কোরআনের আয়াত:
১ লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে মদ ও জুয়া সম্পর্কে। তুমি বল: উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং উপকারও আছে মানুষের জন্য, তবে এদের পাপ উপকারের চেয়ে অধিক। [সূরা বাকারা-২১৯]
২ ওহে যারা ঈমান এনেছ! মদ, জুয়া, মুর্তিপূজার বেদী এবং ভাগ্য নির্ণায়ক তীর তো ঘৃন্য বস্তু, শাইতানের কাজ। অতএব তোমরা সব বর্জন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [সূরা মায়িদা-৯০]
৩ শাইতান তো তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে এবং তোমাদের বাধা দিতে চায় আল্লাহর স্মরণ থেকে ও সালাত থেকে। তবুও কি তোমরা নিবৃত্ত হবেনা? [সূরা মায়িদা-৯১]
৪ এ বিষয়ে অন্যান্য সূরা দেখুন : সূরা নিসা-৪৩।
১ লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে মদ ও জুয়া সম্পর্কে। তুমি বল: উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং উপকারও আছে মানুষের জন্য, তবে এদের পাপ উপকারের চেয়ে অধিক। [সূরা বাকারা-২১৯]
২ ওহে যারা ঈমান এনেছ! মদ, জুয়া, মুর্তিপূজার বেদী এবং ভাগ্য নির্ণায়ক তীর তো ঘৃন্য বস্তু, শাইতানের কাজ। অতএব তোমরা সব বর্জন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [সূরা মায়িদা-৯০]
৩ শাইতান তো তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে এবং তোমাদের বাধা দিতে চায় আল্লাহর স্মরণ থেকে ও সালাত থেকে। তবুও কি তোমরা নিবৃত্ত হবেনা? [সূরা মায়িদা-৯১]
৪ এ বিষয়ে অন্যান্য সূরা দেখুন : সূরা নিসা-৪৩।
হাদীস:
৫ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি দুনিয়ার মদ পান করেছে এরপর সে তা থেকে তওবা করেনি সেই ব্যক্তি আখিরাতে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে। [বুখারী ৫১৬২-আ,ই, উমর (রাঃ) , [তিরমিযী ১৮৬৭]
৬ আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: সব নেশা যাতীয় পানীয়ই হারাম। [বুখারী ৫১৭২, তিরমিযী ১৮৬৯, মুসলিম ৫০৪১]
৭ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্য যন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে। [বুখারী ৫১৭৬-আ, ই, গানাম আশারী (রাঃ )]
৮ কোন শরাব পানকারী শরাব পান করার সময় ঈমানদার থাকেনা। [বুখারী ৬৩০২-আবূ হুরাইরা (রাঃ)]
মদ পানের ভয়াবহতা সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) এর সতর্কবানী:
মদ পান করা অবস্হায় মদ পানকারী কোন মুসলিমের ঈমান থাকেনা। অতএব যদি এ অবস্হায় মৃত্যু এসে যায় তাহলে তাকে বে-ঈমান হয়ে মরতে হবে। কেননা হাদীসে এসেছে: আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন: নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: ব্যভিচারী ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্হায় ঈমানদার থাকেনা, মদ পানকারী মদ পান করার সময় ঈমানদার থাকেনা এবং চোর চুরি করার সময় ঈমানদার থাকেনা। [হাদীসটি বুখারী (২৪৭৫,৫৫৭৮,৬৭৭২), মুসলিম (৫৭), তিরমিযী (২৬২৫), নাসাঈ (৪৮৭০,৪৮৭১), আবূ দাঊদ (৪৬৮৯), ইবনে মাযাহ (৩৯৩৬), আহমদ (৭২৭৬) ও দারেমী (২১০৬) বর্ণনা করেছেন]।
৫ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি দুনিয়ার মদ পান করেছে এরপর সে তা থেকে তওবা করেনি সেই ব্যক্তি আখিরাতে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে। [বুখারী ৫১৬২-আ,ই, উমর (রাঃ) , [তিরমিযী ১৮৬৭]
৬ আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: সব নেশা যাতীয় পানীয়ই হারাম। [বুখারী ৫১৭২, তিরমিযী ১৮৬৯, মুসলিম ৫০৪১]
৭ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্য যন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে। [বুখারী ৫১৭৬-আ, ই, গানাম আশারী (রাঃ )]
৮ কোন শরাব পানকারী শরাব পান করার সময় ঈমানদার থাকেনা। [বুখারী ৬৩০২-আবূ হুরাইরা (রাঃ)]
মদ পানের ভয়াবহতা সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) এর সতর্কবানী:
মদ পান করা অবস্হায় মদ পানকারী কোন মুসলিমের ঈমান থাকেনা। অতএব যদি এ অবস্হায় মৃত্যু এসে যায় তাহলে তাকে বে-ঈমান হয়ে মরতে হবে। কেননা হাদীসে এসেছে: আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন: নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: ব্যভিচারী ব্যাভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্হায় ঈমানদার থাকেনা, মদ পানকারী মদ পান করার সময় ঈমানদার থাকেনা এবং চোর চুরি করার সময় ঈমানদার থাকেনা। [হাদীসটি বুখারী (২৪৭৫,৫৫৭৮,৬৭৭২), মুসলিম (৫৭), তিরমিযী (২৬২৫), নাসাঈ (৪৮৭০,৪৮৭১), আবূ দাঊদ (৪৬৮৯), ইবনে মাযাহ (৩৯৩৬), আহমদ (৭২৭৬) ও দারেমী (২১০৬) বর্ণনা করেছেন]।
৯ নবী করীম (সাঃ) শরাব পানকারীকে বেত্রাঘাত এবং জুতা মেরেছেন। [বুখারী ৬৩০৩-আ, ই, মালিক (রাঃ), ইবনে মাযাহ ২৫৭০]
১০ যা নেশা সৃষ্টি করে তাই মদ, আর যা নেশা সৃষ্টি করে তাই হারাম। [মুসলিম ৫০৪৯-ইবন উমর (রাঃ) , তিরমিযী ১৮৬৭]
১১ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: কেহ মাতাল হলে তাকে বেত্রাঘাত কর। সে পুনরায় মাতাল হলে তাকে বেত্রাঘাত কর। সে পুনরায় মাতাল হলে আবারো বেত্রাঘাত কর। এরপর চতুর্থবার বলেছেন: সে যদি পুনরায় মাতাল হয় তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দাও। [ইবনে মাযাহ ২৫৭২-আবূ হুরাইরা (রাঃ)]
১২ মদ পান করবেনা। কেননা তা সমস্ত পাপ কাজের উৎস। [ইবনে মাযাহ ৪০৩৪]
১৩ হালাল ও পবিত্র শরবতের পরে অন্যান্য শরবত ঘৃন্য হারাম। [বুখারী ৫১৮৪]
১৪ প্রত্যেক নেশার বস্তুই হারাম। [বুখারী ৫৬৮২-আবূ মুসা (রাঃ, আবূ দাঊদ ৩৬৪৩)
১৫ যা অধিক পরিমাণে পানকরলে নেশার সৃষ্টি হয় তা অল্প পরিমানে পান করাও হারাম। [আবূ দাঊদ ৩৬৪০]
১০ যা নেশা সৃষ্টি করে তাই মদ, আর যা নেশা সৃষ্টি করে তাই হারাম। [মুসলিম ৫০৪৯-ইবন উমর (রাঃ) , তিরমিযী ১৮৬৭]
১১ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন: কেহ মাতাল হলে তাকে বেত্রাঘাত কর। সে পুনরায় মাতাল হলে তাকে বেত্রাঘাত কর। সে পুনরায় মাতাল হলে আবারো বেত্রাঘাত কর। এরপর চতুর্থবার বলেছেন: সে যদি পুনরায় মাতাল হয় তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দাও। [ইবনে মাযাহ ২৫৭২-আবূ হুরাইরা (রাঃ)]
১২ মদ পান করবেনা। কেননা তা সমস্ত পাপ কাজের উৎস। [ইবনে মাযাহ ৪০৩৪]
১৩ হালাল ও পবিত্র শরবতের পরে অন্যান্য শরবত ঘৃন্য হারাম। [বুখারী ৫১৮৪]
১৪ প্রত্যেক নেশার বস্তুই হারাম। [বুখারী ৫৬৮২-আবূ মুসা (রাঃ, আবূ দাঊদ ৩৬৪৩)
১৫ যা অধিক পরিমাণে পানকরলে নেশার সৃষ্টি হয় তা অল্প পরিমানে পান করাও হারাম। [আবূ দাঊদ ৩৬৪০]
আল্লাহ এবং আখেরাতে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি মদ পান করতে পারে না এবং মদের টেবিলে বসতেও পারে না।
আবূ হূরাইরা (রাঃ) হতে বর্নিত হয়েছে, কারন রাসূল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে মদ পান করতে পারে না এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে ব্যক্তি সেই দস্তরখানা (টেবিল বা স্হানে) বসতে পারে না যেখানে মদ পান করা হয়”। [হাদীসটি ইমাম ত্ববরনী আল-মুজামুল কাবীর গ্রন্হে (১১৩০০) বর্ননা করেছেন। হাদীসটিকে শায়খ আলবানী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন, দেখুন ‘সহীহ তারগীব অত-তারহীব’ (১৭২)]
আবূ হূরাইরা (রাঃ) হতে বর্নিত হয়েছে, কারন রাসূল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে মদ পান করতে পারে না এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে ব্যক্তি সেই দস্তরখানা (টেবিল বা স্হানে) বসতে পারে না যেখানে মদ পান করা হয়”। [হাদীসটি ইমাম ত্ববরনী আল-মুজামুল কাবীর গ্রন্হে (১১৩০০) বর্ননা করেছেন। হাদীসটিকে শায়খ আলবানী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন, দেখুন ‘সহীহ তারগীব অত-তারহীব’ (১৭২)]
আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) হতে বর্নিত হয়েছে, তিনি রাসূল (সাঃ) হতে বর্ননা করেন, তিনি বলেন: তিন শ্রেনীর লোক কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেন না: দায়ূস, পুরুষের বেশধারী এবং অব্যাহতভাবে মদ পানকারী। সাহাবীগন বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! মদ পানকারীকে আমরা চিনি তবে দায়ূস কে? তিনি বললেন: সেই ব্যক্তি যে তার পরিবারের (স্ত্রীর) নিকট কে প্রবেশ করছে সে ব্যাপারে তার কোন পরোয়াই নাই (কিছুই মনে করে না) । আমর বললাম: পুরুষের বেশ ধারনকারী নারী দ্বারা কি বুঝালো হয়েছে? তিনি বললেন: পুরুষের সাথে সাদৃশ ধারনকারী নারী। [হাদীসটি ইমাম ত্ববরনী বর্ননা করেছেন। হাদীসটিকে শায়খ আলবানী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন, দেখুন সহীহ তারগীব অত-তারহীব (২০৭১, ২৩৬৭) ]
আখেরাতে মদ পানকারীর শাস্তি: জাবের (রাঃ) হতে বর্নিত হয়েছে যে, এক ব্যাক্তি ইয়ামানের জীশানা অ জায়শানু হতে আগমন করে রাসূল (সাঃ) –কে তাদের ভূমিতে উৎপন্ন যুরাহ (ভুট্টা) থেকে প্রস্তুতকৃত শরাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল যাকে মিযরু বলা হয়ে থাকে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন: তা কি মাতাল করে (নেশা সৃষ্টিকারী? সে ব্যক্তি বলল: জি হ্যা। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন: সকল প্রকার মাতালকারী বস্তু হারাম। আর আল্লাহ এ অঙ্গীকার করেছেন যে, যে ব্যক্তি মাতালকারী বস্তু পান করবে তিনি তাকে তীনাতুল খাবাল ভক্ষন করাবেন। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল! ত্বীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেন: জাহান্নামীদের ঘাম অথবা জাহান্নামীদের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত নিকৃষ্ট রস। [হাদীসটি ইমাম মুসলিম (২০০২) ও নাসাঈ (৫৭০৯) বর্ননা করেছেন।]
মদ পানকারীর ৪০ দিনের সালাত কবুল করা হবে না: আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্নিত হয়েছে, তিনি বলেন: রাসূল (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি মদ পান করে মাতাল হয়ে যাবে তার ৪০ দিনের সালাত কবূল করা হবেনা। সে যদি এ অবস্হায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (পান করার পর যদি সে তাওবাহ করে তাহলে আল্লাহ তার রাওবাহ কবুল করবেন। অত:পর সে যদি পুনরায় মদ পান করে মাতাল হয়ে যায় তাহলে তার ৪০ দিনের সালাত কবুল করা হবেনা। অত:পর সে যদি এ অবস্হায় মারা যায় তাহলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অত:পর সে যদি ৪র্থ বার মদ পান করে তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর উপরে তাকে রাদাগাতুল খাবালত্বীনাতুল খাবাল পান করানো অপরিহার্য হয়ে যায়। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল! রাদাগাতুল খাবালত্বীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেন: জাহান্নামীদের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত নিকৃষ্ট রস।[হাদীসটি ইবনু মাযাহ (৩৩৭৭) এবং ইমাম আহমদ ও তিরমিযীও বর্ননা করেছেন।]
কেহো যদি কোন কোম্পানি তে job করে ওটা মদের কোম্পানি না but কিছু time মদ ডেলিভারি দিতে হয় তার বিনিময়ে কিছু tips নেওয়া জায়েজ হবে?
ReplyDelete