প্রশ্ন : ১১৭ : চার রাকায়াত নামাজে দুই রাকাতের বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু এবং কোরবানী প্রসঙ্গে ।

প্রশ্ন: আস্সালামু আালাই কুম ওয়া রাহমাহতুল্লাহচার রাকাত সুন্নত নামাজ দু'রাকাত বৈঠকে পুরো আত্তাহিয়াতু পড়তে হবে নাকি আসহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুওয়া রাসুলু এপর্যন্ত পড়লেই হবে।আর শেষের দু রাকাতে কি সুরা ফাতেহার সাতে অন্য সুরা মেলাতে হবে।কুরবানী প্রসঙ্গে:-আমরা একটি গরুকে সাত শরীকে কুরবানী করা ইসলামে কতটুকু গ্রহনযোগ্য। সাত ব্যাক্তির আকিদা সাত রকম।কেউ বলে আত্মিয় স্বজন আসবে। তাই কুরবানী। উত্তর গুলোর পেলে উপকৃত হব। আল্লাহ পাক আপাদের উত্তম ঝাঝা দান করোক।

উত্তর : ১। আসহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুওয়া রাসুলু - এপর্যন্ত পড়লেই হবে।


২। কুরবানীর মাসলা মাসায়েল সম্বন্ধে আমার একটি এ্যাপ আছে : এ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। আশা করি কুরবানী সংক্রান্ত আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

এ্যাপটিতে যা রয়েছে ঃ
১। কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী কুরবানী
২। কুরবানীর পশু জবেহ করার নিয়ম
৩। কুরবানীর পশু জবেহ করার দোয়া
৪। কুরবানীর প্রধান প্রধান মাসআলাহ সমূহ
৫। কুরবানী সংক্রান্ত ৩০০টিরও অধিক প্রশ্নোত্তর ও ফতোয়া
৬। কুরবানীর ইতিহাস।
এ ছাড়াও এ্যাপটিতে প্রশ্নের অবস্থান সেভ করা এবং প্রশ্নোত্তর কপি পেস্ট করার সুব্যবস্থা রয়েছে।
মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা তিনি যেন সকল মুমিন মুসলমানের নিকট এ্যাপটি পৌছিয়ে দেন। আমীন।
ডাউনলোড লিংকঃ

কুরবানীর ৩০০ টি মাসআলাহ app package qurabani.kurbani.masaalah Privacy Policy


Package  qurabani.kurbani.masaalah Privacy Policy

This Privacy Policy describes how your personal information is collected, used, and shared when you use this app - package name: uberrider.rider.bangla (the app).

PERSONAL INFORMATION WE COLLECT

Within This app we do not collect your any personal Information. 

HOW DO WE USE YOUR PERSONAL INFORMATION?

We do not use your personal information in any manner. 


SHARING YOUR PERSONAL INFORMATION

We do not Share your Personal Information to any Third party. 

BEHAVIOURAL ADVERTISING
As described above, we use your Personal Information to provide you with targeted advertisements or marketing communications we believe may be of interest to you.  For more information about how targeted advertising works, you can visit the Network Advertising Initiative’s (-NAI-) educational page at http://www.networkadvertising.org/understanding-online-advertising/how-does-it-work.

You can opt out of targeted advertising by:
[[
  INCLUDE OPT-OUT LINKS FROM WHICHEVER SERVICES BEING USED.
  COMMON LINKS INCLUDE:
    FACEBOOK - https://www.facebook.com/settings/?tab=ads
    GOOGLE - https://www.google.com/settings/ads/anonymous
    BING - https://advertise.bingads.microsoft.com/en-us/resources/policies/personalized-ads
]]

Additionally, you can opt out of some of these services by visiting the Digital Advertising Alliances opt-out portal at:  http://optout.aboutads.info/.

DO NOT TRACK
Please note that we do not alter our App data collection and use practices when we see a Do Not Track signal from your browser.

YOUR RIGHTS
If you are a European resident, you have the right to access personal information we hold about you and to ask that your personal information be corrected, updated, or deleted. If you would like to exercise this right, please contact us through the contact information below.

Additionally, if you are a European resident we note that we are processing your information in order to fulfill contracts we might have with you (for example if you make an order through the app), or otherwise to pursue our legitimate business interests listed above.  Additionally, please note that your information will be transferred outside of Europe, including to Canada and the United States.

DATA RETENTION
When you place a request through the app, we will maintain your Order Information for our records unless and until you ask us to delete this information.



Before you continue, you are asked to give the app those above permissions. IF YOU ARE NOT READY TO GIVE THIS APP THOSE ABOVE PERMISSIONS, WELL, SO, YOU MAY UNINSTALL THE APP FROM YOUR DEVICE.  

MINORS
The App is not intended for individuals under the age of 10.

CHANGES
We may update this privacy policy from time to time in order to reflect, for example, changes to our practices or for other operational, legal or regulatory reasons.

CONTACT US
For more information about our privacy practices, if you have questions, or if you would like to make a complaint, please contact us by e-mail at noorhossain888@gmail.com or by mail using the details provided below:

Shibchar, Madaripur, Bangladesh, Phone: +88-01879115953.
E-mail: noorhossainappupload@gmail.com

প্রশ্ন : ১১৬ : নামাযে ভুলক্রমে এক সিজদা দিলে করণীয় কি ?

প্রশ্ন

প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তির নামাযে সিজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়েছে। তিনি শাইখ বিন বাযের ফতোয়ার আলোকে একীনের (নিশ্চিত জ্ঞানের) উপর নির্ভর করে অতিরিক্ত একটি সিজদা দিয়েছেন। সালাম ফেরানোর পর আর কোন সহু সিজদা দেননি। তিনি মনে করেছেন তাকে আর কোন সিজদা দিতে হবে না। তার নামায কি সহিহ হল?

উত্তর : 
আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
যে ব্যক্তি নামাযের সিজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহে পড়েছেন; অর্থাৎ তিনি কি এক সিজদা দিয়েছেন; না দুই সিজদা দিয়েছেন এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান তাহলে তিনি একীনের (নিশ্চিত জ্ঞানের) উপর নির্ভর করবেন। একীন হচ্ছে- ছোট সংখ্যাটি হিসাব করা। তাই তিনি শুধু একটি সিজদা দিয়েছেন ধরে নিয়ে দ্বিতীয় সিজদাটি আদায় করবেন। এরপর সালাম ফেরানোর আগে সহু সিজদা দিয়ে নেয়া উত্তম। এটি শাইখ বিন বায (রহঃ) এর অভিমত।
শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন: “আর যদি সন্দেহটি নামাযের মধ্যে হয় তাহলে সে ব্যক্তি একীনের উপর নির্ভর করবে এবং সিজদাটি আদায় করবে। যদি সন্দেহ হয় এক সিজদা দিয়েছে, নাকি দুই সিজদা দিয়েছে তাহলে সে ব্যক্তি দ্বিতীয় সিজদাটি আদায় করবে। এটি প্রথম, কিংবা দ্বিতীয়, কিংবা তৃতীয় কিংবা চতুর্থ যে রাকাতের ক্ষেত্রে হোক না কেন। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে সহু সিজদা দিবে; যদি সালাম ফিরানোর পরেও দেয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে আগে দেয়াই উত্তম”।[শাইখ বিন বাযের ফতোয়াসমগ্র (১১/৩০) থেকে সমাপ্ত]
আর কোন কোন আলেমের মতে, নামাযের কোন রুকন আদায়ে সন্দেহ হওয়া নামাযের রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হওয়ার মত। যদি সন্দেহকারীর কাছে কোন একটি সম্ভাবনাকে অগ্রগণ্য মনে না হয় তাহলে সে ব্যক্তি একীনের উপর নির্ভর করবে; একীন হচ্ছে ছোট সংখ্যাটি হিসাব করা। এ অবস্থায় সে ব্যক্তি সালাম ফিরানোর পূর্বে সহু সিজদা আদায় করবে।
আর যদি তার কাছে কোন একটি সম্ভাবনাকে অগ্রগণ্য মনে হয় তাহলে সে ব্যক্তি তার কাছে যে সম্ভাবনাটি অগ্রগণ্য মনে হয় সেটার উপর নির্ভর করে নামায চালিয়ে যাবে এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে সহু সিজদা দিবে।
মুরদাওয়ি (রহঃ) বলেন:
“গ্রন্থকারের বক্তব্য: কারো কোন একটি রুকন ছুটে গেছে সন্দেহ হওয়া সে রুকন আদৌ পালন না করার মত এটাই মাযহাবের অভিমত। মাযহাবের অধিকাংশ আলেম এ মতটি গ্রহণ করেছেন। তাদের অনেকে এ মতটিকে অকাট্য বলেছেন। কারো কারো মতে, এ মাসয়ালাটি কোন একটি রাকাত ছেড়ে দেয়ার মাসায়ালার সাথে কিয়াসযোগ্য। তাই সে ব্যক্তি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবে এবং প্রবল ধারণার ভিত্তিতে আমল করবে।”[আল-ইনসাফ (২/১৫০) থেকে সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
“যদি কারো কোন একটি রুকন ছুটে গেছে সন্দেহ হয় সেটা কোন রুকন ছেড়ে দেয়ার মতই”। অর্থাৎ সে ব্যক্তি যদি সন্দেহ করে যে, সে কি রুকনটি আদায় করেছে নাকি আদায় করেনি তার হুকুম হবে যে ব্যক্তি আদৌ রুকনটি আদায় করেনি সে ব্যক্তির হুকুমের মত। এর উদাহরণ হচ্ছে- কোন মুসল্লি দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর পর তার সন্দেহ হল সে কি সিজদা দুইটা দিয়েছে নাকি একটা দিয়েছে...? কোন কিছু আদায় না-করার সন্দেহ ঐ কাজটি আদৌ না-করার মত। কারণ কোন কিছু না-করা নিয়ে যখন সন্দেহ হয় তখন সে জিনিসের মূল অবস্থা হচ্ছে— না-করা। কিন্তু তার যদি প্রবল ধারণা হয় যে, সে রুকনটি আদায় করেছে তাহলে অগ্রগণ্য মতানুযায়ী সে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে নীতিগতভাবে সে রুকনটি আদায় করেছে ধরা হবে এবং তাকে এ রুকনটি পুনরায় আদায় করতে হবে না। কারণ আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, যদি কেউ নামাযের সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে তাহলে সে ব্যক্তি তার প্রবল ধারণার উপর নির্ভর করবে। তবে সালাম ফিরানোর পর তাকে সহু সিজদা দিতে হবে।[আল-শারহুল মুমতি (৩/৩৮৪) থেকে সমাপ্ত]
দুই:
আলেমগণ উল্লেখ করেছেন, ভুলক্রমে যে ব্যক্তির সহু সিজদা ছুটে গেছে যদি খুব বেশি বিলম্ব না হয় তাহলে সে তখনি সেটা কাযা করে নিবে। আর যদি দীর্ঘ সময় বিলম্ব হয় তাহলে মুসল্লির উপর থেকে সহু সিজদা আদায় করার দায়িত্ব বাদ যাবে এবং তার নামায সহিহ হবে।
আল-বুহুতি (রহঃ) বলেন:
“কেউ যদি সালামের আগে আদায় করা মুস্তাহাব এমন কোন সহু সিজদা দিতে ভুলে যায়; সে সহু সিজদাটি যদি ওয়াজিব হয় তাহলে সে ব্যক্তি ওয়াজিব হিসেবে এটাকে কাযা করে নিবে। আর যদি অন্য কোন নামায শুরু করে দেয় তাহলে ঐ নামাযের সালাম ফিরানোর পর সহু সিজদা কাযা করবে; যদি এর মধ্যে বেশি বিলম্ব না হয়; ওজু না ভাঙ্গে এবং মসজিদ থেকে বের না হয়। যেহেতু সিজদাটি আদায় করার সময় এখনো আছে। আর যদি প্রথা অনুযায়ী খুব দেরী হয়ে যায়, কিংবা ওজু ছুটে যায় কিংবা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে সহু সিজদা আর কাযা করা যাবে না। যেহেতু এটি আদায় করার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। তবে তার নামায শুদ্ধ হবে। যেমন অন্য যে কোন ওয়াজিব ভুলক্রমে পরিত্যাগ করলেও নামায শুদ্ধ হয়।”[মুনতাহাল ইরাদাত (১/২৩৫) থেকে সমাপ্ত]
যে ব্যক্তি এ মাসয়ালার বিধান জানে না এমন ব্যক্তি ও জেনে ভুলকারী উভয়ের জন্য হুকুম অভিন্ন।
ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সমগ্র খণ্ড-২ (৬/১০) তে এসেছে-
যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সহু সিজদা ছেড়ে দেয় তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে এবং তাকে পুনরায় নামায পড়তে হবে। আর যদি ভুলক্রমে কিংবা অজ্ঞতাবশত ছেড়ে দেয় তাহলে তাকে পুনরায় নামায পড়তে হবে না। তার নামায সহিহ।[সমাপ্ত]
শাইখ বিন বায (রহঃ) প্রশ্ন করা হয়েছিল যে,
যদি কেউ নামাযের রাকাতে বেশি করে কিংবা কম করে এবং সহু সিজদা না দেয় তাহলে তার নামায কি বাতিল হয়ে যাবে?
তিনি জবাবে বলেন:
এক্ষেত্রে বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যদি সে ব্যক্তি সহু সিজদা দেয়ার হুকুম জানার পরও নামাযের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সহু সিজদা না দেয় তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলক্রমে সহু সিজদা না দেয় তাহলে তার নামায শুদ্ধ হবে...।[নুরুন আলাদ-দারব ফতোয়াসমগ্র থেকে সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]
===========================

কোনো রাকাতে ভুলে তিন সিজদা করলে করণীয়


উত্তর: 
দুইটির জায়গায় সিজদা তিনটি আদায় করলে, তখন সাহু সিদজা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। কেননা তিনটি সিজদা আদায় করার কারণে পরবর্তী রুকন আদায় করতে বিলম্ব হয়। আর নামাজের রুকন বিলম্বে আদায় করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়। তাই সাহু সিজদা আদায় না করলে, নামাজ আবার পড়তে হবে।
হযরত আতা রাহ. বলেন, 'যদি তুমি নিশ্চিত হও যে, কোনো রাকাতে তিনটি সিজদা করেছ, তবে নামাজ পুনরায় পড়বে না; বরং সাহু সিজদা করে নিবে।' (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস নং: ৩৫২৪; আল-মুহিতুল বুরহানি: ২/৩০৮; কিতাবুল আছল: ১/২১১; বাদায়েউস সানায়ে: ১/৪০১)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব, সহকারী মুফতি, জামেয়া রহমানিয়া সাওতুল হেরা, টঙ্গী, গাজীপুর।

Arabic to English app package quran.alquran.tafhimulquran.arabic.bangla.english.dictionary Privacy Policy

Package quran.alquran.tafhimulquran.arabic.bangla.english.dictionary  Privacy Policy

This Privacy Policy describes how your personal information is collected, used, and shared when you use this app - package name: uberrider.rider.bangla (the app).

PERSONAL INFORMATION WE COLLECT

When you use this app, we automatically collect certain information about your device, including information about your name, phone number, time zone, dates  are installed on your device. Additionally, as you use this app, we use your sd card as wel as your device storage, your device location, collect information about how you interact with the app. We refer to this automatically-collected information as - Device Information.

We collect your Device Information using the following technologies:

    -  Cookies - are data files that are placed on your device or computer and often include an anonymous unique identifier. For more information about cookies, and how to disable cookies, visit http://www.allaboutcookies.org.
    - Log files  - track actions occurring on the App, and collect data including your IP address, device type, Internet service provider, referring/exit pages, and date/time stamps.
    - Web beacons, tags, and pixels are electronic files used to record information about how you use the App.
    - Device location - as it is a finding driver app, we have to know your location, so that the driver who accepted your request can easily find you and provide the service where you want to go.
    - Device Service - we  use your device service part, as the drivers send you messages, and send messages when they accept your request. 
    - Device Messaging Service - we use your devices messaging service part, as the drivers send you messages, and send messages when they accept your request. 
    - Additionally when you make a request or attempt to make a request through the app, we collect certain information from you, including your name, location, place, addresses  and phone number.  We refer to this information as - request Information.
    

When we talk about - Personal Information- in this Privacy Policy, we are talking both about Device Information and request Informations.

HOW DO WE USE YOUR PERSONAL INFORMATION?

We use the request Information that we collect generally to fulfill any request placed through the App (including processing your location information, arranging drivers, and providing you with invoices and/or request confirmations).  Additionally, we use this request Information to:
    -Communicate with you;
    -Screen your request for potential risk or fraud; and
When in line with the preferences you have shared with us, provide you with information or advertising relating to our products or services.

We use the Device Information that we collect to help us screen for potential risk and fraud (in particular, your IP address), and more generally to improve and optimize our App (for example, by generating analytics about how our customers request and interact with the App, and to assess the success of our marketing and advertising campaigns).


SHARING YOUR PERSONAL INFORMATION

We share your Personal Information with third parties to help us use your Personal Information, as described above.  For example, we use Shopify to power our online store--you can read more about how Shopify uses your Personal Information here:  https://www.shopify.com/legal/privacy.  We also use Google Analytics to help us understand how our customers use the Site--you can read more about how Google uses your Personal Information here:  https://www.google.com/intl/en/policies/privacy/.  You can also opt-out of Google Analytics here:  https://tools.google.com/dlpage/gaoptout.

Finally, we may also share your Personal Information to comply with applicable laws and regulations, to respond to a subpoena, search warrant or other lawful request for information we receive, or to otherwise protect our rights.

BEHAVIOURAL ADVERTISING
As described above, we use your Personal Information to provide you with targeted advertisements or marketing communications we believe may be of interest to you.  For more information about how targeted advertising works, you can visit the Network Advertising Initiative’s (-NAI-) educational page at http://www.networkadvertising.org/understanding-online-advertising/how-does-it-work.

You can opt out of targeted advertising by:
[[
  INCLUDE OPT-OUT LINKS FROM WHICHEVER SERVICES BEING USED.
  COMMON LINKS INCLUDE:
    FACEBOOK - https://www.facebook.com/settings/?tab=ads
    GOOGLE - https://www.google.com/settings/ads/anonymous
    BING - https://advertise.bingads.microsoft.com/en-us/resources/policies/personalized-ads
]]

Additionally, you can opt out of some of these services by visiting the Digital Advertising Alliances opt-out portal at:  http://optout.aboutads.info/.

DO NOT TRACK
Please note that we do not alter our App data collection and use practices when we see a Do Not Track signal from your browser.

YOUR RIGHTS
If you are a European resident, you have the right to access personal information we hold about you and to ask that your personal information be corrected, updated, or deleted. If you would like to exercise this right, please contact us through the contact information below.

Additionally, if you are a European resident we note that we are processing your information in order to fulfill contracts we might have with you (for example if you make an order through the app), or otherwise to pursue our legitimate business interests listed above.  Additionally, please note that your information will be transferred outside of Europe, including to Canada and the United States.

DATA RETENTION
When you place a request through the app, we will maintain your Order Information for our records unless and until you ask us to delete this information.



Before you continue, you are asked to give the app those above permissions. IF YOU ARE NOT READY TO GIVE THIS APP THOSE ABOVE PERMISSIONS, WELL, SO, YOU MAY UNINSTALL THE APP FROM YOUR DEVICE.  

MINORS
The App is not intended for individuals under the age of 10.

CHANGES
We may update this privacy policy from time to time in order to reflect, for example, changes to our practices or for other operational, legal or regulatory reasons.

CONTACT US
For more information about our privacy practices, if you have questions, or if you would like to make a complaint, please contact us by e-mail at noorhossain888@gmail.com or by mail using the details provided below:

Shibchar, Madaripur, Bangladesh, Phone: +88-01879115953.
E-mail: noorhossainappupload@gmail.com

Rules for Arabic to English Dictionary App ( instructions )

আসসালামু আলাইকুম,

এই এ্যাপে প্রায় সাড়ে সাতাত্তর হাজার করে   ইংরেজী ও আরবী শব্দ রয়েছে। 

বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের মতে কোন বিদেশী ভাষা শিখতে হলে সেই ভাষার পাশাপাশি মার্তৃভাষা থাকলে বিদেশী ভাষা শিখতে সমস্যা হয়। তাই আমরা এখানে আরবী ও ইংরেজী ভাষা রেখেছি, যাতে ভাষা দুটি ‍ বুঝতে সুবিধা হয়। এ ছাড়াও আরবী বাংলা ও ইংরেজী  তিন ভাষায় শব্দার্থের আমাদের আরো একটি এ্যাপ রয়েছে। 

Next - Go to Dictionary  বাটনে প্রেস করলেই  দুই ভাষায় আলকুরআন ডিকশনারী অটোমেটিক চালু হয়ে যাবে। আপনি সেখানে  ইংরেজী ও আরবী শব্দ দিয়ে ডিকশনারী সার্চ করতে পারবেন এবং এই এ্যাপের সথে একটি আরবী কী বোর্ডও দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি শব্দের পাশে যে নাম্বারিং রয়েছে তা ঐ শব্দের আল কুরআনে অবস্থানের নাম্বার, অর্থাৎ, ঐ শব্দটি আল কুরআনের  এত তম শব্দ। 

মহান আল্লাহ, আমাদের সবাইকে কুরআন হৃদয়ঙ্গম করার, কুরআনের কাছকাছি থাকার এবং কুরআন অনুযায়ী পরিচালিত হবার তৌফিক্ব দান করুন। আমীন। 

আরবী ও ইংরেজী শব্দার্থের ডাউনলোড লিংক : 

 https://play.google.com/store/apps/details?id=quran.alquran.tafhimulquran.arabic.bangla.english.dictionary



আরবী, ইংরেজী ও বাংলা তিন ভাষায় শব্দার্থের এ্যাপের ডাউনলোড লিংক: 

 https://play.google.com/store/apps/details?id=quran.alquran.tafhimulquran.arabic.bangla.ovidhan


( এই লিংকটি ইনশাআল্লাহ, আপনাদের ফেসবুক, টুইটার, রেডিট,  গুগল প্লাস, ফেসবুক মেসেঞ্জার ইত্যাদি যে যেখানে পারেন শেয়ার করুন, এবং শেয়ার পাওয়ার পর ঐ ব্যক্তি যদি এ্যাপটি পড়ে তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনিও সওয়াবের অংশীদার হবেন, জাজাকুুমুল্লাহ। কুরআনের শব্দার্থ এ্যাপ অনেকেই খুজেন কিন্তু যথাযথভাবে পান না। তাই আপনি তাদেরকে খুজে পেতে সহায়তা করুন। ইনশাআল্লাহ। )  

প্রশ্ন : ১১৫ : শিশুদের কপালে কালো টিপ দেওয়া যাবে কি না?


জিজ্ঞাসা-৬৭:আসসালামু আলাইকুম। আমাদের সমাজে প্রচলন আছে যে, ছোট বাচ্চাদের কপালের একপাশে আঙ্গুল দিয়ে কালো টিপ এঁকে দেয়া হয় বদ নজর থেকে বা কুদৃষ্টি থেকে বাচ্চাটাকে রক্ষার জন্য। এব্যাপারে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কি?


জবাব:ওয়া’লাইকুসসালাম।এটি নিছক কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। একজন মুসলিম হিসাবে এজাতীয় কুসংস্কার পরিহার করা উচিত।  কারণ এটি বদ নজর রোধ করে না। শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তা শিক্ষা দিয়েছেন।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাসান ও হুসাইন রা. এর জন্য এই দোয়া পড়ে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করতেন-
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ.
অর্থ : সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।
(দোয়াটি এক সন্তানের জন্য পড়লে ‘উয়ীযুকা’, দুইজনের জন্য ‘উয়ীযুকুমা’ আর দুইয়ের অধিক হলে ‘উয়ীযুকুম’ বলতে হবে। ) (বুখারীঃ ৩৩৭১)
শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য এই দোয়াটি পড়েও ফু দেয়া যেতে পারে। হাদীসে এসেছে, জিবরীল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে এই দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়তেন।
بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
“আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি প্রতিটি এমন জিনিষ হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং প্রত্যেক জীবের অমঙ্গল হতে ও হিংসুকের বদ নজর হতে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি।” (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সালাম)
পাশাপাশি আয়াতুল কুরসী, তিন কুল ও হাদীসের অন্যান্য  দোয়াও এক্ষেত্র প্রয়োগ করা যেতে পারে ।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

=========================

প্রশ্ন : কালো টিপ বাচ্চাদের অনেক মা দেন। অনেকে ঝাড়ু বা জুতা ঝুলিয়ে রাখেন বদনজর থেকে রক্ষার জন্য। আমি মনে করি এগুলো কুসংস্কার। এ ব্যাপারে আপনাদের অভিমত জানতে চাই।  
উত্তর : আপনি মনে করেছেন কুসংস্কার। কুসংস্কার তো আছেই বরং তার থেকে আরো একটু উপরে আছে। ট্রাকের পেছনে জুতা ঝুলিয়ে রাখা অথবা ঘরের ভেতর ঝাড়ু ঝুলিয়ে রাখা বা বাচ্চাদের কপালে কালো টিপ দেওয়া যেন বদনজর থেকে বাঁচা যায়, ইত্যাদি যাবতীয় কাজ হলো এক প্রকারের শিরক। শুধু কুসংস্কারই নয়, এগুলো এক ধরনের শিরক।
কারণ, আপনি মনে করছেন, এগুলোর এই ক্ষমতা আছে। আমাদের কুসংস্কার এবং এই শিরকি আকিদার ভেতর এটা এমন ব্যাপক হয়েছে যে দেখা যায়, প্রায় ট্রাকের পেছনেই ছেঁড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, কু-দৃষ্টি লাগবে না। আবার কেউ কেউ মনে করে, এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না। এই যে বক্তব্য বা দৃষ্টিভঙ্গি, এটি একেবারেই ভুল। এই কাজটি মূলত এক প্রকারের শিরক। শিরকি চিন্তা চেতনা থেকেই মূলত এগুলো মুসলমানদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা মুসলমানরা না বুঝেই সেগুলোকে গো-গ্রাসে গেলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মনে করছি এগুলোই সঠিক।
ইসলাম একটি সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। আপনি দেখেন এই কাজগুলোর মধ্যে কিন্তু কোনো সৌন্দর্য বা কোনো বিবেক-বিবেচনা নেই। অথচ ইসলামে এগুলো থেকে বাঁচার জন্য বিবেচনা এবং সৌন্দর্য সবটাই দেওয়া আছে। আপনি যদি বদদোয়া থেকে বাঁচতে চান, তাহলে কীভাবে বাঁচবেন, সেটা রাসুল (সা.) বলে দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন।
আপনি সন্তানকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন, বদদোয়া লাগতে পারে, সেটা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি ওই দোয়াটি পড়ে তাকে ফুঁ দিলেই যথেষ্ট।


প্রশ্ন : শিশুদের গলায় তাবিজ ব্যবহার করা যাবে কি ? 

উত্তর : না । রাসুল সা: বলেছেন, “যে ব্যাক্তি কোন কিছু  লটকালো তাকে তার উপরই সোপর্দ করা হল। 
সুতরাং, কোন শিশু বা ব্যক্তি কারো জন্যই তাবিজ ব্যবহার করা যাবেনা। এটা হচ্ছে এক শ্রেণীর লোকদের একটা ব্যবসা। তারা আপনার নিকট তাবিজ বিক্রয় করে দু পয়সা কামাই করে থাকে। 

প্রশ্ন: ১১৪ : রাসুল সা: এর নামে কুরবানী এবং অন্যের পক্ষে ওয়াজিব কুরবানী ।

প্রশ্ন : 
(1) একটি পশুর 7 টি অংশ একটি অথবা দুই টি অংশ যদি রাসুল(সাঃ)এর নামে কুরবানী করা হয়, তাহলে আদায় হবে কিনা? প্রশ্ন(2)পাঁচ ভাই প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন সংসার সকলের উপরেই কুরবানী ওয়াজিব,এখন বড় ভাই যদি নিজের সম্পদ থেকে সকলের কুরবানী আদায় করে দেয় তাহলে অন্যন্য ভাইএর ওয়াজিব আদায় হবে কিনা? জানতে ইচ্ছুক।


উত্তর : 
(১) নং : 

ইমাম আবূ দা'ঊদ এবং ইমাম তিরমিযী এ মর্মে দু'টি হাদীস বর্ণনা করেছেন নিম্নে সে দু'টি নিয়ে আলোচনা করা হলো :حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْحَسْنَاءِ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ حَنَشٍ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ مَا هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ. (أبوداود : ২৭৯০)ইমাম আবূ দাঊদ বলেন : আমাদেরকে উসমান ইবনু আবী শাইবাহ্‌ হাদীস বর্ণনা করে (শুনিয়েছেন), তিনি বলেন : আমাদেরকে শারীক হাদীস বর্ণনা করে (শুনিয়েছেন), তিনি আবুল হাসনা হতে, তিনি আল-হাকাম হতে, তিনি হানাশ হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন : আমি আলী )ঃ(-কে দু'টি মেষ যাব্‌হ করতে দেখেছি। আমি তাকে বললাম এ কি? (অর্থাৎ দু'টি কেন?) তিনি উত্তরে বললেন : রসূল )ব ( আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করার জন্য অসিয়্যাত করে গেছেন। তাই আমি তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করছি।

:حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْحَسْنَاءِ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ حَنَشٍ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ كَانَ يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ أَحَدُهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْآخَرُ عَنْ نَفْسِهِ فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ أَمَرَنِي بِهِ يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا أَدَعُهُ أَبَدًا.ইমাম তিরমিযী বলেন : আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবনু ওবাইদ মুহারিবী কূফী হাদীস বর্ণনা করে শুনিয়েছেন, তিনি বলেন : আমাদেরকে শারীক হাদীস বর্ণনা করে শুনিয়েছেন, তিনি আবুল হাসনা হতে, তিনি আল-হাকাম হতে, তিনি হানাশ হতে, তিনি আলী )ঃ( হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (আলী) দু'টি মেষ কুরবানী দিতেন একটি নাবী )ব (-এর পক্ষ থেকে আর দ্বিতীয়টি তার নিজের পক্ষ থেকে। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন : আমাকে নাবী )ব( তা করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। অতএব আমি কখনও তা ছাড়ব না। [হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (১৪৯৫) বর্ণনা করেছেন]।

অতএব, রাসুল সা: এর নামে কুরবানী করলে তা আদায় হবে। 


উত্তর : 
(২) নং ।  

না, আদায় হবে না। প্রত্যেক ভাইকেই নিজের পয়সা খরচ করে কুরবানী দিতে হবে, যার নিজের উপর কুরবানী ওয়াজিব ।  অন্যদিকে রাসুল সা: সম্পদশালী ছিলেন না, তার উপর কুরবানী ওয়াজিব ছিলনা, বরং নফল ছিল। তিনি প্রতি বৎসরই কুরবানী দিতেন। 

কেননা রাসুলের কোরবানি নফল ছিল। তিনি তো সম্পদ জমা রাখতেন না। তাই তিনি নিসাবের মালিক থাকতেন না। তাঁর ওপর জাকাত ফরজ ছিল না। তিনি নফল সদকা করতেন, তেমনি তাঁর কোরবানি নফল ছিল। আর নফল  কোরবানিতে একাধিক ব্যক্তির নিয়ত করা যায়। কেননা তাতে কোরবানি দাতার জন্য হয় আর পুণ্য সবার জন্য পৌঁছে যায়। নফল কোরবানির জন্য অনুমতিও লাগে না।  বিদায় হজেও মহানবী (সা.) দুটি ভেড়া জবেহ করেছেন। এক হাদিসে এসেছে : ‘অতঃপর (বিদায় হজের ভাষণের পর) তিনি চিত্রবিচিত্র দুটি ভেড়া নিলেন ও তা জবেহ করলেন। একটি ছাগলের পাল তিনি সাহাবাদের মধ্যে বণ্টন করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৬৭৯)
হজের সময় তিনি তাঁর স্ত্রীদের জন্য কোরবানি করেছেন। সেটা ছিল তাঁদের অনুমতিবিহীন। কেননা তা নফল কোরবানি ছিল। আর নফল কোরবানির জন্য অনুমতি লাগে না। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, “আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে জিলকদের ২৫ তারিখে বের হলাম, তখন আমরা হজের নিয়ত করেছি। যখন আমরা মক্কার কাছে গেলাম তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের মধ্যে যারা ‘হাদি’র প্রাণী আনেনি, তাদের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তখন আমাদের মধ্যে কোরবানির দিন গরুর গোশত বিতরণ করা হলো। আমি (বাহককে) বললাম, এটা কী? বাহক বলল, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিবিদের পক্ষ থেকে গরু কোরবানি করেছেন।” (বুখারি, হাদিস : ১৭০৯)

প্রশ্ন : ১১৩ : পারিবারিক ঋণ পরিশোধের জন্য জরুরী প্রয়োজন থাকা সাপেক্ষেও বিবাহে দেরী প্রসঙ্গে।

প্রশ্নঃ
আমি একজন যুবক, বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে নারীর ফেৎনা থেকে,নিজের চরিত্র,ঈমান এবং যৌবনকে হেফাজত করার জন্য বিবাহ করতে চাই,নিজের আমলনামাকে গুনাহ থেকে মুক্ত রাখতে চাই,ঈমান পরিপূর্ণ করার বিবাহ নামক বৈধ পন্থা অর্জন করতে চাই,বিবাহ করা আমার উপর ওয়াজিব হয়ে আছে, কারন বিবাহ দূত না করতে পারলে গুনাহ লিপ্ত হওয়ার সম্ভবভনা আছে,বিবাহ করার মত শারীরিক ও আত্মিক সচ্চলতা আছে,কিন্তু আমার পরিবারের কিছু টাকা ঋন আছে,আমার পিতা মাতা বলতেছে ঋণগুলো পরিশোধ করে তারপর বিবাহ করতে।এখন আমার কি করা প্রয়োজন, জানাবেন??


উত্তরঃ
আপনি আপনার কোন মুরুব্বী বা দাদা বা নানা নানী স্থানীয় কাউকে এই কথা গুলো খুলে বলুন, তাদেরকে আপনার পিতা মাতাকে বুঝাতে বলুন। আশা করি তারা রাজী হয়ে যাবেন। এরপরও যদি আপনার পিতা মাতাা না বুঝতে চেষ্টা করেন এবং রাজী না হন, তাহলে আপনি নিজেই বিয়ে করে ফেলুন।

প্রশ্ন: ১১২ : মা ফাতেমার দেনমোহর কত?

বার্তা সংস্থা ইকনা: 

একদিকে হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর অতুলনীয় ফজিলতপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং অপর দিকে রাসূল (সাঃ)-এর সাথে সম্পৃক্ততা ও বংশীয় শ্রেষ্ঠতার কারণে রাসূল (সাঃ)-এর অনেক খ্যাতনামা সাহাবীগণ তাঁর সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তারা সবাই না-সুচক জবাব পান। লক্ষণীয় হচ্ছে রাসূল (সাঃ) তাদের প্রস্তাবের জবাবে বলতেন, “ ফাতেমার (বিবাহের) বিষয়টি আল্লাহর হাতে ন্যস্ত।”

সবচেয়ে বেশি বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে আব্দুর রহমান ইব্নে আওফের প্রস্তাব, যে ছিল বিপুল ঐশ্বর্যের মালিক। আর তৎকালীন আরবের প্রথা ছিল সব কিছু পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা এবং মোটা অংকের মাহ্রিয়েকে (দেন মোহর) নারীর সম্মানের মাপকাঠি এবং স্বামীর বিশেষ ব্যক্তিত্বের প্রমাণ বলে মনে করা হত। সে রাসূল (সাঃ)-এর নিকট পৌছে আরজ করল, "যদি হযরত ফাতেমা (আঃ) কে আমার বিয়ে দেন, তবে মিশরীয় দামী বস্ত্রে বোঝইকৃত একশত উঠ এবং দশ হাজার দিনার মাহ্রিয়া প্রদান করব। রাসূল (সাঃ) তার এ আপত্তিকর প্রস্তাবে রাগন্বিত হন এবং এক মুষ্ঠি নূড়ী পাথর নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যান এবং বলেন, "তুমি ধারণা করেছ আমি অর্থ- সম্পদের লোভী এবং আমার সম্মুখে তোমার ঐশ্বর্যের দম্ভ প্রদর্শন করছ।”
হ্যাঁ , হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর বিবাহের প্রস্তাব তো ইসলামের মহান আদর্শসমূহকে সুনির্দিষ্ট করবে। সাথে সাথে জাহেলী যুগের প্রথাগুলোর মুলোৎপাটন এবং ইসলামী মূল্যবোধের সুপ্রতিষ্ঠা করবে। মদীনার জনগণ যখন এসব আলোচনাতে মশগুল। তখন চারিদিকে এ প্রতিধ্বনি শোনা গেল যে, রাসূল (সাঃ) তঁাঁর কন্যাকে একমাত্র আলী ইবনে আবু তালিব (আঃ)-এর সাথে বিবাহ দিবেন। আলী (আঃ)-এর কোন ধণ সম্পদ ছিল না এবং আরবের জাহেলী প্রথানুযায়ী ঐশ্বর্যের প্রাচুর্যও তাঁর ছিল না। কিন্তু তাঁর সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে ছিল ঈমান ও ইসলামী মূল্যবোধ।
যদি একটু অনুসন্ধান করা হয়  তবে দেখা যাবে যে, এ ঐতিহাসিক বিবাহ সম্পর্কিত রাসূল (সাঃ)-এর সিদ্ধান্ত ছিল ওহি নির্দেশিত। কেননা তিনি স্বয়ং বলেন, " আল্লাহর ফেরেশ্তা আমার নিকট এসে বলল: আল্লাহ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, তিনি আপনার কন্যা হযরত ফাতেমা যাহ্রা  (আঃ) কে আসমানে আলী ইব্নে আবু তালিবের সাথে বিবাহ দিয়েছেন। সুতরাং, আপনিও তাকে জমিনে (পৃথিবীতে) আলীর সাথে বিবাহ  দিন ।”
যখন আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আঃ) হযরত ফাতেমা যাহ্রা (আঃ)-এর প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তখন লজ্জায় তাঁর চেহারা মোবারক গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছিল। রাসূল (সাঃ) এরূপ অবস্থা দেখে মুচকি হেসে বলেন, " আমার নিকট কি কাজে এসেছ ? ” কিন্তু আলী (আঃ) রাসূল (সাঃ)-এর ফজিলতপূর্ণ গাম্ভীর্যের  কারণে নিজের আকাংখা ব্যক্ত করতে পারলেন না বরং নীরব থাকলেন। রাসূল (সাঃ) যেহেতু আলী (আঃ)-এর অন্তরের ইচ্ছা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন, সেহেতু বলেন, " ফাতেমার প্রস্তাব নিয়ে এসেছ।”  আলী (আঃ) বলেন ঃ " জী , এ উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছি।”
রাসূল (সাঃ) বলেন, " হে আলী! তোমার পূর্বেও অনেকে ফাতেমার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। কিন্তু যখনই আমি তাদের প্রস্তাব ফাতেমার (আঃ)-এর কাছে উপস্থাপন করেছি , সে না-সূচক জবাব দিয়েছে। এখন তোমার বিষয়টিও তাঁর কাছে তুলে ধরব।” এটা সত্য যে এ বিবাহটি হচ্ছে একটি আসমানী বিষয় এবং তা সম্পন্ন অবশ্যম্ভবী। কিন্তু বিশেষতঃ হযরত ফাতেমা যাহ্রা (আঃ)-এর অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণভাবে সহধর্মী নির্বাচনে নারীদের মতামতের গুরুত্ব প্রমাণের জন্য রাসূল (সাঃ) হযরত ফাতেমা (আঃ)-এর সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকে কোন পদক্ষেপ নেননি। যখন রাসূল (সাঃ) আমিরূল মুমিনীন আলী (আঃ)-এর ফজিলত নিজ কন্যার নিকট বর্ণনা করে বলেন, " আমি চাই তোমাকে আল¬াহ্র সর্বোত্তম সৃষ্টির সাথে বিবাহ দিতে। এ সম্পর্কে তোমার মতামত কি ? ”  হযরত ফাতেমা যাহরা(আঃ) অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে মাথা নত করেন এবং নীরব থাকেন তখন রাসূল (সাঃ) মাথা তুললেন এবং প্রসিদ্ধ ব্যাক্যটি যা বিবাহ সংক্রান্ত ব্যাপারে ফকীহ্গণের নিকট অত্যন্ত সুপরিচিত তা উল্লেখ করেন, " আল্লাহু আকবার! তার (ফাতেমার) নীরবতা হচ্ছে সম্মতির প্রমাণ।” অতঃপর রাসূল (সাঃ) তাদের উভয়ের বিবাহের আকদ্ পাঠ করেন।

হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর বিবাহের দেন মোহর
এখন আমরা দেখব যে, হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর বিবাহের দেন মোহর কী ছিল? নিঃসন্দেহে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সাথে নারীকুলের শিরোমণি নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহ্রা (আঃ)-এর বিবাহ সার্বিক বিবেচনায় দৃষ্টান্তনীয় হওয়া বাঞ্ছনীয় । সকল যুগ ও শতাব্দীতে তা হবে এক অনুপম আদর্শ । অতঃএব রাসূল (সাঃ) আলী (আঃ)-এর দিকে তাকিয়ে বললেন,"এমন কিছু কী আছে যা দ্বারা তোমার স্ত্রীর দেন মোহর প্রদান করবে ? ” আলী (আঃ) বলেন, " আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি উৎসর্গিত হোক। আপনি আমার জীবন-যাপন সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত আছেন। আমার নিকট একটি তরবারী, একটি ঢাল ও একটি উট ছাড়া আর কিছুই নেই।”
রাসূল (সাঃ) বলেন, " ঠিক আছে, ইসলামের শত্রট্টদের সাথে যুদ্ধের সময় তোমার তরবারী প্রয়োজন হবে। তাছাড়া উঠটি দিয়ে খেজুর বাগানে পানি দিতে এবং সফরের সময়ও তোমার উঠের প্রয়োজন হবে। অতএব, অবশিষ্ট থাকে শুধুমাত্র ঢালটি, আর তা দিয়েই তোমার স্ত্রীর দেন মোহর প্রদান করবে। আমি আমার কন্যা ফাতেমাকে কেবলমাত্র উক্ত ঢালের বিনিময়ে তোমার সাথে বিবাহ দিলাম।” 
অবশ্য ইতিহাসে এ ঢালটির সর্বোচ্চ যে মূল্যটি উল্লেখ করেছে তা হচ্ছে পাঁচ শত দিরহাম। অপর দিকে হাদীসে উল্লে¬খ আছে যে, হযরত ফাতেমা যাহ্রা (আঃ) তাঁর পিতার নিকট অনুরোধ জানান যে স্বীয় দেন মোহরকে কিয়ামতের দিন উম্মতের গুনাহকারীদের সাফায়াতের জন্য নির্ধারণ করা হোক। তাঁর এ আবেদন কবুল করা হয় এবং হযরত জীব্রাঈল (আঃ) আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়ে রাসূল (সাঃ) কে এ সুসংবাদ প্রদান করেন।
হ্যাঁ, এভাবে ভ্রান্ত রীতি-পদ্ধতির অবসান  ঘটিয়ে তদস্থলে প্রকৃত সঠিক রীতি-পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হচ্ছে ঈমানদার নর-নারীদের রীতিনীতি। আর এমনই ছিল মানবজাতীর প্রকৃত নেতাদের জীবন পদ্ধতি।

মূল লিংক

প্রশ্ন : ১১১ : শিয়া ও সুন্নী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

(আরবিشيعة‎‎, শীআ'হ্‌) ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়। শিয়া ইসলাম অনুসরণকারীদের শিইতি বা শিয়া বলা হয়। “শিয়া” হল ঐতিহাসিক বাক্য “শিয়াতু আলি” (شيعة علي) এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ “আলি অনুগামীরা” বা “আলির দল”।[১][২][৩][৪][৫] শিয়া মতবাদের মূল ভিত্তি হলো, আলি এবং ফাতিমার বংশের মাধ্যমে নবি পরিবারের (আহলে বাইত) লোকেরাই হলেন ইমামত বা নেতৃত্বের প্রধান দাবীদার; তাই আলি খিলাফতের প্রশ্নে আবু বকর, উমর ও উসমানের মুকাবেলায় অগ্রাধিকারী। শিয়ারা বিশ্বাস করে ইসলামের সর্বশেষ নবী গাদির খুমের ঘটনার (The event of Ghadir Khumm) মাধ্যমে তাকেই খিলাফতের জন্য মনোনীত করে গিয়েছিলেন।[৬] আবু বকর ছিলেন বনু তাইম গোত্রের, উমর বনু আদি গোত্রের, উসমান বনু উমাইয়া গোত্রের কিন্তু আলি মুহাম্মদের হাশেমি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আলি একাধারে প্রথম পুরুষ মুসলিম, ইসলামের রাসুলের চাচাতো ভাই, রাসুলের জামাতা, রাসুলের দৌহিত্র হাসান ও হোসেনের পিতা ও রাসুলের সেনাপতি ছিলেন। রাসুলের কোনো পুত্রসন্তান ছিলনা এবং দৌহিত্রা (হাসান, হোসেন) শিশু ছিলেন। এসবদিক বিবেচনায় রাসুলের ইন্তেকালের পর আলিই নেতৃত্বের সর্বাধিক যোগ্য বলে শিয়া মুসলিমগণ মনে করেন। তারা আলি ও মুয়াবিয়ার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধেও আলিকে সমর্থন করেন। পরবর্তীতে মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদের সেনাবাহিনী আলির পুত্র হোসেনকে হত্যা করলে শিয়া মুসলিমরা খিলাফতের প্রতি পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং হোসেনপুত্র জয়নুল আবেদিনের মাধ্যমে আলি ও ইসলামের রাসুলের বংশধরদের মধ্যে থেকে ইমামতের নীতি অনুসরণ করতে থাকে।
ইসলামের অন্য স্কুলের মতো, শিয়া ইসলাম ইসলামিক ধর্মগ্রন্থপবিত্র কুরআন এবং ইসলামের সর্বশেষ নবী[৭] এর জীবনাদর্শের উপর প্রধান গুরুত্ব দেয়।[৮] তবে তারা আব্বাসিয় শাসনামলে (হিজরি ৩য় শতকে) সংকলিত সিহাহ সিত্তাহ হাদিসের তুলনায় আহলে বাইতের নিকট থেকে প্রাপ্ত হাদিস সমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে করে। শিয়া মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র আল্লাহই ইসলাম, কুরআন এবং শরিয়াত রক্ষা করার জন্য একজন প্রতিনিধি (নবী এবং ইমাম) নির্বাচন করতে পারেন[৯], সাধারণ মুসলমানরা পারে না। যার কারণে শিয়ারা ইসলাম এবং কুরআনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য জনগণ যে আবু বকরউমর এবং উসমানকে নির্বাচন করেছেন তা অনুসরণ করে না। এই জন্য শিয়ারা আলিকে চতুর্থ খলিফা হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং প্রথম ইমাম হিসেবে বিবেচনা করেন। শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, অনেক বর্ণনা রয়েছে যেখানে ইসলামের নবী তার উত্তরাধিকারী হিসাবে আলিকে নির্বাচিত করেছিলেন।[১০][১১]
ইরানইরাক, বাহরাইন, আজারবাইজান, লেবানন, ইয়েমেন ইত্যাদি দেশে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাছাড়া সিরিয়া, কুয়েত, জর্ডান, ফিলিস্তিন, সউদি আরব, ভারত, পাকিস্তানেও প্রচুর শিয়া মুস্লিমদের বসবাস।

সুন্নি মুসলিমরা ইসলাম অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়। সুন্নিরা আরো পরিচিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াত (আরবিاهل السنة والجماعة‎‎ ") সংক্ষেপে আহল আস-সুন্নাহ (আরবিأهل السنة‎‎‎) নামে। সুন্নি শব্দের উৎপত্তি সুন্নাহ (আরবিسنة‎‎) শব্দ থেকে যা দ্বারা ইসলামের নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও কর্মকে বুঝায়। নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবিত অবস্থায় সুন্নি বা শিয়া বা অন্য কোনো নামে কোনো সম্প্রদায় ছিল না। সুন্নিরা ইসলামের সেই অংশের প্রতিনিধিত্ব করে যারা নবি মুহাম্মদের মৃত্যুর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত খলিফা আবু বকরকেমেনে নিয়েছিল। তাই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় ( খিলাফত) নির্বাচন বা ‘শুরা’ সুন্নি ইসলামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ সুন্নি আইনজ্ঞরা নিজেদের সুন্নি আইনের চারটি ঘরানার (হানাফিমালিকিশাফিয়িহানবালি) যে কোনো একটির অনুসরণ করেন। এর বাইরেও কয়েকটি সংখ্যালঘু সুন্নি মাযহাব রয়েছে।


প্রশ্ন : শিয়া ও সুন্নী মাজহাবের মধ্যে মৌলিক পার্থক্যগুলো কী কী? এছাড়া উভয় মাজহাবের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে মিল আছে তাও জানতে চাই।
উত্তর : শিয়া মাজহাব মুসলিম মাজহাবগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো মাজহাব নয়।
মুসলিম মাযহাবগুলোর মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। যদিও সেগুলোর বেশিরভাগই কালাম শাস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং বেশিরভাগ সাধারণ মুসলমানই সেগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও বহু অভিন্ন বিষয় খুঁজে পাওয়া যায় যা এই মাযহাবগুলোর ঐক্যের বন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে। এসব অভিন্ন বিষয়ের সংখ্যা বিভেদ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তুলনায় অনেক বেশি। দুঃখের বিষয় হলো মতানৈক্য সৃষ্টিকারীরা যৌথ বা অভিন্ন বিষয়গুলো যেন তুলে না ধরারই পণ করেছেন।

শিয়া সুন্নিদের মধ্যে যেসব বিষয়ে মিল রয়েছে
১- বিভিন্ন মাযহাবের ফিকাহগত বিষয় যেমন, বিয়ে, তালাক, হজ্ব, উত্তরাধিকার আইন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। শিয়া ফেকাহতেও উপরোক্ত বিষয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাতের অপর ৪ মাযহাবের সঙ্গে মিল রয়েছে। মাসলা-মাসায়েলের মত শাখাগত বিষয় এমনকি কোনো কোনো বিষয়ের ফরজ হওয়া বা ফরজ না হওয়া নিয়ে সুন্নিদের মাজহাবগুলোর মধ্যেই অনেক মতপার্থক্য দেখা যায়, শিয়া মাজহাবও এর ব্যতিক্রম নয়।
২- ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিলের সংখ্যাই বেশি। যেমন, শিয়া ও সুন্নি উভয় মাজহাবই এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহতে বিশ্বাসী।
৩- উভয় সম্প্রদায়েই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে শেষ নবী ও রাসূল মনে করে।
৪- উভয় সম্প্রদায়েই কোরআনকেও অবিকৃত মনে করে উভয় মাজহাবই।
৪- উভয় মাজহাবই বিশুদ্ধ হাদীসকে মান্য করতে বলে। উভয় মাজহাবই রোজা রাখা, নামাজ কায়েম করা, যাকাত দেয়া, হজ্ব পালন, অতীতের নবী-রাসূলদের স্বীকৃতি দেয়া, কিয়ামত বা পুনরুত্থাণে বিশ্বাস ইত্যাদিকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অংশ মনে করে।
শিয়া-সুন্নি পার্থক্য
১- শিয়াদের প্রধান ধারা বা ১২ ইমামি শিয়া মুসলমানরা মনে করেন রাসূল (সা.)'র পর কে মুসলমানদের নেতা বা খলিফা হবেন তা "তানসিসি" বিষয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহর নির্দেশে ও রাসূল (সা.)'র ব্যাখ্যার মাধ্যমে খলিফা বা ইমাম নির্বাচিত হবেন।
অন্যদিকে সুন্নি মুসলমানরা মনে করেন এই পদে কে বসবেন তা নির্বাচন বা বেছে নেয়াম মাধ্যমে নির্ধারণযোগ্য বিষয়।
২- শিয়াদের যুক্তি: শিয়া মুসলমানরা মনে করেন রাসূল (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইত থেকেই মুসলমানদের রাসূল (সা.) পরবর্তী ইমাম বা নেতা কিংবা কোরআনের ভাষায় "উলিল আমর" মনোনীত হয়েছেন। আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.) ও তাঁর বংশে জন্ম নেয়া আরো ১১ জন ইমাম মুসলমানদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মনোনীত নেতা। হযরত ইমাম মাহদী (আ.) এই ১২ জন ইমামের মধ্যে সর্বশেষ ইমাম। শিয়া মুসলমানরা এই ১২ ইমামকে নিষ্পাপ মনে করেন এবং তারা কখনও ভুলও করেন না। কোনো সুস্থ ও বিবেক-সম্পন্ন মানুষের পক্ষে বিষ-পান যেমন অসম্ভব বিষয়, তাঁদের জন্যও পাপ ও ভুল করা অসম্ভব বিষয়। পবিত্র কোরআনে সুরা আহজাবের ৩৩ নম্বর আয়াতে বিশ্বনবী (সা.)-এর আহলে বাইত সম্পর্কে বলা হয়েছে:
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
এর অর্থ: হে নবীর আহলে বাইত। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
সুন্নি মুসলমানরাও শিয়া মুসলমানদের সব ইমামকেই শ্রদ্ধা করেন এবং তাঁদেরকে উচ্চ মর্যাদা-সম্পন্ন মুসলমান বলে মনে করেন, তবে তাঁরা সবাই আল্লাহর মনোনীত খলিফা বা ইমাম ছিলেন বলে সুন্নি ভাইরা মনে করেন না। সুন্নি মুসলমানরা হযরত আলী (আ.)-কে চতুর্থ খলিফা হিসেবে সম্মান করেন। শিয়াদের দৃষ্টিতে আহলে বাইতের সদস্য বলে বিবেচিত হযরত ফাতিমা (সা.)-কে সুন্নিরাও বেহেশতী নারীদের সর্দার মনে করেন। তাঁর দুই পুত্র হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন (আ.)কেও বেহেশতী যুবকদের সর্দার মনে করেন সুন্নি ভাইরা। শিয়া ভাইদের ১২ জন ইমামের সবার নামই পবিত্র মদীনার মসজিদুন্নবীর ছাদ-সংলগ্ন বিভিন্ন বিম বা পিলারে এখনও খচিত রয়েছে।
৩- সুন্নি ভাইরাও ইমাম মাহদী (আ.)-কে মুসলমানদের শেষ ইমাম মনে করেন। তবে তাঁর জন্মকাল ও আবির্ভাব নিয়ে এ দুই মাজহাবের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
শিয়া ভাইরা মনে করেন আল্লাহ মুসলমানদের জন্য সব সময়ই নেতা বা ইমামের ব্যবস্থা করেছেন। এখনও ইমাম মাহদী (আ.) মুসলমানদের নেতা, তবে তিনি জন্মের কিছুকাল পর অদৃশ্য অবস্থায় রয়েছেন এবং শ্রেষ্ঠ ইসলামী আইনবিদ বা ওলীয়ে ফকিহ ইমাম মাহদী (আ.)'র প্রতিনিধি হিসেবে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার পিতা ইমাম হাসান আসকারী (আ.) ছিলেন মুসলমানদের ১১ তম ইমাম। উপযুক্ত সময়ে ও পরিবেশে ইমাম মাহদী (আ.) আবারও আবির্ভূত হবেন এবং হযরত ঈসা (আ.) হবেন তাঁর সহকারী বা সহযোগী। ইমাম মাহদী (আ.) সারা বিশ্বে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
৪- সুন্নী মুসলমানরাও মনে করেন ইমাম মাহদী (আ.) সারা বিশ্বে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন এবং হযরত ঈসা (আ.) হবেন তাঁর সহকারী বা সহযোগী। তবে সুন্নি মুসলমানদের অনেকেই তাঁর জন্ম এখনও হয়নি বলে মনে করেন।
৫- সুন্নি মাজহাবের অন্যতম প্রধান ইমাম আবু হানিফা (র.) ও মালিকি মাজহাবের প্রধান মালিক ইবনে আনাস ছিলেন শিয়া মুসলমানদের ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.)'র ছাত্র।
শিয়া ভাইদের সম্পর্কে একটা মারাত্মক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেকের মধ্যে। এ ভুল ধারণাটি হল, শিয়ারা হযরত আলী (আ.)-কে মর্যাদার দিক থেকে রাসূল (সা.)'র সমতুল্য মনে করে। কিন্তু এ অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। শিয়া মুসলমানরা এবং তাঁদের ইমামরাই হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সব দিক থেকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মনে করেন। #
(রেফারেন্স : 'শিয়ে পাসোখ মিদাহাদ'- সাইয়েদ রেজা হুসেইনী নাসাব)

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...