প্রশ্ন-বিস্তারিত: আসসাামুআলাইকুম আমাকে তাবলীগ জামাত সম্পর্কে যদি একটু বলতেন? এই জামাত করা যাবে কিনা? যে এর কোন গুলি জায়েজ বা কোনগুলি নাজায়েজ?
উত্তর : দেখুন, আমাদের মূল দলিল হলো কুরআন ও হাদীস। কুরআন হাদীস আমাদের প্রতিদিনের পাঠ্য হওয়া দরকার । কিন্তু, ফাজায়েলে আমলে প্রচুর জাল হাদীস, বানোয়াট গল্প রয়েছে, যা ইসলামী জীবন বিধানের জন্য প্রযোজ্য নয়। আবার নবী রাসুলদের জীবনের ইতিহাস হলো বাতিলের সাথে ময়দানে সংগ্রামের ইতিহাস। যুদ্ধের ইতিহাস, জীবন দেওয়ার ইতিহাস। পুরো কুরআন জুড়েই নবীদের জীবনের এ দ্বন্দ্ব সংগামের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। এখন তাবলীগ জামাতকে শুধুমাত্র দাওয়াতী কাজের প্রাথমিক স্তর বলা যেতে পারে। এবং তাদের মধ্যকার জাল জয়ীফ হাদিস এবং বানোয়াট গল্প গুলো বাদ দেওয়া উচিত। এই দাওয়াতী প্রাথমিক স্তর তারা সুচারুরূপে পালন করছে। কিন্তু, ইসলাম পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, এই কনসেপ্ট বা কর্মসূচী তাবলীগ জামাতে নেই। তাবলীগ জামাতে যোগ দেওয়ার পরও একজন ব্যাক্তি কুফুরী শাসন ব্যবস্থা, যার বিরুদ্ধে ছিল নবীদের সংগ্রাম, সেই কুফুরী শাসন ব্যবস্থাকে সে সমর্থন করতে পারে। সুতরাং, আপনি ব্যাক্তিগত ভাবে যত আমলই করেন না কেন, যদি বৃহত্তর ফায়সালার ক্ষেত্রে শয়তানকে, তাগুতকে সমর্থন করেন, অথচ, কুরআনে তাদের বিরোধিতা করার পরিস্কার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহর কাছে আপনার ব্যাক্তিগত আমলের কোনোই মূল্য থাকবে না।
No comments:
Post a Comment