(যাত্রা পুস্তক ২: ১৬-১৮, ৩: ১ এবং ১৮: ৫)

যাত্রা পুস্তক ২: ১৬-১৮


মোশির জন্ম
1লেবি কুলের এক ব্যক্তি এইসময় তাঁর নিজের গোষ্ঠীর একটি কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। 2তাঁদের একটি সুশ্রী পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল। এই সুন্দর শিশুটিকে মমতাবশতঃ মা তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন, 3কিন্তু পরে আর তাকে গোপনে রাখা সম্ভব হল না বলে তিনি একটা নলখাগড়ার ঝাঁপিতে পিচ ও আলকাতরা মাখালেন যাতে তার মধ্যে জল প্রবেশ করতে না পারে। তারপর তার মধ্যে শিশুটিকে শুইয়ে দিলেন এবং ঝাঁপিটা নদীতে নলবনের মধ্যে রেখে দিয়ে এলেন। 4শিশুটির কি হয় তা দেখার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে রইল। 5কিছুক্ষণ পরে মিশরের রাজকন্যা নদীতে স্নান করতে এলেন, তাঁর সখীরা নদীর ধারে বেড়াতে লাগল। নলবনের মধ্যে ঐ ঝাঁপিটা দেখতে পেয়ে তিনি তাঁর দাসীকে দিয়ে সেটি আনালেন। 6ঝাঁপি খুলে দেখলেন, তার মধ্যে একটি শিশু। সে খুব কাঁদছিল। তাকে কাঁদতে দেখে তাঁর খুব মায়া হল। তিনি বললেন, এটি নিশ্চয়ই হিব্রুদের ছেলে। 7ছেলেটির দিদি তখন রাজকন্যার কাছে গিয়ে বলল, ছেলেটিকে দুধ খাওয়ানোর জন্য একজন হিব্রু ধাইকে কি আপনার কাছে ডেকে আনব? 8তিনি তাকে বললেন, হ্যাঁ, নিয়ে এস। তখন সে গিয়ে তার মাকে ডেকে আনল। 9রাজকন্যা তাঁকে বললেন, এই ছেলেটিকে নাও, আমার হয়ে তুমি একে পালন কর। এর জন্য আমি তোমাকে বেতন দেব। সেই মহিলা তখন শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে স্তন্যপান করাতে লাগলেন। 10শিশুটি বড় হলে তিনি তাকে রাজকন্যার কাছে নিয়ে এলেন। রাজকন্যা তাকে পোষ্যপুত্র রূপে গ্রহণ করলেন। তিনি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছিলেন বলে তার নাম রাখলেন মোশি (উত্তোলিত)।
11মোশি তখন বেশ বড় হয়েছেন। একদিন তিনি স্বজাতীয়দের কাছে গেলেন। দেখলেন, সেখানে কি কঠোর পরিশ্রমই না তারা করছে। এমন সময় দেখতে পেলেন একজন মিশরী একজন হিব্রুকে মারছে। 
12মোশি চারিদিকে তাকিয়ে দেখলেন কউ কোথাও নেই, তখন তিনি ঐ মিশরী লোকটিকে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন। 13এরপর আর একদিন মোশি বাইরে বেড়াতে গিয়ে দেখলেন দুজন হিব্রু মারামারি করছে। যে লোকটি অন্যায় করছিল তাকে তিনি বললেন, একে মারছ কেন? 14সে বলল, আমাদের উপর কে তোমাকে সর্দারি করতে পাঠিয়েছে? সেই মিশরী লোকটাকে তুমি যেমন খুন করেছ তেমনি আমাকেও খুন করতে চাও নাকি? এ কথা শুনে মোশি খুব ভয় পেলেন। দেখলেন, ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেছে।
15সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফারাও প্রাণদণ্ড দেওয়ার জন্য মোশির খোঁজ করতে লাগলেন। এদিকে মোশি তখন ফারাও-এর রাজ্য ছেড়ে মিদিয়ন দেশে পালিয়ে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি একটি কুয়োর ধারে গিয়ে বসলেন।
16মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর সাতটি মেয়ে তখন তাদের বাবার ভেড়ার পালকে জল খাওয়াবার জন্য সেখানে এসে জল তুলে চৌবাচ্চাগুলি পূর্ণ করছিল। 17সেই সময় কয়েক জন মেষপালক এসে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হল। মোশি তখন উঠে এসে সেই মেয়েদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচালেন এবং তাদের ভেড়াগুলিকে জল খাওয়ালেন।
18সেই মেয়েরা বাড়ি ফিরে এলে তাদের বাবা বললেন, আজ তোমরা এত তাড়াতাড়ি ফিরলে কি করে? 19তারা বলল, একজন মিশরী যুবক আজ আমাদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এমন কি তিনি নিজে জল তুলে আমাদের ভেড়াগুলিকে পান করিয়েছেন। 20তিনি তাঁর মেয়েদের জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে এলে কেন? যাও, আমাদের সঙ্গে আহার করার জন্য তাঁকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এস।
21পরে মোশি যিথ্রোর সঙ্গে বাস করতে রাজী হলেন। যিথ্রো মোশির সঙ্গে তাঁর কন্যা সিপ্পোরার বিবাহ দিলেন। 22সিপ্পোরার একটি পুত্র হল, মোশি বিদেশে প্রবাসী হয়েছেন বলে তার নাম রাখলেন গেরশোম (প্রবাসী)।
23এইভাবে অনেক দিন কেটে গেল। ইতিমধ্যে মিশরের রাজা গত হলেন, কিন্তু ইসরায়েলীদের দাসত্ব-যন্ত্রণার অবসান হল না। তাদের হাহাকার, দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তির কাকুতি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাল। 24তাদের কাতরোক্তি শুনে ঈশ্বর অব্রাহাম,ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধের কথা স্মরণ করলেন। 25ঈশ্বর ইসরায়েলীদের দুর্দশা দেখে তাদের অবস্থা উপলব্ধি করলেন।
=======================

যাত্রা পুস্তক : ৩ - ১ 


জ্বলন্ত ঝোপ
1মোশি তখন তাঁর শ্বশুর মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর ভেড়ার পাল চরাচ্ছিলেন। একদিন তিনি ভেড়ার পাল নিয়ে প্রান্তর পেরিয়ে ঈশ্বরের পর্বত হোরেব-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। 2সেখানে প্রভু পরমেশ্বরের দূত জ্বলন্ত অগ্নিশিখারূপে ঝোপের মধ্যে তাঁকে দর্শন দিলেন। মোশি দেখলেন, একটি ঝোপের মধ্যে আগুন জ্বলছে কিন্তু সেটি পুড়ছে না। 3ঝোপটি কেন পুড়ছে না, পরম বিস্ময়কর এই দৃশ্য কাছে গিয়ে দেখার সঙ্কল্প করলেন মোশি। 4এই দৃশ্য দেখার জন্য মোশিকে কাছে এগিয়ে আসতে দেখে প্রভু পরমেশ্বর ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁকে ডাকলেন, মোশি! মোশি! মোশি উত্তর দিলেন, আজ্ঞে, এই যে আমি। 5ঈশ্বর বললেন, আর এগিও না, তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল, কারণ যে স্থানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ পবিত্রভূমি। 6তিনি আর‍ও বললেন, আমি তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর। তখন মোশি মুখ ঢেকে ফেললেন, কারণ ঈশ্বরের দিকে তাকাবার সাহস তাঁর হল না।
7প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বললেন, মিশরে আমার প্রজাদের দুর্দশা আমি দেখেছি, নিষ্ঠুর রাজার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ আমি শুনেছি, তাদের দুঃখ আমি জানি। 8মিশরীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা সম্পদশালী বিস্তীর্ণ এক মনোরম দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি এসেছি। সেই দেশ কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবুষীয় প্রভৃতি জাতির বাসভূমি।

9ইসরায়েলীদের আর্তনাদ আমি শুনেছি, মিশরীরা যেভাবে তাদের নির্যাতন করছে, তা আমি দেখেছি। 10আমি এখন তোমাকে ফারাও-এর কাছে পাঠাব এবং আমার প্রজা ইসরালেয়ীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব। 11মোশি ঈশ্বরকে বললেন, কিন্তু আমি এমন কে যে ফারাও-এর কাছে গিয়ে ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব? 12ঈশ্বর বললেন, ভয় কি, আমি তোমার সঙ্গে থাকব। আর আমিই যে তোমাকে পাঠিয়েছি তার প্রমাণ হবে এই যে, তুমি যখন ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনবে তখন এই পর্বতেই তোমরা ঈশ্বরের আরাধনা করবে।

=======================

মোশির সঙ্গে যিথ্রোর সাক্ষাৎকার
1মোশির শ্বশুর যিথ্রো ছিলেন মিদিয়নীদের পুরোহিত। ঈশ্বর মোশির জন্য ও তাঁর প্রজা ইসরায়েলীদের জন্য যা করেছিলেন এবং মিশর থেকে যেভাবে প্রভু পরমেশ্বর ইসরায়েলীদের উদ্ধার করে এনেছিলেন তার সমস্ত বিবরণ যিথ্রো শুনেছিলেন। 2-3মোশি তাঁর স্ত্রী সিপ্পোরাকে পিতৃগৃহে পাঠিয়ে দেওয়ার পর যিথ্রো তাঁর স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন। প্রবাসে ছিলেন বলে মোশি তাঁর এক পুত্রের নাম রেখেছিলেন গেরশোম (প্রবাসী)। 4আর তাঁর পিতৃপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বর তাঁর সহায় হয়েছিলেন এবং ফারাও-এর আক্রমণের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেছিলেন বলে তিনি তাঁর আর এক পুত্রের নাম রেখেছিলেন ইলিয়েসর (ঈশ্বর আমার সহায়)।
5ঈশ্বরের পর্বতের কাছে প্রান্তরে মোশি যেখানে শিবির স্থাপন করেছিলেন, মোশির শ্বশুর যিথ্রো মোশির স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে সেখানে গেলেন। 6তিনি মোশির কাছে বলে পাঠালেন, আমি, তোমার শ্বশুর যিথ্রো, তোমার স্ত্রী ও দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে তোমার কাছে যাচ্ছি। 7মোশি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য এগিয়ে গেলেন এবং তাঁকে প্রণাম করে চুম্বন করলেন। তাঁরা পরস্পরের কুশল জিজ্ঞাসা করলেন, তারপর শিবিরে এলেন। 8প্রভু পরমেশ্বর ইসরায়েলীদের উদ্ধারের জন্য ফারাও ও মিশরীদের কি দশা করেছেন এবং পথে যে সব সঙ্কটের সম্মুখীন তাঁরা হয়েছেন এবং সেই সঙ্কট থেকে প্রভু পরমেশ্বর কিভাবে তাদের উদ্ধার করেছেন, সে সব কথা মোশি তাঁকে বললেন।
9মিশরীদের কবল থেকে ইসরায়েলীদের উদ্ধার করে প্রভু তাদের যে কল্যাণ সাধন করেছেন, সে কথা জেনে যিথ্রো খুব আনন্দ প্রকাশ করলেন। 10-11তিনি বললেন, ধন্য প্রভু পরমেশ্বর, যিনি তোমাদের ফারাও ও মিশরীদের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন। আমি এখন জানলাম যে দেবতাদের মধ্যে প্রভু পরমেশ্বরই শ্রেষ্ঠ, কারণ তিনি মিশরের ঔদ্ধত্য ও উৎপীড়ন থেকে ইসরায়েলীদের নিষ্কৃতি দিয়েছেন। 12মোশির শ্বশুর যিথ্রো ঈশ্বরের উদ্দেশে বলিদান ও হোম করলেন। হারোণ ও ইসরায়েলীদের প্রবীণ নেতারা মোশির শ্বশুরের সঙ্গে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে সেই পবিত্র খাদ্য গ্রহণ করলেন।

Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L. © The Bible Society of India - 2016.

(যাহা পুস্তক ২: ১২)

মোশির জন্ম
1লেবি কুলের এক ব্যক্তি এইসময় তাঁর নিজের গোষ্ঠীর একটি কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। 2তাঁদের একটি সুশ্রী পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল। এই সুন্দর শিশুটিকে মমতাবশতঃ মা তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন, 3কিন্তু পরে আর তাকে গোপনে রাখা সম্ভব হল না বলে তিনি একটা নলখাগড়ার ঝাঁপিতে পিচ ও আলকাতরা মাখালেন যাতে তার মধ্যে জল প্রবেশ করতে না পারে। তারপর তার মধ্যে শিশুটিকে শুইয়ে দিলেন এবং ঝাঁপিটা নদীতে নলবনের মধ্যে রেখে দিয়ে এলেন। 4শিশুটির কি হয় তা দেখার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে রইল। 5কিছুক্ষণ পরে মিশরের রাজকন্যা নদীতে স্নান করতে এলেন, তাঁর সখীরা নদীর ধারে বেড়াতে লাগল। নলবনের মধ্যে ঐ ঝাঁপিটা দেখতে পেয়ে তিনি তাঁর দাসীকে দিয়ে সেটি আনালেন। 6ঝাঁপি খুলে দেখলেন, তার মধ্যে একটি শিশু। সে খুব কাঁদছিল। তাকে কাঁদতে দেখে তাঁর খুব মায়া হল। তিনি বললেন, এটি নিশ্চয়ই হিব্রুদের ছেলে। 7ছেলেটির দিদি তখন রাজকন্যার কাছে গিয়ে বলল, ছেলেটিকে দুধ খাওয়ানোর জন্য একজন হিব্রু ধাইকে কি আপনার কাছে ডেকে আনব? 8তিনি তাকে বললেন, হ্যাঁ, নিয়ে এস। তখন সে গিয়ে তার মাকে ডেকে আনল। 9রাজকন্যা তাঁকে বললেন, এই ছেলেটিকে নাও, আমার হয়ে তুমি একে পালন কর। এর জন্য আমি তোমাকে বেতন দেব। সেই মহিলা তখন শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে স্তন্যপান করাতে লাগলেন। 10শিশুটি বড় হলে তিনি তাকে রাজকন্যার কাছে নিয়ে এলেন। রাজকন্যা তাকে পোষ্যপুত্র রূপে গ্রহণ করলেন। তিনি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছিলেন বলে তার নাম রাখলেন মোশি (উত্তোলিত)।
11মোশি তখন বেশ বড় হয়েছেন। একদিন তিনি স্বজাতীয়দের কাছে গেলেন। দেখলেন, সেখানে কি কঠোর পরিশ্রমই না তারা করছে। এমন সময় দেখতে পেলেন একজন মিশরী একজন হিব্রুকে মারছে। 
12মোশি চারিদিকে তাকিয়ে দেখলেন কউ কোথাও নেই, তখন তিনি ঐ মিশরী লোকটিকে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন। 13এরপর আর একদিন মোশি বাইরে বেড়াতে গিয়ে দেখলেন দুজন হিব্রু মারামারি করছে। যে লোকটি অন্যায় করছিল তাকে তিনি বললেন, একে মারছ কেন? 14সে বলল, আমাদের উপর কে তোমাকে সর্দারি করতে পাঠিয়েছে? সেই মিশরী লোকটাকে তুমি যেমন খুন করেছ তেমনি আমাকেও খুন করতে চাও নাকি? এ কথা শুনে মোশি খুব ভয় পেলেন। দেখলেন, ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেছে।
15সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফারাও প্রাণদণ্ড দেওয়ার জন্য মোশির খোঁজ করতে লাগলেন। এদিকে মোশি তখন ফারাও-এর রাজ্য ছেড়ে মিদিয়ন দেশে পালিয়ে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি একটি কুয়োর ধারে গিয়ে বসলেন।
16মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর সাতটি মেয়ে তখন তাদের বাবার ভেড়ার পালকে জল খাওয়াবার জন্য সেখানে এসে জল তুলে চৌবাচ্চাগুলি পূর্ণ করছিল। 17সেই সময় কয়েক জন মেষপালক এসে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হল। মোশি তখন উঠে এসে সেই মেয়েদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচালেন এবং তাদের ভেড়াগুলিকে জল খাওয়ালেন।
18সেই মেয়েরা বাড়ি ফিরে এলে তাদের বাবা বললেন, আজ তোমরা এত তাড়াতাড়ি ফিরলে কি করে? 19তারা বলল, একজন মিশরী যুবক আজ আমাদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এমন কি তিনি নিজে জল তুলে আমাদের ভেড়াগুলিকে পান করিয়েছেন। 20তিনি তাঁর মেয়েদের জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে এলে কেন? যাও, আমাদের সঙ্গে আহার করার জন্য তাঁকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এস।
21পরে মোশি যিথ্রোর সঙ্গে বাস করতে রাজী হলেন। যিথ্রো মোশির সঙ্গে তাঁর কন্যা সিপ্পোরার বিবাহ দিলেন। 22সিপ্পোরার একটি পুত্র হল, মোশি বিদেশে প্রবাসী হয়েছেন বলে তার নাম রাখলেন গেরশোম (প্রবাসী)।
23এইভাবে অনেক দিন কেটে গেল। ইতিমধ্যে মিশরের রাজা গত হলেন, কিন্তু ইসরায়েলীদের দাসত্ব-যন্ত্রণার অবসান হল না। তাদের হাহাকার, দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তির কাকুতি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাল। 24তাদের কাতরোক্তি শুনে ঈশ্বর অব্রাহাম,ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধের কথা স্মরণ করলেন। 25ঈশ্বর ইসরায়েলীদের দুর্দশা দেখে তাদের অবস্থা উপলব্ধি করলেন।
Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L. © The Bible Society of India - 2016.

প্রেরিতদের কার্য বিবরণী ৭:২৩








1প্রধান পুরোহিত তখন স্তিফানকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ সব কথা কি সত্য?
2স্তিফান বললেন,  হে আমার ভ্রাতা ও পিতৃস্থানীয় সকলে, আমার কথা শুনু। আমাদের পিতা অব্রাহাম হারাণে এসে বসতি স্থাপন করার আগে যখন মেসোপটেমিয়ায় বাস করতেন তখন মহিমময় ঈশ্বর তাঁকে দর্শন দিয়ে 3বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার দেশ ও আত্মীয় স্বজনদের পরিত্যাগ করে এস, যে দেশ আমি তোমাকে দেখাব, সেই দেশে চল।’ 4তিনি তখন কলদীয়দের দেশ ছেড়ে চলে গেলেন হারাণে এবং সেখানে বসবাস করতে লাগলেন। তাঁর পিতার মৃত্যুর পর ঈশ্বর তাঁকে এই দেশে এনে বসতি করালেন। 5তবে এখানকার কোন কিছুর উপরে তিনি তাঁকে কোন সত্ত্ব দেননি, এমনকি একটি পা রাখার মত জমিও তাঁকে তিনি দেননি। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর বংশধরদের তিনি সেই দেশের অধিকার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যদিও সেই সময় অব্রাহাম ছিলেন নিঃসন্তান। 6ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর বংশধরেরা অন্যদেশে প্রবাসীর জীবন যাপন করবে এবং চারশো বছর ধরে উৎপীড়িত ও দাসত্ব-শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকবে। 7ঈশ্বর বলেছিলেন, ‘কিন্তু তারা যে জাতির দাসত্ব করবে আমি সেই জাতির দণ্ডবিধান করব। তারপর তারা সেখান থেকে মুক্তিলাভ করে এই দেশে এসে আমার সেবা করবে।’ 8তিনি অব্রাহামের সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধের স্মারক হিসাবে সুন্নত সংস্কারের বিধান দিলেন। অব্রাহামের পুত্র ইস্‌হাকের জন্মের পর অষ্টম দিনে, বিধান অনুযায়ী তাঁর সুন্নত করা হল। ইস্‌হাকের পুত্র হলেন যাকোব । ইনিই ইসরায়েলীদের বারো জন কুলপতির পিতা।
9এই কুলপতিরা ঈর্ষাবশতঃ যোষেফকে বিক্রী করে পাঠিয়ে দিলেন মিশর দেশে। কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সঙ্গে ছিলেন, 10তাই তিনি তাঁকে সমস্ত পিবর্যয় থেকে উদ্ধার করেছিলে এবং তাঁকে মেধা ও প্রজ্ঞা দান করে মিশররাজ ফারাও-এর অড়ুগ্রহভাজন করেছিলেন। মিশররাজ তাঁকে মিশরের সর্বোচ্চ শাসক পদে নিযুক্ত করলেন। এমনকি সমগ্র রাজপরিবারের দায়ইত্বভার তাঁর হাতে অর্পণ করলেন। 11একসময় সমগ্র মিশর ও কনান দেশে দেখা দিল দুর্ভিক্ষ। নেমে এল মহা বিপর্যয়। আমাদের পূর্বপুরুষেরা কোথাও পেলেন না খাদ্যের সন্ধান। 12কিন্তু যাকোব শুনতে পেলেন যে মিশরে খাদ্যশস্য পাওয়া যাচ্ছে। তখন তিন আমাদের পিতৃপুরুষদের পাঠিয়ে দিলেন সেখানে। মিশরের এই-ই ছিল তাঁদের প্রথম যাত্রা । 13তাঁরা যখন দ্বিতীয়বার সেখানে গেলেন তখন তাঁরা তাঁদের ভাই যোষেফকে চিনতে পারলেন এবং তাঁদের সঙ্গে আত্মীয়সম্বন্ধের কথা ফারাও এর কাছে প্রকাশিত হল। 14যোষেফ তখন তাঁর পিতা যাকোব ও আত্মীয়স্বজন মিলে সবশুদ্ধ পঁচাত্তর জনকে নিজের কাছে নিয়ে এলেন। 15যাকোব গেলেন মিশর দেশে। তিনি ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা সেখানেই বাকী জীবনটা কাটিয়ে দিলেন।16পরবর্তীকালে তাঁদের দেহাবশেষ শিখিমে এনে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। অব্রাহাম এই স্থানটি হমোর-এর পুত্রদের কাছ থেকে কিছু অর্থের বিনিময়ে কিনেছিলেন।
17অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের অঙ্গীকার পূরণের সময় যত এগিয়ে আসতে লাগল, মিশরদেশে ইসরায়েলীদের জনসংখ্যা তত বৃদ্ধি পেতে থাকল। 18অবশেষে মিশরে এমন একজন রাজার অভ্যুত্থান হল, যিনি যোষেফ সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না। 19আমাদের স্বজাতির সঙ্গে তিনি ধূর্তের মত ব্যবহার করতে লাগলেন। তিনি নির্দয়ভাবে আমাদের পিতৃপুরুষদের বাধ্য করলেন তাঁদের শিশু সন্তানদের বাইরে ফেলে দিতে, যাতে তাদের মৃত্যু হয়। 20এই সময় জন্মগ্রহণ করলেন মোশি। পরম সুন্দর সেই শিশু ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করলেন। তিন মাস তিনি তাঁর পিতৃগৃহে প্রতিপালিত হলেন। 21কিন্তু যখন তাঁকে বাইরে ফেলে দেওয়া হল তখন ফারাও-দুহিতা তাঁকে দত্তকরূপে গ্রহণ করলেন এবং নিজের ছেলের মতই পালন করতে লাগলেন। 22মিশরী সভ্যতার সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানেই মোশি শিক্ষিত হয়ে উঠলেন। তেজস্বী বক্তা ও কর্মদক্ষ পুরুষ হয়ে উঠলেন তিনি।
23প্রায় চল্লিশ বছর বয়সে, একসময় তাঁরা স্বজাতি ইসরায়েলীদের অবস্থা খোঁজ করে দেখার ইচ্ছা হল। 24সেখানে একজনের উপর একটি মিশরী অন্যায় করছে দেখে উৎপীড়িত ব্যক্তিটিকে রক্ষা করার জন্য তার পক্ষ নিয়ে তিনি সেই মিশরী লোকটিকে হত্যা করলেন।25তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর স্বজাতিরা এ দেখে নিশ্চয়ই এ কথা বুঝতে পেরেছে যে ঈশ্বর এভাবেই তাঁর হাত দিয়ে তাদের মুক্তি দেবেন। কিন্তু তারা বুঝল না। 26তার পরদিন তাদের দুজন যখন নিজেরা মারামারি করছিল, তখন তিনি তাদের সামনে গিয়ে উপস্তিত হলেন এবং তাদের মধ্যে মিটমাট করে দিতে চাইলেন। বললেন, ভাইসব, তোমরা তো ভাই-ভাই। কেন তোমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছ? 27যে লোকটি তার প্রতিবেশীর উপর আগে অন্যায় করেছিল, সে এসে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে সরিয়ে দিল। বলল, কে তোমাকে আমাদের বিচারক ও শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছে? 28কাল যেমন মিশরী লোকটিকে হত্যা করেছ, আজ আবার তেমনি আমাকেও হত্যা করতে চাও নাকি? 29এই কথা শুনে মোশি পালিয়ে গেলেন এবং মিদিয়ন দেশে প্রবাস জীবন বরম করলেন। এইখানেই তিনি দুটি পুত্রের জনক হয়েছিলেন।
30এরপর চল্লিশ বছর কেটে গেল। একদিন সিনাই পর্বতের কাছে প্রান্তরের মধ্যে জ্বলন্ত একটি ঝোপের অগ্নিশিখায় এক স্বর্গদূত মোশির সামনে আবির্ভূত হলেন। 31মোশি এই দৃশ্য দেখে খুব আশ্চর্য হয়ে গেলন এবং কি ব্যাপার দেখবার জন্য কাছে যেতেই প্রভুর কথা শুনতে পেলেনঃ 32‘আমিই তোমার পিতৃকুলের ঈশ্বর, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর।’ মোশি ভয়ে কাঁপতে লাগলেন এবং সেদিকে আর তাকাতে সাহস করলেন না। 33প্রভু তাঁকে বললেন, তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল, কারণ যেখাএন তুমি দাঁড়িয়ে আছে, সেটি অতি পবিত্র স্থান। 34মিশরদেশে আমার প্রজাদের দুর্দশা আমি দেখেছি। শুনেছি তাদের আর্তনাদ। তাই আমি ওদের উদ্ধার করতে এসেছি। প্রস্তুত হও, আমি তোমাকে মিশর দেশে পাঠাব।
35যাঁকে তারা একদিন প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, ‘কে তোমাকে আমাদের বিচারক ও শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছে?’ সেই মোশিকেই ঝোপের মধ্যে আবির্ভূত স্বর্গদূতের মাধ্যমে ঈশ্বর একাধারে শাসনকর্তা ও উদ্ধারকর্তারূপে প্রেরণ করেছিলেন। 36তিনি মিশর দেশে, লোহিত সাগরে ও জনহীন প্রানতের চল্লিশ বৎসর ধরে নানা অলৌকিক কীর্তি সম্পাদন করে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে আনলেন। 37এই মোশিই ইসরায়েলীদের বলেছিলেন, ঈশ্বর আমাকে যেমন উৎপন্ন করেছেন, তেমনি তোমাদের ভ্রাতৃগণের মধ্যে থেকে এক নবীকে তিনি প্রেরণ করেবন। 38ইনিই সেই ব্যক্তি, যিনি নির্জন প্রান্তরে জনমণ্ডলীর সঙ্গে ছিলেন, সিনাই পর্বতে স্বর্গদূত যাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। ঈশ্বরের জীবনময় বাণী তিনি লাভ করেছিলেন, যা তিনি আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন।
39আমাদের পিতৃপুরুষেরা কিন্তু তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করে তাঁকে অগ্রাহ্য করেছিল। তারা মিশরে ফিরে যেতে চাইল।40হারোণকে তারা বলল, মিশর দেশ থেকে মোশি আমাদের উদ্ধার করে এনেছিলেন, কিন্তু এখন তাঁর কি হয়েছে, আমরা জানি না। তাই আমাদের নেতৃত্ব দেবার জন্য দেববিগ্রহ নির্মাণ করে দাও। 41তখন তারা একটা গোবৎসের মূর্তি নির্মাণ করে তার কাছে বলি উৎসর্গ করল এবং নিজেদের হাতে গড়া সেই মূর্তির সম্মানার্থে উৎসবে মত্ত হল। 42ফলে ঈশ্বর তাদের প্রতি বিমুখ হলেন এবং নিজেদের ইচ্ছামত নক্ষত্ররাজির পূজা করার জন্য তাদের ছেড়ে দিলেন। নবীদের গ্রন্থে এ বিষয়ে লেখা আছেঃ'হে ইসরায়েলকুল, চল্লিশ বর্ষব্যাপী প্রান্তরবাসেউৎসর্গ করেছিলে কি আমার কাছেকোন বলি কি নৈবেদ্য?
43নির্মাণ করেছিল তোমরাযে মূর্তিগুলি পূজার উদ্দেশ্যেসেই মোলক দেবতার প্রতীক তারকাবহন করেছ তোমরা।তাই তোমাদের আমি নির্বাসন দেবব্যাবিলনের সীমার ওপারে।’
44ঈশ্বরের উপস্থিতির সাক্ষ্যরূপে প্রান্তরে আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি তাম্বু ছিল। ঈশ্বরের নির্দেশে এবং তাঁরই প্রদত্ত নক্সা অনুসারে মোশি সেটি নির্মাণ করেছিলেন। 45পরবর্তীকালে যিহোশূয়ের আমলে আমাদের পিতৃপুরুষেরা যখন ঈশ্বর কর্তৃক বিতাড়িত জাতিকে উচ্ছেদ করে তাদের দেশ অধিকার করলেন, তখনও তাঁরা সেই শিবিরটি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। দাউদের আমল পর্যন্ত সেটি সেখানেই ছিল। 46এই দাউদ ঈশ্বরের অনুগ্রহলাভ করেছিলেন এবং যাকোবের* আরাধ্য ঈশ্বরের জন্য এক মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন। 47কিন্তু ঈশ্বরের জন্য এই মন্দির নির্মাণ করলেন শলোমন।
48পরাৎপর ঈশ্বর কিন্তু মানুষের হাতে গড়া কোন মন্দিরে বাস করেন না।
49নবী যেমন বলেছেনঃ'স্বর্গ আমার সিংহাসনমর্ত্য আমার পাদপীঠ,প্রভু বলেন, কেমন আবাস নির্মাণ করবেতোমরা আমার জ্য,অথবা কোথায় হবে আমার বিশ্রামের স্থান?
50আমারই হাতে গড়া নয় কি এগুলি?’
51হে উদ্ধত জনসাধারণ, হৃদয় তোমাদের অইহুদীদের মত অপবিত্র, শ্রবণ তোমাদের ঈশ্বরের বাণীর প্রতি বিমুখ। চিরকালই তোমরা পবিত্র আত্মার বিরোধিতা করছ। যেমন ছিল তোমাদের পূর্বপুরুষেরা তেমনিই হয়েছ তোমরাও। 52তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন নবীকে না নির্যাতন করেছে? শাস্ত্রোক্ত ধর্মময় পুরুষেরর আগমন বার্তা যাঁরা ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের তোমরা হত্যা করেছ। এখন তাঁর সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁকে হত্যা করেছ। 53তোমরা যারা স্বর্গদূতের মাধ্যমে ঈশ্বরের বিধান লাভ করেছ, তা তোমরা পালন করনি।
প্রস্তরাঘাতে স্তিফানের মৃত্যু
54স্তিফানের এই ভাষণে তারা ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উঠল এবং দাঁত ঘষতে লাগল। 55স্তিফান পবিত্র আত্মায় আবিষ্ট হয়ে একদৃষ্টে চেয়ে রইলেন স্বর্গের দিকে। দেখলেন সেখানে ঈশ্বরের মহিমা। ঈশ্বরের দক্ষিণ দিকে দাঁড়িয়ে আছেন যীশু। 56তিনি বলে উঠলেন, আকাশ উন্মুক্ত হয়ে গেছে, আমি দেখতে পাচ্ছি মানবপুত্র দাঁড়িয়ে আছেন ঈশ্বরের দক্ষিণ দিকে।
57একথা শুনে কানে আঙুল দিয়ে তারস্বরে তারা সকলে চীৎকার করে উঠল। তারা একসঙ্গে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। 58তারপর তাঁকে টানতে টানতে নগরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথর মেরে হত্যা করার উদ্যোগ করল। স্তিফানের ভাষণ যারা শুনছিল তারা সকলে নিজেদের পোষাক খুলে শৌল নামে এক যুবকের জিম্মায় রেখে পাথর মারতে শুরু করল। 59স্তিফানকে তারা যখন পাথর মারছিল তখন তিনি প্রার্থনা করে বললেন, প্রভু যীশু, আমার আত্মাকে গ্রহণ কর। 60তারপর হাঁটু পেতে চীৎকার করে নিবেদন করলেন, প্রভু, এদের এইপাপ তুমি গণ্য করো না। এই কথা বলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...