8এহুদার বাদশাহ্ আসার রাজত্বের ছাব্বিশ বছরের সময় বাশার ছেলে এলা ইসরাইলের বাদশাহ্ হলেন। তিনি তির্সায় দু’বছর রাজত্ব করেছিলেন।
9সিম্রি
নামে তাঁর একজন সেনাপতি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এলার যত রথ ছিল
তার অর্ধেকের ভার ছিল সিম্রির উপর। এলা এই সময় অর্সার ঘরে মাতাল হবার জন্য
মদানো রস খাচ্ছিলেন। এই অর্সার উপর তির্সার রাজবাড়ীর তদারকের ভার ছিল। 10এহুদার বাদশাহ্ আসার রাজত্বের সাতাশ বছরের সময় সিম্রি সেই ঘরে ঢুকে এলাকে হত্যা করলেন। তারপর তিনি এলার জায়গায় বাদশাহ্ হলেন।
11সিংহাসনে বসে রাজত্বের শুরুতেই সিম্রি বাশার বংশের সবাইকে হত্যা করলেন। আত্মীয়-বন্ধু কোন পুরুষকেই তিনি বাঁচিয়ে রাখলেন না।
12নবী যেহূর মধ্য দিয়ে মাবুদ বাশার বিরুদ্ধে যে কথা বলেছিলেন সেই অনুসারে সিম্রি বাশার বংশের সবাইকে ধ্বংস করে দিলেন। 13এর
কারণ হল, বাশা ও তাঁর ছেলে এলা নিজেরা অনেক গুনাহ্ করেছিলেন এবং ইসরাইলকে
দিয়েও গুনাহ্ করিয়েছিলেন। তাঁরা অসার প্রতিমা দিয়ে ইসরাইলের মাবুদ
আল্লাহ্কে রাগিয়ে তুলেছিলেন। 14এলার অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা “ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
==================================
ইসরাইলের বাদশাহ্ সিম্রি
15এহুদার
বাদশাহ্ আসার রাজত্বের সাতাশ বছরের সময় সিম্রি তির্সায় সাত দিন রাজত্ব
করেছিলেন। সেই সময় ইসরাইলীয় সৈন্যদল ফিলিস্তিনীদের গিব্বথোন ঘেরাও করে ছিল।
16ইসরাইলীয়রা
ছাউনির মধ্যে যখন শুনতে পেল যে, সিম্রি বাদশাহ্র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে
তাঁকে হত্যা করেছেন তখন সেই দিনই তারা ছাউনির মধ্যে প্রধান সেনাপতি অম্রিকে
ইসরাইলের বাদশাহ্ বলে ঘোষণা করল।
17তখন অম্রি ও তাঁর সংগে সমস্ত ইসরাইলীয়রা গিব্বথোন থেকে সরে এসে তির্সা ঘেরাও করল।
18শহরটা
অধিকার করা হয়ে গেছে দেখে সিম্রি রাজবাড়ীর কেল্লায় গেলেন এবং আগুন লাগিয়ে
গোটা রাজবাড়ী পুড়িয়ে দিলেন। সেই সময় তিনি নিজেও পুড়ে মরলেন।
19তাঁর
গুনাহের জন্যই তাঁকে মরতে হল, কারণ মাবুদের চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই
করতেন। তিনি ইয়ারাবিমের মত চলতেন, অর্থাৎ ইয়ারাবিম ইসরাইলীয়দের দিয়ে যেমন
গুনাহ্ করিয়েছিলেন তিনিও তা-ই করেছিলেন। 20সিম্রির অন্যান্য কাজ এবং তাঁর বিদ্রোহের কথা “ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
======================
ইসরাইলের বাদশাহ্ অম্রি
21এর
পর বনি-ইসরাইলরা দুই দলে ভাগ হয়ে গেল। তাদের অর্ধেক লোক চাইল গীনতের ছেলে
তিব্নিকে বাদশাহ্ করতে আর বাকী অর্ধেক চাইল অম্রিকে বাদশাহ্ করতে। 22কিন্তু অম্রির পক্ষের লোকেরা গীনতের ছেলে তিব্নির পক্ষের লোকদের হারিয়ে দিল। এতে তিব্নি মারা গেল আর অম্রি বাদশাহ্ হলেন।
23এহুদার
বাদশাহ্ আসার রাজত্বের একত্রিশ বছরের সময় অম্রি ইসরাইলের বাদশাহ্ হলেন।
তিনি বারো বছর রাজত্ব করেছিলেন, তার মধ্যে ছয় বছর রাজত্ব করেছিলেন তির্সায়।
24তিনি
আটাত্তর কেজি রূপা দিয়ে সামেরের কাছ থেকে সামেরিয়া পাহাড়টা কিনলেন এবং
পাহাড়ের উপরে একটা শহর তৈরী করলেন
এবং পাহাড়টার আগেকার মালিক সামেরের নাম
অনুসারে শহরটার নাম রাখলেন সামেরিয়া।
25অম্রি মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করতেন এবং তাঁর আগে যাঁরা বাদশাহ্ ছিলেন তাঁদের সকলের চেয়ে তিনি বেশী গুনাহ্ করতেন। 26তিনি
সম্পূর্ণভাবে নবাটের ছেলে ইয়ারাবিমের মত চলতেন, অর্থাৎ ইয়ারাবিম যেমন
ইসরাইলীয়দের দিয়ে গুনাহ্ করিয়েছিলেন অম্রিও তা-ই করেছিলেন। তাতে
ইসরাইলীয়রা অসার প্রতিমা দিয়ে তাদের মাবুদ আল্লাহ্কে রাগিয়ে তুলেছিল।
27অম্রির অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা “ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে। 28পরে অম্রি তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে সামেরিয়ায় দাফন করা হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আহাব বাদশাহ্ হলেন।
=========================
ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাব
29এহুদার
বাদশাহ্ আসার রাজত্বের আটত্রিশ বছরের সময় অম্রির ছেলে আহাব ইসরাইলের
বাদশাহ্ হলেন। তিনি বাইশ বছর সামেরিয়ায় থেকে ইসরাইলের উপর রাজত্ব
করেছিলেন। 30অম্রির
ছেলে আহাব মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করতেন, এমন কি, তাঁর আগে যাঁরা
বাদশাহ্ ছিলেন তাঁদের সকলের চেয়ে আরও বেশী করে তা করতেন। 31নবাটের
ছেলে ইয়ারাবিম যে সব গুনাহ্ করেছিলেন সেগুলোকে তিনি সামান্য ব্যাপার বলে
মনে করতেন। কেবল তা-ই নয়, তিনি সিডনীয়দের বাদশাহ্ ইৎবালের মেয়ে ঈষেবলকে
বিয়ে করলেন এবং বাল-দেবতার সেবা ও পূজা করতে লাগলেন। 32তিনি সামেরিয়াতে বাল-দেবতার জন্য যে মন্দির তৈরী করেছিলেন সেখানে তার জন্য একটা বেদী তৈরী করলেন। 33তিনি
একটা আশেরা-খুঁটিও তৈরী করলেন এবং তাঁর আগে ইসরাইলীয়দের সমস্ত বাদশাহ্রা
ইসরাইলীয়দের মাবুদ আল্লাহ্কে যতটা রাগিয়েছিলেন তিনি তাঁর কাজের দ্বারা
তাঁকে আরও বেশী রাগালেন।
34আহাবের
সময়ে বেথেলীয় হীয়েল জেরিকো শহরটা আবার তৈরী করলেন। নূনের ছেলে ইউসার মধ্য
দিয়ে মাবুদের কালাম অনুসারে সেই শহরের ভিত্তি গাঁথার জন্য হীয়েলের বড় ছেলে
অবীরামকে প্রাণ দিতে হল এবং তার সদর দরজা লাগাবার জন্য তার ছোট ছেলে সগূবকে
প্রাণ দিতে হল।
No comments:
Post a Comment