প্রশ্ন: ৩৮৬: স্ত্রীর বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার ।

প্রশ্ন:

ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে স্ত্রীর যেকোনো ধরনের ক্রুটিতে স্বামী তালাকের অধিকার রাখে। এমনকি সে রাগ বসত তালাক দিয়ে দিলেও তা‌ স্ত্রীর উপর কার্যকর হয়।অন্যদিকে স্বামীর যে কোনো ক্রুটিতে সামাজিকভাবে স্ত্রীরা ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে যদি তার ধৈর্য ধারনের শেষ সীমা অতিক্রম করে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে তখন স্ত্রীর করণীয় কি? শরীয়তে নারীর জন্য তালাক অধিকার রাখা হয়নি। এক্ষেত্রে নারী কি ডিভোর্সের অধিকার রাখে কিনা? ইসলামে‌ এ সম্পর্কে নারী মুক্তির ব্যাপারে কি বলে? ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিতে এর মাসালা সম্পর্কে জানতে চাই। 


উত্তর : এ বিষয়টিরও ইসলামী শরীয়ত সুন্দর সমাধান দিয়েছে। ১। কাবিন নামা পড়ে দেখবেন, সেখানে উল্লেখ থাকে কোন কোন কারণে একজন স্ত্রী এই স্বামীকে পরিত্যাগ করতে পারবে, তা সেখানে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। অতএব, যদি এরূপ কোন শর্ত স্বামীর দ্বারা ভঙ্গ হয় তবে স্ত্রী আদালতের বা কাজীর দরবারের স্মরণাপন্ন হয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আবেদন করতে পারে। ২। অথবা ধরুণ, স্বামী এমন আচরণ করছে যা কাবিন নামায় উল্লেখ নেই, কিন্তু স্ত্রী স্বামীর আচরণে অতিষ্ঠ অথবা এই স্বামীর সাথে একত্রে বসবাস করা তার পক্ষে সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রেও সে আদালতে বা কাজীর দরবারের স্মরনাপন্ন হয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারে। উপরোক্ত উভয় ক্ষেত্রেই উক্ত বিচারক প্রয়োজন মনে করলে উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ইসলামী শরীয়ত কারো উপরেই জুলুম করে নাই। তাই অনেক গুলো দিকে দৃষ্টি রেখেই তালাকের ক্ষমতাটা স্ত্রীর হাতে অর্পন না করে স্বামীর হাতে অর্পন করেছে। এটা স্ত্রীর জন্যই শেষপর্যন্ত কল্যাণকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে, এর মানে এই না যে, স্ত্রীর নিজের বিচ্ছিন্ন হওয়ার বুঝি কোন পথ খোলা নেই। না এই ধারনাটা ভুল । স্ত্রীর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথ অবশ্যই খোলা আছে, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...