প্রশ্ন-বিস্তারিত: কোরআন 1 রাসূল এক ইমাম চারজন কেন?
উত্তর : প্রথমত একটি জীবন বিধানকে সার্বজনীন হতে হলে, সর্বস্থানে সর্বযুগে সর্বসময়ে পালনকৃত হতে হলে, সেই জীবন বিধানে বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিদের ইজতিহাদ এবং গবেষণার দরজা খোলা থাকতে হবে। যাতে বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিগণ (তথা আলেমগণ) কুরআন হাদীসের মূলনীতির ভিত্তিতে বিভিন্ন যুগে ও সময়ে উদ্ভুত প্রশ্নের জওয়াব দিতে পারেন এবং জীবন বিধানের সচলতা রক্ষা হতে পারে। যেমন, দেড় হাজার বছর পর আজ পৃথিবী অনেক পরিবর্তিত হয়েছে, তাই কুরআন হাদীসের ভিত্তিতে আজকের সমস্যাগুলোর সমাধান পাওয়া জরুরী। তাই মূলত: ইমাম চারজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং, যুগে যুগে দায়িত্ব পালনরত আলেমগণ এবং তাদের ইজমা - ই আসলে প্রতি যুগের জন্য ইমাম। আবার , প্রতিটি ব্যাক্তির পক্ষেই কুরআন হাদীস ঘেটে ইসলামের বিধি বিধান বের করা সম্ভব নয়। এটা বাস্তবতা। অতএব, উক্ত চার জন ইমাম যেহেতু নিজেদের জীবন ব্যাপী আমাদের জন্য ইসলামী বিধি বিধান কুরআন হাদীস থেকে চয়ন করে লিপিবদ্ধ করে গেছেন, সেহেতু তাদের জন্য আমাদের দোয়া করা উচিত। এখন তাদের মতপার্থক্যের কারণ কি ? এটা ইসলামের সৌন্দর্য । মানুষ দ্বীন ও শরীয়তের পার্থক্য না বুঝার কারণেই এসব প্রশ্ন করে। দ্বীন এক, কিন্তু শরীয়তের নিয়ম কানুনে পার্থক্য হতে পারে। যেমন, রাসুল সা: একসময় রাফে ইয়াদাইন করেছেন, আবার কোনো এক সময় রাফে ইয়াদাইন করেন নাই। ফলে, যে রাফে ইয়াদাইন করলো আর যে করলোনা, উভয়েই রাসুল সা: এর অনুসরণ করলো। সুতরাং, এ পদ্ধতি হচ্ছে শরীয়ত। শরীয়তের নিয়মে পার্থক্য হতে পারে। কিন্তু, আসল বিষয় হচ্ছে, রাসুলের অনুসরণ। আর এটাই দ্বীন।
No comments:
Post a Comment