প্রশ্ন-বিস্তারিত: ইমাম নামাজের মধ্যে ভুল কেরাত পড়ে। যে ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে সে তাজবিদ জানে। এক্ষেত্রে তার নামাজটি কি হবে?
উত্তর : জামায়াতের শৃংখলা এবং যেহেতু নির্ধারিত ইমাম এর বিষয়, এবং জামায়াতে শামিল হওয়া জরুরী, তাই হুট করে জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবেনা। ক্বিরাতের বিষয়টি নিয়ে প্রথমত ইমাম সাহেবের সাথে একান্তে কথা বলতে হবে, তার কোথাও ভুল হলে সেগুলো তাকে ধরিয়ে দিতে হবে, এবং সংশোধন করাতে হবে, এখানে শ্রদ্ধা সম্মান এবং সংশোধনের নিয়ত থাকবে, তুচ্ছ বা তাচ্ছিল্য এর নিয়ত থাকবেনা। অনেকে আছে, নিজে একটু শুদ্ধ তিলাওয়াত পারলে, তখন আর কোনো ইমাম সাহেবের তিলাওয়াত তার ভালো লাগেনা, তুচ্ছ করতে থাকে, এইটা একটা খারাপ রোগ। এই মানসিক রোগেরও চিকিৎসা করা দরকার। আরবী একটা বিদেশী ভাষা হিসেবে অন্য ভাষার মানুষের জন্য আরবী ১০০% শুদ্ধ করে পড়তে পারা কিছুটা কঠিন। এই সত্যটি মনে রাখতে হবে।
অপরদিকে, ইমাম সাহেবকে একান্তে বলার পরও তার মধ্যেও যদি সংশোধিত হওয়ার নিয়ত না থাকে তবে বিষয়টি কমিটির লোকদের কাছে জানাবেন, তাদের নিয়ে ইমাম সাহেবকে নিয়ে বসতে হবে। এরপর ইমাম সাহেবের যে স্থানে ভুল হয়, সেখানে তিলাওয়াত করতে বলতে হবে, এভাবে তার ভুল বিষয়টি কমিটিকে জানাতে হবে, এবং ভালো ও বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ইমাম নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে, এ পদক্ষেপ গুলো ততক্ষণ নেওয়া যাবেনা, যতক্ষণ না ইমাম সাহেবের সাথে একান্তে বসে তাকে জানানো হয়েছে, এবং সংশোধিত বিষয়টি তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment