ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ ।

 উত্তর : দেখুন, এ ব্যাপারে অনেকে অনেকগুলো পয়েন্ট বলেছেন, কিন্তু আমি গভীর ভাবে দেখেছি, আসলে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পক্ষপাত দুষ্ট। ঈমান ভঙ্গের আসল কারণ গুলো বাদ দিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি গুলো বর্ণনা করেছেন। যেমন: কেউ মাজার পূজার বিরোধী, সে মাজার পূজা, বা মুসলমানদের সাংস্কৃতিক জীবনের বিচ্যুতি ও ভুল বিশ্বাস গুলির দিকে হাইলাইট করেছেন বেশী। আসলে মূল কথা হচ্ছে, আপনি ঈমান এনেছেন, কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবেন এবং তদনুযায়ী চলবেন - এই অঙ্গীকার করেছেন। সুতরাং, যদি আপনি কুরআনের একটি আয়াতও অস্বীকার করেন বা মেনে না চলেন, সেইটাই ঈমান ভঙ্গের কারণে পরিণত হবে। যেমন: কুরআন বলছে, তোমাদের বড় লোক সমাজপতি ও রাষ্ট্রের কথা যদি কুরআনের বিপরীত হয়, তবে তারা তাগুতের ভূমিকা গ্রহণ করবে, সেক্ষেত্রে তাগুতকে অস্বীকার করাই হলো ঈমান । আবার বলেছে, আল্লাহ মুমিনদের জান মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন, এখন যদি আপনি আপনার জান মাল জান্নাতের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে রাজী না হন, আল্লাহ যেইসব ক্ষেত্রে জান মালের দাবী জানিয়েছেন, সেইসব ক্ষেত্রে যদি তা ব্যয় করতে রাজী না থাকেন, তাহলে আপনার ঈমান ভঙ্গ হয়ে গেল। সুতরাং, যে যেই দৃষ্টি ভঙ্গিথেকেই বলুক না কেন, মূলত: আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের আদেশ গুলো মেনে না নিলেই আপনার ঈমান ভঙ্গ। এটা হচ্ছে সহজ ব্যাপাার। তাই আঙ্গুলে গণনা করে ঈমান ভঙ্গের কারণ কয়টি ? - এর কোনো প্রয়োজন নাই।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...