প্রশ্ন: ৩৫১ : ইনসানের জান হযরত আজরাইল আঃ কবজ করে কিন্তু পশু পাখিদের জান কে কবজ করে?

  পবিত্র কুরআনের ভাষ্য মতে মালাকুল মাওত তথা আযরাইল আ. মানুষের জান কবজ করেন। অন্যান্য প্রাণীর জান কে কবজ করেন এ সম্পর্কে বিশুদ্ধ কোনো বর্ণনা নেই। একটি বর্ণনা মতে জানা যায়, আল্লাহ নিজেই এসব প্রাণীর জান কবজ করেন। বর্ণনাটির মূল আরবী পাঠ নিম্নরূপ : " آجال البهائم كلها وخشاش الأرض والنمل والبراغيث والجراد والخيل والبغال والدواب كلها وغير ذلك آجالها في التسبيح فإذا انقضى تسبيحها قبض الله أرواحها وليس إلى ملك الموت منها شيء " কিন্তু বিদগ্ধ মুহাদ্দিসীনে কেরাম বর্ণনাটিকে জাল বলে অভিহিত করেছেন। সারকথা এ ব্যপারে সুস্পষ্ট কোনো বর্ণনা না থাকায় নানা রকম মত অভিমত পাওয়া যায়। কেউ বলেন, আযরাইল আ.ই সকল প্রাণীর জান কবজ করেন

2 comments:

  1. মালাকুল মাউত মানুষের মত অন্যান্য জীব জন্তুর প্রাণ কবয করেন কিনা তা নিয়ে একাধিক মত পাওয়া যায়।

    ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, তিনি অন্যান্য কীট-পতঙ্গেরও প্রাণ কবয করে থাকেন। কিন্তু কতিপয় বর্ণনা দ্বারা জানা যায় ফেরেশতাগণের দ্বারা আত্মার বিয়োগ ঘটানো কেবল মানুষের জন্য নির্দিষ্ট তাদের মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রেখে। অন্যান্য জীব-জন্তু আল্লাহ তাআলার অনুমতিতে মারা যায়।

    কেননা, প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা “মালাকুল মাউত” ফেরেশতাকে তিনি এ কাজে নিযুক্ত রেখেছেন আর অন্যান্য যারা আছে তারা হলো মালাকুল মাউতের সাহায্যকারী। আল্লাহ তাআলার অনুমতি ব্যতীত মৃত্যুদান করার ক্ষমতা কারো নেই।

    আল্লাহ তাআলার বাণী: আর আল্লাহর আদেশ ব্যতীত ধার্যকৃত লিপিবদ্ধ নির্দিষ্ট সময়ে কেউই মৃত্যু বরণ করে না। (সূরা আলি ইমরানঃ ৩: ১৪৫)।

    আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ জীব সমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময়। (যুমারঃ ৩৯/৪২; কুরতুবী, তাফসীর সূরা সাজদাহঃ ১১)।

    আল্লাহ আআলা বলেন, হে রাসূল! আপনি বলে দিন যে, মালাকুল মাউত তোমাদের জান কবয করে থাকে। যাকে তোমাদের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। অতঃপর তোমরা সকলে তোমাদের পালনকর্তার নিকট ফিরে আসবে। (আস সাজদাহঃ ৩২/১১)।

    এখানে সেরা সৃষ্টি হিসাবে মানুষকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্য সকল সৃষ্টি শামিল রয়েছে।

    এছাড়া বিভিন্ন বর্ননা মতে যা পাওয়া যায়ঃ

    পৃথিবী ধ্বংস হবার প্রাক্কালে হযরত আজরাঈল (আঃ) আরশ বহনকারী চারজন ফেরেশতা ও অন্য প্রধান তিন জন ফেরেসতা ব্যতীত সকল প্রাণীর আত্মা কবয করবেন। পরে কিয়ামত তথা পুনরুত্থানের পূর্বে তার জানও কবয করে ফেলবেন।

    আজরাঈল (আঃ) সকল প্রাণীর আত্মা কবয করে, অবশেষে নিজের আত্মা নিজেই কবয করবেন। যখন তিনি সকল জীবজন্তু, জিন ফেরেশতা, সবারই আত্মা কবয করে শেষ করবেন। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, হে আজরাঈল এবার তোমার নিজের আত্মা নিজে কবয করো।

    সর্বশেষ কথা হলো, মানুষের জান কবয যেমন আজরাঈল (আঃ) করেন তেমন পশু পাখির জান-ও কবয করেন আজরাঈল (আঃ)। আর এটাই প্রসিদ্ধ মত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. মতামত দেওয়ার জন্য জাজাকুমুল্লাহ।

      Delete

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...