শেবা দেশের রাণীর আগমন
(২ বংশা 9:1-12)
1শলোমনের সুখ্যাতির কথা শেবা দেশের রাণীর কাছেও পৌঁছাল। তিনি কূট প্রশ্ন করে তাঁকে যাচাই করতে এলেন জেরুশালেমে। 2সঙ্গে নিয়ে এলেন বিরাট একদল দাস-দাসী লোক-লস্কর। উটের পিঠে বোঝাই করে আনলেন সুগন্ধি মশলা, প্রচুর সোনাদানা ও বহুমূল্য মণিমাণিক্য। শলোমনের কাছে গিয়ে তাঁর মনে যত কিছু প্রশ্ন ছিল—সব জিজ্ঞাসা করলেন। 3শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। কোন প্রশ্নের উত্তরই তাঁর কাছে কঠিন ছিল না। 4শেবার রাণী শলোমনের প্রজ্ঞার পরিচয় পেলেন। দেখলেন তাঁর গড়া রাজপ্রাসাদ। 5দেখলেন তাঁর ভোজের আসরে পরিবেশিত খাদ্যসম্ভার, কর্মচারীদের বাসস্থান, প্রাসাদের কর্মচারীদের শ্রেণীবিন্যাস, তাদের পোষাক-পরিচ্ছদ, পানপাত্র বাহকদের দল এবং প্রভুর মন্দিরে হোমবলির বহর। সব দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। 6রাজা শলোমনকে তিনি বললেন, দেশে থাকতে আমি আপনার প্রজ্ঞা ও কীর্তি সম্বন্ধে যা কিছু শুনেছিলাম সবই সত্যি। 7কিন্তু এখানে এসে নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। এখন দেখছি, এর অর্ধেক কথাও আমি শুনিনি। আমি যে খ্যাতি শুনেছি, আপনার প্রজ্ঞা ও সমৃদ্ধি তার চেয়েও অনেক বেশি। 8আপনার পত্নীরা কত সৌভাগ্যবতী! কত সৌভাগ্যবান আপনার কর্মচারীরা, যারা সর্বদা আপনার সেবা করে এবং নিয়ত শোনে আপনার প্রাজ্ঞ বাণী। 9ধন্য আপনার আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বর! ইসরায়েলের সিংহাসনে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি দেখিয়েছেন যে তিনি আপনার প্রতি কত প্রসন্ন। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী, সেইজন্যই তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন, যাতে তারা ন্যায়বিচার পায় ও দেশে আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
10রাণী যা কিছু এনেছিলেন, সব রাজা শলোমনকে উপহার দিলেন। তিনি এনেছিলেন একশো কুড়ি তালন্ত সোনা, প্রচুর সুগন্ধি মশলা ও মণিমাণিক্য। শেবার রাণী যত সুগন্ধি মশলা রাজা শলোমনকে উপহার দিয়েছিলেন, তত সুগন্ধি মশলা আর কোনদিন তিনি পান নি।11(হীরামের নৌবহর ওফির থেকে সোনা আনবার সময় সেইসঙ্গে প্রচুর চন্দনকাঠ আর মণি নিয়ে আসত। 12সেই চন্দন কাঠ দিয়ে রাজা মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের জানালার গরাদ তৈরী করিয়ে ছিলেন। ইসরায়েল দেশে এমন চন্দন কাঠ আর কখনও আমদানী হয়নি, এমনটি আর কখনও দেখাও যায়নি)।
13রাজা শলোমনের কাছে শেবার রাণী যা চাইলেন, তিনি সবই দিলেন তাঁকে। তা ছাড়াও রাজার ভাণ্ডার থেকে প্রচুর দানসামগ্রী তাঁকে দেওয়া হল। তারপর রাণী তাঁর লোক-লস্কর নিয়ে ফিরে গেলেন নিজের দেশে।
==========================================
২-বংশাবলী ৯: ১-১২
শেবা দেশের রাণীর আগমন
(১ রাজা 20:1-13)
1শলোমনের সুখ্যাতির কথা শেবা দেশের রাণীর কাছেও পৌঁছাল। তিনি কূট প্রশ্ন করে তাঁকে যাচাই করতে এলেন জেরুশালেমে। 2সঙ্গে নিয়ে এলেন বিরাট একদল দাসদাসী,উটের পিঠে বোঝাই করে আনলেন সুগন্ধি মশলা, প্রচুর সোনা ও বহুমূল্য মণিমাণিক্য। শলোমনের সঙ্গে দেখা হলে যত প্রশ্ন তাঁর মনে ছিল, সব জিজ্ঞাসা করলেন। শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। কোন প্রশ্নের উত্তরই তাঁর কাছে কঠিন ছিল না। 3শেবার রাণী শলোমনের প্রজ্ঞার পরিচয় পেলেন, দেখলেন তাঁর গড়া রাজপ্রাসাদ। 4দেখলেন তাঁর ভোজের আসরে পরিবেশিত খাদ্য সম্ভার, কর্মচারীদের বাসস্থান, প্রাসাদের কর্মচারীদের শ্রেণীবিন্যাস, তাদের পোষাক পরিচ্ছদ, ভোজনসভায় পরিবেশনকারী কর্মচারীদের পোষাক এবং প্রভু পরমেশ্বরের মন্দিরে হোমবলির ঘটা। সব দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। 5রাজা শলোমনকে তিনি বললেন, দেশে থাকতে আপনার প্রজ্ঞা ও কীর্তি সম্বন্ধে যা কিছু শুনেছিলাম, সবই সত্যি। 6কিন্তু এখানে এসে স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারি নি। এখন দেখছি এর অর্ধেকও আমি শুনি নি। লোকমুখে আমি যে খ্যাতির কথা শুনেছি, আপনার প্রজ্ঞা ও সমৃদ্ধি তার চেয়েও অনেক বেশি। 7কত সৌভাগ্যবান আপনার কর্মচারীরা–যরা সর্বদা আপনার সেবা করে,আপনার সান্নিধ্য পায় ও নিয়ত শোনে আপনার প্রজ্ঞাবাণী। 8ধন্য আপনার আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বর! ইসরায়েলের সিংহাসনে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি দেখিয়েছেন যে, তিনি আপনার প্রতি কত প্রসন্ন। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী। সেই জন্যই তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন যেন তারা ন্যায়বিচার পায় ও দেশে আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
9রাণী যা কিছু এনেছিলেন, সব রাজা শলোমনকে উপহার দিলেন। তিনি এনেছিলেন একশো বিশ তালন্তেরও বেশি সোনা, প্রচুর সুগন্ধি মশলা ও মণিমাণিক্য। শেবার রাণী যত ভাল সুগন্ধি মশলা রাজা শলোমনকে উপহার দিয়েছিলেন তার চেয়ে ভাল সুগন্ধি মশলা আর কোনদিন তিনি পান নি।
10(হীরামের নৌবহর ওফির থেকে সোনা আনবার সময় সেইসঙ্গে প্রচুর চন্দন কাঠ আর মণিমাণিক্য এনেছিল। 11সেই চন্দনকাঠ দিয়ে রাজা মন্দির ও রাজপ্রসাদের সিঁড়ি এবং গায়কদের জন্য বীণা ও নেবলযন্ত্র তৈরী করিয়েছিলেন। যিহুদীয়া দেশে এমন চন্দনকাঠ আর কখনও দেখা যায় নি)।
12শেবার রাণী রাজা শলোমনের কাছে যা চাইলেন, সবই তিনি দিলেন তাঁকে। এ ছাড়াও রাজার ভাণ্ডার থেকে প্রচুর উপহার সামগ্রী তাঁকে দেওয়া হল। তারপর রাণী তাঁর লোকজন নিয়ে ফিরে গেলেন নিজের দেশে।
No comments:
Post a Comment