১---রাজাবলি ১৯: ১০

1আহাব এলিয়ের সমস্ত কীর্তিকাহিনী —কিভাবে এলিয় বেলদেবের নবীদের হত্যা করেছিলেন—সব তাঁর রাণী ইষেবলের কাছে বললেন। 2রাণী তখন এলিয়ের কাছে দূতের মুখে বলে পাঠালেন, আগামী কাল এই সময়ের মধ্যে আমি যদি তোমারও অবস্থা ঐ নবীদের মত না করি তো দেবতারা যেন আমার মৃত্যু দেন। 3একথা শুনে এলিয় প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গেলেন। নিজের ভৃত্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গেলেন যিহুদীয়া রাজ্যের বেরশেবাতে।
4ভৃত্যকে সেখানে রেখে জনশূন্য প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে পুরো একদিনের পথ হেঁটে এসে একটি গাছের তলায় গিয়ে বসলেন। নিজের মৃত্যু কামনা করে তিনি বলতে লাগলেন, হে প্রভু, যথেষ্ট হয়েছে। এবার আমায় তুলে নাও। আমার মরণই ভাল!
5তিনি গাছের তলায় শুয়ে পড়লেন এবং ঘুমিয়ে গেলেন। হঠাৎ এক স্বর্গদূত তাঁকে স্পর্শ করে বললেন, ওঠ, উঠে খাও। 6তিনি উঠে দেখলেন, তাঁর শিয়রের কাছে টাটকা রুটি আর এক ভাঁড় জল রাখা আছে। রুটি আর জল খেয়ে তিনি আবার শুয়ে পড়লেন।
7প্রভুর দূত দ্বিতীয়বার এসে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, ওঠ, খেয়ে নাও। নইলে পথ চলতে পারবে না।
8এলিয় উঠে আবার খেলেন এবং সেই খাদ্যের জোরে চল্লি দিন হেঁটে পবিত্র সিনাই পর্বতে গিয়ে পৌঁছালেন।
9সেখানে পর্বতের একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন এবং সেখানেই রাত্রিযাপন করলেন। সেইসময় হঠাৎ এলিয় শুনতে পেলেন পরমেশ্বর তাঁকে বলছেন, এলিয়, এখানে বসে তুমি কি করছো? 10এলিয় বললেন, হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমি চিরদিন তোমারই একান্ত অনুগত উদ্যোগী সেবক। কিন্তু ইসরায়েলী প্রজারা তোমার সঙ্গে তাদের চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, তোমার বেদীগুলিকে ভেঙ্গে ফেলেছে, তোমার সমস্ত নবীদের হত্যা করেছে। একমাত্র আমিই বাকী রয়েছি—তারা আমারও প্রাণনাশের চেষ্টা করছে!
11প্রভু তাঁকে বললেন, বাইরে বেরিয়ে এসে এই পাহাড়ের চূড়ায় আমার সামনে দাঁড়াও। এই বলে প্রভু তার সামনে দিয়ে চলে গেলেন এবং পাঠিয়ে দিলেন প্রচণ্ড ঝড়। সেই ঝড় পাহাড় ফাটিয়ে দিল, ভেঙ্গে ফেলল পাহাড়ের সমস্ত পাথর। প্রভু কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যে ছিলেন না। ঝড় থেমে গেলে শুরু হল ভূমিকম্প।
12ভূমিকম্পের মধ্যে প্রভু ছিলেন না। ভূমিকম্পের পরে শুরু হল অগ্ন্যুৎপাত। কিন্তু সেই আগুনের মধ্যেও পরমেশ্বর ছিলেন না। অগ্ন্যুপাত থেমে গেলে শোনা গেল একটি কোমল মধুর স্বর।
13সেই স্বর শোনামাত্র এলিয় নিজের আলখাল্লা দিয়ে মুখ ঢেকে বাইরে বেরিয়ে এসে গুহার মুখে দাঁড়ালেন। এলিয় শুনলেন এই কথা—এলিয়, এখানে তুমি কি করছ?
14তিনি বললেন, হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমি চিরদিন একমাত্র তোমারই সেবা করেছি। কিন্তু ইসরায়েলীরা তোমার সঙ্গে তাদের চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, তোমার বেদীগুলি ভেঙ্গে ফেলেছে এবং তোমার সমস্ত নবীদের হত্যা করেছে। একমাত্র আমিই বাকি রয়েছি—আমারও প্রাণনাশের চেষ্টা করছে তারা।
15প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বললেন, দামাসকাসের কাছে যে প্রান্তর আছে, সেখানে তুমি ফিরে যাও। তারপর নগরে গিয়ে হসায়েলকে সিরিয়ার রাজপদে অভিষিক্ত কর।
16ইসরায়েলের রাজপদে অভিষিক্ত কর নিম্‌শির পুত্র যেহুকে এবং আবেল মেহোলা নিবাসী শাফতের পুত্র ইলিশায়কে তোমার উত্তরসূরী হিসাবে কর্মভার নেবার জন্য নবীরূপে অভিষিক্ত কর। 17হসায়েলের হাত থেকে যে নিস্তার পেয়ে পালাবে, যেহুর হাতে সে মরবেই, আবার যেহুর হাত এড়িয়ে পালাতে পারলেও ইলিশায়ের হাতে তাকে মরতে হবে। 18তবুও বেলদেবের সামনে নতজানু হয় নি বা তার বিগ্রহ চুম্বন করে নি, ইসরায়েলীদের মধ্যে এমন সাত হাজার লোককে আমি অবশিষ্ট রাখব।

(আদিপুস্তক ১৬: ১-৪) (আদিপুস্তক ১৬: ১১) (১৬: ১৬) (আদি পুস্তক ১৭: ১৫-২৫) (আদি পুস্তক ২১: ৫)

(আদিপুস্তক ১৬: ১-৪) (আদিপুস্তক ১৬: ১১) (১৬: ১৬) 

ইশ্মায়েলের জন্ম
1অব্রামের স্ত্রী সারী ছিলেন নিঃসন্তান। হাগার নামে তাঁর একটি মিশরী দাসী ছিল। 2অব্রামকে বললেন, দেখ, প্রভু পরমেশ্বর আমাকে সন্তান ধারণ করতে দেন নি, তাই দয়া করে তুমি আমার এই দাসীকে গ্রহণ কর, হয়তো তার দ্বারাই আমি সন্তান লাভ করতে পারবো। অব্রাম সারীর কথায় সম্মত হলেন। 3কনান দেশে দশ বছর বাস করার পর অব্রামের স্ত্রী সারী তাঁর মিশরী দাসী হাগারের সঙ্গে তাঁর স্বামী অব্রামের বিবাহ দিলেন।
4অব্রামের সঙ্গে হাগারের বিবাহের পর সে গর্ভবতী হল। কিন্তু গর্ভধারণ করার পর সে তার কর্ত্রীকে অবজ্ঞা করতে লাগল। 5তখন সারী অব্রামকে বললেন, আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে তার জন্য তুমিই দায়ী। আমি আমার দাসীকে তোমার অঙ্কশায়িনী হতে দিয়েছিলাম, কিন্ত গর্ভবতী হয়েছে বলে সে এখন আমাকে অবজ্ঞা করছে। প্রভু পরমেশ্বরই এখন তোমার ও আমার বিচার করুন। 6অব্রাম সারীকে বললেন, তোমার দাসী তোমারই অধীন, তোমার যা ভাল মনে হয় তার প্রতি তা-ই কর। সারী তখন হাগারকে এমন পীড়ন করতে লাগলেন যে সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
7প্রভু পরমেশ্বরের দূত প্রান্তরের মাঝে শূরের পথে জলের যে প্রস্রবণ আছে, তার কাছে হাগারকে দেখতে পেয়ে বললেন, 8ওগো সারীর দাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে আসছ, আর যাবেই বা কোথায়? সে বলল, আমি আমার কর্ত্রী সারীর কাছ থেকে পালিয়ে এসেছি। 9প্রভু পরমেশ্বরের দূত তাকে বললেন, তুমি তোমার কর্ত্রীর কাছে ফিরে যাও আর তাঁর বশ্যতা স্বীকার কর। 10প্রভুর দূত তাকে বললেন, আমি তোমার বংশধরদের অতিশয় বর্ধিষ্ণু করব, তাদের সংখ্যা হবে অগণিত। 11দেখ,তুমি গর্ভবতী,একটি পুত্রের জননী হবে তুমি, তার নাম রেখ ইশ্মায়েল, কারণ প্রভু তোমার আর্তনাদ শুনেছেন।
12সে হবে বন্য গর্দভের মত দুর্দান্ত। সকলকে সে আক্রমণ করবে এবং সেও সকলের দ্বারা আক্রান্ত হবে। সে তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও শত্রুতা করবে। প্রভু পরমেশ্বর, যিনি তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, হাগার তাঁর নাম রাখল, ‘এল-রোয়ী’, অর্থাৎ ঈশ্বর, যিনি আমাকে দর্শন দিয়েছেন। 13সে বলল, আমি কি সত্যিই ঈশ্বরকে দেখেছি? এবং তাঁকে দর্শন করার পরও জীবিত রয়েছি? এই জন্য সেই কূপের নাম হল, ‘বের-লাহয়রোয়ী’, অর্থাৎ সেই সদাজাগ্রত ঈশ্বরের কূপ, যিনি আমাকে দর্শন দিয়েছেন। 14কাদেশ ও বেরেদ-এর মাঝামাঝি স্থানে সেই কূপটি অবস্থিত।
15তারপর যথাসময়ে হাগারের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল, অব্রাম হাগারের গর্ভজাত সেই পুত্রের নাম রাখলেন ইশ্মায়েল।16অব্রামের ছিয়াশী বছর বয়সে হাগারের গর্ভে ইশ্মায়েলের জন্ম হল।

======================
(আদি পুস্তক ১৭: ১৫-২৫) 

সুন্নত সংস্কারের প্রবর্তন
1অব্রামের নিরানব্বই বছর বয়সে প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি আমার প্রতি বিশ্বস্ত থেকে জীবন যাপন কর এবং পূর্ণতা লাভ কর। 2আমি তোমার সঙ্গে এক সন্ধির চুক্তিতে আবদ্ধ হব এবং তোমার বংশকে বহুগুণে বর্ধিত করব।
অব্রাম তখন উপুড় হয়ে প্রণিপাত করলেন। 3ঈশ্বর তাঁকে বললেন, 4দেখ, তোমার সঙ্গে আমি সন্ধির চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছি, সেই অনুযায়ী তুমি হবে বহুজাতির আদি পিতা। 5তোমার নাম আর অব্রাম (মহান পিতা) থাকবে না, তোমার নাম হবে অব্রাহাম। কারণ আমি তোমাকে বহু জাতির আদি পিতা করব। 6আমি তোমাকে প্রজাবন্ত করব, তোমা থেকে উৎপন্ন করব বহু জাতি। নৃপতিরা জন্মাবে তোমার বংশে। 7তোমার সঙ্গে এবং পুরুষানুক্রমে তোমার বংশধরদের সঙ্গে আমি যে সন্ধির চুক্তিতে আবদ্ধ হব, তা হবে চিরস্থায়ী। আমি তোমার ঈশ্বর এবং তোমার বংশধরদেরও ঈশ্বর হব। 8তুমি যে দেশে প্রবাস করছ, সেই সমগ্র কনান দেশের সত্ত্বাধিকার তোমাকে এবং তোমার বংশধরদের চিরকালের জন্য দান করব, আর আমিই হব তোমার ঈশ্বর।
9ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, তুমি আমার সঙ্গে স্থাপিত সন্ধি চুক্তি পালন করবে, তোমার উত্তরপুরুষেরা পুরুষানুক্রমে তা পালন করবে। 10তোমার সঙ্গে এবং তোমার উত্তরপুরুষদের সঙ্গে আমার সন্ধিচুক্তির শর্ত হল এই: তোমাদের মধ্যে যারা পুরুষ তাদের প্রত্যেকের লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করতে হবে। 11তোমরা নিজেদের লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করবে, তা-ই হবে তোমাদের সঙ্গে আমার স্থাপিত সন্ধি চুক্তির নিদর্শন।
12পুরুষানুক্রমে তোমরা প্রত্যেক পুরুষ সন্তানের বয়স আটদিন হলে তার লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করবে। তোমাদের বংশের নয় এমন বিজাতীয় কেউ যদি তোমাদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে বা কাউকে যদি অর্থমূল্যে ক্রয় করা হয় তাহলে তাদেরও লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করবে। 13তোমাদের পরিবারে জাত অথবা মূল্যদ্বারা ক্রীত উভয়েরই লিঙ্গাগ্রচর্ম অবশ্যই ছেদন করবে। তোমাদের দেহে আমার সঙ্গে সন্ধি চুক্তির এই চিহ্ন চিরস্থায়ী সম্বন্ধের চিহ্ন হয়ে থাকবে। 14লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করা হয়নি এমন কোন পুরুষ স্বজাতিচ্যুত হবে, কারণ সে আমার সন্ধিচুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
15ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, তুমি তোমার স্ত্রী সারীকে আর সারী বলে ডাকবে না। তার নাম হবে সারা। আমি তাকে আশীর্বাদ করব, সে হবে বহুজাতির আদিমাতা এবং তার থেকে উৎপন্ন হবে প্রজাকুলের নৃপতিবৃন্দ। 16অব্রাহাম তখন উপুড় হয়ে প্রণিপাত করলেন ও হাসলেন। 17তিনি মনে মনে বললেন, একশো বছর বয়স যার, সেই বৃদ্ধের কি সন্তান হবে? নব্বই বছরের বৃদ্ধা সারা কি সন্তান প্রসব করবে? 18অব্রাহাম ঈশ্বরকে বললেন, তোমার অনুগ্রহে ইশ্মায়েলই বেঁচে থাকুক। 19ঈশ্বর বললেন, কিন্তু তোমার স্ত্রী সারা অবশ্যই পুত্রের জননী হবে, তুমি তার নাম রেখ ইসহাক। আমি তার সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন করব এবং তার ভাবী বংশধরদের সঙ্গে তা হবে চিরস্থায়ী সম্বন্ধ। 20ইশ্মায়েল সম্পর্কে তোমার নিবেদনও আমি গ্রাহ্য করলাম। আমি তাকেও আশীর্বাদ করব। তাকে আমি প্রজাবন্ত করব, তার বংশকে করব বহুগুণে বর্ধিত। তার বংশে বারোজন গোষ্ঠীপতি উৎপন্ন হবে এবং আমি তাকে এক বিরাট জাতিতে পরিণত করব। 21কিন্তু আগামী বছর এই সময়ে সারার যে পুত্র জন্মগ্রহণ করবে, সেই ইস্‌হাকের সঙ্গেই আমি আবদ্ধ হব এই সন্ধি চুক্তিতে। 22কথা শেষ করে ঈশ্বর অব্রাহামের কাছ থেকে অন্তর্হিত হলেন। অব্রাহাম ঈশ্বরের 23নির্দেশ অনুযায়ী সেই দিনই তাঁর পুত্র ইশ্মায়েল এবং তার সঙ্গে পরিবারে জাত এবং অর্থমূল্যে ক্রীত অব্রাহামের পরিবারে যত পুরুষ ছিল তাদের সকলেরই লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করলেন। 24লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদনের সময়ে অব্রাহামের বয়স হয়েছিল নিরানব্বই বছর, 25আর তাঁর পুত্র ইশ্মায়েলের বয়স ছিল তের বছর। 26একই দিনে অব্রাহাম ও তাঁর পুত্র ইশ্মায়েল উভয়ের লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করা হল। 27সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারে জাত এবং বিজাতীয় লোকদের কাছ থেকে অর্থমূল্যে ক্রীত সমস্ত পুরুষেরও লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করা হল।


======================

(আদি পুস্তক ২১: ৫)

1প্রভু পরমেশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সারার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করলেন। তিনি সারাকে যে কথা দিয়েছিলেন, সে কথা সফল করলেন। 2সারা গর্ভধারণ করে ঈশ্বর কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধ অব্রাহামের জন্য একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। 3অব্রাহাম সারার গর্ভজাত পুত্রের নাম রাখলেন ইস্‌হাক (হাস্যময়)। 4অব্রাহাম ঈশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর পুত্র ইস্‌হাকের আটদিন বয়সে তার লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করলেন।5অব্রাহামের একশো বছর বয়সে পুত্র ইস্‌হাকের জন্ম হল। 6সারা বললেন, ঈশ্বর আমার জীবনে হাসি ও আনন্দ দিয়েছেন, যে একথা শুনবে, সেও আমার সঙ্গে আনন্দ করবে।
7সারা আরও বললেন, অব্রাহামকে এমন কথা কি কেউ বলতে পারত যে সারা শিশুকে স্তন্যদান করবে? কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর বৃদ্ধবয়সে আমি তাঁর পুত্রের জননী হয়েছি।

আদিপুস্তক ২২: ১-২

1এই সব ঘটনার পরে ঈশ্বর অব্রাহামকে পরীক্ষা করার জন্য ডাকলেন, অব্রাহাম। অব্রাহাম উত্তর দিলেন, আজ্ঞে, বলুন প্রভু।2ঈশ্বর বললেন, তোমার একমাত্র পুত্র ইস্‌হাক, যাকে তুমি ভালবাস, তাকে নিয়ে তুমি মোরিয়া দেশে যাও এবং সেখানে যে পর্বতের কথা আমি বলব, সেই পর্বতের উপর তাকে বলিদান করে হোমানলে উৎসর্গ কর।
3অব্রাহাম ভোরে উঠে হোমের জন্য কাঠ কেটে গাধার পিঠে চাপালেন, দুই জন দাস এবং পুত্র ইস্‌হাককে সঙ্গে নিলেন এবং হোমের জন্য কাঠ চেরাই করলেন। তারপর ঈশ্বর যে স্থানের কথা তাঁকে বলেছিলেন সেই স্থান অভিমুখে যাত্রা করলেন। 4তৃতীয় দিনে অব্রাহাম দূর থেকে সেই জায়গাটি দেখতে পেলেন। তখন তিনি তাঁর দাসদের বললেন, 5তোমরা গাধাটিকে এখানে থাক, আমি আমার পুত্রকে নিয়ে কিছু দূরে গিয়ে উপাসনা করব। পরে আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব। 6অব্রাহাম তাঁর পুত্র ইস্‌হাকের কাঁধে হোমের কাঠ চাপিয়ে দিলেন এবং নিজের হাতে আগুন ও খড়্গ নিয়ে দুজনে একসঙ্গে এগিয়ে চললেন। 7ইস্‌হাক তার পিতা অব্রাহামকে বলল, পিতা! অব্রাহাম বললেন, বল বৎস! ইস্‌হাক বলল, দেখুন, আগুন আর কাঠ তো রয়েছে, কিন্তু হোমের জন্য মেষশাবক কোথায়? 8অব্রাহাম বললেন, বৎস, ঈশ্বর নিজেই বলির জন্য মেষশাবকের ব্যবস্থা করে দেবেন। তাঁরা দুজনে এগিয়ে চললেন। 9ঈশ্বর কর্তৃক নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে অব্রাহাম সেখানে একটি বেদী নির্মাণ করে তার উপরে কাঠ সাজালেন, তারপর তাঁর পুত্র ইস্‌হাককে বেঁধে বেদীর কাঠের উপর শুইয়ে দিলেন।10তারপর তিনি তাকে বলি দেওয়ার উদ্দেশ্যে হাতে খড়্গ তুলে নিলেন। 11প্রভু পরমেশ্বরের দূত তখন অন্তরীক্ষ থেকে চীৎকার করে তাঁকে ডাকলেন, অব্রাহাম! অব্রাহাম! অব্রাহাম উত্তর দিলেন, আদেশ করুন প্রভু! 12দূত বললেন, বালকটির অঙ্গে তুমি হস্তক্ষেপ করো না, তার কোন ক্ষতি করো না, কারণ এবার আমি জানলাম যে তুমি ঈশ্বরকে সত্যিই সম্ভ্রম কর, আমার উদ্দেশে তুমি তোমার পুত্র—একমাত্র পুত্রকেও উৎসর্গ করতে দ্বিধা করো নি। 13অব্রাহাম তখন তাকিয়ে দেখলেন তাঁর পিছনে একটি মেষ রয়েছে, সেটির শিং ঝোপে আটকানো। অব্রাহাম সেই মেষটি নিয়ে এসে তাঁর পুত্রের পরিবর্তে বলিদান করে হোমানলে উৎসর্গ করলেন। 14অব্রাহাম সেই স্থানের নাম রাখলেন যিহোবাযিরে। এই জন্য আজও লোকে বলে থাকে, প্রভু পরমেশ্বরের পর্বতে সংস্থান করা হবে।
15প্রভুর দূত দ্বিতীয়বার অন্তরীক্ষ থেকে অব্রাহামকে ডেকে বললেন, 16তুমি যেহেতু এই কাজ করলে, তোমার একমাত্র পুত্রকে উৎসর্গ করতে দ্বিধা করলে না, সেই হেতু প্রভু পরমেশ্বর বলছেন, আমি আমারই নামে শপথ করে বলছি, 17আমি নিশ্চয়ই তোমাকে প্রচুর বর দান করব। আকাশের নক্ষত্ররাজি ও সমূদ্রতটের বালুকারাশির মত আমি তোমার বংশবৃদ্ধি করব। তোমার বংশধরেরা শত্রুদের পুরী অধিকার করবে।18তোমার বংশের মত আশীর্বাদ লাভের জন্য পৃথিবীর সকল জাতি বিনতি জানাবে। কারণ তুমি আমার আদেশ পালন করেছ। 19অব্রাহাম তখন তাঁর দাসদের কাছে ফিরে গেলেন এবং সকলে মিলে বের-শেবায় ফিরে এলেন। তিনি সেখানেই বাস করতে লাগলেন।
20এই সমস্ত ঘটনার পরে অব্রাহাম সংবাদ পেলেন যে তাঁর ভাই নাহোরের স্ত্রী মিল্‌কারও সন্তানাদি হয়েছে। 21তাঁর জ্যৈষ্ঠ পুত্র ঊষ, তার ভ্রাতা বুষ ও অরামের পিতা কমুয়েল, 22কেষদ, হাজো, পিল্‌দাস, ইদ্‌লাফ, ও বথুয়েল। 23বথুয়েলের কন্যা রেবেকা। অব্রাহামের ভ্রাতা নাহোরের স্ত্রী মিল্‌কার গর্ভে উক্ত আটটি সন্তানের জন্ম হয়। এ ছাড়াও তাঁর উপপত্নী রুমার গর্ভে টেবহ্, গহম, তহশ ও মাখাহ্, জন্মগ্রহণ করে।

আদিপুস্তক ৫:২১

1আদমের বংশতালিকা এইরূপঃ মানুষ সৃষ্টি করার সময় ঈশ্বর নিজের সাদৃশ্যেই তাকে গঠন করেছিলেন। 2তিনি তাদের সৃষ্টি করেছিলেন নর এবং নারীরূপে এবং সৃষ্টিকালে তাদের আশীর্বাদ করে মানবজাতি নামে অভিহিত করেন।
3আদম একশ ত্রিশ বছর বয়সে নিজের সাদৃশ্যে ও প্রতিকৃতিতে এক পুত্রের জন্মদান করে তার নাম রাখলেন শেথ। 4শেথ-এর জন্মের পর আদম আরও আটশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দেন। 5নয়শো ত্রিশ বছর বয়সে আদমের মৃত্যু হয়। 6শেথ-এর একশো পাঁচ বছর বয়সে ইনোশের জন্ম হল। 7ইনোশের জন্মের পর শেথ আরও আটশো সাত বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দেন। 8নয়শো বারো বছর বয়সে শেথ-এর মৃত্যু হয়।
9ইনোশের নব্বই বছর বয়সে কৈননের জন্ম হয়। 10কৈননের জন্মের পর ইনোশ আরও আটশো পনেরো বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দেন। 11নয়শো পাঁচ বছর বয়সে ইনোশের মৃত্যু হয়। 12কৈননের সত্তর বছর বয়সে মহলাল-এল-এর জন্ম হয়। মহলাল-এল-এর জন্মের পর 13কৈনন আটশো চল্লিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। 14কৈনন নয়শো দশ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। 15মহলাল-এল-এর পঁয়ষট্টি বছর বয়সে যেরেদ-এর জন্ম হল। 16যেরেদ-এর জন্মের পর মহলাল-এল- আটশো ত্রিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দেন। 17মহলাল-এল আটশো পঁচানব্বই বছর জীবিত ছিলেন।
18যেরেদ-এর একশো বাষট্টি বছর বয়সে হনোকের জন্ম হয়।
19হনোকের জন্মের পর যেরেদ আটশো বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দেন। 20যেরেদ নয়শো বাষট্টি বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
21হনোকের পঁয়ষট্টি বছর বয়সে মেথুশেলার জন্ম হয়। 22মেথুশেলার জন্মের পর হনোক তিনশো বছর ঈশ্বরের নিবিড় সান্নিধ্যে জীবন যাপন করছিলেন। 23তাঁর আরও পুত্রকন্যা জন্মগ্রহণ করে।
24হনোক তাঁর জীবনের তিনশো পঁয়ষট্টি বছর পরে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। কারণ ঈশ্বর তাঁকে আপন আশ্রয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
25মেথুশেলা একশো সাতাশী বছর বয়সে লেমেকের জনক হলেন। 26লেমেকের জন্মের পর মেথুশেলা সাতশো বিরাশী বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দেন। 27মৃত্যুকালে মেথুশেলার বয়স নয়শো ঊনসত্তর বছর হয়েছিল।
28একশো বিরাশী বছর বয়সে লেমেকের একটি পুত্র হয়।
29তিনি তার নাম রাখলেন নোহ। তিনি বললেন, প্রভু পরমেশ্বর যে ভূমিকে অভিশপ্ত করেছেন সেই ভূমিতে আমাদের প্রচেষ্টা ও কঠোর শ্রমের ক্লেশ থেকে এই শিশু আমাদের সান্ত্বনা জোগাবে।
30নোহের জন্মের পর লেমেক পাঁচশো পঁচানব্বই বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। 31লেমেক সাতশো সাতাত্তর বছর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। 32পরে নোহের পাঁচশো বছর বয়সে শেম, হাম ও যাফত-এর জন্ম হয়।

আদি পুস্তক : ১৬:১৬

1অব্রামের স্ত্রী সারী ছিলেন নিঃসন্তান। হাগার নামে তাঁর একটি মিশরী দাসী ছিল। 2অব্রামকে বললেন, দেখ, প্রভু পরমেশ্বর আমাকে সন্তান ধারণ করতে দেন নি, তাই দয়া করে তুমি আমার এই দাসীকে গ্রহণ কর, হয়তো তার দ্বারাই আমি সন্তান লাভ করতে পারবো। অব্রাম সারীর কথায় সম্মত হলেন। 3কনান দেশে দশ বছর বাস করার পর অব্রামের স্ত্রী সারী তাঁর মিশরী দাসী হাগারের সঙ্গে তাঁর স্বামী অব্রামের বিবাহ দিলেন।
4অব্রামের সঙ্গে হাগারের বিবাহের পর সে গর্ভবতী হল। কিন্তু গর্ভধারণ করার পর সে তার কর্ত্রীকে অবজ্ঞা করতে লাগল। 5তখন সারী অব্রামকে বললেন, আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে তার জন্য তুমিই দায়ী। আমি আমার দাসীকে তোমার অঙ্কশায়িনী হতে দিয়েছিলাম, কিন্ত গর্ভবতী হয়েছে বলে সে এখন আমাকে অবজ্ঞা করছে। প্রভু পরমেশ্বরই এখন তোমার ও আমার বিচার করুন। 6অব্রাম সারীকে বললেন, তোমার দাসী তোমারই অধীন, তোমার যা ভাল মনে হয় তার প্রতি তা-ই কর। সারী তখন হাগারকে এমন পীড়ন করতে লাগলেন যে সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
7প্রভু পরমেশ্বরের দূত প্রান্তরের মাঝে শূরের পথে জলের যে প্রস্রবণ আছে, তার কাছে হাগারকে দেখতে পেয়ে বললেন, 8ওগো সারীর দাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে আসছ, আর যাবেই বা কোথায়? সে বলল, আমি আমার কর্ত্রী সারীর কাছ থেকে পালিয়ে এসেছি। 9প্রভু পরমেশ্বরের দূত তাকে বললেন, তুমি তোমার কর্ত্রীর কাছে ফিরে যাও আর তাঁর বশ্যতা স্বীকার কর। 10প্রভুর দূত তাকে বললেন, আমি তোমার বংশধরদের অতিশয় বর্ধিষ্ণু করব, তাদের সংখ্যা হবে অগণিত। 11দেখ,তুমি গর্ভবতী,একটি পুত্রের জননী হবে তুমি, তার নাম রেখ ইশ্মায়েল, কারণ প্রভু তোমার আর্তনাদ শুনেছেন।
12সে হবে বন্য গর্দভের মত দুর্দান্ত। সকলকে সে আক্রমণ করবে এবং সেও সকলের দ্বারা আক্রান্ত হবে। সে তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও শত্রুতা করবে। প্রভু পরমেশ্বর, যিনি তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, হাগার তাঁর নাম রাখল, ‘এল-রোয়ী’, অর্থাৎ ঈশ্বর, যিনি আমাকে দর্শন দিয়েছেন। 13সে বলল, আমি কি সত্যিই ঈশ্বরকে দেখেছি? এবং তাঁকে দর্শন করার পরও জীবিত রয়েছি? এই জন্য সেই কূপের নাম হল, ‘বের-লাহয়রোয়ী’, অর্থাৎ সেই সদাজাগ্রত ঈশ্বরের কূপ, যিনি আমাকে দর্শন দিয়েছেন। 14কাদেশ ও বেরেদ-এর মাঝামাঝি স্থানে সেই কূপটি অবস্থিত।
15তারপর যথাসময়ে হাগারের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল, অব্রাম হাগারের গর্ভজাত সেই পুত্রের নাম রাখলেন ইশ্মায়েল।16অব্রামের ছিয়াশী বছর বয়সে হাগারের গর্ভে ইশ্মায়েলের জন্ম হল।

‘প্রেরিতদের কার্য’

প্রেরিত শিষ্যদের কার্যবিবরণ সাধু লুকের লেখা সুসমাচারের পরবর্তী ক্রম অনুযায়ী ধারাবাহিক ঘটনার বিবরণ। এর মূল উদ্দেশ্য, যীশুর শিষ্যরা কিভাবে পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়ে “জেরুশালেম, যিহুদীয়া, শমরিয়া এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত” যীশুর সুসমাচার প্রচার করেছিলেন (1:8)। এটি হল খ্রীষ্টীয় আন্দোলনের কাহিনী, যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল ইহুদীদের মদ্যে এবং পরবর্তী অধ্যায়ে এই আন্দোলন সারা পৃথিবীতে একটি ধর্মবিশ্বাসের গোড়াপত্তন করে। এই বিশ্বাস সম্পর্কে লেখক তংআর পাঠকদের সুনিশ্চিত করতে চেয়েছেন যে, খ্রীষ্টানেরা রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ধ্বংসকামী কোন রাজনৈতিক হুমকিস্বরূপ নয়, বরং খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস ইহুদী ধর্মেরই পূর্ণ পরিণত রূপ।
প্রেরিত শিষ্যদের কার্যবিবরণকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে: যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে সুসমাচার যে বিস্তৃত অঞ্চলে প্রচারিত হয়েছিল এবং সেই সমস্ত স্থানে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী স্থাপিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বিবরণ এই তিনটি ভাগে বিধৃত হয়েছে। (১) যীশুর স্বর্গারোহণের পর জেরুশালেমে খ্রীষ্টীয় আন্দোলনের শুরু, (২) প্যালেষ্টাইনের অন্যান্য অঞ্চলে এই আন্দোলনের বিস্তার এবং (3) পরবর্তী ধাপে সুদূর রোম পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় আন্দোলনের বিস্তৃতি।
প্রেরিত শিষ্যদের কার্যবিবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈসিষ্ট্য হল —পবিত্র আত্মার কার্যাবলী, যে পবিত্র আত্মা জেরুশালেমে পঞ্চশত্তমীর দিনে খ্রীষ্ট-বিশ্বাসের ওপরে শক্তি ও পরাক্রম নিয়ে নেমে এসেছিলেন এবং এই পুস্তকে বর্ণিত সমস্ত ঘটনা ও কার্যক্রমের সমগ্র পর্যায়ে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী ও তার নেতৃবর্গকে শক্তি দান করেছিলেন ও পরিচালনা করেছিলেন। প্রাথমিক যুগে প্রচারিত খ্রীষ্টীয় সুসমাচারের সারমর্ম কতকগুলি উপদেশের মধ্যে বিবৃত হয়েছে। খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবনে এবং খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর সহভাগিতার মধ্যে এই সুসমাচারের শক্তির প্রকাশ ঘটেছে কার্যবিবরণে লিপিবদ্ধ ঘটনাবলীর মধ্যে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা
সাক্ষ্যদানের জন্য প্রস্তুতি 1:1-26
(ক) যীশুর শেষ আদেশ ও প্রতিশ্রুতি 1:1-14
(খ) যিহুদারর উত্তরাধিকারী 1:15-26
জেরুশালেমে সাক্ষ্যদান 2:1–8:3
যিহুদীয়া ও শমরিয়াতে সাক্ষ্যদান 8:4—12:25
সাধু পৌলের সেবাব্রত 13:1—28:31
(ক) প্রথম প্রচার অভিযান 13:1—14:28
(খ) জেরুশালেমে সম্মেলন 15:1-35
(গ) দ্বিতীয় মিশনারী অভিযান 15:36—18:22
(ঘ) তৃতীয় মিশনারী অভিযান 18:23—21:16
(ঙ) জেরুশালেম, সীজারিয়া এবং রোমে বন্দীরূপে সাধু পৌল 21:17—28:31
Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L. © The Bible Society of India - 2016.

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...