দ্বিতীয় বিবরণে (২৮ অনুচ্ছেদ)

বাধ্যতার ফল
 
1“তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র প্রতি যদি তোমাদের পূর্ণ বাধ্যতা থাকে এবং আজ আমি তাঁর যে সব হুকুম তোমাদের দিচ্ছি তা যদি তোমরা যত্নের সংগে পালন কর, তবে তিনি দুনিয়ার অন্য সব জাতির উপরে তোমাদের স্থান দেবেন। 2তোমরা যদি তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র বাধ্য হও তবে এই সব দোয়া তোমরা পাবে আর তা তোমাদের সংগে থাকবে:
3তোমাদের বাসস্থান ও ক্ষেত-খামারের সব কিছুতে তোমরা দোয়া পাবে।
4তোমরা দোয়া পাবে যার ফলে তোমাদের পরিবারের অনেক সন্তান, ক্ষেতে প্রচুর ফসল এবং পালের গরু-ছাগল-ভেড়ার অনেক বাচ্চা হবে।
5তোমাদের ফসলের ঝুড়ি ও ময়দা ঠাঁসবার পাত্র দোয়া পাবে।
6প্রতিদিনকার জীবনে তোমরা দোয়া পাবে।
7“যারা শত্রু হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে মাবুদ এমন করবেন যাতে তারা তোমাদের কাছে হেরে যায়। তারা এক দিক দিয়ে তোমাদের আক্রমণ করতে এসে সাত দিক দিয়ে পালিয়ে যাবে।
8“তোমাদের গোলাঘরের উপর মাবুদের দোয়া থাকবে এবং যে কাজে তোমরা হাত দেবে তাতেই তিনি দোয়া করবেন। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তাঁর দেওয়া দেশে তোমাদের দোয়া করবেন।
9“যদি তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র হুকুমগুলো পালন কর এবং তাঁর পথে চল তবে তিনি তাঁর কসম খেয়ে ওয়াদা অনুসারে, তাঁর পবিত্র জাতি হিসাবে তোমাদের দাঁড় করাবেন। 10তখন দুনিয়ার সমস্ত জাতি দেখতে পাবে যে, মাবুদের নামেই তোমাদের পরিচয়, আর তাতে তারা তোমাদের ভয় করে চলবে। 11যে দেশটা তোমাদের দেবেন বলে মাবুদ তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খেয়েছিলেন সেই দেশে তিনি তোমাদের প্রচুর দান করবেন, অর্থাৎ তিনি তোমাদের পরিবারে অনেক ছেলেমেয়ে, পশুপালে অনেক বাচ্চা ও ক্ষেতে অনেক ফসল দেবেন।
12“তোমাদের দেশে সময়মত বৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সব কাজে দোয়া করবার জন্য মাবুদ তাঁর দানের ভাণ্ডার, অর্থাৎ আসমান খুলে দেবেন। তোমরা অনেক জাতিকে ঋণ দিতে পারবে, কিন্তু কারও কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না। 13মাবুদ এমন করবেন যাতে তোমরা সকলের মাথার উপরে থাক, পায়ের তলায় নয়। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র যে সব হুকুম আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তাতে যদি তোমরা কান দাও এবং যত্নের সংগে তা পালন কর, তবে সব সময় তোমাদের স্থান থাকবে উপরে, নীচে নয়। 14আজ আমি তোমাদের যে সব হুকুম দিচ্ছি, দেব-দেবীর পিছনে গিয়ে এবং তাদের পূজা করে তোমরা তা থেকে এদিক ওদিক সরে যাবে না।
 
 
অবাধ্যতার জন্য বদদোয়া
 
15“কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কথায় কান না দাও এবং আজকের দেওয়া আমার এই সব হুকুম ও নিয়ম যত্নের সংগে পালন না কর, তবে এই সব বদদোয়া তোমাদের উপর নেমে আসবে এবং তোমাদের সংগে থাকবে:
16তোমাদের বাসস্থান ও ক্ষেত-খামারের সব কিছুতে তোমরা বদদোয়াপ্রাপ্ত হবে।
17তোমাদের ফসলের ঝুড়ি ও ময়দা ঠাঁসবার পাত্র বদদোয়াপ্রাপ্ত হবে।
18তোমরা বদদোয়াপ্রাপ্ত হবে যার ফলে তোমাদের পরিবারে কম ছেলেমেয়ে, ক্ষেতে কম ফসল এবং পালের গরু, ছাগল ও ভেড়ার কম বাচ্চা হবে।
19প্রতিদিনকার জীবনে তোমরা বদদোয়াপ্রাপ্ত হবে।
20“খারাপ কাজ করে মাবুদকে ত্যাগ করবার অপরাধে তোমাদের সমস্ত কাজে তিনি তোমাদের বদদোয়া দেবেন, বিশৃঙ্খলায় ফেলবেন আর তিরস্কার করবেন, যার ফলে তোমরা ক্ষয় হতে হতে অল্প সময়ের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে। 21তোমরা যে দেশ দখল করতে যাচ্ছ মাবুদ সেখানে এমন করবেন যাতে তোমাদের মধ্যে মহামারী লেগেই থাকে আর শেষ পর্যন্ত তোমরা দেশ থেকে একেবারে শেষ হয়ে যাও। 22ক্ষয় রোগ, তিন রকমের মারাত্মক জ্বর, যুদ্ধ, গরম শুকনা বাতাস এবং ছাৎলা- এই সব মাবুদ তোমাদের উপর নিয়ে আসবেন এবং তোমাদের কষ্ট দেবেন যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও। 23তোমাদের মাথার উপরের আসমান হবে ব্রোঞ্জের মত শক্ত, আর পায়ের তলার মাটি হবে লোহার মত শক্ত। 24মাবুদ এমন করবেন যাতে তোমাদের দেশে বৃষ্টির বদলে আসমান থেকে ধুলা আর বালি পড়ে। সেগুলো তোমাদের উপর পড়বে যতক্ষণ না তোমরা শেষ হয়ে যাও।
25“মাবুদ এমন করবেন যাতে তোমরা তোমাদের শত্রুদের সামনে হেরে যাও। তোমরা এক দিক দিয়ে তাদের আক্রমণ করবে কিন্তু তাদের সামনে থেকে পালিয়ে যাবে সাত দিক দিয়ে। দুনিয়ার অন্য সব রাজ্যের লোকেরা তোমাদের অবস্থা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠবে। 26তোমাদের লাশ হবে আকাশের পাখী এবং দুনিয়ার পশুদের খাবার, আর তাদের তাড়িয়ে দেবার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না। 27মাবুদ মিসরীয়দের সেই ফোড়া, আব, চুলকানি আর পাঁচড়া দিয়ে তোমাদের কষ্ট দেবেন যা থেকে কেউ তোমাদের ভাল করতে পারবে না। 28তিনি পাগলামি ও অন্ধতা দিয়ে এবং চিন্তাশক্তি নষ্ট করে দিয়ে তোমাদের আরও কষ্ট দেবেন। 29অন্ধ লোক যেমন অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায় তেমনি করে তোমরা দিনের বেলাতেই হাতড়ে বেড়াবে; তোমাদের কোন কাজই সফল হবে না। তোমাদের উপর সব সময় জুলুম আর লুট চলবে; তা থেকে তোমাদের উদ্ধার করবার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না।
30“যে স্ত্রীলোকের সংগে তোমার বিয়ে ঠিক হবে অন্য লোকে তার ইজ্জত নষ্ট করবে। তোমরা বাড়ী তৈরী করবে কিন্তু তাতে থাকতে পারবে না। তোমরা আংগুর ক্ষেত করবে কিন্তু তার ফল মুখে দিতে পারবে না। 31তোমাদের চোখের সামনেই তোমাদের গরু জবাই করা হবে, কিন্তু তার এক টুকরা গোশ্‌তও তোমাদের পেটে যাবে না। তোমাদের গাধাকে জোর করে তোমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে, কিন্তু তা আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না। তোমাদের ভেড়া তোমাদের শত্রুদের হাতে গিয়ে পড়বে; আর এই বিপদে তোমাদের উদ্ধার করতে কেউ এগিয়ে আসবে না। 32তোমাদের ছেলেমেয়েরা অন্য জাতির হাতে পড়বে। দিনের পর দিন তাদের আসবার পথ চেয়ে তোমাদের চোখ অন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু কিছু করবার শক্তি তোমাদের হাতে থাকবে না। 33তোমাদের অচেনা জাতির লোকেরা তোমাদের জমির ফসল ও পরিশ্রমের ফল ভোগ করবে আর তোমাদের সারাটা জীবন ধরে তোমরা কেবল জুলুম ও খারাপ ব্যবহার ভোগ করবে। 34তোমরা যা দেখবে তা তোমাদের পাগল করে দেবে। 35মাবুদ তোমাদের হাঁটুতে ও পায়ে এমন সব বিষফোড়া দিয়ে কষ্ট দেবেন যা কখনও ভাল হবে না। সেই ফোড়া তোমাদের পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত সব জায়গায় হবে।
36“যাকে তোমরা বাদশাহ্‌ করে তোমাদের উপরে বসাবে মাবুদ তাকে এবং তোমাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন এক জাতির হাতে ফেলবেন যাকে তোমরাও জান না এবং তোমাদের পূর্বপুরুষেরাও জানত না। সেখানে তোমরা কাঠ আর পাথরের দেব-মূর্তির পূজা করবে। 37মাবুদ তোমাদের যে সব জাতির মধ্যে তাড়িয়ে দেবেন তারা তোমাদের অবস্থা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠবে, আর তারা তোমাদের ঠাট্টা-তামাশা করবে ও কটুকথায় বিঁধবে।
38“তোমরা বুনবে অনেক কিন্তু কাটবে কম, কারণ পংগপালে ফসল খেয়ে ফেলবে। 39তোমরা আংগুর ক্ষেত করবে এবং তার যত্নও নেবে কিন্তু পোকায় তার ফল খেয়ে ফেলবে বলে তোমরা তা তুলতেও পারবে না কিংবা তার রসও খেতে পারবে না। 40তোমাদের সারা দেশে জলপাই গাছ থাকবে কিন্তু তার ফল ঝরে পড়ে যাবে বলে জলপাই তেল মাখা তোমাদের হবে না। 41যে সব ছেলেমেয়ে তোমাদের হবে তারা তোমাদের কাছে থাকবে না, কারণ তাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে। 42ঝাঁকে ঝাঁকে পংগপাল এসে তোমাদের দেশের গাছ-গাছড়া ও ফসল খেয়ে ফেলবে।
43“তোমাদের মধ্যে বাস করা অন্যান্য জাতির লোকেরা তোমাদের উপরে উঠতে থাকবে আর তোমরা নামতে থাকবে তাদের নীচে। 44তারাই তোমাদের ঋণ দেবে কিন্তু তোমরা তাদের ঋণ দিতে পারবে না। তারা থাকবে তোমাদের মাথার উপরে আর তোমরা থাকবে তাদের পায়ের তলায়।
45“এই সব বদদোয়া তোমাদের উপরে নেমে আসবে। তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র বাধ্য না হওয়ার দরুন এবং তিনি যে সব হুকুম ও নিয়ম দিয়েছেন তা পালন না করবার দরুন এই সব বদদোয়া তোমাদের পিছনে তাড়া করে আসবে ও তোমাদের ধরে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। 46এই বদদোয়াগুলো অলৌকিক চিহ্ন ও অলৌকিক কাজ হিসাবে তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের উপর চিরকাল থাকবে। 47-48সুদিনে খুশী মনে এবং আনন্দের সংগে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র এবাদত না করবার দরুন খাওয়া-পরার অভাব, পিপাসা আর ভীষণ অভাবের মধ্যে তোমরা সেই সব শত্রুর সেবা করবে যাদের মাবুদ তোমাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দেবেন। তিনি তোমাদের ঘাড়ে লোহার জোয়াল চাপিয়ে রাখবেন যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও।
49“মাবুদ দূর থেকে, দুনিয়ার শেষ সীমানা থেকে এমন এক জাতিকে তোমাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসবেন যাদের ভাষা তোমরা বুঝবে না। ঈগল পাখীর মত করে সেই জাতি ছোঁ মেরে তোমাদের উপর নেমে আসবে। 50তারা হবে ভীষণ চেহারার লোক। তারা বুড়োদের সম্মান করবে না আর ছেলেমেয়েদের দয়ামায়া করবে না। 51তারা তোমাদের পশুর বাচ্চা ও ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা তোমাদের জন্য কোন ফসল, নতুন আংগুর-রস কিংবা তেল কিংবা গরুর বাছুর বা ভেড়ার বাচ্চা বাকী রাখবে না, আর শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। 52তারা তোমাদের গ্রাম ও শহরগুলো ঘেরাও করে রাখবে, আর শেষ পর্যন্ত তোমাদের উঁচু ও শক্ত দেয়ালগুলো ভেংগে পড়বে যার উপর তোমরা এত ভরসা করছ। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের সমস্ত গ্রাম ও শহর তারা ঘেরাও করবে।
53“সেগুলো ঘেরাও করে রাখবার সময় শত্রুরা তোমাদের এমন কষ্টে ফেলবে যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সন্তানদেরই খাবে, অর্থাৎ তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র দেওয়া ছেলেমেয়েদের গোশ্‌ত খাবে। 54তখন তোমাদের মধ্যে যে লোক কোমল স্বভাবের আর ভাল অবস্থায় মানুষ হয়েছে, তার অন্তরও এমন হবে যে, নিজের ভাইয়ের প্রতি, কিংবা প্রিয় স্ত্রীর প্রতি, কিংবা জীবিত ছেলেমেয়েদের প্রতি তার কোন দয়ামায়া থাকবে না। 55যে সন্তানের গোশ্‌ত সে খাবে তার একটুও সে তাদের দেবে না, কারণ শত্রুরা যখন তোমাদের গ্রাম বা শহর ঘেরাও করে রেখে তোমাদের কষ্টে ফেলবে তখন এছাড়া আর কোন খাবারই তার কাছে থাকবে না। 56তোমাদের মধ্যে যে স্ত্রীলোক কোমল স্বভাবের এবং এমন ভাল অবস্থায় মানুষ হয়েছে যে তাকে কোন দিন মাটিতে পা ফেলতে হয় নি, তারও তার প্রিয় স্বামী ও ছেলেমেয়েদের প্রতি কোন দয়ামায়া থাকবে না। 57সন্তান জন্মের পর সেই সন্তান এবং তার পরে শরীর থেকে বের হয়ে আসা ফুল, এর কোনটাই সে তাদের খেতে দেবে না। তোমাদের ঘেরাও করে রাখবার সময় তোমাদের শত্রুরা যখন তোমাদের কষ্টে ফেলবে তখন সে নিজেই সেই ফুল ও সন্তান চুপিচুপি খাবে।
58“এই কিতাবে যে সব শরীয়ত লেখা রয়েছে তা যদি তোমরা যত্নের সংগে মেনে না চল, অর্থাৎ ‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌’ বলে তাঁর এই যে গৌরবপূর্ণ ও ভয় জাগানো নামটি রয়েছে যদি তোমরা সেই নামের সম্মান না কর, 59তবে মাবুদ তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের উপর এমন সব ভীষণ ও অদ্ভুত রকমের আঘাত ও কষ্ট দেওয়া রোগ নিয়ে আসবেন যা অনেক দিন ধরে চলবে। 60মিসর দেশে যে সব রোগ দেখে তোমরা ভয় পেতে, তিনি সেই সবই তোমাদের উপর আনবেন আর সেগুলো তোমাদের ছাড়বে না। 61এছাড়া মাবুদ এমন সব রোগ ও আঘাত তোমাদের উপর আনবেন যার কথা এই তৌরাত কিতাবের মধ্যে লেখা নেই, আর শেষ পর্যন্ত তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। 62তোমাদের লোকসংখ্যা আসমানের তারার মত হলেও তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র প্রতি অবাধ্যতার দরুন তোমরা তখন মাত্র অল্প কয়েকজনই বেঁচে থাকবে। 63যে আনন্দে মাবুদ তোমাদের উন্নতি করেছেন ও তোমাদের লোকসংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছেন সেই আনন্দে তখন তিনি তোমাদের ধ্বংস করে শেষ করে দেবেন। যে দেশ তোমরা দখল করতে যাচ্ছ সেই দেশ থেকে শিকড়সুদ্ধ তোমাদের তুলে ফেলা হবে।
64“তারপর মাবুদ দুনিয়ার এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেবেন। তোমরা সেখানে তোমাদের এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের অজানা কাঠের ও পাথরের দেব-মূর্তির পূজা করবে। 65সেই সব জাতির মধ্যে তোমরা শান্তি পাবে না, আর তোমাদের বিশ্রাম করবার নিজের কোন জায়গা থাকবে না। সেখানে মাবুদ তোমাদের মন দুশ্চিন্তায় ভরে তুলবেন এবং আশা করে চেয়ে থাকা চোখ তোমাদের ক্লান্ত করে তুলবেন, আর তোমাদের অন্তর নিরাশায় ভরে দেবেন। 66কি হবে না হবে এই ভাবটা তোমাদের পেয়ে বসবে; আর দিনরাত ভয়-ভরা অন্তরে তোমরা বেঁচে থাকা সম্বন্ধে কখনও নিশ্চিত হতে পারবে না। 67তোমরা সকালবেলা বলবে, ‘সন্ধ্যা হোক,’ আর সন্ধ্যাবেলা বলবে, ‘সকাল হোক,’ কারণ তোমাদের অন্তর ভয়ে ভরা থাকবে আর চোখ অনেক কিছু দেখবে। 68মিসরে যাওয়া সম্বন্ধে আমি তোমাদের বলেছিলাম যে, সেই পথে আর কখনও তোমাদের পা দিতে হবে না; কিন্তু মাবুদ তখন জাহাজ ভরে ভরে তোমাদের মিসরে ফেরৎ পাঠাবেন। সেখানে তোমরা গোলাম ও বাঁদী হিসাবে শত্রুদের কাছে নিজেদের বিক্রি করতে চাইবে কিন্তু কেউ তোমাদের কিনবে না।”
 

লেবীয় পুস্তক(২৬ অনুচ্ছেদ)

বাধ্যতার পুরস্কার
1“কোন রকম দেব-দেবীর মূর্তি তোমাদের তৈরী করা চলবে না। নিজেদের জন্য কাঠে খোদাই-করা মূর্তি কিংবা কোন পূজার পাথর তোমাদের স্থাপন করা চলবে না। পূজা করবার জন্য তোমরা পাথরে খোদাই করা কোন মূর্তি তোমাদের দেশে রাখবে না। আমি আল্লাহ্‌ তোমাদের মাবুদ। 2আমার বিশ্রামের দিন ও বছরগুলো তোমাদের পালন করতে হবে; আমার পবিত্র তাম্বুর প্রতি তোমাদের সম্মান দেখাতে হবে। আমি মাবুদ।
3-4“যদি তোমরা আমার সব নিয়ম মান এবং আমার হুকুম পালন করে চল তবে সময়মত আমি বৃষ্টির ব্যবস্থা করব। তাতে তোমাদের জমিতে পুরো ফসল হবে এবং গাছ-গাছড়ায়ও ফল জন্মাবে। 5তখন তোমাদের গম মাড়াই করা চলবে আংগুর তুলবার সময় পর্যন্ত এবং আংগুর তোলা চলবে বীজ বুনবার সময় পর্যন্ত। তোমরা তখন পেট ভরে খেতে পাবে এবং দেশের মধ্যে নিরাপদে বাস করবে।
6“দেশে তখন আমি শান্তি দেব। তোমরা শান্তিতে ঘুমাবে; কারও কাছ থেকে কোন ভয়ের কারণ তোমাদের থাকবে না। আমি দেশ থেকে হিংস্র জন্তু-জানোয়ার দূর করে দেব। কোন সৈন্য-সামন্ত তোমাদের দেশ হামলা করতে আসবে না। 7তোমরা তোমাদের শত্রুদের তাড়া করবে এবং শত্রুরা তোমাদের সামনেই মারা পড়বে। 8মাত্র পাঁচজন মিলে তোমরা একশোজন শত্রুকে এবং একশোজন মিলে দশ হাজার শত্রুকে তাড়া করবে, আর শত্রুরা তোমাদের সামনে মারা পড়বে। 9আমি তোমাদের তখন দয়ার চোখে দেখব এবং বংশবৃদ্ধি করে তোমাদের লোকসংখ্যা বাড়িয়ে তুলব, আর তোমাদের সংগে আমি আমার ব্যবস্থা ঠিক রাখব। 10নতুন শস্য রাখবার জন্য গোলাঘর খালি করবার সময়েও আগের বছরের শস্য থেকেই তোমাদের খাওয়া চলতে থাকবে। 11আমি তোমাদের দিক থেকে আমার মুখ ফিরাব না। তোমাদের মধ্যেই আমি আমার বাসস্থান করব। 12আমি তোমাদের সংগে চলাফেরা করব এবং তোমাদের আল্লাহ্‌ হব আর তোমরা আমার নিজের বান্দা হবে। 13আমি আল্লাহ্‌ তোমাদের মাবুদ। মিসর দেশ থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি যাতে মিসরীয়দের গোলাম হয়ে আর তোমাদের থাকতে না হয়। কাঁধের জোয়াল ভেংগে ফেলে আমিই তোমাদের মাথা উঁচু করে হাঁটবার অবস্থায় এনেছি।
 
 
অবাধ্যতার শাস্তি
14“কিন্তু তোমরা যদি আমার কথা না শোন এবং এই সব হুকুম পালন না কর, 15যদি তোমরা আমার নিয়মগুলো অগ্রাহ্য কর এবং আমার শরীয়ত তুচ্ছ কর, যদি তোমরা আমার হুকুম পালন না করে আমার ব্যবস্থা অমান্য কর, 16তবে আমি তোমাদের উপর যা করব তা এই- আমি তোমাদের উপর হঠাৎ কোন দেহ ক্ষয় করা রোগ এবং ভীষণ রকমের জ্বর নিয়ে আসব। এই সব রোগে তোমাদের দেখবার ক্ষমতা এবং গায়ের শক্তি কমতে থাকবে। তখন তোমরা বীজ বুনলেও কোন লাভ হবে না, তোমাদের ফসল শত্রুরাই খাবে। 17আমি তোমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব আর তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছে হেরে যাবে। তোমাদের ঘৃণাকারীরাই তোমাদের শাসন করবে এবং কেউ তোমাদের তাড়া না করলেও তোমরা পালিয়ে যাবে।
18“এই সবের পরেও যদি তোমরা আমার কথা না শোন তবে আমি তোমাদের গুনাহের সাতগুণ শাস্তি দেব। 19আমি তোমাদের শক্তির অহংকার চুরমার করে দেব। আমি তোমাদের মাথার উপরকার আকাশ লোহার মত আর পায়ের তলার মাটি ব্রোঞ্জের মত শক্ত করে দেব। 20তখন তোমরা মিছামিছিই খেটে মরবে; তোমাদের জমিতে তখন ফসলও হবে না, গাছ-গাছড়ায় ফলও ধরবে না।
21“তোমাদের মনে যদি আমার প্রতি শত্রুভাব থাকে এবং যদি তোমরা আমার কথায় কান দিতে না চাও তবে তোমাদের গুনাহের শাস্তি আমি সাতগুণ বাড়িয়ে দেব। 22আমি তোমাদের মধ্যে হিংস্র জন্তু পাঠিয়ে দেব। সেগুলো তোমাদের ছেলেমেয়েদের খেয়ে ফেলবে, তোমাদের পশুপাল ধ্বংস করবে আর তোমাদের লোকসংখ্যা কমিয়ে দেবে। এতে তোমাদের রাস্তাঘাটগুলো খালি পড়ে থাকবে।
23“এই সব ঘটনার পরেও যদি তোমরা আমার শাসন মেনে না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে চলতে থাক, 24তবে আমি নিজে তোমাদের শত্রু হয়ে তোমাদের গুনাহের সাতগুণ শাস্তি দেব। 25আমার ব্যবস্থা অমান্য করবার দরুন আমি তোমাদের উপর যুদ্ধ নিয়ে আসব। শত্রু দেখে যখন তোমরা শহরে গিয়ে ঢুকবে তখন তোমাদের মধ্যে আমি মহামারী লাগিয়ে দেব, আর তাতে তোমরা শত্রুর হাতে গিয়ে পড়বে। 26আমি তোমাদের খাবারের অভাব ঘটাব। তখন দশজন স্ত্রীলোকের রুটি সেঁকতে একটার বেশী তন্দুর লাগবে না, আর খাবার সময়ে তোমরা রুটি মেপে মেপে দেবে। তোমরা পেট ভরে খেতে পাবে না।
27“এই সবের পরেও যদি তোমরা আমার কথায় কান না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চলতেই থাক, 28তবে আমিও ভীষণ রেগে গিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে চলব এবং তোমাদের গুনাহের সাতগুণ শাস্তি দেব। 29তখন খিদের জ্বালায় তোমরা তোমাদের ছেলেমেয়েদের গোশ্‌ত খাবে। 30আমি তোমাদের পূজার উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করে ফেলব, ধূপগাহ্‌ ভেংগে ফেলব এবং তোমাদের প্রাণহীন দেব-দেবীর উপর তোমাদের লাশগুলো গাদা করব, আর আমি তোমাদের ভীষণ ঘৃণার চোখে দেখব। 31আমি তোমাদের গ্রাম ও শহরগুলো এবং এবাদতের ঘরগুলো ধ্বংস করে ফেলব। তোমাদের কোরবানীর গন্ধ আমি কবুল করব না। 32আমি তোমাদের দেশ এমন ধ্বংসের অবস্থায় ফেলে রাখব যা দেখে তোমাদের শত্রু-বাসিন্দারাও আঁত্‌কে উঠবে। 33বিভিন্ন জাতির মধ্যে আমি তোমাদের ছড়িয়ে রাখব এবং তলোয়ার হাতে তোমাদের পিছনে পিছনে তাড়া করব। তোমাদের দেশের সব জমি, শহর ও গ্রাম ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে।
34“যখন তোমরা তোমাদের শত্রুদের দেশে থাকবে তখন ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকা তোমাদের সেই দেশটা তার পাওনা সব বিশ্রাম-বছর ভোগ করতে থাকবে। হ্যাঁ, তখন তোমাদের দেশটা বিশ্রাম পাবে এবং তার পাওনা বিশ্রাম-বছরগুলো ভোগ করবে। 35তোমরা নিজেরা দেশে বাস করবার সময় তোমাদের জমিগুলো বিশ্রাম-বছরগুলোতেও বিশ্রাম পায় নি বলে যখন দেশ ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে তখন জমিগুলো বিশ্রাম পাবে। 36তোমাদের মধ্যে যারা শত্রুদের দেশে বেঁচে থাকবে তাদের অন্তরে আমি এমন ভয় ঢুকিয়ে দেব যে, বাতাসে পাতা নড়বার শব্দেও তারা ছুটে পালাবে। যুদ্ধের ভয়ে যেমন করে মানুষ ছুটে পালায় তেমনি করেই তারা ছুটে পালাবে। পিছনে কেউ তাড়া করে না গেলেও তারা ছুটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবে। 37কেউ তাদের পিছনে তাড়া না করলেও তলোয়ারের হাত থেকে বাঁচবার জন্য ছুটে যাওয়া লোকের মত করে দৌড়াতে গিয়ে তারা একে অন্যের উপর পড়বে। শত্রুদের সামনে তোমরা দাঁড়াতে পারবে না। 38বিভিন্ন জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তোমরা মারা যাবে, শত্রুদের দেশ তোমাদের গিলে খাবে। 39তার পরেও তোমাদের মধ্যে যারা সেখানে পড়ে থাকবে তারা তাদের নিজেদের এবং পূর্বপুরুষদের দোষের দরুন শেষ হয়ে যেতে থাকবে।
40-41“আমার প্রতি বেঈমানী ও বিরুদ্ধতার জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে শত্রুদের দেশে তাদের নিয়ে যাব। কিন্তু সেখানে যদি তারা নিজেদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের সেই সব দোষ স্বীকার করে ও তাদের অবাধ্য অন্তর নরম করে এবং তাদের দোষের শাস্তি গ্রহণ করে, 42তাহলে আমি ইয়াকুব, ইসহাক ও ইব্রাহিমের সংগে আমার ব্যবস্থার কথা এবং তাদের দেশের কথা মনে করব। 43বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবার পরে ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকা তাদের দেশটা তার পাওনা সব বিশ্রাম-বছর ভোগ করতে থাকবে। আমার শরীয়ত অগ্রাহ্য এবং নিয়ম ঘৃণা করবার দরুন দোষের শাস্তি তাদের পেতেই হবে। 44তবুও শত্রুদের দেশে থাকবার সময়ে আমি তাদের এমনভাবে অগ্রাহ্য করব না বা ঘৃণার চোখে দেখব না যাতে তারা একেবারেই ধ্বংস হয়ে যায় এবং এইভাবে তাদের সংগে আমার ব্যবস্থা খেলাপ হয়ে যায়। আমি আল্লাহ্‌ তাদের মাবুদ। 45তাদের জন্যই তাদের পূর্বপুরুষদের সংগে আমার ব্যবস্থার কথা আমি মনে করব। এই পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌ হব বলে অন্যান্য জাতির চোখের সামনে দিয়ে মিসর দেশ থেকে আমি তাদের বের করে এনেছি। আমি মাবুদ।”
 
46এগুলোই হল সেই সব হুকুম, শরীয়ত ও নিয়ম যা তুর পাহাড়ে মূসার মধ্য দিয়ে মাবুদ তাঁর ব্যবস্থা হিসাবে বনি-ইসরাইলদের জন্য স্থাপন করেছিলেন।
 
 
 

যাত্রাপুস্তুক ২১: ২৩-২৫

23কিন্তু যদি এছাড়া অন্য কোন ক্ষতি হয় তবে এইভাবে তাকে শাস্তি দিতে হবে, যেমন প্রাণের বদলে প্রাণ, 24চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা; 25পোড়ানোর বদলে পোড়ানো, ঘায়ের বদলে ঘা এবং কালশিরার বদলে কালশিরা।


 https://www.bible.com/de/bible/95/EXO.21.MBCL

(মথি ৫:১৭-১৮ দেখুন)।

তৌরাত শরীফের বিষয়ে হযরত ঈসার শিক্ষা
 
17“এই কথা মনে কোরো না, আমি তৌরাত কিতাব আর নবীদের কিতাব বাতিল করতে এসেছি। আমি সেগুলো বাতিল করতে আসি নি বরং পূর্ণ করতে এসেছি। 18আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আসমান ও জমীন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন না তৌরাত কিতাবের সমস্ত কথা সফল হয় ততদিন সেই তৌরাতের এক বিন্দু কি এক মাত্রা মুছে যাবে না। 19তাই মূসার শরীয়তের মধ্যে ছোট একটা হুকুমও যে কেউ অমান্য করে এবং লোককে তা অমান্য করতে শিক্ষা দেয় তাকে বেহেশতী রাজ্যে সবচেয়ে ছোট বলা হবে। কিন্তু যে কেউ শরীয়তের হুকুমগুলো পালন করে ও শিক্ষা দেয় তাকে বেহেশতী রাজ্যে বড় বলা হবে। 20আমি তোমাদের বলছি, আলেম ও ফরীশীদের ধার্মিকতার চেয়ে তোমাদের যদি বেশী কিছু না থাকে তবে তোমরা কোনমতেই বেহেশতী রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।
 

(দ্বিতীয় বিবরণী পুস্তক ২২: ২৩-২৪)

22“কোন লোককে যদি অন্য কারও স্ত্রীর সংগে সহবাস করতে দেখা যায় তবে যে তার সংগে সহবাস করেছে সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রীলোক দু’জনকেই হত্যা করতে হবে। তোমরা বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে এই রকম খারাপী শেষ করে দেবে।
 
23“বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এমন কোন মেয়েকে গ্রাম বা শহরের মধ্যে পেয়ে যদি কেউ তার সংগে সহবাস করে, 24তবে তাদের দু’জনকেই সেখানকার সদর দরজার কাছে নিয়ে গিয়ে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করতে হবে। মেয়েটিকে হত্যা করতে হবে কারণ গ্রাম বা শহরের মধ্যে থেকেও সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে নি, আর পুরুষটিকে হত্যা করতে হবে কারণ সে অন্যের স্ত্রীকে নষ্ট করেছে। তোমাদের মধ্য থেকে এই রকম খারাপী তোমরা শেষ করে দেবে।
 
 

(১-পিতর ৪:১৬)

16কিন্তু ঈসায়ী হিসাবে যদি কেউ কষ্ট ভোগ করে তবে সে লজ্জা না পাক, বরং তার সেই নাম আছে বলে সে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করুক। 

link 

 

(প্রেরিতদের কার্য ১১:২৬)


26আর তাঁকে খুঁজে পেয়ে এণ্টিয়কে আনলেন। বার্নাবাস আর শৌল এক বছর পর্যন্ত জামাতের লোকদের সংগে মিলিত হয়ে অনেক লোককে শিক্ষা দিলেন। এণ্টিয়কেই মসীহের উম্মতদের ঈসায়ী নামে প্রথম ডাকা হল।

link



প্রেরিতদের কার্য বিবরণ ২৪:৫, লুক ১৩:২)

প্রেরিতদের কার্য বিবরণ ২৪:৫

 5“আমরা দেখেছি এই লোকটা একটা আপদ; সব সময় সে গোলমালের সৃষ্টি করে থাকে। সারা দুনিয়ার ইহুদীদের মধ্যে সে গোলমাল বাধিয়ে বেড়ায়। সে নাসারা নামে একটা ধর্ম-বিরুদ্ধ দলের নেতা। 6-7বায়তুল-মোকাদ্দস পর্যন্ত সে নাপাক করবার চেষ্টা করেছে বলে আমরা তাকে ধরেছি। 8আমরা তাকে যে সব দোষ দিচ্ছি, আপনি নিজে তাকে জেরা করলে সব কিছুই জানতে পারবেন।”
9এই সব কথা যে সত্যি তাতে ইহুদীরাও সায় দিল।
10তখন প্রধান শাসনকর্তা পৌলকে ইশারা করলে পর পৌল বলতে লাগলেন, “আমি জানি, বেশ কয়েক বছর ধরে আপনি এই ইহুদী জাতির বিচার করে আসছেন; সেইজন্য আমি খুব খুশী হয়েই নিজের পক্ষে কথা বলছি। 11আজ বারো দিনের বেশী হয় নি আমি এবাদত করবার জন্য জেরুজালেমে গিয়েছিলাম। আপনি খোঁজ নিলে তা সহজেই জানতে পারবেন। 12আমাকে যাঁরা দোষ দিচ্ছেন তাঁরা বায়তুল-মোকাদ্দসে আমাকে কারও সংগে তর্কাতর্কি করতে দেখেন নি বা মজলিস-খানায় কিংবা শহরের অন্য কোথাও লোকদের উসকানি দিতে দেখেন নি। 13আমার বিরুদ্ধে এখন তাঁরা যে দোষ দেখাচ্ছেন তার প্রমাণ তাঁরা আপনার কাছে দিতে পারবেন না। 14যাহোক, এই কথা আমি আপনার কাছে স্বীকার করছি যে, ঈসা মসীহের পথ, যাকে তাঁরা ধর্ম-বিরুদ্ধ পথ বলেন, আমি সেই পথেই আমার পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌র এবাদত করে থাকি। তৌরাত শরীফের সংগে যা কিছুর মিল আছে তাতে এবং নবীদের কিতাবে আমি ঈমান রাখি। 15তাঁরা যেমন আশা করেন তেমনি আমারও আল্লাহ্‌র উপর এই আশা আছে যে, সৎ কিংবা অসৎ সবাইকে আবার জীবিত করা হবে। 16সেইজন্য আমি আল্লাহ্‌ ও মানুষের কাছে সব সময় আমার বিবেককে পরিষ্কার রাখবার চেষ্টা করি।
 




 লুক ১৩:২

2এই কথা শুনে ঈসা বললেন, “আপনাদের কি মনে হয় যে, সেই গালীলীয়রা ঐভাবে যন্ত্রণা ভোগ করেছে বলে তারা অন্য সব গালীলীয়দের চেয়ে বেশী গুনাহ্‌গার ছিল?

link


 
 

প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক, ২:৪৪, ৪:৩২, ৯:২৬, ১১:২৯, ১৩:৫২, ১৫:১ ও ২৩, রোমীয় ১৫:২৫, কলসীয় ১:১২


প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক, ২:৪৪,  

ঈমানদারদের চালচলন
 
42সেই লোকেরা সাহাবীদের শিক্ষা শুনত, তাঁদের সংগে এক হয়ে মসীহের মেজবানী গ্রহণ করত এবং মুনাজাত করে সময় কাটাত। 43সবাই ভয়ে পূর্ণ হল, আর সাহাবীরা অনেক অলৌকিক কাজ ও চিহ্ন-কাজ করতে লাগলেন। 44সব ঈমানদারই একসংগে থাকত ও সব কিছু যার যার দরকার মত ব্যবহার করত। 45তারা নিজেদের বিষয়-সম্পত্তি বিক্রি করে যার যেমন দরকার সেইভাবে তাকে দিত। 46তারা প্রত্যেক দিন বায়তুল-মোকাদ্দসে একসংগে মিলিত হত, আর ভিন্ন ভিন্ন বাড়ীতে আনন্দের সংগে ও সরল মনে একসংগে খাওয়া-দাওয়া করত। 47তারা সব সময় আল্লাহ্‌র প্রশংসা করত এবং সব লোক তাদের সম্মান করত। যারা নাজাত পাচ্ছিল প্রভু ঈমানদার দলের সংগে প্রত্যেক দিনই তাদের যোগ করতে লাগলেন।




 প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক,  ৪:৩২ 

ঈসায়ী ঈমানদারেরা যা করত
 
32ঈমানদারেরা সবাই মনেপ্রাণে এক ছিল। কোন কিছুই তারা নিজের বলে দাবি করত না বরং সব কিছুই যার যার দরকার মত ব্যবহার করত।


 প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক,  ৯:২৬

26শৌল জেরুজালেমে এসে উম্মতদের সংগে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু তারা সবাই তাঁকে ভয় করতে লাগল। তারা বিশ্বাস করতে পারল না যে, শৌল সত্যিই একজন উম্মত হয়েছেন। 27কিন্তু বার্নাবাস তাঁকে সংগে করে সাহাবীদের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁদের জানালেন, দামেস্কের পথে শৌল কিভাবে হযরত ঈসাকে দেখতে পেয়েছিলেন এবং ঈসা তাঁর সংগে কিভাবে কথা বলেছিলেন, আর দামেস্কে ঈসার সম্বন্ধে তিনি কিভাবে সাহসের সংগে তবলিগ করেছিলেন। 28এর পরে শৌল জেরুজালেমে উম্মতদের সংগে রইলেন এবং তাঁদের সংগে চলাফেরা করতেন ও প্রভুর বিষয়ে সাহসের সংগে তবলিগ করে বেড়াতেন।  



 প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক,  ১১:২৯,

29তখন উম্মতেরা ঠিক করল, এহুদিয়া প্রদেশের ঈমানদার ভাইদের সাহায্যের জন্য তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের সাধ্য অনুসারে টাকা পাঠাবে। তারা তা করেছিল।  

  

প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক, ১৩:৫২

52কিন্তু সেখানকার উম্মতেরা আনন্দে ও পাক-রূহে পূর্ণ হল। 
link


প্রেরিতদের কার্যবিবরণ পুস্তক, ১৫:১ ও ২৩,

1এহুদিয়া প্রদেশ থেকে কয়েকজন লোক এণ্টিয়কে আসলেন এবং ঈমানদার ভাইদের এই বলে শিক্ষা দিতে লাগলেন, “মূসার শরীয়ত মতে তোমাদের খৎনা করানো না হলে তোমরা কোনমতেই নাজাত পেতে পার না।”  

23তাঁদের সংগে এই চিঠি পাঠানো হল:
এণ্টিয়ক, সিরিয়া ও কিলিকিয়ার অ-ইহুদী ঈমানদার ভাইদের কাছে আমরা সাহাবীরা ও জামাতের নেতারা, অর্থাৎ আপনাদের ভাইয়েরা এই চিঠি লিখছি। আমাদের সালাম গ্রহণ করুন।


রোমীয় ১৫:২৫, 

 25কিন্তু এখন আমি আল্লাহ্‌র বান্দাদের সাহায্য করবার জন্য জেরুজালেমে যাচ্ছি, 

link 
 

কলসীয় ১:১২   

12নূরের রাজ্যে আল্লাহ্‌র বান্দারা যে অধিকার লাভ করবে তার ভাগী হবার জন্য তিনি তোমাদের উপযুক্ত করে তুলেছেন
link

প্রেরিতদের কার্য বিবরণ পুস্তক ৩: ১-১০, ৫: ২১-২৫

প্রেরিতদের কার্য বিবরণ পুস্তক ৩: ১-১০,

খোঁড়া ভিখারীর সুস্থতা লাভ
 
1একদিন বেলা তিনটায় মুনাজাতের সময়ে পিতর ও ইউহোন্না বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন। 2লোকেরা প্রত্যেক দিন একজন লোককে বয়ে এনে বায়তুল-মোকাদ্দসের সুন্দর নামে দরজার কাছে রাখত। সে জন্ম থেকেই খোঁড়া ছিল। যারা বায়তুল-মোকাদ্দসে যেত তাদের কাছে ভিক্ষা চাইবার জন্য তাকে সেখানে রাখা হত। 3পিতর ও ইউহোন্নাকে বায়তুল-মোকাদ্দসে ঢুকতে দেখে সে তাঁদের কাছে ভিক্ষা চাইল। 4পিতর ও ইউহোন্না সোজা তার দিকে তাকালেন। তার পরে পিতর বললেন, “আমাদের দিকে তাকাও।” 5তখন সেই লোকটি তাঁদের কাছ থেকে কিছু পাবার আশায় তাঁদের দিকে তাকাল।
6তখন পিতর বললেন, “আমার কাছে সোনা-রূপা কিছু নেই, কিন্তু যা আছে তা-ই তোমাকে দিচ্ছি। নাসরতের ঈসা মসীহের নামে উঠে দাঁড়াও ও হাঁট।” 7পরে তিনি লোকটির ডান হাত ধরে তাকে তুললেন আর তখনই তার পা ও গোড়ালি শক্ত হল। 8সে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়াল এবং হাঁটতে লাগল। পরে সে হাঁটতে হাঁটতে, লাফাতে লাফাতে এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা করতে করতে তাঁদের সংগে বায়তুল-মোকাদ্দসে গেল। 9-10লোকেরা তাকে হাঁটতে ও আল্লাহ্‌র প্রশংসা করতে দেখে চিনতে পারল যে, এ সেই একই লোক, যে বায়তুল-মোকাদ্দসে সুন্দর নামে দরজার কাছে বসে ভিক্ষা করত। তার যা ঘটেছিল তাতে লোকেরা খুব আশ্চর্য হয়ে গেল।
 


 
 
 
 প্রেরিতদের কার্য বিবরণ পুস্তক ৫: ২১-২৫: 

21তাঁরা সেই কথামত খুব ভোরে বায়তুল-মোকাদ্দসে ঢুকে লোকদের শিক্ষা দিতে লাগলেন।
এদিকে মহা-ইমাম ও তাঁর সংগের সদ্দূকীরা মহাসভা ডাকলেন, অর্থাৎ ইসরাইলীয় বৃদ্ধ নেতাদের গোটা দলটিকে ডাকলেন। তারপর তাঁরা সাহাবীদের নিয়ে আসবার জন্য কয়েকজন কর্মচারী পাঠালেন, 22কিন্তু সেই কর্মচারীরা জেলখানায় গিয়ে সেখানে তাঁদের পেল না। 23তখন তারা ফিরে গিয়ে এই খবর দিল, “আমরা দেখলাম জেলের দরজায় শক্ত করেই তালা দেওয়া আছে এবং দরজায় দরজায় পাহারাদার দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দরজা খুলে কাউকেই ভিতরে দেখতে পেলাম না।” 24এই কথা শুনে বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও প্রধান ইমামেরা বুদ্ধিহারা হয়ে ভাবতে লাগলেন এর ফল কি হবে।
25তখন একজন লোক এসে বলল, “দেখুন, যে লোকদের আপনারা জেলে দিয়েছিলেন তারা বায়তুল-মোকাদ্দসে দাঁড়িয়ে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছে।” 


link 



যাত্রা ৩৩: ১১

link
পবিত্র মিলন-তাম্বু
7মূসা বনি-ইসরাইলদের ছাউনির বাইরে দূরে একটা বিশেষ তাম্বু খাটাতেন আর সেটাকে তিনি বলতেন “মিলন-তাম্বু।” মাবুদের কাছ থেকে কেউ কিছু জানতে চাইলে সে ঐ মিলন-তাম্বুর কাছে যেত। 8মূসা যখন সেই মিলন-তাম্বুতে যেতেন তখন লোকেরা নিজের নিজের তাম্বুর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকত এবং তিনি সেই তাম্বুতে না ঢোকা পর্যন্ত তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত। 9মূসা সেই তাম্বুতে ঢুকবার পর মেঘের থামটি নেমে আসত এবং মাবুদ যতক্ষণ মূসার সংগে কথা বলতেন ততক্ষণ পর্যন্ত তা তাম্বুর দরজার কাছে থাকত। 10লোকেরা যখনই এই থামটিকে তাম্বুর দরজার কাছে দেখত তখন প্রত্যেকে উঠে নিজের নিজের তাম্বুর দরজার কাছে থেকে মাবুদকে সেজদা করত। 11মানুষ যেমন মুখোমুখি হয়ে বন্ধুর সংগে কথা বলে মাবুদ ঠিক তেমনি করেই মূসার সংগে কথা বলতেন। পরে মূসা বনি-ইসরাইলদের ছাউনিতে ফিরে যেতেন কিন্তু নূনের ছেলে ইউসা মিলন-তাম্বু ছেড়ে যেতেন না। ইউসা নামে এই যুবকটি ছিলেন মূসার সাহায্যকারী।





screenshot

(যাত্রা পুস্তক ২২: ২৫-২৭)

25“আমার কোন অভাবী লোককে যদি তুমি টাকা ধার দাও তবে মহাজনের মত করে তার কাছ থেকে কোন সুদ নিয়ো না। 26যদি তুমি কারও গায়ের চাদর বন্ধক রাখ তবে সূর্য ডুবে যাবার আগেই তা ফিরিয়ে দিতে হবে, 27কারণ ওটাই তার গায়ে দেবার জন্য একমাত্র কাপড়। ওটা না থাকলে সে কি গায়ে দিয়ে শোবে? যদি সে এইজন্য আমার কাছে কাঁদে তবে আমি তার কান্না শুনব, কারণ আমার অন্তর রহমতে পূর্ণ।
28“আল্লাহ্‌কে অপমান কোরো না কিংবা তোমাদের শাসনকর্তাকে বদদোয়া দিয়ো না।
29“তোমাদের ফসল এবং আংগুর-রস থেকে আমাকে যা দেবার তা দিতে দেরি কোরো না। তোমাদের প্রথম ছেলে আমাকে দিতে হবে। 30তোমাদের গরু ও ভেড়ার বেলায়ও তা-ই করবে। সাত দিন পর্যন্ত তাদের বাচ্চাগুলো মায়ের কাছে থাকবে, তারপর আট দিনের দিন সেগুলো আমাকে দিয়ে দিতে হবে।

(২-রাজাবলী ২২: ৮-১৩)

(২-রাজাবলী ২২: ৮-১৩)

https://www.bible.com/de/bible/95/2KI.22.MBCL

https://screenshots.firefox.com/4uzLzTd0do2S2AVt/www.bible.com

8তখন বাদশাহ্‌র লেখক শাফনকে মহা-ইমাম হিল্কিয় বললেন, “মাবুদের ঘরে আমি তৌরাত কিতাবটি পেয়েছি।” হিল্কিয় সেই কিতাবটি শাফনকে দিলে পর তিনি তা তেলাওয়াত করলেন। 9তারপর শাফন সেই কিতাবটি বাদশাহ্‌র কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, “মাবুদের ঘরে যে টাকা ছিল তা আপনার গোলামেরা বের করে মাবুদের ঘরের কাজের তদারককারীদের হাতে দিয়েছে।” 10তখন লেখক শাফন এই কথা বাদশাহ্‌কে জানালেন, “ইমাম হিল্কিয় আমাকে একটি কিতাব দিয়েছেন।” এই বলে শাফন তা বাদশাহ্‌কে তেলাওয়াত করে শোনালেন।
11তৌরাত কিতাবে যা লেখা ছিল তা শুনে বাদশাহ্‌ নিজের পোশাক ছিঁড়লেন। 12তিনি ইমাম হিল্কিয়, শাফনের ছেলে অহীকাম, মিকায়ের ছেলে অক্‌বোর, শাফন ও বাদশাহ্‌র সাহায্যকারী অসায়কে এই হুকুম দিলেন, 13“এই যে কিতাবটি পাওয়া গেছে তার মধ্যে যে সমস্ত কথা লেখা আছে সেই সব কথা সম্বন্ধে আপনারা গিয়ে আমার জন্য এবং এখানকার ও সমস্ত এহুদার লোকদের জন্য মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। মাবুদ আমাদের বিরুদ্ধে রাগের আগুনে জ্বলে উঠেছেন, কারণ আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই কিতাবের কথামত চলেন নি এবং পালন করবার জন্য যে সব কথা সেখানে লেখা আছে সেই অনুসারে তাঁরা কাজ করেন নি।”

“দ্বিতীয় বিবরণ”(৬: ৪-৯) (২৭: ২-৪)

https://www.bible.com/de/bible/95/DEU.6.MBCL

https://screenshots.firefox.com/EWEJBqMat0CnQnuA/www.bible.com

4“বনি-ইসরাইলরা, শোন, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ এক। 5তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ ও সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌কে মহব্বত করবে। 6এই সব হুকুম যা আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তা যেন তোমাদের অন্তরে থাকে। 7তোমাদের ছেলেমেয়েদের তোমরা বার বার করে সেগুলো শিখাবে। ঘরে বসে থাকবার সময়, পথে চলবার সময়, শোবার সময় এবং বিছানা থেকে উঠবার সময় তোমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। 8তোমরা তা মনে রাখবার চিহ্ন হিসাবে তোমাদের হাতে বেঁধে রাখবে এবং কপালে লাগিয়ে রাখবে। 9তোমাদের বাড়ীর দরজায় ও চৌকাঠে তোমরা সেগুলো লিখে রাখবে।

https://www.bible.com/de/bible/95/DEU.27.MBCL

https://screenshots.firefox.com/s3m6IbSBs3ufa012/www.bible.com

1মূসা ইসরাইলীয় বৃদ্ধ নেতাদের সংগে নিয়ে লোকদের বললেন, “যে সব হুকুম আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তা তোমরা পালন করবে। 2তোমরা জর্ডান নদী পার হয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র দেওয়া দেশে গিয়ে কতগুলো বড় বড় পাথর খাড়া করে নেবে এবং সেগুলো চুন দিয়ে লেপে দেবে, 3আর সেগুলোর উপর এই শরীয়তের সব কথাগুলো লিখবে। 

১-রাজাবলী ১৮ ও ১৯


১-রাজাবলী ১৮
হযরত ইলিয়াস (আঃ) ও আল্লাহ্‌ভক্ত ওবদিয়
1এর অনেক দিন পরে, বৃষ্টি না হওয়ার তৃতীয় বছরের সময় মাবুদ ইলিয়াসকে বললেন, “তুমি গিয়ে আহাবকে দেখা দাও। আমি দেশে বৃষ্টি পাঠিয়ে দিচ্ছি।” 2কাজেই ইলিয়াস আহাবকে দেখা দিতে গেলেন।
তখন সামেরিয়াতে ভীষণ দুর্ভিক্ষ চলছিল। 3আহাব ওবদিয়কে ডেকে পাঠালেন। রাজবাড়ীর দেখাশোনার ভার ওবদিয়ের উপরে ছিল। মাবুদের উপর ওবদিয়ের ভয়পূর্ণ ঈমান খুব বেশী ছিল। 4ঈষেবল যখন মাবুদের নবীদের হত্যা করছিলেন তখন ওবদিয় একশোজন নবীকে নিয়ে পঞ্চাশ পঞ্চাশ করে দু’টা গুহায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি তাঁদের খাবার ও পানির যোগান দিতেন। 5ওবদিয় আসলে পর আহাব তাঁকে বললেন, “তুমি দেশের সব ঝর্ণা ও উপত্যকার কাছে যাও। ঘোড়া আর খ"চরগুলোর প্রাণ রক্ষার জন্য হয়তো কিছু ঘাস পাওয়া যাবে। তাতে আমাদের কোন পশুকে মেরে ফেলতে হবে না।” 6তাঁরা দু’জন ঘুরে দেখবার জন্য দেশটা ভাগ করে নিলেন। আহাব নিজে গেলেন এক দিকে আর ওবদিয় গেলেন অন্য দিকে।
7ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় ইলিয়াসের সংগে তাঁর দেখা হল। ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, “আমার প্রভু ইলিয়াস, এ কি সত্যিই আপনি?”
8জবাবে তিনি বললেন, “জ্বী, আমিই। তুমি তোমার মালিককে গিয়ে জানাও যে, ইলিয়াস এখানে আছেন।”
9ওবদিয় বললেন, “আমি কি অন্যায় করেছি যে, আপনি আপনার গোলাম আমাকে হত্যা করবার জন্য আহাবের হাতে তুলে দিচ্ছেন? 10আপনার মাবুদ আল্লাহ্‌র কসম খেয়ে বলছি যে, এমন কোন জাতি বা রাজ্য নেই যেখানে আমার মালিক আপনার তালাশে লোক পাঠান নি। সেই সব জাতি বা রাজ্য যখনই ঘোষণা করেছে যে, আপনি সেখানে নেই তখনই তিনি তাদের দিয়ে এই কসম খাইয়ে নিয়েছেন যে, তারা সত্যিই আপনাকে তালাশ করে পায় নি। 11আর এখন আপনি আমাকে আমার মালিকের কাছে গিয়ে বলতে বলছেন যে, ইলিয়াস এখানে আছেন। 12আমি আপনাকে ছেড়ে চলে গেলে মাবুদের রূহ্‌ আপনাকে অন্য কোথাও নিয়ে যাবেন যা আমি জানব না। আমি গিয়ে আহাবকে বললে পর যদি তিনি আপনাকে খুঁজে না পান তবে তিনি আমাকে হত্যা করবেন। কিন্তু অল্প বয়স থেকেই আপনার গোলাম আমি মাবুদকে ভয় করে আসছি। 13ঈষেবল যখন মাবুদের নবীদের হত্যা করছিলেন তখন আমি কি করেছি তা কি হুজুর শোনেন নি? মাবুদের নবীদের একশোজনকে পঞ্চাশ পঞ্চাশ করে দু’টা গুহায় লুকিয়ে রেখেছি এবং তাদের খাবার ও পানির যোগান দিয়েছি। 14আর আপনি এখন আমাকে আমার মালিকের কাছে গিয়ে বলতে বলছেন যে, ইলিয়াস এখানে আছেন। তিনি তো আমাকে হত্যা করবেন।”
15ইলিয়াস বললেন, “আমি যাঁর এবাদত করি, অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের কসম খেয়ে বলছি যে, আমি আজই আহাবের সামনে নিশ্চয় উপস্থিত হব।”
কর্মিল পাহাড়ে হযরত ইলিয়াস (আঃ)
16তখন ওবদিয় আহাবের সংগে দেখা করে কথাটা তাঁকে বললেন আর আহাব ইলিয়াসের সংগে দেখা করতে গেলেন। 17ইলিয়াসকে দেখে আহাব বললেন, “হে ইসরাইলের কাঁটা, এ কি তুমি?”
18জবাবে ইলিয়াস বললেন, “আমি কাঁটা নই, কিন্তু আপনি ও আপনার পিতার বংশের লোকেরাই ইসরাইলের কাঁটা। আপনারা মাবুদের হুকুম ত্যাগ করে বাল-দেবতাদের পিছনে গিয়েছেন। 19এখন লোক পাঠিয়ে ইসরাইলের সবাইকে কর্মিল পাহাড়ে আমার কাছে জমায়েত করুন। ঈষেবলের টেবিলে বাল-দেবতার যে চারশো পঞ্চাশজন নবী এবং আশেরার চারশোজন নবী খাওয়া-দাওয়া করে তাদের নিয়ে আসুন।”
20তখন আহাব ইসরাইলের সব জায়গায় খবর পাঠিয়ে দিলেন এবং কর্মিল পাহাড়ে ঐ নবীদের জমায়েত করলেন। 21ইলিয়াস লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কতদিন তোমরা দুই নৌকায় পা দিয়ে চলবে? যদি আল্লাহ্‌ই মাবুদ হন তবে তাঁর এবাদত কর, আর যদি বাল-দেবতাই মাবুদ হয় তবে তার এবাদত কর।” কিন্তু লোকেরা কোন জবাব দিল না।
22তখন ইলিয়াস তাদের বললেন, “মাবুদের নবীদের মধ্যে কেবল আমিই বাকী আছি, কিন্তু বাল-দেবতার নবী রয়েছে সাড়ে চারশো জন। 23এখন আমাদের জন্য দু’টা ষাঁড় নিয়ে আসা হোক। ওরা নিজেদের জন্য একটা ষাঁড় বেছে নিয়ে জবাই করে টুকরা টুকরা করে কাঠের উপর রাখুক, কিন্তু তাতে আগুন না দিক। আমি অন্য ষাঁড়টা নিয়ে জবাই করে প্রস্তুত করে কাঠের উপরে রাখব কিন্তু তাতে আগুন দেব না। 24তারপর ওরা ওদের দেবতাকে ডাকবে আর আমি ডাকব আল্লাহ্‌কে। যিনি আগুন পাঠিয়ে এর জবাব দেবেন তিনিই মাবুদ।”
এই কথা শুনে সবাই বলল, “আপনি ভালই বলেছেন।”
25ইলিয়াস বাল-দেবতার নবীদের বললেন, “তোমরা একটা ষাঁড় বেছে নিয়ে প্রথমে সেটা জবাই করে প্রস্তুত করে নাও, কারণ তোমরা সংখ্যায় অনেক। তারপর তোমরা তোমাদের দেবতাকে ডাক, কিন্তু আগুন দেবে না।” 26যে ষাঁড়টা তাদের দেওয়া হল তারা সেটা জবাই করে প্রস্তুত করে নিল।
তারপর তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাল-দেবতাকে ডাকতে লাগল। তারা জোরে জোরে বলতে লাগল, “হে বালদেব, আমাদের জবাব দাও।” কিন্তু কোন সাড়া মিলল না, কেউ জবাব দিল না। যে বেদী তারা তৈরী করেছিল তার চারপাশে তারা নাচতে লাগল।
27দুপুর বেলায় ইলিয়াস তাদের ঠাট্টা করে বললেন, “জোরে চিৎকার কর, সে তো দেবতা। হয়তো সে গভীর চিন্তা করছে, না হয় পায়খানায় গেছে, না হয় পথে চলেছে। হয়তো সে ঘুমাচ্ছে, তাকে জাগাতে হবে।” 28কাজেই তারা আরও জোরে চিৎকার করতে লাগল এবং তাদের নিয়ম অনুসারে শরীরে রক্তের ধারা বয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ছোরা ও কাঁটা দিয়ে নিজেদের আঘাত করতে থাকল। 29দুপুর গড়িয়ে গেল আর বিকাল বেলার পশু-কোরবানীর সময় পর্যন্ত ভাবে-ধরা লোকের মত তারা আবোল-তাবোল বলতেই থাকল। কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া গেল না, কেউ জবাব দিল না, কেউ মনোযোগও দিল না।
30তখন ইলিয়াস সমস্ত লোকদের বললেন, “তোমরা আমার কাছে এস।” তারা তাঁর কাছে গেল। ইলিয়াস মাবুদের ভেংগে-পড়া কোরবানগাহ্‌ মেরামত করে নিলেন। 31তিনি ইয়াকুবের ছেলেদের প্রত্যেক গোষ্ঠীর জন্য একটা করে বারোটা পাথর নিলেন। এই ইয়াকুবকেই মাবুদ বলেছিলেন, “তোমার নাম হবে ইসরাইল।” 32সেই পাথরগুলো দিয়ে ইলিয়াস মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী করলেন এবং তার চারপাশে এমন নালা কাটলেন যার মধ্যে বারো কেজি বীজে ভরা একটা থলি বসানো যায়। 33তারপর তিনি কোরবানগাহের উপরে কাঠ সাজিয়ে ষাঁড়টা টুকরা টুকরা করে সেই কাঠের উপর রাখলেন এবং তাদের বললেন, “তোমরা চারটা কলসী পানিতে ভরে এই পোড়ানো-কোরবানীর গোশ্‌ত ও কাঠের উপরে ঢেলে দাও।”
34তারপর তিনি বললেন, “আবার কর।” লোকেরা তা-ই করল।
তিনি হুকুম দিলেন, “তৃতীয়বার কর।” তারা তৃতীয়বার তা-ই করল। 35তখন কোরবানগাহের উপর থেকে পানি গড়িয়ে নালা ভরতি হয়ে গেল।
36বিকালের কোরবানীর সময় হলে পর নবী ইলিয়াস সামনে এগিয়ে এসে মুনাজাত করলেন, “হে আল্লাহ্‌, ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইসরাইলের মাবুদ, আজকে তুমি জানিয়ে দাও যে, ইসরাইলের মধ্যে তুমিই মাবুদ এবং আমি তোমার গোলাম, আর তোমার হুকুমেই আমি এই সব করেছি। 37হে আল্লাহ্‌, আমাকে জবাব দাও, জবাব দাও, যাতে এই সব লোকেরা জানতে পারে যে, হে আল্লাহ্‌, তুমিই মাবুদ আর তুমিই তাদের মন ফিরিয়ে এনেছ।”
38তখন উপর থেকে আল্লাহ্‌র আগুন পড়ে কোরবানীর গোশ্‌ত, কাঠ, পাথর ও মাটি পুড়িয়ে ফেলল এবং নালার পানিও চুষে নিল।
39এ দেখে লোকেরা সবাই মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে চিৎকার করে বলল, “আল্লাহ্‌ই মাবুদ, আল্লাহ্‌ই মাবুদ।”
40তখন ইলিয়াস তাদের এই হুকুম দিলেন, “বাল দেবতার নবীদের ধর। তাদের একজনকেও পালিয়ে যেতে দিয়ো না।” তখন লোকেরা তাদের ধরে ফেলল। ইলিয়াস তাদের কীশোন উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে সেখানে তাদের হত্যা করলেন।
41তারপর ইলিয়াস আহাবকে বললেন, “আপনি গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করুন, কারণ ভীষণ বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।” 42এতে আহাব খাওয়া-দাওয়া করতে গেলেন, কিন্তু ইলিয়াস গিয়ে কর্মিল পাহাড়ের উপরে উঠলেন। তিনি মাটিতে হাঁটু পেতে দুই হাঁটুর মধ্যে মুখ রাখলেন।
43পরে তিনি তাঁর চাকরকে বললেন, “তুমি গিয়ে সাগরের দিকে চেয়ে দেখ।”
সে গিয়ে দেখে বলল, “ওখানে কিছু নেই।” সাতবার ইলিয়াস তাকে ফিরে গিয়ে দেখতে বললেন।
44সপ্তম বারে চাকরটি এসে বলল, “মানুষের হাতের মত ছোট একটা মেঘ সমুদ্র থেকে উঠছে।”
তখন ইলিয়াস তাকে বললেন, “তুমি গিয়ে আহাবকে বল যেন তিনি তাঁর রথ ঠিক করে নিয়ে চলে যান, নাহলে বৃষ্টি তাঁকে যেতে বাধা দেবে।”
45এর মধ্যে আকাশ মেঘে কালো হয়ে গেল, বাতাস উঠল এবং ভীষণ বৃষ্টি এসে গেল। আহাব রথে করে যিষ্রিয়েলে রওনা হলেন। 46তখন মাবুদের শক্তি ইলিয়াসের উপর আসল। তিনি তাঁর কাপড়খানা কোমর-বাঁধনিতে গুঁজে নিয়ে আহাবের আগে আগে দৌড়ে যিষ্রিয়েলে গেলেন।
 
 
 
 
১-রাজাবলী -১৯
হযরত ইলিয়াস (আঃ)-এর তুর পাহাড়ে পলায়ন
1ইলিয়াস যা যা করেছেন এবং কেমন করে সমস্ত নবীদের হত্যা করেছেন তা সবই আহাব ঈষেবলকে বললেন। 2সব কথা শুনে ঈষেবল লোক দিয়ে ইলিয়াসকে বলে পাঠালেন, “কাল এই সময়ের মধ্যে তোমার প্রাণের দশা যদি তাদের একজনের মত না করি তবে দেবতারা যেন আমাকে শাস্তি দেন আর তা ভীষণভাবেই দেন।”
3ইলিয়াস এতে ভয় পেয়ে তাঁর প্রাণ বাঁচাবার জন্য পালিয়ে গেলেন। তিনি এহুদা-এলাকার বের্‌-শেবাতে পৌঁছে তাঁর চাকরকে সেখানে রাখলেন, 4কিন্তু তিনি নিজে মরুভূমির মধ্যে একদিনের পথ এগিয়ে গেলেন। সেখানে একটা রোতম গাছের নীচে বসে মৃত্যুর জন্য মুনাজাত করলেন। তিনি বললেন, “হে মাবুদ, যথেষ্ট হয়েছে। এবার তুমি আমার প্রাণ নাও; আমি তো আমার পূর্বপুরুষদের চেয়ে ভাল নই।” 5তারপর তিনি সেই গাছের তলায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
সেই সময় একজন ফেরেশতা তাঁকে ছুঁয়ে বললেন, “ওঠ, খাও।” 6তিনি চেয়ে দেখতে পেলেন তাঁর মাথার কাছে গরম পাথরে সেঁকা একখানা রুটি ও এক পাত্র পানি রয়েছে। তা খেয়ে তিনি আবার শুয়ে পড়লেন।
7মাবুদের ফেরেশতা দ্বিতীয়বার এসে তাঁকে ছুঁয়ে বললেন, “ওঠ, খাও, কারণ এতটা পথ চলবার শক্তি তোমার নেই।” 8কাজেই তিনি উঠে খেলেন। সেই খাবার খেয়ে শক্তিলাভ করে তিনি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত হেঁটে আল্লাহ্‌র পাহাড় তুর পাহাড়ে গিয়ে উপস্থিত হলেন। 9সেখানে একটা গুহার মধ্যে ঢুকে তিনি রাতটা কাটালেন।
মাবুদ ও হযরত ইলিয়াস (আঃ)
সেখানে ইলিয়াসের কাছে মাবুদ উপস্থিত হয়ে বললেন, “ইলিয়াস, তুমি এখানে কি করছ?”
10জবাবে তিনি বললেন, “মাবুদ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন যেন তাঁর পাওনা এবাদত পান সেইজন্য আমি খুবই আগ্রহী হয়েছি, কারণ বনি-ইসরাইলরা তোমার স্থাপন করা ব্যবস্থা ত্যাগ করেছে, তোমার সব কোরবানগাহ্‌ ভেংগে ফেলেছে এবং তোমার নবীদের হত্যা করেছে। কেবল আমিই বাকী আছি আর আমাকেও এখন তারা হত্যা করবার চেষ্টা করছে।”
11তখন মাবুদ বললেন, “তুমি বাইরে গিয়ে পাহাড়ের উপরে আমার সামনে দাঁড়াও।” সেই সময় মাবুদ ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর তাঁর সামনে একটা ভীষণ শক্তিশালী বাতাস পাহাড়গুলোকে চিরে দু’ভাগ করল এবং সব পাথর ভেংগে টুকরা টুকরা করল, কিন্তু সেই বাতাসের মধ্যে মাবুদ ছিলেন না। সেই বাতাসের পরে একটা ভূমিকমপ হল, কিন্তু সেই ভূমিকমেপর মধ্যেও মাবুদ ছিলেন না। 12ভূমিকমেপর পরে দেখা দিল আগুন, কিন্তু সেই আগুনের মধ্যেও মাবুদ ছিলেন না। সেই আগুনের পরে ফিস্‌ ফিস্‌ শব্দের মত সামান্য শব্দ শোনা গেল। 13ইলিয়াস তা শুনে তাঁর গায়ের চাদর দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বাইরে গিয়ে গুহার মুখের কাছে দাঁড়ালেন।
তারপর তিনি এই কথা শুনলেন, “ইলিয়াস, তুমি এখানে কি করছ?”
14জবাবে তিনি বললেন, “মাবুদ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন যেন তাঁর পাওনা এবাদত পান সেইজন্য আমি খুবই আগ্রহী হয়েছি, কারণ বনি-ইসরাইলরা তোমার স্থাপন করা ব্যবস্থা ত্যাগ করেছে, তোমার সব কোরবানগাহ্‌ ভেংগে ফেলেছে এবং তোমার নবীদের হত্যা করেছে। কেবল আমিই বাকী আছি আর আমাকেও এখন তারা হত্যা করবার চেষ্টা করছে।”
15তখন মাবুদ তাঁকে বললেন, “তুমি যে পথে এসেছ সেই পথে ফিরে গিয়ে দামেস্কের মরুভূমিতে যাও। সেখানে পৌঁছে তুমি হসায়েলকে সিরিয়ার বাদশাহ্‌র পদে অভিষেক কর। 16এছাড়া নিম্‌শির নাতি যেহূকে ইসরাইলের বাদশাহ্‌র পদে অভিষেক কর, আর তোমার পদে নবী হওয়ার জন্য আবেল-মহোলার শাফটের ছেলে আল-ইয়াসাকে অভিষেক কর। 17হসায়েলের তলোয়ার যারা এড়িয়ে যাবে যেহূ তাদের হত্যা করবে আর যেহূর তলোয়ার যারা এড়িয়ে যাবে আল-ইয়াসা তাদের হত্যা করবে। 18তবে ইসরাইলে আমি সাত হাজার লোককে রেখে দিয়েছি যারা বাল দেবতার সামনে হাঁটু পাতে নি এবং তাকে চুম্বনও করে নি।”
হযরত ইলিয়াস ও আল-ইয়াসা (আঃ)
19পরে ইলিয়াস সেখান থেকে চলে গিয়ে শাফটের ছেলে আল-ইয়াসার দেখা পেলেন। তিনি বারো জোড়া বলদ দিয়ে জমি চাষ করছিলেন এবং তিনি নিজে শেষ জোড়াটি চালাচ্ছিলেন। ইলিয়াস তাঁর কাছে গিয়ে নিজের গায়ের চাদরখানা তাঁর গায়ে ফেলে দিলেন। 20আল-ইয়াসা তখন তাঁর বলদ ফেলে ইলিয়াসের পিছনে পিছনে দৌড়ে গেলেন। আল-ইয়াসা বললেন, “মিনতি করি, আমাকে আমার মা-বাবাকে চুম্বন করে আসতে দিন। তারপর আমি আপনার সংগে যাব।”
জবাবে ইলিয়াস বললেন, “আচ্ছা যাও, কিন্তু মনে রেখো, এটা আল্লাহ্‌র কাজ।”
21কাজেই আল-ইয়াসা তাঁকে ছেড়ে ফিরে গেলেন। তিনি তাঁর বলদ জোড়াটা নিয়ে জবাই করলেন এবং লাংগলের কাঠ দিয়ে গোশ্‌ত রান্না করে লোকদের দিলেন আর লোকেরা তা খেল। তারপর তিনি ইলিয়াসের সংগে যাবার জন্য বের হলেন এবং তাঁর সেবাকারী হলেন।
 
 
 
 

লেবীয় পুস্তক ৯: ২৪


লেবীয় পুস্তক ৯: ২৪

22তারপর হারুন লোকদের দিকে হাত বাড়িয়ে তাদের দোয়া করলেন। তিনি গুনাহের কোরবানী, পোড়ানো-কোরবানী এবং যোগাযোগ-কোরবানী শেষ করে কোরবানগাহ্‌ থেকে নেমে আসলেন। 23এর পর মূসা ও হারুন মিলন-তাম্বুর ভিতরে গেলেন। সেখান থেকে বের হয়ে এসে তাঁরা লোকদের দোয়া করলেন। তখন সমস্ত লোকের সামনে মাবুদের মহিমা দেখা দিল। 24মাবুদের কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে কোরবানগাহের উপরকার পোড়ানো-কোরবানী আর সমস্ত চর্বি পুড়িয়ে ফেলল। এই ব্যাপার দেখে লোকেরা চিৎকার করে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল।
https://screenshots.firefox.com/5RzQjFGBejl0Y5d2/www.bible.com

 https://www.bible.com/de/bible/95/LEV.9.MBCL




বিচারকর্তৃগণ : ৬ :২০-২১, ১৩:১৯-২০

https://www.bible.com/de/bible/95/JDG.6.MBCL

https://screenshots.firefox.com/yMRsi45iyRS6VxDu/www.bible.com


৬:19
 গিদিয়োন ভিতরে গিয়ে একটা ছাগলের বাচ্চা জবাই করে রান্না করলেন এবং আঠারো কেজি পরিমাণ ময়দা দিয়ে কিছু খামিহীন রুটি তৈরী করলেন। তিনি গোশ্‌ত একটা ডালাতে রেখে ঝোল একটা পাত্রে রাখলেন। তারপর সেগুলো বাইরে এনে এলোন গাছের তলায় মাবুদের ফেরেশতার সামনে রাখলেন। 20তখন আল্লাহ্‌র ফেরেশতা তাঁকে বললেন, “গোশ্‌ত আর খামিহীন রুটি নিয়ে তুমি এই পাথরটার উপরে রাখ, আর ঝোল ঢেলে দাও।” গিদিয়োন তা-ই করলেন। 21তখন মাবুদের ফেরেশতার হাতে যে লাঠিটা ছিল সেটার আগা দিয়ে তিনি ঐ গোশ্‌ত আর খামিহীন রুটি ছুঁলেন। তাতে পাথরটা থেকে আগুন উঠে সেই গোশ্‌ত ও রুটি পুড়িয়ে দিল, আর মাবুদের ফেরেশতা অদৃশ্য হয়ে গেলেন।


১৩:19

 মানোহ তখন একটা ছাগলের বাচ্চা ও তার সংগেকার শস্য-কোরবানীর জিনিস নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে একটা পাথরের উপরে তা কোরবানী দিলেন। সেই ফেরেশতা তখন একটা অলৌকিক চিহ্ন দেখালেন, আর মানোহ ও তাঁর স্ত্রী তা দেখছিলেন।
20আগুনের শিখা যখন কোরবানগাহ্‌ থেকে উপরে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছিল তখন মাবুদের ফেরেশতা সেই আগুনের শিখায় উঠে চলে গেলেন। এই ব্যাপার দেখে মানোহ ও তাঁর স্ত্রী সেজদায় পড়লেন, 21আর মানোহ বুঝতে পারলেন যে, তিনি ছিলেন মাবুদের ফেরেশতা। মাবুদের ফেরেশতা তাঁদের আর দেখা দিলেন না।
22তখন মানোহ তাঁর স্ত্রীকে বললেন, “আমরা আল্লাহ্‌কে দেখেছি, নিশ্চয়ই আমাদের মরতে হবে।”
23কিন্তু তাঁর স্ত্রী বললেন, “আমাদের মেরে ফেলবারই ইচ্ছা যদি মাবুদের থাকত তবে আমাদের হাত থেকে তিনি পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-কোরবানী গ্রহণ করতেন না, কিংবা এই সবও আমাদের দেখাতেন না, কিংবা এই সব কথাও এই সময়ে আমাদের বলতেন না।”
24পরে স্ত্রীলোকটির একটি ছেলে হল আর তিনি তাঁর নাম রাখলেন শামাউন। শামাউন বড় হতে লাগলেন এবং আল্লাহ্‌ তাঁকে দোয়া করলেন। 25শামাউন যখন সরা আর ইষ্টায়োলের মাঝখানে মহন্তেদান বলে একটা জায়গায় ছিলেন তখন থেকে মাবুদের রূহ্‌ তাঁকে উত্তেজিত করতে লাগলেন।
 
 
https://www.bible.com/de/bible/95/JDG.13.MBCL

https://screenshots.firefox.com/aFYv2XXJO4kZa6ea/www.bible.com




 

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...