আসসালামু আলাইকুয়। মাঝে মাঝে বিদ্যুত সরবারহ বন্ধ থাকার কারনে পাক পবিত্র হওয়ার জন্য পানি থাকেনা। একটু দূরে দুটা পুকুর আছে। কিন্তু একটি পুকুরের পানির রং হালকা কালো। অপর পুকুরে বিল্ডিংয়ের পয়নিষ্কাশনের পানি গিয়ে পড়ে ও এর রং হালকা সবুজ মনে হয়।
১) এসব পুকুরের পানি কি পাক পবিত্র হওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে?
২)না করা গেলে তখন কি করা উচিত
৩) ফজরের সময় এমন সমস্যা দেখা দিলে যদি বাহিরে গিয়ে পানি আনা সম্ভব না হয় তখন কি করতে হবে?
উত্তর :
বড় পুকুর যার একদিকে পানি নাড়া দিলে অন্যদিকে নড়ে না—এ ধরনের পুকুরে বা খালে যদি পর্যাপ্ত পানি থাকে এবং পুকুরে বিল্ডিংয়ের পয়নিষ্কাশনের পানি গিয়ে পড়া,পানির রং সবুজ বা কালো হওয়ার পরেও পানির তারল্য বহাল থাকে তাহলে যেকোনো কারণে পানির রং ও গন্ধ পরিবর্তন হয়ে গেলেও তা দ্বারা অযু-গোসল করা সহীহ হবে।
ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৭; ফাতহুল কাদীর ১/৬৫; হালবাতুল মুজাল্লী ১/২৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৪১; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৭৭; রদ্দুল মুহতার ১/১৮১
,
বড় পুকুর যার একদিকে পানি নাড়া দিলে অন্যদিকে নড়ে না—এ ধরনের পুকুরের একদিকে নাপাকি পড়লে অন্যদিক দিয়ে পবিত্রতা হাসিল করা জায়েজ। (হিদায়া : ১/৩৬)
সুতরাং উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের পুকুর যদি বড় পুকুর হয় (যার একদিকে পানি নাড়া দিলে অন্যদিকে নড়ে না) তাহলে সেই পুকুরের পানির তারল্যতা থাকলে সেখান থেকে অযু গোসল করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
===================
প্রশ্ন : বদ্ধ পানি বা পুকুরের পানির মাসায়েল কি ?পুকুরে প্রসাব পায়খানা করলে কি সেটার পানি দিয়ে কি পবিত্রতা অর্জন যেমন - কাপড় ধোয়া, ওজু গোসল করা যাবে?
উত্তর : পানির ব্যাপারে সাধারণ নির্দেশ এই যে, বদ্ধ পানিতে পেশাব করা যাবে না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৪)। এমনকি বদ্ধ পানিতে ফরয গোসলও করা যাবে না (মুসলিম হা/২৮৩)।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা হারামের পর্যায়ে যাবে, যখন পানি কম হবে। আর বেশী হলে তা মাকরূহ হবে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যদি পানি দুই কুল্লা হয়, তাহ’লে তা অপবিত্র হয় না’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৭৭ ‘পানি’ অনুচ্ছেদ)।
অতএব যদি বদ্ধ পানি দুই কুল্লা অর্থাৎ ২২৭ কেজি বা তার বেশী হয়, তাহ’লে তা অপবিত্র হবে না। যদি কম হয়, তাহ’লে নাপাকী পড়ার কারণে তা অপবিত্র হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment