যে সকল দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ ।

 যে সকল দিনে রোযা রাখা নিষিদ্ধ

--------------------
প্রশ্ন: মোট কতটি এবং কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম?

উত্তর: যে সকল দিন রোযা রাখা হারাম তা নিম্নরূপ:
🔹১) ঈদুল ফিতর (রামাযানের ঈদ) এর দিন।
🔹২) ঈদুল আযহা (কুরবানী) এর দিন।
🔹৩) ঈদুল আযহার এর পরে আরো তিন দিন। অবশ্য তামাত্তু বা কিরানকারী হাজিগণ যদি কোনও কারণে কুরবানী দিতে অপারগ হয় তাহলে এর পরিবর্তে মক্কায়  ঈদুল আযহার পরের তিন দিন অর্থাৎ,  যিলহজ্জ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে রোজা রাখবে। (আর নিজ গৃহে ফিরে এসে আরো ৭টি রাখবে)
🔹৪) বিরামহীনভাবে সারা বছর রোজা থাকা।
কেউ সারা বছর নফল রোযা রাখতে চাইলে তার করণীয় হল, বিরামহীন ভাবে না রেখে এক দিন পরপর রাখা। এটি ছিল দাউদ আ. এর আদর্শ। রাসূল সা. এটিকে সর্বোত্তম পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
🔹৫) নির্দিষ্ট করে কেবল শুক্রবার রোজা থাকা। অবশ্য এর আগে বা পরে মিলিয়ে দুটি রোযা রাখা যাবে। (তবে কারও যদি কর্মব্যস্ততা বা কোন কারণে অন্য দিন রোযা রাখা সম্ভব না হয় তাহলে সে কেবল শুক্রবারে নফল রোযা রাখতে পারে। তবে চেষ্টা করবে এর আগে বা পরে আরেকটি রোযা রাখার যদি সম্ভব হয়। সম্ভব না হলে সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ)
🔹৬) অনুরূপভাবে শাবান মাসের ৩০ তারিখে যদি রমাযানের চাঁদ উদিত হওয়ার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নিশ্চয়তা না পাওয়া তবে সে দিন রোজা থাকা নিষিদ্ধ।এটিকে ইয়ামুশ শাক বা সন্দেহের দিন বলা হয়। কারণ সে দিন সন্দেহ থাকে যে, এটি কি শাবান মাসের ৩০ তারিখ না কি রামাযান মাসের ১ম তারিখ? তাই সে দিন রোযা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আল্লাহু আলাম।
---------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...