যাকাত সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্ন ।

ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার নিসাবের চেয়ে কম হলে এর সাথে টাকা পয়সা থাকলে যাকাত আসবে কি?

প্রশ্ন

From: মুহা. হাফিজুর রহমান
বিষয়ঃ নেসাবের কম স্বর্ণালংকারের যাকাত প্রসঙ্গে

আসসালামু আলাইকুম। নিম্নে বর্ণিত সূরতে মাসআলার সমাধান চাচ্ছি।
#কোন নারীর কাছে ৩/৪/৫/৬ ভরি (অর্থাৎ নেসাবের চেয়ে কম) স্বর্ণালংকার আছে। অন্য কোন ধন-সম্পদ বা টাকা পয়সা নেই। এমতাবস্থায় তার উপর যাকাত ফরজ হবে কি? উল্লেখ্য, নারীদের কাছে সাধারণত খুচরা কিছু টাকা পয়সা থাকে। এগুলোর সাথে স্বর্ণালংকার মিলালে রুপার নেসাব পূরণ হয়ে যায়।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

উপরোক্ত স্বর্ণের সাথে আর কোন টাকা পয়সা বা রৌপ্য না থাকলে যাকাত আসবে না।

কিন্তু সাধারণতঃ এমন হয় না। কিছু টাকা পয়সা থাকেই। তাই উপরোক্ত অবস্থায় উক্ত স্বর্ণের মূল্য যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলার রৌপ্যের মূল্য পরিমাণ হয়, তাহলে এর উপরও যাকাত আসবে।

যাকাতকে বোঝা মনে না করি। এর মাধ্যমে সম্পদ কমে না। বাহ্যিকভাবে কমে যায়, মনে হলেও আসলে কমে না। আল্লাহ তাআলা এতে বরকত দান করেন।

তাই শরয়ী বিধান পালন করায় কৃপণতা করা উচিত হবে না।

উপযুক্ত যাকাত আদায় করে দিতে হবে।

فى الدر المختاروَلَوْ بَلَغَ بِأَحَدِهِمَا نِصَابًا دُونَ الْآخَرِ تَعَيَّنَ مَا يَبْلُغُ بِهِ، وَلَوْ بَلَغَ بِأَحَدِهِمَا نِصَابًا وَخُمُسًا وَبِالْآخَرِ أَقَلَّ قَوَّمَهُ بِالْأَنْفَعِ لِلْفَقِيرِ (رد المحتار، كتاب الزكاة، باب زكاة المال-3/229، وكذا فى الهداية-1/196، وكذا فى الهندية-1/179، وكذا فى التاتارخانية-2/237، وكذا فى المبسوط للسرخسى-2/191


عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده أن امرأة أتت رسول الله صلى الله عليه و سلم ومعها ابنة لها وفي يد ابنتها مسكتان غليظتان من ذهب فقال لها ” أتعطين زكاة هذا ؟ ” قالت لا قال ” أيسرك أن يسورك الله بهما يوم القيامة سوارين من نار ؟ ” قال فخلعتهما فألقتهما إلى النبي صلى الله عليه و سلم وقالت هما لله عزوجل ولرسوله

অনুবাদ- আমর বিন শুয়াইব থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিন [দাদা] বলেনঃ এক মহিলা তার কন্যাসহ রাসূল সাঃ এর খিদমতে উপস্থিত হন। তার কন্যার হাতে মোটা দুই গাছি স্বর্ণের চুড়ি [কাঁকন] ছিল। তিনি [রাসূল সাঃ] তাকে বললেনঃ তোমরা কি এটার যাকাত আদায় কর? মহিলা বলেনঃ না। রাসূল সাঃ বলেনঃ তুমি পছন্দ কর যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের কাঁকন পরিধান করান? রাবী বলেনঃ একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবী করীম সাঃ এর সামনে রেখে দিয়ে বললঃ এ দু’টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৩, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭৭৯৯, সুনানুল কুবরা লিননাসায়ী, হাদীস নং-২২৫৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২০০৫}

عن عبد الله بن شداد بن الهاد أنه قال دخلنا على عائشة زوج النبي صلى الله عليه و سلم فقالت ” دخل علي رسول الله صلى الله عليه و سلم فرأى في يدي فتخات ( خواتيم كبار ) من ورق فقال ” ما هذا يا عائشة ” ؟ فقلت صنعتهن أتزين لك يارسول الله قال ” أتؤدين زكاتهن ؟ ” قلت لا أو ماشاء الله قال ” هو حسبك من النار “

হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, আমরা রাসূল সাঃ এর স্ত্রী হযরত আয়শা রাঃ এর খেদমতে উপস্থিত হই। তখন তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমার তাতে রূপার বড় বড় আংটি দেখতে পান। তিনি বলেন, হে আয়শা! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উদ্দেশ্যে রূপচর্চা করার জন্য তা বানিয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এর যাকাত পরিশোদ করে থাক? আমি বললাম, না অথবা আল্লাহ পাকে যা ইচ্ছে ছিল। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমাকে দোযখে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৫, সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১২৩৩, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৭৩৩৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৯৭৪, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১৪৩৭}

والله اعلم بالصواب

//////////////////////////======================/////////


বাড়া বাসার এডভান্সের যাকাত কার উপর আবশ্যক?

প্রশ্ন

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ

জনাব,

মাননীয় মুফতী সাহেবান (দা. বা.)

বিষয়. যাকাত।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমার চাচার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, যা একটি ভাড়াকৃত (দোকান) ঘরে অবস্থিত। যে ঘরটি ভাড়া নেয়ার সময় ঘরের মালিক চাচার কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমান (৪/৫ লাখ) টাকা অগ্রীম হিসেবে গ্রহন করে, এবং চুক্তি এরূপ হয় যে, মেয়াদ (৩/৪/৫ বছর) শেষ হওয়ার পর ভাড়াটিয়া (আমার চাচা) অগ্রীমের পূর্ন টাকা ফেরত পাবেন। এই সময় টাকাটা জামানতের মত থাকবে। আর মাসিক ভাড়া নিয়ম মত প্রতি মাসে পরিশোধ করবেন। এমতাবস্থায় উক্ত অগ্রীমের টাকার মুল মালিক যদিও আমার চাচা, কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তা ব্যবহারের কোন সুযোগই চাচার নেই। বরং ঘরের মালিক তার নিজ প্রয়োজনে বা ব্যবসায় ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন। (অগ্রীম গ্রহন করার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য সাধারনতঃ এটাই হয়ে থাকে, উক্ত টাকা থেকে লাভবান হওয়া।)

অতএব,

আপনাদের নিকট বিনীত প্রশ্ন হলো, উক্ত মেয়াদের সময়ে অগ্রীমের টাকার যাকাত কে আদায় করবে ? আমার চাচা নাকি ঘরের মালিক ?

দলীল চতুষ্টয়ের আলোকে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে উত্তর প্রদান করে দ্বীনের উপর সঠিক আমল করার সুযোগ দানে আপনাদের সুমর্জি ও দোয়া কামনা করছি।

নিবেদক

মহানগর  প্রজেক্ট, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

এ মাসআলাটি আসলে ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য বিষয়। প্রথমত পরিস্কার হতে হবে ভাড়াদাতা উক্ত টাকাটি কী হিসেবে নিচ্ছেন? আর তিনি কী হিসেবে উক্ত টাকা খরচ করছেন? উক্ত টাকাটি খরচ করা তার জন্য জায়েজ কি না?

যদি ধরা হয় যে, উক্ত টাকাটি ভাড়াদাতা জামানাত হিসেবে নিচ্ছেন। তাহলে উক্ত টাকাটি ভাড়াদাতার কাছে আমানত। আর আমানতের বস্তুতে হস্তক্ষেপ করা তথা ব্যয় করা জায়েজ নয়। সে হিসেবে উক্ত টাকার মালিক মূলত ভাড়াটিয়া থেকে যান। তাই প্রতি বছর উক্ত টাকার উপর যাকাত ভাড়াটিয়ারই দিতে হবে।

যেহেতু উক্ত টাকা ভাড়াদাতা নিয়ে খরচ করে ফেলেন। তাই এটি আমানত হতে পারে না। তাছাড়া আমানতের বস্তু আমানতদারের বিনা ইচ্ছেয় ধ্বংস হয়ে গেলে এর জরিমানা দিতে হয় না। অথচ বিষয়টি এখানে এমন নয়। কারণ কোন কারণে উক্ত টাকা ভাড়াদাতার কাছ থেকে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেলেও ভাড়াদাতাকে উক্ত টাকা পরিশোধ করে দিতে ভাড়াদাতা বাধ্য। তাই এটি আমানতের হুকুমে হতে পারে না।

যদি রেহেন তথা বন্ধকি সম্পদ বলা হয়, তবুও একই হুকুম দাঁড়াচ্ছে। কারণ বন্ধককৃত বস্তুও বন্ধক গ্রহিতার কাছে আমানতই থাকে। অথচ এখানে আমানতের হুকুম প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। যেহেতু উক্ত টাকাটি বন্ধক গ্রহিতা নিজস্ব প্রয়োজনে খরচ করে ফেলে।

আর যদি ঋণ ধরা হয়। তাহলেও চুক্তিটি বৈধ হচ্ছে না। কারণ ঋণের বিনিময়ে কারো থেকে উপকার অর্জন করাও সুদ। তাই ঋণ ধরেও এ চুক্তিটিকে জায়েজের আওতায় আনা সম্ভব নয়।

তবে এক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে উক্ত চুক্তিটি জায়েজের আওতাভুক্ত হয়। সেটি হল, দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়া চুক্তি সম্পাদন। অর্থাৎ ভাড়া চুক্তি সম্পাদনের সময় প্রতি মাসের নির্দিষ্ট ভাড়ার কথা উল্লেখ করা হবে। তারপর সামনে আগত মাসের ভাড়া অগ্রীম পরিশোধ করার নামে উক্ত অতিরিক্ত টাকা প্রদান করা হবে। প্রতি মাসে ভাড়াটিয়া নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে থাকবে। আর যে মাসে উক্ত স্থান থেকে ভাড়াটিয়া চলে যাবে তার কয়েক মাস আগে থেকে ভাড়াদাতার কাছে জমাকৃত উক্ত টাকা থেকে ভাড়া পরিশোধ করে নেয়া হবে। আর যদি কোন অর্থ তারপরও বেঁচে যায়, তাহলে মালিক তা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে।

যদি এ সুরত অবলম্বন করা হয়, তাহলে উক্ত চুক্তিটি এবং অতিরিক্ত টাকা প্রদানটি একটি জায়েজ চুক্তি হবে। তাই উক্ত অতিরিক্ত টাকাটির মালিক হয়ে যাবে বাড়ির মালিক। এতে মৌলিকভাবে ভাড়াটিয়ার কোন মালিকানা বাকি থাকবে না। যেহেতু ভাড়াটিয়া উক্ত টাকার মালিক থাকছে না, তাই তার উপর উক্ত টাকার যাকাত আবশ্যক হওয়ার প্রশ্নই আসে না। পক্ষান্তরে যেহেতু বাড়ির মালিক উক্ত টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, তাই উক্ত টাকা খরচ করা তার জন্য জায়েজ হবে। সেই সাথে উক্ত টাকার যাকাতও তার উপর আবশ্যক হবে। {জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/১৪৭-১৪৮, মালে হারাম আওর উসকে মাসারেফ ওয়া আহকাম-৮৫}

وكان من كبار علماء سمرقند إنه لا يحل له أن ينتفع بشيء منه بوجه من الوجوه وإن أذن له الراهن ، لأنه أذن له في الربا لأنه يستوفي دينه كاملا فتبقى له المنفعة فضلا ، فتكون ربا وهذا أمر عظيم (رد المحتار، كتاب الرهن-10/82، طحطاوى على الدر، كتاب الرهن—4/236، مجمع الأنهر، كتاب الرهن-4/273

كل قرض جر نفعا فهو حرام، قال الشامى – اى اذا كان مشروطا (رد المحتار- كتاب البيوع، باب المرابحة، فصل فى القرض-7/295)

وَأَمَّا زَكَاةُ الْأُجْرَةِ الْمُعَجَّلَةِ عَنْ سِنِينَ فِي الْإِجَارَةِ الطَّوِيلَةِ الَّتِي يَفْعَلُهَا بَعْضُ النَّاسِ عُقُودًا وَيَشْتَرِطُونَ الْخِيَارَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي رَأْسِ كُلِّ شَهْرٍ فَتَجِبُ عَلَى الْآجِرِ لِأَنَّهُ مَلَكَهَا بِالْقَبْضِ وَعِنْدَ الِانْفِسَاخِ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ رَدُّ عَيْنِ الْمَقْبُوضِ بَلْ قَدْرُهُ فَكَانَ كَدَيْنٍ لَحِقَهُ بَعْدَ الْحَوْلِ (فتح القدير- كتاب الزكاة، 2/174

والله اعلم بالصواب



////////////////////////////====================///////////////////


কোন সম্পদে যাকাত আবশ্যক? আসবাব-গাড়ি ও জমির উপর যাকাত আবশ্যক হয়?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম।

যার ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব’ পরিমাণ সম্পদ নেই তাকে যাকাত ফেতরা দেয়া যায়। কিন্তু ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত ‘ টা কী?

০১.এক জনের কম দামি বা অতি দামি আসবাব পত্র আছে। এর কোনটা প্রতিদিন ব্যবহার করছে, কোনটা কেবল মেহমান আসলে আবার কোনটা ঘরে সৌন্দর্যের জন্যই কেবল। এদের কোনটা প্রয়োজনের অতিরিক্ত?

০২. জমির মালিকের কী পরিমাণ জমিকে প্রয়োজনীয় ধরা হবে?

০৩. একজনের একটি দামি গাড়ি আছে। এটা ভাড়া দিয়ে সে পরিবার চালায়। সেটা তার কাছে তো প্রয়োজনীয়।

উত্তর

وعيلكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার তিনটি প্রশ্নের উত্তর বুঝতে হলে আপনার প্রথমে জানতে হবে যে, যাকাত কোন সম্পদে আবশ্যক হয়?

যাকাত আবশ্যক হয়, মোট ৪টি বস্তুর উপরে। যথা-

১-স্বর্ণ।

২-রৌপ্য।

৩-ব্যবসায়ীক পণ্য।

৪-নগদ অর্থ।

এছাড়া বাকি সম্পদ যতই হোক না কেন, এর উপর যাকাত আসে না।

সুতরাং ঘরের আসবাবপত্র যত দামীই হোক না কেন এসবের উপর যাকাত আবশ্যক হবে না।

আর যে জমির ফসল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে, বা এর ফসল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে বা এমনিতেই পড়ে আছে, এমন জমির উপরও যাকাত আবশ্যক হয় না।

এছাড়া ভাড়ায় দেয়া দামী গাড়ির উপরও যাকাত আবশ্যক হয় না। কারণ, এটি ব্যবসায়ীক পণ্য নয়, বরং ব্যবসা করার যন্ত্র। আর মনে রাখতে হবে, পণ্যের উপর যাকাত আসে, ব্যবসায়ীক যন্ত্রের উপর যাকাত আসে না।

دليلنا لأن الزكاة عبارة عن النماء وذلك من المال النامى على التفسير الذى ذكرناه وهو أن يكون معدا للإستمناء وذلك بالإعداد للإسامة فى المواشى والتجارة فى اموال التجارة (بدائع الصنائع-2/92)

ليس فيما يشترى للتجمل والزينة من خادم ومتاع ولؤلؤ وجوهر وفلوس للنفقة شئ (تاتارخانية-3/173، رقم-4031)

وليس فى دور السكنى وثياب البتدن أثاث المنازل ودواب الركوب وعيد الخدمة وسلاح الاستعمال زكاة لأنها مشغولة بالحاجة الأصلية وليست بنامية أيضا وعلى هذا كتب العلم لأهلها (هداية-1/186)

لو لم يكن من اهلها وليست هى للتجارة لا يجب فيها الزكاة أيضا، وإن كثرت لعدم النماء (حاشية هداية-1/186، رقم الحاشية-18)

لأن الاجوب فى الكل باعتبار التجارة يعنى أن سبب وجوب الزكاة ملك النصاب النامى والنماء أما بالإسامة أو بالتجارة (عناية، كتاب الزكاة، باب زكاة المال، فصل فى العروض، قديم-2/222، جديد-2/229)

النماء إما تحقيق يكون بالتوالد والتناسل والتجارات أو تقديرى يكون بالتمكن من الاستمناء بان يكون فى يده أو يد نائبه لأن السبب هو المال النامى فلا بد منه تحقيقا أو تقديرا (مجمع الأنهر، كتاب الزكاة-1/286ـ 1/193

والله اعلم بالصواب


//////////////////////===================/////////////////////

উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক ও প্রধান মুফতী – মা’হাদুত তালীম ওয়াল  বুহুসিল ইসলামিয়া ঢাকা।


মূল লিংক








 

1 comment:

  1. জাজাকাল্লাহু খইর। যদিও উত্তরে ব্যবহৃত অন্য অলঙ্কার যেমন হীরক বা অন্য কিছু এর দাম নিসাবের সমতুল্য বা বেশি হলে জাকাত হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তারপরও আলোচনা থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় যে, ঐসব ব্যবহৃত অলঙ্কারে জাকাদত দিতে হবে না।

    ReplyDelete

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...