প্রশ্ন-বিস্তারিত:
আমি একটা অসহায় পরিবারের একদিন বয়সের একটি মেয়ে শিশু লালন পালন করার জন্য নিলাম। এখন মেয়েটির জন্মনিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্টানে, আইডি কার।কার্ডে এমন কি বিবাহ দেয়ার সময় আক্দ করার সময় আমার নামে আক্দ করা এবং কাবিন নামায় আমার নাম ব্যবহার করা যাবে কিনা?করলে শরিয়তে কোন বিধি লংঘন হচ্ছে কিনা কোরআন হাদিসের রেফারেন্স সহ জানালে উপকৃত হবো। এবং জানতে চাই।
উত্তর : জ্বী, ভাই এ ব্যাপারে নিষেধ আছে। অন্যের সন্তান লালন পালন করার ব্যাপারে বিধি নিষেধ হলো, পিতার নাম কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবেনা। এমন কি কোনো কোনো স্কলার আব্বা ডাকার ব্যাপারেও আপত্তি করেছেন। তবে কেউ কেউ মত দিয়েছেন, সম্মানার্থে বাবা ডাকা যাবে।
আর মেয়ে শিশু পালক নেওয়ার ব্যাপারে আরো একটি বিষয় হলো, এই মেয়ে সাবালক হলে তার সাথে আপনাকে এবং পরিবারের অন্যান্য পুরুষদের সাথে পর্দা করতে হবে। তবে পালক মেয়ে যদি আপনার স্ত্রীর দুধপান করে বড় হয়, তবে তাতে আপনি দুধ বাবা হয়ে যাবেন। তাহলে সে আপনার দুধ মেয়ে হয়ে গেল। ফলে পর্দার ব্যাপারটা শিথিল হয়ে যাবে।
রাসুল সাঃ পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, এই পালক সিস্টেমে পর্দা মানা হতোনা এ ধরণের কিছু বদ রসম ভংগ করার জন্য। মানুষের সমালোচনার মুখে কুরআনের আয়াত নাজিল হলো, 'মা কানা মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম মি 'রিজালিকুম' (৩৩ :৪০), - "মুহাম্মদ কোনো সাবালক লোকের পিতা নয়।'আরেকটি প্রসংগে আয়াত নাজিল হয়েছে" তোমরা কাউকে মা বলে দিলেই সে মা হয়ে যায়না। বরং তোমাদের মা তো সে, যে তোমাকে জন্ম দিয়েছে।"
এখন অসহায় প্রসঙ্গে, আপনি যদি সত্যিই একটি অসহায় পরিবারকে সহায়তা করতে চান, তা হলে, ঐ মেয়ে শিশুকে তাদের পরিবারেই রেখে দিন, পরিবারকে ঐ মেয়ের খরচ বাবদ মাসিক একটা খরচ দিয়ে দিন, তার পড়ালেখা ও বিবাহের সময়ও খরচ দিন। এতে আশা করা যায়, বিপুল সওয়াবের অধিকারী হবেন, ইনশাআল্লাহ”। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ইনশাআল্লাহ।
আরো বিস্তারিত দেখুন : সন্তান দত্তক / পালক নেওয়ার ইসলামী পদ্ধতি
No comments:
Post a Comment