দ্বিতীয় বিবরণ পুস্তকের ৩৩ অধ্যায়ের ২ ও ৩ শ্লোক

1মৃত্যুর পূর্বে ঈশ্বরভক্ত মোশি ইসরায়েলীদের উদ্দেশে এই আশীর্বাণী উচ্চারণ করলেনঃ
2সিনাই পাহাড়ে হল প্রভুর আগমন,
সেয়ীরে তিনি উদিত হলেন আমাদের মাঝে
পারাণ পর্বতে তিনি প্রকাশ করলেন নিজেকে।
অগণিত পবিত্র বাহিনী
ছিল তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর দক্ষিণপার্শ্বে দীপ্যমান।
3তিনি সত্যই ভালবাসেন তাঁর প্রজাদের
তাঁর উদ্দেশে যারা পবিত্রীকৃত তাদের তিনি
করেন আশীর্বাদ।
তাই এস আমরা তাঁর চরণে প্রণত হই,
গ্রহণ করি তাঁর উপদেশ।
4যাকোবকুলের উত্তরাধিকার স্বরূপ যখন
মোশি আমাদের দিলেন বিধি বিধান,
5তখন জনতার নেতৃবৃন্দ সমবেত হল,
ইসরায়েলের সকল গোষ্ঠী হল একত্র
আর প্রভু হলেন যিশুরূণের রাজা
6মোশি বললেনঃ
বেঁচে থাক রূবেণ, সংখ্যায় অল্প হলেও
তার বংশ যেন লোপ না পায়।
7যিহুদা সম্পর্কে তিনি বললেনঃ
হে প্রভু পরমেশ্বর, যিহুদার আবেদন শোন,
তাকে নিয়ে এস তার স্বজনদের কাছে,
তুমি স্বয়ং তার পক্ষে কর সংগ্রাম,
শত্রুদের বিরুদ্ধে তুমিই হও তার সহায়।
8লেবি সম্পর্কে তিনি বললেনঃ
তোমার এই ভক্তদাসের কাছে রয়েছে
তোমার থুমিম ও উরীম
মাস্‌সাতে যাকে তুমি পরীক্ষা করে দেখেছ,
মরিবার জলকুণ্ডের কাছে যাব সঙ্গে
করেছ বিতর্ক।
9সে নিজের পিতামাতার সম্বন্ধে বলেছিল,
‘আমি তাদের মানি না।’
নিজের ভাইদের সে করেনি স্বীকার,
আপন সন্তানদেরও করেছে উপেক্ষা
কারণ এরা পালন করেছে তোমার বাক্য,
রক্ষা করেছে তোমার সঙ্গে সম্বন্ধের শর্ত।
10এরাই শিখাবে যাকোবকে তোমার অনুশাসন,
ইসরায়েলকে শিখাবে তোমার বিধান।
এরা তোমার সম্মুখে জ্বালবে ধূপ,
তোমার বেদীতে প্রদান করবে আহুতি।
11হে প্রভু পরমেশ্বর,
তার ক্ষমতাকে কর আশিস্‌পুত,
গ্রাহ্য কর তার হস্তকৃত কর্ম,
যারা তার বিরোধী, কটিদেশ চূর্ণ কর তাদের
যেন তার বিদ্বেষীরা আর উঠে দাঁড়াতে না পারে।
12বিন্যামীন সম্পর্কে তিনি বললেনঃ
প্রভু পরমেশ্বরের প্রিয়পাত্র সে,
তাঁরই উপর নির্ভর করে সে
নিরাপদে বাস করবে,
তিনি তাকে ঘিরে রাখেন সারাক্ষণ
তাঁর বক্ষই তার আশ্রয়স্থল।
13যোষেফ সম্পর্কে তিনি বললেনঃ
তার দেশকে প্রভু পরমেশ্বর করুন আশীর্বাদ
আকাশের বর্ষণ ও ভূতলের জলরাশি দিয়ে,
14সুপক্ক সুস্বাদু ফলের সম্ভারে
আর সকল ঋতুর উৎকৃষ্ট ফসলে,
15সুপ্রাচীন পর্বতসমূহের সর্বোৎকৃষ্ট উৎপাদনে
ও চিরস্থায়ী গিরিশ্রেণীর শ্রেষ্ঠ সম্ভারে
16পৃথিবীর উত্তম দ্রব্যসামগ্রী ও
তার প্রাচুর্যের দ্বারা,
জ্বলন্ত গুল্মের অন্তরালে থাকেন যিনি
তাঁরই অনুগ্রহের দ্বারা।
এই সমস্ত আশিস্‌ বর্ষিত হোক
যোষেফের শিরে,
ভ্রাতাদের মধ্যে যে ছিল শ্রেষ্ঠ, নেতৃস্থানীয়
তারই ললাটে।
17প্রথম গর্ভজাত বৃষের মতই তেজস্বী সে,
বন্যবৃষের শৃঙ্গের মত তার শৃঙ্গযুগল,
তার দ্বারা সর্বজাতিকে সে
পৃথিবীর প্রান্তসীমা পর্যন্ত করবে বিতাড়িত।
ইফ্রয়িম ও মনঃশি গোষ্ঠীর
অযুত সহস্র জনগণই সেই শৃঙ্গযুগল।
18সবুলুন সম্পর্কে তিনি বললেনঃ
সবুলুন! উল্লাস কর অভিযান কালে
ইষাখর আনন্দ করে নিজের শিবিরে,
19এরা এদের শৈল শিখরে আহ্বান করবে জাতিবৃন্দকে
সেখানে তারা উৎসর্গ করবে যথাসঙ্গত বলি।
কারণ তারা সমুদ্রের অতুল ঐশ্বর্য,
মরুভূমির গুপ্ত সম্পদ করবে আহরণ।
20গাদ সম্পর্কে তিনি বললেনঃ
গাদ তার বিস্তীর্ণ এলাকায় হোক আশীর্বাদযুক্ত,
সিংহের মত ওৎ পেতে থাকে গাদ
সে বিদীর্ণ করে বাহু ও শির,
21নিজের জন্য শ্রেষ্ঠাংশ বেছে নিয়েছে সে,
নায়কের অধিকার তার জন্য নির্দিষ্ট
হয়েছিল সেখানে।
জননায়কদের সমাবেশে সে
প্রভু পরমেশ্বরের দৃষ্টিতে যা ন্যায্য
তাই করেছিল, পালন করেছিল
ইসরায়েলীদের জন্য নির্দিষ্ট তাঁর অনুশাসন।

The unveiling of Arabia. R.H.Kirnan, London, 1937, p 229-233

 আহক্বাফ: অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা দেখে কেউ কল্পনা করতে পারে না যে, এক সময় এখানে জাঁকালো সভ্যতার অধিকারী একটি শক্তিশালী জাতি বাস করতো। সম্ভবত হাজার হাজার বছর পূর্বে এটা এক উর্বর অঞ্চল ছিল। পরে আবহাওয়ার পরিবর্তন একে মরুভুমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে এই এলাকার একটি বিশাল মরুভূমি, যার আভ্যন্তরীণ এলাকায় যাওয়ার সাহসও কারো নেই। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে ব্যাভেরিয়ার একজন সৈনিক এর দক্ষিণ প্রান্ত সীমায় পৌঁছেছিলো। তার বক্তব্য হলোঃ যদি হাদ্রামাউতের উত্তরাঞ্চলের উচ্চ ভূমিতে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, তাহলে বিশাল এই মরুপ্রান্তর এক হাজার ফুট নীচুতে দৃষ্টিগোচর হয়। এখানে মাঝে মাঝে এমন সাদা ভূমিখণ্ড যেখানে কোন বস্তু পতিত হলে তা বালুকা রাশির নীচে তলিয়ে যেতে থাকে এবং একেবারে পচে খসে যায়। আরব বেদুইনরা এ অঞ্চলকে ভীষণ ভয় করে এবং কোন কিছুর বিনিময়েই সেখানে যেতে রাজি হয় না। এক পর্যায়ে বেদুইনরা তাকে সেখানে নিয়ে যেতে রাজি না হলে সে একাই সেখানে চলে যায়। তার বর্ণনা অনুসারে এখানকার বালু একেবারে মিহিন পাউডারের মত। সে দূর থেকে তার মধ্যে একটি দোলক নিক্ষেপ করলে ৫ মিনিটের মধ্যেই তা তলিয়ে যায় এবং যে রশির সাথে তা বাধাঁ ছিল তার প্রান্ত গলে যায়। ( tafheemul quran : Ahqaf, tika-25 )

The unveiling of Arabia. R.H.Kirnan, London, 1937 :

Yet in 1843 Adolf von Wrede, a Bavarian soldier who had 
lived for some time in Egypt, carried out a truly courageous 
exploration, penetrating from the sea to the edge of the Great 
Southern Desert. .............
His next excursion was to the north-west, where he reached 
the Wadi Amd after two days of difficult travel, and found it 
similar to the Wadi Duwan in its form and settlements. He 
followed it to the junction with Wadi Duwan, at Haura, and 
then bore to the west again across a high tableland beyond 
which in four days he reached Shabwa, on the Wadi Rasha. 
This valley was not so populous as the two others and was 
partly filled with sand. Here he ascertained that he was but 
a day’s journey from the desert of El Ahkaf, really the South- 
western Rub’ al Khali, where of old an entire army, lost on the 
march, was said to have perished. 

Von Wreae reached the borders of the desert in a six-hour 
journey from Shabwa, and found it to be about 1000 feet 
below the level of the high land. He had been told that the 
desert was full of “ white spots,” in which anything which 
happened to fall would sink and perish. The view over the 
grea* unknown Southern Desert struck him with melancholy 
and astonishment: 

Conceive an immense sandy plain stiewn with numberless 
undulating hills, which gave it the appearance of a moving sea. 
Not a single bird interrupts with its note the calm of death, which 
rests upon this tomb of the Sabaean army. I clearly perceived 
three spots of dazzling whiteness, the position and distance of 
which I measured geometrically. “That is Bahr es Saffi,” said 
my guide to me; “ghosts inhabit those precipices, and have 
covered with treacherous sand the treasures which are committed 
to their care; every one who approaches near them is carried 
down; therefore do not go.” I, of course, paid no attention to 
their warnings, but requested to be led to those spots in accord- 

208 




Reser\ oirs for \\ ater may be seen m the foreground. 

From “ The Southern Gates of Arabia by Freya Stark, by permission of the author 



Wadi Hadhramaut, looking North-east of Terim 

Royal Air Force official photograph. Crown copyright reserved 209 


EXPLORERS IN OMAN AND HADHRAMAUT 

ance with the agreement I had made with my Bedouins. It took 
my camels full 2 hours* walk before we reached the foot of the 
high plateau, where we halted at sunset in the vicinity of two v 
enormous rocky blocks. On the following morning I summoned 
the Bedouins to accompany me to the places alluded to above, 
but they were not to be induced ; and the dread of ghosts had 
obtained such complete mastery over them that they scarcely 
ventured to speak ; I was therefore determined to go alone, and, 
taking with me a plummet of \ a kilo’s weight and a cord of 60 
fathoms, I started on my perilous march. In 36 minutes I reached, 
during a complete lull of the wind, the northern and nearest spot, 
which is about 30 minutes long and 26 minutes broad, and which 
towards the middle takes by degrees a sloping form of 6 feet in 
depth, probably from the action of the wind. With the greatest 
caution I approached the border to examine the sand, which I 
found almost an impalpable powder; I then threw the plumb- 
line as far as possible ; it sank instantly, the velocity diminishing, 
and in 5 minutes the end of the cord had disappeared in the all- 
devouring tomb. I will not hazard an opinion of my own, but 
refer the phenomenon to the learned, who may be able to explain 
it, and restrict myself to having related the facts. 

A four days 5 march from Shabwa saw him back at Khu^aiba, 
whence after a short rest among friends he resolved to set out 
for Kabr Hud, the shrine of the Prophet Hud, a place which he 
believed to be of historical and geological interest. Two of the 
Khuraiban chief’s sons and another companion travelled with 
him, and in two days they arrived at Sif, where a great crowd 
was assembled to celebrate the feast of a revered sheikh who 
was buried in the neighbourhood. Sif marked the end of von 
Wrede’s exploration. 

As soon as I had arrived among the crowd they all at once fell 
upon me, dragged me from my camel, and disarmed me ; using 
me very roughly, they tied my hands behind my back and carried 
me, with my face covered with blood and dust, before the reigning 
Sultan, Mohammed Abdalla ibn ben Issa Achmudi. The whole 
of my captors raised a horrible cry and declared me to be an 
English spy exploring the country, and demanded my instantly 
being put to death. The Sultan being afraid of the Bedouins, on 
whom he, like all Sultans of the wadi , is dependent, was about to 
give orders for my execution, when my guides and protectors came 
in haste and quieted the Bedouins’ minds by means of the moral 
influence they had over them. In the meantime I remained con- 
fined to my room with my feet in fetters. I was imprisoned for 3 
days, but provided with every necessary ; on the evening of the 
o 209 
(To support us please click on Ads by Google on this page) 

নন্দিত জাতি নিন্দিত গন্তব্যে - দেলোয়ার হোসেন সাঈদি






বইটির ডাউনলোড  লিংক: 




( Attention : To Support Us,
please Click  Ads by Google on
this Blog   site and On this page
. Right Side and Lower
side Of this Window. )

Arabia and the Isles, Harol Ingram, London, 1942, 1943, 1946, p-213, 214

ইবনে ইসহাকের বর্ণনা অনুসারে আদ কওমের আবাস ভূমি ওমান থেকে ইয়ামান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আর কুরআন মজীদ আমাদের বলছে, তাদের আদি বাসস্থান ছিল আল-আহক্বায। এখান থেকে বেরিয়ে তারা আশেপাশের দেশসমূহে ছড়িয়ে পড়েছিলো এবং দুর্বল জাতিসমূহকে গ্রাস করে ফেলেছিলো। বর্তমান কাল পর্যন্তও দক্ষিণ আরবের অধিবাসীদের মধ্যে একথা ছড়িয়ে আছে যে, এ এলাকাই ছিল আদ জাতির আবাস ভূমি। বর্তমানে “মুকাল্লা” শহর থেকে উত্তর দিকে ১২৫ মাইল দূরত্বে হাদ্রামাউতের একটি স্থানে লোকেরা হযরত হুদের (আ) মাযার তৈরী করে রেখেছে। সেটি হূদের কবর নামেই বিখ্যাত। প্রতি বছর ১৫ই শা’বান সেখানে ‘উরস’ হয়। আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার লোক সেখানে সমবেত হয়। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এ কবরটি হূদের কবর হিসেবে প্রমাণিত নয়। কিন্তু সেখানে তা নির্মাণ করা এবং দক্ষিণ আরবের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কম করে হলেও এতটুকু অবশ্যই প্রমাণ করে যে, আঞ্চলিক ঐতিহ্য এই এলাকাকেই আদ জাতির এলাকা বলে চিহ্নিত করে। এছাড়া হাদ্রামাউতে এমন কতিপয় ধ্বংসাবশেষ (Ruins) আছে যেগুলোকে আজ পর্যন্ত স্থানীয় অধিবাসীরা আবাসভূমি বলে আখ্যায়িত করে থাকে।
 -Arabia and the Isles, Harol Ingram, London, 1942, 1943, 1946, p-213, 214

link

THE TOMB OB HUD IN THE VALLEY OF THE FLOODS 



an air of complete peace and calm pervaded the whole place. There was 
that feeling of reverence and devout worship which hangs like an aura 
around almost every sacred shrine. This was even more apparent when 
we had climbed the rough white-washed slope, which half-way up divides 
into two, one going right and the other left, and came to the dome itself. 
The tomb extends up the hill-side at the back of the dome : its total length 
is about ninety feet. 

The dome covers the rough unhewn natural rock of the mountain in 
which is a great cleft. This, it is said, is the place into which the prophet 
disappeared. The mountain never completely closed after him, and now 
while the surrounding rock is heavily white-washed the cleft itself is left 
untouched. Untouched that is to say by paint, but it is worn smooth by 
countless reverent hands and hps. It was this, perhaps, with the quiet of 
the fine December morning brooding over the spot, which called back 
to my mind other ancient fanes where the knees of generations of worshippers 
have worn away the stones. 

It was not easy to turn one's mind to a practical exaniination of the 
tomb and its surroundings. Thousands of minute pieces of chewed-up 
coloured rag or string stuck to the walls and roof of the cupola attracted our. 
attention, and on the grave itself, extending out of the cupok up the 
mountain, there were numbers of small stones tied round with pieces of 
rag and suspended from pegs driven into the masonry. 

Hud is generally thought to be the patriarch Eber of Genesis and in 
Muslim theology was the prophet of the giant race of 'Ad. He it was who 
reproved the haughty Sheddad and warned the 'Adites of their end, after 
which they were consumed by the devastating wind of the desert. I have 
not been able to find any reference to the end of Hud in the historians, but 
legend has it that he was pursued by two infidel horsemen into the gully 
where his tomb now is. Being hard pressed he reached the rock and said: 
"Open by me permission of God." The rock opened wide. He entered 
in and the stone closed on him, but it did not close entirely. His she-camel 
which he couched near-by was turned to stone. 1 

The pilgrimage to the tomb of Hud takes place on 15th Sha'ban and the 

1 Qabr Hud, like Qabr Salih and other giants' tombs, was probably a sanctuary 
of the old religion, and it is said'that when Seiyid Ahmed bin Tsa al Mohajir came 
to the Hadhiamaut he searched and made enquiries everywhere for the tomb of Hud. 
At length one Sheikh Ba 'Abbad, a caravan Muqaddam of Rahia who knew the 
whole country, offered to show him the grave, but in true Hadhrami style demanded 

(For completion, of footnote see page opposite.} 



PILGRIMAGE TO THE TOMB 



town of Qabr Hud is only inhabited for three days in the year. The first 
act of the pilgrims after arriving and finding their quarters is to go down to 
the river and wash and pray. Then they return to their houses and after 
food go out to look at the beduin dances. The fair at which animals, 
clothing and butter are sold, lasts until sunset and the pilgrims may, if they so 
wish, do business until this time. 

The next day they rise early and going down to the river pray the Fajr 
beside the water. The ceremonies of the visitation take place during the 
day. Again by the water-side the pilgrim says : "Verily it is a river of the 
rivers of Paradise." He then performs the ablutions and prays under the 
leadership of the Mansab, Sheikh 'Umar al Mihdhar. Then he tells his 
beads and praises and glorifies, and magnifies, advancing the while to the 
empty well where he stays a short time. Here he says "Peace be on the 
Prophet of God, peace be on the Apostle of God, peace be on the Beloved of 
God." This is followed by the invocation of the peace on all the prophets 
of importance, the four perfect women, the archangels and the gardener 
of Paradise. 

The pilgrim then prays that out of regard for the prophet Hud, the 
Prophet Muhammad and others, God will accept his endeavours, be pleased 
with his deeds, redouble his rewards, forgive him his sins, strengthen his 
weakness with the protection of faith, raise up his abode and make His 
pleasure his hope and Paradise his object and goal, that God will keep his 
record in His right hand, make his deeds good, accept the good deeds of his 
benefactors and forgive them who sin against him. 

Then the pilgrim climbs to the holy tomb where Seiyid 'Alawi bin 
Ahmed al Haddad prays on his behalf. The prayers are further inter- 
cessions by the virtue of Hud and the other prophets, and are followed by 
the reading of the Chapter of Hud and a reading from the KawaHb of 
Ahmed bin 'Umar al Hinduan. 

how much he would be paid. Burton remarks in a footnote to his Arabian Nights 
"the people are the Swiss of Arabia and noted for thrift and hard bargains; hence 
the saying 'If you meet a serpent and a Hazrami, slay die Hazrami.'" The Seiyid 
and his companions replied that they would -give him the tithes of the wadis. He 
led them to the spot and Seiyid Ahmed bin 'Isa after examination was convinced 
that the prophet was buried there. A cupola was built over the grave with stairs 
leading up to it and a mosque near-by for prayers. Sheikh Ba 'Abbad became the 
guardian of the tomb and his descendants hold the office to this day. It is only 
tins cupola that is' old; the other buildings and the magnificent flight! of stairs are 
comparatively new and are due to the benefaction of the Al Kaf family. 

যাত্রা পুস্তক ১০

যাত্রা পুস্তক ১০

অষ্টম ও নবম আঘাত
1পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি ফরৌণের নিকটে যাও; কেননা আমি তাহার ও তাহার দাসগণের হৃদয় কঠিন করিলাম, যেন আমি তাহাদের মধ্যে আমার এই সকল চিহ্ন প্রদর্শন করি, 2এবং আমি মিসরীয়দের প্রতি যাহা যাহা করিয়াছি, ও তাহাদের মধ্যে আমার যে যে চিহ্ন-কার্য করিয়াছি, তাহার বৃত্তান্ত যেন তুমি আপন পুত্রের ও পৌত্রের কর্ণগোচরে বল, এবং আমি যে সদাপ্রভু, ইহা তোমরা জ্ঞাত হও। 3তখন মোশি ও হারোণ ফরৌণের নিকটে গিয়া কহিলেন, সদাপ্রভু, ইব্রীয়দের ঈশ্বর, এই কথা কহেন, তুমি আমার সম্মুখে নম্র হইতে কত কাল অসম্মত থাকিবে? আমার সেবা করণার্থে আমার প্রজাদিগকে ছাড়িয়া দেও। 4কিন্তু যদি আমার প্রজাদিগকে ছাড়িয়া দিতে অসম্মত হও, তবে দেখ, আমি কল্য তোমার সীমাতে পঙ্গপাল আনিব, 5তাহারা ভূতল এমন আচ্ছন্ন করিবে যে, কেহ ভূমি দেখিতে পাইবে না; আর শিলাবৃষ্টি হইতে রক্ষিত ও অবশিষ্ট তোমাদের যাহা কিছু আছে, তাহা তাহারা খাইয়া ফেলিবে, এবং ক্ষেত্রোৎপন্ন তোমাদের বৃক্ষ সকলও খাইবে। 6আর তোমার গৃহ ও তোমার সমস্ত দাসের গৃহ ও সমস্ত মিসরীয় লোকের গৃহ সকল পরিপূর্ণ হইবে; পৃথিবীতে তোমার পিতৃপুরুষদের ও তাহাদের পিতৃপুরুষদের জন্মাবধি অদ্য পর্যন্ত কখনও তদ্রূপ দেখা যায় নাই। তখন তিনি মুখ ফিরাইয়া ফরৌণের নিকট হইতে বাহিরে গেলেন।
7তখন ফরৌণের দাসগণ তাঁহাকে কহিল, এই ব্যক্তি কত কাল আমাদের ফাঁদ হইয়া থাকিবে? এই লোকদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করণার্থে ইহাদিগকে ছাড়িয়া দিউন; আপনি কি এখনও বুঝিতেছেন না যে, মিসর দেশ ছারখার হইল? 8তখন মোশি ও হারোণ ফরৌণের নিকটে পুনর্বার আনীত হইলেন; আর তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, যাও, তোমরা গিয়া তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর; কিন্তু কে কে যাইবে? 9মোশি কহিলেন, আমরা আমাদের শিশু ও বৃদ্ধদিগকে, আমাদের পুত্রকন্যাগণকে এবং গোমেষাদির পালও সঙ্গে লইয়া যাইব, কেননা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আমাদের উৎসব করিতে হইবে। 10তখন ফরৌণ তাঁহাদিগকে কহিলেন, সদাপ্রভু তোমাদের সেইরূপ সহবর্তী হউন, যেরূপ আমি তোমাদিগকে ও তোমাদের শিশুগণকে ছাড়িয়া দিব; দেখ, অনিষ্ট তোমাদের সম্মুখে। 11তাহা হইবে না; তোমাদের পুরুষেরা গিয়া সদাপ্রভুর সেবা করুক; কারণ তোমরা ত ইহাই চাহিতেছ। পরে তাঁহারা ফরৌণের সম্মুখ হইতে দূরীকৃত হইলেন।
12পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি মিসর দেশের উপরে পঙ্গপালের জন্য হস্ত বিস্তার কর, তাহাতে তাহারা মিসর দেশে আসিয়া ভূমির সমস্ত ওষধি খাইবে, শিলাবৃষ্টি যাহা কিছু রাখিয়া গিয়াছে, সকলই খাইবে। 13তখন মোশি মিসর দেশের উপরে আপন যষ্টি বিস্তার করিলেন, তাহাতে সদাপ্রভু সমস্ত দিন ও সমস্ত রাত্রি দেশে পূর্বীয় বায়ু বহাইলেন, আর প্রাতঃকাল হইলে পূর্বীয় বায়ু পঙ্গপাল উঠাইয়া আনিল। 14তাহাতে সমস্ত মিসর দেশের উপরে পঙ্গপাল ব্যাপ্ত হইল, ও মিসরের সমস্ত সীমাতে পঙ্গপাল ছড়াইয়া পড়িল। তাহা অত্যন্ত ভয়ানক হইল; তদ্রূপ পঙ্গপাল পূর্বে কখনও হয় নাই, এবং পরেও কখনও হইবে না। 15তাহারা সমস্ত ভূমিতল আচ্ছন্ন করিল, তাহাতে দেশ অন্ধকার হইল, এবং ভূমির যে ওষধি ও বৃক্ষাদির যে ফল শিলাবৃষ্টি হইতে রক্ষা পাইয়াছিল, সেই সমস্ত তাহারা খাইয়া ফেলিল; সমস্ত মিসর দেশে বৃক্ষ বা ক্ষেত্রের ওষধি, হরিদ্বর্ণ কিছুই রহিল না।
16তখন ফরৌণ সত্বর মোশি ও হারোণকে ডাকাইয়া কহিলেন, আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে ও তোমাদের বিরুদ্ধে পাপ করিয়াছি। 17বিনয় করি, কেবল এইবার আমার পাপ ক্ষমা কর, এবং আমা হইতে এই কালস্বরূপকে দূর করিবার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে বিনতি কর। 18তখন তিনি ফরৌণের নিকট হইতে বাহিরে গিয়া সদাপ্রভুর নিকটে বিনতি করিলেন; 19আর সদাপ্রভু অতি প্রবল পশ্চিম বায়ু আনিলেন, তাহা পঙ্গপালদিগকে উঠাইয়া লইয়া সূফসাগরে তাড়াইয়া দিল, তাহাতে মিসরের সমস্ত সীমাতে একটাও পঙ্গপাল থাকিল না। 20কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করিলেন, আর তিনি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে ছাড়িয়া দিলেন না।
21পরে সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি আকাশের দিকে হস্ত বিস্তার কর; তাহাতে মিসর দেশে অন্ধকার হইবে, ও সেই অন্ধকার স্পর্শনীয় হইবে। 22পরে মোশি আকাশের দিকে হস্ত বিস্তার করিলে তিন দিন পর্যন্ত সমস্ত মিসর দেশে গাঢ় অন্ধকার হইল। 23তিন দিন পর্যন্ত কেহ কাহারও মুখ দেখিতে পাইল না, এবং কেহ আপন স্থান হইতে উঠিল না; কিন্তু ইস্রায়েল-সন্তান সকলের নিমিত্তে তাহাদের বাসস্থানে আলো ছিল।
24তখন ফরৌণ মোশিকে ডাকাইয়া কহিলেন, যাও, তোমরা গিয়া সদাপ্রভুর সেবা কর; কেবল তোমাদের মেষপাল ও গরুর পাল থাকুক; তোমাদের শিশুগণও তোমাদের সঙ্গে যাউক। 25মোশি কহিলেন, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করণার্থে আমাদের হস্তে বলি ও হোমদ্রব্য সমর্পণ করা আপনার কর্তব্য। 26আমাদের সহিত আমাদের পশুগণও যাইবে, একটি খুরও অবশিষ্ট থাকিবে না; কেননা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবার্থে তাহাদের মধ্য হইতে বলি লইতে হইবে, এবং কি কি দিয়া সদাপ্রভুর সেবা করিব, তাহা সেই স্থানে উপস্থিত না হইলে আমরা জানিতে পারি না। 27কিন্তু সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করিলেন, আর তিনি তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিতে সম্মত হইলেন না। 28তখন ফরৌণ তাঁহাকে কহিলেন, আমার সম্মুখ হইতে দূর হও, সাবধান, আমার মুখ আর কখনও দেখিও না; কেননা যে দিন আমার মুখ দেখিবে, সেই দিন মরিবে। 29মোশি কহিলেন, ভালই বলিয়াছেন, আমি আপনার মুখ আর কখনও দেখিব না।

২৭ নং সুরা নমল এর ৪৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যা

মাওলানা মওদুদী রাহ: এর বক্তব্য :

২৭ নং সুরা নমল এর ৪৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন :


[[টিকা:৫৬) হযরত সুলাইমান (আ) ও সাবার রাণীর এ কাহিনী বাইবেলের পুরাতন ও নতুন নিয়মে এবং ইহুদী বর্ণনাবলীতে সব জায়গায় বিভিন্ন ভংগীতে এসেছে। কিন্তু কুরআনের বর্ণনা এদের সবার থেকে আলাদা। পুরাতন নিয়মে এ কাহিনী এভাবে বর্ণিত হয়েছে- “আর শিবার রাণী সদাপ্রভুর নামের পক্ষে শলোমনের কীর্তি শুনিয়া গূঢ়বাক্য দ্বারা তাঁহার পরীক্ষা করিতে আসিলেন। তিনি অতি বিপুল ঐশ্বর্যসহ, সুগন্ধি দ্রব্য, অতি বিস্তর স্বর্ণ ও মণিবাহক উষ্ট্রগণ সঙ্গে লইয়া যিরুশালেমে আসিলেন এবং শলোমনের নিকটে আসিয়া নিজের মনে যাহা ছিল, তাঁহাকে সমস্তই কহিলেন। আর শলোমন তাঁহার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করিলেন;................ এই প্রকারে শিবার রাণী শলোমনের সমস্ত জ্ঞান ও তাঁহার নির্মিত গৃহ এবং তাঁহার মেজের খাদ্য দ্রব্য ও তাঁহার সেবকদের উপবেশন ও দণ্ডায়মান পরিচারকদের শ্রেণী ও তাহাদের পরিচ্ছদ এবং তাঁহার পানপাত্র বাহকগণ ও সদাপ্রভুর গৃহে উঠিবার জন্য তাঁহার নির্মিত সোপান, এই সকল দেখিয়া হতজ্ঞান হইলেন। আর তিনি রাজাকে কহিলেন, আমি আপন দেশে থাকিয়া আপনার বাক্য ও জ্ঞানের বিষয় যে কথা শুনিয়াছিলাম, তাহা সত্য। কিন্তু আমি যাবৎ আসিয়া স্বচক্ষে না দেখিলাম, তাবৎ সেই কথায় আমার বিশ্বাস হয় নাই; আর দেখুন, অর্ধেকও আমাকে বলা হয় নাই; আমি যে খ্যাতি শুনিয়াছিলাম, তাহা হইতেও আপনার জ্ঞান ও মঙ্গল অধিক। ধন্য আপনার লোকেরা, ধন্য আপনার এই দাসেরা, যাহারা প্রতিনিয়ত আপনার সম্মুখে দাঁড়ায়, যাহারা আপনার জ্ঞানের উক্তি শুনে। ধন্য আপনার ইশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আপনাকে ইসরাঈলের সিংহাসনে বসাইবার জন্য আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়াছেন.............পরে তিনি বাদশাহকে একশত বিশ তালন্ত স্বর্ণ ও অতি প্রচুর সুগন্ধি দ্রব্য ও মণি উপঢৌকন দিলেন, শিবার রাণী শলোমন রাজাকে যত সুগন্ধি দ্রব্য দিলেন, তত প্রচুর সুগন্ধি দ্রব্য আর কখনো আসে নাই। .........আর শলোমন রাজা শিবার রাণীর বাসনা অনুসারে তাঁহার যাবতীয় বাঞ্ছিত দ্রব্য দিলেন, তাহা ছাড়া শলোমন আপন রাজকীয় দানশীলতা অনুসারে তাঁহাকে আরও দিলেন। পরে তিনি ও তাঁহার দাসগণ স্বদেশে ফিরিয়া গেলেন।” ( ১-রাজাবলী ১০: ১-১৩ প্রায় একই বিষয়বস্তু সম্বলিত কথা ২-বংশাবলী ৯: ১-১২ তেও এসেছে। ) নতুন নিয়মে হযরত ঈসার ভাষণের শুধুমাত্র একটি বাক্য সাবার রাণী সম্পর্কে উদ্ধৃত হয়েছেঃ “দক্ষিণ দেশের রাণী বিচারে এই কালের লোকদের সহিত উঠিয়া ইহাদিগকে দোষী করিবেন; কেননা শলোমনের জ্ঞানের কথা শুনিবার জন্য তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে আসিয়াছিলেন, আর দেখ শলোমন হইতে মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।” (মথি ১২: ৪২ এবং লুক ১১: ৩১) ইহুদী রব্বীরা হযরত সুলাইমান ও সাবার রাণীর যে কাহিনী বর্ণনা করেছেন তার বেশীর ভাগ বিস্তারিত বিবরণ কুরআনের সাথে মিলে যায়। হুদহুদ পাখির অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, তারপর ফিরে এসে তার সাবার রাণীর অবস্থা বর্ণনা করা, তার মাধ্যমে হযরত সুলাইমানের পত্র পাঠানো, হুদহুদের পত্রটি ঠিক তখনই রাণীর সামনে ফেলে দেয়া যখন তিনি সূর্য পূজা করতে যাচ্ছিলেন, পত্রটি দেখে রাণীর মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠান করা, তারপর রাণীর একটি মূল্যবান উপঢৌকন সুলাইমানের কাছে পাঠানো, নিজে জেরুসালেমে এসে তাঁর সাথে সাক্ষাত করা, সুলাইমানের মহলে এসে বাদশাহ জলাধারের মধ্যে বসে আছেন বলে মনে করা এবং তাতে নেমে পড়ার জন্য নিজের পরণের কাপড় হাঁটুর কাছে উঠিয়ে নেয়া---এসব সে বর্ণনাগুলোতে কুরআনে যেমনি আছে ঠিক তেমনিভাবে উদ্ধৃত হয়েছে। কিন্তু এ উপঢৌকন লাভ করার পর হযরত সুলাইমানের জবাব, রাণীর সিংহাসন উঠিয়ে আনা, প্রত্যেকটি ঘটনায় তাঁর আল্লাহর সামনে মাথা নত করা এবং সবশেষে তাঁর হাতে রাণীর ঈমান আনা-এসব কথা এমনকি আল্লাহর আনুগত্য ও তাওহীদের সমস্ত কথাই এ বর্ণনাগুলোতে অনুপস্থিত। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এই জালেমরা হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে, তিনি সাবার রাণীর সাথে নাউযুবিল্লাহ ব্যভিচার করেন। আর এর ফলে যে জারজ সন্তানটি জন্মলাভ করে সে-ই হয় পরবর্তীকালে বাইতুল মাকদিস ধ্বংসকারী ব্যবিলনের বাদশাহ বখতে নাসসার। (জুয়িশ ইনসাইক্লোপিডিয়া, ১১শ খণ্ড, ৪৪৩ পৃষ্ঠা) আসল ব্যাপার হচ্ছে, ইহুদী আলেমদের একটি দল হযরত সুলাইমানের কঠোর বিরোধী ছিল। তারা তাঁর বিরুদ্ধে তাওরাতের বিরুদ্ধাচরণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় আত্মম্ভরিতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অহংকার, নারী আসক্তি, বিলাসী জীবন যাপন এবং শিরক ও মূর্তিপূজার জঘন্য অভিযোগ এনেছেন। (জুয়িশ ইনসাইক্লোপিডিয়া, ১১শ খণ্ড ৪৩৯-৪৪১ পৃষ্ঠা) এ প্রচারনার প্রভাবে বাইবেল তাঁকে নবীর পরিবর্তে নিছক একজন বাদশাহ হিসেবেই উল্লেখ করেছে। আবার বাদশাহও এমন যিনি নাউযুবিল্লাহ আল্লাহর হুকুমের বরখেলাফ করে মুশরিক মেয়েদের প্রেমে মত্ত হয়ে গেছেন। যাঁর অন্তর আল্লাহ‌ বিমুখ হয়ে গেছে এবং যিনি আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য মাবুদদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন। (১ রাজাবলী ১১: ১-১১) এসব দেখে বুঝা যায় কুরআন বনী ইসরাঈলদের প্রতি কত বড় অনুগ্রহ করেছে। নিজেদের জাতীয় মনীষীদের জীবন ও চরিত্রকে তারা নিজেরাই কলূষিত করেছে এবং কুরআন সেই কলূষ কালিমা ধূয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে। অথচ এ বনী ইসরাঈল কতই অকৃতজ্ঞ জাতি, এরপরও তারা কুরআন ও তার বাহককে নিজেদের সবচেয়ে বড় দুশমন মনে করে।]]

ইনসাইক্লোপেডিয়া অব ইসলাম

Encyclopaedia of Islam :
=====================================

"MUSA":
7th Zuj, Original Book page : 638, 639, 640,  pdf page : 692
======================================



MUSA, the name in Arabic for the Biblical prophet
Moses.

1. In the Kurgan. Here, Musa is considered as the
precursor of, the model for, and the annunciator of
Muhammad (VII, 156). The two prophets share the
same belief (XLIII, 11). Musa is also conceived in
Muhammad's image. Charges are brought against
him similar to those made against Muhammad and he
is said to want to pervert people from the faith of their
fathers (X, 79); he practises magic (XXVIII, 18).
Musa and Harun seem rather to be sent to the stubborn
Pharaoh [see FIRCAWN] than to the believing
Israelites. Revelation is granted him: tawrdt, kitdb,
furkdn, suhuf(ll, 50; XXI, 49; LIII, 37; LXXXVII,
19), illumination, instruction and guidance. The picture
of him is made up of Biblical, Haggadic and new
elements. Musa is exposed, watched by his sister,
refuses the milk of other nurses and is suckled by his
own mother. Coming to the assistance of a hardpressed
Israelite, he kills an Egyptian but repents of
his crime to which Satan had tempted him. He is pursued
and escapes to Madyan [see MADYAN SHUCAYB] .
At a well there he waters the flocks of the two
daughters of a shaykh. One of them invites him home
modestly. He receives her as his wife at the price of 8-
10 years service. This preliminary history is told in
sura XXIII, 1 - 2 8 ; the mission itself is often mentioned.
Musa receives from the burning bush in the holy
valley of Tuwan (XX, 12; LXXIX, 16) a message, a
voice which orders him to take off his shoes, the
message to Pharaoh, the signs of his mission, the rod,
the snake and the hand that becomes white. His
speech is difficult to understand (XLIII, 52); Harun
accompanies him as wazir (XX, 30; XXV, 37).
Pharaoh reproaches Musa with ingratitude, saying he
had been brought up by them (XXVI, 17). Pharaoh
assembles his magicians but their rods are devoured
by Musa's. The magicians profess their belief in God
and are mutiliated in punishment (VII, 106-123; XX,
59-78; XXVI, 36-51). Pharaoh wishes prayers to be
offered to him as God and orders Haman [q.v.] to
build him a tower so that he can reach the God of
Musa (XXVIII, 38; XL, 38). Musa performs nine
miracles (XVII, 103; XX, 59-78; XXVII, 12). These
are: 1. the rod and snake; 2. white hand; 3. deluge;
4. locusts; 5. lice; 6. frogs; 7. blood; 8. darkness; 9.
separation of the waters of the sea (cf. e.g. al-TabarT,
i, 485).
Musa spends 30 and 10 nights with God (VII, 138).
He brings instruction and admonition on the tablets.
In his absence, al-Samirl makes the lowing golden calf
(VII, 146; XX, 79-98). Musa breaks the tablets. He
desires to see God. God crumbles the hill to dust (VII,
139). Israel fears war and has to wander 40 years in
the wilderness (V, 24-9). Musa's enemies, Karun
[q. v. ] (Korah), Pharaoh and Haman, perish (XXIX,
38).
Some details differ from the Biblical story. Instead
of Pharaoh's daughter, it is his wife who rescues the
infant; instead of seven shepherdesses Musa assists
two. Instead often plagues, the Kur'an speaks of nine
miracles. Musa strikes twelve springs out of the rock,
one for each tribe (II, 57, a memory of the twelve
springs of Elim, Exodus xv. 27). The divergence is
greater when Haman is made minister to Pharaoh.
Then there are new features: Musa repents of having
slain the Egyptians. Musa sees the burning bush at
night and desires to take a brand from its fire for his
house (XX, 10; XXVIII, 29). Pharaoh's magicians
die for their belief in God.
The following seems to originate in Haggada: God
forbids the infant to be suckled by an Egyptian mother
(XXVIII, 11). In the Haggada Moses is offered to all
Egyptian suckling mothers; but the mouth that is to
speak with God cannot imbibe anything impure (Sota,
12b). That God tilts the mountain over Israel (II, 60,
87; VII, 170) is explained from the Haggada: Israel
hesitated to accept the Pentateuch and God tilted
Sinai over them: Torah or death (Sabbath, 80a; ^Aboda
Zara, 2b). The turning of the sabbath breakers into
apes (II, 61; IV, 50; V, 65; VII, 166) recalls the Haggada
in which the builders of the tower of Babel
become apes (Sanhedrin, 109a). Karun is represented
as an exceedingly rich man, the keys of whose treasure
can hardly be carried by many strong men (XVIII,
76, 79); the Haggada says that Korah found a hidden
Egyptian treasure; 300 mules carried the keys of his
treasury (Pessachim, 119a; Sanhedrin, llOa; Pal. Sanh.,
x, 27d; Ginzberg, Legends, vi, 99, 560). The Kur'anic
story of a believer at the court of Pharaoh who wants
to save Musa is not quite clear (XL, 29). Ought we
to compare Jethro in the Haggada who advises
clemency at Pharaoh's court (Sota, 11 a; Sanhedrin,
106a; Ginzberg, v, 392, 21, v, 412, 101)?
The story of Musa accompanying a wise man
onajourney seems without parallel (XVIII, 59-81).
The attempt is often made to distinguish this Musa of
al-Khadir [q.v.] as Musa b. Manasse from Musa b.
clmran.


2. Musa in post-Kur^anic legend. The
histories of the prophet (especially al-Thaclabi's) supplement
the Kur-'anic story with much from the Bible,
Haggada and folklore.
Much is added from the Haggada. Pharaoh's sick
daughters are cured as soon as they touch Moses's
cradle. Exodus Rabba, i, 23, makes Pharaoh's daughter
be cured of leprosy. The infant Musa scratches
Pharaoh's chin._Pharaoh wants to slay him. On the
intercession of Asiya [q. v. ] he tests him by putting
gold and jewels on one side and burning coals on the
other. Musa reaches for the gold but Gabriel directs
his hand to the burning coal. Musa puts his burned
hand on his tongue and therefore becomes a stammerer
(Ginzberg, v, 402, 65; Hamilton, in Zeitschr. f.
romanische Philologie, xxxvi, 125-59).
Elements of other legends are woven into the
legends of Musa. The Abraham-Nimrod legend supplies
the following features: Pharaoh frightened by
dreams persecutes the infants; Musa is hidden from
the assassins in the burning oven but the fire becomes
cool and does him no harm. Pharaoh orders prayers
to be offered for himself as to a god, has a tower built
and shoots an arrow against heaven; the arrow comes
back blood-stained and Pharaoh boasts he has slain
God (al-Taban, i, 469). From the story of Jacob and
Laban come the following: Musa serves 8-10 years for
his wife (XXVIII, 27). His father-in-law offers him
the spotted lambs born in his flock and the ewes for
the watering troughs bear spotted lambs (al-Thaclabi,
112). There are frequent references to a pious Egyptian
woman who is martyred by Pharaoh with her
seven children, the youngest of whom is still at its
mother's breast (in al-ThaclabI, 118, 139); this is of
course modelled on the martyr mother of the Maccabees.
There are many fanciful embellishments, e.g. the
miracle of the snakes, the plagues and the scenes on
the Red Sea; Moses's rod in pajticular plays a great
part. It came from Paradise; Adam, Habil, Shim.
Idris, Nuh, Hud, Salih, Ibrahim, IsmacTl, Ishak and
Yackub had previously used it (al-Kisa°I, 208). In al-
Taban (i, 460-1), an angel brought the rod. Musa
obtained it from his wife; his father-in-law quarrels
with him about its ownership and an angel decides in
favour of Musa. It is a miraculous rod and Thaclabi
(111-16) in particular relates the wonders it performs.
It shines in the darkness; it gives water in a drought,
and placed in the ground it becomes a tree bearing
fruit; it produces milk and honey and fragrant scent;
against an enemy it becomes a double dragon. It
pierces mountains and rocks; it leads over rivers and
sea; it is also a shepherd's staff and keeps beasts of
prey from the herds of Moses. When Musa was asleep
on one occasion the rod slew a dragon, on another
occasion seven of Pharaoh's assassins.
The varied Biblical, Haggadic, legendary and fairy
tale features in the Islamic legend of Musa are thus
blended into a very full picture and in al-Thaclabf
form a regular romance.
Bibliography: Sura II, 48-130; VII, 101-60;X,
76-88; XX, 8-93; XXVI, 9-65; XXVIII, 2-76; XL,
24-56 and the commentaries thereon; TabarT, i,
414-49; ThaclabT, Kisas al-anbiyd\ Cairo 1325, 105-
56; Kisa0!, Kisas al-anbiyd\ ed. Eisenberg, 194-240;
Ibn al-Athfr, al-Kamil, Bulak, i, 61-78; A. Geiger,
Was hat Mohammed..., 19022, 149-77; M. Griinbaum,
Neue Beitrdge, 153-85; J. Horovitz, Koranische
Untersuchungen, 141-3; R. Basset, 1001 Contes, Recits
et legendes arabes, iii, 67, 85; D. Sidersky, Les origines
des legendes musulmanes dans le Goran et dans la vie des
prophetes, Paris 1933, 73-103; J. Walker, Bible characters
in the Koran, 84-111. (B. HELLER)


3. In Islamic tradition, Moses bears a special
honorific title, that of Kalim Allah, whose exact meaning
merits discussion. In effect, kalim can be interpreted
as meaning "a person who speaks to someone"
or "a person whom one addresses". The first meaning
is given by al-BaydawT (ed. Fleischer, i, 445, 583,
595), who makes the equation kalim = mukdlim, and
adopted by Ibn Manzur (LA, xv, 428), who nevertheless
adds that al-Azharl in his Tahdhib opts for the
second meaning. Several Kurgan passages speak of a
direct conversation between Allah and Moses, notably
IV, 162: wa-kallama lldhu Musa takliman, where the use
of the cognate infinite, li 'l-ta^kid, shows that this
"conversation" should be taken literally and not as a
metaphor (LA, xv, 429; al-Ashcari, Ibdna,
Haydarabad 1321, 27). These passages always
emphasise God's speech to Moses, and that may be
the reason for al-Azhari's interpretation. The Form
III kdlama is not found in the official text of the
KurDan, but sura II, 254, contains a variant, kdlama
Alldha, which could be, according to al-Baydawi, i,
130, the origin of the official title; but, in this passage,
there is no question of Moses. See also the epithet
nadji applied to Moses (KurDan, XIX, 53) and
assimilated by al-Baydawi, i, 583, to mundaji.
Bibliography: See Goldziher, Die Richtungen der
islamischen Koranauslesung, 174; Dozy, Supplement, ii,
486. _ (D.B. MACDONALD*)














২-রাজাবলিঃ ২

এলিয়র স্বর্গারোহণ
1নবী এলিয়র স্বর্গে যাবার দিন ঘনিয়ে এল। একদিন নবী এলিয় ও ইলিশায় গিলগল থেকে রওনা হলেন। সেইসময় পরমেশ্বর ঘূর্ণিঝড়ে এলিয়কে স্বর্গে তুলে নিতে উদ্যত হলেন। 2যেতে যেতে এক জায়গায় এলিয় ইলিশায়কে বললেন, তুমি এখানে থাক। প্রভু পরমেশ্বর আমাকে বেথেলে যেতে বলেছেন। কিন্তু ইলিশায় তাঁকে বললেন, সদা জাগ্রত প্রভু পরমেশ্বর ও আপনার দিব্য, আমি আপনার সঙ্গ ছাড়ব না। কাজেই দুজনেই বেথেলে গেলেন।
3সেখানকার নবীরা ইলিশায়কে জিজ্ঞাসা করলেন,আপনি কি জানেন যে আজ পরমেশ্বর আপনার কাছ থেকে আপনার গুরুকে তুলে নেবেন? ইলিশায় বললেন,হ্যাঁ, আমি জানি। এ আলোচনা থাক।
4তারপর এলিয় ইলিশায়কে বললেন, তুমি এখানে থাক, পরমেশ্বর আমাকে যেরিকোতে যেতে আদেশ দিয়েছেন। ইলিশায় বললেন, সদা জাগ্রত প্রভু পরমেশ্বর ও আপনার দিব্য, আমি আপনার সঙ্গ ছাড়ব না। কাজেই তাঁরা যেরিকোতে গেলেন।
5যেরিকোর নবীরা ইলিশায়কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি জানেন যে আজ পরমেশ্বর আপনার কাছ থেকে আপনার গুরুকে তুলে নেবেন? ইলিশায় বললেন, হ্যাঁ, আমি জানি। এ আলোচনা থাক।
6এলিয় ইলিশায়কে বললেন, এবার তুমি এখানে থাক, প্রভু পরমেশ্বর আমাকে জর্ডন নদীতে যেতে বলেছেন। কিন্তু ইলিশায় বললেন, সদা জাগ্রত প্রভু পরমেশ্বর ও আপনার দিব্য, আমি আপনার সঙ্গ ছাড়ব না। কাজেই তাঁরা একসঙ্গে চললেন। 7আরও পঞ্চাশজন নবী তাঁদের সঙ্গে জর্ডনে চললেন। এলিয় ও ইলিশায় জর্ডন নদীর তীরে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং তাঁদের একটু দূরে অন্যান্য নবীরা দাঁড়িয়ে রইলেন। 8তখন এলিয় নিজের আলখাল্লাটা খুলে গুটিয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে জলের উপর আঘাত করলেন। জল দুই ভাগ হয়ে দুজনের যাওয়ার মত পথ করে দিল। তিনি ও ইলিশায় শুকনো পথের উপর দিয়ে পার হয়ে গেলেন। 9সেখানে এলিয় ইলিশায়কে বললেন, তোমার কাছ থেকে আমাকে তুলে নেওয়ার আগে বল, তোমার জন্য আমাকে কি করতে হবে? ইলিশায় তাঁকে বললেন, আমাকে আপনার ঐশী শক্তির অংশীদার করুন, যাতে আমি আপনার উত্তরাধিকারী হতে পারি।
10এলিয় বললেন, বড় কঠিন আব্দার করেছ। ঠিক আছে, তোমার কাছ থেকে আমাকে তুলে নেবার সময় আমাকে যদি তুমি দেখতে পাও, তাহলে পাবে। আর যদি দেখতে না পাও, তাহলে পাবে না।
11তাঁরা কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলেছেন, এমন সময় হঠাৎ আগুনের ঘোড়ায় টানা আগুনের একটি রথ এসে তাঁদের মাঝখানে দাঁড়াল এবং একটি ঘূর্ণিঝড় এলিয়কে স্বর্গে তুলে নিয়ে গেল। 12ইলিশায় সব দেখতে পেলেন এবং চীৎকার করে উঠলেন, পিতা, আমার পিতা! ইসরায়েলের শক্তিমান রক্ষক, আপনি চলে গেলেন।তারপরে তাঁকে আর দেখতে পেলেন না। দুঃখে ইলিশায় পরণের আলখাল্লাটি ছিঁড়ে দুই টুকরো করে ফেললেন। 13তারপর এলিয়র ফেলে যাওয়া আলখাল্লাটা তুলে নিয়ে জর্ডনের তীরে গিয়ে দাঁড়ালেন। 14এলিয়র আলখাল্লা দিয়ে তিনি নদীর জলের উপরে আঘাত করে বললেন, কোথায় প্রভু, এলিয়ের পরমেশ্বর? তারপর আবার জলে আঘাত করলেন। জল দুই ভাগ হয়ে গেল। তিনি হেঁটে এপারে চলে এলেন। 15যেরিকোর সেই পঞ্চাশজন তাঁকে দেখে বললেন, ইলিশায়ের উপরে এলিয়র ঐশী শক্তি অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁরা তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করলেন 16এবং বললেন, এখানে আমরা পঞ্চাশ জন আছি। সকলেই আমরা শক্ত সমর্থ লোক।আপনি আদেশ করুন, আমরা আপনার গুরুদেবকে খুঁজে আনি। হয়তো পরমেশ্বরের আত্মা তাঁকে নিয়ে গিয়ে কোন পাহাড়ে কিম্বা কোন উপত্যকায় রেখে গেছেন। ইলিশায় বললেন, না, তোমাদের যেতে হবে না।
17কিন্তু তাঁদের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে তিনি তাঁদের অনুমতি দিলেন। তাঁরা পঞ্চাশ জনে সব জায়গায় তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করলেন কিন্তু কোথাও তাঁকে পেলেন না। 18তাঁরা ফিরে এলেন ইলিশায়ের কাছে। তিনি তখনও তাঁদের অপেক্ষায় যেরিকোতে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, আমি তো তোমাদের যেতে বারণ করেছিলাম।
ইলিশায়ের অলৌকিক কাজ
19যেরিকো থেকে কয়েকজন লোক একদিন ইলিশায়ের কাছে গিয়ে বলল, প্রভু, আপনি তো দেখছেন এই নগরটি খুবই ভাল। কিন্তু এখানকার জল খুব খারাপ। এই জল বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে। গর্ভপাত ঘটায়।
20ইলিশায় তাদের আদেশ দিয়ে বললেন, একটা নতুন ভাঁড়ে করে লবণ নিয়ে এস। তারা নিয়ে এল। 21তখন তিনি ঝরণার কাছে গিয়ে জলের মধ্যে লবণটা ফেলে দিয়ে বললেন, প্রভু পরমেশ্বর বলেছেন, আমি এই জল শুদ্ধ করে দিলাম। আর কখনও এই জল মৃত্যু বা গর্ভপাত ঘটাবে না। 22সেই থেকে ইলিশায়ের কথা মত সেই জল আজও বিশুদ্ধ রয়েছে।
23ইলিশায় যেরিকো থেকে বেথেলে রওনা হলেন। পথে শহরের কতকগুলো ছেলে তাঁর সঙ্গে মস্করা করে চীৎকার করতে লাগল, এই টেকো, টেকো, দূর হ এখান থেকে।
24ইলিশায় তাদের দিকে ফিরে কটমট করে তাকিয়ে প্রভুর নামে অভিশাপ দিলেন। তখন জঙ্গল থেকে দুটো ভল্লুকী বেরিয়ে এসে বিয়াল্লিশটা ছেলেকে কামড়ে টুকরো করে ফেলল।
25ইলিশায় চলে গেলেন কার্মেল পাহাড়ে। তারপর সেখান থেকে গেলেন শমরিয়ায়।

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...