তাফহীমুল কুরআন থেকে :
(৩৩-সুরা আহযাব এর ৭৭ নং টিকার পরিশিষ্টের শেষাংশ)
হযরত ঈসা আ: এর দ্বিতীয় আগমনের ব্যাপাটিও অনুরূপ। তাঁর নিছক আগমনেই খতমে নবুওয়াতের দুয়ার ভেঙ্গে যাবেনা। তবে তিনি এসে যদি নবীর পদে অধিষ্ঠিত হন এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন অথবা কোনো ব্যক্তি যদি তাঁর প্রাক্তন নবুওয়াতের মযার্দাও অস্বীকার করে বসে, তাহলে এক্ষত্রে আল্লাহর নবুওয়াত বিধি ভঙ্গ হয়। হাদীসে এ দুটি পথই পরিপূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হাদীসে একদিকে সুষ্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে যে, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা: এর পর আর কোন নবী নেই এবং অন্যদিকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, ঈসা আ: পুনর্বার আগমন করবেন। এ থেকে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে, তাঁর এ দ্বিতীয় আগমন নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করার উদ্দেশ্যে হবে না।
অনুরূপভাবে তাঁর আগমনে মুসলমানদের মধ্যে কুফর ও ঈমানের কোনো নতুন প্রশ্ন দেখে দেবে না। আজও কোনো ব্যক্তি তাঁর পূর্বের নবুওয়াতের উপর ঈমান না আনলে কাফের হয়ে যাবে। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা: নিজেও তাঁর ঐ নবুওয়াতের প্রতি ঈমান রাখতেন। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা: এর সমগ্র উম্মতও শুরু থেকেই তাঁর ওপর ঈমান রাখে। হযরত ঈসা আ: এর পুনর্বার আগমনের সময়ও এই একই অবস্থা অপরিবর্তিত তাকবে। মুসলমানারা কোনো নতুন নবুওয়াতের প্রতি ঈমান আনবে না, বরং আজকের ন্যায় সেদিনও তারা ঈসা ইবনে মারয়াম আ: এর পূর্বের নবুওয়াতের যপরই ঈমান রাখবে। এ অবস্থাটি বর্তমানে যেমন খতমে নবুওয়াত বিরোধী নয়, তেমনি সেদিনও বিরোধী হবে না।
সর্বশেষ যে কথাটি এ হাদীসগুলো এবং অন্যান্য বহুবিধ হাদীস থেকে জনা যায় তা হচ্ছে, হযরত ঈসা আ: কে যে দাজ্জালের বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস নির্মুল করার জন্য পাঠনো হবে সে হবে ইহুদী বংশোদ্ভুত। সে নিজেকে ”মসীহ” রূপে পেশ করবে। ইহুদীদের ইতিহাস ও তাদের ধর্মী চিন্তা-বিশ্বাস সম্পর্কে জ্ঞান নেই এমন কোনো ব্যক্তি বিষয়টির তাৎপর্য অনুধাবন করতে সংক্ষম হবে না। হযরত সুলায়মান আ: এর মৃত্যুর পর যখন বনী ইসরাঈল ক্রমাগত অবক্ষয় ও পতনের শিকার হতে থাকলো এমন কি অবশেষে ব্যাবিলন ও আসিরিয়া অধিপতিরা তাদেরকে পরধীন করে দেশ থেকে বিতাড়িত করলো এবং দুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত করে দিলো, তখন বনী ইসরাঈরে নবীগণ তাদেকে সুসংবাদ দিতে থাকলেন যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন “মসীহ” এসে তাদেরকে এ চরম লাঞ্ছনা থেকে মুক্তি দেবেন। এসব ভবিস্যদ্বানীর প্রেক্ষিতে ইহুদীরা একজন সমীহের আগমনের প্রতীক্ষারত ছিল্ তিনি হবেন বাদশাহ। তিনি যুদ্ধ করে দেশ জয় করবেন। বনী ইসরাঈলকে বিভিন্ন দেশ তেকে এনে ফিলিস্তীনে একত্র করবেন এবং তাদের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কায়েম করবেন। কিন্তু তাদের এসব আশা আকাংখাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে যখন ঈসা ইবনে মারায়ম আ: আল্লাহর পক্ষ থেকে “মসীহ” হয়ে আসলেন এবং কোন সেনাবাহিনী ছাড়াই আসলেন, তখন ইহদীরা তাঁকে “মসীহ” বলে মেনে নিতে অস্বীকার করলো। তারা তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হলো। সে সময় থেকে আজ পর্যন্ত ইহুদী দুনিয়া সে প্রতিশ্রুত মসীহর প্রতীক্ষা (Promised Messiah) করছে, যার আগমনের সুসংবাদ তাদেরকে দেয়া হয়েছিল। তাদের সাহিত্য সে কাঙ্ক্ষিত যুগের সুখ-স্বপ্ন কল্পকাহিনীতে পরিপূর্ণ। তালমুদ ও রিব্বীদের সাহিত্য গ্রন্থ সমূহে এর যে নকশা তৈরি করা হয়েছে তার কল্পিত স্বাদ আহরণ করে শত শত বছর থেকে ইহুদী জাতি জীবন ধারণ করছে। তারা বুক ভরা আশা নিয়ে বসে আছে যে, এ প্রতিশ্রুত মসীহ হবেন একজন শক্তিশারী সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা। তিনি নীল নদ থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত সমগ্র এলাকা ( যে এলাকাটিতক ইহুদীরা নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বলে মনে করে) আবার ইহুদীদের দখলে আনবেন এবং সারা দুনিয়া থেকে ইহুদীদেরকে এনে এখানে একত্র করবেন।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে রাসুলুল্লাহ সা: এর ভবিষ্যদ্বানীর আলোকে ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মহানবী সা: এর কথামতো ইহুদীদের প্রতিশ্রুত “মসীহ”র ভূমিকা পালনকারী প্রধানতম দাজ্জালের আগমনের জন্য মঞ্চ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে গেছে। ফিলিস্তীনের বৃহত্তর এলাকা থেকে মুসলমানদেরকে বেদখল করা হয়েছে। সেখানে ইসরাঈল নামে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদীরা দলে দলে এসে এখানে বাসস্থান গড়ে তুলছে। আমেরিকা, বৃটেন ও ফ্রান্স তাকে একটি বিরাট সামরিক শক্তিতে পরিণত করেছে। ইহুদী পুঁজিপতিদের সহায়তায় ইহুদী বৈজ্ঞানিক ও শিল্পপতিগণ তাকে দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চারপাশের মুসলিম দেশগুলোর জন্য তাদের এ শক্তি এক মহাবিপদে পরিণত হয়েছে। এ রাষ্ট্রের শাসকবর্গ তাদের এ “উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত দেশ” দখল করার আকাংখাটি মোটেই ঢেকে ছেপে রাখেনি। দীর্ঘকাল থেকে ভবিষ্যত ইহুদী রাষ্ট্রের যে নীলনকশা তারা প্রকাশ করে আসছে পরের পাতায় তার একটি প্রতিকৃতি দেয়া হলো।
উক্ত নকশায় দেখা যাবে, সিরিয়া, লেবানন ও জর্দানের সমগ্র এলাকা এবং প্রায় সমগ্র ইরাক ছাড়াও তুরস্কের ইস্কান্দারুন, মিসরের সিনাই ও ব-দ্বীপ এলাকা এবং মদীনা মুনাওয়ারাসহ আরবের অন্তরগত হিজায ও নজদের উচ্চভূমি পর্যন্ত তারা নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চায়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, আগামীতে কোনো একটি বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে তারা ঐসব এলাকা গখল করার চেষ্টা করবে এবং ঐ সময়ই কথিত প্রধানতম দাজ্জাল তাদের প্রতিশ্রুত মসীহরূপে আগমন করবে। রাসুলুল্লাহ সা: কেবল তার আগমন সংবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, বরং এই সাথে একথাও বলেছেন যে, সে সময় মুসলমানদের ওপর বিপদের পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে এবং এক একটি দিন তাদের নিকট এক একটি বছর মনে হবে। এজন্য তিনি নিজে মসীহ দাজ্জালের সন্ত্রাস থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং মুসলমানদেরকেও আশ্রয় চাইতে বলেছেন।
এ মসীহ দাজ্জালের মোকাবিলা করার জন্য আল্লাহ কোনো ‘মসীলে মসীহ’কে পাঠাবেন না, বরং আসল মসীহকে পাঠাবেন। দুই হাজার বছর আগে ইহুদীরা এই আসল মসীহকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলো এবং নিজেদের বিশ্বাস ও জানামতে তারা তাঁকে শূলবিদ্ধ করে দুনিয়ার বুক থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। এ্ই আসল মসীহ ভারত, আফ্রিকা বা আমেরিকায় আত্মপ্রকাশ করবেন না, বরং তিনি আবির্ভূত হবেন দামেশকে। কারণ তখন সেখানেই যুদ্ধ চলতে থাকবে। মেহেরবানী করে পরের পাতার নকশাটিও দেখুন । এতে দেখা যাচ্ছে, ইসরাঈলের সীমান্ত থেকে দামেশক মাত্র ৫০ থেকে ৬০ মাইলের মধ্যে অবস্থিত। ইতি পূর্বে আমি যে হাদীস উল্লেখ করে এসেছি, তার বিষয়বস্তু মনে থাকলে সহজেই একথা বোধগম্য হবে যে, মসীহ দাজ্জাল ৭০ হাজার ইহূদী সেনাদল নিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করবে এবং দামেশকের সামনে উপস্থিত হবে। ঠিক সেই মুহুর্তে দামেশকের পূর্ব অংশের অবস্থিত মসজিদের একটি সাদা মিনারের নিকট সুবহে সাদেকের পর হযরত ঈসা আ: নাযিল হবেন এবং ফজর নামায শেষে মুসলমানদেরকে নিয়ে দাজ্জালের মুকাবিলায় রওয়ানা হবেন। তাঁর প্রচন্ড আক্রমণে দাজ্জাল পশ্চাদপরসরণ করে উফায়েকের পার্বত্য পথ দিয়ে (২১ নম্বর হাদীস দেখুন) ইসরাঈলের দিকে ফিরে যাবে। কিন্তু তিনি তার পশ্চাদ্ধাবন করতেই থাকবেন। অবশেষে লিড্ডা বিমান বন্দরে সে তাঁর হাতে নিহত হবে ( ১০, ১৪, ১৫ নং হাদীস )। এরপর ইহুদীদেরকে সব জায়গা থেকে ধরে ধরে হত্যা করা হবে এবং ইহুদী জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে ( ১, ২, ৪ ও ৬ নম্বর হাদীস) এবং মুসলিম মিল্লাতের মধ্যে সমস্ত মিল্লাত একীভূত হয়ে যাবে (৬ ও ১৫ নং হাদীস)।
কোনো প্রকার জড়তা ও অষ্পষ্টতা ছাড়াই এ দ্ব্যর্থহীন সত্যটিই হাদীস থেকে ফুটে উঠেছে। এই সুদীর্ঘ আলোচনার পর এ ব্যাপারে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে, “প্রতিশ্রুত মসীহ”র নামে আমাদের দেশে যে ব্যবসা চালানো হচ্ছে তা একটি প্রকান্ড জালিয়াতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ জালিয়াতির সবচাইতে হাস্যকর দিকটি এবার আমি তুলে ধরতে চাই। যে ব্যক্তি নিজেকে এ ভবিষ্যদ্বানীতে উল্লিখিত মসীহ বলে ঘোষণা করেছেন, তিনি নিজে ঈসা ইবনে মারয়াম হবার জন্য নিম্নোক্ত বক্তব্যটি পেশ করেছেন:
”তিনি (অর্থাৎ আল্লাহ) বারাহীনে আহমদীয়ার তৃতীয় অংশে আমার নাম রেখেছেন মারয়াম। অত:পর যেমন বারাহীনে আহমদীয়য় প্রকাশিত হয়েছে, দুই বছর পর্যন্ত আমি মারয়ামের গুণাবলী সহকারে লালিত হই..... অত:পর....মারয়ামের ন্যায় ঈসার রূহ আমার মধ্যে ফুঁৎকারে প্রবেশ করানো এবং রূপকার্থে আমাকে গর্ভবতী করা হয়। অবশেষে কয়েকমাস পরে, যা দশ মাসের চাইতে বেশী হবে না, সেই ইলহামের মাধ্যমে যা বারাহীনে আহমদীয়ার চতুর্থ অংশে উল্লেখিত হয়েছে, আমাকে মারয়াম থেকে ঈসায় পরিণত করা হয়েছে। কাজেই এভাবে আমি হলাম ঈসা ইবনে মারয়াম।” (কিশতীয়ে নূহ ৮৭, ৮৮, ৮৯ পৃষ্ঠা)।
অর্থাৎ প্রথমে তিনি মারয়াম হন, অত:পর নিজে নিজেই গর্ভবতী হন তারপর নিজের পেট থেকে নিজেই ঈসা ইবনে মারয়ামরূপে জন্ম নেন। এরপরেও সমস্যা দেখো দিল যে, হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী ঈসা ইবনে মারয়াম দামেশকে আত্মপ্রকাশ করবেন। দামেশক কয়েক হাজার বছর থেকে সিরিয়ার একটি প্রসিদ্ধ ও সর্বজন পরিচিত শহর। পৃথিবীর মানচিত্রে আজও এ শহরটি এ নামেই চিহ্নিত । কাজেই অন্য একটি রসাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে এ সমস্যাটির সমাধান দেয়া হয়েছে।
”উল্লেখ্য যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে দামেশক শব্দের অর্থআমার নিকট এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে, এ স্থানে এমন একটি শহরের নাম দামেশক রাখা হয়েছে যেখানে এজিদের স্বভাবসম্পন্ন ও অপবিত্র এজিদের অভ্যাস ও চিন্তার অনুসারী লোকদের বাস। ....... এই কাদীয়ান শহরটি এখানকার অধিকাংশ এজিদী স্বভাব সম্পন্ন লোকের অধিবাসের কারণে দামেশকের সাতে সামঞ্জস্য ও সম্পর্ক রাখে।(এযালায়ে আওহাম, টিকা ৬৩ থেকে ৭৩ পর্যন্ত।)
আর একটি জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। হাদীসের বক্তব্য অনুসারে ইবনে মারয়াম একটি সাদা মিনারের নিকট নেমে আসবেন। এ সমস্যার সমাধান সহজেই করে ফেলা হয়েছে অর্থাৎ মসীহ সাহেব নিজেই এসে নিজের মিনারটি তৈরী করে নিয়েছেন। এখন বলুন, কে তাঁকে বুঝাতে যাবে যে, হাদীসের বর্ণনা অনুসারে দেখা যায়, ইবনে মারয়ামের নেমে আসার পূর্বেই মিনারটি সেখানে মওজুদ থাকবে। অথচ এখনা দেখো যাচ্ছে, প্রতিশ্রুত মসীহ সাহেবের আগমেনর পর মিনারটি তৈরি হচ্ছে।
সর্বশেষ ও সবচেয়ে জটিল সমস্যটি এখনো রয়ে গেছে। অর্থাৎ হাদীসের বর্ণনামতে ঈসা ইবনে মারয়াম আ.লুদ্দ (লিড্ডা)-এর প্রবেশদ্বারে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এ সমস্যার সমাধান কনতে গিয়ে প্রথমে আবোলতাবোল অনেক কথাই বলা হয়েছে। কখনো স্বীকার করা হয়েছে যে, বায়তুল মুকাদাদাসের একটি গ্রামের নাম লিড্ডা ( এযালায়ে আওহাম, আঞ্জুমানে আহমদীয়া, লাহোর কর্তৃক প্রকাশিত, ক্ষুদ্রাকার, ২২০ পৃষ্ঠা)। আবার কখনো বলা হয়েছে, লিড্ডা এমন সব লোককে বলা হয় যারা অনর্থক ঝগড়া করে। ....... যখন দাজ্জালের অনর্থক ঝগড়া চরমে পৌছে যাবে তখন প্রতিশ্রুত মসীহর আবির্ভাব হবে এবং তার সমস্ত ঝগড়া শষে করে দেবে” (এযালায়ে আওহাম, ৭৭০ পৃষ্ঠা)। কিন্তু এতোকিছু করেও যখন সমস্যার সমাধান হলো না তখন পরিস্কার বলে দেয়া হলো যে, লিড্ডা ( আরবীতে লুদ্দ) অর্থ হচ্ছে পাঞ্জাবের লুদিয়ানা শহর। আর লুদিয়ানার প্রবেশ দ্বারে দাজ্জালকে হত্যা করার অর্থ হচ্ছে, দুষ্টদের বিরোধিতা সত্ত্বেও মীর্জা গোলাম আহমদ সাহেবের হাতে এখানেই সর্বপ্রথম বাইয়াত হয় (আলহুদা, ৯১ পৃষ্ঠা)।
যে কোন সুস্থ বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তি এসব বক্তব্য-বর্ণনার নিরপেক্ষ পর্যালোচনা করলে এ সিদ্ধান্তে পৌছতে বাধ্য হবেন যে, এখানে প্রকাশ্য দিবালোকে ডাহা মিথ্যুক ও বহুরূপীর অভিনয় করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment