(মথি ৬: ২৪-৩৪)

24কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
25এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়? 26আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও? 27আর তোমাদের মধ্যে কে ভাবিত হইয়া আপন বয়স এক হস্ত মাত্র বৃদ্ধি করিতে পারে? 28আর বস্ত্রের নিমিত্ত কেন ভাবিত হও? ক্ষেত্রের কানুড় পুষ্পের বিষয়ে বিবেচনা কর, সেইগুলি কেমন বাড়ে; 29সেই সকল শ্রম করে না, সূতাও কাটে না; তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটির ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না। 30ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না? 31অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে, 32‘কি ভোজন করিব?’ বা ‘কি পান করিব?’ বা ‘কি পরিব?’ কেননা পরজাতীয়েরাই এই সকল বিষয় চেষ্টা করিয়া থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা ত জানেন যে, এই সকল দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে। 33কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে। 34অতএব কল্যকার নিমিত্ত ভাবিত হইও না, কেননা কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিত হইবে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।

(গণনা পুস্তকের ১৬ অধ্যায়)

কোরহ্ ও তার দলের বিদ্রোহ, বিচার ও বিনাশ
1লেবির পুত্র কোহাৎ,কোহাৎ-এর পুত্র যিষ্‌হর, যিষ্‌হরের পুত্র কোরহ্। কোরহ্ এবং রূবেণ বংশীয়দের মধ্যে ইলিয়াবের পুত্র দাথন ও অবীরাম এবং পেলৎ-এর পুত্র ওন, এরা কয়জন মিলে একজোট হল। 2এদের সঙ্গে দুশো পঞ্চাশ জন ইসরায়েলী মোশির বিরুদ্ধে দাঁড়াল। এরা সকলেই ছিল জনমণ্ডলীর নেতা, সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তি। 3এরা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে তাঁদের বলল, তোমরা খুব বাড়াবাড়ি করছ, মণ্ডলীর সকল লোকই পবিত্র এবং প্রভু পরমেশ্বর তাদের মাঝে রয়েছেন, তবে প্রভু পরমেশ্বরের এই প্রজামণ্ডলীর উপরে তোমরাই শুধু কর্তৃত্ব করছ কেন?
4ঐ কথা শুনে মোশি মাথা নত করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। 5তিনি কোরহ্ এবং তাঁর দলের লোকদের বললেন, কাল সকালেই প্রভু পরমেশ্বর জানিয়ে দেবেন কে তাঁর লোক, কেই বা পবিত্র এবং কাকে তিনি নিজের সান্নিধ্যে যেতে দেবেন। তিনি যাকে মনোনীত করবেন, সে-ই তাঁর কাছে যাবে। 6কোরহ্, তুমি ও তোমার দলের লোকেরা বরং এক কাজ কর, 7কাল সকালে তোমরা ধূপদানিগুলো নিয়ে সেগুলিতে আগুন দেবে এবং প্রভু পরমেশ্বরের সম্মুখে তার উপরে ধূপ ছড়িয়ে দেবে, তখন প্রভু পরমেশ্বর যাকে মনোনীত করবেন, সেই হবে পবিত্র ব্যক্তি। ওহে লেবির বংশ, তোমাদের খুব স্পর্ধা বেড়েছে। 8কোরহকে উদ্দেশ্য করে মোশি বললেন, ওহে লেবির বংশধর, দয়া করে আমার কথা শোন। 9ইসরায়েল কুলের ঈশ্বর যে ইসরায়েলী সমাজ থেকে তোমাদের পৃথক করে প্রভু পরমেশ্বরের শিবিরে পরিচর্যা এবং জনমণ্ডলীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে তাঁদের সেবা করার জন্য তোমাদের নিযুক্ত করেছেন এবং 10তিনি যে তোমাকে ও তোমার জ্ঞাতিভাই লেবি গোষ্ঠীর লোকদের নিজের সান্নিধ্যে এনেছেন তা-ই কি তোমাদের পক্ষে যথেষ্ট নয়? তোমরা কি এখন আবার পুরোহিত হতে চাইছ? 11সেই জন্যই কি তুমি ও তোমার দলবল প্রভু পরমেশ্বরের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছ? হারোণ কে, যে তোমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছ?
12পরে মোশি ইলিয়াবের পুত্র দাথন ও অবীরামকে ডেকে পাঠালেন,কিন্তু তারা বলল, আমরা যাব না। 13এই প্রান্তরে এনে মেরে ফেলার জন্য তুমি শস্য শ্যামলা দেশ থেকে আমাদের বার করে এনেছ, এটাই কি যথেষ্ট নয়? এর পরেও কি তুমি আমাদের উপর কর্তৃত্ব করতে চাও? 14সুজলা সুফলা কোনও দেশও তুমি আমাদের আনতে পার নি কিংবা শস্যক্ষেত্র কি দ্রাক্ষাকুঞ্জের কোন উত্তরাধিকারও আমাদের দাও নি। এখনও তুমি আমাদের প্রতারণা করার চেষ্টা করছ? 15এ কথা শুনে মোশির খুব রাগ হল। তিনি প্রভু পরমেশ্বরকে বললেন, তুমি এদের নৈবেদ্য গ্রাহ্য করো না। আমি ওদের কাছ থেকে একটি গাধাও নিই নি কিংবা ওদের কারও বিরুদ্ধে কোন অন্যায়ও করি নি।
16পরে মোশি কোরহকে বললেন, তুমি তোমার দলের সকলকে নিয়ে কাল প্রভু পরমেশ্বরের সম্মুখে উপস্থিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবে তুমি, তোমার দলের লোক ও হারোণ। 17তোমার দলের প্রত্যেক ধূপদানি নিয়ে তার উপর ধূপ ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সেই দুশো পঞ্চাশটি ধূপদানি প্রভু পরমেশ্বরের সম্মুখে স্থাপন করবে। তুমি এবং হারোণও নিজ নিজ ধূপদানি নিয়ে যাবে।
18পরদিন প্রত্যেকে তার নিজের নিজের ধূপদানিতে আগুন ও ধূপ দিয়ে প্রস্তুত হল। তারপর মোশি ও হারোণ সম্মিলন শিবিরের দ্বারে গিয়ে দাঁড়াল। 19কোরহ তাঁদের মুখোমুখি সমগ্র জনমণ্ডলীকে সম্মিলন শিবিরের দ্বারে একত্র করল। তখন সমগ্র জনতার সামনে হঠাৎ প্রভু পরমেশ্বরের অগ্নিময় প্রতাপ দৃশ্যমান হল।
20প্রভু পরমেশ্বর মোশি ও হারোণকে বললেন, 21তোমরা এই জনমণ্ডলীর সামনে থেকে সরে দাঁড়াও। আমি মুহূর্তের মধ্যে এদের ধ্বংস করব। 22তাঁরা তখন মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, হে ঈশ্বর, সর্বজীবের জীবনেশ্বর তুমি, একজনের পাপের জন্য তুমি কি সমগ্র জনমণ্ডলীর উপর ক্রুদ্ধ হবে? 23প্রভু পরমেশ্বর তখন মোশিকে বললেন, 24তুমি জনমণ্ডলীকে বল, তারা যেন কেরহ্, দাথন ও অবীরামের তাঁবুর কাছ থেকে দূরে সরে যায়। 25মোশি তখন উঠে দাথন ও অবীরামের কাছে গেলেন। ইসরায়েলীদের নেতৃস্থানীয় প্রবীণেরা তাঁর পিছনে গেলেন। 26তিনি জনমণ্ডলীকে উদ্দেশ করে বললেন, তোমরা এই দুষ্ট লোকদের তাঁবুর কাছ থেকে দূরে সরে যাও, ওদের কোন জিনিস স্পর্শ করো না, তাহলে এদের পাপে তোমরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। 27তখন তারা কোরহ্, দাথন ও অবীরামের তাঁবুর চারপাশ থেকে দূরে সরে গেল। দাথন ও অবীরাম তাদের স্ত্রী ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে তাদের তাঁবুর দ্বারে এসে দাঁড়াল। 28তখন মোশি বললেন, প্রভু পরমেশ্বরই যে আমাকে এই সব কাজ করার জন্য পাঠিয়েছেন এবং আমি যে নিজের ইচ্ছায় কিছুই করি নি, তা তোমরা এর দ্বারাই জানতে পারবে: 29মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু যেভাবে হয় সেইভাবে যদি এরা মরে কিংবা সাধারণ মানুষের মত যদি এদের দণ্ড হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে প্রভু পরমেশ্বর আমাকে পাঠান নি। 30কিন্তু প্রভু পরমেশ্বর যদি নতুন কিছু করেন, যদি পৃথিবী সর্বস্বসহ এদের গ্রাস করে, এরা যদি জীবিত অবস্থায় পাতালে প্রবেশ করে, তাহলেই জানবে যে এরা প্রভু পরমেশ্বরকে অবজ্ঞা করেছে।
31মোশির কথা শেষ হতেই তাদের পায়ের নীচের মাটি দুভাগ হয়ে গেল 32আর পৃথিবী শিবির ও জিনিসপত্রসমেত কোরহ্ ও তার অনুগামী সকলকেই গ্রাস করল। 33তারা ও তাদের আত্মীয়পরিজন সকলেই জীবন্ত পাতালে প্রবেশ করল এবং তাদের উপরে মাটি আবার জোড়া লেগে গেল। এইভাবেই তারা সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেল। 34তাদের আর্তনাদ শুনে আশেপাশের ইসরায়েলীরা সকলে পালিয়ে গেল। তারা বলতে লাগল, পৃথিবী হয়তো আমাদেরও গ্রাস করবে। 35এরপর প্রভু পরমেশ্বরের কাছ থেকে অগ্নিশিখা নির্গত হয়ে সেই দুশো পঞ্চাশ জন লোক, যারা ধূপ উৎসর্গ করেছিল, তাদের সকলকে গ্রাস করল।
36প্রভু পরমেশ্বর তখন মোশিকে বললেন, 37তুমি পুরোহিত হারোণের পুত্র ইলিয়াসরকে বল, সে যেন দগ্ধাবশেষের মধ্য থেকে ঐ ধূপদানিগুলি তুলে নেয় এবং সেগুলির আগুন দূরে নিয়ে গিয়ে ঝেড়ে ফেলে, কারণ সেগুলি পবিত্র। 38এই পাপিষ্ঠেরা তাদের পাপের জন্য জীবন দিয়েছে, এদের ধূপদানিগুলি পিটিয়ে পাত তৈরী করে তা দিয়ে বেদীটির জন্য আবরণ তৈরী করা হোক। এগুলি পবিত্র কারণ ওরা প্রভু পরমেশ্বরের সম্মুখে এগুলি উৎসর্গ করেছিল। এগুলি ইসরায়েলীদের কাছে নিদর্শনস্বরূপ।
মহামারী নিবারণে হারোণের প্রায়শ্চিত্ত
39যারা পুড়ে মারা গিয়েছিল তাদের নিবেদিত পিতলের ধূপদানিগুলি পুরোহিত ইলিয়াসর সংগ্রহ করলেন। সেগুলি পেটাই করে বেদীর আবরণের জন্য পাত তৈরী করা হল। 40এগুলি ইসরায়েলীদের কাছে স্মারক চিহ্ন স্বরূপ যেন হারোণের বংশধর ছাড়া অনধিকারী অন্য কোন লোক প্রভু পরমেশ্বরের সম্মুখে ধূপ উৎসর্গ করতে না যায় এবং তার দশা কোরহ্ এবং তার দলের মত না হয়। মোশির মাধ্যমে প্রভু পরমেশ্বর ইলিয়াসরকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
41পরের দিন সমগ্র ইসরায়েলী জনমণ্ডলী মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়ে বলল, প্রভু পরমেশ্বরের প্রজাদের তোমরাই হত্যা করেছ। 42মোশি হারোণের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ জনতা তখন সম্মিলন শিবিরের দিকে তাকাল, দেখল, সম্মিলন শিবির মেঘাবৃত হয়েছে এবং সেখানে প্রভু পরমেশ্বরের গৌরবজোতি দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। 43মোশি ও হারোণ তখন সম্মিলন শিবিরের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। 44প্রভু পরমেশ্বর মোশিকে বললেন, 45তোমরা এই জনমণ্ডলীর মধ্য থেকে বেরিয়ে যাও, আমি এই জনমণ্ডলীর মধ্য থেকে বেরিয়ে যাও, আমি এই মুহূর্তে এদের ধ্বংস করব।
46তাঁরা তখন মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন। মোশি হারোণকে বললেন, তোমরা ধূপদানিটি নাও এবং বেদীর উপর থেকে আগুন নিয়ে তার মধ্যে রাখ ও তাতে ধূপ ছড়িয়ে শিগগির জনতার কাছে গিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত কর, কারণ প্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হয়েছে এবং মহামারী শুরু হয়েছে। 47মোশির কথামত হারোণ তক্ষুণি ধূপদানি নিয়ে জনতার দিকে দৌড়ে গেলেন। ওদিকে তখন তাদরে মধ্যে মহামারী শুরু হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি ধূপদানিতে ধূপ উৎসর্গ করে জনতার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন। 48তারপর তিনি জীবিত ও মৃতদের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালেন, মহামারী নিবৃত্ত হল। 49কোরহের ঘটনায় যারা মারা গিয়েছিল তারা ছাড়াও চৌদ্দ হাজার সাতশো লোক এই মহামারীতে মারা পড়ল। 50মহামারী নিবৃত্ত হওয়ার পর হারোণ সম্মিলন শিবিরের দ্বারে মোশির কাছে ফিরে এলেন।

জুয়িশ ইনসাইক্লোপিডিয়া, ৭ খণ্ড, ৫৫৬ পৃষ্ঠা

তালমূদের বিবরণ ১২৯ পৃঃ

BIBLICAL HISTORY.
He visited the land of Goshen daily, observing the rigour
with which his brethren were treated, and inquiring of them
why they laboured and were so oppressed, he learned of all
the things which had happened before his birth; all things
concerning the children of Israel and all things concerning
himself. Learning of Bi'lam's desire to have him destroyed
in his infancy, he expressed enmity towards the son of Be'or,
who fearing his power and his favour with the king's daugh-
ter, fled to Ethiopia.
Moses urged the king of Egypt to grant the men of
Goshen one day of rest from their labour, in each week, and
the king acceded to his request." And the Lord was with Moses, and his fame extended
through all the land.
When he was about eighteen years old, Moses visited his
father and mother in Goshen; and going also where his
brethren were working he saw an Egyptian smiting a
Hebrew, and he killed the Egyptian and fled from Egypt,
as the occurrence is related in the Bible.
It came to pass in those days that the Assyrians rebelled
against Kikanus, the king of Ethiopia, to whom they were
under tribute. Kikanus, appointing Bi'lam, the son of
Be'or, who had fled from Egypt, to be his representative in
his absence, marched forth with a large army and subdued
the Assyrians, and imposed heavy taxes upon them.
Bi'lam, the son of Be'or, was unfaithful to his trust, and
usurping the power he was delegated to protect, he induced
the people of Ethiopia to appoint him their king in place of
the absent Kikanus. He strengthened the walls of the
capital, built huge fortresses, and dug ditches and pits be-
* Moses said: "If you compel them to labour steadily their
strength will fail them ; for your own benefit and profit allow them at least one day in the week for rest and a renewal of strength."

(যাত্রা পুস্তক ২: ১৬-১৮, ৩: ১ এবং ১৮: ৫)

যাত্রা পুস্তক ২: ১৬-১৮


মোশির জন্ম
1লেবি কুলের এক ব্যক্তি এইসময় তাঁর নিজের গোষ্ঠীর একটি কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। 2তাঁদের একটি সুশ্রী পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল। এই সুন্দর শিশুটিকে মমতাবশতঃ মা তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন, 3কিন্তু পরে আর তাকে গোপনে রাখা সম্ভব হল না বলে তিনি একটা নলখাগড়ার ঝাঁপিতে পিচ ও আলকাতরা মাখালেন যাতে তার মধ্যে জল প্রবেশ করতে না পারে। তারপর তার মধ্যে শিশুটিকে শুইয়ে দিলেন এবং ঝাঁপিটা নদীতে নলবনের মধ্যে রেখে দিয়ে এলেন। 4শিশুটির কি হয় তা দেখার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে রইল। 5কিছুক্ষণ পরে মিশরের রাজকন্যা নদীতে স্নান করতে এলেন, তাঁর সখীরা নদীর ধারে বেড়াতে লাগল। নলবনের মধ্যে ঐ ঝাঁপিটা দেখতে পেয়ে তিনি তাঁর দাসীকে দিয়ে সেটি আনালেন। 6ঝাঁপি খুলে দেখলেন, তার মধ্যে একটি শিশু। সে খুব কাঁদছিল। তাকে কাঁদতে দেখে তাঁর খুব মায়া হল। তিনি বললেন, এটি নিশ্চয়ই হিব্রুদের ছেলে। 7ছেলেটির দিদি তখন রাজকন্যার কাছে গিয়ে বলল, ছেলেটিকে দুধ খাওয়ানোর জন্য একজন হিব্রু ধাইকে কি আপনার কাছে ডেকে আনব? 8তিনি তাকে বললেন, হ্যাঁ, নিয়ে এস। তখন সে গিয়ে তার মাকে ডেকে আনল। 9রাজকন্যা তাঁকে বললেন, এই ছেলেটিকে নাও, আমার হয়ে তুমি একে পালন কর। এর জন্য আমি তোমাকে বেতন দেব। সেই মহিলা তখন শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে স্তন্যপান করাতে লাগলেন। 10শিশুটি বড় হলে তিনি তাকে রাজকন্যার কাছে নিয়ে এলেন। রাজকন্যা তাকে পোষ্যপুত্র রূপে গ্রহণ করলেন। তিনি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছিলেন বলে তার নাম রাখলেন মোশি (উত্তোলিত)।
11মোশি তখন বেশ বড় হয়েছেন। একদিন তিনি স্বজাতীয়দের কাছে গেলেন। দেখলেন, সেখানে কি কঠোর পরিশ্রমই না তারা করছে। এমন সময় দেখতে পেলেন একজন মিশরী একজন হিব্রুকে মারছে। 
12মোশি চারিদিকে তাকিয়ে দেখলেন কউ কোথাও নেই, তখন তিনি ঐ মিশরী লোকটিকে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন। 13এরপর আর একদিন মোশি বাইরে বেড়াতে গিয়ে দেখলেন দুজন হিব্রু মারামারি করছে। যে লোকটি অন্যায় করছিল তাকে তিনি বললেন, একে মারছ কেন? 14সে বলল, আমাদের উপর কে তোমাকে সর্দারি করতে পাঠিয়েছে? সেই মিশরী লোকটাকে তুমি যেমন খুন করেছ তেমনি আমাকেও খুন করতে চাও নাকি? এ কথা শুনে মোশি খুব ভয় পেলেন। দেখলেন, ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেছে।
15সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফারাও প্রাণদণ্ড দেওয়ার জন্য মোশির খোঁজ করতে লাগলেন। এদিকে মোশি তখন ফারাও-এর রাজ্য ছেড়ে মিদিয়ন দেশে পালিয়ে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি একটি কুয়োর ধারে গিয়ে বসলেন।
16মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর সাতটি মেয়ে তখন তাদের বাবার ভেড়ার পালকে জল খাওয়াবার জন্য সেখানে এসে জল তুলে চৌবাচ্চাগুলি পূর্ণ করছিল। 17সেই সময় কয়েক জন মেষপালক এসে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হল। মোশি তখন উঠে এসে সেই মেয়েদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচালেন এবং তাদের ভেড়াগুলিকে জল খাওয়ালেন।
18সেই মেয়েরা বাড়ি ফিরে এলে তাদের বাবা বললেন, আজ তোমরা এত তাড়াতাড়ি ফিরলে কি করে? 19তারা বলল, একজন মিশরী যুবক আজ আমাদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এমন কি তিনি নিজে জল তুলে আমাদের ভেড়াগুলিকে পান করিয়েছেন। 20তিনি তাঁর মেয়েদের জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে এলে কেন? যাও, আমাদের সঙ্গে আহার করার জন্য তাঁকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এস।
21পরে মোশি যিথ্রোর সঙ্গে বাস করতে রাজী হলেন। যিথ্রো মোশির সঙ্গে তাঁর কন্যা সিপ্পোরার বিবাহ দিলেন। 22সিপ্পোরার একটি পুত্র হল, মোশি বিদেশে প্রবাসী হয়েছেন বলে তার নাম রাখলেন গেরশোম (প্রবাসী)।
23এইভাবে অনেক দিন কেটে গেল। ইতিমধ্যে মিশরের রাজা গত হলেন, কিন্তু ইসরায়েলীদের দাসত্ব-যন্ত্রণার অবসান হল না। তাদের হাহাকার, দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তির কাকুতি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাল। 24তাদের কাতরোক্তি শুনে ঈশ্বর অব্রাহাম,ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধের কথা স্মরণ করলেন। 25ঈশ্বর ইসরায়েলীদের দুর্দশা দেখে তাদের অবস্থা উপলব্ধি করলেন।
=======================

যাত্রা পুস্তক : ৩ - ১ 


জ্বলন্ত ঝোপ
1মোশি তখন তাঁর শ্বশুর মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর ভেড়ার পাল চরাচ্ছিলেন। একদিন তিনি ভেড়ার পাল নিয়ে প্রান্তর পেরিয়ে ঈশ্বরের পর্বত হোরেব-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। 2সেখানে প্রভু পরমেশ্বরের দূত জ্বলন্ত অগ্নিশিখারূপে ঝোপের মধ্যে তাঁকে দর্শন দিলেন। মোশি দেখলেন, একটি ঝোপের মধ্যে আগুন জ্বলছে কিন্তু সেটি পুড়ছে না। 3ঝোপটি কেন পুড়ছে না, পরম বিস্ময়কর এই দৃশ্য কাছে গিয়ে দেখার সঙ্কল্প করলেন মোশি। 4এই দৃশ্য দেখার জন্য মোশিকে কাছে এগিয়ে আসতে দেখে প্রভু পরমেশ্বর ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁকে ডাকলেন, মোশি! মোশি! মোশি উত্তর দিলেন, আজ্ঞে, এই যে আমি। 5ঈশ্বর বললেন, আর এগিও না, তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল, কারণ যে স্থানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ পবিত্রভূমি। 6তিনি আর‍ও বললেন, আমি তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের আরাধ্য ঈশ্বর। তখন মোশি মুখ ঢেকে ফেললেন, কারণ ঈশ্বরের দিকে তাকাবার সাহস তাঁর হল না।
7প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে বললেন, মিশরে আমার প্রজাদের দুর্দশা আমি দেখেছি, নিষ্ঠুর রাজার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ আমি শুনেছি, তাদের দুঃখ আমি জানি। 8মিশরীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা সম্পদশালী বিস্তীর্ণ এক মনোরম দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি এসেছি। সেই দেশ কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবুষীয় প্রভৃতি জাতির বাসভূমি।

9ইসরায়েলীদের আর্তনাদ আমি শুনেছি, মিশরীরা যেভাবে তাদের নির্যাতন করছে, তা আমি দেখেছি। 10আমি এখন তোমাকে ফারাও-এর কাছে পাঠাব এবং আমার প্রজা ইসরালেয়ীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব। 11মোশি ঈশ্বরকে বললেন, কিন্তু আমি এমন কে যে ফারাও-এর কাছে গিয়ে ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব? 12ঈশ্বর বললেন, ভয় কি, আমি তোমার সঙ্গে থাকব। আর আমিই যে তোমাকে পাঠিয়েছি তার প্রমাণ হবে এই যে, তুমি যখন ইসরায়েলীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনবে তখন এই পর্বতেই তোমরা ঈশ্বরের আরাধনা করবে।

=======================

মোশির সঙ্গে যিথ্রোর সাক্ষাৎকার
1মোশির শ্বশুর যিথ্রো ছিলেন মিদিয়নীদের পুরোহিত। ঈশ্বর মোশির জন্য ও তাঁর প্রজা ইসরায়েলীদের জন্য যা করেছিলেন এবং মিশর থেকে যেভাবে প্রভু পরমেশ্বর ইসরায়েলীদের উদ্ধার করে এনেছিলেন তার সমস্ত বিবরণ যিথ্রো শুনেছিলেন। 2-3মোশি তাঁর স্ত্রী সিপ্পোরাকে পিতৃগৃহে পাঠিয়ে দেওয়ার পর যিথ্রো তাঁর স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন। প্রবাসে ছিলেন বলে মোশি তাঁর এক পুত্রের নাম রেখেছিলেন গেরশোম (প্রবাসী)। 4আর তাঁর পিতৃপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বর তাঁর সহায় হয়েছিলেন এবং ফারাও-এর আক্রমণের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করেছিলেন বলে তিনি তাঁর আর এক পুত্রের নাম রেখেছিলেন ইলিয়েসর (ঈশ্বর আমার সহায়)।
5ঈশ্বরের পর্বতের কাছে প্রান্তরে মোশি যেখানে শিবির স্থাপন করেছিলেন, মোশির শ্বশুর যিথ্রো মোশির স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে সেখানে গেলেন। 6তিনি মোশির কাছে বলে পাঠালেন, আমি, তোমার শ্বশুর যিথ্রো, তোমার স্ত্রী ও দুই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে তোমার কাছে যাচ্ছি। 7মোশি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য এগিয়ে গেলেন এবং তাঁকে প্রণাম করে চুম্বন করলেন। তাঁরা পরস্পরের কুশল জিজ্ঞাসা করলেন, তারপর শিবিরে এলেন। 8প্রভু পরমেশ্বর ইসরায়েলীদের উদ্ধারের জন্য ফারাও ও মিশরীদের কি দশা করেছেন এবং পথে যে সব সঙ্কটের সম্মুখীন তাঁরা হয়েছেন এবং সেই সঙ্কট থেকে প্রভু পরমেশ্বর কিভাবে তাদের উদ্ধার করেছেন, সে সব কথা মোশি তাঁকে বললেন।
9মিশরীদের কবল থেকে ইসরায়েলীদের উদ্ধার করে প্রভু তাদের যে কল্যাণ সাধন করেছেন, সে কথা জেনে যিথ্রো খুব আনন্দ প্রকাশ করলেন। 10-11তিনি বললেন, ধন্য প্রভু পরমেশ্বর, যিনি তোমাদের ফারাও ও মিশরীদের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন। আমি এখন জানলাম যে দেবতাদের মধ্যে প্রভু পরমেশ্বরই শ্রেষ্ঠ, কারণ তিনি মিশরের ঔদ্ধত্য ও উৎপীড়ন থেকে ইসরায়েলীদের নিষ্কৃতি দিয়েছেন। 12মোশির শ্বশুর যিথ্রো ঈশ্বরের উদ্দেশে বলিদান ও হোম করলেন। হারোণ ও ইসরায়েলীদের প্রবীণ নেতারা মোশির শ্বশুরের সঙ্গে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে সেই পবিত্র খাদ্য গ্রহণ করলেন।

Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L. © The Bible Society of India - 2016.

(যাহা পুস্তক ২: ১২)

মোশির জন্ম
1লেবি কুলের এক ব্যক্তি এইসময় তাঁর নিজের গোষ্ঠীর একটি কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন। 2তাঁদের একটি সুশ্রী পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করল। এই সুন্দর শিশুটিকে মমতাবশতঃ মা তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন, 3কিন্তু পরে আর তাকে গোপনে রাখা সম্ভব হল না বলে তিনি একটা নলখাগড়ার ঝাঁপিতে পিচ ও আলকাতরা মাখালেন যাতে তার মধ্যে জল প্রবেশ করতে না পারে। তারপর তার মধ্যে শিশুটিকে শুইয়ে দিলেন এবং ঝাঁপিটা নদীতে নলবনের মধ্যে রেখে দিয়ে এলেন। 4শিশুটির কি হয় তা দেখার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে রইল। 5কিছুক্ষণ পরে মিশরের রাজকন্যা নদীতে স্নান করতে এলেন, তাঁর সখীরা নদীর ধারে বেড়াতে লাগল। নলবনের মধ্যে ঐ ঝাঁপিটা দেখতে পেয়ে তিনি তাঁর দাসীকে দিয়ে সেটি আনালেন। 6ঝাঁপি খুলে দেখলেন, তার মধ্যে একটি শিশু। সে খুব কাঁদছিল। তাকে কাঁদতে দেখে তাঁর খুব মায়া হল। তিনি বললেন, এটি নিশ্চয়ই হিব্রুদের ছেলে। 7ছেলেটির দিদি তখন রাজকন্যার কাছে গিয়ে বলল, ছেলেটিকে দুধ খাওয়ানোর জন্য একজন হিব্রু ধাইকে কি আপনার কাছে ডেকে আনব? 8তিনি তাকে বললেন, হ্যাঁ, নিয়ে এস। তখন সে গিয়ে তার মাকে ডেকে আনল। 9রাজকন্যা তাঁকে বললেন, এই ছেলেটিকে নাও, আমার হয়ে তুমি একে পালন কর। এর জন্য আমি তোমাকে বেতন দেব। সেই মহিলা তখন শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে স্তন্যপান করাতে লাগলেন। 10শিশুটি বড় হলে তিনি তাকে রাজকন্যার কাছে নিয়ে এলেন। রাজকন্যা তাকে পোষ্যপুত্র রূপে গ্রহণ করলেন। তিনি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছিলেন বলে তার নাম রাখলেন মোশি (উত্তোলিত)।
11মোশি তখন বেশ বড় হয়েছেন। একদিন তিনি স্বজাতীয়দের কাছে গেলেন। দেখলেন, সেখানে কি কঠোর পরিশ্রমই না তারা করছে। এমন সময় দেখতে পেলেন একজন মিশরী একজন হিব্রুকে মারছে। 
12মোশি চারিদিকে তাকিয়ে দেখলেন কউ কোথাও নেই, তখন তিনি ঐ মিশরী লোকটিকে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন। 13এরপর আর একদিন মোশি বাইরে বেড়াতে গিয়ে দেখলেন দুজন হিব্রু মারামারি করছে। যে লোকটি অন্যায় করছিল তাকে তিনি বললেন, একে মারছ কেন? 14সে বলল, আমাদের উপর কে তোমাকে সর্দারি করতে পাঠিয়েছে? সেই মিশরী লোকটাকে তুমি যেমন খুন করেছ তেমনি আমাকেও খুন করতে চাও নাকি? এ কথা শুনে মোশি খুব ভয় পেলেন। দেখলেন, ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেছে।
15সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফারাও প্রাণদণ্ড দেওয়ার জন্য মোশির খোঁজ করতে লাগলেন। এদিকে মোশি তখন ফারাও-এর রাজ্য ছেড়ে মিদিয়ন দেশে পালিয়ে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি একটি কুয়োর ধারে গিয়ে বসলেন।
16মিদিয়নের পুরোহিত যিথ্রোর সাতটি মেয়ে তখন তাদের বাবার ভেড়ার পালকে জল খাওয়াবার জন্য সেখানে এসে জল তুলে চৌবাচ্চাগুলি পূর্ণ করছিল। 17সেই সময় কয়েক জন মেষপালক এসে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হল। মোশি তখন উঠে এসে সেই মেয়েদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচালেন এবং তাদের ভেড়াগুলিকে জল খাওয়ালেন।
18সেই মেয়েরা বাড়ি ফিরে এলে তাদের বাবা বললেন, আজ তোমরা এত তাড়াতাড়ি ফিরলে কি করে? 19তারা বলল, একজন মিশরী যুবক আজ আমাদের মেষপালকদের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। এমন কি তিনি নিজে জল তুলে আমাদের ভেড়াগুলিকে পান করিয়েছেন। 20তিনি তাঁর মেয়েদের জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে এলে কেন? যাও, আমাদের সঙ্গে আহার করার জন্য তাঁকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এস।
21পরে মোশি যিথ্রোর সঙ্গে বাস করতে রাজী হলেন। যিথ্রো মোশির সঙ্গে তাঁর কন্যা সিপ্পোরার বিবাহ দিলেন। 22সিপ্পোরার একটি পুত্র হল, মোশি বিদেশে প্রবাসী হয়েছেন বলে তার নাম রাখলেন গেরশোম (প্রবাসী)।
23এইভাবে অনেক দিন কেটে গেল। ইতিমধ্যে মিশরের রাজা গত হলেন, কিন্তু ইসরায়েলীদের দাসত্ব-যন্ত্রণার অবসান হল না। তাদের হাহাকার, দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তির কাকুতি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাল। 24তাদের কাতরোক্তি শুনে ঈশ্বর অব্রাহাম,ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধের কথা স্মরণ করলেন। 25ঈশ্বর ইসরায়েলীদের দুর্দশা দেখে তাদের অবস্থা উপলব্ধি করলেন।
Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L. © The Bible Society of India - 2016.

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...