প্রশ্ন-বিস্তারিত:
আসসালামু আলাইকুম। আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি,চাকরির পাশাপাশি আমি বীমা পেশা নিয়ে ও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি,কিন্তু বীমা পলিসি গ্রহন করা,আর বীমা পেশায় কাজ করে উপার্জন করা,অনেকের মতে হালাল, আবার অনেকের মতে হারাম।এখন আমি এই পেশাটাকে নিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার আগে,হালাল হারাম এর বিষয়টি নিশ্চিত হতে চায়।অনুগ্রহ করে, রেফারেন্স সহ বিষয়টি জানালে উপকৃত হব।ধন্যবাদ।
উত্তর : ওয়া আলাইকুম আস সালাম।
বীমার যে ইসলামী কনসেপ্ট এর কথা বলা হয়, তা হলো,
(১) ধরুন, একটি কল্যাণ ফান্ড। সবাই টাকা রাখবে । শর্ত হলো, কল্যাণ ফান্ডের সদস্যদের মধ্যে কেউ যদি কোনো সমস্যায় পরে তাহলে তাকে একটি নির্দিষ্ট হারে অনুদান দেওয়া হবে। অথবা তার মৃত্যুর পরে কল্যাণ ফান্ডের পক্ষ থেকে একটি পরিমাণ অর্থ পাবে।
(২) কল্যাণ ফান্ডে যে অর্থ জমা হবে, এই টাকা সম্পুর্ণ সুদমুক্ত ব্যবসায় খাটানো হবে। সদস্যদের ক্লেইম এই লভ্যাংশ থেকে পরিশোধ করা হবে, অথবা, প্রথম মূল টাকা থেকে পরিশোধ করা হবে, এরপর যদি লভ্যাংশে ক্লেইম পুরণ হয়, তাহলে ভালো, আর ক্লেইম পূরণ করার পর যদি লভ্যাংশ থেকে যায়, তাও রেখে দেওয়া হবে, এবং একসময় ক্লেইমের পরিমাণের টাকা বৃদ্ধি করা হবে।
(৩) যারা বীমা জোগাড় করবেন, কোম্পানীর কাজ হবে, প্রথমতো একটি পার্সেন্টেজ তাদেরকে দেওয়া, কিন্তু প্রথমত দিতে হবে, তাদের আলাদা টাকা থেকে, অবশ্যই ক্লায়েন্টের পরিশোধিত কিস্তি থেকে নয়। যদি ব্যবসায়িক ভাবে ঐ টাকা থেকে কোনোদিন লাভ আসে তাহলে ঐ লাভ থেকে কোম্পানী কর্মীদের বেতন কেটে রাখবে। যদি লভ্যাংশ উদ্বৃত থাকে তবে তা গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করবে।
----- এখন আপনি দেখুন, আপনি যে বীমা কোম্পানীতে চাকুরী করবেন, তার কোনো পর্যায়ে
(১) সুদের অস্তিত্ব আছে কিনা
(২) কোনো পর্যায়ে এমন কোনো নীতি আছে কিনা যে, গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে
(৩) কোনো পর্যায়ে এমন কোনো নীতি আছে কিনা যাতে কোম্পানীর কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বা তার টার্গেট পূরণ না করতে পারলে তাকে না খেয়ে থাকতে হবে, (কারণ এইটা একটা জুলুম), তার টার্গেট পূরণ না করতে পারলেও তাকে ন্যুনতম একটা বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তাকে না খেয়ে থাকতে না হয়।
--- এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে সেখানে চাকুরী করতে পারেন।