স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য জায়েজ কিনা ?

 উত্তর : আসলে বিষয়টি হচ্ছে, স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করে - এ কথাটি শুনলেই তা বিবেক ও ইসলামের সার্বজনীন নীতি বিরুদ্ধ বিষয় বলেই প্রতীয়মান হয়। কুরআনে যে কয়স্থানে দুধ পান করার কথা বলা হয়েছে, তা সন্তানের দিকেই নিসবত করা হয়েছে। একজন সাহাবী তার সন্তান মায়ের বুক থেকে দুধ চুষে না খেতে পাওয়ার কারণে, ঐ সাহাবী তার স্ত্রীর স্তন চুষে দুধ বের করে সন্তানকে খাওয়ান। এমতাবস্থায়, কিছু দুধ তার পেটে চলে যায়। তখন তার খটকা লাগে। আবু মুসা রা: কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোমার স্ত্রী হারাম হয়ে গেছে। কিন্তু ইবনে মাসুদ রা: কে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের দুধ পান করানো দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয় না। এখানে উল্লেখ্য যে, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হারাম সাব্যস্ত হয় না, তাই বলে দুধ পান ঢালাও ভাবে বৈধ একথাও প্রমাণিত হয়না। যদি ঢালাও ভাবে বৈধই হতো তাহলে স্ত্রীর দুধ গলায় চলে যাওয়ার কারণে ঐ সাহাবীর মনে এই খটকা আসতো না, এবং তিনি উত্তর পাবার জন্য অন্যান্য সাহাবীর দ্বারস্থ হতেন না। স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য যদি বৈধ ঘোষণাই করা হতো, তাহলে ঐ সাহাবী এ প্রশ্ন উত্থাপন করতেন না। এখানে বলা হয়েছে, স্ত্রী হারাম হবেনা, কিন্তু দুধ পান বৈধ, এটাও বলা হয়নি।

এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্ত্রীর দুধ পান করা নয়, কিন্তু যৌন তৃপ্তির ক্ষেত্রে স্ত্রীর স্তন চোষা স্বামীর জন্য জায়েজ কিনা ?

এটি জায়েজ, এখানে দুধ পান করা উদ্দেশ্য নয়, এবং স্বামী দুধ পান করবেও না, শুধুমাত্র স্বামীর বা উভয়ের পরিতৃপ্তির জন্য স্বামী এমনটি করে থাকে। এটি জায়েজ।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...