(যিরমিয় ১৭: ২১-২৭)

21মাবুদ বলছেন, ‘তোমরা সাবধান হও; বিশ্রামবারে কোন বোঝা বইবে না কিংবা জেরুজালেমের দরজা দিয়ে তা ভিতরে আনবে না। 22আমি যেমন তোমাদের পূর্বপুরুষদের হুকুম দিয়েছিলাম সেই মত বিশ্রামবারে তোমরা তোমাদের বাড়ী থেকে কোন বোঝা বের করে আনবে না বা কোন কাজ করবে না, বরং বিশ্রামবার পবিত্র করে রাখবে। 23তোমাদের পূর্বপুরুষেরা সেই কথা শোনেও নি, তাতে মনোযোগও দেয় নি। তারা তাদের ঘাড় শক্ত করেছিল; তারা আমার কথা শুনতে ও আমার শাসন মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল। 24কিন্তু যদি তোমরা সতর্ক হয়ে আমার কথামত চল এবং বিশ্রামবারে শহরের দরজা দিয়ে কোন বোঝা না আন বরং বিশ্রামবারে কোন কাজ না করে দিনটা পবিত্র করে রাখ, 25তাহলে তোমাদের বাদশাহ্‌রা দাউদের সিংহাসনে বসে রাজত্ব করবে। তারা, তাদের রাজকর্মচারীরা এবং এহুদার লোকেরা ও জেরুজালেমের বাসিন্দারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে শহরের দরজা দিয়ে যাওয়া-আসা করবে; এই শহর কখনও জনশূন্য হবে না। 26এহুদার শহরগুলো ও জেরুজালেমের আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে বিন্‌ইয়ামীন এলাকা এবং উঁচু ও নীচু পাহাড়ী এলাকা থেকে আর নেগেভ থেকে লোকেরা আসবে এবং মাবুদের ঘরে পোড়ানো-কোরবানী, পশু-কোরবানী, শস্য-কোরবানী, ধূপ ও শুকরিয়া-কোরবানীর জিনিস আনবে। 27কিন্তু যদি তোমরা আমার কথা না শোন এবং বিশ্রামবার পবিত্র করে না রাখ আর সেই দিনে বোঝা নিয়ে জেরুজালেমের দরজার মধ্য দিয়ে ঢোক, তবে জেরুজালেমের সমস্ত দরজায় আমি আগুন জ্বালাব আর তা তার কেল্লাগুলো পুড়িয়ে ফেলবে। সেই আগুন কেউ নিভাতে পারবে না।’ ”

link

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের ব্যাপারে ইঙ্গিত

দ্বিতীয় বিবরণ ১৮: ১৫-১৯, 

 15তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্য থেকে, তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য আমার মত একজন নবী দাঁড় করাবেন। তাঁর কথামত তোমাদের চলতে হবে। 16তুর পাহাড়ের কাছে যেদিন তোমরা সবাই মাবুদের সামনে জমায়েত হয়েছিলে সেই দিন তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কাছে তা-ই চেয়েছিলে। তোমরা বলেছিলে, ‘আর আমরা আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কথা শুনতে কিংবা এই মহান আগুন দেখতে চাই না; তা হলে আমরা মারা যাব।’
17“মাবুদ আমাকে বলেছিলেন, ‘তারা ভালই বলেছে। 18আমি তাদের ভাইদের মধ্য থেকে তাদের জন্য তোমার মত একজন নবী দাঁড় করাব। তার মুখ দিয়েই আমি আমার কথা বলব, আর আমি যা বলতে তাকে হুকুম দেব সে তা-ই তাদের বলবে। 19সেই নবী আমার নাম করে যে কথা বলবে কেউ যদি আমার সেই কথা না শোনে, তবে আমি নিজেই সেই লোককে দায়ী করব।

মথি ২১: ৩৩-৪৬, 

 33“আর একটা দৃষ্টান্ত দিই, শুনুন। একজন গৃহস' একটা আংগুর ক্ষেত করে তার চারদিকে বেড়া দিলেন। পরে সেই ক্ষেতের মধ্যে আংগুর-রস করবার জন্য গর্ত খুঁড়লেন এবং একটা উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করলেন। এর পরে তিনি কয়েকজন চাষীর কাছে সেই আংগুর ক্ষেতটা ইজারা দিয়ে বিদেশে চলে গেলেন। 34যখন ফল পাকবার সময় হয়ে আসল তখন তিনি সেই ফলের ভাগ নিয়ে আসবার জন্য তাঁর গোলামদের সেই চাষীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। 35চাষীরা তাঁর গোলামদের একজনকে ধরে মারল, একজনকে খুন করল এবং অন্য আর একজনকে পাথর মারল। 36এর পর তিনি প্রথম বারের চেয়ে আরও বেশী গোলাম পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু চাষীরা সেই গোলামদের সংগে একই রকমের ব্যবহার করল। 37আংগুর ক্ষেতের মালিক শেষে নিজের ছেলেকেই তাদের কাছে পাঠালেন। তিনি ভাবলেন, তারা অন্ততঃ তাঁর ছেলেকে সম্মান করবে। 38কিন্তু সেই চাষীরা ছেলেকে দেখে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, ‘এ-ই পরে সম্পত্তির মালিক হবে। চল, আমরা ওকে মেরে ফেলি, 39তাতে আমরাই সম্পত্তির মালিক হব।’ এই বলে তারা সেই ছেলেকে ধরে আংগুর ক্ষেত থেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলল। 40তাহলে বলুন দেখি, আংগুর ক্ষেতের মালিক যখন নিজে আসবেন তখন তিনি সেই চাষীদের নিয়ে কি করবেন?”
41সেই ধর্ম-নেতারা ঈসাকে বললেন, “তিনি সেই দুষ্ট লোকদের একেবারে ধ্বংস করবেন এবং যে চাষীরা তাঁকে সময়মত ফলের ভাগ দেবে তাদের কাছেই সেই আংগুর ক্ষেতটা ইজারা দেবেন।”
42তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “আপনারা কি পাক-কিতাবের মধ্যে কখনও পড়েন নি,
‘রাজমিস্ত্রিরা যে পাথরটা বাতিল করে দিয়েছিল,
সেটাই সবচেয়ে দরকারী পাথর হয়ে উঠল;
মাবুদই এটা করলেন,
আর তা আমাদের চোখে খুব আশ্চর্য লাগে’?
43এইজন্য আপনাদের বলছি, আল্লাহ্‌র রাজ্য আপনাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে এবং এমন লোকদের দেওয়া হবে যাদের জীবনে সেই রাজ্যের উপযুক্ত ফল দেখা যাবে। 44যে সেই পাথরের উপরে পড়বে সে ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে এবং সেই পাথর যার উপরে পড়বে সে চুরমার হয়ে যাবে।”
45প্রধান ইমামেরা এবং ফরীশীরা ঈসার শিক্ষা-ভরা গল্পগুলো শুনে বুঝতে পারলেন তিনি তাঁদের কথাই বলছেন। 46তখন তাঁরা তাঁকে ধরতে চাইলেন, কিন্তু লোকদের ভয়ে তা করলেন না, কারণ লোকে ঈসাকে নবী বলে মনে করত।


যোহন ১: ১৯-২১, 

 19যখন ইহুদী নেতারা জেরুজালেম শহর থেকে কয়েকজন ইমাম ও লেবীয়কে ইয়াহিয়ার কাছে পাঠালেন তখন ইয়াহিয়া তাঁদের কাছে সাক্ষ্য দিলেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কে?”
20জবাবে ইয়াহিয়া অস্বীকার করলেন না বরং স্বীকার করে বললেন, “আমি মসীহ্‌ নই।”
21তখন তাঁরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তবে কে? আপনি কি নবী ইলিয়াস?”
তিনি বললেন, “না, আমি ইলিয়াস নই।”
তাঁরা বললেন, “তাহলে আপনি কি সেই নবী?”
জবাবে তিনি বললেন, “না।”

যোহন ১৪: ১৫-১৭ এবং ২৫-৩০, 
 15“তোমরা যদি আমাকে মহব্বত কর তবে আমার সমস্ত হুকুম পালন করবে। 16আমি পিতার কাছে চাইব, আর তিনি তোমাদের কাছে চিরকাল থাকবার জন্য আর একজন সাহায্যকারীকে পাঠিয়ে দেবেন। 17সেই সাহায্যকারীই সত্যের রূহ্‌। ...........
 ....
 25তোমাদের সংগে থাকতে থাকতেই এই সব কথা আমি তোমাদের বলেছি। 26সেই সাহায্যকারী, অর্থাৎ পাক-রূহ্‌ যাঁকে পিতা আমার নামে পাঠিয়ে দেবেন, তিনিই সব বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দেবেন, আর আমি তোমাদের যা কিছু বলেছি সেই সব তোমাদের মনে করিয়ে দেবেন।
27“আমি তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যাচ্ছি, আমারই শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি; দুনিয়া যেভাবে দেয় আমি সেইভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবং মনে ভয়ও না থাকে। 28তোমরা শুনেছ আমি তোমাদের বলেছি, ‘আমি চলে যাচ্ছি এবং আবার তোমাদের কাছে আসব।’ তোমরা যদি আমাকে মহব্বত করতে তবে আমি আমার পিতার কাছে যাচ্ছি বলে খুশী হতে, কারণ পিতা আমার চেয়েও মহান। 29এই সব ঘটবার আগেই আমি তোমাদের বলে রাখলাম যেন ঘটলে পর তোমরা বিশ্বাস করতে পার। 30আমি তোমাদের সংগে আর বেশীক্ষণ কথা বলব না, কারণ দুনিয়ার কর্তা আসছে। আমার উপরে তার কোন অধিকার নেই। 31কিন্তু এ ঘটছে যেন লোকেরা জানতে পারে যে, আমি পিতাকে মহব্বত করি এবং পিতা আমাকে যেমন হুকুম দিয়েছেন আমি সব কিছু তেমনই করে থাকি। এবার ওঠো, আমরা এখান থেকে যাই।


যোহন ১৫: ২৫-২৬, 
 25এটা হয়েছে যাতে তাদের শরীয়তে লেখা এই কথা পূর্ণ হয়, ‘তারা অকারণে আমাকে ঘৃণা করেছে।’
26“যে সাহায্যকারীকে আমি পিতার কাছ থেকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব, তিনি যখন আসবেন তখন তিনিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন। ইনি হলেন সত্যের রূহ্‌ যিনি পিতার কাছ থেকে আসবেন। 27আর তোমরাও আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবে, কারণ প্রথম থেকেই তোমরা আমার সংগে সংগে আছ।

যোহন ১৬: ৭-১৫

7তবুও আমি তোমাদের সত্যি কথা বলছি যে, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না। কিন্তু আমি যদি যাই তবে তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। 8তিনি এসে গুনাহ্‌ সম্বন্ধে, আল্লাহ্‌র ইচ্ছামত চলা সম্বন্ধে এবং আল্লাহ্‌র বিচার সম্বন্ধে লোকদের চেতনা দেবেন। 9তিনি গুনাহ্‌ সম্বন্ধে চেতনা দেবেন, কারণ লোকেরা আমার উপর ঈমান আনে না; 10আল্লাহ্‌র ইচ্ছামত চলা সম্বন্ধে চেতনা দেবেন, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি ও তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না; 11বিচার সম্বন্ধে চেতনা দেবেন, কারণ দুনিয়ার কর্তার বিচার হয়ে গেছে।
12“তোমাদের কাছে আরও অনেক কথা আমার বলবার আছে, কিন্তু এখন তোমরা সেগুলো সহ্য করতে পারবে না। 13কিন্তু সেই সত্যের রূহ্‌ যখন আসবেন তখন তিনি তোমাদের পথ দেখিয়ে পূর্ণ সত্যে নিয়ে যাবেন। তিনি নিজ থেকে কথা বলবেন না, কিন্তু যা কিছু শোনেন তা-ই বলবেন, আর যা কিছু ঘটবে তাও তিনি তোমাদের জানাবেন। 14সেই সত্যের রূহ্‌ আমারই মহিমা প্রকাশ করবেন, কারণ আমি যা করি ও বলি তা-ই তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন। 15পিতার যা আছে তা সবই আমার। সেইজন্যই আমি বলেছি, আমি যা করি ও বলি তা-ই তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।

যাত্রা পুস্তক ৩৪ অধ্যায়

 
1এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি প্রথম পাথর-ফলকের মত আবার দু’টা পাথর-ফলক তৈরী করে নাও। তোমার ভেংগে ফেলা ফলক দু’টার উপর যে কথাগুলো লেখা ছিল তা আমি আবার এই নতুন ফলক দু’টার উপর লিখে দেব। 2সকালবেলা প্রস্তুত হয়ে তুমি তুর পাহাড়ে উঠবে। সেখানে পাহাড়ের চূড়ায় তুমি আমার সামনে উপস্থিত হবে। 3কেউ যেন তোমার সংগে না থাকে কিংবা পাহাড়ের কোনখানে যেন কাউকে দেখা না যায়; এমন কি, পাহাড়ের সামনেও যেন কোন গরু, ছাগল বা ভেড়া ঘাস খেতে না আসে।”
4মূসা তখন প্রথম পাথর-ফলকের মত আবার দু’টা পাথর-ফলক তৈরী করে নিলেন এবং মাবুদের হুকুম মত খুব সকালে তুর পাহাড়ে উঠলেন। সেই দু’টা পাথরের ফলক তিনি হাতে করে নিয়ে গেলেন।


 

(যাত্রা পুস্তক ৩২: ১-৬)

1পাহাড় থেকে নেমে আসতে মূসার দেরি হচ্ছে দেখে লোকেরা হারুনের চারপাশে জড়ো হয়ে বলল, “পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আপনি আমাদের দেব-দেবী তৈরী করে দিন কারণ ঐ মূসা, যে আমাদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছে, তার কি হয়েছে আমরা জানি না।”
2জবাবে হারুন তাদের বললেন, “তোমাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কানের সোনার গহনা খুলে এনে আমাকে দাও।” 3তাতে সকলে তাদের কানের গহনা খুলে এনে হারুনকে দিল। 4লোকেরা হারুনকে যা দিল তা গলিয়ে ছাঁচে ফেলে যন্ত্রপাতির সাহায্যে তিনি বাছুরের আকারে একটা মূর্তি তৈরী করলেন।
সেটা দেখে বনি-ইসরাইলরা বলল, “ভাইয়েরা, এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের দেব-দেবী। মিসর দেশ থেকে এই দেব-দেবীই তোমাদের বের করে এনেছেন।”
5এই ব্যাপার দেখে হারুন সেই বাছুরের সামনে একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী করে এই কথা ঘোষণা করলেন, “আগামী কাল মাবুদের উদ্দেশে ঈদ হবে।”
6পরের দিন লোকেরা খুব সকালে উঠে পোড়ানো-কোরবানী এবং যোগাযোগ-কোরবানী দিল। তার পরে তারা খাওয়া-দাওয়া করতে বসল এবং পরে হৈ-হল্লা করে আমোদ-প্রমোদ করবার জন্য উঠে দাঁড়াল। 7এতে মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি নীচে নেমে যাও। তোমার ঐ সব লোক যাদের তুমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছ তারা জঘন্য হয়ে গেছে। 8এর মধ্যেই তারা আমার হুকুম থেকে দূরে সরে গেছে। তারা নিজেদের জন্য বাছুরের আকারে একটা মূর্তি তৈরী করে নিয়েছে। তারা মাটিতে পড়ে তাকে সেজদা করেছে এবং তার উদ্দেশে পশু-কোরবানী করে বলেছে, ‘ভাইয়েরা, এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের দেব-দেবী। এই দেব-দেবীই মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।’ ”
 
 
 
 

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...