প্রশ্ন: ২৫৭ : সালাতুদ দোহা ।

সালাতুত দোহা বা চাশতের সলাত, একটি গুরুত্বপূর্ন নফল সলাত। বলা হয়ে থাকে এটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নফল সলাত। প্রথম হলো তাহাজ্জুতের সলাত এবং দ্বিতীয় হলো এই সালাতুত দোহা বা চাশতের সলাত । আসুন জেনেনেই এই সলাতের গুরুত্ব এবং সলাতের বিভিন্ন নিয়মকানুন ।  

সালাতুত দোহা বা চাশতের সলাত কেন এত গুরুত্বপূর্ন?

চাশতের সলাতের গুরুত্ব বুঝতে চলুন প্রথমে একটি হাদিস দেখে নেইহাদিস টি আবু যর রাঃ থেকে বর্ণিত
 আবূ যার (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেন, “তোমাদের প্রত্যেকেই এমন অবস্থায় প্রভাব করে যেতাকে তার প্রত্যেক জোড়াগুলোর পরিবর্তে সাদকাহ দেয়া লাগে। কাজেই প্রত্যেক বার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা সাদকাহ হিসেবে বিবেচিত হয়প্রত্যেক বার ‘আল্লাহু আকবর’ বলা সাদকা হিসেবে গণ্য হয় এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করাও সাদকাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এসবের মুকাবিলায় চাশতের দু’রাকআ’ত নামাযই হবে যথেষ্ট”। (মুসলিম ৭২০)
অর্থাৎ প্রতিদিন সকালে আমাদের প্রতিটি জোড়ার জন্য সাদকাহ করতে হয় আর তা আল্লাহু আকবারসুবাহানআল্লাহআলহামদুলিল্লাহলা-ইলাহা ইল্লালাহ ইত্যাদি বলারসৎ কাজ করাঅসৎ কাজ থেকে নিষেধ করার মাধ্যমে হয়ে থাকে । আর সালাতুত দোহা বা চাশতের সলাত আদায়ের মাধ্যে এই সাদকাহ আদায় হয়ে যায় । 
তাছাড়া রাসূল সাঃ এই সলাতের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং তিনিও প্রায় নিয়মিতই এই সলাত পড়তেন। তাছাড়া অপর এক হাদিসে আবু হুরায়রা রাঃ বলেন-
 তিনি বলেনআমার খলীল ও বন্ধু [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যাত (বিশেষ আদেশ) করেছেনমৃত্যু পর্যন্ত তা আমি পরিত্যাগ করব না। (তা হলঃ) ১. প্রতি মাসে তিনদিন সিয়াম পালন করা। ২. সালাতুয-যোহা (চাশত এর সালাত আদায় করা)। ৩. বিত্‌র (সালাত) আদায় করে শয়ন করা
(সহিহ বুখারী, তাহাজ্জুদ অধ্যায়, ১১৭৮)

অর্থাৎ সালাতুত দোহার এত গুরুত্ব যেরাসূল সাঃ আবু হুরায়রা রাঃ কে এ ব্যাপারে ওসিয়্যাত বা বিষেশ আদেশ করে গেছেন এবং তিনি এই ওসিয়্যাত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পালন করার সিন্ধান্ত নিয়েছেন । 
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে এই সলাতের গুরুত্ব অন্য সকল নফল সলাত থেকে বেশি ।

চাশতের নামাজ কখন পড়তে হয় ?

চাশতের নামাজ পড়তে হয় সূর্য উঠার ১৫ থেকে ২০ পর (যখন হারাম সময় পার হয়ে যায়) যোহর পর্যন্ত । যদিও এ সময় ইশরাকের সলাত রয়েছে ২ রাকাত । এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে,
আসিম ইবনে যামরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
 তিনি বলেনআমরা আলী (রাঃ) এর কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিনের (নফল) সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনতোমরা আসেভাবে আদায় করার ক্ষমতা রাখো না। বর্ণনাকারী বলেনআমরা বললামআমাদের মধ্যে যে সামর্থ্য রাখে সে আদায় করবে। এরপর তিনি বললেনআসরের সময় সূর্য যতটা উপরে থাকে তেমন হলে তিনি ২ রাক’আত (ইশরাক সালাত) আদায় করতেন। আবার যোহরের সময় সূর্য যতটা উপরে থাকে (পূর্ব দিকে সূর্য ততটা উপর হলে) তিনি ৪ রাক’আত (চাশতের সালাত) আদায় করতেন। যোহরের পূর্বে ৪ রাক’আত ও পরে ২ রাক’আত এবং আসরের পূর্বে ৪ রাক’আত আদায় করতেন। প্রতি ২ রাক’আতে নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতানবীগণ এবং যেসকল মুমিন-মুসলিম তাদের অনুসরণ করেছেন তাদের প্রতি সালাম প্রেরণের মাধ্যমে ব্যবধান করতেন

(সুনানে নাসাঈ, হা/৮৭৪; ইবনে মাজাহ, হা/১১৬১)

অর্থাৎ সূর্য যখন পূর্ব আকাশ থেকে উপরে উঠতে শুরু করেযেমনি ভাবে আসরের সময় সূর্য পশ্চিম আকাশে যেখানে থাকে তেমন পূর্ব আকাশে সূর্য আসলে ইশরাকের সলাত আদায় করতেন ।  আর তার থেকে উপরে উঠলে সালাতুত দোহা বা চাশতের সলাত আদায় করতেন । 
আরো সহজ করে বললেসকাল ৬:৩০ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত এমন সময় কালে ইশরাকের সলাত এবং ৯ টা থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত বা সূর্য মাথার উপর উঠা পর্যন্ত চাশতের সলাত আদায়ের সময় । 

চাশতের সলাত কত রাকাত?

চাশতের সলাত ২ থেকে শুরু করে যত ইচ্ছা দুই দুই করে পড়া যায় । তবে অনেক হাদিস থেকে জানা যায় আল্লাহর রসূল সাঃ ৪ রাকাতের নিচে চাশতের সলাত পড়তেন না । তাই সর্বনিম্ন ৪ রাকাত পড়া সহীহ হবে । 
যেমন হাদীসে এসেছেমু’আযা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, 
 আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম যেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি চাশতের সালাত আদায় করতেনউত্তরে তিনি বললেনহ্যাঁ- ৪ রাক’আত সালাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন
সহীহ মুসলিমহা/১৬৯৬ইবনে মাজাহহা/১৩৮১মুসনাদে আহমাদহা/২৪৬৮২বায়হাকীহা/৪৬৭৯সহীহ ইবনে হিব্বানহা/২৫২৯শারহুস সুন্নাহহা/১০০৫

এছাড়াও অপর এক হাদিসে এসেছে আল্লাহর রাসূল সাঃ চাশতের সলাত ১২ রাকাতও পড়তেনযেমন- আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
 যদি কখনো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিদ্রা বা প্রবল ঘুমের চাপের কারণে তাহাজ্জুদ আদায় করতে না পারতেনতাহলে তিনি দিনে (চাশতের সময়) ১২ রাক’আত সালাত আদায় করে নিতেন
শারহুস সুন্নাহহা/৯৮৬সহীহ ইবনে হিব্বানহা/২৬৪৫

সুতরাং চাশতের সলাত আমাদের সাধ্য মত ২ থেকে যত বেশি পড়া যায় পড়তে পারবো তবে সর্বনিম্ন ৪ রাকাত (যদি সমস্যা না থাকে) পড়া উত্তম হবে । 

চাশতের সলাত পড়তে কোন নিয়ম আছে কি?

চাশতের সলাত অন্য সকল নফল সলাতের মতই একটি সলাত এটি পড়তে আলাদা কোন নিয়ম কানুন নেই । সাধারন নফল সলাতের মত পছন্দ মত সুরা মিলিয়ে পড়া যায় । 

পরিশেষে একটি বিষয় বলতে চাই তাহলো আজ কাল আমরা মুসলিমরা এই নফল ইবাদতের আমল একদম করি না বললেই চলে । সত্যি কথা বলতে আমরা অনেকেই এমন এখনো আছি যারা একবারো জীবনে এই সলাত আদায় করি নি । তাই আসুন এই সুন্নাহকে আমরা জীবিত করি আমাদের আদায় করার মাধ্যমে যার ব্যাপারে রাসূল সাঃ এত গুরুত্ব দিয়েছেন যে তিনি বলতেন "আমার মা-বাবাকে জিন্দা করে পাঠানো হলেও আমি এই আট রাক’আতকে (চাশতের সলাত) ছাড়ব না।" (মুয়াত্তা ইমাম মালিক পরিচ্ছেদঃ ৮) । 
আমাদের যদি অত্যন্ত ব্যাস্ততায় দিন চলে যায় অথবা আমরা যদি আমাদের জীবিকা বা চাকরি নিয়ে বেশি ব্যাস্ত থাকিতবুও যেন ছুটির দিন গুলোতে আদায় করি । ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা আমাদের উত্তম প্রতিদান দিবেন । আমিন ।

প্রশ্ন: ২৫৬ : পশু জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে

জিজ্ঞাসা–: আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, আমি জানতে চাচ্ছি যে, হোটেল রেষ্টুরেন্টে বা বাড়িতে মুসলমানরা যদি বিসমিল্লাহ না পড়ে মুরগী গরু জবাই করে, তাহলে এটা কি খাওয়া একেবারেই হারাম? জাযাকাল্লাহ।–মামুন হোসেন।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে সে পশু খাওয়া হারাম হয়ে যাবে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)
তবে ভুলে বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে জবাই সহীহ হয়ে যায়। ‘বিসমিল্লাহ’ ভুলে যাওয়ার কারণে জবাইকৃত পশু-পাখি হারাম হয়ে যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। (সূরা বাকারা ২৮৬)
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
  إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন। (ইবন মাজাহ ২০৪০)
ভুলবশত বিসমিল্লাহ না পড়ে জবাই করা সম্পর্কে তাবিঈ ইবরাহীম নাখায়ী রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৮৫৪০)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী




কুরবানীর সময় বিসমিল্লাহ ছাড়া আর কোন দুআ পড়ার বিধান আছে কি?

প্রশ্ন
মোঃ সাজিদ সরকার, গন্ডারদিয়া,  শুকুন্দী, মনোহরদী, নরসিংদী।
হযরত কেমন আছেন?
কুরবানী করার সময় বিসমিল্লাহ ছাড়া অন্য কোন দোয়া আছে কি?  যদি থাকে তাহলে না পড়লে কি কুরবানী হবে ?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরবানীর দুআ
যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করাু আবশ্যক। যদি আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١]
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২১}
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحٍ، قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الوَحْيُ، فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُفْرَةٌ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ: إِنِّي لَسْتُ آكُلُ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنْصَابِكُمْ، وَلاَ آكُلُ إِلَّا مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ،

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ এর কাছে ওহী নাজিল হবার আগে জায়েদ বিন নুফাইল এর সাথে আসফালি বালদাহ নামক স্থানে সাক্ষাৎ হয়। তখন রাসূল সাঃ এর সামনে দস্তরখান বিছানো হয়। [আর কিছু গোস্ত উপস্থিত করা হয়] রাসূল সাঃ তা খেতে অস্বিকৃতি জানালেন। তারপর জায়েদ বলেন, আমি সে প্রাণী খাই না, যা তোমরা মুর্তির নামে জবাই কর। আমি শুধু ঐ প্রাণীই ভক্ষণ করি যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে। {বুখারী, হাদীস নং-৩৮২৬, ৩৬১৪}

(وَمِنْهَا) التَّسْمِيَةُ حَالَةَ الذَّكَاةِ عِنْدَنَا أَيُّ اسْمٍ كَانَ، وَسَوَاءٌ قَرَنَ بِالِاسْمِ الصِّفَةَ بِأَنْ قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعْظَمُ، اللَّهُ أَجَلُّ، اللَّهُ الرَّحْمَنُ، اللَّهُ الرَّحِيمُ، وَنَحْوُ ذَلِكَ، أَوْ لَمْ يَقْرُنْ بِأَنْ قَالَ: اللَّهُ، أَوْ الرَّحْمَنُ، أَوْ الرَّحِيمُ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ، وَكَذَا التَّهْلِيلُ وَالتَّحْمِيدُ وَالتَّسْبِيحُ وَسَوَاءٌ كَانَ جَاهِلًا بِالتَّسْمِيَةِ الْمَعْهُودَةِ أَوْ عَالِمًا (الفتاوى الهندية، كتاب الذبائح، الباب الأول-5/285، قاضى خان على همش الهندية، كتاب الصيد والذبائح، باب فى الذكاة-3/369، خلاصة الفتاوى، كتاب الذبائح-4/308، تبيين الحقائق، كتاب الذبائح-6/452، بدائع الصنائع، كتاب الذبائح، فصل فى شرط حل الأكل فى الحيوان المأكول6/243، رد المحتار، كتاب الذبائح-6/301)
কুরবানী হোক বা এমনিতেই জবাই করা হোক সর্বাবস্থায় আল্লাহর নাম নিযে জবাই করা আবশ্যক। তবে কুরবানীর সময় আলাদাভাবে একটি দুআ পড়া মুস্তাহাব। এটি না পড়লেও কুরবানী হয়ে যাবে। কুরবানীতে কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না।
সে দুআটি হল,
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ، وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ مِنْكَ، وَلَكَ
ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজ ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়ালআরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়ানুসুকী ওয়ামাহইয়ায়া ওয়ামামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়াবিজালিকা উমিরতু ওয়াআনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১২১।
এরপর বলবে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
তারপর জবাই শেষে পড়বে-
اللهم تقبل منى كما تقبلت من حبيبك محمد وخليلك ابراهيم عليه الصلاة والسلام
আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী [নিজের কুরবানী হলে, আর অন্যের পক্ষ থেকে হলে পড়বে মিনহু একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে হলে পড়বে মিনহুম] কামা তাকাব্বালতা মিন হাবীবিকা মুহাম্মাদিও ওয়াখালীলিকা ইবরাহীম আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম। [তিরমীজি, হাদীস নং-১৫২১ নং হাদীস থেকে ইস্তিম্বাতকৃত]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।




ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে কুরবানী করে ফেললে কুরবানী হবে না?

প্রশ্ন
কুরবানির সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে কি করবে।
প্রশ্নকর্তা-KAMRUN NAHA
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
ইচ্ছেকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কুরবানী হবে না। কিন্তু যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কুরবানী হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই।
وان ترك الذابح التسمية عمدا فالذبيحة ميتة لا توكل وان تركها ناسيا اكل (هداية آخرين-419
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

প্রশ্ন: ২৫৫ : ঈদের নামাজ সুন্নত, ওয়াজিব না ফরজ ?

 হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব, মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া। 

প্রশ্ন: ২৫৪ : যাদেরকে বিবাহ করা বৈধ এবং যাদেরকে বিবাহ করা অবৈধ।

( পুরো প্রবন্ধটি পড়ুন)

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদের, মেয়েদের, বোনদের, ফুফুদের, খালাদের, ভাতিজিদের, ভাগ্নিদের, তোমাদের সেই সব মাতাকে যাঁরা তোমাদের দুধ পান করিয়েছেন, তোমাদের দুধবোনদের, তোমাদের শাশুড়িদের, তোমরা যেসব স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত (দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন) হয়েছ সেই সব স্ত্রীর অন্য স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদের, আর যদি তোমরা তাদের সঙ্গে মিলিত না হয়ে থাকো, তবে তোমাদের ওপর কোনো পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদের এবং দুই বোনকে একত্র করা (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর (হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে অন্যের বিবাহিতদের। তবে তোমাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে (দাসী) তারা ছাড়া। এটি তোমাদের ওপর আল্লাহর বিধান এবং এরা ছাড়া সব নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদের চাইবে বিয়ে করে, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৩-২৪)

যেসব নারীকে বিয়ে করা হারাম
নিম্নে বর্ণিত ১৩ প্রকার নারীকে বিয়ে করা হারাম :
১.  আপন মা, বাবা ও দাদা-নানার স্ত্রীরা এবং তাদের কামভাব নিয়ে স্পর্শকৃত নারী। এরূপ ঊর্ধ্বতন সব দাদা-নানার স্ত্রীরা।
২.  মেয়ে এবং ছেলে ও মেয়ের ঘরের সব নাতনি।
৩.  সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ফুফু।
৪.  সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় খালা।
৫.  সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় বোন ও তাদের সন্তানাদি।
৬.  সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ভ্রাতৃকন্যা ও তাদের সন্তানাদি।
৭.  দুধমাতা, তার মাতা, দাদি, নানি—এমনিভাবে ওপরের সব নারী।
৮.  স্ত্রীর মেয়ে, যদি স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকে।
৯.  পুত্রবধূ, আপন ছেলের হোক বা দুধছেলের হোক।
১০. আপন শাশুড়ি, দাদিশাশুড়ি, নানিশাশুড়ি এবং ওপরে যারা রয়েছে।
১১. দুই বোন একত্রীকরণ, এমনিভাবে ফুফু ও তার ভাতৃকন্যা, খালা ও তার ভাগ্নিকন্যাকে একসঙ্গে বিয়ের মধ্যে রাখা।
১২. উল্লিখিত রক্ত সম্পর্কের কারণে যারা হারাম হয়েছে, দুধ সম্পর্কের কারণেও তারা সবাই হারাম হয়।
১৩. যে মেয়ে অপরের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। এ ছাড়া অন্য সব নারীকে বিয়ে করা হালাল। (দেখুন : সুরা : নিসা, আয়াত ২৩-২৪)

স্ত্রীর বর্তমানে শালিকে বিয়ে করা অবৈধ
কোনো নারী কারো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকাকালীন তার বোনের সঙ্গে বিয়ে সম্পূর্ণ হারাম। প্রথম বোনের সঙ্গে তালাক হয়ে গেলে মহিলার ইদ্দত শেষ হওয়ার পর অথবা বোন মারা গেলে তখন তার বোনের সঙ্গে বিয়ে বৈধ। (হিন্দিয়া : ১/২৭৭)

পরস্পর লেগে থাকা যমজ দুই বোনের বিয়ের বিধান
জন্মগতভাবে পরস্পর জড়ানো যমজ দুই বোনের জন্ম হলে দুই বোনকে এক ব্যক্তি একত্রে বিয়ে করতে যেমন পারবে না, তেমনি দুই বোনকে দুই ব্যক্তির কাছে বিয়ে দেওয়াও সম্ভব নয়। শুধু এক বোনকে একজন লোকের কাছে বিয়ে দিলেও পর্দার বিধান রক্ষা করে তাকে নিয়ে সংসার করা সম্ভব হবে না। তাই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হবে, অপারেশনের মাধ্যমে দুই বোনকে আলাদা করার চেষ্টা করা, যা বর্তমান যুগে ব্যয়বহুল হলেও সম্ভব। অতঃপর দুই বোনকে পৃথক দুই ব্যক্তির কাছে বিয়ে দেওয়া। আর পৃথক করা কোনোভাবে সম্ভব না হলে তাদের চিরকুমারী থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৬২; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ২/২৩৯)
তবে, এ ব্যাপারে দ্বিতীয় আরেকটি মতও রয়েছে,  অনেক আলেমের মতে দুই বোনকে পৃথক করা সম্ভব না হলে তাদেরকে এক ব্যাক্তির কাছেই বিবাহ দিতে হবে। 

চাচাতো ভাই-বোনের মেয়েকে বিয়ে করা বৈধ
আপন ভাই বা বোনের মেয়েকে বিয়ে করা হারাম। তবে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাই ও বোনের মেয়ে মুহাররমাতের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই তাদের বিয়ে করা জায়েজ হবে। (বিনায়া : ৪/৫০৮)

দুধবোন ও তার মেয়েকে বিয়ে করা হারাম
শরিয়তের আলোকে দুধবোনকে বিয়ে করা সম্পূর্ণ হারাম ও নিষেধ। বংশীয় সম্পর্কে সহোদর বোনের মেয়েকে বিয়ে করা যেমন হারাম, দুধবোনের মেয়ে বিয়ে করাও তেমনি হারাম। (বুখারি, হাদিস : ২৬৪৫; বাদায়েউস     সানায়ে : ৪/২)

প্রাপ্তবয়স্ক স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী হারাম হবে না
সাবালক স্বামীর নিজ স্ত্রীর দুধ পান করা শরিয়তে নিষিদ্ধ ও গর্হিত কাজ। তবে এর দ্বারা বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হবে না। সহবাসের সময় উত্তেজনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ত্রীর স্তন মুখে নিতে পারবে, তবে দুধ যেন ভেতরে না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ৩/২২৫)

একাধিক নারী থেকে সংগৃহীত দুধ ফ্রিজে রেখে পান করানো
কোনো সন্তান দুই বছর বয়সের মধ্যে কোনো একজন নারীর বা একাধিক নারীর দুধ পান করলে ওই সন্তান ওই নারী বা নারীদের দুধসন্তান হিসেবে গণ্য হয়ে যায়—চাই সন্তান সরাসরি মহিলার স্তন থেকে দুধ পান করুক বা মহিলার স্তন থেকে বের করা দুধ সন্তানকে পান করানো হোক। কিন্তু এর জন্য দুধ অপরিবর্তিত থাকা শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/৯)

দুধব্যাংকের শরয়ি বিধান
পশ্চিমা দেশগুলোতে মহিলাদের দুধ সংরক্ষণ করে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে বংশের হেফাজত অত্যন্ত জরুরি। আর এ ধরনের দুধব্যাংকের কারণে আত্মীয়তার সম্পর্কে সংমিশ্রণ ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তাই এ পদ্ধতি গ্রহণ করে দুধ খাওয়ানো বৈধ নয়।
এর কোনো প্রয়োজনীয়তাও নেই। কারো মা না থাকলে দুধের প্রয়োজনে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী কারো থেকে গ্রহণ করতে পারে। তবে দুধব্যাংক থেকে দুধ পান করলে যার দুধ জানা সম্ভব হলে তার সঙ্গে হুরমত সাব্যস্ত হয়ে যাবে। (কারারাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, পৃষ্ঠা ২, ৩)

পালিত মেয়েকে বিয়ে করা বৈধ
যদি কারো পালিত মেয়ে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর অথবা কোনো মাহরামের দুধ দুই বছর বয়সের মধ্যে পান করে না থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে জায়েজ। এ ক্ষেত্রে পর্দা করাও ফরজ। (সুরা : আহজাব, আয়াত ৩৩; ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ : ৭/২৪৪)

কামভাব নিয়ে পুত্রবধূকে স্পর্শ করা ও তাকানো
শ্বশুরের জন্য পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টিতে তাকানো মারাত্মক গুনাহ ও হারাম। যদি শ্বশুর কামভাব নিয়ে পুত্রবধূর খালি শরীরে বা পাতলা কাপড়ের ওপর দিয়ে স্পর্শ করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ছেলের জন্য ওই পুত্রবধূ হারাম হয়ে যাবে।
তবে শর্ত হলো, স্পর্শের বিষয়টি স্বীকারোক্তি বা সাক্ষীর মাধ্যমে প্রমাণিত হতে হবে অথবা ছেলে ওই কথার দাবিকারীকে প্রবল ধারণামতে সত্য মনে করতে হবে। এ অবস্থায় উভয়ে পৃথক হয়ে যেতে হবে। (বাদায়েউস  সানায়ে : ২/২৬০, রদ্দুল মুহতার ৩/৩৩)

জামাতা-শাশুড়ি পরস্পর কামভাব নিয়ে দেখা বা স্পর্শ করা
বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দিকে কামভাব নিয়ে তাকালে গুনাহ হলেও ‘হুরমাতে মুসাহারাত’ সাব্যস্ত হয় না। বরং খোলামেলা কোনো অঙ্গ কামভাবে স্পর্শ করার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয় তথা স্ত্রী চিরতরে হারাম হয়ে যায়। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১০৮৩২)

অবৈধ শয্যাসঙ্গিনীর মেয়েকেও বিয়ে করা হারাম
যার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তার মেয়েকে বিয়ে করাও অবৈধ। কেননা ওই মেয়ের সঙ্গে এখন তার কন্যার সম্পর্ক হয়ে গেছে। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৬০)

তালাক গ্রহণ ছাড়া অন্যজনের সঙ্গে বিয়ে
আগের স্বামীর তালাক প্রদান ছাড়া অন্য কোনো বিয়ে শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। ওই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে। তেমনি আগের স্বামীর ইদ্দত চলাকালেও বিয়ে বাতিল হবে। (তাফসিরুল জালালাইন, পৃষ্ঠা ১০৪; রদ্দুল মুহতার : ৩/৫১৯)

ইহুদি-খ্রিস্টান মেয়ে বিয়ে করা
বর্তমান যুগের ইহুদি-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বলে যারা পরিচিত, নির্ভরযোগ্য মতানুসারে তারা ইহুদি-খ্রিস্টানদের মূলনীতির অবিশ্বাসী। বর্তমানে বাস্তব আহলে কিতাব নেই বললেই চলে। এ ছাড়া বর্তমানে তাদের নারীদের বিয়ে করা অনেক ফিতনার কারণ হয়ে থাকে বিধায় তাদের বিয়ে করা বৈধ নয়।
তবে এ ধরনের নারীদের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেলে তার ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে যে সে প্রকৃত অর্থে মুসা (আ.) ও ঈসা (আ.)-এর আনীত ধর্মে বিশ্বাসী কি না। তাওরাত বা ইঞ্জিলে বিশ্বাসী কি না। এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করে কি না। যদি সত্যিই তা হয় তাহলে তাকে দাওয়াতের মাধ্যমে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করার শর্তে ওই বিয়েকে বাতিল বলা যাবে না। আর যদি প্রমাণিত হয় যে সে নাস্তিকতায় বিশ্বাসী, তাহলে এই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হবে। (রদ্দুল মুহতার : ৩/৪৫; ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৭/২৬১)

হিন্দু-মুসলিম বিয়ের বিধান
শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসলিম পুরুষ কোনো হিন্দু মহিলাকে, তেমনি মুসলিম নারী হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করতে পারে না, যতক্ষণ তারা ইসলাম গ্রহণ না করে। ইসলাম গ্রহণ ছাড়া বিয়ে অবৈধ। এ ধরনের বিয়ে শরিয়তে বিয়ে বলে গণ্য হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা মুশরিককে বিয়ে কোরো না, যতক্ষণ তারা ঈমান না আনে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২১)


প্রশ্ন: ২৫৩ : নামাজের আলোচনা : মিজানুর রহমান আজহারী ।


এখানে দেখুন।

প্রশ্ন: ২৫২ : ফরজ গোসল অবস্থায় কোন কোন কাজ করা যাবে আর কোন কোন কাজ করা যাবে না।


এখানে উত্তর দেখুন । 

প্রশ্ন: ২৫১ : ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম।


এখানে উত্তর দেখুন। উত্তর দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। 

Privacy Policy For LoginLike Facebook App

App Package android.learning.loginlike  Privacy Policy

android.learning.loginlike Privacy Policy

This Privacy Policy describes how your personal information is collected, used, and shared when you use this app - package name: android.learning.loginlike  (the app).

PERSONAL INFORMATION WE COLLECT

When you use this app, we automatically collect certain information about your device, including information about your name, phone number, time zone, dates  are installed on your device. Additionally, as you use this app, we use your sd card as wel as your device storage, your device location, collect information about how you interact with the app. We refer to this automatically-collected information as - Device Information.

We collect your Device Information using the following technologies:

    -  Cookies - are data files that are placed on your device or computer and often include an anonymous unique identifier. For more information about cookies, and how to disable cookies, visit http://www.allaboutcookies.org.
    - Log files  - track actions occurring on the App, and collect data including your IP address, device type, Internet service provider, referring/exit pages, and date/time stamps.
    - Web beacons, tags, and pixels are electronic files used to record information about how you use the App.
    - Device location - as it is a finding driver app, we have to know your location, so that the driver who accepted your request can easily find you and provide the service where you want to go.
    - Device Service - we  use your device service part, as the drivers send you messages, and send messages when they accept your request.
    - Device Messaging Service - we use your devices messaging service part, as the drivers send you messages, and send messages when they accept your request.
    - Additionally when you make a request or attempt to make a request through the app, we collect certain information from you, including your name, location, place, addresses  and phone number.  We refer to this information as - request Information.
   

When we talk about - Personal Information- in this Privacy Policy, we are talking both about Device Information and request Informations.

HOW DO WE USE YOUR PERSONAL INFORMATION?

We use the request Information that we collect generally to fulfill any request placed through the App (including processing your location information, arranging drivers, and providing you with invoices and/or request confirmations).  Additionally, we use this request Information to:
  
    -Communicate with you;
    -Screen your request for potential risk or fraud; and
When in line with the preferences you have shared with us, provide you with information or advertising relating to our products or services.

We use the Device Information that we collect to help us screen for potential risk and fraud (in particular, your IP address), and more generally to improve and optimize our App (for example, by generating analytics about how our customers request and interact with the App, and to assess the success of our marketing and advertising campaigns).


SHARING YOUR PERSONAL INFORMATION


We share your Personal Information with third parties to help us use your Personal Information, as described above.  For example, we use Shopify to power our online store--you can read more about how Shopify uses your Personal Information here:  https://www.shopify.com/legal/privacy.  We also use Google Analytics to help us understand how our customers use the Site--you can read more about how Google uses your Personal Information here:  https://www.google.com/intl/en/policies/privacy/.  You can also opt-out of Google Analytics here:  https://tools.google.com/dlpage/gaoptout.

Finally, we may also share your Personal Information to comply with applicable laws and regulations, to respond to a subpoena, search warrant or other lawful request for information we receive, or to otherwise protect our rights.

BEHAVIOURAL ADVERTISING
As described above, we use your Personal Information to provide you with targeted advertisements or marketing communications we believe may be of interest to you.  For more information about how targeted advertising works, you can visit the Network Advertising Initiative’s (-NAI-) educational page at http://www.networkadvertising.org/understanding-online-advertising/how-does-it-work.

You can opt out of targeted advertising by:
[[
  INCLUDE OPT-OUT LINKS FROM WHICHEVER SERVICES BEING USED.
  COMMON LINKS INCLUDE:
    FACEBOOK - https://www.facebook.com/settings/?tab=ads
    GOOGLE - https://www.google.com/settings/ads/anonymous
    BING - https://advertise.bingads.microsoft.com/en-us/resources/policies/personalized-ads
]]

Additionally, you can opt-out of some of these services by visiting the Digital Advertising Alliances opt-out portal at http://optout.aboutads.info/.

DO NOT TRACK
Please note that we do not alter our App data collection and use practices when we see a Do Not Track signal from your browser.

YOUR RIGHTS
If you are a European resident, you have the right to access personal information we hold about you and to ask that your personal information be corrected, updated, or deleted. If you would like to exercise this right, please contact us through the contact information below.

Additionally, if you are a European resident we note that we are processing your information in order to fulfill contracts we might have with you (for example if you make an order through the app), or otherwise to pursue our legitimate business interests listed above.  Additionally, please note that your information will be transferred outside of Europe, including to Canada and the United States.

DATA RETENTION
When you place a request through the app, we will maintain your Order Information for our records unless and until you ask us to delete this information.

APP PERMISSIONS :

As the App provides you the finding driver service we need you to give this app the following permissions, otherwise the app not working. Besides, It is your wish whether you give the app the following permissions or not :
uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_FINE_LOCATION" 
uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_COARSE_LOCATION" 
uses-permission android:name="android.permission.INTERNET" 
uses-permission android:name="android.permission.READ_EXTERNAL_STORAGE" 
uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_NETWORK_STATE" 
uses-permission android:name="android.permission.ACCESS_WIFI_STATE" 
uses-permission android:name="android.permission.CALL_PHONE" 
uses-permission android:name="android.permission.DISABLE_KEYGUARD" 
uses-permission android:name="android.permission.WAKE_LOCK" 
uses-permission android:name="android.permission.GET_TASKS" 
uses-permission android:name="android.permission.READ_PHONE_STATE" 
Before you continue, you are asked to give the app those above permissions. IF YOU ARE NOT READY TO GIVE THIS APP THOSE ABOVE PERMISSIONS, WELL, SO, YOU MAY UNINSTALL THE APP FROM YOUR DEVICE. 

And Also Permissions For : 
email
user_about_me
user_activities
user_birthday
user_checkins
user_education_h...
user_events
user_groups
user_hometown
user_interests
user_likes
user_location
user_managed_groups
user_notes
user_photos
user_posts
user_questions
user_relationshi...
user_relationships
user_religion_po...
user_status
user_subscriptions
user_tagged_places
user_videos
user_website
user_work_history

MINORS
The App is not intended for individuals under the age of 10.

CHANGES
We may update this privacy policy from time to time in order to reflect, for example, changes to our practices or for other operational, legal or regulatory reasons.

CONTACT US
For more information about our privacy practices, if you have questions, or if you would like to make a complaint, please contact us by e-mail at noorhossain888@gmail.com or by mail using the details provided below:

Madaripur, Bangladesh, Phone: +88-01879115953.
E-mail: ctgfaisal367@gmail.com

প্রশ্ন: ২৫০ : জাহান্নামে যাওয়ার পর কেউ কি জান্নাতে যাবে?

জ্বি যাদেরকে আল্লাহ শেষ পর্যন্ত ক্ষমা করে দেবেন এবং যাদের উপর আল্লাহর রহমত হবে, তারা প্রথমত জাহান্নামে যাওয়ার পরও একসময় জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে জান্নাতে যেতে পারবেন।


আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি অবশ্যই চিনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভকারী সর্বশেষ জাহান্নামী ও জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বশেষ জান্নাতিকে: জনৈক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বের হবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেন: যাও জান্নাতে প্রবেশ কর, সে জান্নাতে আসবে, তাকে ধারণা দেয়া হবে জান্নাত পূর্ণ। সে ফিরে এসে বলবে: হে আমার রব আমি তা পূর্ণ পেয়েছি, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলবেন:  যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি বলেন: সে জান্নাতে আসবে তাকে ধারণা দেয়া হবে জান্নাত পূর্ণ। সে ফিরে এসে বলবে: হে আমার রব, আমি তা পূর্ণ পেয়েছি। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: যাও জান্নাতে প্রবেশ কর, তোমার জন্য দুনিয়ার সমান ও তার দশগুণ জান্নাত রয়েছে, -অথবা তোমার জন্য দুনিয়ার দশগুণ জান্নাত রয়েছে,- তিনি বলেন: সে বলবে: হে আমার রব আপনি আমার সাথে মশকরা করছেন অথবা আমাকে নিয়ে হাসছেন অথচ আপনি বাদশাহ?” তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি হাসতে, তার মাড়ির দাঁত পর্যন্ত বের হয়েছিল। তিনি বলেন: তখন বলা হত: এ হচ্ছে মর্যাদার বিবেচনায় সবচেয়ে নিম্ন জান্নাত”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।



Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...