যাত্রা পুস্তক 4:2-5

মোশিকে ঈশ্বরের অলৌকিক ক্ষমতা দান
1মোশি বললেন, ইসরায়েলীরা আমাকে বিশ্বাস করবে না, আমার কথাও শুনবে না। তারা বলবে, প্রভু পরমেশ্বর তোমাকে দর্শন দেন নি। 
 2প্রভু পরমেশ্বর, তাঁকে বললেন, তোমার হাতে ওটা কি? মোশি বললেন, একটা লাঠি। 3প্রভু পরমেশ্বর বললেন, ওটা মাটিতে ফেলে দাও। মোশি লাঠিটা মাটিতে ফেলে দিলেন আর সেটা সাপ হয়ে গেল। মোশি দৌড়ে দূরে সরে গেলেন। 4কিন্তু প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বললেন, হাত বাড়িয়ে ওটার লেজ ধর। মোশি হাত বাড়িয়ে সাপটির লেজ ধরার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেটি তাঁর হাতের লাঠিতে পরিণত হল। 5প্রভু পরমেশ্বর বললেন, তোমাকে এই রকম করতে দেখলে লোকে বিশ্বাস করবে যে তাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর সত্যিই তোমাকে দর্শন দিয়েছেন।
6প্রভু পরমেশ্বর আবার বললেন, জামার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তোমার বুকে হাত দাও। মোশি তাই করলেন, তারপর হাত বের করে আনার পর দেখা গেল তাঁর হাতে শ্বেতকুষ্ঠ হয়েছে। 7প্রভু পরমেশ্বর বললেন, তোমার হাত আবার বুকে রাখ। মোশি আবার বুকে হাত রাখলেন। পরে তিনি যখন হাত বের করে আনলেন, তখন দেখা গেল তাঁর হাত দেহের অন্যান্য অংশের মতই সুস্থ হয়ে গেছে। 8প্রভু পরমেশ্বর বললেন, ইসরায়েলীরা যদি ঐশীশক্তির প্রথম নির্দশন দেখে তোমাকে বিশ্বাস না করে এবং তোমার কথা না শোনে তাহলে দ্বিতীয়টি দেখে তারা বিশ্বাস করবে। 9এই দুটি নির্দশন দেখেও যদি তাদের প্রত্যয় না হয় এবং তোমার কথা তারা না শোনে তাহলে তুমি নদীর জল খানিকটা নিয়ে মাটিতে ঢেলে দেবে। মাটিতে পড়ে নদীর সেই জল রক্তে পরিণত হবে।
10মোশি তখন প্রভু পরমেশ্বরকে বললেন, হে প্রভু, আমি কোন কালেই সুবক্তা নই, এমন কি তুমি তোমার এ দাসের সঙ্গে বাক্যালাপ করার পরেও আমি বাক্‌পটু হতে পারি নি। আমার মুখে আড়ষ্ট, তোৎলা লোক আমি। 11প্রভু তাঁকে বললেন, মানুষের বাক্‌শক্তি কার অবদান? কে মানুষকে মূক ও বধির করে সৃষ্টি করে? কে তাকে দেয় দৃষ্টিশক্তি? অথবা কে তাকে করে অন্ধ? আমি, প্রভু পরমেশ্বরই কি তা করি না? 12সুতরাং তুমি এখন সেখানে যাও, আমিই তোমাকে কথা বলার ক্ষমতা দেব, আর কি বলতে হবে তাও তোমাকে জুগিয়ে দেব।
13কিন্তু মোশি তবুও বললেন, হে প্রভু, আমাকে নয়, দয়া করে আর কাউকে পাঠান। 14এ কথায় প্রভু পরমেশ্বর মোশির উপর ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, লেবিকুলের হারোণ তো তোমার ভাই, আমি জানি সে বাক্‌পটু। সে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে। তোমাকে দেখে সে খুব আনন্দিত হবে। 15তুমি তার সঙ্গে কথা বলে তাকে কি বলতে হবে তা জানিয়ে দিও। আমি তোমাদের দুজনের মুখেই কথা জোগাব আর কি করতে হবে তাও দুজনকে বলে দেব। 16সে তোমার হয়ে জনতার কাছে সব কথা বলবে। সে হবে তোমার মুখপাত্র আর তুমি হবে তার কাছে ঈশ্বরস্বরূপ।  
17আর এই লাঠিখানা তুমি হাতে নাও, এর দ্বারাই তুমি সমস্ত অলৌকিক নির্দশন দেখাবে।
18মোশি তখন তাঁর শ্বশুর যিথ্রোর কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, আমাকে মিশরে আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিন। আমি গিয়ে দেখব তারা এখনও বেঁচে আছে কি না। যিথ্রো শুভেচ্ছা জানিয়ে মোশিকে বিদায় দিলেন।
মোশির মিশরে প্রত্যাবর্তন
19মোশি মিদিয়ন দেশে থাকতেই প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, তুমি মিশরে ফিরে যাও। যারা তোমার জীবন নাশের চেষ্টা করেছিল তারা সকলেই গত হয়েছে। 20মোশি তখন তাঁর স্ত্রী-পুত্রদের গাধার পিঠে চড়িয়ে ঈশ্বরদত্ত সেই লাঠিখানা হাতে নিয়ে মিশরের দিকে যাত্রা করলেন। 21প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে বললেন, তুমি এখন মিশরে ফিরে যাচ্ছ, দেখো, আমি যে সব অলৌকিক নির্দশন দেখাবার ক্ষমতা তোমাকে দিয়েছি সে সবই যেন স্মরণে থাকে। ফারাও-এর সাক্ষাতে সেগুলি প্রদর্শন করবে। কিন্তু আমি তার বোধশক্তি বিকল করে দেব ফলে সে ইসরায়েলীদের মুক্তি দেবে না। 22তখন তুমি ফারাওকে বলবে, প্রভু পরমেশ্বর বলেছেন, ইসরায়েল আমার প্রথম সন্তান। 23আমি তোমাকে বলেছিলাম, আমার সন্তানকে মুক্ত করে দাও, সে আমার আরাধনা করবে। কিন্তু তুমি তাকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করলে, তাই আমি এখন তোমার প্রথমজাত পুত্রকে সংহার করব।যাত্রা 12:29
24পথে মোশি এক পান্থশালায় রাত্রিযাপন করলেন। প্রভু পরমেশ্বর সেখানে দেখা দিয়ে তাঁকে বধ করতে উদ্যত হলেন। 25সিপ্পোরা তখন ধারাল একটা পাথরখণ্ড নিয়ে তাঁর পুত্রের লিঙ্গত্বক্ ছেদন করলেন এবং তা মোশির পায়ে ছোঁয়ালেন। আর তিনি বললেন, তুমি সত্যিই আমার রক্তমূল্যে পাওয়া স্বামী।
26প্রভু পরমেশ্বর তখন মোশিকে অব্যাহতি দিলেন। পুত্রের লিঙ্গত্বক্ ছেদনের জন্যই সিপ্পোরা বলেছিলেন ‘রক্তমূল্যে পাওয়া স্বামী’। 27প্রভু পরমেশ্বর হারোণকে বললেন, মোশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রান্তরে যাও। হারোণ ঈশ্বরের পর্বতে গিয়ে মোশির দেখা পেলেন এবং তাঁকে চুম্বন করে অভ্যর্থনা জানালেন। 28প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে পাঠাবার সময় যে সব কথা বলেছিলেন এবং যে সমস্ত অলৌকিক নিদর্শন দেখাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি সব কথাই হারোণকে বললেন। 29তখন মোশি ও হারোণ গিয়ে ইসরায়েলী নেতৃবৃন্দকে একত্র করলেন। 30প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে যা বলেছিলেন, সবই হারোণ তাদের কাছে ব্যক্ত করলেন। আর মোশি জনতার সাক্ষাতে সমস্ত অলৌকিক নির্দশন দেখালেন। 31ইসরায়েলীরা তখন তাঁকে বিশ্বাস করল আর প্রভু পরমেশ্বর তাদের প্রতি সদয় হয়েছেন এবং তাদের দুর্দশা দেখেছেন —এ কথা শুনে তারা প্রণত হয়ে প্রভু পরমেশ্বরের আরাধনা করল।

link

(দেখুন টয়েনবির লেখা (A Stuy Of History) বইয়ের ৩১-৩২ পৃষ্ঠা)

যাত্রা-পুস্তক ৩-১১

জ্বলন্ত ঝোপ
 
1মোশি তখন তাঁর শ্বশুর মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর ভেড়ার পাল চরাচ্ছিলেন। একদিন তিনি ভেড়ার পাল নিয়ে প্রান্তর পেরিয়ে ঈশ্বরের পর্বত হোরেব-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। 2সেখানে প্রভু পরমেশ্বরের দূত জ্বলন্ত অগ্নিশিখারূপে ঝোপের মধ্যে তাঁকে দর্শন দিলেন। মোশি দেখলেন, একটি ঝোপের মধ্যে আগুন জ্বলছে কিন্তু সেটি পুড়ছে না।প্রেরিত 7:30-34 3ঝোপটি কেন পুড়ছে না, পরম বিস্ময়কর এই দৃশ্য কাছে গিয়ে দেখার সঙ্কল্প করলেন মোশি। 4এই দৃশ্য দেখার জন্য মোশিকে কাছে এগিয়ে আসতে দেখে প্রভু পরমেশ্বর ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁকে ডাকলেন, মোশি! মোশি! মোশি উত্তর দিলেন, আজ্ঞে, এই যে আমি। 5ঈশ্বর বললেন, আর এগিও না, তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল, কারণ যে স্থানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ পবিত্রভূমি। 6তিনি আর‍ও বললেন, আমি তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর। তখন মোশি মুখ ঢেকে ফেললেন, কারণ ঈশ্বরের দিকে তাকাবার সাহস তাঁর হল না।
7প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বললেন, মিশরে আমার প্রজাদের দুর্দশা আমি দেখেছি, নিষ্ঠুর রাজার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ আমি শুনেছি, তাদের দুঃখ আমি জানি। 8মিশরীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা সম্পদশালী বিস্তীর্ণ এক মনোরম দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি এসেছি।3:8 প্রাচীন অনুবাদ-দুগ্ধ মধু প্রবাহী দেশ সেই দেশ কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবুষীয় প্রভৃতি জাতির বাসভূমি।
9ইসরায়েলীদের আর্তনাদ আমি শুনেছি, মিশরীরা যেভাবে তাদের নির্যাতন করছে, তা আমি দেখেছি। 10আমি এখন তোমাকে ফারাও-এর কাছে পাঠাব এবং আমার প্রজা ইসরালেয়ীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব।  
 
11মোশি ঈশ্বরকে বললেন, কিন্তু আমি এমন কে যে ফারাও-এর কাছে গিয়ে ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব?  
 
12ঈশ্বর বললেন, ভয় কি, আমি তোমার সঙ্গে থাকব। আর আমিই যে তোমাকে পাঠিয়েছি তার প্রমাণ হবে এই যে, তুমি যখন ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনবে তখন এই পর্বতেই তোমরা ঈশ্বরের আরাধনা করবে।
 
 
 
মোশির কাছে ঈশ্বরের আত্মপ্রকাশ
 
13মোশি তখন ঈশ্বরকে বললেন, আমি ইসরায়েলীদের কাছে গিয়ে যখন বলব, তোমাদের পূর্বপুরুষদের আরাধ্য ঈশ্বর আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, তখন তারা যদি জিজ্ঞাসা করে, তার নাম কি?— আমি তখন তাদের কি বলব?যাত্রা 6:2-3 14ঈশ্বর মোশিকে বললেন, আমি ‘ইয়াহ্ওয়েহ্’, সেই নিত্যসত্তা 
 
3:14 শাস্ত্রের এই বিশেষ পদটিতে ইসরায়েলীদের উপাস্য ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নামের মর্মার্থ বিবৃত করা হয়েছে। মূল হিব্রু শব্দ ‘ইয়াহ্ওয়েহ্’ (যার প্রচলিত ইংরেজী উচ্চারণ ‘জিহোবা’) একটি ক্রিয়াপদের সংক্ষিপ্ত রূপ। কোন স্বরচিহ্ন ছাড়াই শুধুমাত্র ব্যঞ্জনবর্ণ সহযোগে সাধারণতঃ শব্দটি লিখিত হয়। ‘হায়াহ্’- এই হিব্রু ধাতু থেকে ঐ শব্দটির উৎপত্তি এবং এর দ্বারা ঈশ্বরের শুধু শাশ্বত অস্তিত্ব নয় বরং সদাপরিবর্তনশীল জগতের ইতিহাসে তাঁর চির সক্রিয় ভূমিকা ও উপস্থিতিই সূচীত হয়। বর্তমান সংস্করণে এর পূর্বতন অনুবাদ ‘আছি’ বা ‘আমি যে সেই আছি’ ইত্যাদির পরিবর্তে হিব্রু ‘হায়াহ্’ ধাতু থেকে উদ্ভূত শব্দের সমার্থক শব্দ ‘নিত্যসত্তা’ ব্যবহার করা হয়েছে।। ইসরায়েলীদের তুমি বলবে, সেই নিত্যসত্তা ইয়াহ্ওয়েহ্ আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।প্রকা 1:4,8  
 
 
15ঈশ্বর মোশিকে আর‍ও বললেন, তুমি ইসরায়েলীদের বলবে যে তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। এ-ই আমার শাশ্বত নাম, এই নামেই পুরুষানুক্রমে পরিচিত হব আমি। 16তুমি গিয়ে ইসরায়েলীদের নেতৃবৃন্দকে একত্র করে বল, তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর, প্রভু পরমেশ্বর আমাকে দর্শন দিয়ে বলেছেন, আমার কৃপাদৃষ্টি লাভ করেছ তোমরা, মিশরীরা তোমাদের যে দশা করেছে তা আমি দেখেছি। 17মিশরের দুর্দশা থেকে উদ্ধার করে আমি তোমাদের কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবুষীয়দের দেশে নিয়ে যাব। সুজলা, সুফলা, প্রাচুর্যে উচ্ছল সেই দেশ। 18তারা তোমার কথা শুনবে, আর তুমি ইসরায়েলী নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে মিশররাজের কাছে যাবে। তাকে বলবে, ইসরায়েলীদের আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বর আমাদের আমাদের দর্শন দিয়েছেন, অতএব আমাদের অনুমতি দিন যেন আমরা তিন দিনের পথ অতিক্রম করে প্রান্তরে গিয়ে আমাদের আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বরের উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করতে পারি। 19আমি জানি যে মিশর রাজকে বাধ্য করা না হলে সে আমাদের যেতে দেবে না। 20আমি আমার অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে মিশরীদের শাস্তি বিধান করলে পর মিশররাজ তোমাদের যেতে দেবে। 21আমার অনুগ্রহে ইসরায়েলীরা মিশরীদের প্রীতিভাজন হয়ে উঠবে এবং এদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় তাদের শূন্য হাতে যেতে হবে না।যাত্রা 12:35-36
22প্রত্যেক নারী তার মিশরী প্রতিবেশিনী এবং তার পরিবারে বাস করে এমন অন্য মিশরী রমণীর কাছ থেকে সোনা ও রূপোর অলঙ্কার এবং সাজ পোষাক চেয়ে নেবে। সেগুলি তোমরা তোমাদের পুত্রকন্যাদের পরাবে। আর এই ভাবেই তোমরা মিশরীদের ধনসম্পদ নিয়ে যাবে।

যাত্রা পুস্তক ৭: ৭

1প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে বললেন, দেখ, আমি ফারাও-এর কাছে তোমাকে ঈশ্বরস্বরূপ করেছি, আর তোমার ভাই হারোণকে করেছি তোমার মুখপাত্র। 2আমি তোমাকে যে সব নির্দেশ দেব, সব তুমি হারোণকে জানাবে। সে ফারাওকে সেই কথা বলবে যেন ফারাও ইসরায়েলীদের মিশর ছেড়ে চলে যেতে দেয়। 3কিন্তু আমি ফারাও-এর হৃদয় কঠিন করে তুলব। মিশরে আমি নানাপ্রকার অলৌকিক নিদর্শন ও কীতি প্রদর্শন করা সত্ত্বেওপ্রেরিত 7:36 4ফারাও তোমাদের কথায় কান দেবে না। তখন আমি মিশরের উপরে আঘাত হানব এবং মিশরীদের চরম দণ্ড বিধান করে আমার প্রজাবাহিনী ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব। 5আমি যখন মিশরের বিরুদ্ধে আঘাত হেনে ইসরায়েলীদের সেই দেশ থেকে উদ্ধার করব, তখন মিশরীরাও জানতে পারবে যে আমিই সেই নিত্যসত্তা প্রভু পরমেশ্বর
6মোশি ও হারোণ প্রভু পরমেশ্বরের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করলেন। 7ফারাও-এর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবার্তা বলার সময় মোশির বয়স হয়েছিল আশী বছর এবং হারোণের তিরাশী বছর।
 

যাত্রাপুস্তক ৪: ১০

মোশিকে ঈশ্বরের অলৌকিক ক্ষমতা দান
1মোশি বললেন, ইসরায়েলীরা আমাকে বিশ্বাস করবে না, আমার কথাও শুনবে না। তারা বলবে, প্রভু পরমেশ্বর তোমাকে দর্শন দেন নি। 2প্রভু পরমেশ্বর, তাঁকে বললেন, তোমার হাতে ওটা কি? মোশি বললেন, একটা লাঠি। 3প্রভু পরমেশ্বর বললেন, ওটা মাটিতে ফেলে দাও। মোশি লাঠিটা মাটিতে ফেলে দিলেন আর সেটা সাপ হয়ে গেল। মোশি দৌড়ে দূরে সরে গেলেন। 4কিন্তু প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বললেন, হাত বাড়িয়ে ওটার লেজ ধর। মোশি হাত বাড়িয়ে সাপটির লেজ ধরার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেটি তাঁর হাতের লাঠিতে পরিণত হল। 5প্রভু পরমেশ্বর বললেন, তোমাকে এই রকম করতে দেখলে লোকে বিশ্বাস করবে যে তাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর সত্যিই তোমাকে দর্শন দিয়েছেন।
6প্রভু পরমেশ্বর আবার বললেন, জামার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে তোমার বুকে হাত দাও। মোশি তাই করলেন, তারপর হাত বের করে আনার পর দেখা গেল তাঁর হাতে শ্বেতকুষ্ঠ হয়েছে। 7প্রভু পরমেশ্বর বললেন, তোমার হাত আবার বুকে রাখ। মোশি আবার বুকে হাত রাখলেন। পরে তিনি যখন হাত বের করে আনলেন, তখন দেখা গেল তাঁর হাত দেহের অন্যান্য অংশের মতই সুস্থ হয়ে গেছে। 8প্রভু পরমেশ্বর বললেন, ইসরায়েলীরা যদি ঐশীশক্তির প্রথম নির্দশন দেখে তোমাকে বিশ্বাস না করে এবং তোমার কথা না শোনে তাহলে দ্বিতীয়টি দেখে তারা বিশ্বাস করবে। 9এই দুটি নির্দশন দেখেও যদি তাদের প্রত্যয় না হয় এবং তোমার কথা তারা না শোনে তাহলে তুমি নদীর জল খানিকটা নিয়ে মাটিতে ঢেলে দেবে। মাটিতে পড়ে নদীর সেই জল রক্তে পরিণত হবে।
 
10মোশি তখন প্রভু পরমেশ্বরকে বললেন, হে প্রভু, আমি কোন কালেই সুবক্তা নই, এমন কি তুমি তোমার এ দাসের সঙ্গে বাক্যালাপ করার পরেও আমি বাক্‌পটু হতে পারি নি। আমার মুখে আড়ষ্ট, তোৎলা লোক আমি।  
 
11প্রভু তাঁকে বললেন, মানুষের বাক্‌শক্তি কার অবদান? কে মানুষকে মূক ও বধির করে সৃষ্টি করে? কে তাকে দেয় দৃষ্টিশক্তি? অথবা কে তাকে করে অন্ধ? আমি, প্রভু পরমেশ্বরই কি তা করি না? 12সুতরাং তুমি এখন সেখানে যাও, আমিই তোমাকে কথা বলার ক্ষমতা দেব, আর কি বলতে হবে তাও তোমাকে জুগিয়ে দেব।
 
13কিন্তু মোশি তবুও বললেন, হে প্রভু, আমাকে নয়, দয়া করে আর কাউকে পাঠান। 14এ কথায় প্রভু পরমেশ্বর মোশির উপর ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, লেবিকুলের হারোণ তো তোমার ভাই, আমি জানি সে বাক্‌পটু। সে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে। তোমাকে দেখে সে খুব আনন্দিত হবে। 15তুমি তার সঙ্গে কথা বলে তাকে কি বলতে হবে তা জানিয়ে দিও। আমি তোমাদের দুজনের মুখেই কথা জোগাব আর কি করতে হবে তাও দুজনকে বলে দেব। 16সে তোমার হয়ে জনতার কাছে সব কথা বলবে। সে হবে তোমার মুখপাত্র আর তুমি হবে তার কাছে ঈশ্বরস্বরূপ। 17আর এই লাঠিখানা তুমি হাতে নাও, এর দ্বারাই তুমি সমস্ত অলৌকিক নির্দশন দেখাবে।
18মোশি তখন তাঁর শ্বশুর যিথ্রোর কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, আমাকে মিশরে আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিন। আমি গিয়ে দেখব তারা এখনও বেঁচে আছে কি না। যিথ্রো শুভেচ্ছা জানিয়ে মোশিকে বিদায় দিলেন।
মোশির মিশরে প্রত্যাবর্তন
19মোশি মিদিয়ন দেশে থাকতেই প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, তুমি মিশরে ফিরে যাও। যারা তোমার জীবন নাশের চেষ্টা করেছিল তারা সকলেই গত হয়েছে। 20মোশি তখন তাঁর স্ত্রী-পুত্রদের গাধার পিঠে চড়িয়ে ঈশ্বরদত্ত সেই লাঠিখানা হাতে নিয়ে মিশরের দিকে যাত্রা করলেন। 21প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে বললেন, তুমি এখন মিশরে ফিরে যাচ্ছ, দেখো, আমি যে সব অলৌকিক নির্দশন দেখাবার ক্ষমতা তোমাকে দিয়েছি সে সবই যেন স্মরণে থাকে। ফারাও-এর সাক্ষাতে সেগুলি প্রদর্শন করবে। কিন্তু আমি তার বোধশক্তি বিকল করে দেব ফলে সে ইসরায়েলীদের মুক্তি দেবে না। 22তখন তুমি ফারাওকে বলবে, প্রভু পরমেশ্বর বলেছেন, ইসরায়েল আমার প্রথম সন্তান। 23আমি তোমাকে বলেছিলাম, আমার সন্তানকে মুক্ত করে দাও, সে আমার আরাধনা করবে। কিন্তু তুমি তাকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করলে, তাই আমি এখন তোমার প্রথমজাত পুত্রকে সংহার করব।যাত্রা 12:29
24পথে মোশি এক পান্থশালায় রাত্রিযাপন করলেন। প্রভু পরমেশ্বর সেখানে দেখা দিয়ে তাঁকে বধ করতে উদ্যত হলেন। 25সিপ্পোরা তখন ধারাল একটা পাথরখণ্ড নিয়ে তাঁর পুত্রের লিঙ্গত্বক্ ছেদন করলেন এবং তা মোশির পায়ে ছোঁয়ালেন। আর তিনি বললেন, তুমি সত্যিই আমার রক্তমূল্যে পাওয়া স্বামী।
26প্রভু পরমেশ্বর তখন মোশিকে অব্যাহতি দিলেন। পুত্রের লিঙ্গত্বক্ ছেদনের জন্যই সিপ্পোরা বলেছিলেন ‘রক্তমূল্যে পাওয়া স্বামী’। 27প্রভু পরমেশ্বর হারোণকে বললেন, মোশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রান্তরে যাও। হারোণ ঈশ্বরের পর্বতে গিয়ে মোশির দেখা পেলেন এবং তাঁকে চুম্বন করে অভ্যর্থনা জানালেন। 28প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে পাঠাবার সময় যে সব কথা বলেছিলেন এবং যে সমস্ত অলৌকিক নিদর্শন দেখাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি সব কথাই হারোণকে বললেন। 29তখন মোশি ও হারোণ গিয়ে ইসরায়েলী নেতৃবৃন্দকে একত্র করলেন। 30প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে যা বলেছিলেন, সবই হারোণ তাদের কাছে ব্যক্ত করলেন। আর মোশি জনতার সাক্ষাতে সমস্ত অলৌকিক নির্দশন দেখালেন। 31ইসরায়েলীরা তখন তাঁকে বিশ্বাস করল আর প্রভু পরমেশ্বর তাদের প্রতি সদয় হয়েছেন এবং তাদের দুর্দশা দেখেছেন —এ কথা শুনে তারা প্রণত হয়ে প্রভু পরমেশ্বরের আরাধনা করল।
 
 

The Talmud Selections, Pp 18-21


18 THE TALMUD.


according to the advice of Adam, their father, but they
bore no more children.
"Mehalalel begat Jared, and Jared begat Enoch, and
Enoch begat Methusaleh."
And Enoch served the Lord and walked with him,
despising the wicked ones about him, and cleaving with
knowledge and understanding to the ways of the Most
High.
Enoch did not mix with the people, but lived alone as
a hermit for many years.
And it came to pass as he was praying in his apartment
an angel of the Lord called to him from heaven, saying,
"Enoch, Enoch," and he answered, "Here am I."
Then said the angel:
"Arise, go forth from thy solitude and walk among the
people of the land. Teach to them the way they should
go, and instruct them in the actions they should perform."

And Enoch did as the Lord commanded him.
He walked among the people and taught them the ways
of the Creator, assembling them together and addressing
them in earnestness and truth. And he charged his fol-
lowers to proclaim in all places where men dwelt—
"Who is he that desires to know the ways of the Lord
and to do righteously? Let him seek Enoch." And
Enoch reigned over the human race and the people obeyed
him, and while Enoch was among them they served God.
And princes and rulers came to listen to his words of
wisdom and to make obeisance before him. And he made
peace through all the land.
And Enoch reigned over the human race for three
hundred and fifty-three years. In justice and righteousnes*
he ruled, and peace blessed the land during all this period.



=======================


BIBLICAL HISTORY. 19



Methusaleh was the son of Enoch, and Lemech was the
son of Methusaleh. Adam died, nine hundred and thirty
years old, when Lemech was sixty-five years of age. He
was buried with great honours by Seth, Enoch, and Methu-
saleh. His body was placed in a cave, which according
to some authorities was the cave of Machpelah. From
this time, the time of Adam's burial, it has been the custom
to perform funeral obsequies over the dead.
Adam died because he had eaten of the fruit of the tree
of knowledge, and through his sin must all his descendants
likewise die, even as the Lord has spoken.
The year in which Adam died was the two hundred and
fifty-third year of the reign of Enoch.
And it came to pass about this time that Enoch again
felt a longing for solitude take possession of him, and he
again withdrew from frequent communion with his people.
He did not separate himself from them altogether; for
three days he remained alone, and on the fourth he ap-
peared to exhort and instruct them. But when a few
years had passed he increased the periods of his with-
drawal from the world, and separating himself from the
people for six days, he preached to them upon the
seventh. And after this he appeared before the people
but one time in a year, and though they were desirous of
seeing him and hearkening to his voice, save at this one
time, they were unable to behold him.
And Enoch became so holy that the people feared him
and dared not approach when he appeared before them,
for the glory of heaven rested on his face. Yet when he
spoke they assembled and listened to his words, and
learning from his knowledge, they bowed before him, and
cried aloud, "Long live the King!"
And it came to pass when the inhabitants of the world

 ===================

20 THE TALMUD.


had learned from Enoch the ways of the Lord, an angel
called to him from heaven, saying:
"Ascend, Enoch, ascend to heaven, and reign over the
children of God in heaven as thou hast reigned over the
children of men on earth."
Then Enoch assembled the people and said to them,
"I have been summoned to heaven, but I know not the
day I shall ascend. Therefore let me teach you ere I
go, reiterating the lessons which you have heard from my
lips."
And Enoch made peace and harmony among the people,
and pointed out to them the path to everlasting life. And
his followers proclaimed aloud wherever men dwelt, " Who
is he that wishes to live and to know the ways of the Lord?
Let him seek Enoch and learn, ere he is taken from us
and earth."
So Enoch taught the people and united them in peace
and harmony.
Then Enoch mounted his horse and rode away, and a
multitude of people followed him a day's journey.
And it came to pass on the second day that Enoch spoke
to those who followed him, saying:
"Return to your tents! Wherefore follow me? Return,
lest death overtake ye."
A number of the followers returned at these words, but
others continued to journey with him; and every day he
spoke to them, saying:
"Return, lest death overtake ye."
And on the sixth day there were still some who followed
after him, and they said, "Where thou goest will we go; as
the Lord liveth naught but death shall separate us;" so
when Enoch saw that they were thus determined he spoke
to them no more.

=========================
21  BIBLICAL HISTORY.

Those who went back on the sixth day knew how many
they had left following, but of those whom they left on the
sixth day not one returned.
And on the seventh day Enoch ascended to heaven in a
whirlwind, with chariot and horses of fire.
And it came to pass after Enoch had gone up to heaven
that the people started out to search for those men who had
followed after him. And on the spot where they had left
them they found deep snow and ice. They cut through the
ice and they found there the dead bodies of the men for
whom they were searching, but Enoch they did not find.
Therefore is this the meaning of the words of Scripture,
"And Enoch walked with God; and he 'wasnot" (he wadnot where search was made), "for God had taken him"
Gen. 5 : 24).
And Enoch ascended to heaven when Lemech the son of
Methusaleh was one hundred and thirteen years old.
And it came to pass after Enoch had ascended to heaven
that the people appointed Methusaleh, his son, king over
them. And Methusaleh lived in the way of righteousness
which his father had taught him, and he continued to
instruct the people in morality and goodness even as Enoch
had done before him. But in the latter part of his reign
the people grew regardless of his teachings. They dis
regarded the personal rights of one another, and rebelled
against the commands of God.
And the wrath of the Lord was again kindled against
them, and the earth brought forth thorns and thistles instead
of its fruit for sustenance, yet they repented not, nor turned
from their evil deeds. Therefore did God resolve to
destroy them entirely from the face of the earth.
Now when Lemech, the son of Methusaleh, was one
d0


link

আদিপুস্তক ৫: ২১-২৪

আদমের বংশতালিকা
 
1আদমের বংশতালিকা এইরূপঃ মানুষ সৃষ্টি করার সময় ঈশ্বর নিজের সাদৃশ্যেই তাকে গঠন করেছিলেন।আদি 1:27-28 2তিনি তাদের সৃষ্টি করেছিলেন নর এবং নারীরূপে এবং সৃষ্টিকালে তাদের আশীর্বাদ করে মানবজাতি নামে অভিহিত করেন।মথি 19:4; মার্ক 10:6
3আদম একশ ত্রিশ বছর বয়সে নিজের সাদৃশ্যে ও প্রতিকৃতিতে এক পুত্রের জন্মদান করে তার নাম রাখলেন শেথ। 4শেথ-এর জন্মের পর আদম আরও আটশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দেন। 5নয়শো ত্রিশ বছর বয়সে আদমের মৃত্যু হয়। 6শেথ-এর একশো পাঁচ বছর বয়সে ইনোশের জন্ম হল। 7ইনোশের জন্মের পর শেথ আরও আটশো সাত বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দেন। 8নয়শো বারো বছর বয়সে শেথ-এর মৃত্যু হয়।
9ইনোশের নব্বই বছর বয়সে কৈননের জন্ম হয়। 10কৈননের জন্মের পর ইনোশ আরও আটশো পনেরো বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দেন। 11নয়শো পাঁচ বছর বয়সে ইনোশের মৃত্যু হয়। 12কৈননের সত্তর বছর বয়সে মহলাল-এল-এর জন্ম হয়। মহলাল-এল-এর জন্মের পর 13কৈনন আটশো চল্লিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। 14কৈনন নয়শো দশ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। 15মহলাল-এল-এর পঁয়ষট্টি বছর বয়সে যেরেদ-এর জন্ম হল। 16যেরেদ-এর জন্মের পর মহলাল-এল- আটশো ত্রিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দেন। 17মহলাল-এল আটশো পঁচানব্বই বছর জীবিত ছিলেন।
18যেরেদ-এর একশো বাষট্টি বছর বয়সে হনোকের জন্ম হয়।
19হনোকের জন্মের পর যেরেদ আটশো বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দেন। 20যেরেদ নয়শো বাষট্টি বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
 
21হনোকের পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মেথুশেলার জন্ম হয়। 22মেথুশেলার জন্মের পর হনোক তিনশো বছর ঈশ্বরের নিবিড় সান্নিধ্যে জীবন যাপন করছিলেন। 23তাঁর আরও পুত্রকন্যা জন্মগ্রহণ করে।
24হনোক তাঁর জীবনের তিনশো পঁয়ষট্টি বছর পরে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। কারণ ঈশ্বর তাঁকে আপন আশ্রয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।হিব্রু 11:5; যিহুদা 14
 
25মেথুশেলা একশো সাতাশী বছর বয়সে লেমেকের জনক হলেন। 26লেমেকের জন্মের পর মেথুশেলা সাতশো বিরাশী বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দেন। 27মৃত্যুকালে মেথুশেলার বয়স নয়শো ঊনসত্তর বছর হয়েছিল।
28একশো বিরাশী বছর বয়সে লেমেকের একটি পুত্র হয়।
29তিনি তার নাম রাখলেন নোহ। তিনি বললেন, প্রভু পরমেশ্বর যে ভূমিকে অভিশপ্ত করেছেন সেই ভূমিতে আমাদের প্রচেষ্টা ও কঠোর শ্রমের ক্লেশ থেকে এই শিশু আমাদের সান্ত্বনা জোগাবে।
30নোহের জন্মের পর লেমেক পাঁচশো পঁচানব্বই বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। 31লেমেক সাতশো সাতাত্তর বছর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। 32পরে নোহের পাঁচশো বছর বয়সে শেম, হাম ও যাফত-এর জন্ম হয়।
 

মথি ১৪: ৩-১২, মার্ক ৬: ১৭-১৯ ও লুক ৩: ১৯-২০

মথি ১৪: ৩-১২

একজন ফরীশী নেতার বাড়ীতে হযরত ঈসা মসীহ্‌
1এক বিশ্রামবারে ঈসা একজন ফরীশী নেতার বাড়ীতে খেতে গেলেন। ফরীশীরা খুব ভাল করেই ঈসাকে লক্ষ্য করছিলেন। 2ঈসার সামনে একজন রোগী ছিল যার সমস্ত শরীরটা শোথ রোগে ফুলে গিয়েছিল।
 
 3ঈসা আলেম ও ফরীশীদের জিজ্ঞাসা করলেন, “মূসার শরীয়ত মতে বিশ্রামবারে কি কাউকে সুস্থ করা উচিত?” 4ধর্ম-নেতারা চুপ করে রইলেন। তখন ঈসা লোকটির গায়ে হাত দিয়ে তাকে ধরে সুস্থ করে বিদায় দিলেন।
5তারপর তিনি সেই ধর্ম-নেতাদের বললেন, “বিশ্রামবারে যদি আপনাদের কারও ছেলে বা বলদ কূয়ায় পড়ে যায় তবে আপনারা কি তাকে তখনই তোলেন না?” 6কিন্তু সেই ধর্ম-নেতারা এর জবাব দিতে পারলেন না।
7যে লোকদের দাওয়াত করা হয়েছিল, তারা কিভাবে সম্মানের জায়গাগুলো বেছে নিচ্ছে তা দেখে ঈসা তাদের শিক্ষা দেবার জন্য এই কথা বললেন, 8“যখন কেউ আপনাকে বিয়ের ভোজে দাওয়াত করে তখন আপনি সম্মানের জায়গায় গিয়ে বসবেন না, কারণ আপনার চেয়ে হয়তো আরও সম্মানিত কাউকে দাওয়াত করা হয়েছে। 9তাহলে যিনি আপনাকে ও তাঁকে দাওয়াত করেছেন তিনি এসে আপনাকে বলবেন, ‘এই জায়গাটা ওনাকে ছেড়ে দিন।’ তখন তো আপনি লজ্জা পেয়ে সবচেয়ে নীচু জায়গায় বসতে যাবেন। 10আপনি যখন দাওয়াত পাবেন তখন বরং সবচেয়ে নীচু জায়গায় গিয়ে বসবেন। তাহলে দাওয়াত-কর্তা এসে আপনাকে বলবেন, ‘বন্ধু, আরও ভাল জায়গায় গিয়ে বসুন।’ তখন অন্য সব মেহমানদের সামনে আপনি সম্মান পাবেন। 11যে নিজেকে উঁচু করে তাকে নীচু করা হবে, আর যে নিজেকে নীচু করে তাকে উঁচু করা হবে।”
12যিনি তাঁকে দাওয়াত করেছিলেন পরে ঈসা তাঁকে বললেন, “যখন আপনি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করবেন বা মেজবানী দেবেন তখন আপনার বন্ধুদের বা ভাইদের কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের বা ধনী প্রতিবেশীদের দাওয়াত করবেন না। তা করলে হয়ত তাঁরাও এর বদলে আপনাকে দাওয়াত করবেন আর এইভাবে আপনার দাওয়াত শোধ হয়ে যাবে।
 
 13কিন্তু আপনি যখন মেজবানী দেবেন তখন গরীব, নুলা, খোঁড়া এবং অন্ধদের ডাকবেন। 14তাতে আপনি আল্লাহ্‌র দোয়া পাবেন, কারণ তারা আপনার সেই দাওয়াতের শোধ দিতে পারবে না। যখন মৃত্যু থেকে ধার্মিক লোকদের জীবিত করা হবে তখন আপনি এর শোধ পাবেন।”


link
===========================================================


মার্ক ৬: ১৭-১৯


হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর শাহাদাত বরণ
14ঈসার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে বাদশাহ্‌ হেরোদ ঈসার কথা শুনতে পেয়েছিলেন। কোন কোন লোক বলছিল, “উনিই সেই তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া। তিনি মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন বলে এই সব অলৌকিক চিহ্ন-কাজ করছেন।”
15কেউ কেউ বলছিল, “উনি ইলিয়াস নবী”; আবার কেউ কেউ বলছিল, “অনেক দিন আগেকার নবীদের মত উনিও একজন নবী।”
16এই সব কথা শুনে হেরোদ বললেন, “উনি ইয়াহিয়া, যাঁর মাথা কেটে ফেলবার হুকুম আমি দিয়েছিলাম। আবার উনি বেঁচে উঠেছেন।”
 
17-18এই ঘটনার আগে হেরোদ লোক পাঠিয়ে ইয়াহিয়াকে ধরেছিলেন এবং তাঁকে বেঁধে জেলখানায় রেখেছিলেন। হেরোদ তাঁর ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার জন্যই এটা করেছিলেন। হেরোদ হেরোদিয়াকে বিয়ে করেছিলেন বলে ইয়াহিয়া বারবার হেরোদকে বলতেন, “আপনার ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করা আপনার উচিত হয় নি।” 19এইজন্য ইয়াহিয়ার উপর হেরোদিয়ার খুব রাগ ছিল। সে ইয়াহিয়াকে হত্যা করতে চেয়েছিল, 
 
 20কিন্তু হেরোদ ইয়াহিয়াকে ভয় করতেন বলে সে তা করতে পারছিল না। ইয়াহিয়া যে একজন আল্লাহ্‌ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি ইয়াহিয়াকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন। ইয়াহিয়ার কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তাঁর কথা শুনতে ভালবাসতেন।
 
 
21শেষে হেরোদিয়া একটা সুযোগ পেল। হেরোদ নিজের জন্মদিনে তাঁর বড় বড় রাজকর্মচারী, সেনাপতি ও গালীল প্রদেশের প্রধান লোকদের জন্য একটা মেজবানী দিলেন। 22হেরোদিয়ার মেয়ে সেই মেজবানীসভায় নাচ দেখিয়ে হেরোদ ও ভোজে দাওয়াতী লোকদের সন্তুষ্ট করল।
তখন বাদশাহ্‌ মেয়েটিকে বললেন, “তুমি যা চাও আমি তোমাকে তা-ই দেব।” 23হেরোদ মেয়েটির কাছে কসম খেয়ে বললেন, “তুমি যা চাও আমি তা-ই তোমাকে দেব। এমন কি, আমার রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্তও দেব।”
24মেয়েটি গিয়ে তার মাকে বলল, “আমি কি চাইব?”
তার মা বলল, “তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়ার মাথা।”
25মেয়েটি তখনই গিয়ে বাদশাহ্‌কে বলল, “একটা থালায় করে আমি এখনই তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়ার মাথাটা চাই।”
26এই কথা শুনে বাদশাহ্‌ হেরোদ খুব দুঃখিত হলেন, কিন্তু ভোজে দাওয়াতী লোকদের সামনে কসম খেয়েছিলেন বলে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দিতে চাইলেন না। 27-28তিনি তখনই ইয়াহিয়ার মাথা কেটে আনবার জন্য একজন জল্লাদকে হুকুম দিলেন। সেই জল্লাদ জেলখানায় গিয়ে ইয়াহিয়ার মাথা কেটে একটা থালায় করে তা নিয়ে আসল। বাদশাহ্‌ সেটা মেয়েটিকে দিলে পর সে তা নিয়ে গিয়ে তার মাকে দিল। 29এই খবর পেয়ে ইয়াহিয়ার সাহাবীরা এসে তাঁর লাশটা নিয়ে গিয়ে দাফন করলেন।



link
===========================================================


লুক ৩: ১৯-২০


হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর তবলিগ
1রোম-সম্রাট টিবেরিয়াস সিজারের রাজত্বের পনের বছরের সময় এহুদিয়া প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা ছিলেন পন্তীয় পীলাত। তখন হেরোদ গালীল প্রদেশ ও তাঁর ভাই ফিলিপ যিতূরিয়া প্রদেশ ও ত্রাখোনীতিয়া শাসন করছিলেন। লুষানিয়া ছিলেন অবিলীনীর শাসনকর্তা, 2আর হানন ও কাইয়াফা ছিলেন ইহুদীদের মহা-ইমাম। ঠিক এই সময়ে আল্লাহ্‌ মরুভূমিতে জাকারিয়ার পুত্র ইয়াহিয়ার উপর তাঁর কালাম নাজেল করলেন। 3তখন ইয়াহিয়া জর্ডান নদীর চারদিকের সমস্ত জায়গায় গিয়ে তবলিগ করতে লাগলেন যেন লোকে গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করে এবং তার চিহ্ন হিসাবে তরিকাবন্দী নেয়। 4নবী ইশাইয়ার কিতাবে যা লেখা আছে ঠিক সেইভাবে এই সব হল। লেখা আছে,
“মরুভূমিতে একজনের কন্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,
‘তোমরা মাবুদের পথ ঠিক কর,
তাঁর রাস্তা সোজা কর।
5সমস্ত উপত্যকা ভরা হবে,
পাহাড়-পর্বত সমান করা হবে।
আঁকাবাঁকা পথ সোজা করা হবে,
অসমান রাস্তা সমান করা হবে।
6মানুষকে নাজাত করবার জন্য
আল্লাহ্‌ যা করেছেন,
সব লোকেই তা দেখতে পাবে।’ ”
7তখন তরিকাবন্দী নেবার জন্য অনেক লোক ইয়াহিয়ার কাছে আসতে লাগল। ইয়াহিয়া তাদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল? 8তোমরা যে তওবা করেছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও। নিজেদের মনে ভেবো না যে, তোমরা ইব্রাহিমের বংশের লোক। আমি তোমাদের বলছি, এই পাথরগুলো থেকে আল্লাহ্‌ ইব্রাহিমের বংশধর তৈরী করতে পারেন। 9গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।”
10তখন লোকেরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করল, “তা হলে আমরা কি করব?”
11ইয়াহিয়া তাদের বললেন, “যদি কারও দু’টা কোর্তা থাকে তবে যার কোর্তা নেই সে তাকে একটা দিক। যার খাবার আছে সেও সেই রকম করুক।”
12কয়েকজন খাজনা-আদায়কারী তরিকাবন্দী নেবার জন্য এসে ইয়াহিয়াকে বলল, “হুজুর, আমরা কি করব?”
13তিনি তাদের বললেন, “আইনে যা আছে তার বেশী আদায় কোরো না।”
14কয়েকজন সৈন্যও তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “আর আমরা কি করব?”
তিনি সেই সৈন্যদের বললেন, “জুলুম করে বা অন্যায়ভাবে দোষ দেখিয়ে কারও কাছ থেকে কিছু আদায় কোরো না এবং তোমাদের বেতনেই সন্তুষ্ট থেকো।”
15লোকেরা খুব আশা নিয়ে মনে মনে ভাবছিল হয়ত বা ইয়াহিয়াই মসীহ্‌। 16এমন সময় ইয়াহিয়া তাদের সবাইকে বললেন, “আমি তোমাদের পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি, কিন্তু যিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী তিনি আসছেন। আমি তাঁর জুতার ফিতা খুলবারও যোগ্য নই। তিনি পাক-রূহ্‌ ও আগুনে তোমাদের তরিকাবন্দী দেবেন। 17কুলা তাঁর হাতেই আছে; তা দিয়ে তিনি তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা পরিষ্কার করে ফসল গোলায় জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না তাতে তিনি তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”
18ইয়াহিয়া আরও অনেক উপদেশের মধ্য দিয়ে লোকদের মনে উৎসাহ জাগিয়ে আল্লাহ্‌র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ করলেন।
 
 19শাসনকর্তা হেরোদের ভাইয়ের স্ত্রী হেরোদিয়ার সংগে হেরোদের সম্পর্কে র দরুন এবং তাঁর আরও অনেক খারাপ কাজের দরুন ইয়াহিয়া তাঁর দোষ দেখিয়ে দিয়েছিলেন। 20তাতে তিনি ইয়াহিয়াকে বন্দী করে জেলে দিলেন। এতে তাঁর অন্য সব খারাপ কাজের সংগে এই খারাপ কাজটাও যোগ হল।
 

link
===========================================================

যোহন১: ২৩ ,মার্ক ১: ৪-৫, মথি৩: ২, মথি ৩: ৭-১০, মথি ৯: ১৪, লুক ৩: ১০-১৪, লুক, ৫: ৩৩, লুক১১: ১

যোহন১: ২৩ 

বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের সাক্ষ্য
(মার্ক 3:1-12; মার্ক 1:1-8; লুক 3:1-18)
19-20জেরুশালেমের ইহুদী সমাজের পক্ষ থেকে পুরোহিত ও লেবীয়দের একটি প্রতিনিধি দলকে যোহনের কাছে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি কে? এ বিষয়ে যোহন নীরব রইলেন না, বরং সুস্পষ্টভাবে তাঁর সাক্ষ্য ঘোষণা করে বললেন, আমি খ্রীষ্ট নই।লুক 3:15; যোহন 5:33; প্রেরিত 13:25। 21তারা জিজ্ঞাসা করল, তাহলে কে আপনি? আপনি কি এলিয়? তিনি উত্তর দিলেন না, আমি এলিয় নই। তারা তখন জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি সেই প্রত্যাশিত নবী? তিনি বললেন, না।মথি 17:10-13; দ্বি.বি. 18:15; যোহন 6:41; 7:48। 22তারা তাঁকে বলল, তাহলে আমাদের বলুন, কে আপনি? যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমাদের এর উত্তর নিয়ে যেতে হবে। আপনার নিজের সম্বন্ধে আপনার কি বক্তব্য? 
 23যোহন নবী যিশাইয়র উক্তি দিয়ে তাদের উত্তর দিলেন, আমি হচ্ছি সেই কন্ঠস্বর যা মরুপ্রান্তরে ঘোষণা করছেঃ   সরল করে দাও প্রভুর আগমনের পথ। 
যিশা 40:3; মথি 3:3; মার্ক 1:3; লুক 3:4।
24ফরিশীরাও কয়েকজন দূত পাঠিয়েছিল তাঁর কাছে। 25তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি যদি খ্রীষ্ট না হন, যদি এলিয় বা সেই প্রত্যাশিত নবী না হন, তাহলে কেন আপনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন?মথি 21:25। 26-27যোহন তাদের উত্তর দিলেন, আমি জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি। কিন্তু যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি তোমাদেরই মাঝে আছেন, তাঁকে তোমরা চেন না। আমি তাঁর পাদুকাবন্ধন খোলারও যোগ্য নই।মথি 3:11; মার্ক 1:7-8; প্রেরিত 13:25; মার্ক 1:7; লুক 3:16। 28বেথানিতে, যর্ডনের তীরে যেখানে যোহন বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, সেখানে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল।মথি 3:6-13।

link

========================================= 


 মার্ক ১: ৪-৫


বাপ্তিষ্মদাতা যোহন
 
(মথি 3:1-12; লুক 3:1-18; যোহন 1:19-28)
1ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীস্টের সুসমাচারের সূচনা: 2প্রবক্তা নবী যিশাইয়ের গ্রন্থে যেমন লেখা আছেঃ
দেখ, তোমার আগে আমি আমারদূত পাঠাচ্ছি,
সে তোমার জন্য প্রস্তুত করবে পথ।মথি 3:1-12; লুক 3:1-18; যোহন 1:19-30
3মরুপ্রান্তরে ধ্বনিত হচ্ছে একটি কণ্ঠস্বর,
সে ঘোষণা করছেঃ তোমরা প্রভুর জন্য প্রস্তুত কর পথ,
সুগম করে দাও তাঁর আগমনের সরণি।যিশা 40:3
4যোহন এসে মরুপ্রান্তরে বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন আর প্রচার করতে লাগলেন পাপের ক্ষমার জন্য অনুতাপ করে বাপ্তিষ্ম গ্রহণেরর কথা। 5সমগ্র যিহুদীয়া দেশ এবং জেরুশালেম নগরী থেকে সমস্ত লোক এসে জড়ো হতে লাগল যোহনের কাছে। নিজেদের পাপ স্বীকার করে তারা জর্ডন নদীতে তাঁর কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে লাগল।
6যোহন পরতেন উঠের লোমের পোষাক। তাঁর কোমরে বাঁধা থাকত চামড়ার কটিবন্ধ। তাঁর খাদ্য ছিল পঙ্গপান আর বনমধু।২ রাজা 1:8; সখ 13:4 7তিনি সকলের কাছে এই কথা প্রচার করতেন, আমার চেয়েও যিনি শক্তিমান, তিনি আসছেন আমার পরে। আনত হয়এ তাঁর জুতোর ফিতে খোলার যোগ্যতাও আমার নেই।প্রেরিত 13:25 8আমি তোমাদের জলে বাপ্তিষ্ম দান করছি, তিনি তোমাদের বাপ্তিষ্ম দান করবেন পবিত্র আত্মায়।
 

========================
 
 
মথি২১: ২৬



হযরত ঈসা মসীহ্‌ ও ধর্ম-নেতারা
23পরে ঈসা আবার বায়তুল-মোকাদ্দসে গেলেন। যখন তিনি সেখানে শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন প্রধান ইমামেরা ও ইহুদীদের বৃদ্ধ নেতারা তাঁর কাছে এসে বললেন, “তুমি কোন্‌ অধিকারে এই সব করছ? এই অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?”
24ঈসা তাঁদের বললেন, “আমিও আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করব। আপনারা যদি আমাকে তার জবাব দিতে পারেন তবে আমিও আপনাদের বলব আমি কোন্‌ অধিকারে এই সব করছি। 25বলুন দেখি, তরিকাবন্দী দেবার অধিকার ইয়াহিয়া কোথা থেকে পেয়েছিলেন? আল্লাহ্‌র কাছ থেকে, না মানুষের কাছ থেকে?”
তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করলেন, “আমরা যদি বলি, ‘আল্লাহ্‌র কাছ থেকে,’ তাহলে সে আমাদের বলবে, ‘তবে কেন আপনারা ইয়াহিয়াকে বিশ্বাস করেন নি?’ 
 
 26আবার যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তবে লোকদের কাছ থেকে আমাদের ভয় আছে, কারণ ইয়াহিয়াকে সবাই নবী বলে মনে করে।”
 
27এইজন্য জবাবে তাঁরা ঈসাকে বললেন, “আমরা জানি না।”
তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “তবে আমিও আপনাদের বলব না আমি কোন্‌ অধিকারে এই সব করছি।”
 
link 
 
 ====================================================
 
 
মথি৩: ২,  মথি ৩: ৭-১০
 
হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর তবলিগ
 
1পরে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া এহুদিয়ার মরুভূমিতে এসে এই বলে তবলিগ করতে লাগলেন,  
 
2“তওবা কর, কারণ বেহেশতী রাজ্য কাছে এসে গেছে।”
 
3এই ইয়াহিয়ার বিষয়েই নবী ইশাইয়া বলেছিলেন,
মরুভূমিতে একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,
“তোমরা মাবুদের পথ ঠিক কর;
তাঁর রাস্তা সোজা কর।”
4ইয়াহিয়া উটের লোমের কাপড় পরতেন এবং তাঁর কোমরে চামড়ার কোমর-বাঁধনি ছিল। তিনি পংগপাল ও বনমধু খেতেন। 5জেরুজালেম, সমস্ত এহুদিয়া এবং জর্ডান নদীর চারপাশের লোকেরা সেই সময় তাঁর কাছে আসতে লাগল। 6এই লোকেরা যখন নিজেদের গুনাহ্‌ স্বীকার করল তখন ইয়াহিয়া জর্ডান নদীতে তাদের তরিকাবন্দী দিলেন।
 
7পরে ইয়াহিয়া দেখলেন অনেক ফরীশী ও সদ্দূকী তরিকাবন্দী নেবার জন্য তাঁর কাছে আসছেন। তিনি তাঁদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল? 8ভাল, তোমরা যে তওবা করেছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও। 9তোমরা ইব্রাহিমের বংশের লোক, এটা নিজেদের মনে বলতে পারবার কথা চিন্তাও কোরো না। আমি তোমাদের বলছি, আল্লাহ্‌ এই পাথরগুলো থেকে ইব্রাহিমের বংশধর তৈরী করতে পারেন। 10গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে। 
 
 11তওবা করেছ বলে আমি তোমাদের পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি, কিন্তু আমার পরে যিনি আসছেন তিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী। আমি তাঁর জুতা বইবারও যোগ্য নই। তিনি পাক-রূহ্‌ ও আগুনে তোমাদের তরিকাবন্দী দেবেন। 12কুলা তাঁর হাতেই আছে এবং তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা তিনি ভাল করেই পরিষ্কার করবেন। তিনি তাঁর ফসল গোলাতে জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না সেই আগুনে তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”
 
 
 
================================================
 
 
লুক ৩: ১০-১৪
 
হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর তবলিগ
 
 
1রোম-সম্রাট টিবেরিয়াস সিজারের রাজত্বের পনের বছরের সময় এহুদিয়া প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা ছিলেন পন্তীয় পীলাত। তখন হেরোদ গালীল প্রদেশ ও তাঁর ভাই ফিলিপ যিতূরিয়া প্রদেশ ও ত্রাখোনীতিয়া শাসন করছিলেন। লুষানিয়া ছিলেন অবিলীনীর শাসনকর্তা, 2আর হানন ও কাইয়াফা ছিলেন ইহুদীদের মহা-ইমাম। ঠিক এই সময়ে আল্লাহ্‌ মরুভূমিতে জাকারিয়ার পুত্র ইয়াহিয়ার উপর তাঁর কালাম নাজেল করলেন। 3তখন ইয়াহিয়া জর্ডান নদীর চারদিকের সমস্ত জায়গায় গিয়ে তবলিগ করতে লাগলেন যেন লোকে গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করে এবং তার চিহ্ন হিসাবে তরিকাবন্দী নেয়। 4নবী ইশাইয়ার কিতাবে যা লেখা আছে ঠিক সেইভাবে এই সব হল। লেখা আছে,
“মরুভূমিতে একজনের কন্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,
‘তোমরা মাবুদের পথ ঠিক কর,
তাঁর রাস্তা সোজা কর।
5সমস্ত উপত্যকা ভরা হবে,
পাহাড়-পর্বত সমান করা হবে।
আঁকাবাঁকা পথ সোজা করা হবে,
অসমান রাস্তা সমান করা হবে।
6মানুষকে নাজাত করবার জন্য
আল্লাহ্‌ যা করেছেন,
সব লোকেই তা দেখতে পাবে।’ ”
7তখন তরিকাবন্দী নেবার জন্য অনেক লোক ইয়াহিয়ার কাছে আসতে লাগল। ইয়াহিয়া তাদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল? 8তোমরা যে তওবা করেছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও। নিজেদের মনে ভেবো না যে, তোমরা ইব্রাহিমের বংশের লোক। আমি তোমাদের বলছি, এই পাথরগুলো থেকে আল্লাহ্‌ ইব্রাহিমের বংশধর তৈরী করতে পারেন। 9গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।”
 
10তখন লোকেরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করল, “তা হলে আমরা কি করব?”
11ইয়াহিয়া তাদের বললেন, “যদি কারও দু’টা কোর্তা থাকে তবে যার কোর্তা নেই সে তাকে একটা দিক। যার খাবার আছে সেও সেই রকম করুক।”
12কয়েকজন খাজনা-আদায়কারী তরিকাবন্দী নেবার জন্য এসে ইয়াহিয়াকে বলল, “হুজুর, আমরা কি করব?”
13তিনি তাদের বললেন, “আইনে যা আছে তার বেশী আদায় কোরো না।”
14কয়েকজন সৈন্যও তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “আর আমরা কি করব?”
তিনি সেই সৈন্যদের বললেন, “জুলুম করে বা অন্যায়ভাবে দোষ দেখিয়ে কারও কাছ থেকে কিছু আদায় কোরো না এবং তোমাদের বেতনেই সন্তুষ্ট থেকো।”
 
15লোকেরা খুব আশা নিয়ে মনে মনে ভাবছিল হয়ত বা ইয়াহিয়াই মসীহ্‌। 16এমন সময় ইয়াহিয়া তাদের সবাইকে বললেন, “আমি তোমাদের পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি, কিন্তু যিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী তিনি আসছেন। আমি তাঁর জুতার ফিতা খুলবারও যোগ্য নই। তিনি পাক-রূহ্‌ ও আগুনে তোমাদের তরিকাবন্দী দেবেন। 17কুলা তাঁর হাতেই আছে; তা দিয়ে তিনি তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা পরিষ্কার করে ফসল গোলায় জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না তাতে তিনি তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”
18ইয়াহিয়া আরও অনেক উপদেশের মধ্য দিয়ে লোকদের মনে উৎসাহ জাগিয়ে আল্লাহ্‌র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ করলেন। 19শাসনকর্তা হেরোদের ভাইয়ের স্ত্রী হেরোদিয়ার সংগে হেরোদের সম্পর্কে র দরুন এবং তাঁর আরও অনেক খারাপ কাজের দরুন ইয়াহিয়া তাঁর দোষ দেখিয়ে দিয়েছিলেন। 20তাতে তিনি ইয়াহিয়াকে বন্দী করে জেলে দিলেন। এতে তাঁর অন্য সব খারাপ কাজের সংগে এই খারাপ কাজটাও যোগ হল।
 
link 
 
 
====================================================
 
মথি ৯: ১৪

রোজার বিষয়ে আরও শিক্ষা
 
14পরে ইয়াহিয়ার সাহাবীরা ঈসার কাছে এসে বললেন, “আমরা ও ফরীশীরা এত রোজা রাখি, কিন্তু আপনার সাহাবীরা রোজা রাখেন না কেন?”
 
15ঈসা তাঁদের বললেন, “বর সংগে থাকতে কি বরের সংগের লোকেরা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে? কিন্তু সময় আসছে যখন বরকে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সময় তারা রোজা রাখবে।
16“কেউ পুরানো কোর্তাতে নতুন কাপড়ের তালি দেয় না, কারণ পরে সেই পুরানো কাপড় থেকে নতুন তালিটা ছিঁড়ে আসে আর তাতে সেই ছেঁড়াটা আরও বড় হয়। 17পুরানো চামড়ার থলিতে কেউ টাটকা আংগুর-রস রাখে না। রাখলে থলিগুলো ফেটে গিয়ে সেই রস পড়ে যায় আর থলিগুলোও নষ্ট হয়। লোকে নতুন চামড়ার থলিতেই টাটকা আংগুর-রস রাখে; তাতে দু’টাই রক্ষা পায়।”
 
 
 
==============================
লুক  ৫: ৩৩
 
 
রোজার বিষয়ে শিক্ষা
 
 
33পরে সেই ধর্ম-নেতারা ঈসাকে বললেন, “ইয়াহিয়ার সাহাবীরা প্রায়ই রোজা ও মুনাজাত করে এবং ফরীশীদের শাগরেদেরাও তা করে, কিন্তু আপনার সাহাবীরা কখনও খাওয়া-দাওয়া বাদ দেয় না।”
 
34ঈসা তাঁদের বললেন, “বর সংগে থাকতে কি বরের সংগের লোকদের রোজা রাখাতে পারা যায়? 35কিন্তু এমন সময় আসবে যখন তাদের কাছ থেকে বরকে নিয়ে যাওয়া হবে, আর সেই সময়েই তারা রোজা রাখবে।”
36তারপর ঈসা শিক্ষা দেবার জন্য তাঁদের কাছে এই উদাহরণ দিলেন: “নতুন কোর্তার টুকরা ছিঁড়ে নিয়ে কেউ পুরানো কোর্তায় তালি দেয় না, কারণ তা করলে সেই নতুন কোর্তাটা তো সে ছিঁড়ে ফেলে; আর সেই নতুন টুকরাটাও পুরানো কোর্তার সংগে মানায় না। 37টাটকা আংগুর-রস কেউ পুরানো চামড়ার থলিতে রাখে না, রাখলে টাটকা রসে থলিগুলো ফেটে যায়। তাতে রসও পড়ে যায়, থলিগুলোও নষ্ট হয়। 38টাটকা আংগুর-রস নতুন চামড়ার থলিতেই রাখা উচিত। 39পুরানো আংগুর-রস খাবার পরে কেউ টাটকা আংগুর-রস খেতে চায় না, কারণ সে বলে, ‘পুরানোটাই ভাল।’ ”
 
=========================================
 
 লুক১১: ১
 
 
মুনাজাতের বিষয়ে শিক্ষা
 
1এক সময়ে ঈসা কোন একটা জায়গায় মুনাজাত করছিলেন। মুনাজাত শেষ হলে পর তাঁর একজন সাহাবী তাঁকে বললেন, “হুজুর, ইয়াহিয়া যেমন তাঁর সাহাবীদের মুনাজাত করতে শিখিয়েছিলেন তেমনি আমাদেরও আপনি মুনাজাত করতে শিখান।”
 
 2ঈসা তাঁদের বললেন, “যখন তোমরা মুনাজাত কর তখন বোলো,
‘হে আমাদের বেহেশতী পিতা, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক।
তোমার রাজ্য আসুক।
3প্রত্যেক দিনের খাবার তুমি আমাদের
প্রত্যেক দিন দাও।
4আমাদের গুনাহ্‌ মাফ কর,
কারণ যারা আমাদের বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করে
আমরা তাদের মাফ করি।
আমাদের তুমি পরীক্ষায় পড়তে দিয়ো না।’ ”
5তারপর ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “মনে কর, মাঝ রাতে তোমাদের মধ্যে একজন তার বন্ধুর বাড়ীতে গিয়ে বলল, ‘বন্ধু, আমাকে তিনটা রুটি ধার দাও। 6আমার এক বন্ধু পথে যেতে যেতে আমার কাছে এসেছে। তাকে খেতে দেবার মত আমার কিছুই নেই।’ 7তখন ঘরের ভিতর থেকে তার বন্ধু জবাব দিল, ‘আমাকে কষ্ট দিয়ো না। দরজা এখন বন্ধ আর আমার ছেলেমেয়েরা বিছানায় আমার কাছে শুয়ে আছে। আমি উঠে তোমাকে কিছুই দিতে পারব না।’ 8আমি তোমাদের বলছি, সে যদি বন্ধু হিসাবে উঠে তাকে কিছু না-ও দেয়, তবু লোকটি বারবার অনুরোধ করছে বলে সে উঠবে এবং তার যা দরকার তা তাকে দেবে।
9“এইজন্য আমি তোমাদের বলছি, চাও, তোমাদের দেওয়া হবে; তালাশ কর, পাবে; দরজায় আঘাত কর, তোমাদের জন্য খোলা হবে। 10যারা চায় তারা প্রত্যেকে পায়; যে তালাশ করে সে পায়; আর যে দরজায় আঘাত করে তার জন্য দরজা খোলা হয়। 11তোমাদের মধ্যে এমন পিতা কে আছে, যে তার ছেলে রুটি চাইলে তাকে পাথর দেবে, কিংবা মাছ চাইলে সাপ দেবে, 12কিংবা ডিম চাইলে বিছা দেবে? 13তাহলে তোমরা খারাপ হয়েও যদি তোমাদের ছেলেমেয়েদের ভাল ভাল জিনিস দিতে জান, তবে যারা বেহেশতী পিতার কাছে চায়, তিনি যে তাদের পাক-রূহ্‌কে দেবেন এটা কত না নিশ্চয়!”
 
 
 
 
 

লুকের সুসমাচার ১: ৬১


হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর জন্ম
 
57সময় পূর্ণ হলে পর এলিজাবেতের একটি ছেলে হল। 58তাঁর উপর মাবুদের প্রচুর মমতার কথা শুনে প্রতিবেশীরা ও আত্মীয়রা তাঁর সংগে আনন্দ করতে লাগল। 59ইহুদীদের নিয়ম মত আট দিনের দিন তারা ছেলেটির খৎনা করাবার কাজে যোগ দিতে আসল। তারা ছেলেটির নাম তার পিতার নামের মত জাকারিয়া রাখতে চাইল, 60কিন্তু তার মা বললেন, “না, এর নাম ইয়াহিয়া রাখা হবে।”
61তারা এলিজাবেতকে বলল, “আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে তো কারও ঐ নাম নেই।”
62তারা ইশারা করে ছেলেটির পিতার কাছ থেকে জানতে চাইল তিনি কি নাম দিতে চান। 63জাকারিয়া লিখবার জিনিস চেয়ে নিয়ে লিখলেন, “ওর নাম ইয়াহিয়া।”
এতে তারা সবাই অবাক হল, 64আর তখনই জাকারিয়ার মুখ ও জিভ্‌ খুলে গেল এবং তিনি কথা বলতে ও আল্লাহ্‌র প্রশংসা করতে লাগলেন। 65এ দেখে প্রতিবেশীরা সবাই ভয় পেল, আর এহুদিয়ার সমস্ত পাহাড়ী এলাকার লোকেরা এই সব বিষয়ে বলাবলি করতে লাগল। 66যারা এই সব কথা শুনল তারা প্রত্যেকেই মনে মনে তা ভাবতে লাগল আর বলল, “বড় হয়ে এই ছেলেটি তবে কি হবে!” তারা এই কথা বলল, কারণ মাবুদের শক্তি এই ছেলেটির উপর দেখা গিয়েছিল।

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...