যোহনের সুসমাচার, ১৫: ২৬, ১৬: ৭, ১৬: ১২-১৫

১৫: ২৬
জগতসংসারের ঘৃণা
18জগতসংসার যদি তোমাদের ঘৃণা করে, জেনো, তোমাদের আগে জগত আমাকেই ঘৃণা করেছে। 19তোমরা যদি সংসারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে তাহলে সংসার তার আপনজন রূপে তোমাদের ভালবাসত। কিন্তু যেহেতু তোমরা জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নও, যেহেতু এ জগতের মধ্যে আমি তোমাদের মনোনীত করেছি, সেইজন্যই জগত সংসার তোমাদের ঘৃণা করে। 20মনে রেখো আমার কথা, ‘দাস তার মনিবের চেয়ে বড় নয়।’ তারা যদি আমাকে নির্যাতন করেত পারে তাহলে তোমাদেরও নির্যাতন করবে। যদি তারা আমার কথা শুনত তাহলে তোমাদের কথাও শুনত।21আমারই জন্য তারা তোমাদের সঙ্গে এরকম আচরণ করবে কারণ আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকে তারা জানে না। 22আমি যদি না আসতাম, কিছু যদি না বলতাম তাদের, তাহলে তাদের কোন পাপ হত না। কিন্তু এখন তাদের এ পাপাচারের কোন কৈফিয়ৎ নেই। 23যে আমায় ঘৃণা করে সে আমার পিতাকেও ঘৃণা করে। 24তাদের মাঝে অনন্যপূর্ব কীর্তি যদি আমি সাধন না করতাম তাহলে তাদের কোন পাপ হত না। কিন্তু তারা আমার কীর্তি দেখা সত্ত্বেও আমাকে ও আমার পিতাকে-উভয়কেই ঘৃণা করেচে। 25সুতরাং পূর্ণ হল তাদেরই বিধান শাস্ত্রের এই বচনঃ অকারণেই তারা আমায় ঘৃণা করেছে।
26পিতা থেকে যাঁর উদ্ভব, তোমাদের সহায় সেই সত্য আত্মা যখন আসবেন, পিতার কাছ থেকে যাঁকে আমি পাঠাব, তিনিই আমার সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেবেন। 27তোমরাও আমার সাক্ষী কারণ প্রথম থেকেই তোমরা রয়েছ আমার সঙ্গে।

1তোমরা যাতে বিশ্বাস না হারাও সেইজন্য এই সমস্ত কথা আমি তোমাদের বললাম। 2তারা তোমাদের সমাজচ্যুত করবে। এমনও দিন আসবে যখন কেউ তোমাদের হত্যা করলে সে ভাববে যে সে ঈশ্বরের সেবা করছে। 3পিতাকে কিম্বা আমাকে জানে না বলেই তারা এসব কাজ করবে। 4এসব কথা আমি তোমাদের বললাম যাতে এইসব ঘটনা ঘটার সময়ে তোমরা স্মরণ কর আমার আজকের এই সতর্কবাণী। আগে এসব কথা তোমাদের আমি বলি নি কারণ তখন আমি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম। এবার আমি তাঁর কাছে চলে যাচ্ছি যিনি আমায় পাঠিয়েছেন। 5কিন্তু তোমরা তো জিজ্ঞাসা করলে না আমায়, কোথায় আপনি যাচ্ছেন? 6তা না করে আমার কথা শুনেই তোমরা দুঃখে মূহ্যমান হয়ে পড়লে। 7তাহলেও যা সত্য তা-ই তোমাদের আমি বলছি, তোমাদের মঙ্গলের জন্যই আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমি না যাওয়া পর্যন্ত তোমাদের সেই সহায় আসবেন না। এ ক্ষেত্রে আমি গিয়ে তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। 8তিনি এসে এ জগতের পাপ, ন্যায়, নিষ্ঠা এবং ঈশ্বরের বিচার সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান দান করবেন। 9তারা আমাকে বিশ্বাস করে নি, এইটাই পাপ। 10তোমাদের দৃষ্টিওর অন্তরালে পিতার কাছে আমি যে প্রত্যাবর্তন করেছি সে কথা প্রমাণ করে তিনি আমার ন্যায়নিষ্ঠতা প্রতিপন্ন করবেন 11এবং এই জগতের অধিপতির অপরাধ প্রমাণ করেই তিনি ঐশ্বরিক বিচার সম্বন্ধে তাদের করবেন নিঃসংশয়।
12তোমাদের আরও অনেক কথা আমার বলার আছে কিন্তু এখন তোমাদের পক্ষে তা হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন। 13সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনিই তখন তোমাদের পূর্ণ সত্যের উপলব্ধি দান করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, যা তিনি শুনবেন শুধুমাত্র তা-ই বলবেন এবং সমস্ত ভাবী ঘটনার কথা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন। 14তিনি আমাকেই মহিমান্বিত করবেন কারণ আমার সংক্রান্ত বিষয তিনি তোমাদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন। 15পিতার সম্সত ঐশ্বর্যই আমার। সেইজন্যই আমি বললাম, আমার কাছ থেকেই সব কিছু নিয়ে তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।
আনন্দ-বেদনা
16আমি আর মাত্র কিছুক্ষণ আচি, তারপর আমাকে তোমরা আর দেখতে পাবে না। তারপর আর অল্পকাল পরেই আবার আমাকে দেখতে পাবে।
17যীশুর শিষ্যদের কয়েকজন আলোচনা করতে লাগলেন, ‘আর মাত্র অল্পকাল, তারপর আমাকে তোমরা দেখতে পাবে না। আবার অল্পদিন পরে আমাকে দেখথে পাবে'-আবার বলছেন, ‘আমি পিতার কাছে যাচ্ছি'- ওঁর এসব কথার অর্থ কি? 18তাঁরা বলতে লাগলেন, ‘আর অল্পকাল'-এ কথারই মানে কি? উনি কি বলতে চান, আমরা বুঝতে পারছি না।
19যীশু বুঝতে পারছিলেন যে তাঁরা তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চান, তাই তিনি তাঁদের বললেন, ‘আর অল্পকাল পরে তোমরা আমাকে দেখতে পাবে না কিন্তু তার কিছুকাল পরে আবার তোমরা আমাকে দেখতে পাবে'-আমার এই কথার অর্থ নিয়ে তোমরা আলোচনা করছ-তাই তো? 20সত্যিই আমি তোমাদের বলছি, তোমরা শোকাকুল হবে কিন্তু জগত হবে উৎফুল্ল। তোমরা শোকার্ত হবে ঠিকই কিন্তু তোমাদের শোক পরিণত হবে আনন্দে। 21সন্তান প্রসবের সময় নারী বেদনায় আর্ত হয় কিন্তু সন্তান বূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ভুলে যায় তার যন্ত্রণা, একটি শিশুর আগমন হয়েছে এই জগতে-এই আনন্দই তাকে করে উদ্বেল। 22সেই রকম এখন তোমরা বেদনার্ত হয়েছ কিন্তু আবার যখন তোমাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে এবং তোমাদের হৃদয় তখন উচ্ছল হবে আনন্দে। সেই আনন্দ কেউ অপহরণ করতে পারবে না।
23সেদিন আমার কাছে তোমাদের আর কিছুই জিজ্ঞাসা করার থাকবে না। সত্যি, সত্যিই আমি তোমাদের বলছি, আমার নামে তোমরা পিতার কাছে যদি কিছু প্রার্থনা কর, তিনি তা পূর্ণ করবেন। 24আমার নামে এ পর্যন্ত তোমরা প্রার্থনা কর নি। প্রার্থনা কর, পাবে এবং তখনই তোমাদের আনন্দ হবে পরিপূর্ণ।
জগতবিজয়ী খ্রীষ্ট
25রূপকের মাধ্যমে এ সব কথা তোমাদের আমি বলেছি কিন্তু এমন সময় আসছে যখন আমি রূপক দিয়এ আর কিছউ বলব না, পিতার সম্বন্ধে যা কিছু বক্তব্য সব সোজাসুজিই বলব। 26সেদিন তোমরা আমার নামে তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে। তাই আমি আর বলছি না যে আমাদের হয়ে আমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করব কারণ 27পিতা স্বয়ং তোমাদের ভালবেসেছ এবং আমি যে ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি একথা তোমরা বিশ্বাস করেছ। 28আমি এই জগতে এসেছি পিতার কাছ থেকে। আবার এ জগত পরিত্যাগ করে আমি পিতার কাছে ফিরে যাব।
29তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, এবার আপনি রূপক দিয়ে না বলে সোজাসুজিই বলছেন। 30এখন আমরা নিশ্চিতভাবে জানলাম যে সবকিছুই আপনার জানা। আপনাকে প্রশ্ন করার কোন প্রয়োজন নেই, এতেই আমরা বিশ্বাস করেছি যে আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।
31-32যীশু তাঁদের বললেন, এবার তোমরা বিশ্বাস করলে? দেখ, এমন সময় আসছে বরং এখনই সে লগ্ন উপস্থিত যখন তোমরা সকলে ছত্রভঙ্গ হয়ে আমাকে একলা ফেলে চলে যাবে যে যার গৃহে, তখনও আমি কিন্তু নিঃসঙ্গ থাকবে না, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন। 33আমারই মাঝে তোমরা শান্তিলাভ করবে, এইজন্যই এমন কথা আমি তোমাদের বললাম। জগত তোমাদের দুঃখ-যন্ত্রণা দেবে কিন্তু সাহস কর আমিই বিজয়ী, আমিই জয় করেছি এই জগতকে।

যোহনের সুসমাচার, ১৪: ১৬, ১৭, ১৪: ২৫, ২৬, ১৪: ৩০

(মথি 26:31-35মার্ক 14:27-31লুক 22:31-34)
1তোমাদের হৃদয়কে উদ্বিগ্ন হতে দিও না। ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ। আমাকেও বিশ্বাসকর। 2আমার পিতার নিকেতনে অনেক আবাস আছে। না থাকলে আমি কি তোমাদের বলতাম যে আমি যাচ্ছি তোমাদের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করতে? 3তোমাদের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করতে আমি যখন যাচ্ছি তখন আমার কাছে তোমাদের নিয়ে যেতে নিশ্চয়ই আবার ফিরে আসব যাতে আমি যেখানে থাকব সেখানে তোমরাও থাকতে পার। 4আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে যাওয়ার পথ তোমরা জান।
5থোমা বললেন, প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন আমরা তো তা-ই জানি না, তাহলে কি করে আমরা সেখানকার পথ জানব?
6যীশু বললেন, আমিই পথ। আমিই সত্য এবং আমিই জীবন। আমার মাধ্যমে না গেলে কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না। 7তোমরা যদি আমাকে জানতে তাহলে আমার পিতাকেও জানতে এখন তোমরা তাঁকে জেনেছও দেখেছ।
8ফিলিপ তাঁকে বললেন, প্রভু, পিতাকে আমাদের দর্শন করান, তাহলেই আমরা তৃপ্ত হব।
9যীশু বললেন, ফিলিপ, এতদিন আমি তোমাদের সঙ্গে আছি তবু তোমরা আমায় চিনলে না? আমায় যে দর্শন করেছে সে আমার পিতারও দর্শনলাভ করেছে। 10তাহলে কি করে তুমি বলছ, ‘পিতাকে আমাদের দর্শন করান?’ তুমি বিশ্বাস কর না যে আমি পিতার মাঝে এবং আমারই মাঝে পিতা বিরাজিত? তোমাদের কাছে আমি যা বলি, সে সব কথা নিজে থেকে বলি না। পিতা, যিনি আমার মধ্যে বিরাজ করেন, তিনিই নিজের কার্যসাধন করেছেন। 11বিশ্বাস কর, আমি পিতার মাঝে এবং পিতা আমার মাঝে বিরাজমান। এ কথা যদি বিশ্বাস করতে না পার অন্ততঃ এই সমস্ত কীর্তি দেখে আমাকে বিশ্বাস কর। 12সত্যি, সত্যি তোমাদের আমি বলছি, আমার প্রতি যদি কারও বিশ্বাস থাকে তাহলে আমি যে সব কর্মসাধন করেছি, সেও সেই কাজ করতে পারবে, এমন কি তার চেয়েও মহৎ কাজ করতে পারবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি।13আমার নামের মহিমার জন্য যা কিছু তোমরা প্রার্থনা করবে আমি তা পূর্ণ করব যেন পুত্রের মাধ্যমে পিতার মহিমা প্রকাশিত। 14আমার নামে যদি তোমরা কোন আবেদন জানাও আমি তা পূর্ণ করব।
পবিত্র আত্মা দানের প্রতিশ্রুতি
15তোমরা যদি আমাকে ভালবেসে থাক তাহলে আমার সমস্ত আদেশ তোমরা পালন করবে। 16পিতার কাছে আমি প্রার্থনা করব যেন চিরদিন তোমাদের সঙ্গে থাকার জন্য তিনি তোমাদের আর একজন সহায় পাঠিয়ে দেন। 17তিনিই সেই সত্যের আত্মা, জগত সংসার তাঁকে গ্রহণ করতে পারে না কারণ সংসারে তাঁর দর্শন পায় না কিম্বা তাঁর পরিচয়ও জানে না। কিন্তু তোমরা তাঁকে জান। তিনি তোমাদের সঙ্গেই থাকেন এবং তোমাদেরই অন্তরে তাঁর বাস।
18তোমাদের আমি নিঃসহায় ফেলে যাব না, আবার আমি তোমাদের কাছে ফিরে আসছি। 19কিছুদিন পরে সংসার আর আমায় দেখতে পাবে না কিন্তু তোমরা আমার দর্শন পাবে। যেহেতু আমি জীবনময় সেইহেতু তোমরাও জীবিত থাকবে। 20সেদিন তোমরা জানবে যে পিতার মাঝে আমি বিরাজমান, তোমরা রয়েছ আমার মাঝে লীন হয়ে এবং আমি বিরাজিত তোমাদের অন্তরে।
21যে আমার নির্দেশ গ্রহণ করে ও পালন করে, সে-ই আমাকে প্রকৃত ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে, আমার পিতাও তাকে ভালবাসেন। তাকে আমি ভালবাসব এবং তার কাছে আমি নিজেকে প্রকাশ করব।
22যিহুদা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল (যিহুদা ইষ্কারিয়োত নয়, অন্য আর একজন), প্রভু, আপনি শুধু আমাদেরই কাছে নিজেকে প্রকাশ করবেন, জগতের কাছে নয়?
23যীশু বললেন, যে আমায় ভালবাসে সে আমার আদেশ পালন করবে। আমার পিতা তাকে ভালবাসেন এবং আমরা উভয়ে তার কাছে আসব, বাস করব তাঁর সঙ্গে। 24কিন্তু যে আমায় ভালবাসে না সে আমার আদেশ পালন করবে না। আমার কাছে তোমরা যা শোন, সেগুলি আমার নিজের কথা নয়, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, এ হল আমার সেই পিতারই বাণী।
25তোমাদের সঙ্গে বর্তমান থাকতেই এসব কথা আমি তোমাদের বললাম। 26কিন্তু তোমাদের সহায় সেই পবিত্র আত্মা যাঁকে পিতা আমার পরিবর্তরূপে পাঠাবেন, তিনিই তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দেবেন এবং আমার সমস্ত বাণী তোমাদের স্মরণে এনে দেবেন।
27শান্তি আমি রেখে গেলাম তোমাদের জন্য। দিয়ে গেলাম আমারই শান্তি। সংসার যে শান্তি দেয়, আমার এ দান তার মত নয়। শান্ত কর তোমাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়, দূর কর তোমাদের ভয় ব্যাকুলতা। 28এখনই আমি তোমাদের বললাম যে ‘আমি চলে যাচ্ছি কিন্তু আবার আসব তোমাদের কাছে।’ যদি তোমরা আমাকে ভালবাসতে তাহলে আমি পিতার কাছে যাচ্ছি বলে তোমরা আনন্দিত হতে কারণ পিতা আমার চেয়েও মহান। 29এ ঘটনা ঘটার আগেই আমি তোমাদের এ কথা বললাম, যাতে এ ঘটনা ঘটলে তোমরা বিশ্বাস করতে পার। 30তোমাদের সঙ্গে আর বেশিক্ষণ কথা আমি বলব না কারণ এ জগত যার অধীন সে আসছে। কিন্তু আমার উপরে তার কোন কর্তৃত্ব নেই, আমি পালন করি পিতার নির্দেশ, যেন জগত জানতে পারে যে আমি পিতার প্রেমে একনিষ্ঠ। 31চল আমরা এখান থেকে যাই।

যোহন লিখিত সুসমাচার, অধ্যায়-১, পদ ১৯ থেকে ২৫

(মার্ক 3:1-12মার্ক 1:1-8লুক 3:1-18)
19-20জেরুশালেমের ইহুদী সমাজের পক্ষ থেকে পুরোহিত ও লেবীয়দের একটি প্রতিনিধি দলকে যোহনের কাছে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি কে? এ বিষয়ে যোহন নীরব রইলেন না, বরং সুস্পষ্টভাবে তাঁর সাক্ষ্য ঘোষণা করে বললেন, আমি খ্রীষ্ট নই। 21তারা জিজ্ঞাসা করল, তাহলে কে আপনি? আপনি কি এলিয়? তিনি উত্তর দিলেন না, আমি এলিয় নই। তারা তখন জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি সেই প্রত্যাশিত নবী? তিনি বললেন, না। 22তারা তাঁকে বলল, তাহলে আমাদের বলুন, কে আপনি? যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমাদের এর উত্তর নিয়ে যেতে হবে। আপনার নিজের সম্বন্ধে আপনার কি বক্তব্য? 23যোহন নবী যিশাইয়র উক্তি দিয়ে তাদের উত্তর দিলেন, আমি হচ্ছি সেই কন্ঠস্বর যা মরুপ্রান্তরে ঘোষণা করছেঃ
সরল করে দাও প্রভুর আগমনের পথ।
24ফরিশীরাও কয়েকজন দূত পাঠিয়েছিল তাঁর কাছে। 25তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি যদি খ্রীষ্ট না হন, যদি এলিয় বা সেই প্রত্যাশিত নবী না হন, তাহলে কেন আপনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন? 26-27যোহন তাদের উত্তর দিলেন, আমি জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি। কিন্তু যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি তোমাদেরই মাঝে আছেন, তাঁকে তোমরা চেন না। আমি তাঁর পাদুকাবন্ধন খোলারও যোগ্য নই। 28বেথানিতে, যর্ডনের তীরে যেখানে যোহন বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, সেখানে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল।

বাইবেল যাত্রাপুস্তক ১৯: ১৭, ১৮ ( ক্বেসাস সংক্রান্ত বিধি)

আশ্রয় নগরী
(গণনা 35:9-28যিহো 20:1-9)
1তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর যে জাতিসমূহকে উচ্ছেদ করে তাদের দেশ তোমাদের দেবেন, তিনি তাদের উচ্ছেদ করার পর তোমরা সেই দেশ অধিকার করে তাদের নগরসমূহে ও গৃহে বাস করবে। 2তখন যে দেশ তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের দান করবেন সেই দেশের কেন্দ্রস্থলে তোমরা তিনটি নগর পৃথক করে রাখবে। 3তোমরা সেখানে রাস্তা তৈরী করবে এবং তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর উত্তরাধিকারস্বরূপ যে দেশ তোমাদের দিয়েছেন সেই দেশকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করবে, যেন নরহত্যাকারী কোন ব্যক্তি সেই নগরগুলিতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে।
4নিম্নবর্ণিত নরহত্যাকারীরা এই নগরগুলিতে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারবে: যদি কেউ পূর্বের কোন শত্রুতাবশত: নয় কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে তার প্রতিবেশীকে আঘাত করে তার মৃত্যু ঘটায়, 5যেমন, কেউ যদি তার প্রতিবেশীর সঙ্গে কাঠ কাটতে বনে যায় এবং সেখানে গাছ কাটার সময় যদি বাঁট থেকে কুড়ালের ফলা খসে গিয়ে প্রতিবেশীর গায়ে আঘাত লাগে এবং তার ফলেই তার মৃত্যু হয় তাহলে সেই ব্যক্তি ঐ তিনটি নগরের কোনও একটিতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারবে। 6অন্যথায় মৃত ব্যক্তির নিকট আত্মীয়, যার উপরে তার রক্তপাতের প্রতিশোধ গ্রহণ করার দায়িত্ব রয়েছে সে ক্রোধোন্মক্ত হয়ে হত্যাকারীর পিছনে তাড়া করবে এবং পথের দূরত্ব বেশী হওয়ার জন্য হয়তো তাকে ধরে ফেলে তার প্রাণ হরণ করবে। কিন্তু সেই ব্যক্তি প্রাণদণ্ডের যোগ্য নয় কারণ মৃত ব্যক্তির সঙ্গে তার পূর্বের কোন শত্রুতা ছিল না। 7এই কারণেই আমি তোমাদের তিনটি নগর পৃথক করে রাখার নির্দেশ দিচ্ছি। 8আমি আজ তোমাদের যে সব নির্দেশ দিলাম, তোমরা যদি তা পালন কর, তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরকে ভালবাস ও আজীবন তাঁর পথে চল এবং 9তার ফলে যদি তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে দেওয়া তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তোমাদের দেশের সীমা বিস্তৃত করেন এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে প্রতিশ্রুত সমস্ত দেশ তোমাদের দেন তাহলে তোমরা ঐ তিনটি নগর ছাড়াও আরও তিনটি নগর নির্দিষ্ট করে দেবে যেন 10তোমাদের ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর যে দেশের অধিকার তোমাদের দেবেন সেই দেশে নির্দোষের রক্তপাত না হয় এবং তোমাদের উপরেও রক্তপাতের দায় না বর্তায়। 11কিন্তু যদি কেউ তার প্রতিবেশীর প্রতি শত্রুতাবশত: তাকে অতর্কিতে আক্রমণ করে সাংঘাতিক ভাবে আঘাত করে ও তার ফলে তার মৃত্যু হয় এবং তারপর যদি হত্যাকারী ঐ নগরগুলির কোনও একটিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়, 12তাহলে সে যে নগরের অধিবাসী সেই নগরের নেতৃবৃন্দ লোক পাঠিয়ে তাকে ধরে আনাবে এবং তার প্রাণদণ্ডের জন্য সেই মৃত ব্যক্তির রক্তপাতের প্রতিশোধদাতা আত্মীয়ের হাতে তাকে সমর্পণ করবে। 13তোমরা সেই ব্যক্তির প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে না বরং ইসরায়েলী সমাজ থেকে তোমরা নরহত্যা নির্মূল করবে।
14তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর যে দেশ তোমাদের অধিকার করতে দেবেন সেই দেশে তোমার প্রতিবেশীর অধিকৃত জমির পূর্ব নির্দিষ্ট সীমানা নির্দেশক প্রস্তরখণ্ড তোমরা সরাবে না।
15কেউ কোন অপরাধ বা পাপ করলে তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একজনের সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে না। দুই কিম্বা তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে তার বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে। 16বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে যদি কেউ কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে 17তাহলে বাদী ও প্রতিবাদী উভয়কেই প্রভু পরমেশ্বরের সাক্ষাতে পুরোহিত ও বিচারপতিদের কাছে উপস্থিত হতে হবে। 18বিচারপতিরা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অভিযোগের তদন্ত করবে, যদি দেখা যায় যে সাক্ষীর সাক্ষ্য মিথ্যা, মিথ্যা অভিযোগে সে তার স্বজাতীয় ভাইকে অভিযুক্ত করেছে, তাহলে 19সে তার স্বজাতীয়ের প্রতি যা করতে চেয়েছিল তোমরা তার প্রতি তা-ই করবে। এইভাবে তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে দুর্নীতির উচ্ছেদ সাধন করবে। 20এ কথা শুনে সমাজের অন্যান্য লোকেরা ভয় পাবে এবং সেই রকম কাজ আর তারা করবে না। 21এই ব্যাপারে তোমরা কোন দয়া প্রদর্শন করবে না—প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা—এই হবে নীতি।

দ্বিতীয় বিবরণ, অধ্যায় ১৮: শ্লোক-১৫ থেকে ১৯

1লেবীয় পুরোহিতগণ অর্থাৎ লেবী গোষ্ঠীর কোন লোক ইসরায়েলীদের সঙ্গে সম্পত্তির কোন অংশ বা উত্তরাধিকার পাবে না, প্রভু পরমেশ্বরের উদ্দেশে নিবেদিত হোম-নৈবেদ্যই তাদের উত্তরাধিকার, তা-ই তারা ভোগ করবে। 2স্বজাতীয়দের মধ্যে তারা সম্পত্তির অধিকার পাবে না, প্রভু পরমেশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর পৌরোহিত্যেই তাদের একমাত্র উত্তরাধিকার।
3জনসাধারণের কাছ থেক পুরোহিতদের প্রাপ্য সম্পর্কে বিধি এই: যারা গোবৎস বা মেষ বলিদান করবে তারা বলির পশুর কাঁধের অংশ, চোয়াল দুটি ও পাকস্থলী পুরোহিতকে দেবে। 4তোমরা তোমাদের উৎপন্ন শস্য, দ্রাক্ষারস তেল ও মেষলোমের প্রথম অংশ পুরোহিতকে দেবে, 5কারণ সদা সর্বদা প্রভু পরমেশ্বরের উপাসনা ও পরিচর্যা করার জন্য তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের সকল গোষ্ঠীর মধ্য থেকে লেবি ও তার বংশধরদের মনোনীত করেছেন। 6ইসরায়েলীদের সমগ্র এলাকার মধ্যে তোমাদের কোন নগরে বসবাসকারী কোন লেবীয় যদি মনের ঐকান্তিক ইচ্ছায় সেখান থেকে প্রভু পরমেশ্বরের মনোনীত পবিত্রস্থানে যায়, 7তাহলে সে তাঁর পরিচর্যাকারী অন্যান্য লেবীয় জাতিভাইদের মতই সে তার আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের পরিচর্যা করবে। 8সে নৈবেদ্যের সমান অংশ পাবে, তা ছাড়া সে তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রয়ের মূল্যও ভোগ করবে।
9তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের যে দেশ দেবেন, সেখানে উপস্থিত হয়ে তোমরা সেখানকার অধিবাসী অন্যান্য জাতিসমূহের ঘৃণ্য আচরণ অনুকরণ করবে না। 10নিজের পুত্র বা কন্যাকে যারা আগুনে আহুতি দেয় সেই শ্রেণীর লোক এবং 11মন্ত্র সাধক, গণৎকার দৈবজ্ঞ, যাদুকর, ভূতের ওঝা, গুণিন বা প্রেত সাধক ইত্যাদি শ্রেণীর কোন লোক যেন তোমাদের মধ্যে না থাকে। 12কারণ এই সমস্ত কাজ যারা করে তারা প্রভু পরমেশ্বরের ঘৃণাস্পদ। এই সব ঘৃণ্য কাজের জন্যই তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের সম্মুখ থেকে তাদের বিতাড়িত করবেন। 13তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের সেবায় একনিষ্ঠ হও। 14কারণ তোমরা যে জাতিদের অধিকারচ্যুত করবে তারা গণৎকার ও দৈবজ্ঞদের কথায় চলে কিন্তু তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের এভাবে চলার অনুমতি দেন নি।
15তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের স্বজাতীয় ভ্রাতৃবৃন্দের মধ্য থেকে আমার মতই একজন নবীর উদ্ভব ঘটাবেন, তোমরা তাঁরই কথা শুনবে। 16কারণ হোরেব পর্বতে সমাবেশের দিন তোমরা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের কাছে এই বিনতি জানিয়েছিলে, ‘আমরা আমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের কন্ঠস্বর আর শুনতে চাই না এবং এই ভীষণ অগ্নিশিখা আর দেখতে চাই না , তাহলে আমাদের মৃত্যু হবে।’ 17তখন প্রভু পরমেশ্বর আমাকে বললেন, ‘এরা ঠিক কথাই বলেছে। 18আমি এদের জন্য এদের স্বজাতীয়দের মধ্য থেকে তোমার মতই একজন প্রবক্তা নবী উৎপন্ন করব এবং তার মুখে আমার বাণী আরোপ করব। আমি তাকে যে সব নির্দেশ দেব তাই সে তাদের জানাবে। 19আর আমার নামে সে আমার যে সব কথা ঘোষণা করবে তা যে অগ্রাহ্য করবে তাকে তার কৈফিয়ৎ দিতে হবে আমার কাছে। 20আমি যে কথা বলার নির্দেশ দিই নি, আমার নামে কোন নবী যদি স্পর্ধাভরে সেই কথা বলে, কিম্বা অন্য কোন দেবতার নাম করে কেউ যদি কথা বলে, তাহলে সেই প্রবক্তা নবীর অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে। 21তোমরা মনে করতে পার, প্রভু পরমেশ্বরের নির্দেশিত বাক্য কোনটি—তা আমরা কি করে জানব? 22কোনও প্রবক্তা নবী প্রভু পরমেশ্বরের নামে কথা বললে তা যদি সফল না হয় ও সত্য প্রমাণিত না হয় তাহলেই বুঝবে যে সে কথা প্রভু পরমেশ্বরের বাক্য নয়। ঐ নবী স্পর্ধাভরেই এই কথা বলেছে, তাকে তোমরা গ্রাহ্য করবে না।

বড় বড় গোনাহ থেকে বেচে থাকলে আল্লাহ ছোট ছোট গোনাহগুলো উপেক্ষা করেন

বড় বড় গোনাহ থেকে বেচে থাকলে আল্লাহ ছোট ছোট গোনাহগুলো উপেক্ষা করেন

হোশেয় পুস্তকে অধ্যায় ১২, শ্লোক ৪

1ইসরায়েলের সমস্ত কাজই অর্থহীন, ধ্বংসই তার পরিণাম। মিথ্যাচার ও উপদ্রবের মাত্রা তারা বাড়িয়ে চলে। আসিরিয়ার সঙ্গে তারা সন্ধি করে, আবার মিশরে নিয়ে যায় তৈল সম্ভার।
2যিহুদার বিরুদ্ধে প্রভু পরমেশ্বরের অভিযোগ আছে, যাকোবের আচরণ অনুযায়ী তিনি করবেন তার দণ্ডবিধান, তাকে তিনি দেবেন তার কর্মের প্রতিফল। 3মাতৃগর্ভেই সে তার ভাইয়ের পাদমূল আকর্ষণ করেছিল, যৌবনে সে সংগ্রাম করেছিল ঈশ্বরের সঙ্গে। 4স্বর্গদূতের সঙ্গে সে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল, তাঁর অনুগ্রহ লাভের জন্য রোদন ও বিনতি করেছিল সে। বেথেলে ঈশ্বর তাকে দেখা দিয়েছিলেন, সেখানে কথা বলেছিলেন তার সঙ্গে। 5সর্বাধিপতি প্রভু তিনি, ‘ইয়াহ্‌ওয়ে’ তাঁর নাম। 6তোমাদের ঈশ্বরের করুণায় ফিরে এস তোমরা, তাঁর কাছে আনুগত্য ও ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, সর্বদা তোমরা ঈশ্বরের প্রতীক্ষায় থাক।
7যে ব্যবসায়ীর দাঁড়িপাল্লা ন্যায্য নয় যে লোককে ঠকাতে ভালবাসে, 8ঠিক তারই মত ইসরায়েল বলেছে: ‘আমি ধনী, নিজের ভোগের জন্য অর্জন করেছি সম্পদ’ কিন্তু তার সমস্ত ধনসম্পদ থাকা সত্ত্বেও সে এড়াতে পারবে না তার পাপের দায়। 9তোমরা যখন মিশরে ছিলে তখন থেকেই আমি প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের ঈশ্বর। মরুপ্রান্তরে যেমন তোমরা তাঁবুতে থাকতে তেমনি আবার আমি তোমাদের তাঁবুতে বাস করাব।
10আমি আমার বার্তা ঘোষণা করেছিলাম নবীদের কাছে, আমিই দিব্যদর্শনের বাহুল্য ঘটিয়েছিলাম, আমি আমার মনোভাব ব্যক্ত করেছি নবীদের মাধ্যমে। 11গিলিয়দে যদি অধর্ম থাকে তবে তারা অবশ্যই বিধ্বস্ত হবে। গিল্‌গলে যদি তারা বৃষ বলিদান করে তবে তাদের বেদীগুলি ক্ষেতের আলে বসান পাথরের ঢিবির মত হবে।
12যাকোব পালিয়ে গিয়েছিল অরাম দেশে, সেখানে ইসরায়েল স্ত্রীর জন্য দাসত্ব করেছিল, পত্নীলাভের জন্য গ্রহণ করেছিল মেষপালক বৃত্তি। 13প্রভু পরমেশ্বর একজন নবীর দ্বারা মিশর থেকে ইসরায়েলকে উদ্ধার করে আনলেন, নবীর সাহায্যেই প্রতিপালন করলেন তাকে।14ইসরায়েল তাঁর তীব্র ক্রোধের উদ্রেক করেছে তাই প্রভু পরমেশ্বর তার রক্তপাতের জন্য তাকেই দায়ী করবেন, তার দেওয়া অপবাদ তাকেই দেবেন ফিরিয়ে।

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...