প্রশ্ন: ৩০৭ : জমি বন্ধক রাখার ইসলামী পদ্ধতি।

প্রশ্ন:  আমি কারো কাছে থেকে এক বিঘা জমি এক লাখ টাকা দিয়ে লিজ নিলাম। প্রতি বছর এক হাজার টাকা খাওনি হিসাবে মূল টাকা ফেরত দেওয়ার সময় জমির মালিক কে দিলাম।এই পদ্ধতি কি বৈধ হবে?

উত্তর : না বৈধ হবে না। বন্ধক নেওয়ার ব্যাপারে আপনার যা করনীয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।


এই আলোচনায় যিনি বন্ধক দিয়েছেন অর্থাৎ যিনি জমির মূল মালিক তাকে   ‘জমির মালিক’ বলা হবে, আর যিনি বন্ধক নিয়েছেন, অর্থাৎ যিনি টাকা দিয়েছেন তাকে “বন্ধক গ্রহীতা” বলা হবে। 

১। বন্ধক নেওয়ার পর বন্ধক গ্রহীতা যদি নিজে ঐ জমি চাষ করেন, তবে তাকে বর্গা ভিত্তিতে চাষ করতে হবে। অর্থাৎ,  জমির উৎপাদিত ফসল থেকে চাষাবাদ করার খরচ বাদ দিয়ে যে ফসল থাকবে তার অর্ধেক জমির মালিককে দিয়ে দিতে হবে। 

২। জমিতে যদি কোন ফসল না ফলে বরং, স্থাপনা থাকে (যেমন ঘরদুয়ার, বিল্ডিং ইত্যাদি)  আর যদি ঐ স্থাপনা ভাড়া দেওয়া হয়, তবে ভাড়ার সমুদয় টাকা জমির মালিক পাবে, এক্ষেত্রে বন্ধক গ্রহীতা কিছুই পাবেনা। আর যদি ঐ স্থাপনায় বন্ধক গ্রহীতা নিজে বাস করে বা ব্যবহার করে তবে  বন্ধক গ্রহীতা উক্ত স্থাপনার যা  ভাড়া হয় তা  জমির মূল মালিককে পরিশোধ করে দেবে। 

তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো যে, স্থাপনা মাঝে মাঝে সংস্কার ও মেরামত করার দরকার হলে তা জমির মূল মালিক করবে। যদি বন্ধক গ্রহীতা সংস্কার করে তবে জমির মালিক উক্ত টাকা  বন্ধক গ্রহীতাকে পরিশোধ করে দেবে। 

মূলনীতি : অর্থাৎ মূলনীতি হলো বন্ধকীকৃত জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোন প্রকার আর্থিক বা অন্য কোন প্রকার ফায়দা হাসিল করতে পারবেনা। তাহলে সেটা সুদ হবে। বন্ধকী কৃত জমি বন্ধকী টাকার বিপরীতে শুধুমাত্র একটা গ্যারান্টি মাত্র , এর বেশী কিছু নয়।  

1 comment:

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...