আন্-নহল:67وَمِن ثَمَرٰتِ النَّخِيلِ وَالْأَعْنٰبِ تَتَّخِذُونَ مِنْهُ سَكَرًا وَرِزْقًا حَسَنًا ۗ إِنَّ فِى ذٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ(অনুরূপভাবে) খেজুর গাছ ও আংগুর লতা থেকেও আমি একটি জিনিস তোমাদের পান করাই, যাকে তোমরা মাদকেও পরিণত করো এবং পবিত্র খাদ্যেও।বুদ্ধিমানদের জন্য এর মধ্যে রয়েছে একটি নিশানী। এখানে আল্লাহতালা বলল মদ পান করার ব্যাপারে আবার তাফসীর এর মধ্যে বলছে এই আয়াতটা এসেছিল মদনিষিদ্ধ হওয়ার আগে তাহলে কি আল্লাহতালা জানতেন না এই মদে ক্ষতি হতে পারে কেন আগে থেকে নিষিদ্ধ করল আল্লাহতালা একবার বলল খেতে আবার বারণ করল খেতে বলার সময় কি আল্লাহতালা জানতো না খারাপ কিছু আছে?
উত্তর:
এখানে আল্লাহ মদ খেতে বলেননি বরং বলেছেন খেজুর গাছ ও আংগুর লতাা থেকে আমি তোমাদের রস পান করাই , আবার তোমরা তাকে মাদকেও পরিণত করো। এ কথা বলে মদ নামক জিনিসটির কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ একটি অনৈসলামিক সমাজকে ভিন্ন একটি মতাদর্শে অভ্যস্ত করতে হলে একদিনেই তার উপর সব বিধি নিষেধ চাপিয়ে দেওয়া যায় না। একটু একটু করে তাকে পরিবর্তন করতে হয়। তাই পাচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে অনেক পরে আবার মদও নিষেধ করা হয়েছে পাচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করার বেশ কিছুদিন পরে। ইসলামের এই পন্থা এত কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে যে, আমরা দেখতে পাই লোকদের মন মগজ এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছিল যাতে কোন জিনিসের নিষিদ্ধের কথা যখন আসতো তখন সানন্দে ও স্বত:স্ফুর্ত ভাবে তারা তা বর্জন করতো। যেমন যেদিন মদ নিষিদ্ধের কথা আসলো সেদিন মদীনার অলি গলি মদে ভেসে গিয়েছিল। তাই নিচের আয়াতটির বর্ণনা ভঙ্গি ও শব্দগুলি একটা একটা করে লক্ষ্য করুন এবং ব্যাখ্যাটিও লক্ষ্য করুন :
﴿يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا ۗ وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ﴾
( বাক্বারা : ২১৯) তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছেঃ মদও জুয়ার ব্যাপারে নির্দেশ কি? বলে দাওঃ ঐ দু’টির মধ্যে বিরাট ক্ষতিকর বিষয় রয়েছে যদিও লোকদের জন্য তাতে কিছুটা উপকারিতাও আছে, কিন্তু তাদের উপকারিতার চেয়ে গোনাহ অনেক বেশী ৷ ২৩৫
২৩৫ . এটি হচ্ছে মদ ও জুয়া সম্পর্কে প্রথম নির্দেশ৷ এখানে শুধুমাত্র অপছন্দের কথা ব্যক্ত করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, যাতে মন ও মস্তিস্ক তার হারাম হবার বিষয়টি গ্রহণ করে নিতে প্রস্তুত হয়ে যায়৷ পরে মদ পান করে নামায পড়া নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়৷ তারপর সবশেষে মদ ও জুয়া এবং এই পর্যায়ের সমস্ত বস্তুকে চিরতরে হারাম ঘোষণা করা৷ (দেখুন সুরা নিসা, ৪৩ আয়াত এবং সূরা মা-য়েদাহ, ৯০ আয়াত)৷
সুতরাং, ইসলামের ইসলাহী কর্মনীতি কেমন ছিল তা একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন আশা করি।
No comments:
Post a Comment