The Talmud selections. P.123-24


123
embittered the life of the Hebrews. Afterwards she bore a
son, and called him Aaron.
And it came to pass in the one hundred and thirtieth
year after Israel had entered Egypt, that Pharaoh, the king
of the land, dreamed that he was sitting on his throne, and
raising his eyes, saw before him an old man holding in his
hand a pair of large balances. The old man hung the
balances, and taking all the elders of Egypt, her princes and
officers, he bound them together and placed them on one
of the balances; on the other he placed a lamb, and lo, to
the wonder of the dreaming man, the lamb weighed heavier
than all the mighty men of Egypt.
Pharaoh awoke, and sending for his officers, he related to
them this dream, which caused them both fear and amaze-
ment. Now among the magicians of Egypt there was one
whom the king considered especially wise, Bil'am, the son
of Be'or. For him the king sent, and desired an explana-
tion of the vision. "A great evil will befall Egypt in the
latter days," replied Bil'am, the son of Be'or. "A son will
be born in Israel who will destroy Egypt, kill its inhabitants,
and carry his people out from among them. Now, oh lord
and king, give heed to this matter, and destroy the power
of the children of Israel and their future welfare, before this
misfortune to Egypt buds."
"What can we do?" inquired Pharaoh; "we have tried
many plans without success."
Bil'am answered, "Send for thy two nearest counsellors,
and we will consult together."
And Pharaoh sent for Re'uel, the Midianite, and Job, his
counsellors, and they appeared before him accordingly. Then
said the king, "Ye have all heard my dream and its inter-
pretation; now give me your advice; how may this people
Israel be conquered ere this threatened evil falls upon us?"


124
THE TALMUD.
Re'uel, the Midianite, answered and said:
"Oh king, live for ever! If it be pleasing in thy eyes,
oh king, cease to afflict this people. They are the chosen
of God from the olden days, and never have they been
oppressed with impunity. Pharaoh of old was punished for
Sarah's sake, as was also Abimelech the Philistine, for the
same cause. Jacob was delivered from the toils both of
Esau, his brother, and his uncle, Laban. Thy great-
grandfather exalted their great-grandfather, Joseph, because
he recognised the wisdom which God had implanted in him,
and which saved the people of the land from starvation.
Therefore, oh king, remove thy yoke from them and let
them go hence to Canaan, the land of the sojournings of
their forefathers."
These words of Re'uel, the Midianite, angered Pharaoh,
and he sent him in shame from his presence. Re'uel went
out from Egypt that day unto his own country, carrying
with him the staff of Joseph.
The king then said to Job, his counsellor:
"What is thy opinion concerning these Hebrews?"
And Job answered:
"Are not all the inhabitants of Egypt in the hands of
the king? Whatever may be most pleasing in thy eyes, that do."
Then spoke Bi'lam, and said:
"None of the means proposed for the subduing of the
Hebrews will prove successful. Fire cannot prevail over
them, for Abraham was delivered from its power; the
sword will fail, for Isaac was delivered from its edge, and a
ram killed in his stead; they cannot be exterminated by
rigorous labour, for Jacob worked day and night for Laban,
and yet prospered. Listen, oh king, to the advice which I
shall give thee. By this means only wilt thou be able to







(যাত্রাপুস্তক ১: ৮-১৬)

ইস্রায়েলীয়দের বৃদ্ধি ও দৌরাত্ম্যভোগ
1ইস্রায়েলের পুত্রগণ, যাঁহারা মিসর দেশে গিয়াছিলেন, সপরিবারে যাকোবের সহিত গিয়াছিলেন, তাঁহাদের নাম এই এই- 2রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি ও যিহূদা, 3ইষাখর, সবূলূন ও বিন্যামীন, 4দান, নপ্তালি, গাদ ও আশের। 5যাকোবের কটি হইতে উৎপন্ন প্রাণী সর্বসুদ্ধ সত্তর জন ছিল; আর যোষেফ মিসরেই ছিলেন। 6পরে যোষেফ, তাঁহার ভ্রাতৃগণ ও তৎকালীন সমস্ত লোক মরিয়া গেলেন। 7আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা ফলবন্ত, অতি বর্ধিষ্ণু ও বহুবংশ হইয়া উঠিল, ও তাহারা অতিশয় প্রবল হইল এবং তাহাদের দ্বারা দেশ পরিপূর্ণ হইল।
8পরে মিসরের উপরে একজন নূতন রাজা উঠিলেন, তিনি যোষেফকে জানিতেন না। 9তিনি আপন প্রজাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমাদের অপেক্ষা ইস্রায়েল-সন্তানদের জাতি বহুসংখ্যক ও বলবান; 10আইস, আমরা তাহাদের সহিত বিবেচনাপূর্বক ব্যবহার করি, পাছে তাহারা বাড়িয়া উঠে, এবং যুদ্ধ উপস্থিত হইলে তাহারাও শত্রুপক্ষে যোগ দিয়া আমাদের সহিত যুদ্ধ করে, এবং এই দেশ হইতে প্রস্থান করে। 11অতএব তাহারা ভার বহন দ্বারা উহাদিগকে দুঃখ দিবার জন্য উহাদের উপরে কার্যশাসকদিগকে নিযুক্ত করিল। আর উহারা ফরৌণের নিমিত্ত ভাণ্ডারের নগর পিথোম ও রামিষেষ গাঁথিল। 12কিন্তু উহারা তাহাদের দ্বারা যত দুঃখ পাইল, ততই বৃদ্ধি পাইতে ও ব্যাপ্ত হইতে লাগিল; তাই ইস্রায়েল-সন্তানদের বিষয়ে তাহারা অতিশয় উদ্বিগ্ন হইল। 13আর মিসরীয়েরা নির্দয়তাপূর্বক ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে দাস্যকর্ম করাইল; 14তাহারা কর্দম, ইষ্টক ও ক্ষেত্রের সমস্ত কার্যে কঠিন দাস্যকর্ম দ্বারা উহাদের প্রাণ তিক্ত করিতে লাগিল। তাহারা উহাদের দ্বারা যে যে দাস্যকর্ম করাইত, সেই সমস্ত নির্দয়তাপূর্বক করাইত।
15পরে মিসরের রাজা শিফ্রা নামে ও পূয়া নামে দুই জন ইব্রীয়া ধাত্রীকে এই কথা কহিলেন, 16যে সময়ে তোমরা ইব্রীয় স্ত্রীলোকদের ধাত্রীকার্য করিবে, ও তাহাদিগকে প্রসব-আধারে দেখিবে, যদি পুত্রসন্তান হয় তাহাকে বধ করিবে; আর যদি কন্যা হয় তাহাকে জীবিত রাখিবে। 17কিন্তু ঐ ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করিত, সুতরাং মিসর-রাজের আজ্ঞানুসারে না করিয়া পুত্রসন্তানদিগকে জীবিত রাখিত। 18তাই মিসর-রাজ সেই ধাত্রীদিগকে ডাকাইয়া কহিলেন, এই কর্ম কেন করিয়াছ? পুত্রসন্তানগণকে কেন জীবিত রাখিয়াছ? ধাত্রীরা ফরৌণকে উত্তর করিল, 19ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা মিসরীয় স্ত্রীলোকদের ন্যায় নহে; তাহারা বলবতী, তাহাদের কাছে ধাত্রী যাইবার পূর্বেই তাহারা প্রসব করে। 20অতএব ঈশ্বর ঐ ধাত্রীদের মঙ্গল করিলেন; এবং লোকেরা বৃদ্ধি পাইয়া অতিশয় বলবান হইল। 21সেই ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করিত বলিয়া তিনি তাহাদের বংশ বৃদ্ধি করিলেন।
22পরে ফরৌণ আপনার সকল প্রজাকে এই আজ্ঞা দিলেন, তোমরা [ইব্রীয়দের] নবজাত প্রত্যেক পুত্রসন্তানকে নদীতে নিক্ষেপ করিবে, কিন্তু প্রত্যেক কন্যাকে জীবিত রাখিবে।

(১ রাজাবলী ১১: ১-১১)

শলোমনের পাপে পতন ও তাহার ফল
1শলোমন রাজা ফরৌণের কন্যা ব্যতিরেকে আরও অনেক বিদেশীয়া রমণীকে, অর্থাৎ মোয়াবীয়া, অম্মোণীয়া, ইদোমীয়া, সীদোনীয়া ও হিত্তীয়া রমণীকে প্রেম করিতেন। 2যে জাতিগণের বিষয়ে সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বলিয়াছিলেন, তোমরা তাহাদের কাছে যাইও না, এবং তাহাদিগকে আপনাদের কাছে আসিতে দিও না, কেননা তাহারা অবশ্য তোমাদের হৃদয়কে আপনাদের দেবগণের অনুগমনে বিপথগামী করিবে, শলোমন তাহাদেরই প্রতি প্রেমাসক্ত হইলেন। 3সাত শত রমণী তাঁহার পত্নী, ও তিনশত তাঁহার উপপত্নী ছিল; তাঁহার সেই স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে বিপথগামী করিল। 4ফলে এইরূপ ঘটিল, শলোমনের বৃদ্ধ বয়সে তাঁহার স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে অন্য দেবগণের অনুগমনে বিপথগামী করিল; তাঁহার পিতা দায়ূদের অন্তঃকরণ যেমন ছিল, তাঁহার অন্তঃকরণ তেমনি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর ভক্তিতে একাগ্র ছিল না। 5কিন্তু শলোমন সীদোনীয়দের দেবী অষ্টোরতের ও অম্মোনীয়দের ঘৃণার্হ দেবতা মিল্‌কমের অনুগামী হইলেন। 6এইরূপে শলোমন সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ তাহাই করিলেন; আপন পিতা দায়ূদের ন্যায় সম্পূর্ণরূপে সদাপ্রভুর অনুগামী হইলেন না। 7সেই সময়ে শলোমন যিরূশালেমের সম্মুখস্থ পর্বতে মোয়াবের ঘৃণার্হ বস্তু কমোশের জন্য ও অম্মোন-সন্তানদের ঘৃণার্হ বস্তু মোলকের জন্য উচ্চস্থলী নির্মাণ করিলেন। 8তাঁহার যত বিদেশীয়া স্ত্রী আপন আপন দেবতার উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইত ও বলিদান করিত, সেই সকলের জন্য তিনি তদ্রূপ করিলেন।
9অতএব সদাপ্রভু শলোমনের প্রতি ক্রুদ্ধ হইলেন; কেননা তাঁহার অন্তঃকরণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু হইতে বিপথগামী হইয়াছিল, যিনি দুইবার তাঁহাকে দর্শন দিয়াছিলেন, 10এবং এই বিষয় তাঁহাকে আজ্ঞা দিয়াছিলেন, যেন তিনি অন্য দেবগণের অনুগামী না হন; কিন্তু সদাপ্রভু যাহা আজ্ঞা দিয়াছিলেন, তাহা তিনি পালন করিলেন না। 11অতএব সদাপ্রভু শলোমনকে কহিলেন, তোমার ত এই ব্যবহার, তুমি আমার নিয়ম ও আমার আদিষ্ট বিধি সকল পালন কর নাই; এই কারণ আমি অবশ্য তোমা হইতে রাজ্য চিরিয়া লইয়া তোমার দাসকে দিব। 12তথাপি তোমার পিতা দায়ূদের জন্য তোমার বর্তমান কালে তাহা করিব না, কিন্তু তোমার পুত্রের হস্ত হইতে তাহা চিরিয়া লইব। 13যাহা হউক, সমুদয় রাজ্য চিরিয়া লইব না; কিন্তু আমার দাস দায়ূদের জন্য ও আমার মনোনীত যিরূশালেমের জন্য তোমার পুত্রকে এক বংশ দিব।
14পরে সদাপ্রভু শলোমনের একজন বিপক্ষ উৎপন্ন করিলেন; তিনি ইদোমীয় হদদ; ইদোমের রাজবংশে তাঁহার জন্ম হয়। 15দায়ূদ যখন ইদোমে ছিলেন, আর সেনাপতি যোয়াব নিহতদিগকে কবর দিতে উঠিয়া গিয়াছিলেন ও ইদোমের প্রত্যেক পুরুষকে আঘাত করিয়াছিলেন; 16[কারণ যাবৎ যোয়াব ইদোমের সমস্ত পুরুষকে উচ্ছিন্ন না করিলেন, তাবৎ ছয় মাস পর্যন্ত তিনি ও সমস্ত ইস্রায়েল ইদোমে ছিলেন;] 17তৎকালে ঐ হদদ ও তাঁহার সহিত তাঁহার পিতার দাস কয়েক জন ইদোমীয় পুরুষ মিসরে পলায়ন করিয়াছিলেন; তখন হদদ ক্ষুদ্র বালক ছিলেন। 18তাঁহারা মিদিয়ন হইতে উঠিয়া পারণে যান; পরে পারণ হইতে লোক সঙ্গে লইয়া মিসরে গিয়া মিসর-রাজ ফরৌণের নিকটে উপস্থিত হন; তিনি তাঁহাকে এক বাটী দেন, এবং তাঁহার জন্য খাদ্য দেন ও তাঁহাকে ভূমি দান করেন। 19আর হদদ ফরৌণের কাছে অতিশয় অনুগ্রহ পান; এবং ফরৌণ তাঁহার সহিত আপন শ্যালিকার অর্থাৎ তহ্‌পনেষ রাণীর ভগিনীর বিবাহ দেন। 20আর তহ্‌পনেষের ভগিনী তাঁহার জন্য গনুবৎ নামে এক পুত্র প্রসব করেন, এবং তহ্‌পনেষ ফরৌণের বাটীতে তাহার স্তন্য ত্যাগ করান, আর গনুবৎ ফরৌণের বাটীতে ফরৌণের পুত্রদের মধ্যে ছিল। 21পরে যখন হদদ মিসরে শুনিলেন যে, দায়ূদ আপন পিতৃলোকদের সহিত নিদ্রাগত হইয়াছেন ও যোয়াব সেনাপতি মরিয়াছেন, তখন হদদ ফরৌণকে কহিলেন, আমাকে বিদায় করুন, আমি স্বদেশে যাই। 22ফরৌণ তাঁহাকে কহিলেন, আমার এখানে তোমার কিসের অভাব হইয়াছে যে, দেখ, তুমি স্বদেশে যাইতে চেষ্টা করিতেছ? তিনি কহিলেন, অভাব হয় নাই, তথাপি কোন প্রকারে আমাকে বিদায় করুন।
23ঈশ্বর শলোমনের আর একজন বিপক্ষ উৎপন্ন করিলেন; তিনি ইলিয়াদার পুত্র রষোণ; সেই ব্যক্তি সোবার রাজা হদদেষর নামক আপন প্রভুর নিকট হইতে পলায়ন করিয়াছিলেন। 24আর যে সময়ে দায়ূদ [সোবার] লোকদিগকে আঘাত করেন, তৎকালে ইনি আপনার নিকটে লোক সংগ্রহ করিয়া দলপতি হইয়াছিলেন। পরে তাঁহারা দম্মেশকে গিয়া সেখানে বাস করিলেন, এবং দম্মেশকে রাজত্ব করিলেন। 25হদদের কৃত অপকার ছাড়া ইনি শলোমনের সমস্ত জীবনকাল ব্যাপিয়া ইস্রায়েলের বিপক্ষ ছিলেন, এবং ইস্রায়েলকে দ্বেষ করিলেন, আর অরামের উপরে রাজত্ব করিলেন।
26আর সরেদা-নিবাসী ইফ্রয়িমীয় নবাটের পুত্র যারবিয়াম শলোমনের দাস ছিলেন; তাঁহার মাতার নাম সরূয়া, তিনি বিধবা; সেই ব্যক্তিও রাজার বিরুদ্ধে হস্ত তুলিলেন। 27রাজার বিরুদ্ধে তাঁহার হস্ত তুলিবার কারণ এই; শলোমন মিল্লো গাঁথিতেছিলেন, ও আপন পিতা দায়ূদের নগরের ভগ্নস্থান বদ্ধ করিয়া দিতেছিলেন। 28আর যারবিয়াম লোকটি বলবান বীর ছিলেন; এবং শলোমন এই যুবা লোকটিকে কার্যদক্ষ দেখিয়া যোষেফ-কুলের সমস্ত ভারের অধ্যক্ষ করেন। 29তৎকালে যারবিয়াম যিরূশালেমের বাহিরে গেলে শীলোনীয় অহিয় ভাববাদী পথে তাঁহার দেখা পাইলেন; অহিয় নূতন বস্ত্র পরিহিত ছিলেন, এবং মাঠে কেবল তাঁহারা দুই জন ছিলেন। 30তখন অহিয় আপন গাত্রের নূতন বস্ত্রখানি ধরিয়া ছিঁড়িয়া বারো খণ্ড করিলেন। 31আর তিনি যারবিয়ামকে কহিলেন, দশ খণ্ড তুমি লও, কেননা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি শলোমনের হস্ত হইতে রাজ্য চিরিয়া লইব, ও দশ বংশ তোমাকে দিব। 32[কিন্তু আমার দাস দায়ূদের জন্য এবং ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্য হইতে আমার মনোনীত যিরূশালেম নগরের জন্য অবশিষ্ট এক বংশ উহার থাকিবে।] 33কারণ তাহারা আমাকে ত্যাগ করিয়া সীদোনীয়দের দেবী অষ্টোরতের, মোয়াবের দেব কমোশের ও অম্মোন-সন্তানদের দেব মিল্‌কমের কাছে প্রণিপাত করিয়াছে; উহার পিতা দায়ূদের ন্যায় তাহারা আমার দৃষ্টিতে যাহা ভাল, তাহা করণার্থে এবং আমার বিধি ও শাসন সকল পালনার্থে আমার পথে চলে নাই। 34তথাচ আমি উহার হস্ত হইতে সমস্ত রাজ্য লইব না, কিন্তু আমার মনোনীত দাস যে দায়ূদ আমার আজ্ঞা ও বিধি সকল পালন করিত, তাহার জন্য উহাকে যাবজ্জীবন অধ্যক্ষ-পদে রাখিব। 35কিন্তু উহার পুত্রের হস্ত হইতে রাজ্য লইব, এবং তোমাকে দিব, দশ বংশ দিব। 36আর আমার নাম স্থাপনার্থে আমার মনোনীত যে যিরূশালেম নগর, তন্মধ্যে আমার সম্মুখে যেন আমার দাস দায়ূদের প্রদীপ নিত্য থাকে, এই নিমিত্ত উহার পুত্রকে এক বংশ দিব। 37আর আমি তোমাকে গ্রহণ করিব, তাহাতে তুমি আপন প্রাণের সমস্ত বাসনানুসারে রাজত্ব করিবে, ইস্রায়েলের উপরে রাজা হইবে। 38আর যদি তুমি আমার দাস দায়ূদের ন্যায় আমার সমস্ত আদেশে কর্ণপাত কর, এবং আমার বিধি ও আজ্ঞা পালনার্র্থে আমার পথে চল, ও আমার দৃষ্টিতে যাহা ভাল, তাহা কর, তবে আমি তোমার সহবর্তী থাকিব, এবং যেমন দায়ূদের জন্য গাঁথিয়াছি, তেমনি তোমার জন্যও এক দৃঢ় কুল গাঁথিব, এবং ইস্রায়েলকে তোমায় দিব। 39আর এই কারণ আমি দায়ূদের বংশকে অবনত করিব, কিন্তু চিরকালের জন্য নয়।
40অতএব শলোমন যারবিয়ামকে বধ করিতে চেষ্টা করিলেন; কিন্তু যারবিয়াম উঠিয়া মিসরে মিসর-রাজ শীশকের নিকটে পলাইয়া গেলেন, এবং শলোমনের মৃত্যু পর্যন্ত মিসরে থাকিলেন।
41শলোমনের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত এবং তাঁহার সমস্ত কর্ম ও জ্ঞানের বিবরণ কি শলোমনের বৃত্তান্ত-পুস্তকে লিখিত নাই? 42শলোমন যিরূশালেমে চল্লিশ বৎসর যাবৎ সমস্ত ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করিলেন। 43পরে শলোমন আপন পিতৃলোকদের সহিত নিদ্রাগত হইলেন, ও আপন পিতা দায়ূদের নগরে কবরপ্রাপ্ত হইলেন, এবং তাঁহার পুত্র রহবিয়াম তাঁহার পদে রাজা হইলেন।
Bangladesh Bible Society 2001

জুয়িশ ইনসাইক্লোপিডিয়া, ১১শ খণ্ড, ৪৪৩ পৃষ্ঠা, ১১শ খণ্ড ৪৩৯-৪৪১ পৃষ্ঠা

সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এই জালেমরা হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে, তিনি সাবার রাণীর সাথে নাউযুবিল্লাহ ব্যভিচার করেন। আর এর ফলে যে জারজ সন্তানটি জন্মলাভ করে সে-ই হয় পরবর্তীকালে বাইতুল মাকদিস ধ্বংসকারী ব্যবিলনের বাদশাহ বখতে নাসসার। (জুয়িশ ইনসাইক্লোপিডিয়া, ১১শ খণ্ড, ৪৪৩ পৃষ্ঠা)
নিচের চিত্রে দেখুন :

আসল ব্যাপার হচ্ছে, ইহুদী আলেমদের একটি দল হযরত সুলাইমানের কঠোর বিরোধী ছিল। তারা তাঁর বিরুদ্ধে তাওরাতের বিরুদ্ধাচরণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় আত্মম্ভরিতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অহংকার, নারী আসক্তি, বিলাসী জীবন যাপন এবং শিরক ও মূর্তিপূজার জঘন্য অভিযোগ এনেছেন। (জুয়িশ ইনসাইক্লোপিডিয়া, ১১শ খণ্ড ৪৩৯-৪৪১ পৃষ্ঠা)













link






মাওলানা মওদুদী রাহ:  এ বিষয়ে সুরা নমলের ৪৪ নং আয়াতের  ব্যাখ্যায় ৫৬ নং টিকায় যা বলেছেন । 

মথি ১২: ৪২ এবং লুক ১১: ৩১

মথি ১২: ৪২
যীশু একজন ভূতগ্রস্তকে সুস্থ করেন, এবং লোকদিগকে উপদেশ দেন
22তখন একজন ভূতগ্রস্ত তাঁহার নিকটে আনীত হইল, সে অন্ধ ও গোঁগা; আর তিনি তাহাকে সুস্থ করিলেন, তাহাতে সেই বোবা কথা কহিতে ও দেখিতে লাগিল। 23ইহাতে সমস্ত লোক চমৎকৃত হইল ও বলিতে লাগিল, ইনি কি সেই দায়ূদ-সন্তান? 24কিন্তু ফরীশীরা তাহা শুনিয়া কহিল, এই ব্যক্তি আর কিছুতে নয়, কেবল ভূতগণের অধিপতি বেল্‌সবূলের দ্বারাই ভূত ছাড়ায়। 25তাহাদের চিন্তা জানিয়া তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, যে কোন রাজ্য আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তাহা উচ্ছিন্ন হয়; এবং যে কোন নগর কিম্বা পরিবার আপনার বিপক্ষে ভিন্ন হয়, তাহা স্থির থাকিবে না। 26আর শয়তান যদি শয়তানকে ছাড়ায়, সে ত আপনারই বিপক্ষে ভিন্ন হইল; তবে তাহার রাজ্য কি প্রকারে স্থির থাকিবে? 27আর আমি যদি বেল্‌সবূলের দ্বারা ভূত ছাড়াই, তবে তোমাদের সন্তানেরা কাহার দ্বারা ছাড়ায়? এই জন্য তাহারাই তোমাদের বিচারকর্তা হইবে। 28কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা মন্দ-আত্মা ছাড়াই, তবে ত ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে আসিয়া পড়িয়াছে। 29আর অগ্রে সেই বলবান ব্যক্তিকে না বাঁধিয়া কে কেমন করিয়া সেই বলবানের গৃহে প্রবেশ করিয়া তাহার ঘরের দ্রব্য লুট করিতে পারিবে? বাঁধিলে পরেই সে তাহার ঘর লুট করিবে। 30যে আমার সপক্ষ নয়, সে আমার বিপক্ষ; এবং যে আমার সহিত কুড়ায় না, সে ছড়াইয়া ফেলে।
31এই কারণ আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যদের সকল পাপ ও নিন্দার ক্ষমা হইবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার নিন্দার ক্ষমা হইবে না। 32আর যে কেহ মনুষ্যপুত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা কহে, সে ক্ষমা পাইবে; কিন্তু যে কেহ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা কহে, সে ক্ষমা পাইবে না, ইহকালেও নয়, পরকালেও নয়। 33হয় গাছকে ভাল বল, এবং তাহার ফলকেও ভাল বল; নয় গাছকে মন্দ বল, এবং তাহার ফলকেও মন্দ বল; 34কেননা ফল দ্বারাই গাছ চেনা যায়। হে সর্পের বংশেরা, তোমরা মন্দ হইয়া কেমন করিয়া ভাল কথা কহিতে পার? কেননা হৃদয় হইতে যাহা ছাপিয়া উঠে, মুখ তাহাই বলে। 35ভাল মানুষ ভাল ভাণ্ডার হইতে ভাল দ্রব্য বাহির করে, এবং মন্দ মানুষ মন্দ ভাণ্ডার হইতে মন্দ দ্রব্য বাহির করে। 36আর আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যেরা যত অনর্থক কথা বলে, বিচার-দিনে সেই সকলের হিসাব দিতে হইবে। 37কারণ তোমার বাক্য দ্বারা তুমি নির্দোষ বলিয়া গণিত হইবে, আর তোমার বাক্য দ্বারাই তুমি দোষী বলিয়া গণিত হইবে।
38তখন কয়েক জন অধ্যাপক ও ফরীশী তাঁহাকে বলিল, হে গুরু, আমরা আপনার কাছে কোন চিহ্ন-কার্য দেখিতে ইচ্ছা করি। 39তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, এই কালের দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন ইহাদিগকে দেওয়া যাইবে না। 40কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ভে থাকিবেন। 41নীনবীর লোকেরা বিচারে এই কালের লোকদের সহিত দাঁড়াইয়া ইহাদিগকে দোষী করিবে, কেননা তাহারা যোনার প্রচারে মন ফিরাইয়াছিল, আর দেখ, যোনা হইতে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন। 42দক্ষিণ দেশের রাণী বিচারে এই কালের লোকদের সহিত উঠিয়া ইহাদিগকে দোষী করিবেন; কেননা শলোমনের জ্ঞানের কথা শুনিবার জন্য তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে আসিয়াছিলেন, আর দেখ, শলোমন হইতে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন। 43আর অশুচি আত্মা যখন মনুষ্য হইতে বাহির হইয়া যায়, তখন জলবিহীন নানা স্থান দিয়া ভ্রমণ করতঃ বিশ্রামের অন্বেষণ করে, কিন্তু তাহা পায় না। 44তখন সে বলে, আমি যেই স্থান হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি, আমার সেই গৃহে ফিরিয়া যাই; পরে সে আসিয়া তাহা শূন্য, মার্জিত ও শোভিত দেখে। 45তখন সে গিয়া আপনা হইতেও দুষ্ট অপর সাত আত্মাকে সঙ্গে লইয়া আইসে, আর তাহারা সেই স্থানে প্রবেশ করিয়া বাস করে; তাহাতে সেই মনুষ্যের প্রথম দশা হইতে শেষ দশা আরও মন্দ হয়। এই কালের দুষ্ট লোকদের প্রতি তাহাই ঘটিবে।
46তিনি লোকসমূহকে এই সকল কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে, দেখ, তাঁহার মাতা ও ভ্রাতারা তাঁহার সহিত কথা কহিবার চেষ্টায় বাহিরে দাঁড়াইয়া ছিলেন। 47তখন এক ব্যক্তি তাঁহাকে কহিল, দেখুন, আপনার মাতা ও ভ্রাতারা আপনার সহিত কথা কহিবার চেষ্টায় বাহিরে দাঁড়াইয়া আছেন। 48কিন্তু যে এই কথা বলিল, তাহাকে তিনি উত্তরে কহিলেন, আমার মাতা কে? আমার ভ্রাতারাই বা কাহারা? 49পরে তিনি তাঁহার শিষ্যগণের দিকে হাত বাড়াইয়া কহিলেন, এই দেখ, আমার মাতা ও আমার ভ্রাতারা; 50কেননা যে কেহ আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই আমার ভ্রাতা ও ভগিনী ও মাতা।
======
সরল হইবার বিষয়ে শিক্ষা
29পরে তাঁহার নিকটে উত্তর উত্তর অনেক লোকের সমাগম হইলে তিনি বলিতে লাগিলেন, এই কালের লোকেরা দুষ্ট, ইহারা চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাহাদিগকে দেওয়া যাইবে না। 30কারণ যোনা যেমন নীনবীয়দের কাছে চিহ্নস্বরূপ হইয়াছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও এই কালের লোকদের নিকটে হইবেন। 31দক্ষিণ দেশের রাণী বিচারে এই কালের লোকদের সহিত উঠিয়া ইহাদিগকে দোষী করিবেন, কেননা শলোমনের জ্ঞানের কথা শুনিবার জন্য তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে আসিয়াছিলেন; আর দেখ, শলোমন হইতেও মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন। 32নীনবীয় লোকেরা বিচারে এই কালের লোকদের সহিত দাঁড়াইয়া ইহাদিগকে দোষী করিবে; কেননা তাহারা যোনার প্রচারে মন ফিরাইয়াছিল, আর দেখ, যোনা হইতে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
33প্রদীপ জ্বালিয়া কেহ গুপ্ত কুঠরিতে কিম্বা ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, যেন, যাহারা ভিতরে যায়, তাহারা আলো দেখিতে পায়। 34তোমার চক্ষুই শরীরের প্রদীপ; তোমার চক্ষু যখন সরল হয়, তখন তোমার সমুদয় শরীরও দীপ্তিময় হয়; কিন্তু চক্ষু মন্দ হইলে তোমার শরীরও অন্ধকারময় হয়। 35অতএব দেখিও, তোমার অন্তরে যে দীপ্তি আছে, তাহা অন্ধকার কি না। 36বাস্তবিক, তোমার সমুদয় শরীর যদি দীপ্তিময় হয়, কোনও অংশ অন্ধকারময় না থাকে, তবে প্রদীপ যেমন নিজ তেজে তোমাকে দীপ্তি দান করে, তেমনি তোমার শরীর সম্পূর্ণরূপে দীপ্তিময় হইবে।




১-রাজাবলী 10 : 1-13, ২-বংশাবলী ৯: ১-১২

শেবা দেশের রাণীর আগমন
(২ বংশা 9:1-12)
1শলোমনের সুখ্যাতির কথা শেবা দেশের রাণীর কাছেও পৌঁছাল। তিনি কূট প্রশ্ন করে তাঁকে যাচাই করতে এলেন জেরুশালেমে। 2সঙ্গে নিয়ে এলেন বিরাট একদল দাস-দাসী লোক-লস্কর। উটের পিঠে বোঝাই করে আনলেন সুগন্ধি মশলা, প্রচুর সোনাদানা ও বহুমূল্য মণিমাণিক্য। শলোমনের কাছে গিয়ে তাঁর মনে যত কিছু প্রশ্ন ছিল—সব জিজ্ঞাসা করলেন। 3শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। কোন প্রশ্নের উত্তরই তাঁর কাছে কঠিন ছিল না। 4শেবার রাণী শলোমনের প্রজ্ঞার পরিচয় পেলেন। দেখলেন তাঁর গড়া রাজপ্রাসাদ। 5দেখলেন তাঁর ভোজের আসরে পরিবেশিত খাদ্যসম্ভার, কর্মচারীদের বাসস্থান, প্রাসাদের কর্মচারীদের শ্রেণীবিন্যাস, তাদের পোষাক-পরিচ্ছদ, পানপাত্র বাহকদের দল এবং প্রভুর মন্দিরে হোমবলির বহর। সব দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। 6রাজা শলোমনকে তিনি বললেন, দেশে থাকতে আমি আপনার প্রজ্ঞা ও কীর্তি সম্বন্ধে যা কিছু শুনেছিলাম সবই সত্যি। 7কিন্তু এখানে এসে নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। এখন দেখছি, এর অর্ধেক কথাও আমি শুনিনি। আমি যে খ্যাতি শুনেছি, আপনার প্রজ্ঞা ও সমৃদ্ধি তার চেয়েও অনেক বেশি। 8আপনার পত্নীরা কত সৌভাগ্যবতী! কত সৌভাগ্যবান আপনার কর্মচারীরা, যারা সর্বদা আপনার সেবা করে এবং নিয়ত শোনে আপনার প্রাজ্ঞ বাণী। 9ধন্য আপনার আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বর! ইসরায়েলের সিংহাসনে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি দেখিয়েছেন যে তিনি আপনার প্রতি কত প্রসন্ন। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী, সেইজন্যই তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন, যাতে তারা ন্যায়বিচার পায় ও দেশে আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
10রাণী যা কিছু এনেছিলেন, সব রাজা শলোমনকে উপহার দিলেন। তিনি এনেছিলেন একশো কুড়ি তালন্ত সোনা, প্রচুর সুগন্ধি মশলা ও মণিমাণিক্য। শেবার রাণী যত সুগন্ধি মশলা রাজা শলোমনকে উপহার দিয়েছিলেন, তত সুগন্ধি মশলা আর কোনদিন তিনি পান নি।11(হীরামের নৌবহর ওফির থেকে সোনা আনবার সময় সেইসঙ্গে প্রচুর চন্দনকাঠ আর মণি নিয়ে আসত। 12সেই চন্দন কাঠ দিয়ে রাজা মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের জানালার গরাদ তৈরী করিয়ে ছিলেন। ইসরায়েল দেশে এমন চন্দন কাঠ আর কখনও আমদানী হয়নি, এমনটি আর কখনও দেখাও যায়নি)।
13রাজা শলোমনের কাছে শেবার রাণী যা চাইলেন, তিনি সবই দিলেন তাঁকে। তা ছাড়াও রাজার ভাণ্ডার থেকে প্রচুর দানসামগ্রী তাঁকে দেওয়া হল। তারপর রাণী তাঁর লোক-লস্কর নিয়ে ফিরে গেলেন নিজের দেশে।

==========================================
২-বংশাবলী ৯: ১-১২

শেবা দেশের রাণীর আগমন
(১ রাজা 20:1-13)
1শলোমনের সুখ্যাতির কথা শেবা দেশের রাণীর কাছেও পৌঁছাল। তিনি কূট প্রশ্ন করে তাঁকে যাচাই করতে এলেন জেরুশালেমে। 2সঙ্গে নিয়ে এলেন বিরাট একদল দাসদাসী,উটের পিঠে বোঝাই করে আনলেন সুগন্ধি মশলা, প্রচুর সোনা ও বহুমূল্য মণিমাণিক্য। শলোমনের সঙ্গে দেখা হলে যত প্রশ্ন তাঁর মনে ছিল, সব জিজ্ঞাসা করলেন। শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। কোন প্রশ্নের উত্তরই তাঁর কাছে কঠিন ছিল না। 3শেবার রাণী শলোমনের প্রজ্ঞার পরিচয় পেলেন, দেখলেন তাঁর গড়া রাজপ্রাসাদ। 4দেখলেন তাঁর ভোজের আসরে পরিবেশিত খাদ্য সম্ভার, কর্মচারীদের বাসস্থান, প্রাসাদের কর্মচারীদের শ্রেণীবিন্যাস, তাদের পোষাক পরিচ্ছদ, ভোজনসভায় পরিবেশনকারী কর্মচারীদের পোষাক এবং প্রভু পরমেশ্বরের মন্দিরে হোমবলির ঘটা। সব দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। 5রাজা শলোমনকে তিনি বললেন, দেশে থাকতে আপনার প্রজ্ঞা ও কীর্তি সম্বন্ধে যা কিছু শুনেছিলাম, সবই সত্যি। 6কিন্তু এখানে এসে স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারি নি। এখন দেখছি এর অর্ধেকও আমি শুনি নি। লোকমুখে আমি যে খ্যাতির কথা শুনেছি, আপনার প্রজ্ঞা ও সমৃদ্ধি তার চেয়েও অনেক বেশি। 7কত সৌভাগ্যবান আপনার কর্মচারীরা–যরা সর্বদা আপনার সেবা করে,আপনার সান্নিধ্য পায় ও নিয়ত শোনে আপনার প্রজ্ঞাবাণী। 8ধন্য আপনার আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বর! ইসরায়েলের সিংহাসনে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি দেখিয়েছেন যে, তিনি আপনার প্রতি কত প্রসন্ন। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী। সেই জন্যই তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন যেন তারা ন্যায়বিচার পায় ও দেশে আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
9রাণী যা কিছু এনেছিলেন, সব রাজা শলোমনকে উপহার দিলেন। তিনি এনেছিলেন একশো বিশ তালন্তেরও বেশি সোনা, প্রচুর সুগন্ধি মশলা ও মণিমাণিক্য। শেবার রাণী যত ভাল সুগন্ধি মশলা রাজা শলোমনকে উপহার দিয়েছিলেন তার চেয়ে ভাল সুগন্ধি মশলা আর কোনদিন তিনি পান নি।
10(হীরামের নৌবহর ওফির থেকে সোনা আনবার সময় সেইসঙ্গে প্রচুর চন্দন কাঠ আর মণিমাণিক্য এনেছিল। 11সেই চন্দনকাঠ দিয়ে রাজা মন্দির ও রাজপ্রসাদের সিঁড়ি এবং গায়কদের জন্য বীণা ও নেবলযন্ত্র তৈরী করিয়েছিলেন। যিহুদীয়া দেশে এমন চন্দনকাঠ আর কখনও দেখা যায় নি)।
12শেবার রাণী রাজা শলোমনের কাছে যা চাইলেন, সবই তিনি দিলেন তাঁকে। এ ছাড়াও রাজার ভাণ্ডার থেকে প্রচুর উপহার সামগ্রী তাঁকে দেওয়া হল। তারপর রাণী তাঁর লোকজন নিয়ে ফিরে গেলেন নিজের দেশে।

(জুয়িশ ইনসাইকোপেডিয়া, ১১ খণ্ড, ৪৩৯ পৃষ্ঠা)

হযরত সুলাইমানকে (আ) যে পশু-পাখির ভাষা শেখানো হয়েছিল, বাইবেলে সে কথা আলোচিত হয়নি। কিন্তু বনী ইসরাঈলের বর্ণনাসমূহে এর সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
(জুয়িশ ইনসাইকোপেডিয়া, ১১ খণ্ড, ৪৩৯ পৃষ্ঠা)



জুয়িশ ইনসাইকোপেডিয়া, ১১ খণ্ড, ৪৪০ পৃষ্ঠা


জিনেরা যে হযরত সুলাইমানের সেনাবাহিনীর অংশ ছিল এবং তিনি তাদের কাজে নিয়োগ করতেন, বাইবেলে একথারও উল্লেখ নেই। কিন্তু তালমূদে ও রাব্বীদের বর্ণনায় এর বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। (জুয়িশ ইনসাইকোপেডিয়া, ১১ খণ্ড, ৪৪০ পৃষ্ঠা।)

নিচের পৃষ্ঠাটির বাঁ পাশের প্রথম প্যারাটি পড়ে দেখুন : জ্বীনদের উপরে সুলাইমান আ: এর কর্তৃত্ব ছিল তা এখানে বলা হয়েছে :
(LINK) 


Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...