উত্তর : হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানি করল না (অর্থাৎ কুরবানি করার সংকল্প তার নেই) সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ (৩১২৩), মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম) ।
এখন ঈদের দিন আপনাকে ঈদের নামাজ পড়তে যাইতে নিষেধ করে ধমক দেওয়া হলো। এখন কোন ব্যাক্তিকে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয় ?
মসজিদে প্রবেশ করতে বা ঈদগাহে যেতে তো দুরের কথা ঈদের নামাজ পড়া হয় যে মসজিদে বা ঈদগাহে তার কাছে যেতেও কোন ধরণের ব্যাক্তিকে নিষেধ করা হয় ?
অবশ্যই বেঈমান ব্যাক্তিকে ।
সুতরাং, কুরবানী না করার গুণাহ কি বুঝতে পারছেন ?
হযরত ইবরাহীম আ: আমাদের মুসলিমদের জাতির পিতা। এখন তার এত বড় ত্যাগ এর মাধ্যমে যে নিয়মটির সাথে আমাদের ঈদ হিসেবে ঘোষণা করা হলো, আপনি আপনার সামর্থ্য থাকার পরেও আল্লাহর নামে কুরবানী করার সেই ইবাদতটি পালন করছেন না, আপনি কি গুণাহগার নন ? ঈদের নামাজ যদি পড়তে নাই পারলেন, তাহলে ঈদুল আযহার উৎসব পালন করবেন কিভাবে? নিজে সামর্থ্য থাকার পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে কুরবানী করলেন না, পয়সা খরচ করলেন না, অথচ, অন্য ব্যাক্তি কুরবানী করে আপনাকে গোশত পাঠালে সেই গোশত তো ঠিকই খাবেন, লজ্জা করবেনা খেতে ?
No comments:
Post a Comment