প্রশ্ন-বিস্তারিত: আমি বাড়ী করার জন্য ১টা ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঋন নিয়েছিলাম। ঋনের টাকায় করা ঘরে ইবাদত করলে কবুল হবে কি না??? প্রশ্নের আরেকটা অংশঃক্রেডিটকার্ড দিয়া কেনাকাটা করা, ক্রডিটকার্ড থেকে টাকা নিয়া খরচ করা, ব্যাংকের নিয়ম হলো ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে দিলে সুদ দিতে হয় না। আমি ৪৫ দিনের আগে জমা দিয়ে থাকি। এখন আমার প্রশ্ন হলো - এসব কি জায়েজ হবে??? কোরআন হাদীসের আলোকে উত্তর দিলে উপকৃত হব, জাজাকাল্লাহ।
উত্তর : প্রথম প্রশ্নের ব্যাপারে একটা মূলনীতি আমি আগেও বলেছি, কোন গোনহ করার পর ঐ গোনাহের অধিনে অন্য কোন কাজ জায়েজ বা নাজায়েজ এই প্রশ্নটি আসলে অবান্তর, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধৃষ্টতা। প্রথমে ঐ আসল গোনাহের সমাধান করতে হবে, তাহলে তার অধিনে প্রশ্নগুলোই আর থাকবে না। সুদের টাকা নিয়ে বাড়ি বানানো হারাম। কিন্তু বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন, এখন কি করবেন ? আপনার প্রশ্ন আসলে এইটা। এই সমস্যার সমাধান কল্পে একটা পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। খেয়াল করবেন, আপনার মনে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়েছে কিনা? এই গোনাহ থেকে তওবা করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে কিনা, তাহলে খাটি ভাবে তওবা করবেন, আর যে পরিমাণ টাকা সুদ দিয়েছিলেন, সেই পরিমাণ টাকা গরীব দু:খিদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু অবশ্যই প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো আপনার মনে অনুশোচনা এসেছে কিনা এবং আপনি খাটি তওবা করেছেন কিনা। ঐ ঘরে নামাজ হবে কি হবেনা আসলে এই প্রশ্ন অবান্তর যেহেতু ঘরটিই তৈরী হয়েছে গোনাহ দিয়ে, তাই ঐ ঘরে নামাজ হবে কি হবেনা, এইটা জিজ্ঞেস করাও অন্যায় । আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের আলোকে বলা যায়, যদি ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিলে সুদ না দিতে হয়, তাহলে জায়েজ হবে। তবে, এক্ষেত্রেও একটি সমস্যা আছে। আপনি যে ক্রেডিট খরচ করছেন, বা ব্যাংকের সাথে লেনদেন করছেন, তা মূলত সুদ ভিত্তিক ব্যাংক কিনা। আপনার ঐ ব্যাংকের সাথে লেনদেন, টাকা জমা রাখা, বা টাকা লোন নেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুদ জড়িত কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
No comments:
Post a Comment