যোহন১: ২৩ ,মার্ক ১: ৪-৫, মথি৩: ২, মথি ৩: ৭-১০, মথি ৯: ১৪, লুক ৩: ১০-১৪, লুক, ৫: ৩৩, লুক১১: ১

যোহন১: ২৩ 

বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের সাক্ষ্য
(মার্ক 3:1-12; মার্ক 1:1-8; লুক 3:1-18)
19-20জেরুশালেমের ইহুদী সমাজের পক্ষ থেকে পুরোহিত ও লেবীয়দের একটি প্রতিনিধি দলকে যোহনের কাছে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি কে? এ বিষয়ে যোহন নীরব রইলেন না, বরং সুস্পষ্টভাবে তাঁর সাক্ষ্য ঘোষণা করে বললেন, আমি খ্রীষ্ট নই।লুক 3:15; যোহন 5:33; প্রেরিত 13:25। 21তারা জিজ্ঞাসা করল, তাহলে কে আপনি? আপনি কি এলিয়? তিনি উত্তর দিলেন না, আমি এলিয় নই। তারা তখন জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি সেই প্রত্যাশিত নবী? তিনি বললেন, না।মথি 17:10-13; দ্বি.বি. 18:15; যোহন 6:41; 7:48। 22তারা তাঁকে বলল, তাহলে আমাদের বলুন, কে আপনি? যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমাদের এর উত্তর নিয়ে যেতে হবে। আপনার নিজের সম্বন্ধে আপনার কি বক্তব্য? 
 23যোহন নবী যিশাইয়র উক্তি দিয়ে তাদের উত্তর দিলেন, আমি হচ্ছি সেই কন্ঠস্বর যা মরুপ্রান্তরে ঘোষণা করছেঃ   সরল করে দাও প্রভুর আগমনের পথ। 
যিশা 40:3; মথি 3:3; মার্ক 1:3; লুক 3:4।
24ফরিশীরাও কয়েকজন দূত পাঠিয়েছিল তাঁর কাছে। 25তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি যদি খ্রীষ্ট না হন, যদি এলিয় বা সেই প্রত্যাশিত নবী না হন, তাহলে কেন আপনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন?মথি 21:25। 26-27যোহন তাদের উত্তর দিলেন, আমি জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি। কিন্তু যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি তোমাদেরই মাঝে আছেন, তাঁকে তোমরা চেন না। আমি তাঁর পাদুকাবন্ধন খোলারও যোগ্য নই।মথি 3:11; মার্ক 1:7-8; প্রেরিত 13:25; মার্ক 1:7; লুক 3:16। 28বেথানিতে, যর্ডনের তীরে যেখানে যোহন বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, সেখানে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল।মথি 3:6-13।

link

========================================= 


 মার্ক ১: ৪-৫


বাপ্তিষ্মদাতা যোহন
 
(মথি 3:1-12; লুক 3:1-18; যোহন 1:19-28)
1ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীস্টের সুসমাচারের সূচনা: 2প্রবক্তা নবী যিশাইয়ের গ্রন্থে যেমন লেখা আছেঃ
দেখ, তোমার আগে আমি আমারদূত পাঠাচ্ছি,
সে তোমার জন্য প্রস্তুত করবে পথ।মথি 3:1-12; লুক 3:1-18; যোহন 1:19-30
3মরুপ্রান্তরে ধ্বনিত হচ্ছে একটি কণ্ঠস্বর,
সে ঘোষণা করছেঃ তোমরা প্রভুর জন্য প্রস্তুত কর পথ,
সুগম করে দাও তাঁর আগমনের সরণি।যিশা 40:3
4যোহন এসে মরুপ্রান্তরে বাপ্তিষ্ম দিতে লাগলেন আর প্রচার করতে লাগলেন পাপের ক্ষমার জন্য অনুতাপ করে বাপ্তিষ্ম গ্রহণেরর কথা। 5সমগ্র যিহুদীয়া দেশ এবং জেরুশালেম নগরী থেকে সমস্ত লোক এসে জড়ো হতে লাগল যোহনের কাছে। নিজেদের পাপ স্বীকার করে তারা জর্ডন নদীতে তাঁর কাছে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে লাগল।
6যোহন পরতেন উঠের লোমের পোষাক। তাঁর কোমরে বাঁধা থাকত চামড়ার কটিবন্ধ। তাঁর খাদ্য ছিল পঙ্গপান আর বনমধু।২ রাজা 1:8; সখ 13:4 7তিনি সকলের কাছে এই কথা প্রচার করতেন, আমার চেয়েও যিনি শক্তিমান, তিনি আসছেন আমার পরে। আনত হয়এ তাঁর জুতোর ফিতে খোলার যোগ্যতাও আমার নেই।প্রেরিত 13:25 8আমি তোমাদের জলে বাপ্তিষ্ম দান করছি, তিনি তোমাদের বাপ্তিষ্ম দান করবেন পবিত্র আত্মায়।
 

========================
 
 
মথি২১: ২৬



হযরত ঈসা মসীহ্‌ ও ধর্ম-নেতারা
23পরে ঈসা আবার বায়তুল-মোকাদ্দসে গেলেন। যখন তিনি সেখানে শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন প্রধান ইমামেরা ও ইহুদীদের বৃদ্ধ নেতারা তাঁর কাছে এসে বললেন, “তুমি কোন্‌ অধিকারে এই সব করছ? এই অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?”
24ঈসা তাঁদের বললেন, “আমিও আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করব। আপনারা যদি আমাকে তার জবাব দিতে পারেন তবে আমিও আপনাদের বলব আমি কোন্‌ অধিকারে এই সব করছি। 25বলুন দেখি, তরিকাবন্দী দেবার অধিকার ইয়াহিয়া কোথা থেকে পেয়েছিলেন? আল্লাহ্‌র কাছ থেকে, না মানুষের কাছ থেকে?”
তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করলেন, “আমরা যদি বলি, ‘আল্লাহ্‌র কাছ থেকে,’ তাহলে সে আমাদের বলবে, ‘তবে কেন আপনারা ইয়াহিয়াকে বিশ্বাস করেন নি?’ 
 
 26আবার যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তবে লোকদের কাছ থেকে আমাদের ভয় আছে, কারণ ইয়াহিয়াকে সবাই নবী বলে মনে করে।”
 
27এইজন্য জবাবে তাঁরা ঈসাকে বললেন, “আমরা জানি না।”
তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “তবে আমিও আপনাদের বলব না আমি কোন্‌ অধিকারে এই সব করছি।”
 
link 
 
 ====================================================
 
 
মথি৩: ২,  মথি ৩: ৭-১০
 
হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর তবলিগ
 
1পরে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া এহুদিয়ার মরুভূমিতে এসে এই বলে তবলিগ করতে লাগলেন,  
 
2“তওবা কর, কারণ বেহেশতী রাজ্য কাছে এসে গেছে।”
 
3এই ইয়াহিয়ার বিষয়েই নবী ইশাইয়া বলেছিলেন,
মরুভূমিতে একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,
“তোমরা মাবুদের পথ ঠিক কর;
তাঁর রাস্তা সোজা কর।”
4ইয়াহিয়া উটের লোমের কাপড় পরতেন এবং তাঁর কোমরে চামড়ার কোমর-বাঁধনি ছিল। তিনি পংগপাল ও বনমধু খেতেন। 5জেরুজালেম, সমস্ত এহুদিয়া এবং জর্ডান নদীর চারপাশের লোকেরা সেই সময় তাঁর কাছে আসতে লাগল। 6এই লোকেরা যখন নিজেদের গুনাহ্‌ স্বীকার করল তখন ইয়াহিয়া জর্ডান নদীতে তাদের তরিকাবন্দী দিলেন।
 
7পরে ইয়াহিয়া দেখলেন অনেক ফরীশী ও সদ্দূকী তরিকাবন্দী নেবার জন্য তাঁর কাছে আসছেন। তিনি তাঁদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল? 8ভাল, তোমরা যে তওবা করেছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও। 9তোমরা ইব্রাহিমের বংশের লোক, এটা নিজেদের মনে বলতে পারবার কথা চিন্তাও কোরো না। আমি তোমাদের বলছি, আল্লাহ্‌ এই পাথরগুলো থেকে ইব্রাহিমের বংশধর তৈরী করতে পারেন। 10গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে। 
 
 11তওবা করেছ বলে আমি তোমাদের পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি, কিন্তু আমার পরে যিনি আসছেন তিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী। আমি তাঁর জুতা বইবারও যোগ্য নই। তিনি পাক-রূহ্‌ ও আগুনে তোমাদের তরিকাবন্দী দেবেন। 12কুলা তাঁর হাতেই আছে এবং তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা তিনি ভাল করেই পরিষ্কার করবেন। তিনি তাঁর ফসল গোলাতে জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না সেই আগুনে তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”
 
 
 
================================================
 
 
লুক ৩: ১০-১৪
 
হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)-এর তবলিগ
 
 
1রোম-সম্রাট টিবেরিয়াস সিজারের রাজত্বের পনের বছরের সময় এহুদিয়া প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা ছিলেন পন্তীয় পীলাত। তখন হেরোদ গালীল প্রদেশ ও তাঁর ভাই ফিলিপ যিতূরিয়া প্রদেশ ও ত্রাখোনীতিয়া শাসন করছিলেন। লুষানিয়া ছিলেন অবিলীনীর শাসনকর্তা, 2আর হানন ও কাইয়াফা ছিলেন ইহুদীদের মহা-ইমাম। ঠিক এই সময়ে আল্লাহ্‌ মরুভূমিতে জাকারিয়ার পুত্র ইয়াহিয়ার উপর তাঁর কালাম নাজেল করলেন। 3তখন ইয়াহিয়া জর্ডান নদীর চারদিকের সমস্ত জায়গায় গিয়ে তবলিগ করতে লাগলেন যেন লোকে গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করে এবং তার চিহ্ন হিসাবে তরিকাবন্দী নেয়। 4নবী ইশাইয়ার কিতাবে যা লেখা আছে ঠিক সেইভাবে এই সব হল। লেখা আছে,
“মরুভূমিতে একজনের কন্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,
‘তোমরা মাবুদের পথ ঠিক কর,
তাঁর রাস্তা সোজা কর।
5সমস্ত উপত্যকা ভরা হবে,
পাহাড়-পর্বত সমান করা হবে।
আঁকাবাঁকা পথ সোজা করা হবে,
অসমান রাস্তা সমান করা হবে।
6মানুষকে নাজাত করবার জন্য
আল্লাহ্‌ যা করেছেন,
সব লোকেই তা দেখতে পাবে।’ ”
7তখন তরিকাবন্দী নেবার জন্য অনেক লোক ইয়াহিয়ার কাছে আসতে লাগল। ইয়াহিয়া তাদের বললেন, “সাপের বংশধরেরা! আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে তা থেকে পালিয়ে যাবার এই বুদ্ধি তোমাদের কে দিল? 8তোমরা যে তওবা করেছ তার উপযুক্ত ফল তোমাদের জীবনে দেখাও। নিজেদের মনে ভেবো না যে, তোমরা ইব্রাহিমের বংশের লোক। আমি তোমাদের বলছি, এই পাথরগুলো থেকে আল্লাহ্‌ ইব্রাহিমের বংশধর তৈরী করতে পারেন। 9গাছের গোড়াতে কুড়াল লাগানোই আছে। যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে।”
 
10তখন লোকেরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করল, “তা হলে আমরা কি করব?”
11ইয়াহিয়া তাদের বললেন, “যদি কারও দু’টা কোর্তা থাকে তবে যার কোর্তা নেই সে তাকে একটা দিক। যার খাবার আছে সেও সেই রকম করুক।”
12কয়েকজন খাজনা-আদায়কারী তরিকাবন্দী নেবার জন্য এসে ইয়াহিয়াকে বলল, “হুজুর, আমরা কি করব?”
13তিনি তাদের বললেন, “আইনে যা আছে তার বেশী আদায় কোরো না।”
14কয়েকজন সৈন্যও তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “আর আমরা কি করব?”
তিনি সেই সৈন্যদের বললেন, “জুলুম করে বা অন্যায়ভাবে দোষ দেখিয়ে কারও কাছ থেকে কিছু আদায় কোরো না এবং তোমাদের বেতনেই সন্তুষ্ট থেকো।”
 
15লোকেরা খুব আশা নিয়ে মনে মনে ভাবছিল হয়ত বা ইয়াহিয়াই মসীহ্‌। 16এমন সময় ইয়াহিয়া তাদের সবাইকে বললেন, “আমি তোমাদের পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি, কিন্তু যিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী তিনি আসছেন। আমি তাঁর জুতার ফিতা খুলবারও যোগ্য নই। তিনি পাক-রূহ্‌ ও আগুনে তোমাদের তরিকাবন্দী দেবেন। 17কুলা তাঁর হাতেই আছে; তা দিয়ে তিনি তাঁর ফসল মাড়াবার জায়গা পরিষ্কার করে ফসল গোলায় জমা করবেন, কিন্তু যে আগুন কখনও নেভে না তাতে তিনি তুষ পুড়িয়ে ফেলবেন।”
18ইয়াহিয়া আরও অনেক উপদেশের মধ্য দিয়ে লোকদের মনে উৎসাহ জাগিয়ে আল্লাহ্‌র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ করলেন। 19শাসনকর্তা হেরোদের ভাইয়ের স্ত্রী হেরোদিয়ার সংগে হেরোদের সম্পর্কে র দরুন এবং তাঁর আরও অনেক খারাপ কাজের দরুন ইয়াহিয়া তাঁর দোষ দেখিয়ে দিয়েছিলেন। 20তাতে তিনি ইয়াহিয়াকে বন্দী করে জেলে দিলেন। এতে তাঁর অন্য সব খারাপ কাজের সংগে এই খারাপ কাজটাও যোগ হল।
 
link 
 
 
====================================================
 
মথি ৯: ১৪

রোজার বিষয়ে আরও শিক্ষা
 
14পরে ইয়াহিয়ার সাহাবীরা ঈসার কাছে এসে বললেন, “আমরা ও ফরীশীরা এত রোজা রাখি, কিন্তু আপনার সাহাবীরা রোজা রাখেন না কেন?”
 
15ঈসা তাঁদের বললেন, “বর সংগে থাকতে কি বরের সংগের লোকেরা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে? কিন্তু সময় আসছে যখন বরকে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সময় তারা রোজা রাখবে।
16“কেউ পুরানো কোর্তাতে নতুন কাপড়ের তালি দেয় না, কারণ পরে সেই পুরানো কাপড় থেকে নতুন তালিটা ছিঁড়ে আসে আর তাতে সেই ছেঁড়াটা আরও বড় হয়। 17পুরানো চামড়ার থলিতে কেউ টাটকা আংগুর-রস রাখে না। রাখলে থলিগুলো ফেটে গিয়ে সেই রস পড়ে যায় আর থলিগুলোও নষ্ট হয়। লোকে নতুন চামড়ার থলিতেই টাটকা আংগুর-রস রাখে; তাতে দু’টাই রক্ষা পায়।”
 
 
 
==============================
লুক  ৫: ৩৩
 
 
রোজার বিষয়ে শিক্ষা
 
 
33পরে সেই ধর্ম-নেতারা ঈসাকে বললেন, “ইয়াহিয়ার সাহাবীরা প্রায়ই রোজা ও মুনাজাত করে এবং ফরীশীদের শাগরেদেরাও তা করে, কিন্তু আপনার সাহাবীরা কখনও খাওয়া-দাওয়া বাদ দেয় না।”
 
34ঈসা তাঁদের বললেন, “বর সংগে থাকতে কি বরের সংগের লোকদের রোজা রাখাতে পারা যায়? 35কিন্তু এমন সময় আসবে যখন তাদের কাছ থেকে বরকে নিয়ে যাওয়া হবে, আর সেই সময়েই তারা রোজা রাখবে।”
36তারপর ঈসা শিক্ষা দেবার জন্য তাঁদের কাছে এই উদাহরণ দিলেন: “নতুন কোর্তার টুকরা ছিঁড়ে নিয়ে কেউ পুরানো কোর্তায় তালি দেয় না, কারণ তা করলে সেই নতুন কোর্তাটা তো সে ছিঁড়ে ফেলে; আর সেই নতুন টুকরাটাও পুরানো কোর্তার সংগে মানায় না। 37টাটকা আংগুর-রস কেউ পুরানো চামড়ার থলিতে রাখে না, রাখলে টাটকা রসে থলিগুলো ফেটে যায়। তাতে রসও পড়ে যায়, থলিগুলোও নষ্ট হয়। 38টাটকা আংগুর-রস নতুন চামড়ার থলিতেই রাখা উচিত। 39পুরানো আংগুর-রস খাবার পরে কেউ টাটকা আংগুর-রস খেতে চায় না, কারণ সে বলে, ‘পুরানোটাই ভাল।’ ”
 
=========================================
 
 লুক১১: ১
 
 
মুনাজাতের বিষয়ে শিক্ষা
 
1এক সময়ে ঈসা কোন একটা জায়গায় মুনাজাত করছিলেন। মুনাজাত শেষ হলে পর তাঁর একজন সাহাবী তাঁকে বললেন, “হুজুর, ইয়াহিয়া যেমন তাঁর সাহাবীদের মুনাজাত করতে শিখিয়েছিলেন তেমনি আমাদেরও আপনি মুনাজাত করতে শিখান।”
 
 2ঈসা তাঁদের বললেন, “যখন তোমরা মুনাজাত কর তখন বোলো,
‘হে আমাদের বেহেশতী পিতা, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক।
তোমার রাজ্য আসুক।
3প্রত্যেক দিনের খাবার তুমি আমাদের
প্রত্যেক দিন দাও।
4আমাদের গুনাহ্‌ মাফ কর,
কারণ যারা আমাদের বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করে
আমরা তাদের মাফ করি।
আমাদের তুমি পরীক্ষায় পড়তে দিয়ো না।’ ”
5তারপর ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “মনে কর, মাঝ রাতে তোমাদের মধ্যে একজন তার বন্ধুর বাড়ীতে গিয়ে বলল, ‘বন্ধু, আমাকে তিনটা রুটি ধার দাও। 6আমার এক বন্ধু পথে যেতে যেতে আমার কাছে এসেছে। তাকে খেতে দেবার মত আমার কিছুই নেই।’ 7তখন ঘরের ভিতর থেকে তার বন্ধু জবাব দিল, ‘আমাকে কষ্ট দিয়ো না। দরজা এখন বন্ধ আর আমার ছেলেমেয়েরা বিছানায় আমার কাছে শুয়ে আছে। আমি উঠে তোমাকে কিছুই দিতে পারব না।’ 8আমি তোমাদের বলছি, সে যদি বন্ধু হিসাবে উঠে তাকে কিছু না-ও দেয়, তবু লোকটি বারবার অনুরোধ করছে বলে সে উঠবে এবং তার যা দরকার তা তাকে দেবে।
9“এইজন্য আমি তোমাদের বলছি, চাও, তোমাদের দেওয়া হবে; তালাশ কর, পাবে; দরজায় আঘাত কর, তোমাদের জন্য খোলা হবে। 10যারা চায় তারা প্রত্যেকে পায়; যে তালাশ করে সে পায়; আর যে দরজায় আঘাত করে তার জন্য দরজা খোলা হয়। 11তোমাদের মধ্যে এমন পিতা কে আছে, যে তার ছেলে রুটি চাইলে তাকে পাথর দেবে, কিংবা মাছ চাইলে সাপ দেবে, 12কিংবা ডিম চাইলে বিছা দেবে? 13তাহলে তোমরা খারাপ হয়েও যদি তোমাদের ছেলেমেয়েদের ভাল ভাল জিনিস দিতে জান, তবে যারা বেহেশতী পিতার কাছে চায়, তিনি যে তাদের পাক-রূহ্‌কে দেবেন এটা কত না নিশ্চয়!”
 
 
 
 
 

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...