বর্তমানে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংক ও সুদ ।

 প্রশ্ন-বিস্তারিত: আমি একজন ব্যাংকার,ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করি,এখানে যে কাজ গুলো হয়,তা আমার কাছে সুদের মতই মনে হয়,তাহলে কি আমার ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা ঠিক হবে।


উত্তর :

প্রথমত বিষয় হচ্ছে, মনে হওয়া এক জিনিস আর সত্যিকার অর্থেই কুরআন হাদীস অনুযায়ী কিনা তা আরেক জিনিস। কুরআন হাদীস এবং স্কলারদের সুদ ও ব্যাংকিং এর উপর লিখিত বই পুস্তক পড়বেন। যদি দেখেন, কুরআন হাদীস অনুযায়ী সুদ, তাহলে তো চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে।


আর দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দেশীয় অর্থনীতি যদি সুদ ভিত্তিক হয়, তাহলে আসলে ১০০% সুদবিহীন ব্যাংক পরিচালনা করা মোটেও সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি সুদে জড়িত না হয়ে, যদি গ্রাহকদেরকে সুদ থেকে বাচিয়ে রাখার স্কীম গ্রহণ করা হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের সাথে সুদী লেনদেন থেকে আগত সুদগুলো ব্যাংক যদি অন্য কোনো জনকল্যাণমুলক কাজে ব্যয় করে, মন্দের ভালো হিসেবে এবং সুদবিহীন ব্যাংকিং গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এইটি একটি পদক্ষেপ হতে পারে মাত্র। এটা সাময়িক। এ অবস্থায় সেখানে চাকুরী করা আপনার জন্য জায়েজ। বিষয়টি এমন, যেমন হযরত ইউসুফ আ: একটি অনৈসলামি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তার ব্যাক্তিগত সমস্যায় তার ভাই এর থলেতে পেয়ালা পাওয়ার অজুহাতে তার ভাইকে নিজের কাছে রেখে দিলেন। কারণ, তার নিজের শরীয়তে চুরি করার শাস্তি ছিল গোলাম বানিয়ে রাখা। অতএব, একটি ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়া পত্তনের সময় এমন অনেক বিষয় এর সাথে আপোষ করতে হয়, একদিনেই হুট করে একটি সমগ্র অর্থনীতি পরিবর্তন করে দেওয়া যায় না। যেমন, মদ হারাম হয়েছিল, অনেক পরে। এ বিষয় গুলো নিয়ে কিছু চিন্তা ভাবনা করা দরকার।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...