1লেবীয় পুরোহিতগণ অর্থাৎ লেবী গোষ্ঠীর কোন লোক ইসরায়েলীদের সঙ্গে সম্পত্তির কোন অংশ বা উত্তরাধিকার পাবে না, প্রভু পরমেশ্বরের উদ্দেশে নিবেদিত হোম-নৈবেদ্যই তাদের উত্তরাধিকার, তা-ই তারা ভোগ করবে। 2স্বজাতীয়দের মধ্যে তারা সম্পত্তির অধিকার পাবে না, প্রভু পরমেশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর পৌরোহিত্যেই তাদের একমাত্র উত্তরাধিকার।
3জনসাধারণের কাছ থেক পুরোহিতদের প্রাপ্য সম্পর্কে বিধি এই: যারা গোবৎস বা মেষ বলিদান করবে তারা বলির পশুর কাঁধের অংশ, চোয়াল দুটি ও পাকস্থলী পুরোহিতকে দেবে। 4তোমরা তোমাদের উৎপন্ন শস্য, দ্রাক্ষারস তেল ও মেষলোমের প্রথম অংশ পুরোহিতকে দেবে, 5কারণ সদা সর্বদা প্রভু পরমেশ্বরের উপাসনা ও পরিচর্যা করার জন্য তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের সকল গোষ্ঠীর মধ্য থেকে লেবি ও তার বংশধরদের মনোনীত করেছেন। 6ইসরায়েলীদের সমগ্র এলাকার মধ্যে তোমাদের কোন নগরে বসবাসকারী কোন লেবীয় যদি মনের ঐকান্তিক ইচ্ছায় সেখান থেকে প্রভু পরমেশ্বরের মনোনীত পবিত্রস্থানে যায়, 7তাহলে সে তাঁর পরিচর্যাকারী অন্যান্য লেবীয় জাতিভাইদের মতই সে তার আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের পরিচর্যা করবে। 8সে নৈবেদ্যের সমান অংশ পাবে, তা ছাড়া সে তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রয়ের মূল্যও ভোগ করবে।
9তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের যে দেশ দেবেন, সেখানে উপস্থিত হয়ে তোমরা সেখানকার অধিবাসী অন্যান্য জাতিসমূহের ঘৃণ্য আচরণ অনুকরণ করবে না। 10নিজের পুত্র বা কন্যাকে যারা আগুনে আহুতি দেয় সেই শ্রেণীর লোক এবং 11মন্ত্র সাধক, গণৎকার দৈবজ্ঞ, যাদুকর, ভূতের ওঝা, গুণিন বা প্রেত সাধক ইত্যাদি শ্রেণীর কোন লোক যেন তোমাদের মধ্যে না থাকে। 12কারণ এই সমস্ত কাজ যারা করে তারা প্রভু পরমেশ্বরের ঘৃণাস্পদ। এই সব ঘৃণ্য কাজের জন্যই তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের সম্মুখ থেকে তাদের বিতাড়িত করবেন। 13তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের সেবায় একনিষ্ঠ হও। 14কারণ তোমরা যে জাতিদের অধিকারচ্যুত করবে তারা গণৎকার ও দৈবজ্ঞদের কথায় চলে কিন্তু তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের এভাবে চলার অনুমতি দেন নি।
15তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের স্বজাতীয় ভ্রাতৃবৃন্দের মধ্য থেকে আমার মতই একজন নবীর উদ্ভব ঘটাবেন, তোমরা তাঁরই কথা শুনবে। 16কারণ হোরেব পর্বতে সমাবেশের দিন তোমরা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের কাছে এই বিনতি জানিয়েছিলে, ‘আমরা আমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের কন্ঠস্বর আর শুনতে চাই না এবং এই ভীষণ অগ্নিশিখা আর দেখতে চাই না , তাহলে আমাদের মৃত্যু হবে।’ 17তখন প্রভু পরমেশ্বর আমাকে বললেন, ‘এরা ঠিক কথাই বলেছে। 18আমি এদের জন্য এদের স্বজাতীয়দের মধ্য থেকে তোমার মতই একজন প্রবক্তা নবী উৎপন্ন করব এবং তার মুখে আমার বাণী আরোপ করব। আমি তাকে যে সব নির্দেশ দেব তাই সে তাদের জানাবে। 19আর আমার নামে সে আমার যে সব কথা ঘোষণা করবে তা যে অগ্রাহ্য করবে তাকে তার কৈফিয়ৎ দিতে হবে আমার কাছে। 20আমি যে কথা বলার নির্দেশ দিই নি, আমার নামে কোন নবী যদি স্পর্ধাভরে সেই কথা বলে, কিম্বা অন্য কোন দেবতার নাম করে কেউ যদি কথা বলে, তাহলে সেই প্রবক্তা নবীর অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে। 21তোমরা মনে করতে পার, প্রভু পরমেশ্বরের নির্দেশিত বাক্য কোনটি—তা আমরা কি করে জানব? 22কোনও প্রবক্তা নবী প্রভু পরমেশ্বরের নামে কথা বললে তা যদি সফল না হয় ও সত্য প্রমাণিত না হয় তাহলেই বুঝবে যে সে কথা প্রভু পরমেশ্বরের বাক্য নয়। ঐ নবী স্পর্ধাভরেই এই কথা বলেছে, তাকে তোমরা গ্রাহ্য করবে না।
No comments:
Post a Comment