يى 40

يئس 13

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...