রুহ্ কি ?
সর্ব প্রথম আমরা জেনে নেই রুহ সম্পর্কে কোরআনের একটি আয়াত। “তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।” (সুরা বনিইসরাইল- ৮৫)
নবী কারিম (সা.) সবসময়ই জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন এবং তিনি প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিয়ে মানুষের জ্ঞানের চাহিদা মেটাতেন। প্রশ্নকারীরা রাসূলে খোদাকে মানুষের ‘রূহ’ সম্পর্কে প্রশ্ন করতো যে ‘রুহ’ জিনিসটা আসলে কী বা কেমন? কিংবা প্রশ্ন করতো যেই ফেরেশতা কুরআন অবতীর্ণ করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, সেই ফেরেশতা কীভাবে নবীজীর ওপর ওহী নাযিল করতেন?। এর জবাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবীজীকে বললেনঃ প্রশ্নকারীদের ঐসব প্রশ্নের জবাবে বলুন! ‘রূহ’ বস্তুগত কিংবা অনুভবগ্রাহ্য কোনো জিনিস নয় যে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারবে। বরং রূহ সম্পূর্ণ অবস্তুগত একটি জিনিস যা আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন। এবং রূহ কী বা কেমন তা তোমাদের উপলব্ধি ক্ষমতার বাইরে। এই বিশ্বভূবনের সত্যাসত্য সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত এবং উপলব্ধি ক্ষমতাও যৎসামান্য। তোমরা ভেব না যে তোমরা সবকিছুই জানো কিংবা জানতে সক্ষম। পবিত্র কোরানে অন্তত বিশবার রুহ শব্দটা এসেছে। কিন্তু রুহ শব্দটা মহান আল্লাহ তিনটি প্রসঙ্গে ব্যবহার করেছেন। প্রথমত ‘রূহ’ হলো সেই অলৌকিক বস্তু যা মানুষের ভেতর ফুঁ দিয়ে প্রাণের সঞ্চার করা হয়। দ্বিতীয়ত ‘রূহ’ শব্দটি ওহীর দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল (আ.) এর প্রসঙ্গে এসেছে। তৃতীয়ত ‘রূহ’ শব্দটি এসেছে স্বয়ং কুরআন এবং আল্লাহর ওহী সম্পর্কে, যেই ওহী রাসূলে খোদার ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল। আর এই তিনটি প্রসঙ্গই উল্লেখিত আয়াতের তাৎপর্য। এই একটি আয়াত দ্বারা আল্লাহ সবগুলো আয়াতের সারমর্মকে বুঝিয়েছেন। রুহ যে আল্লাহর আদেশ ঘটিত, তা আর নতুন করে বলার অবকাশ রাখেনা। কারন, আল্লাহ রুহ ফুকে দিয়ে নিঃপ্রানকে প্রানবন্ধো করেন এটা আল্লাহর আদেশ মাত্র। জিবরাইল আঃ ওহি নিয়ে রাসুলের কাছে আসে এটাও আল্লাহর আদেশ মাত্র। পুরো মানবজাতির উপর অবতীর্ন আল্লাহর বাণী সেটাও আল্লাহর আদেশ মাত্র। তাই একটি কথায় আল্লাহ প্রকাশ করেছেন যে, রুহ আমার আদেশ মাত্র। শেষান্তে আল্লাহ বলেছেন, এবিষয়ে তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে। এটা মহান আল্লাহ এই পৃথিবীর কাফের মুশরেকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন। তাইতো তারা সত্যকে দেখেও দেখেনা বুঝেও বুঝেনা।
মাশাআল্লাহ
ReplyDelete