নামাজে প্রথম রাকাতে বিসমিল্লাহ তো পড়তেই হবে। এরপর প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করা সুন্নাত। এবং সুরা তাওবা ছাড়া অন্যান্য সুরার শুরুতেও বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত । তবে যদি কেউ না পাঠ করে তাহলেও অসুবিধা নাই।
===================
জবাব: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য ছোট তিন আয়াত বা যেকোনো সূরা পাঠের আগে চুপিচুপি বিসমিল্লাহ পাঠ ইমাম মুহাম্মাদ রহ. এর মতে সুন্নাত। এটা ইমাম ও একা নামাযি ব্যক্তির জন্য সুন্নাত।(আল-মাউসুআ আল-ফিকহিয়্যা ৮/৮৭)
ফাতাওয়া আল্ লাজনাহ আদ্দাইমাহ (৬/৩৭৮)-তে এসেছে,
دلَّت السنَّة الثابتة أنه ﷺ يقرأ البسملة في الصلاة قبل الفاتحة وقبل غيرها من السوَر ، ما عدا سورة التوبة
রাসুলুল্লাহ ﷺ নামাযে সূরা ফাতিহার আগে এবং সূরা তাওবা ছাড়া অন্যান্য সুরার আগে বিসমিল্লাহ পড়তেন; এটা সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত।
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
=====================
প্রশ্ন : নামাজে প্রতিটি সূরা পড়ার পূর্বেই কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে বা এটা পড়া কি ফরজ?
উত্তর : সূরা আল ফাতেহা যখন আপনি তিলাওয়াত করবেন, তখন বিসমিল্লাহ পড়বেন। এটাই হলো সুন্নাহ। কেউ কেউ এটাকে বাধ্যতামূলক বলেছেন। যেহেতু কোরআনুল কারিমে সূরা আল ফাতেহার অন্যতম প্রথম আয়াত হচ্ছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এই মাসআলার মধ্যে আলেমদের দ্বিমত থাকলেও বিশুদ্ধ দিক হচ্ছে এটি সূরা ফাতেহার আয়াত। তাই অধিকাংশ তাহকিক মাহকিক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, সূরা ফাতেহার শুরুতেই বিসমিল্লাহ পরেই তার পর শুরু করব। অবশ্য আবু মোহাম্মদ বাক্কি রাহমাতুল্লা আলাইর যে রেওয়াত রয়েছে, সে রেওয়াতের মধ্যে কিন্তু এটাকে আয়াতই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কিন্তু কোনো অপশন নেই যে সূরা ফাতেহার আগে বিসমিল্লাহ পড়বে না, এ ধরনের কোনো অপশন নেই। বাকি অন্য যে সূরাগুলো রয়েছে, সেগুলোর শুরুতেই বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাহ। এটি ওই বিসমিল্লাহ যে লেখা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন লেখার জন্য।
তাই সে ক্ষেত্রে কেউ যদি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে, তাহলে তিনি সুন্নাহ ঘোষণা করলেন। আর যদি না পড়েন, এতেও কোনো অসুবিধা নেই। যেহেতু এটি ওই সূরার আয়াত বা অংশ নয়।
-- বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
No comments:
Post a Comment