জিজ্ঞাসা–: আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, আমি জানতে চাচ্ছি যে, হোটেল রেষ্টুরেন্টে বা বাড়িতে মুসলমানরা যদি বিসমিল্লাহ না পড়ে মুরগী গরু জবাই করে, তাহলে এটা কি খাওয়া একেবারেই হারাম? জাযাকাল্লাহ।–মামুন হোসেন।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে সে পশু খাওয়া হারাম হয়ে যাবে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)
তবে ভুলে বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে জবাই সহীহ হয়ে যায়। ‘বিসমিল্লাহ’ ভুলে যাওয়ার কারণে জবাইকৃত পশু-পাখি হারাম হয়ে যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। (সূরা বাকারা ২৮৬)
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন। (ইবন মাজাহ ২০৪০)
ভুলবশত বিসমিল্লাহ না পড়ে জবাই করা সম্পর্কে তাবিঈ ইবরাহীম নাখায়ী রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৮৫৪০)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
কুরবানীর সময় বিসমিল্লাহ ছাড়া আর কোন দুআ পড়ার বিধান আছে কি?
প্রশ্ন
মোঃ সাজিদ সরকার, গন্ডারদিয়া, শুকুন্দী, মনোহরদী, নরসিংদী।
হযরত কেমন আছেন?
কুরবানী করার সময় বিসমিল্লাহ ছাড়া অন্য কোন দোয়া আছে কি? যদি থাকে তাহলে না পড়লে কি কুরবানী হবে ?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরবানীর দুআ
যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করাু আবশ্যক। যদি আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١]
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২১}
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحٍ، قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الوَحْيُ، فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُفْرَةٌ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ: إِنِّي لَسْتُ آكُلُ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنْصَابِكُمْ، وَلاَ آكُلُ إِلَّا مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ،
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ এর কাছে ওহী নাজিল হবার আগে জায়েদ বিন নুফাইল এর সাথে আসফালি বালদাহ নামক স্থানে সাক্ষাৎ হয়। তখন রাসূল সাঃ এর সামনে দস্তরখান বিছানো হয়। [আর কিছু গোস্ত উপস্থিত করা হয়] রাসূল সাঃ তা খেতে অস্বিকৃতি জানালেন। তারপর জায়েদ বলেন, আমি সে প্রাণী খাই না, যা তোমরা মুর্তির নামে জবাই কর। আমি শুধু ঐ প্রাণীই ভক্ষণ করি যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে। {বুখারী, হাদীস নং-৩৮২৬, ৩৬১৪}
(وَمِنْهَا) التَّسْمِيَةُ حَالَةَ الذَّكَاةِ عِنْدَنَا أَيُّ اسْمٍ كَانَ، وَسَوَاءٌ قَرَنَ بِالِاسْمِ الصِّفَةَ بِأَنْ قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعْظَمُ، اللَّهُ أَجَلُّ، اللَّهُ الرَّحْمَنُ، اللَّهُ الرَّحِيمُ، وَنَحْوُ ذَلِكَ، أَوْ لَمْ يَقْرُنْ بِأَنْ قَالَ: اللَّهُ، أَوْ الرَّحْمَنُ، أَوْ الرَّحِيمُ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ، وَكَذَا التَّهْلِيلُ وَالتَّحْمِيدُ وَالتَّسْبِيحُ وَسَوَاءٌ كَانَ جَاهِلًا بِالتَّسْمِيَةِ الْمَعْهُودَةِ أَوْ عَالِمًا (الفتاوى الهندية، كتاب الذبائح، الباب الأول-5/285، قاضى خان على همش الهندية، كتاب الصيد والذبائح، باب فى الذكاة-3/369، خلاصة الفتاوى، كتاب الذبائح-4/308، تبيين الحقائق، كتاب الذبائح-6/452، بدائع الصنائع، كتاب الذبائح، فصل فى شرط حل الأكل فى الحيوان المأكول6/243، رد المحتار، كتاب الذبائح-6/301)
কুরবানী হোক বা এমনিতেই জবাই করা হোক সর্বাবস্থায় আল্লাহর নাম নিযে জবাই করা আবশ্যক। তবে কুরবানীর সময় আলাদাভাবে একটি দুআ পড়া মুস্তাহাব। এটি না পড়লেও কুরবানী হয়ে যাবে। কুরবানীতে কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না।
সে দুআটি হল,
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ، وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ مِنْكَ، وَلَكَ
ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজ ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়ালআরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়ানুসুকী ওয়ামাহইয়ায়া ওয়ামামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়াবিজালিকা উমিরতু ওয়াআনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১২১।
এরপর বলবে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
তারপর জবাই শেষে পড়বে-
اللهم تقبل منى كما تقبلت من حبيبك محمد وخليلك ابراهيم عليه الصلاة والسلام
আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী [নিজের কুরবানী হলে, আর অন্যের পক্ষ থেকে হলে পড়বে মিনহু একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে হলে পড়বে মিনহুম] কামা তাকাব্বালতা মিন হাবীবিকা মুহাম্মাদিও ওয়াখালীলিকা ইবরাহীম আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম। [তিরমীজি, হাদীস নং-১৫২১ নং হাদীস থেকে ইস্তিম্বাতকৃত]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
প্রশ্ন
মোঃ সাজিদ সরকার, গন্ডারদিয়া, শুকুন্দী, মনোহরদী, নরসিংদী।
হযরত কেমন আছেন?
কুরবানী করার সময় বিসমিল্লাহ ছাড়া অন্য কোন দোয়া আছে কি? যদি থাকে তাহলে না পড়লে কি কুরবানী হবে ?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরবানীর দুআ
যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করাু আবশ্যক। যদি আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١]
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২১}
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحٍ، قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الوَحْيُ، فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُفْرَةٌ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ: إِنِّي لَسْتُ آكُلُ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنْصَابِكُمْ، وَلاَ آكُلُ إِلَّا مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ،
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ এর কাছে ওহী নাজিল হবার আগে জায়েদ বিন নুফাইল এর সাথে আসফালি বালদাহ নামক স্থানে সাক্ষাৎ হয়। তখন রাসূল সাঃ এর সামনে দস্তরখান বিছানো হয়। [আর কিছু গোস্ত উপস্থিত করা হয়] রাসূল সাঃ তা খেতে অস্বিকৃতি জানালেন। তারপর জায়েদ বলেন, আমি সে প্রাণী খাই না, যা তোমরা মুর্তির নামে জবাই কর। আমি শুধু ঐ প্রাণীই ভক্ষণ করি যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে। {বুখারী, হাদীস নং-৩৮২৬, ৩৬১৪}
(وَمِنْهَا) التَّسْمِيَةُ حَالَةَ الذَّكَاةِ عِنْدَنَا أَيُّ اسْمٍ كَانَ، وَسَوَاءٌ قَرَنَ بِالِاسْمِ الصِّفَةَ بِأَنْ قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعْظَمُ، اللَّهُ أَجَلُّ، اللَّهُ الرَّحْمَنُ، اللَّهُ الرَّحِيمُ، وَنَحْوُ ذَلِكَ، أَوْ لَمْ يَقْرُنْ بِأَنْ قَالَ: اللَّهُ، أَوْ الرَّحْمَنُ، أَوْ الرَّحِيمُ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ، وَكَذَا التَّهْلِيلُ وَالتَّحْمِيدُ وَالتَّسْبِيحُ وَسَوَاءٌ كَانَ جَاهِلًا بِالتَّسْمِيَةِ الْمَعْهُودَةِ أَوْ عَالِمًا (الفتاوى الهندية، كتاب الذبائح، الباب الأول-5/285، قاضى خان على همش الهندية، كتاب الصيد والذبائح، باب فى الذكاة-3/369، خلاصة الفتاوى، كتاب الذبائح-4/308، تبيين الحقائق، كتاب الذبائح-6/452، بدائع الصنائع، كتاب الذبائح، فصل فى شرط حل الأكل فى الحيوان المأكول6/243، رد المحتار، كتاب الذبائح-6/301)
কুরবানী হোক বা এমনিতেই জবাই করা হোক সর্বাবস্থায় আল্লাহর নাম নিযে জবাই করা আবশ্যক। তবে কুরবানীর সময় আলাদাভাবে একটি দুআ পড়া মুস্তাহাব। এটি না পড়লেও কুরবানী হয়ে যাবে। কুরবানীতে কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না।
সে দুআটি হল,
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ، وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ مِنْكَ، وَلَكَ
ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজ ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়ালআরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়ানুসুকী ওয়ামাহইয়ায়া ওয়ামামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়াবিজালিকা উমিরতু ওয়াআনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা।
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১২১।
এরপর বলবে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
তারপর জবাই শেষে পড়বে-
اللهم تقبل منى كما تقبلت من حبيبك محمد وخليلك ابراهيم عليه الصلاة والسلام
আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী [নিজের কুরবানী হলে, আর অন্যের পক্ষ থেকে হলে পড়বে মিনহু একাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে হলে পড়বে মিনহুম] কামা তাকাব্বালতা মিন হাবীবিকা মুহাম্মাদিও ওয়াখালীলিকা ইবরাহীম আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম। [তিরমীজি, হাদীস নং-১৫২১ নং হাদীস থেকে ইস্তিম্বাতকৃত]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে কুরবানী করে ফেললে কুরবানী হবে না?
প্রশ্ন
কুরবানির সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে কি করবে।
প্রশ্নকর্তা-KAMRUN NAHA
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
ইচ্ছেকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কুরবানী হবে না। কিন্তু যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কুরবানী হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই।
وان ترك الذابح التسمية عمدا فالذبيحة ميتة لا توكل وان تركها ناسيا اكل (هداية آخرين-419
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
No comments:
Post a Comment