প্রশ্ন : আমরা যে পা ছুঁয়ে সালাম করি সেটার কি ইসলামে বৈধতা আছে? এটা কি আমরা গুনাহর কাজ করছি না?
উত্তর : সালাম তো আমাদের কাছে খুবই স্পষ্ট বিষয়, যা ওহির মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে। এটি কারো তৈরি করা বিষয় না। বরং আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা যখন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছেন, সর্বপ্রথম আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ সালাম শিক্ষা দিয়েছেন এবং এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন যে এটি কেয়ামত পর্যন্ত আগত তোমার সন্তানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি অভিবাদন।
সুতরাং এ সালামের শব্দ নির্দিষ্ট। এর মধ্যে বৃদ্ধি করাও জায়েজ নেই, নতুন করে তৈরি করাও জায়েজ নেই। সুতরাং পা ছুঁয়ে আপনি যেটাকে সালাম বলছেন, এটি সালামই না। ইসলামী পরিভাষায় এটিকে সালাম বলা হয় না। তাই এ কাজ মূলত একেবারেই গর্হিত কাজ।
বরং এটা আমরা নিজেরাই আবিষ্কার করে নিয়ে একটা অবস্থা তৈরি করে নিয়েছি। অথবা আমরা কারো অনুকরণ, অনুসরণ করছি। বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে অনুসরণ করছি।
এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এমন একটি পর্যায় রয়েছে যে পর্যায়ে নিজেকে অনেকটা কোনো ব্যক্তির কাছে অবনত করা অথবা সিজদাহ করার মতো অবস্থা তৈরি হয়, যা একটি অসম অবস্থা। একজনের পা একজনের হাত। যেটি সত্যিকার অর্থে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকটাই বলা যেতে পারে ইসলামের সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই গড়মিল রয়েছে। কারণ ইসলাম মানুষদের মর্যাদা দিয়েছে কিন্তু কোনো মানুষের সামনে কোনো মানুষ এভাবে অবনত হবে না।
আবার এ সঠিক মন্তব্যটি মেনে যদি গ্রামের কোনো নববধূ গৃহপ্রবেশের সময় শ্বশুর-শাশুড়ি বা মুরুব্বিদের সালাম না করেন তাহলে অনেক সময় সে নববধূর জীবনটাকে যা-তা করে ফেলা হয়, তাঁকে বেয়াদব বলা হয়।
এ ক্ষেত্রে আমাদের লোকজনকে সচেতন করতে হবে, বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে যে, যেহেতু আমরা মুসলিম, আমাদের ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। ইসলামের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে।
কেউ যদি না জেনে কদমবুচি করে অথবা এ জাতীয় পরিবেশে বাধ্য হয়ে করে তাঁর গুনাহ হবে। তবে তিনি তওবা করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে। আল্লাহ হয়তো পরিস্থিতি বিবেচনায় মাফ করতে পারেন। যদি তিনি এ ধরনের কোনো অবস্থার মুখোমুখি হন আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা তাঁকে যেন ক্ষমা করেন।
No comments:
Post a Comment