মথি ১১: ১৪ এবং ১৭: ১০-১৩







1যীশু তাঁর বারোজন শিষ্যকে এই সমস্ত নির্দেশ দেবার পর সেইস্থান ছেড়ে শিক্ষা দিতে ও প্রচার করতে বিভিন্ন নগরে চলে গেলেন।
বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের বার্তা ও যীশুর উত্তর
(লুক 7:18-35)
2বাপ্তিষ্মদাতা যোহন কারাগারে বসে খ্রীষ্টের কাজের বিবরণ শুনতে পেলেন। তিনি তাঁর শিষ্যদের মারফৎ খ্রীষ্টকে জিজ্ঞাসা করে পাঠালেন, 3‘যাঁর আগমনের কথা আছে আপনিই কি তিনি? না, আমার অন্য কারও অপেক্ষায় থাকব।’
4যীশু তাঁদের উত্তর দিলেন, তোমরা যা দেখছ ও শুনছ ফিরে গিয়ে তা-ই যোহনকে জানাও 5অন্ধেরা দেখতে পাচ্ছে, খঞ্জেরা হেঁটে বেড়াচ্ছে, কুষ্ঠরোগীরা সুস্থ ও শুচি হচ্ছে, বধিরেরা শুনতে পাচ্ছে, মৃতেরা পুনর্জীবিত হচ্ছে এবং দীনদরিদ্রের কাছে সুসমাচার প্রচারিত হচ্ছে। 6ধন্য সেই ব্যক্তি আমার সম্বন্ধে যার মনে কোন সংশয় নেই।
7তাঁরা চলে গেলে যীশু যোহনের বিষয়ে জনতাকে বললেন, তোমরা কী দেখতে মরুপ্রান্তরে গিয়েছিলে? বাতাসের বেগে দুলছে এমন এক নলখাগড়া? 8তবে কী দেখতে গিয়েছিলে? সৌখীন পোষাক পরা কোন লোককে? দেখ, যারা সৌখীন পোষাক পরে তারা তো রাজপ্রাসাদে থাকে। 9তবে তোমরা কি জন্য গিয়েছিলে? কোন নবীকে দেখতে কি? আমি সত্যি তোমাদের বলছি, তিনি নবীর চেয়ে অনেক বড়। 10ইনিই সেই ব্যক্তি যাঁর সম্বন্ধে শাস্ত্রে লেখা হয়েছে: দেখ, আমার দূতকে পাঠালাম তোমরা অগ্রবর্তী করে, তিনিই তোমার জন্য পত প্রস্তুত করবেন।11আমি তোমাদের সত্যই বলছি, নারীগর্ভজাতদের মধ্যে বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের চেয়ে মহত্তর কেউ নেই। তা সত্ত্বেও ঐশরাজ্য যে সবচেয়ে নগণ্য সেও যোহনের চেয়ে মহান। 12বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের প্রচারের সময় থেকে আজ পর্যন্ত স্বর্গরাজ্য প্রবল আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে এবং পরাক্রমীরা সবলে তা অধিকার করছে। 13সকল নবী, এমন কি বিধান শাস্ত্রও যোহনের কাল পর্যন্তই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। 14তাঁদের কথা যদি বিশ্বাস কর, তাহলে জেনো, যোহনই সেই এলিয়, যাঁর আবির্ভাব ঘটবে।15শোনার মত কান যদি তোমাদের থাকে, তবে শোন।
16কিন্তু তার সঙ্গে এ যুগের মানুষের তুলনা করব? তারা এমন একদল বালকের মত, যারা বাজারে বসে সঙ্গীদের ডেকে বলছে, 17‘আমরা তোমাদের জন্য বাঁশী বাজালাম, কিন্তু তোমরা নাচলে না, আমরা বিলাপ করলাম, তবুও তোমরা কাঁদলে না।’ 18যোহন এলেন, তিনি পান ভোজনে আসক্ত ছিলেন না, তাই লোকে বলে, ‘তিনি অপদেবতাগ্রস্ত’।19মানবপুত্র এলেন, তিনি আহার করছেন, পানও করছেন, আর তারা বলে, দেখ, লোকটা পেটুক ও মদ্যপ, এবং কর আদায়কারী ও পাপিষ্ঠদের সঙ্গেই তার বন্ধুত্ব কর্মেই প্রজ্ঞার যর্থাথ পরিচয়।
অবিশ্বাসীদের প্রতি ধিক্কার
(লুক 10:13-15)
20যে সমস্ত নগরে তিনি তাঁর অধিকাংশ অলৌকিক কার্য সাধন করেছিলেন, তিনি সেইগুলিকেই ধিক্কার দিতেঐ লাগলেন, কারণ সেখানকার অধিবাসীদের হৃদয়ের কোন পরিবর্তন হয় নি। 21হায় কোরাসিন! হায় বেৎসৈদা! ধিক তোমাদের! তোমাদের মধ্যে যে সমস্ত অলৌকিক কার্য সাধিত হয়েছে, সে সব যদি টায়ার ও সীদোন অঞ্চলে সাধিত হত তাহলে সেখানকার লোকজন অনেক আগেই হৃদয়ের পরিবর্তন করে চট পরিধান করত ও দেহে ভস্ম মাখত। 22কিন্তু আমিই বলছি, বিচারের দিনে ঈশ্বর তোমাদের চেয়ে টায়ার ও সীদোনের লোকদের প্রতি অধিকতর করুণা প্রদর্শন করবেন। 23আর হে কফরনাহুম নগর, নিজেকে স্বর্গ পর্যন্ত উন্নত করতে চেয়েছিলে? নরকেই হবে তোমার অধোগতি কারণ তোমার মধ্যে যে সমস্ত অলৌকিক কর্ম সাধিত হয়েছে তা যদি সদোম শহরে সাধিত হত তাহলে সদোমের অস্তিত্ব আজও বজায় থাকত। 24আমি তোমাদের বলছি, বিচারের দিনে তোমাদের দুদর্শা হবে সদোমের চেয়েও ঘোরতর।
যীশুর উদাত্ত আহ্বান
(লুক 10:21-22)
25যীশু তখন এই কথাগুলি বললেন, হে পিতা। হে স্বর্গমর্ত্যের প্রভু। আমি তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান লোকদের কাছে তুমি এ সমস্ত বিষয় গোপন রেখেছ, প্রকাশ করেছ অবোধদের কাছে।  26হ্যাঁ, পিতা, এতেই তোমার আনন্দ।
27আমার পিতা সব কিছু আমার হাতেই সমর্পণ করেছেন। পুত্রকে কেউ জানে না, কেবল পিতাই জানেন এবং পিতাকে কেউ জানে না, কেবল পুত্রই জানেন, আর পুত্র যাদের কাছে তাঁকে প্রকাশ করতে চান, তারাও জানে।
28হে পরিশ্রান্ত, ভারাক্রান্ত জন আমার কাছে এস, আমি দেব তোমাদের বিশ্রাম। 29আমার জোয়াল তোমার কাঁধে তুলে নাও, আমার কাছেই গ্রহণ কর শিক্ষা, কারণ আমি শান্ত ও নম্র। তাহলে তোমরা জীবনের স্বস্তি পাবে। 30আমার জোয়াল সুবহ, আমার দেওয়া ভারও লঘু।

যীশুর রূপান্তর
(মার্ক 9:2-13লুক 9:28-36)
1ছয়দিন পরে যীশু পিতর, যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে সঙ্গে নিয়ে এক উঁচু পাহাড়ে নিভৃত স্থানে গেলেন। 2তাঁদের সামনেই তাঁর রূপান্তর ঘটল। সূর্যের এত দীপ্তিমান হয়ে উঠল তাঁর মুখমণ্ডল, তাঁর বসন হল আলোকশুভ্র। 3ঐ সময়ে মোশি ও এলিয় তাঁদের সামনে আবির্ভূত হয়ে যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন। 4তখন পিতর যীশুকে বললেন, প্রভু, আমরা এখানে থাকলেই ভাল হয়। যদি আপনার ইচ্ছা হয় তাহলে আমি এখানে তাঁবু খাটিয়ে ফেলি-আপনার জন্য একটি, মোশির জন্য একটি ও এলিয়ের জন্য একটি। 5তিনি যখন কথা বলছিলেন সেই সময়ে উজ্জ্বল একখণ্ড মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল এবং সেই মেঘের মধ্য থেকে এই বাণী ঘোষিত হলঃ ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, আমার পরম প্রীতিভাজন-এঁর কথা শোন। 6এই কথা শুনে শিষ্যেরা ভয়ে অভিভূত হয়ে মাটির উপর উপুড় হয়ে পড়ে গেলেন। 7যীশু কাছে এসে তাঁদের স্পর্শ করে বললেন, ওঠ, ভয় করো না। 8তাঁরা তখন তাকিয়ে দেখলেন, যীশু ছাড়া আর কেউ সেখানে নেই।
9পাহাড় থেকে নেমে আসার সময়ে যীশু তাঁদের এই আদেশ দিলেন, মানবপুত্র যতদিন না মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হন ততদিন এই দর্শনের কথা তোমরা কাউকে বলো না। 10শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে শাস্ত্রীরা কেন বলেন যে প্রথমে এলিয়ের আবির্ভাব হবে?11তিনি বললেন, এলিয় অব্যশই আসবেন এবং সমস্তই পুনস্থাপন করবেন। 12কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় তো এসেছেন, কিন্তু কেউ তাঁকে চিনতে পারেনি, বরং তাঁর প্রতি যথেচ্ছ দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক তেমনি মানবপুত্রকেও লোকের হাতে অনেক নির্যাতন ভোগ করতে হবে। 13শিষ্যরা তখন বুঝতে পারলেন যে তিনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন সম্পর্কেই এ কথা বলছেন।
অপদেবতাগ্রস্থ বালকের আরোগ্যলাভ
(মার্ক 9:14-29লুক 9:37-43)
14তাঁরা যখন জনতার কাছে এলেন তখন এ লোক যীশুর কাছে এগিয়ে এসে নতজানু হয়ে তাঁকে বলল, 15প্রভু আমার ছেলেটির প্রতি দয়া করুন। মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়ে সে দারুণ কষ্ট পাচ্ছে। অনেকবার সে আগুনে ও জলে পড়ে গেছে। 16আমি তাকে আপনার শিষ্যদের কাছে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারলেন না। 17যীশু বললেন, অবিশ্বাসী ও স্বেচ্ছাচারী বংশ। আর কত কাল আমি তোমাদের মধ্যে থাকব? কতকাল আমি তোমাদের সহ্য করব? 18যীশু তাকে ধমক দিলেন তখনই সেই অশুচি আত্মা ছেলেটিকে ছেড়ে বেরিয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে সে সুস্থ হল। 19তখন শিষ্যেরা একান্তে যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কেন ওটাকে তাড়াতে পারলাম না?20তিনি তাঁদের বললেন, এর কারণ হল তোমাদের বিশ্বাস দুর্বল। আমি সত্যিই বলছি, তোমাদের যদি একটি সরষে-পরিমাণ বিশ্বাস থাকে, আর তোমরা যদি পর্বতকে বল, ‘এখান থেকে সরে ওখানে যাও-তবে তা সরে যাবে। তোমাদের অসাধ্য কিছুই থাকবে না।’
মৃত্যু সম্বন্ধে পুনরায় যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী
(মার্ক 9:30-32লুক 9:43-45)
22তাঁরা সকলে যখন গালীল পরিভ্রমণ করছিলেন তখন যীশু তাঁদের বললেন, মানবপুত্রকে মানুষের অধীনে সমর্পণ করা হবে, 23তারা তাঁকে হত্যা করবে কিন্তু তৃতীয় দিনে তিনি পুনরুত্থিত হবেন। এ কথা শুনে শিষ্যরা অত্যন্ত বিষণ্ণ হলেন।

মার্ক ৬: ১৪-১৫

(মথি 13:53-58লুক 4:16-30)
1সেখান থেকে যীশু ফিরে গেলেন নিজের নগরে। শিষ্যেরাও তাঁর সঙ্গে গেলেন। 2সাব্বাথ দিনে তিনি সমাজভবনে গিয়ে উপদেশ দিতে আরম্ভ করলেন। তাঁর উপদেশ শুনে লোকেরা খুব অবাক হয়ে বলতে লাগল, এসব কথা এ কোথা থেকে শিখল? এমন জ্ঞান কোথা থেকে পেল যারা সাহায্যে এ এতসব অলৌকিক কাজ করছে? 3একি সেই ছুতোর মিস্ত্রী নয়? এ তো মরিয়মের ছেলে, যাকোব , যোশি, শিমোন আর যিহুদার ভাই, তাই না? ওর বোনরাও তো আমাদের এখানেই থাকে। যীশুকে তারা গ্রাহ্যই করল না। 4যীশু তাদের বললেন, বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন, স্বগৃহ এবং স্বদেশ ছাড়া কোনও নবী আর কোথাও অসম্মানিত হন না।5কয়েকজন অসুস্থ লোককে স্পর্শ করে সুস্থ করা ছাড়া আর কোন অলৌকিক কাজ তিনি সেখানে করতে পারলেন না। 6তাদের এত অবিশ্বাস দেখে যীশু অবাক হয়ে গেলেন।
দ্বাদশ শিষ্যের প্রচার অভিযান
(মথি 10:5-15লুক 9:1-6)
যীশু গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিক্ষা দিয়ে বেড়াতে লাগলেন। 7তিনি তাঁর বারজন শিষ্যকে ডেকে দু'জন দু'জন করে এক একদিকে পাঠাতে লাগলেন এবং অশুচি আত্মা দূর করার ক্ষমতা তাঁদের দিলেন8যীশু তাঁদের আদেশ দিলেন যেন পথে লাঠি ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে না নেন, খাবার নয়, ঝুলি নয়, এমনকি টাকাকড়িও নয়। 9তাঁদের পায়ে পাদুকা থাকতে পারে, কিন্তু সঙ্গে জামা যেন দুটো না থাকে। 10যীশু তাঁদের বললেন, কোথাও কোন বাড়িতে গেলে তেআমরা সেই এলাকা ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সেই বাড়িতেই থাকবে। 11কোনো জায়গায় লোকে যদি তোমাদের স্বাগত না জানায় বা তোমাদের কথা না শোনে, তাহলে সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাবার সময় পায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেলো, তা-ই হবে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ। 12শিষ্যেরা চলে গেলেন এবং প্রচার করতে লাগলেন যেন মানুষ অনুতাপ করে মন পরিবর্তন করে। 13তাঁরা অনেক ভূত ছাড়ালেন এবং তৈলাভিষেক করে অনেক রোগীকে সুস্থ করলেন।
বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের শিরশ্ছেদ
(মথি 14:1-12লুক 9:7-9)
14রাজা হেরোদ যীশুর এ সমস্ত কথা শুনতে পেলেন কারণ যীশুর নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। কেউ কেউ বলছিল, বাপ্তিষ্মদাতা যোহন মৃতলোক থেকে পুনর্জীবিত হয়েছেন। সেইজন্যই তাঁর মধ্যে এই অলৌকিক শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে 15আবার কেউ বলল, উনি এলিয়। অন্যেরা বলতে লাগল, পুরাকালের নবীদের মত উনিও একজন নবী। 16কিন্তু হেরোদ এ কথা শুনে বললেন, আমি যার শিরশ্ছেদ করেছি সেই যোহন আবার বেঁচে উঠেছেন। 17হেরোদিয়ার কথায় হেরোদ স্বয়ং যোহনকে গ্রেপ্তার করিয়ে কারাগারে বন্দী করে রেখেছিলেন। 18হেরোদিয়া ছিলেন হেরোদের ভাই ফিলিপের স্ত্রী। হেরোদ তাঁকে বিবাহ করেছিলেন। তাই যোহন হেরোদকে বলেছিলেন, ভ্রাতৃবধূকে বিবাহ করা তোমার পক্ষে সঙ্গত হয়নি। 19এইজন্য যোহনের উপর হেরোদিয়ার আক্রোশ ছিল। তিনি তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি 20কারণ হেরোদ যোহনকে ভয় করতেন। তিনি জানতেন যে যোহন একজন ধর্মনিষ্ঠ সাধু ব্যক্তি, তাই তিনি তাঁকে রক্ষা করেছিলেন। যোহনের কথাবার্তা শুনে হেরোদ খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেন কিন্তু তবুও তাঁর কথা শুনতে চাইতেন। 21হেরোদিয়ার সামনে একদিন সুযোগ এল। হেরোদ তাঁর জন্মদিনে তাঁর সভাসদ, সামরিক কর্মচারী ও গালীল প্রদেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের এক ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানালেন। 22সেই সভায় হেরোদিয়ার কন্যা নৃত্যকলা প্রদর্শন করে হেরোদকে এবং আমন্ত্রিতদের মুগ্ধ করেছিল। রাজা তাই মেয়েটিকে বললেন, তোমার যা ইচ্ছা আমার কাছে চাও, আমি তাই-ই তোমায় দেব। 23তিনি তার কাছে শপথ করে বললেন, তুমি আমার কাছে যা চাইবে তাই দেব, এমন কি আমার অর্ধেক রাজত্ব পর্যন্ত তোমায় দিয়ে দেব। 24সে চলে গেল তার মায়ের কাছে, জিজ্ঞেস করল, আমি কি চাইব? তিনি বললেন, বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের মাথা। 25সঙ্গে সঙ্গে সে রাজার কাছে গিয়ে বলল, আমি চাই, এক্ষুণি আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের মাথা থালায় করে আমায় এনে দিন। 26এ কথা সুনে রাজা খুবই দুঃখিত হলেন। কিন্তু যেহেতু তিনি আমন্ত্রিতদের সামনে শপথে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং আমন্ত্রিতেরা উপস্তিত ছিলেন তাই তিনি তাকে প্রত্যাখ্যান করতে চাইলেন না। 27রাজা তখনই একজন দেহরক্ষীকে যোহনের মাথা কেটে আনার আদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন। সে কারাগারে গিযে যোহনের শিরশ্ছেদ করে তাঁর মাথা 28একটা থালায় করে এনে মেয়েটিকে দিল। মেয়েটি গিয়ে সেটি তার মাকে দিল। 29যোহনের শিষ্যেরা এই খবর পেয়ে এসে তাঁর দেহটি নিয়ে গিয়ে কবর দিল।

যোহন ১: ১৯-২৬

1সৃষ্টির পূর্বেই ছিলেন বাক্। ঈশ্বরের সঙ্গেই বাক্ ছিলেন বিরাজমান। বাক্ ও ঈশ্বর ছিলেন অভিন্নসত্তা। 2আদিতে তিনিই ছিলেন ঈশ্বরের সঙ্গে। 3সর্ববস্তু তাঁর মাধ্যমে সৃষ্ট। এমন কিছুর অস্তিত্ব নেই যা তাঁর মাধ্যমে হয়নি সম্ভব। 4সমগ্র সৃষ্টির জীবন ছিল তাঁরই মধ্যে নিহিত, আর সেই জীবনই ছিল মানুষের কাছে ঈশ্বরের দেওয়া জ্যোতি। 5সেই জ্যোতি তমসার মাঝে দীপ্যমান। তমসা তাকে গ্রাস করতে পারেনি।6ঈশ্বরপ্রেরিত এক ব্যক্তির হল আবির্ভাব, তাঁর নাম যোহন। 7সেই জ্যোতির বিষয়ে সাক্ষ্যদান করতে তিনি এলেন যেন সকলের মধ্যে এই সাক্ষ্য সৃষ্টি করে বিশ্বাস। 8তিনি নিজে সেই জ্যোতি ছিলেন না কিন্তু জ্যোতির বিষয়ে সাক্ষ্য দান করতেই হয়েছিল তাঁর আগমন। 9প্রকৃত যে জ্যোতি সর্বমানবকে করে আলোকদান, এ জগতে তাঁর প্রকাশ ছিল প্রত্যাসন্ন। 10এ জগতেই ছিলেন তিনি। যদিও তাঁরই মাধ্যমে সৃষ্ট হয়েছিল এই বিশ্বচরাচর কিন্তু এ জগত জানত না তাঁর পরিচয়। 11স্বরাজ্যে তিনি এলেন কিন্তু যারা তাঁর আপনজন তারাই বরণ করল না তাঁকে। 12কিন্তু যারা তাঁকে বরণ করল, বিশ্বাসে গ্রহণ করল তাঁকে, তাদেরই দিলেন তিনি ঈশ্বরের পুত্র হওয়ার অধিকার। 13তারা শোণিত সূত্রে নয়, জৈব বাসনায় নয়, মানবিক ইচ্ছাক্রমেও নয়, কিন্তু তাঁরা ঈশ্বর থেকেই জাত।
14সেই বাক্ দেহ ধারণ করলেন। আমাদেরই মাঝে করলেন বসতি। আমরা প্রত্যক্ষ করলাম তাঁর মহিমা, পিতার অনন্য পুত্রের মহিমা-যা করুণা ও সত্যে মণ্ডিত। 15যোহন তাঁরই সম্পর্কে করলেন উদাত্ত ঘোষণা: ইনিই সেই ব্যক্তি, এঁরই সম্পর্কে আমি বলেছিলাম: আমার পরে যিনি আসছেন। তিনি আমার অগ্রগণ্য। কারণ আমার আগে থেকেই তিনি বিদ্যমান। 16তাঁর পূর্ণতার ভাণ্ডার থেকে আমরা সকলেই পেয়েছি নিরবচ্ছিন্ন করুণাধারা। 17মোশির মাধ্যমে প্রদত্ত হয়েছিল শাস্ত্রীয় বিধান কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে বিতরিত হল অনুগ্রহ ও সত্য।18ঈশ্বরকে কখনও কেউ প্রত্যক্ষ করেনি কিন্তু ঈশ্বরের অনন্য পুত্রপিতার বক্ষলগ্ন যিনি, তিনিই তাঁকে করেছেন অভিব্যক্ত।
বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের সাক্ষ্য
(মার্ক 3:1-12মার্ক 1:1-8লুক 3:1-18)
19-20জেরুশালেমের ইহুদী সমাজের পক্ষ থেকে পুরোহিত ও লেবীয়দের একটি প্রতিনিধি দলকে যোহনের কাছে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি কে? এ বিষয়ে যোহন নীরব রইলেন না, বরং সুস্পষ্টভাবে তাঁর সাক্ষ্য ঘোষণা করে বললেন, আমি খ্রীষ্ট নই। 21তারা জিজ্ঞাসা করল, তাহলে কে আপনি? আপনি কি এলিয়? তিনি উত্তর দিলেন না, আমি এলিয় নই। তারা তখন জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি সেই প্রত্যাশিত নবী? তিনি বললেন, না। 22তারা তাঁকে বলল, তাহলে আমাদের বলুন, কে আপনি? যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমাদের এর উত্তর নিয়ে যেতে হবে। আপনার নিজের সম্বন্ধে আপনার কি বক্তব্য? 23যোহন নবী যিশাইয়র উক্তি দিয়ে তাদের উত্তর দিলেন, আমি হচ্ছি সেই কন্ঠস্বর যা মরুপ্রান্তরে ঘোষণা করছেঃ
সরল করে দাও প্রভুর আগমনের পথ।
24ফরিশীরাও কয়েকজন দূত পাঠিয়েছিল তাঁর কাছে। 25তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি যদি খ্রীষ্ট না হন, যদি এলিয় বা সেই প্রত্যাশিত নবী না হন, তাহলে কেন আপনি বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন? 26-27যোহন তাদের উত্তর দিলেন, আমি জলে বাপ্তিষ্ম দিচ্ছি। কিন্তু যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি তোমাদেরই মাঝে আছেন, তাঁকে তোমরা চেন না। আমি তাঁর পাদুকাবন্ধন খোলারও যোগ্য নই। 28বেথানিতে, যর্ডনের তীরে যেখানে যোহন বাপ্তিষ্ম দিচ্ছিলেন, সেখানে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল।
ঈশ্বরের মেষশাবক
29পরের দিন যোহন যীশুকে তাঁর কাছে আসতে দেখে বললেন, ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপরাশি হরণ করেন।30ইনিই সেই ব্যক্তি। এঁর সম্বন্ধে আমি বলেছিলাম: ‘আমার পরে যিনি আসছেন, তিনি আমার চেয়ে মহান’। তিনি আমার জন্মের পূর্ব থেকেই বিদ্যমান। 31আমি নিজেও তাঁকে জানতাম না, তিনি কে। কিন্তু এখন আমি জলে বাপ্তিষ্ম দান করছি যেন ইসরায়েল জাতির কাছে ব্যক্ত হয় তাঁর পরিচয়। এই জন্যই আমার আগমন।
32যোহন আরও সাক্ষ্য দিলেন, আমি দেখলাম, পবিত্র আত্মা কপোতের মত স্বর্গ থেকে নেমে এসে তাঁর উপর অধিষ্ঠান করলেন।33আমি তখনও তাঁকে চিনতাম না কিন্তু যিনি আমাকে জলে বাপ্তিষ্ম দিতে পাঠিয়েছেন, তিনিই আমাকে বলেছেন যে, পবিত্র আত্মাকে যাঁর উপর অবতরণ করতে দেখবে, জেনো, তিনিই বাপ্তিষ্মদান করবেন পবিত্র আত্মায়। 34আমি তাঁকে দেখেছি এবং আমার সাক্ষ্য এই: ইনিই ঈশ্বরের পুত্র।

বাইবেলের মালাথি পুস্তকে (৪: ৫)

1দেখ, আসন্ন সেই দিন জ্বলন্ত চুল্লীর মত। গর্বোদ্ধত ও দুরাচারীরা আগামী সেই দিনে জ্বালানি কাঠের মত পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, ঝাড়ে মূলে হবে নির্বংশ। 2ভক্তেরা, তোমাদের উপর উদিত হবে আমার পরাক্রম সূর্য। তারই রশ্মিতে তোমরা লাভ করবে নবশক্তি, মুক্তির আনন্দে হবে মাতোয়ারা। 3আমার সেই পরাক্রমের দিনে তোমরা দুষ্টদের ধূলার মত করবে পদদলিত।
4স্মরণ কর আমার দাস মোশির বিধানের কথা। আমি হোরেব পর্বতে সেই অনুশান তাকে দিয়েছিলাম যেন ইসরায়েল কুল তা পালন করে।
5প্রভুর সেই মহাভয়ঙ্কর দিন উপস্থিত হওয়ার আগে আমি তোমাদের কাছে নবী এলিয়কে পাঠাব। 6তিনি মানুষের মাঝে ও শান্তি ও প্রীতি ফিরিয়ে আনবেন, দূর করে দেবেন বিচ্ছেদের অভিশাপ, অন্যথায় আমাকে গিয়ে তোমাদের সবংশে নিধন করতে হবে।

২--রাজাবলি, ২ অধ্যায়

২--রাজাবলি, ২ অধ্যায়
এলিয়র স্বর্গারোহণ
1নবী এলিয়র স্বর্গে যাবার দিন ঘনিয়ে এল। একদিন নবী এলিয় ও ইলিশায় গিলগল থেকে রওনা হলেন। সেইসময় পরমেশ্বর ঘূর্ণিঝড়ে এলিয়কে স্বর্গে তুলে নিতে উদ্যত হলেন। 2যেতে যেতে এক জায়গায় এলিয় ইলিশায়কে বললেন, তুমি এখানে থাক। প্রভু পরমেশ্বর আমাকে বেথেলে যেতে বলেছেন। কিন্তু ইলিশায় তাঁকে বললেন, সদা জাগ্রত প্রভু পরমেশ্বর ও আপনার দিব্য, আমি আপনার সঙ্গ ছাড়ব না। কাজেই দুজনেই বেথেলে গেলেন।
3সেখানকার নবীরা ইলিশায়কে জিজ্ঞাসা করলেন,আপনি কি জানেন যে আজ পরমেশ্বর আপনার কাছ থেকে আপনার গুরুকে তুলে নেবেন? ইলিশায় বললেন,হ্যাঁ, আমি জানি। এ আলোচনা থাক।
4তারপর এলিয় ইলিশায়কে বললেন, তুমি এখানে থাক, পরমেশ্বর আমাকে যেরিকোতে যেতে আদেশ দিয়েছেন। ইলিশায় বললেন, সদা জাগ্রত প্রভু পরমেশ্বর ও আপনার দিব্য, আমি আপনার সঙ্গ ছাড়ব না। কাজেই তাঁরা যেরিকোতে গেলেন।
5যেরিকোর নবীরা ইলিশায়কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি জানেন যে আজ পরমেশ্বর আপনার কাছ থেকে আপনার গুরুকে তুলে নেবেন? ইলিশায় বললেন, হ্যাঁ, আমি জানি। এ আলোচনা থাক।
6এলিয় ইলিশায়কে বললেন, এবার তুমি এখানে থাক, প্রভু পরমেশ্বর আমাকে জর্ডন নদীতে যেতে বলেছেন। কিন্তু ইলিশায় বললেন, সদা জাগ্রত প্রভু পরমেশ্বর ও আপনার দিব্য, আমি আপনার সঙ্গ ছাড়ব না। কাজেই তাঁরা একসঙ্গে চললেন। 7আরও পঞ্চাশজন নবী তাঁদের সঙ্গে জর্ডনে চললেন। এলিয় ও ইলিশায় জর্ডন নদীর তীরে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং তাঁদের একটু দূরে অন্যান্য নবীরা দাঁড়িয়ে রইলেন। 8তখন এলিয় নিজের আলখাল্লাটা খুলে গুটিয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে জলের উপর আঘাত করলেন। জল দুই ভাগ হয়ে দুজনের যাওয়ার মত পথ করে দিল। তিনি ও ইলিশায় শুকনো পথের উপর দিয়ে পার হয়ে গেলেন। 9সেখানে এলিয় ইলিশায়কে বললেন, তোমার কাছ থেকে আমাকে তুলে নেওয়ার আগে বল, তোমার জন্য আমাকে কি করতে হবে? ইলিশায় তাঁকে বললেন, আমাকে আপনার ঐশী শক্তির অংশীদার করুন, যাতে আমি আপনার উত্তরাধিকারী হতে পারি।
10এলিয় বললেন, বড় কঠিন আব্দার করেছ। ঠিক আছে, তোমার কাছ থেকে আমাকে তুলে নেবার সময় আমাকে যদি তুমি দেখতে পাও, তাহলে পাবে। আর যদি দেখতে না পাও, তাহলে পাবে না।
11তাঁরা কথা বলতে বলতে এগিয়ে চলেছেন, এমন সময় হঠাৎ আগুনের ঘোড়ায় টানা আগুনের একটি রথ এসে তাঁদের মাঝখানে দাঁড়াল এবং একটি ঘূর্ণিঝড় এলিয়কে স্বর্গে তুলে নিয়ে গেল। 12ইলিশায় সব দেখতে পেলেন এবং চীৎকার করে উঠলেন, পিতা, আমার পিতা! ইসরায়েলের শক্তিমান রক্ষক, আপনি চলে গেলেন।তারপরে তাঁকে আর দেখতে পেলেন না। দুঃখে ইলিশায় পরণের আলখাল্লাটি ছিঁড়ে দুই টুকরো করে ফেললেন। 13তারপর এলিয়র ফেলে যাওয়া আলখাল্লাটা তুলে নিয়ে জর্ডনের তীরে গিয়ে দাঁড়ালেন। 14এলিয়র আলখাল্লা দিয়ে তিনি নদীর জলের উপরে আঘাত করে বললেন, কোথায় প্রভু, এলিয়ের পরমেশ্বর? তারপর আবার জলে আঘাত করলেন। জল দুই ভাগ হয়ে গেল। তিনি হেঁটে এপারে চলে এলেন। 15যেরিকোর সেই পঞ্চাশজন তাঁকে দেখে বললেন, ইলিশায়ের উপরে এলিয়র ঐশী শক্তি অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁরা তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করলেন 16এবং বললেন, এখানে আমরা পঞ্চাশ জন আছি। সকলেই আমরা শক্ত সমর্থ লোক।আপনি আদেশ করুন, আমরা আপনার গুরুদেবকে খুঁজে আনি। হয়তো পরমেশ্বরের আত্মা তাঁকে নিয়ে গিয়ে কোন পাহাড়ে কিম্বা কোন উপত্যকায় রেখে গেছেন। ইলিশায় বললেন, না, তোমাদের যেতে হবে না।
17কিন্তু তাঁদের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে তিনি তাঁদের অনুমতি দিলেন। তাঁরা পঞ্চাশ জনে সব জায়গায় তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করলেন কিন্তু কোথাও তাঁকে পেলেন না। 18তাঁরা ফিরে এলেন ইলিশায়ের কাছে। তিনি তখনও তাঁদের অপেক্ষায় যেরিকোতে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, আমি তো তোমাদের যেতে বারণ করেছিলাম।
ইলিশায়ের অলৌকিক কাজ
19যেরিকো থেকে কয়েকজন লোক একদিন ইলিশায়ের কাছে গিয়ে বলল, প্রভু, আপনি তো দেখছেন এই নগরটি খুবই ভাল। কিন্তু এখানকার জল খুব খারাপ। এই জল বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে। গর্ভপাত ঘটায়।
20ইলিশায় তাদের আদেশ দিয়ে বললেন, একটা নতুন ভাঁড়ে করে লবণ নিয়ে এস। তারা নিয়ে এল। 21তখন তিনি ঝরণার কাছে গিয়ে জলের মধ্যে লবণটা ফেলে দিয়ে বললেন, প্রভু পরমেশ্বর বলেছেন, আমি এই জল শুদ্ধ করে দিলাম। আর কখনও এই জল মৃত্যু বা গর্ভপাত ঘটাবে না। 22সেই থেকে ইলিশায়ের কথা মত সেই জল আজও বিশুদ্ধ রয়েছে।
23ইলিশায় যেরিকো থেকে বেথেলে রওনা হলেন। পথে শহরের কতকগুলো ছেলে তাঁর সঙ্গে মস্করা করে চীৎকার করতে লাগল, এই টেকো, টেকো, দূর হ এখান থেকে।
24ইলিশায় তাদের দিকে ফিরে কটমট করে তাকিয়ে প্রভুর নামে অভিশাপ দিলেন। তখন জঙ্গল থেকে দুটো ভল্লুকী বেরিয়ে এসে বিয়াল্লিশটা ছেলেকে কামড়ে টুকরো করে ফেলল।
25ইলিশায় চলে গেলেন কার্মেল পাহাড়ে। তারপর সেখান থেকে গেলেন শমরিয়ায়।

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...