প্রশ্ন: ৩৯১ : মূর্তি ও ভাস্কর্য্য এর সাদৃশ্য এবং পার্থক্য ।

 উত্তর :

গাঠনিক দিক থেকে এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু, বলা হয়ে থাকে, উদ্দেশ্যের দিক থেকে পার্থক্য আছে। তবে গভীর ভাবে উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে আসলে পার্থক্য বের করাটা শেষ পর্যন্ত মুশকিল হয়ে পড়ে। মূর্তি বানানো হয় পূজার উদ্দেশ্যে । আর ভাস্কর্য বানানো হয়, শ্রদ্ধা সম্মান থেকে। প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি যার ভাস্কর্য বাানাচ্ছেন, তাকে সম্মানের যোগ্য শ্রদ্ধার যোগ্য মনে করছেন, কিন্তু আশংকা হচ্ছে, এই শ্রদ্ধা, সম্মান আপনার অবচেতন মনে কখন পূজায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে আপনি টের পাবেন না। আরো অগ্রসর হয়ে হয়তো কেউ বলে দিতে পারে, যিনি সম্মানের যোগ্য, যিনি শ্রদ্ধার যোগ্য, তিনি পূজনীয় হবেন না কেন ? অতএব, কেউ এরূপ প্রশ্ন করলে তখন কি করবেন ? কুরআনে এসেছে, তোমরা ব্যাভিচার এর নিকটবর্তী হয়ো না। অর্থাৎ, ব্যভিচার যেমন হারাম তেমনি ব্যাভিচার এর নিকবর্তী হওয়াও হারাম। কারণ, আপনি যখন ব্যাভিচারের নিকটবর্তী হবেন, তখন তাতে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। তেমনি মূর্তি পূজার প্রাথমিক ধাপ এবং প্রধান উপকরণ - - ভাস্কর্য ও শ্রদ্ধার পাত্র হওয়া -- এই দুটি উপাদান তো বিদ্যমান হয়েই গেল, শুধু বাকী রয়ে গেল পূজা। কিন্তু, অসম্ভব নয় যে , এই শ্রদ্ধা কখন পূজায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে আপনি টের পাননি। অতএব, উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে -- এরূপ কথা যতই বলা হোক না কেন, সেসব যুক্তি আমলে নেওয়ার কোন অবকাশ নেই, বরং, উভয়ই পরিত্যাজ্য। আরো কথা হলো, সাদৃশ্য , মূর্তি ইত্যাদি তৈরী করার ব্যাপারে ইসলামে আলাদাভাবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে।


فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰

তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন। -সূরা হজ্জ : ৩০


وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳

এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে এবং কখনো পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। -সূরা নূহ : ২৩

কুরআন মজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে-

رَبِّ اِنَّهُنَّ اَضْلَلْنَ كَثِیْرًا مِّنَ النَّاسِ ۚ

ইয়া রব, এরা (মূর্তি ও ভাস্কর্য) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে! -সূরা ইবরাহীম : ৩৬


কুরআনের ভাষায় মূর্তি হল বহুবিধ মিথ্যার উৎস। ইরশাদ হয়েছে-

اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّ تَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ؕ

তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর মিথ্যা। -সূরা আনকাবুত : ১৭


দীস শরীফেও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূর্তি ও ভাস্কর্য সম্পর্কে পরিষ্কার বিধান দান করেছেন।

১. হযরত আমর ইবনে আবাসা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ তাআলা আমাকে প্রেরণ করেছেন আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখার, মূর্তিসমূহ ভেঙ্গে ফেলার, এবং এক আল্লাহর ইবাদত করার ও তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো কিছুকে শরীক না করার বিধান দিয়ে। -সহীহ মুসলিম হা. ৮৩২

২. আবুল হাইয়াজ আসাদী বলেন, আলী ইবনে আবী তালেব রা. আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে ওই কাজের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করব না, যে কাজের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রেরণ করেছিলেন? তা এই যে, তুমি সকল প্রাণীর মূর্তি বিলুপ্ত করবে এবং সকল সমাধি-সৌধ ভূমিসাৎ করে দিবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে,... এবং সকল চিত্র মুছে ফেলবে। -সহীহ মুসলিম হা. ৯৬৯

৩. আলী ইবনে আবী তালেব রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে মদীনায় যাবে এবং যেখানেই কোনো প্রাণীর মূর্তি পাবে তা ভেঙ্গে ফেলবে, যেখানেই কোনো সমাধি-সৌধ পাবে তা ভূমিসাৎ করে দিবে এবং যেখানেই কোনো চিত্র পাবে তা মুছে দিবে? আলী রা. এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্ত্তত হলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কেউ পুনরায় উপরোক্ত কোনো কিছু তৈরী করতে প্রবৃত্ত হবে সে মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি নাযিলকৃত দ্বীনকে অস্বীকারকারী। -মুসনাদে আহমাদ হা. ৬৫৭

এই হাদীসগুলো থেকে স্পষ্ট জানা যাচ্ছে যে, যে কোনো প্রাণী মূর্তিই ইসলামে পরিত্যাজ্য এবং তা বিলুপ্ত করাই হল ইসলামের বিধান। আর এগুলো নির্মাণ করা ইসলামকে অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য।

৪. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

إِنَّ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُوْنَ.

প্রতিকৃতি তৈরিকারী (ভাস্কর, চিত্রকর) শ্রেণী হল ওইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে কিয়ামত-দিবসে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে। -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫০

৫. আবু হুরায়রা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন-

إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُقَالُ لَهُمْ : أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.

ওই লোকের চেয়ে বড় জালেম আর কে যে আমার সৃষ্টির মতো সৃষ্টি করার ইচ্ছা করে। তাদের যদি সামর্থ্য থাকে তবে তারা সৃজন করুক একটি কণা এবং একটি শষ্য কিংবা একটি যব! -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫৩

এই হাদীসটি বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, যখন ভাস্কর-চিত্রকর, এমনকি গল্পকার ও ঔপন্যাসিকদেরকে পর্যন্ত স্রষ্টা বলতে এবং তাদের কর্মকান্ডকে সৃষ্টি বলতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করা হয় না। কোনো কোনো আলোচকের আলোচনা থেকে এতটা ঔদ্ধত্যও প্রকাশিত হয় যে, যেন তারা সত্যি সত্যিই স্রষ্টার আসনে আসীন হয়ে গিয়েছেন!

সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ভাষ্যকার হাফেয ইবনে হাজার আসকানী রাহ. লেখেন- এই ভাস্কর ও চিত্রকর সর্বাবস্থাতেই হারাম কাজের মধ্যে লিপ্ত। আর যে এমন কিছু নির্মাণ করে যার পূজা করা হয় তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আর যে স্রষ্টার সামঞ্জস্য গ্রহণের মানসিকতা পোষণ করে সে কাফের । -ফতহুল বারী ১০/৩৯৭

৬. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ خَلْقًا كَخَلْقِيْ؟ فَلْيَخْلُقُوْا ذَرَّةً وَلْيَخْلُقُوْا حَبَّةً أَوْ لِيَخْلُقُوْا شَعِيْرَةً.

এই প্রতিকৃতি নির্মাতাদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) কিয়ামত-দিবসে আযাবে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছিলে তাতে প্রাণসঞ্চার কর!

-সহীহ বুখারী হা. ৭৫৫৭, ৭৫৫৮;

৭. আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করে কিয়ামত-দিবসে তাকে আদেশ করা হবে সে যেন তাতে প্রাণসঞ্চার করে অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না। -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬৩

৮. আউন ইবনে আবু জুহাইফা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারী, উল্কি অঙ্কণকারী ও উল্কি গ্রহণকারী এবং প্রতিকৃতি প্রস্ত্ততকারীদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) উপর লানত করেছেন। -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬২

এই হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে,ভাস্কর্য নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কবীরা গুনাহ। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কুফরীরও পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও হাদীস শরীফে সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।

৯. হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় মক্কায় থাকা অবস্থায় এই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহ ও তার রাসূল মদ ও মূর্তি এবং শুকর ও মৃত প্রাণী বিক্রি করা হারাম করেছেন। -সহীহ বুখারী হা. ২২৩৬

১০. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসুস্থতার সময় তাঁর জনৈকা স্ত্রী একটি গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। গির্জাটির নাম ছিল মারিয়া। উম্মে সালামা ও উম্মে হাবীবা ইতোপূর্বে হাবাশায় গিয়েছিলেন। তারা গির্জাটির কারুকাজ ও তাতে বিদ্যমান প্রতিকৃতিসমূহের কথা আলোচনা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শয্যা থেকে মাথা তুলে বললেন, ওই জাতির কোনো পুণ্যবান লোক যখন মারা যেত তখন তারা তার কবরের উপর ইবাদতখানা নির্মাণ করত এবং তাতে প্রতিকৃতি স্থাপন করত। এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।-সহীহ বুখারী  হা. ১৩৪১ সহীহ মুসলিম হা. ৫২৮ নাসায়ী হা. ৭০৪

১১. আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, (ফতহে মক্কার সময়) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বায়তুল্লাহয় বিভিন্ন প্রতিকৃতি দেখলেন তখন তা মুছে ফেলার আদেশ দিলেন। প্রতিকৃতিগুলো মুছে ফেলার আগ পর্যন্ত তিনি তাতে প্রবেশ করেননি। -সহীহ বুখারী হা. ৩৩৫২

দৃষ্টান্তস্বরূপ এগারোটি হাদীস পেশ করা হল। আলোচিত প্রসঙ্গে ইসলামী বিধান বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কুরআন মজীদে যে কোনো ধরনের মূর্তির সংশ্রব ও সংশ্লিষ্টতা পরিহারের যে আদেশ মুমিনদেরকে করা হয়েছে সে সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণাও উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে জানা গেল।

কুরআন ও সুন্নাহর এই সুস্পষ্ট বিধানের কারণে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ইত্যাদি সকল বিষয়ের অবৈধতার উপর গোটা মুসলিম উম্মাহর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

দেখুন : উমদাতুল কারী ১০/৩০৯; ফাতহুল বারী ১০/৪০১; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম : ৪/১৫৯ #

প্রশ্ন: মোহরে ফাতেমী কী ? তার সঠিক পরিমাণ কি রকম ? বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে তার পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ করা যায় ?


জবাব: রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর মেয়ে ফাতেমা র.-এর মোহর ছিল পাঁচশত দিরহাম। যেমন, মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম রহ. বর্ণনা করেন,
كان صداق بنات رسول اللهﷺ ونسائه خمس مائة درهم ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً و نصف
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর মেয়ে ও স্ত্রীগণের মোহর ছিল পাঁচশত দেরহাম অর্থাৎ সাড়ে বার উকিয়া। ( তাবাকাতে ইবনে সাদ ৮/২২)
ইমাম নববী রহ. মাজমু’-গ্রন্থে বলেন,
والمستحب ألا يزيد على خمسمائة درهم، وهو صداق أزواج النبي ﷺ وبناته
মোহর পাঁচশত দেরহামের বেশি না হওয়া মুস্তাহাব। এটা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর স্ত্রীদের ও কন্যাদের মহর ছিল।
বর্তমান যুগে প্রচলিত পরিমাণ অনুযায়ী মুফতি মুহাম্মদ শফী রহ. এর পরিমাণ ১৩১ তোলা ৩ মাশাʼ সমান বলে উল্লেখ করেছেন। যা প্রচলিত গ্রামের ওজন অনুসারে ১ কিলো ৫৩০ গ্রাম ৯০০ মিলিগ্রামের সমান হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ১২ গ্রামের তোলা প্রচলিত নয়; বরং ১০ গ্রামের তোলা হিসাবে সোনারূপা বেচাকেনা হয়। সে হিসাবে বর্তমানে মোহরে ফাতেমী হবে প্রায় ১৫৪ তোলা রূপা।
والله اعلم بالصواب
বিবাহের সর্বনিম্ন মোহর দশ দিরহাম। অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা বা ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা। আর মোহরে ফাতেমী হল ৫০০ দিরহাম। অর্থাৎ ১৩১.২৫ তোলা বা ১.৫৩০৯ কিলোগ্রাম রূপা। এক দিরহামের ওজন হল ৩.০৬১৮ গ্রাম। বর্তমানে প্রতি তোলা রূপার মূল্য যদি ১,২০০/- টাকা হয় তাহলে ১০ দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ৩,১৫০/- টাকা। আর মোহরে ফাতেমীর মূল্য হয় ১,৫৭,৫০০/- টাকা।
কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয় যা জানাটা অত্যন্ত জরুরী। যেমন:
=> বর ও কনের উভয়ের দিক বিবেচনা করা ৷
=> স্ত্রীর পিতার পরিবারের অন্যান্য মহিলা সদস্যদের ক্ষেত্রে যেমন, স্ত্রীর বোন, খালা, ফুফুদের ক্ষেত্রে দেনমোহরের পরিমাণ কত ছিলো তা বিবেচনা করা ৷
=> স্ত্রীর পিতার আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করা ৷
=> বরের আর্থিক সক্ষমতার দিক বিবেচনায় রাখা ৷
=> নূন্যতম ১০ দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ না করা ইত্যাদি ৷
দেনমোহর কিন্তু মাফ হয় না । দেনমোহরের দুটো পর্যায়।
১. নগদ
২. বাকী
বিবাহে পুরো দেনমোহর বা না পারলে কিছু অংশ নগদে পরিশোধ করা উত্তম। (বিবাহের জন্য দেয়া গহনা ইত্যাদি নগদ দেনমোহরের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।) আর অবশিষ্ট অংশ জীবনের কোনো না কোনো সময় অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। এ থেকে নারীকে বঞ্চিত করা উচিৎ নয়। তবে যদি নারীকে তালাক দেয়া হয়, বা তার মৃত্যু হয়ে যায় -তাহলে তাৎক্ষণিক তা পরিশোধ করে দিতে হবে।
দেনমোহর নির্ধারণের সময় সঙ্গতিপূর্ণ দেনমোহর নির্ধারণ করা উচিৎ। শুধু লোক দেখানোর জন্য কোটি টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা, এরপর প্রথম রাতেই ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা মাফ করিয়ে নেয়া- এগুলো মানবতা বিবর্জিত ঘৃণিত কাজ। অতএব শুধু অঙ্কের দিকে না তাকিয়ে সামর্থ্যের দিকেও তাকানো উচিৎ।

প্রশ্ন: ভয়ের নামাজ / ভীতির নামাজ কিভাবে পড়তে হয়।

 ১০২. আর (হে নবী!) তুমি যখন তাদের মাঝে অবস্থান করবে, অতঃপর (ভয় ও যুদ্ধের সময়) তাদের সঙ্গে সালাত কায়েম করবে, তখন যেন তাদের এক দল তোমার সঙ্গে (নামাজে) দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র (সতর্ক) থাকে। অতঃপর যখন তারা সিজদা সম্পন্ন করে, তখন তারা যেন তোমার পেছনে অবস্থান করে; আর অপর এক দল যারা সালাতে শরিক হয়নি, তারা যেন তোমার সঙ্গে সালাতে শরিক হয়, (কিন্তু সর্বাবস্থায়ই) তারা যেন সতর্কতা অবলম্বন করে এবং সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের ওপর একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও, তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ করায় তোমাদের কোনো গুনাহ নেই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের জন্য অপমানজনক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ১০২

তাফসির : আলোচ্য আয়াতে 'সালাতুল খাওফ' বা 'ভীতির নামাজে'র বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তাফসিরে ইবনে কাছিরে বলা হয়েছে, ভয় ও যুদ্ধের সময় আদায়যোগ্য নামাজ বহু প্রকারের হতে পারে। শত্রুপক্ষ কখনো কেবলামুখী থাকে, কখনো তাদের মুখ ভিন্নদিকে থাকে। আবার নামাজও দুই রাকাত, তিন রাকাত ও চার রাকাতবিশিষ্ট হতে পারে। তেমনি মুসল্লিরা কখনো জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করেন এবং কখনো যুদ্ধ প্রচণ্ডরূপ ধারণ করায় প্রত্যেকে পৃথকভাবে নামাজ আদায় করেন। আবার পৃথকভাবে নামাজ আদায়কালে কখনো কেবলামুখী হয়ে, আবার কখনো ভিন্নমুখী হয়ে নামাজ আদায় করেন। কেউ আবার পদাতিক অবস্থায় আর কেউ অশ্বারোহী অবস্থায় নামাজ আদায় করেন। মূলত সালাতুল খাওফেই কেবল সালাতরত অবস্থায় চলাফেরা করা এবং দুশমনের ওপর একের পর এক আঘাত হানা যায়। - ইবনে কাছির

আলোচ্য আয়াতের শানেনজুল : হজরত জায়েদ বিন সাবেত (রা.) বলেন, এক যুদ্ধে আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উসকান নামক স্থানে ছিলাম। খালেদ বিন ওয়ালিদের (তখনো অমুসলিম) নেতৃত্বে মুশরিক বাহিনী আমাদের সম্মুখীন হলো। তারা আমাদের ও কেবলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করতেছিল। এ অবস্থায় রাসুল (সা.) আমাদের নিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করেন। মুশরিকরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, 'তারা (মুসলমানরা) যে অবস্থায় ছিল, তাতে আমরা অতর্কিত হামলা চালালে তারা ধ্বংস হয়ে যেত।' তারপর তারা বলল, 'কিছুক্ষণ পর তাদের আরেকটি নামাজ (আসর) আসবে, যা তাদের কাছে স্বীয় সন্তান-সন্ততি, এমনকি নিজেদের প্রাণ অপেক্ষা অধিকতর প্রিয়।' তখন জিবরাইল (আ.) জোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে ওই আয়াত নিয়ে প্রিয় নবী (সা.)-এর দরবারে হাজির হলেন। ওই আয়াতে যুদ্ধাবস্থায় দুই দলে বিভক্ত হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়।

সালাতুল খাওফ আদায়ের পদ্ধতি : ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, ভয়ের নামাজের ব্যাপারে যতগুলো পদ্ধতি (ছয় বা সাত ধরনের) বর্ণিত হয়েছে, তার যেকোনো পদ্ধতি অনুসারেই নামাজ আদায় করা যাবে। আল মুগনি, খণ্ড : ২. পৃ. ২৬৮

মুসলিম শরিফের হাদিসে এসেছে, 'রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবিদের নিয়ে ভয়ের নামাজ পড়িয়েছেন। তিনি তাঁদের দুই দলে বিভক্ত করেছেন। (এক দল পাহারারত ছিল) আরেক দল রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে জামাতের মাধ্যমে এক রাকাত আদায় করেছে। অতঃপর তারা (পাহারায়) চলে যায়। কিন্তু রাসুল (সা.) অপর দল এক রাকাত (নিজে নিজে) পড়া পর্যন্ত দাঁড়িয়েই ছিলেন। অতঃপর রাসুল (সা.) (দ্বিতীয় দলকে নিয়ে) দ্বিতীয় রাকাত আদায় করেন। (দ্বিতীয় দল দুই রাকাত শেষ করে চলে যাওয়ার পর) রাসুল (সা.) শেষ বৈঠকে (এ নামাজটি সফরের নামাজ ছিল) বসেই ছিলেন। অতঃপর প্রথম দল এসে অবশিষ্ট রাকাত আদায় করার পর রাসুল (সা.) তাদের নিয়ে সালাম ফেরান। মুসলিম, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৫৭৫

সালাতুল খাওফের বিধান কি এখনো রয়েছে?

* সব ফিকাহবিদের মতে, সালাতুল খাওফের বিধান এখনো অব্যাহত রয়েছে, রহিত হয়নি।

* যুদ্ধের ময়দানে যেরূপ সালাতুল খাওফ পড়া জায়েজ, তেমনি যদি বাঘ-ভালুক কিংবা অজগর ইত্যাদির ভয় থাকে, তখনো সালাতুল খাওফ আদায় করা জায়েজ।

(তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির অবলম্বনে)

তাফহীমুল কুরআন : মানচিত্র সমূহ :

1


হযরত ইবরাহীম আ: এর হিজরতের পথ :


হযরত ইবরাহীম আ: এর হিজরতের পথ :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_16.html



2


হজ্বের পবিত্র স্থানসমূহের চিত্র :


হজ্বের পবিত্র স্থানসমূহের চিত্র :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_12.html



3


ওহুদ যুদ্ধক্ষেত্রের নকশা :

ওহুদ যুদ্ধক্ষেত্রের নকশা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_96.html



4


বনী ইসরাঈলের মরু পরিক্রমা :


বনী ইসরাঈলের মরু পরিক্রমা :





লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_24.html



5


অসংখ্য বক্র পথের মধ্যে একটি মাত্র সরল পথ :


অসংখ্য বক্র পথের মধ্যে একটি মাত্র সরল পথ :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_6.html



6


সুরা আ’রাফে উল্লেখিত জাতিসমূহের এলাকা :


সুরা আ’রাফে উল্লেখিত জাতিসমূহের এলাকা :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_56.html



7


বনী ইসরাঈলের নির্গমন পথ  :


বনী ইসরাঈলের নির্গমন পথ  :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_50.html



8


কুরাইশদের বাণিজ্যিক পথ :

কুরাইশদের বাণিজ্যিক পথ :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_0.html



9


মদীনা থেকে বদর পর্যন্ত :


মদীনা থেকে বদর পর্যন্ত :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_92.html



10


বদর যুদ্ধের মানচিত্র :


বদর যুদ্ধের মানচিত্র :



লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_68.html



11


কওমে নূহ এর এলাকা ও জুদী পাহাড় :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_25.html



12


তাবুক যুদ্ধকালীন অবস্থায় আরবের চিত্র :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_86.html



13


হযরত ইউসুফ আ: এর কাহিনী সংক্রান্ত মানচিত্র :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_79.html



14


হযরত মুসা আ: এর পরবর্তী ফিলিস্তিন :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_83.html



15


হযরত দাঊদ ও সোলায়মান আ: এর সাম্রাজ্য :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_57.html



16


বনী ইসরাঈলদের দুই রাষ্ট্র ইয়াহুদীয়া ও ইসরাঈল :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_45.html



17


মুকাবিয়া শাসন আমলের ফিলিস্তিন :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_70.html



18


মহান হিরোদ সাম্রাজ্য  :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_15.html



19


হযরত ঈসা আ: এর আমলে ফিলিস্তিন :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_9.html



20


হযরত মূসা আ: ও খিজির আ: এর কিসসা সংক্রান্ত মানচিত্র :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_11.html



21


যুলকারনাইন এর কিসসা সংক্রান্ত মানচিত্র :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_90.html



22


কা’বা শরীফের নকশা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_17.html



23


বনিল মুসতালিক যুদ্ধক্ষেত্রের নকশা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_32.html



24


আল আলা পাহাড় :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_2.html



25


মাদায়েনে সালেহ (আ:) পাহাড় :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_48.html



26


মাদায়েনে সালেহ (আ:)-এর কিছু সংখ্যক সামূদীয় অট্টালিকা (১) :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_72.html



27


মাদায়েনে সালেহ (আ:)-এর সামূদীয় অট্টালিকা (১) :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_3.html



28


পেট্টায় নিবতী পদ্ধতির একটি অট্টালিকা (১) :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_35.html



29


মাদায়েনে সালেহ (আ:)-এর কিছু সংখ্যক সামূদীয় অট্টালিকা (২) :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_44.html



30


পেট্টায় নিবতী পদ্ধতির একটি অট্টালিকা (২) :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_62.html



31


মাদায়েনে সামুদীয় পদ্ধতির একটি অট্টালিকা (২) :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_13.html



32


মাদায়েনে সালেহ আ: এর উষ্ট্রী যে কূপে পানি পান করত :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_41.html



33


তূর পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সেন্ট ক্যাথারাইন গীর্জা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_80.html



34


তূর পাহাড়ে সেন্ট ক্যাথারাইন গীর্জা যেখানে হযরত মূসা আ: বৃক্ষকুঞ্জে প্রজ্জলিত আগুন দেখেছিলেন :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_73.html



35


যে ‍বৃক্ষের ওপর হযরত মূসা আ: আল্লাহর বানী শুনেছেন :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_43.html



36


মাদয়ান উপত্যকা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_31.html



37


হযরত মূসা আ: এ কূপে ছাগলকে পানি পান করান :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_95.html



38


রাসুলুল্লাহ সা: এর সময়ে আরবের বিভিন্ন গোত্রের এলাকা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_29.html



39


প্রকৃত মসীহ এর অবতীর্ণ হওয়ার স্থান :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_93.html



40


ইসরাঈলী নেতৃবৃন্দ যে ইয়াহুদী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিল :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_40.html



41


খন্দক যুদ্ধক্ষেত্রের নকশা :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_7.html



42


আহক্বাফ মরুভূমি :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_21.html



43


নাখলা উপত্যকা - যেখানে জ্বিনরা কুরআন তেলাওয়াত শুনেছিল :




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_69.html



44


হিজরতের পর মদীনায় ইয়াহুদী অবস্থানসমূহ




লিংক : 


https://alquranindex114.blogspot.com/2020/10/blog-post_18.html





 

৪৪। তাফহীমুল কুরআন : মানচিত্র সমূহ : হিজরতের পর মদীনায় ইয়াহুদী অবস্থানসমূহ

 

৪৪। তাফহীমুল কুরআন :  মানচিত্র সমূহ  : হিজরতের পর মদীনায় ইয়াহুদী অবস্থানসমূহ


( বিস্তারিত :  ৫৯ নং সুরা হাশর  এর  ভূমিকা দ্রষ্টব্য ) : 

   ইহুদি এবং মুসলমানরা পরস্পরের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মেনে চলবে এই চুক্তি থেকে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়। চুক্তির কতকগুলো বিষয় নিম্নরূপ: ( إن على اليهود نفقتهم وعلى المسلمين نفقتهم - وإن بينهم النصر على من حارب أهل هذه الصحيفة - وإن بينهم النصح والنصيحة والبر دون الإثم - وإنه لم يأثم امرؤ بحليفه , وإن النصر للمظلوم , وإن اليهود ينفقون مع المؤمنين ما داموا محاربين , وإن يثرب حرام جوفها لأهل هذه الصحيفة............ وإنه ما كان بين أهل هذه الصحيفة من حدث او اشتجار يخاف فساده فإن مرده إلى الله عز وجل وإلى محمد رسول الله........... وإنه لا تجار قريش ولا من نصرها , وإن بينهم النصر على من دهم يثرب - على كل أناس حصتهم في جانبهم الذي قبلهم – (ابن هشام – ج2 – ص147-150)

ইয়াহুদীরা নিজেদের ব্যয় বহন করবে এবং মুসলমানরাও নিজেদের ব্যয় বহন করবে। 

এই চুক্তির পক্ষসমূহের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধ করলে তারা পরস্পরকে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে। 

নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার সাথে তারা একে অপরের কল্যাণ কামনা করবে। তাদের পরস্পরের সম্পর্ক হবে কল্যাণ করা ও অধিকার পৌঁছিয়ে দেয়ার সম্পর্কে গোনাহ ও সীমালংঘনের সম্পর্ক নয়। 

কেউ তার মিত্রশক্তির সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরণ করবে না। 

মজলুম ও নির্যাতিতদের সাহায্য করা হবে। 

যতদিন যুদ্ধ চলবে ইহুদীরা ততদিন পর্যন্ত মুসলমানদের সাথে মিলিতভাবে তার ব্যয় বহন করবে। 

এই চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী পক্ষাগুলোর জন্য ইয়াসরিবের অভ্যন্তরে কোন প্রকার ফিতনা ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। 

এই চুক্তির শরীক পক্ষগুলোর মধ্যে যদি এমন কোন ঝগড়া-বিবাদ ও মতানৈক্যের সৃষ্টি হয় যার কারণে বিপর্যয় সৃষ্টির আশংকা দেখা দিতে পারে তাহলে আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বিধান অনুসারে তার মীমাংসা করবেন…………… 

কুরাইশ এবং তাদের মিত্র ও সাহায্যকারীদের আশ্রয় দেয়া হবে না। 

কেউ ইয়াসরিবের ওপর আক্রমণ করলে চুক্তির শরীকগণ তার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সাহায্য করবে। প্রত্যেকপক্ষ নিজ নিজ এলাকার প্রতিরক্ষার দায়-দায়িত্ব বহন করবে। (ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ১৪৭ থেকে ১৫০ পর্যন্ত) 

এটা ছিল একটা সুস্পষ্ট ও অলংঘনীয় চূড়ান্ত চুক্তি। ইহুদীরা নিজেরাই এর শর্তাবলী গ্রহণ করেছিল। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক আচরণ করতে শুরু করল। তাদের এই শত্রুতা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠতে লাগল। ................. এরপর উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে তাদের সাহস আরো বেড়ে গেল। এমনকি রসূলুল্লাহ (সা.) হত্যা করার জন্য বনী নাযীর গোত্র একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে বসলো। কিন্তু ঠিক বাস্তাবায়নের মুখে তা বানচাল হয়ে গেলো। ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ হলো, “বিরে মা’য়ুনা’র মর্মান্তিক ঘটনার (৪র্থ হিজরীর সফর মাস) পর আমর ইবনে উমাইয়া দামরী প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভুলক্রমে বনী আমের গোত্রের দু’জন লোককে হত্যা করে ফেলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ছিলো চুক্তিবদ্ধ গোত্রের লোক। ‘আমর তাদেরকে শত্রু গোত্রের লোক মনে করেছিল। এ ভুলের কারণে মুসলমানদের জন্য তাদের রক্তপণ আদায় করা অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। আর বনী আমের গোত্রের সাথে চুক্তিতে যেহেতু বনী নযীর গোত্রও শরীক ছিল, তাই রক্তপণ আদায়ের ব্যাপারে তাদেরকে শরীক হওয়ার আহবান জানাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকজন সাহাবীকে সাথে নিয়ে নিজে তাদের এলাকায় গেলেন। সেখানে তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কিছু খোশগল্পে ব্যস্ত রেখে ষড়যন্ত্র আঁটলো যে, তিনি যে ঘরের দেয়ালের ছায়ায় বসেছিলেন এক ব্যক্তি তার ছাদ থেকে তাঁর ওপর একখানা ভারী পাথর গড়িয়ে দেবে। কিন্তু তারা এই ষড়যন্ত্র কার্যকরী করার আগেই আল্লাহ তা’আলা যথা সময়ে তাঁকে সাবধান করে দিলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে উঠে মদীনায় ফিরে গেলেন। 

এরপর তাদের সাথে সহানুভূতিপূর্ণ আচরণের কোন প্রশ্নই ওঠে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবিলম্বে তাদেরকে চরমপত্র দিলেন যে, তোমরা যে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চেয়েছিলে তা আমি জানতে পেরেছি। অতএব দশ দিনের মধ্যে মদীনা ছেড়ে চলে যাও। এ সময়ের পরেও যদি তোমরা এখানে অবস্থান করো তাহলে তোমাদের জনপদে যাকে পাওয়া যাবে তাকেই হত্যা করা হবে। অন্যদিকে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই তাদেরকে খবর পাঠালো যে, আমি দুই হাজার লোক দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবো। তাছাড়া বনী কুরায়যা এবং বনী গাতফানরাও তোমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। তাই তোমরা রুখে দাঁড়াও নিজেদের জায়গা পরিত্যাগ করো না। এ মিথ্যা আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরমপত্রের জবাবে তারা জানিয়ে দিল যে, আমরা এখান থেকে চলে যাবো না। আপনার কিছু করার থাকলে করে দেখতে পারেন। এতে ৪র্থ হিজরী সনের রবিউল আউয়াল মাসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের অবরোধ করলেন। অবরোধের মাত্র ক’দিন পরই (কোন কোন বর্ণনা অনুযায়ী মাত্র ছয় দিন এবং কোন কোন বর্ণনা অনুসারে পনর দিন) তারা এই শর্তে মদীনা ছেড়ে চলে যেতে রাজী হলো যে, অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া অন্য সব জিনিস নিজেদের উটের পিঠে চাপিয়ে যতটা সম্ভব নিয়ে যাবে। এভাবে ইহুদীদের দ্বিতীয় এই পাপী গোত্র থেকে মদিনাকে মুক্ত করা হলো। তাদের মধ্য থেকে মাত্র দুজন লোক মুসলমান হয়ে মদীনায় থেকে গেল এবং অন্যরা সবাই সিরিয়া ও খায়বার এলাকার দিকে চলে গেল। 

এ ঘটনা সম্পর্কেই এ সূরাটিতে আলোচনা করা হয়েছে।


৪৩। তাফহীমুল কুরআন : মানচিত্র সমূহ : নাখলা উপত্যকা - যেখানে জ্বিনরা কুরআন তেলাওয়াত শুনেছিল

৪৩। তাফহীমুল কুরআন :  মানচিত্র সমূহ  : নাখলা উপত্যকা - যেখানে জ্বিনরা কুরআন তেলাওয়াত শুনেছিল

 


وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنصِتُوا ۖ فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَىٰ قَوْمِهِم مُّنذِرِينَ 

(৪৬-আহক্বাফ:২৯.)  (আর সেই ঘটনাও উল্লেখযোগ্য) যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে নিয়ে এসেছিলাম, যাতে তারা কুরআন শোনে।৩৩ যখন তারা সেইখানে পৌঁছলো (যেখানে তুমি কুরআন পাঠ করছিলে) তখন পরস্পরকে বললো : চুপ করো। যখন তা পাঠ করা শেষ হলো তখন তারা সতর্ককারী হয়ে নিজ কওমের কাছে ফিরে গেল।                    


[[টিকা:৩৩) এ আয়াতের ব্যাখ্যা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ, হযরত যুবায়ের ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং হযরত হাসান বাসারী, সাঈদ ইবনে জুবায়ের, যার ইবন্ হুবায়েশ, মুজাহিদ, ইকরিমা ও অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিগণ থেকে যেসব বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে তা থেকে দেখা যায় তাঁরা সবাই এ ব্যাপারে একমত যে, এ আয়াতে জিনদের প্রথম উপস্থিতির যে ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে তা ‘নাখলা’ উপত্যকায় ঘটেছিলো। ইবনে ইসহাক, আবু নু’আইম ইসপাহানী এবং ওয়াকেদীর বর্ণনা অনুসারে নবী ﷺ যখন তায়েফ থেকে নিরাশ হয়ে মক্কায় ফেরার পথে নাখলা প্রান্তরে অবস্থান করেছিলেন এটা তখনকার ঘটনা। সেখানে এশা, ফজর কিংবা তাহাজ্জদের নামাযে তিনি কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। সেই সময় জিনদের একটি দল সে স্থানে অতিক্রম করছিলো। তারা নবীর ﷺ কিরায়াত শোনার জন্য থেমে পড়েছিলো। এর সাথে সাথে সমস্ত বর্ণনা এ ব্যাপারেও একমত যে, জ্বীনেরা সেই সময় নবীর ﷺ সামনে আসেনি, কিংবা তিনিও তাদের আগমন অনুভব করেননি। পরে আল্লাহ তাঁকে তাদের আগমন এবং কুরআন তিলাওয়াত শোনার বিষয় অবহিত করেন।                   


 যেখানে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল সে স্থানটি ছিল اَلزَّيْمَة অথবা اَلسَّيْلُ الْكَبِيْر কারণ এ দু’টি স্থানই নাখলা প্রান্তরে অবস্থিত। উভয়ই স্থানেই পানি ও উর্বরতা বিদ্যমান। তায়েফ থেকে আগমনকারী যদি তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান করতে হয় তাহলে এ দু’টি স্থানের কোন একটিতে অবস্থান করতে পারে মানচিত্রে স্থান দু’টির অবস্থান দেখুনঃ (নিচে মানচিত্র আছে)]]



৪২। তাফহীমুল কুরআন : মানচিত্র সমূহ : আহক্বাফ মরুভূমি

 

৪২। তাফহীমুল কুরআন :  মানচিত্র সমূহ  : আহক্বাফ মরুভূমি


وَاذْكُرْ أَخَا عَادٍ إِذْ أَنذَرَ قَوْمَهُ بِالْأَحْقَافِ وَقَدْ خَلَتِ النُّذُرُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ

(৪৬-আহক্বাফ:২১.)  এদেরকে ‘আদের ভাই (হূদ)- এর কাহিনী কিছুটা শুনাও যখন সে আহক্বাফ:ে তার কওমকে সতর্ক করেছিলো।২৫ -এ ধরনের সতর্ককারী পূর্বেও এসেছিলো এবং তার পরেও এসেছে- যে আল্লাহ ছাড়া আর কারো বন্দেগী করো না। তোমাদের ব্যাপারে আমার এক বড় ভয়ংকর দিনের আযাবের আশঙ্কা আছে।


[[টিকা:২৫) যেহেতু কুরাইশ নেতারা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা পোষণ করতো এবং নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও মোড়লিপনার কারণে আনন্দে আত্মহারা ছিল তাই এখানে তাদেরকে আদ কওমের কাহিনী শুনানো হচ্ছে। আরবে আদ জাতি এভাবে পরিচিত ছিল যে, প্রাচীনকালে এই ভূখণ্ডে তারা ছিল সর্বাধিক শক্তিশালী কওম।                    حقف শব্দটি اَحْقُافِ শব্দের বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ বালুর এমন সব লম্বা লম্বা টিলা যা উচ্চতায় পাহাড়ের সমান নয়। পারিভাষিক অর্থে এটা আরব মরুভূমির (الرُّبْعُ الخَالِى)  দক্ষিণ পশ্চিম অংশের নাম, বর্তমানে যেখানে কোন জনবসতি নেই। পরের পৃষ্ঠায় মানচিত্রে এর অবস্থান দেখুনঃ

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুসারে আদ কওমের আবাস ভূমি ওমান থেকে ইয়ামান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আর কুরআন মজীদ আমাদের বলছে, তাদের আদি বাসস্থান ছিল আল-আহক্বায। এখান থেকে বেরিয়ে তারা আশেপাশের দেশসমূহে ছড়িয়ে পড়েছিলো এবং দুর্বল জাতিসমূহকে গ্রাস করে ফেলেছিলো। বর্তমান কাল পর্যন্তও দক্ষিণ আরবের অধিবাসীদের মধ্যে একথা ছড়িয়ে আছে যে, এ এলাকাই ছিল আদ জাতির আবাস ভূমি। বর্তমানে “মুকাল্লা” শহর থেকে উত্তর দিকে ১২৫ মাইল দূরত্বে হাদ্রামাউতের একটি স্থানে লোকেরা হযরত হুদের (আ) মাযার তৈরী করে রেখেছে। সেটি হূদের কবর নামেই বিখ্যাত। প্রতি বছর ১৫ই শা’বান সেখানে ‘উরস’ হয়। আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার লোক সেখানে সমবেত হয়। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এ কবরটি হূদের কবর হিসেবে প্রমাণিত নয়। কিন্তু সেখানে তা নির্মাণ করা এবং দক্ষিণ আরবের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কম করে হলেও এতটুকু অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক ঐতিহ্য এই এলাকাকেই আদ জাতির এলাকা বলে চিহ্নিত করে। এছাড়া হাদ্রামাউতে এমন কতিপয় ধ্বংসাবশেষ (Ruins) আছে যেগুলোকে আজ পর্যন্ত স্থানীয় অধিবাসীরা আবাসভূমি বলে আখ্যায়িত করে থাকে।

আহক্বাফ:

এ অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা দেখে কেউ কল্পনা করতে পারে না যে, এক সময় এখানে জাঁকালো সভ্যতার অধিকারী একটি শক্তিশালী জাতি বাস করতো। সম্ভবত হাজার হাজার বছর পূর্বে এটা এক উর্বর অঞ্চল ছিল। পরে আবহাওয়ার পরিবর্তন একে মরুভুমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে এই এলাকার একটি বিশাল মরুভূমি, যার আভ্যন্তরীণ এলাকায় যাওয়ার সাহসও কারো নেই। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে ব্যাভেরিয়ার একজন সৈনিক এর দক্ষিণ প্রান্ত সীমায় পৌঁছেছিলো। তার বক্তব্য হলোঃ যদি হাদ্রামাউতের উত্তরাঞ্চলের উচ্চ ভূমিতে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, তাহলে বিশাল এই মরুপ্রান্তর এক হাজার ফুট নীচুতে দৃষ্টিগোচর হয়। এখানে মাঝে মাঝে এমন সাদা ভূমিখণ্ড যেখানে কোন বস্তু পতিত হলে তা বালুকা রাশির নীচে তলিয়ে যেতে থাকে এবং একেবারে পচে খসে যায়। আরব বেদুইনরা এ অঞ্চলকে ভীষণ ভয় করে এবং কোন কিছুর বিনিময়েই সেখানে যেতে রাজি হয় না। এক পর্যায়ে বেদুইনরা তাকে সেখানে নিয়ে যেতে রাজি না হলে সে একাই সেখানে চলে যায়। তার বর্ণনা অনুসারে এখানকার বালু একেবারে মিহিন পাউডারের মত। সে দূর থেকে তার মধ্যে একটি দোলক নিক্ষেপ করলে ৫ মিনিটের মধ্যেই তা তলিয়ে যায় এবং যে রশির সাথে তা বাধাঁ ছিল তার প্রান্ত গলে যায়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুনঃ

Arabia and th Isles, Harold Ingram, London, 1946

The unveiling of Arabia. R.H.Kirnan, London, 1937.

The Empty Quarter, Phiby, London, 1933.]]



Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...